কাফির মুশরিকদের প্রশংসা করা জায়েজ নেই

কাফির মুশরিকদের প্রশংসা করা জায়েজ নেই


পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে, “কোনো ফাসিক ব্যক্তির প্রশংসা করলে, মহান আল্লাহ পাক তিনি এতোটা অসন্তুষ্ট হন যে উনার অসন্তুষ্টির কারণে পবিত্র আরশ প্রকম্পিত হয়ে থাকে।” (মিশকাত শরীফ)

ফাসিক বলা হয় ওই ব্যক্তিকে, যে ঈমান এনেছে কিন্তু ফরয, ওয়াজিব, সুন্নতে মুয়াক্কাদা তরক করে বা আমল করে না; কিন্তু সে মুসলমান। এখন ফিকিরের বিষয় হচ্ছে যে, মুসলমান হওয়া সত্ত্বেও কেবল ফাসিক হওয়ার কারণে তার প্রশংসা করলে যদি মহান আল্লাহ পাক এতোটা অসন্তুষ্ট হন, তাহলে যারা মহান আল্লাহ পাক উনাকে অস্বীকার করে এবং নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে অস্বীকার করে- সেই সব কাফির-মুশরিকদের প্রশংসা করলে কতোটা অসন্তুষ্টি ও লা’নত বর্ষণ করবেন- তা চিন্তা ফিকির করতে হবে। 

আমরা যেকোনো পবিত্র আয়াত শরীফ পাঠ করার পূর্বে একটি আয়াত শরীফ পাঠ করি, যাঁর অর্থ হচ্ছে- ‘সমস্ত প্রশংসা মহান আল্লাহ পাক উনার জন্য’। তাহলে এখানে কাফির-মুশরিকদের প্রশংসা করা প্রকাশ্য শিরকে অন্তর্ভুক্ত হয়ে যায়। নাউযুবিল্লাহ! আর শিরকের গুনাহ এতোটা ভয়াবহ ও কঠিন গুনাহ যে; মহান আল্লাহ পাক বান্দার সমস্ত গুনাহ মাফ করলেও শিরকের গুনাহ মাফ করেন না। 

সুতরাং কেউ মুসলমান হিসেবে থাকতে চাইলে কাফির-মুশরিকদের প্রশংসা ভুল ক্রমেও করা যাবে না, তাদের অনুসরণ অনুকরণ করা যাবে না, তাদের সাথে বন্ধুত্ব করা যাবে না। এ ব্যাপারে মহান আল্লাহ পাক তিনি স্পষ্টভাবে ইরশাদ মুবারক করেছেন- “হে ঈমানদারগণ! তোমরা আমার শত্রু এবং তোমাদের শত্রুকে বন্ধু হিসেবে গ্রহণ করো না।” (পবিত্র সূরা মুমতাহিনা শরীফ, পবিত্র আয়াত শরীফ: ১)

কারামতে মুত্বহ্হারাহ, মুত্বহ্হিরাহ সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম-৫০

কারামতে মুত্বহ্হারাহ, মুত্বহ্হিরাহ সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম-৫০

পাবনার এক পীরবোন স্বপ্নে দেখেন, কোথাও তালীমের মজলিস হবে। সেখানে মহাসম্মানিতা সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম, উম্মুল উযমা আম্মাজী ক্বিবলা আলাইহাস সালাম তিনি তাশরীফ মুবারক আনয়ন করবেন। তাই উক্ত পীরবোন উনার মুবারক সাক্ষাৎ লাভের আশায় অধীর আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষা করছেন। উক্ত পীরবোন বলেন, ‘আমি কিছুক্ষণ পরে দেখলাম, সেখানে একজন খুবছূরত, নূরানী চেহারা মুবারক উনার অধিকারিনী একজন মহাসম্মানিতা নিসা (মহিলা) তাশরীফ আনলেন। উনাকে আমি ইতিপূর্বে কখনো দেখিনি। দেখে মনে হচ্ছে, তিনি একজন অত্যন্ত শরীফ বংশের কেউ হবেন। তাই উনার নিকটে গিয়ে ক্বদমবুছী করে অত্যন্ত আদবের সহিত উনার নিকট জানতে চাইলাম, ‘আজকে এখানে আমাদের যিনি আম্মাজী ক্বিবলা আলাইহাস সালাম তিনি তাশরীফ মুবারক আনার কথা। কিন্তু আপনি? আপনাকে আমি চিনতে পারছিনা। তখন তিনি বললেন, আমি স্বয়ং আন নুরুর রবি’য়াহ হযরত যাহরা আলাইহাস সালাম। আমি এ কথা শুনে খুব আনন্দিত হয়ে সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম উনার জন্য যেই আসন মুবারকটি নির্ধারণ করা হয়েছিল ; উক্ত আসনে হযরত যাহরা আলাইহাস সালাম উনাকে বসানোর ব্যবস্থা করি।  আমি উনাকে পেয়ে এতই খুশি হয়েছি যে, আমি  আমার ব্যক্তিগত কিছু কথা জানালাম। এভাবে আমি আমার মনের যত কথা আছে সবকিছু উনাকে এক নিঃশ্বাসে জানাতে থাকলাম। ভাবলাম যে, উনাকে যদি আর সরাসরি দেখতে না পাই। তাই সব মনের কথা বলি। কিন্তু সাইয়্যিদাতুনা আন নুরুর রবিয়াহ হযরত যাহরা আলাইহাস সালাম তিনি চুপ থাকলেন। আমি উনার চুপ থাকা দেখে ভয় পেলাম যে, কোন বেয়াদবী হয়ে গেল কিনা ......তারপরও কিছুক্ষণ পরে আমি আবার আগের মত সব আরজু পেশ করছিলাম, দোয়া চাচ্ছিলাম। ঠিক তখনই হযরত যাহরা আলাইহাস সালাম তিনি আমাকে বললেন, “তোমাদের সব কথা তোমাদের যিনি মা  উম্মুল উমাম আম্মাজী ক্বিবলা আলাইহাস সালাম উনাকে জানাও। তিনিই উত্তম ফায়ছালাকারী। (সুবহানা উম্মিল উমাম আলাইহাস সালাম)। তোমরা এ সমস্ত বিষয় উনাকে জানাও। তিনি তোমাদের ফায়ছালা করে দিবেন ” এভাবে তিনি এ কথাগুলো বারবার বললেন। এরপর উক্ত পীরবোন দেখতে পান যে, ‘উক্ত নূরানী চেহারা মুবারক কিছুক্ষণ পর পর পরিবর্তন হয়ে যাচ্ছেন। একবার হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম উনার চেহারা মুবারক, আরেকবার সাইয়্যিদাতুনা নাক্বীবাতুল উমাম শাহজাদী উলা আলাইহাস সালাম উনার চেহারা মুবারক, আবার কখনো হযরত নিবরাসাতুল উমাম শাহজাদী ছানিয়াহ আলাইহাস সালাম উনার মুবারক চেহারা ধারণ করছেন। (সুবহানা উম্মিল উমাম আলাইহাস সালাম!!) এভাবে একের পর এক পরিবর্তন হচ্ছিলেন। একজনের মাঝে চারজন সম্মানিতা ব্যক্তিত্ব উনাদের মুবারক চেহারা দৃষ্টিগোচর হচ্ছিল। স্বপ্নদ্রষ্টা পীর বোন অবাক হয়ে উক্ত চেহারা মুবারক সমূহ দেখতে থাকেন। সবশেষে সাইয়্যিদাতুনা হযরত যাহরা আলাইহাস সালাম তিনি তাবাস্সুমি শান মুবারক (মুচকি হাসি) প্রকাশ করে সেই স্থান থেকে চলে গেলেন। 
উক্ত বিষয়টি দ্বারা মহাসম্মানিতা ও মহাপবিত্রা সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম উনার শান-মান মুবারক মর্যাদা-মর্তবা মুবারক, ফাযায়িল-ফযীলত মুবারক, বেমেছাল বুযুর্গি-সম্মান মুবারক সম্পর্কে  জানা এবং বুঝা সম্ভব। (সুবহানা উম্মিল উমাম আলাইহাস সালাম)। মহান আল্লাহ পাক তিনি যেন মহান নিয়ামতে উজমা মুবারক সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম উনাকে হাক্বীক্বীভাবে চিনে উনার হাক্বীক্বী হক্ব আদায় করে আবাদুল-আবাদ উনার পুত পবিত্র নুরুদ দারাজাত (ক্বদম) মুবারকে ইস্তেকামত থাকার তৌফিক দান করেন। (আমীন)

কারামতে মুত্বহ্হারাহ, মুত্বহ্হিরাহ সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম-৪৯

কারামতে মুত্বহ্হারাহ, মুত্বহ্হিরাহ সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম-৪৯

এক পীর বোন নিয়মিত দরবার শরীফে আসতে পারেন না। তাই তিনি যে কোন অসুখ-বিসুখ, বিপদ-আপদ, অসুবিধা ইত্যাদির জন্য অন্য একজন পীর বোন (যিনি নিয়মিত মুবারক ছোহবতে আসেন) উনার মাধ্যমে সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আম্মাজী ক্বিবলা আলাইহাস সালাম উনার নিকট দোয়া মুবারক চাইতেন। কিন্তু যাকে জানানো হতো তিনি হয়তো বা কখনো এক দিন পরে বা কখনো দুই দিন পরে, আবার কখনো উনার সুবিধা মত জানানোর কারণে অনেক দিন দেরী হয়ে যেত। অত্যন্ত আশ্চর্যের বিষয় যে, তিনি কেবলমাত্র ফোনের মাধ্যমে সংবাদ জানিয়েছেন; আর সাথে সাথেই বিপদমুক্ত হয়েছেন, কিংবা সুস্থতা লাভ করেছেন,  কিংবা যেকোন প্রয়োজন পুরা হয়ে গিয়েছে। অথচ, সংবাদটি তখনো সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম উনার নিকট পৌঁছানো হয়নি।(সুবহানা উম্মিল উমাম আলাইহাস সালাম)।
বলাবাহুল্য যে, পবিত্র দরবার শরীফ উনার যে কোন একজনকে যেকোন বিষয়ে জানিয়ে সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম উনার নিকট দোয়া মুবারক চাওয়া হলে, দেখা যায় হয়ত সেই মুহূর্তে  খবর পৌঁছানো সম্ভব হয়নি তারপরও সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম উনার মুবারক উছিলায় যাবতীয় বিষয় সমূহের ফায়ছালা হয়ে যায়। (সুবহানা উম্মিল উমাম আলাইহাস সালাম) সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম উনার মুবারক উছিলা দিয়ে পবিত্র দরবার শরীফ উনার যে কোন জড়বস্তুর কাছেও যদি কোন বিষয়ে কিংবা কোন সমস্যার কথা বলে যাওয়া হয় তাহলেও সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম উনার সুমহান সম্মানার্থে মহান আল্লাহ পাক তিনি সে বিষয়ের ফায়ছালা দান করেন এবং সমস্ত সমস্যা সমাধান হয়ে যায়। (সুবহানা উম্মিল উমাম আলাইহাস সালাম) কেননা, সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম তিনি হলেন মুস্তাজাবুদ দাওয়াত। মহান আল্লাহ পাক তিনি যেন সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম উনাকে হাক্বীক্বীভাবে চিনে, ছোহবত মুবারকে থেকে দায়িম-কায়িম, ইস্তেকামত থাকার তৌফিক আমাদেরকে দান করেন। (আমীন)<<<<<<<<<<<<<<<<<<<<<<<<<<<<<<<<<

কারামতে মুত্বহ্হারাহ, মুত্বহ্হিরাহ সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম-৪৮

কারামতে মুত্বহ্হারাহ, মুত্বহ্হিরাহ সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম-৪৮

মুহাম্মদপুরে থাকে একটি পরিবার। সেই ব্যক্তির দুই ছেলে। ছোট ছেলের বয়স ১১/১২বছর। হঠাৎ একদিন ছোট ছেলের মুখ দিয়ে রক্ত পড়া  শুরু হল। এরপর থেকে কয়েকদিন পর পর মুখ দিয়ে রক্ত পড়তে থাকে। অনেক বড় বড় ডাক্তার দেখানো হলো, বিভিন্ন রকম টেস্ট করানো হলো। কিন্তু এর কারণ কেউ বের করতে পারলো না। পরে ছেলেটির বাবা-মা সিদ্ধান্ত নিলো, ছেলেটিকে নিয়ে ইন্ডিয়ায় যাবে চিকিৎসার জন্য। কাগজপত্র ঠিক করতে থাকে। এরমধ্যে সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম উনার মুবারক পরামর্শে এক পীর বোন ছেলেটির বাবা-মাকে বললেন, আমাদের দরবার শরীফে প্রতিদিন মহাসম্মানিত সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ মাহফিল হয়। এই মহাসম্মানিত মাহফিলে কিছু হাদিয়া দেওয়ার নিয়ত করুন, অবশ্যই আপনার ছেলে সুস্থ হয়ে যাবে। (ইনশাআল্লাহ)
ছেলেটির বাবা বললেন, যদি ছেলেটি সুস্থ হয়, তাহলে ২০ হাজার টাকা দিবো। ঐ মহিলা তিনি কালোজিরা, তেল, পানি পড়িয়ে নিয়ে উনাদেরকে দিলেন এবং সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল  উমাম আলাইহাস সালাম উনার থেকে দোয়া মুবারক নিলেন। আর সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ উনার নিয়ত করার পর থেকে ঐ ছেলেটির মুখ দিয়ে রক্ত পড়া বন্ধ হয়ে যায়। (সুবহানা উম্মিল উমাম আলাইহাস সালাম)। যদি বাবা-মা সহ ছেলেটি চিকিৎসার জন্য ইন্ডিয়ায় যেতেন তাহলে কমপক্ষে লক্ষ টাকার বেশী খরচ হতো। তারপর সুস্থ হতো কিনা, তার কোন নিশ্চয়তা ছিল না। মাত্র ২০ হাজার টাকা মহাসম্মানিত সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফে নিয়ত করার পর থেকেই ছেলেটি পরিপূর্ণ সুস্থ হয়ে গেল। 
সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল  উমাম আলাইহাস সালাম তিনি মহান আল্লাহ পাক উনার এবং উনার হাবীব নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের খাছ লক্ষ্যস্থল এবং মনোনীত ওলীআল্লাহ। তিনি সর্বাবস্থায় সকলের জন্য রহমত স্বরূপ। উনার মুবারক পরামর্শে এবং মুবারক দোয়ার বদৌলতে অসংখ্য অগণীত মানুষ সুস্থতা লাভ করেছে, ইতমিনান লাভ করেছে এবং অনন্তকাল ধরে করতেই থাকবে।  (সুবহানা উম্মিল উমাম আলাইহাস সালাম)

কারামতে হযরত মুত্বহ্হারাহ, মুত্বহহিরাহ সাইয়্যিদাতুনা উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম-৪৭

কারামতে হযরত মুত্বহ্হারাহ, মুত্বহহিরাহ সাইয়্যিদাতুনা উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম-৪৭


কুমিল্লার একজন পীরবোন দরবার শরীফে আসার পূর্বে হাত পা প্রচন্ড জ্বালা করতো। অনেক ডাক্তার দেখানোর পর জন্ডিস ধরা পড়ে। তিনি অনেক ডাক্তার দেখিয়ে এলোপ্যাথি, হোমিওপ্যাথি সব ধরণের ঔষধ খেলেন। কোন পরিবর্তন হলো না। আগের মত হাত পা মাথা জ্বালাপোড়া রয়ে গেলো। এরপর তিনি দরবার শরীফে আসলেন। দরবার শরীফে এসে সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম তিনি যেখানে বসে নছীহত মুবারক করেন, এবং নছীহত মুবারক শেষে যখন চলে যান তখন উনার নুরুদ দারাজাত মুবারক যে স্থানে রাখেন সেই সম্মানিত স্থান মুবারকে হাত রেখে মুখ মুছে নেন এবং দরবার শরীফে যে পড়া পানি ছিটানো হয় তা মুখে মুছেন। এরপর উক্ত পীরবোন খেয়াল করেন যে, কিছুদিনের মধ্যে তার হাত-পা, মাথা জ্বালা-পোড়া বন্ধ হয়। তারপর সেই পীরবোন বর্ণনা করেন, দরবার শরীফে আসার পূর্বে তিনি খুব রোগা ছিলেন, অসুস্থ ছিলেন কিন্তু সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম উনার ছোহবত মুবারকে আসার পর তিনি সুস্বাস্থ্যের অধিকারী হন এবং পরিপূর্ণ সুস্থতা লাভ করেন। (সুবহানা উম্মিল উমাম আলাইহাস সালাম)। তিনি বলেন, এ সবকিছুই মূলত সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম উনার মুবারক উসিলাতে তিনি পেয়েছেন।

কারামতে মুত্বহ্হারাহ, মুত্বহ্হিরাহ সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম-৪৬

কারামতে মুত্বহ্হারাহ, মুত্বহ্হিরাহ সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম-৪৬

এক পীর বোন উনার ক্লাসের পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে স্বপ্নে দেখেন যে, সাইয়্যিদাতুনা উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম তিনি কোন এক স্থানে তাশরীফ মুবারক এনেছেন (আগমন করেছেন)। তিনি উনাকে দেখতে পেয়ে খুবই আনন্দিত। উক্ত পীরবোন হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম উনাকে ক্বদমবুছী করে দুয়া মুবারক চাচ্ছেন যেন উনার ক্লাসের পরীক্ষার রেজাল্ট ভাল হয়। হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম তখন উক্ত পীরবোনের মাথায় উনার পবিত্র নুরুল মাগফিরাত মুবারক (হস্তদ্বয়) রেখে জিজ্ঞাসা করেন, কি সবকিছু মনে পড়ছে? তখন উক্ত পীরবোন বললেন, ‘জ্বি অংক সাবজেক্টের কথা মনে পড়ে। আমার অংক পরীক্ষা  খুব খারাপ হয়েছে। আমি এটা নিয়ে খুব পেরেশানীতে আছি।’ উক্ত পীরবোন বারবার উনার নিকট দোয়া মুবারক চাচ্ছিলেন যেন, উনার অংক পরীক্ষার ফলাফল ভাল আসে। কারণ উনার অংক পরীক্ষা এতটাই খারাপ হয়েছিল যে, তিনি পরীক্ষা দিয়ে এসে হিসেব করে দেখেন উনার মার্ক ১২/১৩ আসবে। তাই তিনি খুবই চিন্তিত। তখন সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম তিনি পীরবোনকে আঞ্জুমানের কাজ, অর্থাৎ দ্বীনি তালীমের কাজ চালিয়ে যাওয়ার ইঙ্গিত দেন। উক্ত স্থান থেকে বিদায় বেলা সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম তিনি উক্ত পীরবোনের কপালে চুম্বন করে দেন। এদিকে পীরবোন সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম উনার স্বপ্নে দেওয়া নির্দেশ মুবারক মোতাবেক পরীক্ষার ফাঁকে ফাঁকে আঞ্জুমানের কাজ চালিয়ে যান। অপরদিকে উনার অংক পরীক্ষা যে এত খারাপ হয়েছে; এ বিষয়টি তিনি বাসার কাউকে জানান নি। শুধুমাত্র স্বপ্নে সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম উনাকে জানিয়েছেন। এর মধ্যে উক্ত পীরবোন ফলাফলের অপেক্ষা করতে থাকেন। পরে ফলাফল প্রকাশ হলে দেখা গেল, তিনি অংকে ৪০ এর উপরে নম্বর পেয়েছেন। যেখানে উনার ১২/১৩ নম্ব^র পাওয়ার কথা ছিল। উক্ত পীরবোন বলেন, এটা হওয়ার কথা ছিলনা। মূলত সাইয়্যিদাতুনা হযরত  উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম উনার মুবারক নির্দেশ পালন এবং খাছ দোয়া মুবারকের বদৌলতে সম্ভব হয়েছে। (সুবহানা উম্মিল উমাম আলাইহাস সালাম !!) 
সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম তিনি মহান আল্লাহ পাক উনার পক্ষ হতে নিয়ামতে উজমা মুবারক। কোন সালিক-সালিকা যখন কোন বিষয়ে সমস্যাগ্রস্ত হয় তখন তিনি স্বপ্নে ও জাগরণে সর্বাবস্থায় উক্ত সমস্যা সমাধান করে দেন, হিফাজত করেন এবং যা নেক মকছূদ রয়েছে তা পূরণ করেন। মহান আল্লাহ পাক তিনি যেন উনার সন্তুষ্টি মুতাবেক আমাদেরকে উনার ছোহবত মুবারক ইখতিয়ার করার তৌফিক দান করেন। (আমীন)

কারামতে মুত্বহ্হারাহ, মুত্বহহিরাহ সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম-৪৫

কারামতে মুত্বহ্হারাহ, মুত্বহহিরাহ সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম-৪৫

২০০৩ সালে রংপুর মাহিগঞ্জ সফরে একদিন হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম তিনি নছিহত মুবারক করছিলেন। তখন আব্দুল হালিম ভাই উনার বোন তিনি দুইজন নতুন মহিলা নিয়ে সেখানে উপস্থিত হয়েছেন। নছিহত মুবারক উনার সময় তিনি দেখতে পেলেন যে, আসমান থেকে একখানা নূর মুবারক সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম উনার নূরুল ইলম (সিনা) মুবারক উনার উপর এসে পড়ছে আবার আসমানে উঠে যাচ্ছে। যতক্ষণ পর্যন্ত তা’লীম মুবারক হয়েছে ততক্ষণ পর্যন্ত তিনি এই দৃশ্য দেখতে পেয়েছেন। (সুবহানা উম্মিল উমাম আলাইহাস সালাম) তখন তিনি ভাবলেন উনার সাথে যে দুইজন মহিলা এসেছেন উনাদেরকে বলবেন কিন্তু তিনি পরে আবার ভাবলেন, তারা তো একেবারে নতুন যদি এরকম বলি তাহলে তারা যদি কোন কিছু মনে করে, এটা ভেবে তিনি আর কিছু বললেন না। তারপর উনারা যখন বাসায় ফিরে যাচ্ছিলেন তখন রিকসায় বসে একজন মহিলা উনাকে বলেছেন, তুমি কি দেখেছ যে, আসমান থেকে একখানা নূর মুবারক বারেবারে উনার নূরুল ইলম (সিনা) মুবারক উনার উপর এসে পড়ছে আবার আসমানে উঠে যাচ্ছে। তখন আব্দুল হালিম ভাই উনার বোন বললেন হ্যাঁ, আমিও এ বিষয়টি লক্ষ্য করেছি। (সুবহানা উম্মিল উমাম আলাইহাস সালাম)। এ প্রসঙ্গে মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন,
نُوْرُهُمْ يَسْعٰى بَيْنَ اَيْدِيْهِمْ وَ بِاَيْمَانِهُمْ يَقُوْلُوْنَ رَبَّنَا اَتْمِمْ لَنَا نُوْرَنَا وَاَغْفِرْلَنَا اِنَّكَ عَلٰى كُلِّ شَيْئٍ قَدِيْرٌ
অর্থ মুবারক: উনাদের নূর মুবারক উনাদের সামনে এবং ডানে ছুটাছুটি করবে। উনারা বলবেন, (আয় আল্লাহ পাক!) আমাদের জন্য আমাদের নূর পূর্ণ করে দিন। এবং আমাদেরকে ক্ষমা করুন। নিশ্চয়ই আপনি সমস্ত কিছুর উপর ক্ষমতাবান।” (সম্মানিত ও মহাপবিত্র সূরা তাহরীম শরীফ, সম্মানিত ও মহাপবিত্র আয়াত শরীফ -৮)
সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম সেই মহান ও সম্মানিত মাক্বাম মুবারক উনার অধিকারিনী মুহসিনীন তথা খাছ লক্ষ্যস্থল ওলীআল্লাহ। মহান আল্লাহ পাক তিনি যেন সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম উনাকে হাক্বীক্বীভাবে চিনে, ছোহবত মুবারকে থেকে হাক্বীক্বী হক্ব আদায় করার তৌফিক দান করেন। (আমীন)

কারামতে হযরত মুত্বহ্হারাহ, মুত্বহহিরাহ সাইয়্যিদাতুনা উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম-৪৪

কারামতে হযরত মুত্বহ্হারাহ, মুত্বহহিরাহ সাইয়্যিদাতুনা উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম-৪৪

সিলেটের এক পীর বোন এবং উনার আহাল উনারা একবার চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায় আসার জন্য প্লেনের টিকেট বুক করেন। যেদিন উনাদের ফ্লাইট ছিল সেদিন উনারা ফ্লাইটের ঠিক ৩০ মিনিট পূর্বে বাসা থেকে বের হন কারণ বাসা থেকে এয়ারপোর্টের দূরত্ব ছিল ৩০ মিনিটের। সাধারণত যে রাস্তা দিয়ে উনারা আসা যাওয়া করতেন, সেই রাস্তাটি মেরামত করা হচ্ছিল যার কারণে রাস্তা কাটা ছিল। তাই সমস্ত যানবাহন একই রাস্তা দিয়ে আসা যাওয়া করছিল। সাধারণত চট্টগ্রাম বন্দর নগরীর রাস্তায় সবসময় অনেক ট্রাক থাকার কারণে জ্যাম লেগে থাকে। রাস্তায় বের হওয়ার পর উনারা প্রচুর জ্যাম দেখতে পান। জ্যামের কারণে ফ্লাইট মিস করেন কিনা এটা ভেবে খুব চিন্তিত হয়ে যান এবং উনার আহাল বাসায় ফিরে যাওয়ার কথা বলেন কারণ ফ্লাইট ছাড়ার সময় হয়ে গিয়েছিল, যেয়েও কোন লাভ হবে না। উনাদের হাতে শুধুমাত্র ৫ মিনিট সময় বাকি ছিল। আর রাস্তায় এমন জ্যাম ছিল যে ৫মিনিটে পৌঁছানো কখনোই সম্ভব ছিল না। উপায়ান্তর না পেয়ে উক্ত পীরবোন সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম উনাকে স্মরণ করতে থাকেন। উনাকে স্মরণ করা অবস্থায় হঠাৎ জ্যাম ছেড়ে দেয়। এর কিছুক্ষন পর উনারা এয়ারপোর্টে যেয়ে পৌঁছেন যা ছিল পরিপূর্ণভাবে সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম উনার গায়েবী মদদ মুবারক। (সুবহানা উম্মিল উমাম আলাইহাস সালাম) উনারা এয়ারপোর্টে পৌঁছে দেখেন কোন এক কারণে ফ্লাইট তখন ও ছাড়ে নি। ১৫মিনিট পর ছাড়বে। সাধারণত ফ্লাইট যথাসময়ই ছাড়ে সময় আগে পরে হয় না। কিন্তু সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম উনাকে স্মরণ করার মাধ্যমে সাহায্য চাওয়ার কারণে কুদরতী ফায়সালা মুবারক হয়ে যায়।(সুবহানা উম্মিল উমাম আলাইহাস সালাম)
 মূলত, ওলীআল্লাহ গণ উনাদের উসিলায় মহান আল্লাহ পাক তিনি সমস্ত অসম্ভব বিষয়গুলিকেও সম্ভব করে দেন। কেননা উনারা হলেন মহান আল্লাহ পাক উনার মনোনীত এবং মহান আল্লাহ পাক উনার বন্ধু। উনারা যা চান মহান আল্লাহ পাক তিনি তাই দান করেন। সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম তিনিও মহান আল্লাহ পাক উনার মনোনীত এবং হাবীব নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার খাছ আওলাদ। মহান আল্লাহ পাক তিনি যেন হাক্বীক্বীভাবে সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম উনার হাক্বীক্বী হক্ব আদায় করার তৌফিক দান করেন। (আমীন)

কারামতে হযরত মুত্বহ্হারাহ, মুত্বহহিরাহ সাইয়্যিদাতুনা উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম-৪৩

কারামতে হযরত মুত্বহ্হারাহ, মুত্বহহিরাহ সাইয়্যিদাতুনা উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম-৪৩


সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম তিনি প্রতি জুমুয়া শরীফে পবিত্র কুরআন শরীফ থেকে তাফসীর মুবারক করে থাকেন। যা কিনা সর্বস্তরের মানুষের জন্যই অনন্য নছিহত মুবারক। মহিলাদের মধ্যে যারা প্রতি জুমুয়া শরীফে আসেন উনারা বিষয়টি উপলব্ধি করতে পারেন। কিছুদিন আগে জুমুয়াহ শরীফে তা’লীম মুবারক উনার সময় কুড়িগ্রাম হতে আগত এক পীরবোন তিনি সরাসরি দেখছিলেন যে, সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল আলাইহাস সালাম উনার তিন দিক থেকে অর্থাৎ ডান, বাম ও পিছন দিক থেকে ছোট সাদা ফুল কলি হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম উনার নূরুল মুজাসসাম (জিসিম) মুবারক উনার উপর পড়ছে। সেগুলো পরে ফুলের তোড়ার মত হয়ে যাচ্ছে আর মনে হচ্ছে হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম তিনি সেই ফুলের তোড়ার মাঝখানে বসে আছেন। (সুবহানা উম্মিল উমাম আলাইহাস সালাম) ঠিক তখন উক্ত পীরবোন চিন্তা করলেন এগুলো আসলে কী? তখন কিছু একটা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম উনার সম্মানিত কাঁধ মুবারক উনার উপর উঠানো হল। তিনি দেখলেন একটা বড় কাঠির সাথে একটা ছোট কাঠি লাগানো। আর সেগুলোই সাদা ফুলের কলির মত দেখা যাচ্ছে। (সুবহানা উম্মিল উমাম আলাইাস সালাম)
আর মহান আল্লাহ পাক তিনি কালামুল্লাহ শরীফে ইরশাদ মুবারক করেন,
اِنَّ رَحْمَةَ اللهِ قَرِيْبٌ مِّنَ الْمُحْسِنِيْنَ
অর্থ মুবারক: “নিশ্চয়ই ওলীআল্লাহগণ উনাদের নিকটই রহমত মুবারক রয়েছেন।”
 মহান আল্লাহ পাক উনার ওলীগণ উনাদের নিকটে সর্বদাই খাছ রহমত মুবারক বর্ষিত হতে থাকে, যা কখনো পানির ফোটার মত, কখনো মুক্তা দানার মত, কখনো ফুলের কলির মত বিভিন্ন ভাবে বর্ষিত হয়। (সুবহানা উম্মিল উমাম আলাইাস সালাম)

কারামতে হযরত মুত্বহ্হারাহ, মুত্বহহিরাহ সাইয়্যিদাতুনা উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম-৪২

কারামতে হযরত মুত্বহ্হারাহ, মুত্বহহিরাহ সাইয়্যিদাতুনা উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম-৪২

রংপুরের একজন পীরবোন উনার মেয়ের কিডনির ছাকনীতে ইনফেকশন হয়েছিল। অনেক চিকিৎসা করেও কিছু হয়নি। শরীর ফুলে অন্যরকম হয়ে গিয়েছিল। ডাক্তাররা বলেছিল, ইন্ডিয়ার চেন্নাইতে নিতে হবে। তখন উক্ত পীরবোন সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম উনার কাছে দোয়া মুবারক চাইলেন। সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম তিনি বললেন, তাকে এখানে আনা যায় না? তখন উক্ত পীরবোন উনার মেয়েকে সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম উনার ছোহবত মুবারকে নিয়ে আসলেন। ছোহবত মুবারকে আসার পর সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম তিনি ফুঁ মুবারক দেন, দোয়া মুবারক করেন এবং তেল, পানি, কালোজিরা ব্যবহার করতে বলেন। এ সমস্ত কিছু ব্যবহারের ফলে এবং ছোহবত মুবারক ইখতিয়ার করার মাধ্যমে আস্তে আস্তে উক্ত পীরবোনের মেয়েটি সুস্থ হয়ে যায়। (সুবহানা উম্মিল উমাম আলাইহাস সালাম)।
যামানার খাছ লক্ষ্যস্থল ওলীআল্লাহ সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম তিনি মহান আল্লাহ পাক উনার মহানতম নিয়ামত মুবারক। উনার মুবারক উসিলায় এবং সুমহান সম্মানার্থে মহান আল্লাহ পাক তিনি সমস্ত কঠিন অসুস্থতা থেকে সুস্থতা দান করেন। পৃথিবীর যে কোন ডাক্তারের পক্ষে যা কিনা অসম্ভব।
মহান আল্লাহ পাক তিনি যেন আমাদেরকে সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম উনার ছোহবত মুবারকে এসে নুরুদ দারাজাত (ক্বদম) মুবারকে আবাদুল আবাদের ত্বরে কবুল করেন। (আমীন)

কারামতে মুত্বহ্হারাহ, মুত্বহহিরাহ সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম-৪১

কারামতে মুত্বহ্হারাহ, মুত্বহহিরাহ সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম-৪১

এক ছাত্রীর খালার বেবী হওয়ার একমাস আগে উনার চেক আপ করার পর বেবীর ওজন অনেক কম ছিল এবং  মায়েরও কিছু সমস্যা ধরা পরে। যার কারণে ডাক্তার ইমারজেন্সি সিজারের কথা বলে। এরপর উক্ত পীরবোন আল-মুতমাইন্নাহ মা ও শিশু হাসপাতালে ভর্তি হন। কিন্তু রোগীর আহালের ইচ্ছা ছিল কয়েকদিনে বাচ্চার ওজন যেন বাড়ে এবং ওজন বাড়ার পর সিজার হয়। এদিকে তাদের আরেকটি ইচ্ছা ছিল কোন বিশেষ দিনে যেন বেবী সিজার হয়। এজন্য উক্ত পীরবোনের ভাগ্নি সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম উনার উসিলা দিয়ে দোয়া করতে থাকে। হাসপাতালে এডমিট হওয়ার কয়েকদিন পর ২০শে জুমাদাল উখরা শরীফ রোগীর শ্বাসকষ্ট বেড়ে গিয়ে খুব খারাপ অবস্থা দেখা দেয়। ডাক্তারকে জানানো হলে ডাক্তার বলে যে, আজকে সন্ধ্যা ৭টার মধ্যেই সিজার করতে হবে। কিন্তু কিছু সমস্যার কারণে রাত ৯টার পর সিজার করা হয়। সিজার করার পূর্বে উনারা সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম উনার কাছে দোয়া মুবারক চান, যেন মা সুস্থ থাকে এবং শিশুর ওজনও ঠিক থাকে। সিজারের পর দেখা গেল বেবীর ওজন ৩ কেজি ৭০০ গ্রাম। যেখানে সিজারের পূর্বে ওজন ছিল ২ কেজি ৬৬৬ গ্রাম। (সুবহানা উম্মিল উমাম আলাইহাস সালাম)। আর রাতটা ছিল ২১শে জুমাদাল উখরা শরীফ, বিশেষ আইয়্যামুল্লাহ শরীফ। রোগীর প্রেগনেন্সির শেষের দিকে সুগার বেড়ে যাওয়ায় বেবী হওয়ার পর দেখা গেল বেবীর সুগার অনেক কম। বেবীকে বাঁচাতে হলে স্যালাইনের মাধ্যমে সুগার দিতে হবে। বেবীকে স্যালাইন দেওয়া হলে, ডাক্তাররা বলেছিল ২দিন স্যালাইন দিতে হবে। ১দিন পার হওয়ার পর ২য় দিন ক্যানোলা সরে যাওয়ার কারণে স্যালাইন যাচ্ছিল না। এদিকে সুগার মেপে অনেক কম পাওয়ার কারণে ডাক্তাররা ভয় পাচ্ছিল। ডাক্তাররা বলেছিল ঘ.ও.ঈ.ট তে নিতে হবে। এদিকে বেবীর খালা সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম উনার কাছে দোয়া মুবারক চান। এবং বেবীর খালাতো বোন সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম উনার শান মুবারকে দরূদ শরীফ পাঠ করতে থাকেন। ডাক্তাররা পুনরায় যখন সুগার মাপেন তখন দেখেন সুগার অনেকটাই ঠিক হয়ে এসেছে। (সুবহানা উম্মিল উমাম আলাইহাস সালাম)। অথচ একটু আগেও সুগার অনেক কম ছিল এবং বাচ্চাকে স্যালাইনও দেওয়া হয়নি। শুধুমাত্র সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম উনার দোয়া মুবারকের কারণেই সুগার লেবেল স্বাভাবিক হয়েছে।
     মূলত, সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম তিনি মহান আল্লাহ পাক উনার মনোনীত খাছ লক্ষ্যস্থল ওলীআল্লাহ। উনার মুবারক উসিলা দিয়ে যখন যে দোয়া মুবারক চাওয়া হয় মহান আল্লাহ পাক তিনি, উনার সম্মানার্থে অবশ্যই সেই দোয়াসমূহ কবুল করে থাকেন। কারণ তিনি মুস্তাজাবুদ দাওয়াত।
মহান আল্লাহ পাক তিনি যেন সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম উনার নুরুদ দারাজাত (ক্বদম) মুবারকে আমাদের সকলকে সন্তুষ্টি-রেযামন্দি মুবারক নিয়ে দায়িম-ক্বায়িম, ইস্তেকামত থাকার তৌফিক দান করেন। (আমীন)

এত দ্বীন ইসলাম বিরোধী মনোভাব কেনো মন্ত্রী-এমপিদের?

এত দ্বীন ইসলাম বিরোধী মনোভাব কেনো মন্ত্রী-এমপিদের?
ইহুদী-মুশরিকরা ৩শ বছরের পরিকল্পনা এঁটেছিল- মুসলমানদের সমস্ত দেশগুলো দখল করার জন্য। তাদের পরিকল্পনার মূল সূত্র ছিলো, যেভাবেই হোক দ্বীন ইসলাম থেকে মুসলমানদের ধীরে ধীরে সরিয়ে দিতে হবে এবং মুসলমানদের তাহযীব-তামাদ্দুন বিনষ্ট করে দিতে হবে। কারণ তারা এটা জানে পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মাঝে রয়ে গেছে যতদিন মুসলমানগণ পবিত্র কুরআন শরীফ ও সুন্নাহ শরীফ আঁকড়িয়ে থাকবে ততদিন মুসলমানদের ক্ষতি করা সম্ভব নয়।
যে কারণে তারা অপসংস্কৃতির আগ্রাসন চালাচ্ছে। আর এসব অপসংস্কৃতিকে প্রচার-প্রসারে ব্যবহৃত হচ্ছে সংবাদপত্র, রেডিও, টিভি ইত্যাদি মিডিয়াগুলো। যে কারণে একদিকে চলছে মুসলমানদের নৈতিক অধঃপতন ঘটানোর মহড়া অপরদিকে রাজনৈতিক শক্তি তথা রাষ্ট্রের মন্ত্রী-এমপিদেরকে দিয়েও চেষ্টা চলছে মানবতাবাদ বা অসাম্প্রদায়িকতার নামে ইসলামবিহীন শিক্ষাব্যবস্থা ও আইন ব্যবস্থা জারি করার অপচেষ্টা। সরকারী আমলাদের জিহালতী ও দুনিয়ার লোভকে ব্যবহার করছে কুফরী শক্তিগুলো। ফলশ্রুতিতে সংবিধান থেকে মহান আল্লাহপাক উনার আস্থা ও বিশ্বাসকে মুছে ফেলা হলো, পর্দানশীন মুসলিম নারীদেরকে বেপর্দা করতে বাধ্য করা হচ্ছে, ছবি তোলানো হচ্ছে, স্কুল-কলেজ, মাদরাসায় নাস্তিক্যবাদ শিক্ষা দেয়া হচ্ছে; এর সবগুলোই সরকারী আমলাদের মাধ্যমে বাস্তবায়ন করানো হচ্ছে।

কাফিররা জানে পর্দার উছিলাতেই মুসলমানদের নৈতিকতা অটুট থাকে। কাজেই পর্দা প্রথা তুলে দিতে হবে। নাউযুবিল্লাহ! বাল্যবিবাহ চরিত্রের সংরক্ষক, তাই অনৈতিক সম্পর্কের ব্যাপক বিস্তার ঘটাতে আইন করে বাল্যবিবাহ বন্ধ করা হয়েছে। নাউযুবিল্লাহ!
মূলত দুনিয়ার লোভ ও এমপি-মন্ত্রীদের ইসলামী জ্ঞান শূন্যতাই তাদেরকে এসব ইসলামবিরোধী কাজে জড়াচ্ছে। তাই দেশের সচেতন আলেম সমাজদের উচিত- ইসলাম বিরোধী সকল কাজের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ করা ও হক্ব বিষয়টি সুস্পষ্টভাবে ও সাহসিকতার সাথে প্রকাশ করা ও বলা।

সাইয়্যিদুল আম্বিয়া ওয়াল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার অবমাননাকারীদের প্রতি বিখ্যাত কয়েকজন খলীফা উনাদের ফায়ছালা

সাইয়্যিদুল আম্বিয়া ওয়াল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার অবমাননাকারীদের প্রতি বিখ্যাত কয়েকজন খলীফা উনাদের ফায়ছালা


আমীরে শো’বাহ হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার ফায়ছালা

হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি জানতে পারলেন যে, বনু হানিফার এক মসজিদে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র রিসালাত মুবারক অস্বীকারকারী ও মুসাইলামাতুল কায্যাবের নুবুওয়াতের প্রবক্তা রয়েছে। খবর পেয়ে হযরত ইবনে মাসউদ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি তাদেরকে গ্রেফতার করে আনতে দ্রুত পুলিশ বাহিনী প্রেরণ করলেন। পুলিশ বাহিনী তাদেরকে পাকড়াও করে নিয়ে এলেন। হযরত ইবনে মাসউদ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার দরবারে তাদেরকে উপস্থিত করা হলে তারা তওবা করলো। এতে হযরত ইবনে মাসউদ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তাদেরকে ছেড়ে দিলেন। কিন্তু তাদের মধ্যে হতে আব্দুল্লাহ ইবনে নাওয়াহা নামক এক ব্যক্তিকে ক্ষমা করলেন না। বরং তার ব্যাপারে ক্বতলের হুকুম দিলেন। বিচার বিভাগীয় লোকজন হতবাক হয়ে জানতে চাইলেন, তার ব্যাপারে ফায়ছালা ভিন্নরূপ হওয়ার কি কারণ? হযরত ইবনে মাসউদ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বললেন, মুসায়লামা নামক মিথ্যা নবী দাবীদার তার দু’জন লোককে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার দরবারে প্রেরণ করলো, আমি তখন ঐ মজলিসে ছিলাম। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি তাদেরকে জিজ্ঞাসা করলেন, তোমরা কি সাক্ষী দাও যে, আমি মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল? প্রতিত্তোরে তারা বললো, আপনি কি এ ব্যাপারে সাক্ষী দেন যে, মুসায়লামা মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল? তাদের থেকে অপ্রীতিকর কথা শুনে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বললেন, যদি দূতকে কোনো কারণবশত ক্বতল করা যেতো তাহলে আমি তোমাদের ব্যাপারে কতলের আদেশ জারী করতাম। 
 হে মানুষেরা! আব্দুল্লাহ ইবনে নাওয়াহা হলো ঐ দুই ব্যক্তির একজন। যারা সম্মানিত নুবুওওয়াত নিয়ে তামাশা করেছিলো। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে বেয়াদবী করেছিল। আজ সে দূত হয়ে এখানে আসেনি, তাই তার বেয়াদবীর শাস্তিস্বরূপ মৃত্যুদ- দেয়া হয়েছে। 

খলীফা হযরত উমর ইবনুল আব্দুল আযীয রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার ফায়ছালা

ক্বাযী ইয়ায রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি লিখেছেন, ন্যায়পরায়ণ খলীফা হযরত উমর ইবনে আব্দুল আযীয রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি উনার নিযুক্ত কূফার গভর্নরের এক পত্রের জাওয়াবে লিখেছেন- নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার শান মুবারকে বেয়াদবী ও গালমন্দকারীদের একমাত্র শাস্তি হচ্ছে ক্বতল বা মৃত্যুদ-। এছাড়া অন্য কাউকে গালি দেয়ার কারণে ক্বতল করা বা মৃত্যুদ- দেয়া যাবে না।
 
খলীফা হারুনুর রশীদের জিজ্ঞাসার জাওয়াব

আব্বাসীয় খলীফা হারুনুর রশীদ হযরত ইমাম মালেক রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার কাছে পত্রের মাধ্যমে জানতে চাইলেন- নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার শানে কুটক্তিকারীদের শাস্তি কি? ইরাকের ইসলামী স্কলারগণতো নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার শানে অবমাননাকারীদের শাস্তি নির্ধারণ করেছেন। তাদের মতামত হলো- এ শ্রেণীর লোকদেরকে বেত্রাঘাত করতে হবে। এ বিষয়ে আপনার ফায়ছালা বা ফতওয়া কি?
হযরত ইমাম মালেক রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বাদশাহ হারুনুর রশীদের জিজ্ঞাসার বিষয়বস্তু দেখে রাগান্বিত হয়ে লিখলেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার শানে যারা কটুক্তি করে, এরা তো মুসলমানের অন্তর্ভুক্ত নয়। এমন লোকদেরকে ক্বতল করা ওয়াজিব। পক্ষান্তরে হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদেরকে যারা গালমন্দ করে, অপবাদ দেয়, তাদের শাস্তি হলো বেত্রাঘাত। (আশ শিফা শরীফ- ২/৩৮৭)

খলীফা মূসা বিন মাহদির জিজ্ঞাসার জবাব

আব্বাসীয় খলীফা মূসা বিন মাহদীর শাসনামলে এক ব্যক্তি কুরাইশ বংশের নামে অশালীন মন্তব্য করলো এবং নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার শান মুবারকে বেয়াদবীমূলক আচরণ করলো। এ সংবাদ খলীফা মূসা বিন মাহদীর দরবার পর্যন্ত পৌঁছলো। সংবাদ পেয়ে খলীফা দ্রুত তাকে গ্রেফতার করার নির্দেশ দিলেন। খলীফার নির্দেশ পেয়ে দ্রুত তাকে গ্রেফতার করে রাজদরবারে নিয়ে আসা হলো। খলীফা বিশিষ্ট উলামা ও ফুক্বাহাগণকে রাজ দরবারে ডাকলেন।
পরামর্শ ও ফতওয়া চাইলেন উক্ত অপরাধীর ব্যাপারে। সমস্ত উলামা একমত যে, তাকে ক্বতল করা আবশ্যক। খলীফা ব্যথিত হয়ে বললেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার শানে মন্দ বলা তো পরের বিষয় বরং তার উক্ত শাস্তি কুরাইশ বংশ নিয়ে কটুক্তি করার জন্যই যথেষ্ট। কেননা, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি কুরাইশ বংশের ছিলেন। তার কত বড় সাহস, সাইয়্যিদুল আম্বিয়া ওয়াল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্পর্কে সে অপ্রীতিকর মন্তব্য করেছে। অতঃপর তিনি আদেশ করলেন, এক্ষুনি তার গর্দান উড়িয়ে দাও। আদেশ অনুযায়ী তৎক্ষনাত তাকে ক্বতল করা হয়।
অতএব, সকল যুগেরই মুসলমান রাজা-বাদশাহ, আমীর-উমরাহ, প্রেসিডেন্ট-প্রধানমন্ত্রীর জন্য কর্তব্য হচ্ছে- নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার ও উনার সম্মানিত হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের সম্পর্কে কটুক্তিকারী, অবমাননাকারী, ব্যঙ্গচিত্র প্রকাশকারীদের মৃত্যুদ- প্রদান করা। যারা এ শাস্তি কার্যকরি করবে, এটাই  তাদের জন্য নাজাত পাওয়ার ও জান্নাতে যাওয়ার সবচেয়ে বড় উসীলা হবে। সুবহানাল্লাহ!

সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার প্রচার-প্রসারে পবিত্র বাইতুল মাল উনার গুরুত্ব ও তাৎপর্য

সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার প্রচার-প্রসারে পবিত্র বাইতুল মাল উনার গুরুত্ব ও তাৎপর্য


ভূমিকা: মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেন-
يَا أَيُّهَا النَّاسُ قَدْ جَاءَتْكُم مَّوْعِظَةٌ مِّن رَّبِّكُمْ وَشِفَاءٌ لِّمَا فِي الصُّدُوْرِ وَهُدًى وَّرَحْـمَةٌ لِّلْمُؤْمِنِيْنَ. قُلْ بِفَضْلِ اللهِ وَبِرَحْـمَتِهِ فَبِذٰلِكَ فَلْيَفْرَحُوْا هُوَ خَيْرٌ مِّـمَّا يَجْمَعُوْنَ.
অর্থ : “নিশ্চয়ই আপনাদের যিনি খলিক, যিনি মালিক, যিনি রব, মহান আল্লাহ পাক উনার তরফ থেকে যিনি মহাসম্মানিত নছিহতকারী
وَشِفَاءٌ لِّمَا فِي الصُّدُوْرِ
যিনি অন্তরের শেফা দানকারী, আরোগ্য দানকারী
وَهُدًى وَّرَحْـمَةٌ لِّلْمُؤْمِنِيْنَ
যিনি মহাসম্মানিত হিদায়েত দানকারী এবং খাছ করে মু’মিনদের জন্য, ‘আমভাবে সকলের জন্য রহমত দানকারী তিনি যমীনে তাশরীফ মুবারক এনেছেন। সুবহানাল্লাহ। তিনি হচ্ছেন সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খতামুন নাবিয়্যীন নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। সুবহানাল্লাহ। এই পরিপ্রেক্ষিতে যিনি খলিক, যিনি মালিক যিনি রব, মহান আল্লাহ পাক, তিনি সমস্ত কায়িনাত, সমস্ত মখলুকাত তাদের কী দায়িত্ব কর্তব্য সেটা তিনি বলে দিচ্ছেন। হে আমার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আপনি বলে দিন, তোমরা মহান আল্লাহ পাক উনার দয়া, ইহসান ও রহমত (নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে পেয়ে) উনার জন্য ঈদ উদযাপন তথা খুশি প্রকাশ করো। (তোমরা যতো কিছুই করোনা কেনো) তিনিই হচ্ছেন সমগ্র কায়িনাতের জন্য সবচেয়ে বড় ও সর্বোত্তম নিয়ামত মুবারক।” সুবহানাল্লাহ! (পবিত্র সূরা ইউনুস শরীফ : পবিত্র আয়াত শরীফ ৫৮)
সবকিছুর একটা মূল থাকে, গাছের মূল না থাকলে ফুল ফল আসবে না, গাড়ীর মূল ফুয়েল, সৃষ্টির মূল, যামানার মূল; তাহলে “ফালইয়াফরাহূ” উদযাপন উনার মূল কি? খরচ করা। কিভাবে মূল: ইবাদত।
মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
وَمَا خَلَقْتُ الْـجِنَّ وَالْإِنْسَ إِلَّا لِيَعْبُدُوْنِ
অর্থাৎ- একমাত্র আমার এবাদত করার জন্যই আমি মানব ও জিন জাতি সৃষ্টি করেছি। যেহেতু আদেশ, তাই ইবাদত এবং ফরয ইবাদত। 
অন্যান্য ইবাদত ২ প্রকার: ১. বদনী: নামায, রোযা ২. মালী: যাকাত, ফিতরা, ওশর, কুরবানী ৩. বদনী-মালী: হজ্জ।
কিন্তু মূল হচ্ছে মালী ইবাদত। কেননা পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
يَأْتِـيَ عَلَى النَّاسِ زَمَانٌ لَا يَنْفَعُ فِيْهِ إِلَّا الدِّيْنَارُ وَالدِّرْهَمُ
অর্থাৎ- “মানুষের মাঝে এমন একটি সময় আসবে যখন দীনার ও দিরহাম বা টাকা-পয়সা ব্যতীত ফায়দা হাছিল করা যাবে না।”
কাজেই মাল ছাড়া দৈহিক শক্তি অর্জন করা যায়না। তাই সকল কিছুর মূল হচ্ছে খরচ করা।
বাইতুল মাল কি: বিভিন্ন উৎস হতে সংগৃহীত অর্থ- সম্পদ, যা খলীফা উনার তত্ত্বাবধানে তহবিল হিসেবে সংরক্ষিত থেকে খিলাফতের প্রয়োজনে এবং জনগনের কল্যাণে ব্যায় করা হয়, তাকে ‘বাইতুল মাল’ বলে। “বাইতুল মাল” শব্দটি খিলাফতের কোষাগার অর্থে ব্যবহৃত হয়ে থাকে।
শাব্দিক বিশ্লেষণ : বায়তুল মাল (بَيْتُ الْـمَالِ) শব্দটি আরবী শব্দ। বাইত (بَيْتُ) শব্দের অর্থ ঘর আর মাল (اَلْـمَالُ) শব্দের অর্থ সম্পদ। সুতরাং বায়তুল মাল (بَيْتُ الْـمَالِ) শব্দের অর্থ" কোষাগার। ইসলামী শরীয়ত উনার পরিভাষায় বায়তুল মাল (بَيْتُ الْـمَالِ) বলতে খিলাফতের অধীন সমস্ত এলাকার যাবতীয় ব্যয়ভার বহনের জন্য অর্থ-সম্পদ সংরক্ষিত করে রাখার ব্যবস্থা। অর্থাৎ সংক্ষিপ্তভাবে বলা যায়, বাইতুল মাল হচ্ছে সম্মানিত ইসলামী অর্থ ব্যবস্থা।
বাইতুল মালের ইতিকথা: মানুষের জান-মাল, সম্মান-সম্ভ্রম, মৌলিক অধিকার, আর্থিক নিরাপত্তা এবং অন্যান্য কার্যাদি সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সর্বপ্রথম পবিত্র বাইতুল মাল প্রতিষ্ঠা করেন। সুবহানাল্লাহ! পরবর্তীতে হযরত খুলাফায়ে রাশিদীন আলাইহিমুস সালাম উনাদের মুবারক সময়েও পবিত্র বাইতুল মাল ছিলো সকল মানুষের কাছে পবিত্র আমানত স্বরূপ। মানুষের মৌলিক অধিকার এবং অনিবার্য প্রয়োজন পূরণ করাই ছিলো পবিত্র বাইতুল মাল উনার প্রথম ও প্রধান কাজ। সুবহানাল্লাহ!
আফদ্বালুন নাস বা’দাল আম্বিয়া হযরত ছিদ্দীক্বে আকবর আলাইহিস সালাম উনার মুবারক খিলাফতকালে পবিত্র বাইতুল মাল প্রাতিষ্ঠানিক রূপ লাভ করে। বিভিন্ন শাখা-প্রশাখাসহ বাইতুল মাল উনার আনুষ্ঠানিক মজবুত ভিত্তি স্থাপিত হয় আশিদ্দাউ আলাল কুফফার হযরত ফারুক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম উনার মুবারক খিলাফতকালে। অতঃপর হযরত যুন নূরাইন আলাইহিস সালাম এবং আসাদুল্লাহিল গালিব হযরত কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহূ আলাইহিস সালাম উনাদের মুবারক খিলাফতকালে পবিত্র বাইতুল মাল ব্যবস্থা সুক্ষ্মভাবে পরিচালিত হয়। নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত সুন্নত অনুসরণে উনারা বাইতুল মাল উনার অর্থ সংগ্রহ ও ব্যয় করেন। সুবহানাল্লাহ!
বাইতুল মালে শরীক থাকার প্রয়োজনীয়তা:
মুসলমানের খুছুছিয়ত হলো মহান আল্লাহ পাক তিনি তার জান-মাল কিনে নিয়েছেন।
মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
إِنَّ اللهَ اشْتَرٰى مِنَ الْمُؤْمِنِيْنَ أَنْفُسَهُمْ وَأَمْوَالَـهُم بِأَنَّ لَـهُمُ الْـجَنَّةَ
অর্থাৎ- নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ পাক তিনি মু’মিন উনাদের জান-মাল খরীদ করে নিয়েছেন জান্নাত উনার বিনিময়ে।
বিপরীত: বখীল শত্রু। ছখী-হাবীবুল্লাহ।
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
اَلسَّخِىُّ حَبِيْبُ الله وَلَوْ كَانَ فَاسِقًا اَلْبَخِيْلُ عَدُوُّ الله وَلَوْ كَانَ عَابِدًا
অর্থ: দানশীল মহান আল্লাহ পাক উনার বন্ধু যদিও সে ফাসিক বা তার আমলে ত্রুটি থাকুক না কেন। আর বখীল মহান আল্লাহ পাক উনার শত্রু যদিও সে আবিদ হোক না কেন। 
পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফ উনার মধ্যে মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
مَثَلُ الَّذِيْنَ يُنْفِقُوْنَ أَمْوَالَـهُمْ فِي سَبِيْلِ اللهِ كَمَثَلِ حَبَّةٍ أَنْبَتَتْ سَبْعَ سَنَابِلَ فِيْ كُلِّ سُنْبُلَةٍ مِّائَةُ حَبَّةٍ ۗ وَاللهُ يُضَاعِفُ لِمَنْ يَّشَاءُ ۗ وَاللهُ وَاسِعٌ عَلِيْمٌ
অর্থ: “যারা মহান আল্লাহ পাক উনার পথে ধন-সম্পদ ব্যয় করে তাদের উদাহরণ হলো সেই শস্য দানার মতো যা থেকে গজায় সাতটি শীষ, আর প্রত্যেকটি শীষে ১০০টি করে দানা (উৎপন্ন) হয়। আর মহান আল্লাহ পাক তিনি যাকে চান বহুগুণে বাড়িয়ে দেন। মহান আল্লাহ পাক তিনি প্রাচুর্য্যময়, প্রশস্ত, সর্বজ্ঞানী।” (পবিত্র সূরা বাক্বারা শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ২৬১)
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
مَا نَقَصَتْ صَدَقَةٌ مِّنْ مَّالٍ
অর্থ: দানে সম্পদ কমেনা। (মিশকাত শরীফ)
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে আরো ইরশাদ মুবারক হয়েছে- 
اَلصَّدَقَةُ تَرَدُّ الْبَلَاءُ
অর্থ : “দান-ছদকা বালা-মুছীবত দূর করে।” (দারিমী শরীফ, মিশকাত শরীফ) 
মৃত্যুর জন্যে সদা প্রস্তুতি নিতে হবে। হযরত আযরাইল আলাইহিস সালাম তিনি চলে আসলে আর প্রস্তুতি নেয়ার সময় পাওয়া যাবেনা। কেননা, মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
كُلُّ نَفْسٍ ذَائِقَةُ الْمَوْتِ ۗ وَنَبْلُوَكُمْ بِالشَّرِّ وَالْـخَيْرِ فِتْنَةً ۖ وَإِلَيْنَا تُرْجَعُوْنَ
অর্থাৎ- প্রত্যেককে মৃত্যুর স্বাদ আস্বাদন করতে হবে। আমি তোমাদেরকে মন্দ ও ভাল দ্বারা পরীক্ষা করে থাকি এবং আমারই কাছে তোমরা প্রত্যাবর্তিত হবে। 
ইন্তিকালের পর সমস্ত আমল বন্ধ: ৩টি ছাড়া।
এ প্রসঙ্গে পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
اِذَا مَاتَ الْاِنْسَانُ اِنْقَطَعَ عَنْهُ عَمَلُهُ اِلَّا مِنْ ثَلَاثٍ‏:‏ اِلَّا صَدَقَةٍ جَارْيَةٍ، اَوْ عِلْمٍ يُنْتَفَعُ بِهٖ، اَوْ وَلَدٍ صَالِـحٍ يَدْعُوْ لَه
অর্থ: যখন কোন মানুষ ইন্তিকাল করে তখন তার সমস্ত আমল বন্ধ হয়ে যায়, তিনটি আমল ব্যতীত। ১. ছদকায়ে জারিয়া ২. উপকারী ইলম ৩. নেককার সন্তান যে তার জন্য দুয়া করে। (মিশকাত শরীফ)
৩টি ছাড়া বাকী কোন কিছুই নিজের না। কেননা পবিত্র হাদীছ শরীফে বর্ণিত আছে-
عَنْ حَضْرَتْ عَبْدِ اللهِ بنِ الشِّخِّيْرِ رَضِيَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ، اَنَّه قَالَ: أتَيْتُ النَّبِـيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَهُوَ يَقْرَأُ: (أَلْـهٰكُمُ التَّكَاثُرُ) [اَلتَّكَاثُرُ:١] قَالَ: يَقُوْلُ اِبْنُ اٰدَمَ: مَالِـيْ، مَالِـيْ، وَهَلْ لَكَ يَا ابْنَ اٰدَمَ مِنْ مَالِكَ إِلَّا مَا أكَلْتَ فَأفْنَيْتَ، أَولَبِسْتَ فَأَبْلَيْتَ، أَوْ تَصَدَّقْتَ فَأَمْضَيْتَ ؟ 
অর্থ: হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে শিখখীর রদ্বিয়াল্লাহু আনহু তিনি বলেন, আমি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নিকট এলাম, এমতাবস্থায় যে, তিনি ‘আলহাকুমুত তাকাসুর’ অর্থাৎ প্রাচুর্য্যরে প্রতিযোগিতা তোমাদেরকে মোহাচ্ছন্ন করে রেখেছে। (সূরা তাকাসুর) তিলাওয়াত করছিলেন। তিনি বললেন, আদম সন্তান বলে, আমার মাল, আমার মাল। অথচ তিনটি ব্যতীত কোনটিই তার মাল নয়।
১. খাদ্য: যা সে খেয়ে হজম করে ফেলেছে।
২. বস্ত্র বা কাপড়: যা সে পরিধান করে পুরাতন করে ফেলেছে; অন্য কারো পক্ষে তা আর পরিধান করা সম্ভব নয়। 
৩. সম্পদ: যা সে পরকালের জন্য দান করে দিয়েছে। (মুসলিম শরীফ)
আমার নিজের জন্যে খরচটা কোথায়: ‘মা ক্বদ্দামা’ ইন্তিকালের পূর্বে কি অগ্রীম পাঠিয়েছি। কেননা, পবিত্র হাদীছ শরীফে বর্ণিত আছে-
عَنْ حَضْرَتْ أَبِـيْ هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ يَبْلُغُ بِهٖ  قَالَ: إِذَا مَاتَ الْمَيِّتُ قَالَتِ الْمَلَائِكَةُ: مَا قَدَّمَ  وَقَالَ بَنُوْ اٰدَمَ: مَا خَلَّفَ؟ 
অর্থ: হযরত আবূ হুরায়রা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। যখন কেউ মৃত্যুবরণ করে, তখন হযরত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনারা জিজ্ঞাসা করেন- “কি সে অগ্রীম পাঠিয়েছে?” আর বণী আদম (তার ওয়ারিশগন) বলে, “কি সে আমাদের জন্য রেখে গেল?” (শুয়াবুল ঈমান)
সাবধান! কোটি কোটি মানুষ আসে যায়: দৈনিক- জন্ম ৩.৬ লক্ষ, মৃত্যু ১.৫১৬ লক্ষ, ঘন্টায়- জন্ম ১৫ হাজার; মৃত্যু ৬.৩১ হাজার। কারো জন্যে দুনিয়ার কোন কাজ থেমে থাকবেনা। কাজেই, এখন থেকেই মৃত্যুর জন্য প্রস্তুতি নিতে হবে।
সংকীর্ণতা অবস্থায় খরচ করলে প্রশস্ততা আসে। কেননা, মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন- 
لِيُنفِقْ ذُوْ سَعَةٍ مِّنْ سَعَتِهِ ۖ وَمَنْ قُدِرَ عَلَيْهِ رِزْقُهُ فَلْيُنفِقْ مِمَّا اٰتَاهُ اللهُ لَا يُكَلِّفُ اللهُ نَفْسًا إِلَّا مَا اٰتَاهَا ۚ سَيَجْعَلُ اللهُ بَعْدَ عُسْرٍ يُّسْرًا
অর্থ: বিত্তশালী ব্যক্তি তার বিত্ত অনুযায়ী ব্যয় করবে। যে ব্যক্তি তার রিযিকের ব্যাপারে সংকীর্ণতা অনুভব করে সে যেন মহান আল্লাহ পাক তিনি তাকে যা দিয়েছেন, তা থেকে ব্যয় করে। মহান আল্লাহ পাক তিনি যাকে যা দিয়েছেন, তদপেক্ষা বেশী ব্যয় করার আদেশ কাউকে করেন না। মহান আল্লাহ পাক কষ্টের পর সুখ দেবেন। (পবিত্র সূরা ত্বলাক্ব শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ৭)
পবিত্র সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ উনার সম্মানার্থে মুজাদ্দিদে আযম, সাইয়্যিদুল আউলিয়া, আওলাদুর রসূল ঢাকা রাজারবাগ শরীফ উনার মহাসম্মানিত হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি সুমহান সুন্নত পালনার্থে বিশ্বব্যাপী প্রতিটি জেলা, উপজেলা, থানা পর্যায়ে মসজিদ মাদরাসা স্থাপনের ব্যাপক উদ্যোগ নিয়েছেন। মহান আল্লাহ পাক উনার মুবারক নির্দেশে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন পবিত্র মসজিদে নববী শরীফসহ অসংখ্য পবিত্র মসজিদ। যে পবিত্র সম্মানিত মসজিদসমূহ ক্বিয়ামত পর্যন্ত সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার বুনিয়াদি নিদর্শন ও গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ হিসেবে আলোকিত থাকবে। পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে- 
عَنْ حَضْرَتْ عُثْمَانَ بْنُ عَفَّانٍ ذِى النُّوْرَيْنَ عَلَيْهِ السَّلَامُ قَالَ سَـمِعْتُ رَسُوْلَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُوْلُ مَنْ بَنَى مَسْجِدًا لِلّٰهِ بَنَى اللهُ لَه فِي الْـجَنَّةِ مِثْلَه.
অর্থ: হযরত যুন নূরাইন আলাইহিস সালাম তিনি বর্ণনা করেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “যে ব্যক্তি মহান আল্লাহ পাক উনার সন্তুষ্টি মুবারক উনার জন্য একটি মসজিদ তৈরি করবে, মহান আল্লাহ পাক তিনি ঐ ব্যক্তির জন্য জান্নাতে একটি বালাখানা তৈরি করে দিবেন।” সুবহানাল্লাহ! (বুখারী শরীফ ও মুসলিম শরীফ)
অন্য পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে- 
عَنْ حَضْرَتْ اَبِـىْ هُرَيْرَةَ رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ، قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. إِنَّ مِـمَّا يَلْحَقُ الْمُؤْمِنَ مِنْ عَمَلِهِ وَحَسَنَاتِهٖ بَعْدَ مَوْتِهٖ عِلْمًا عَلَّمَهُ وَنَشَرَهُ وَوَلَدًا صَالِـحًا تَرَكَهُ وَمُصْحَفًا وَرَّثَهُ أَوْ مَسْجِدًا بَنَاهُ أَوْ بَيْتًا لِّاِبْنِ السَّبِيْلِ بَنَاهُ أَوْ نَـهْرًا أَجْرَاهُ أَوْ صَدَقَةً أَخْرَجَهَا مِنْ مَّالِهٖ فِيْ صِحَّتِهٖ وَحَيَاتِهٖ يَلْحَقُهُ مِنْ بَعْدِ مَوْتِهٖ
অর্থ: হযরত আবু হুরায়রা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, মু’মিন উনার ইন্তিকালের পর উনার যে নেক আমলসমূহের ছওয়াব তিনি লাভ করতে থাকেন তা হচ্ছে- ইলম যা তিনি শিক্ষা করেছেন এবং প্রচার করেছেন। নেক সন্তান যাকে তিনি দুনিয়ায় রেখে গিয়েছেন। পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফ উনার নুসখাহ, যা তিনি মিরাছস্বরূপ রেখে গেছেন। মসজিদ যা তিনি নির্মাণ করেছেন। মুসাফিরখানা যা তিনি সফরকারীদের জন্য তৈরী করেছেন। পানির জন্য যে কুপ খনন করেছেন এবং উনার সুস্থ এবং জিবীত অবস্থায় উনার মাল হতে যা কিছু দান করেছেন। সমস্ত কিছুই উনার আমলনামায় ছদকায়ে জারিয়াহ হিসেবে পৌঁছতে থাকবে। সুবহানাল্লাহ! (তিরমিযী শরীফ, বাইহাক্বী শরীফ, তাফসীরে কুরতুবী শরীফ)
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি উনার উম্মত উনাদেরকে বেশী বেশী পবিত্র মসজিদ, মাদরাসা প্রতিষ্ঠা করে এবং ইসলামী কিতাবাদী প্রকাশ, প্রচার-প্রসার করে সুন্নত আদায় করার মাধ্যমে বেশুমার ফযীলত-বরকত লাভ করতে এবং সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনাকে বুলন্দ করার বিষয়ে তাগিদ দিয়েছেন। কাজেই, প্রত্যেক মুসলমানের জন্য আবশ্যক হচ্ছে, এই মহাসম্মানিত সুন্নত আদায় করার লক্ষ্যে মহান নেক কাজ তথা ছদকায়ে জারিয়ায় সার্বিকভাবে অংশগ্রহণ করতঃ মুসলিম উম্মাহর ঈমান-আক্বীদা ও আমল বিশুদ্ধ করার কাজে আর্থিকভাবে শরীক হওয়া। আর এই জন্য গঠন করা হয়েছে বাইতুল মাল। সুবহানাল্লাহ!
মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি যে কোটি কোটি কোটি মসজিদ, মাদরাসা, গবেষণা কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করবেন এবং কোটি কোটি কিতাবাদী প্রকাশ করবেন, সে মহান ছদকায়ে জারিয়ায় শরীক হওয়ার অন্যতম সুযোগ এই বাইতুল মাল। যা পুরুষ-মহিলা নির্বিশেষে সমাজের সকল মুসলমানের জন্য বাইতুল মালে শরীক হওয়ার মহান সুযোগ সর্বদা উন্মুক্ত। এছাড়াও বাইতুল মাল সমস্ত নেক কাজে ব্যবহার করা যায় বলে মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন। তাই যারা এই বাইতুল মালে শরীক থাকবেন তারা কোটি কোটি মসজিদ, মাদরাসা, গবেষণা কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা এবং কোটি কোটি কিতাবাদী প্রকাশ, প্রচার ও প্রসারের বেমেছাল ছদকায়ে জারিয়ার ফযীলত হাছিল করতে পারবেন বিনা সন্দেহ। যা ক্বিয়ামত পর্যন্ত জারী থাকবে। অর্থাৎ যারাই বাইতুল মালে শরীক থাকবেন, প্রত্যেকেই অনন্তকালব্যাপী ছদকায়ে জারিয়ার ছওয়াব লাভ করতেই থাকবেন। সুবহানাল্লাহ! 
মহান আল্লাহ পাক তিনি সকল মুসলমানকে হাক্বীক্বীভাবে বাইতুল মালে শরীক হওয়ার তাওফীক্ব দান করুন। আমীন।

উতবাহ ও উতাইবার কঠিন পরিণতি

উতবাহ ও উতাইবার কঠিন পরিণতি
১১ জুমাদাল ঊলা শরীফ, ১৪৪১


উসদুল গবাহ’তে উল্লেখ রয়েছে,
فَلَمَّا اَنْزَلَ اللهُ عَزَّ وَجَلَّ {تَبَّتْ يَدَا اَبِـىْ لَـهَبٍ} قَالَ اَبُوْ لَـهَبٍ لِّاِبْنَيْهِ رَأْسِىْ مِنْ رُءُوْسِكُمَا حَرَامٌ اِنْ لَّـمْ تُطْلِقَا اِبْنَتَىْ سيدنا نبينا حبيبنا شفيعنا مولانا مُـحَمَّدٍ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ.
অর্থ: “যখন মহান আল্লাহ পাক তিনি নাযিল করলেন, ‘আবূ লাহাবের দু’হাত ধ্বংস হোক’। অর্থাৎ সম্মানিত ও পবিত্র লাহাব শরীফ নাযিল মুবারক করলেন, তখন আবূ লাহাব সে তার দুই পুত্রকে বললো, আমি পুনরায় তোমাদের চেহারা দেখবো না, যদি তোমরা নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিতা দুই বানাত (মেয়ে) আলাইহিমাস সালাম উনাদের সম্মানিত খিদমত মুবারক থেকে মাহরূম হয়ে না যাও।” না‘ঊযুবিল্লাহ! (উসদুল গবাহ)
আর তাদের মা উম্মে জামীল বলেছিলো, 
فَطَـلِّـقَاهُـمَا فَفَعَلَا فَطَلَّقَاهُـمَا قَبْلَ الدُّخُوْلِ بِـهِمَا.
অর্থ: “তোমরা সাইয়্যিদাতুনা হযরত আন নূরুছ ছানিয়াহ আলাইহাস সালাম উনার এবং সাইয়্যিদাতুনা হযরত আন নূরুছ ছালিছাহ আলাইহাস সালাম  উনার অর্থাৎ উনাদের থেকে জুদা হয়ে যাও। তারা তাদের মায়ের কথা অনুযায়ী কাজ করলো। ফলশ্রুতিতে সাইয়্যিদাতুনা হযরত আন নূরুছ ছানিয়াহ আলাইহাস সালাম উনার সম্মানিত খিদমত মুবারক থেকে উতবা মাহরূম হয়ে গেলো এবং সাইয়্যিদাতুনা হযরত আন নূরুছ ছালিছাহ আলাইহাস সালাম উনার সম্মানিত খিদমত মুবারক থেকে উতাইবাহ মাহরূম হয়ে গেলো। উনারা তখনও তাদের ঘরে সম্মানিত তাশরীফ মুবারক রাখেননি।” সুবহানাল্লাহ! (উসদুল গবাহ)
কিতাবে আরো বর্ণিত রয়েছে,
وكانت قد تزوجها عتيبة بن أبي لهب أخو عتبة الذي تزوج أختها رقية ولم يدخلا بهما فأمره أبوه وأمه أن يفارقها كما أمرا أخاه أن يفارق أختها وجاء إلى النبي صلى الله عليه وسلم فقال له كفرت بدينك وفارقتُ ابنتك لا تحبني ولا أحبك ثم سطا عليه فشق قميص النبي صلى الله عليه وسلم.
অর্থ: “সাইয়্যিদাতুনা হযরত আন নূরুছ ছালিছাহ আলাইহাস সালাম উনার সাথে উতাইবার এবং সাইয়্যিদাতুনা হযরত আন নূরুছ ছানিয়াহ আলাইহাস সালাম উনার সাথে উতাইবার ভাই উতবার সম্মানিত আক্বদ শরীফ হয়েছিলো। কিন্তু উনারা তখনও তাদের গৃহে তাশরীফ মুবারক রাখেননি। এর পূর্বেই উতাইবার বাবা-মা তাকে সাইয়্যিদাতুনা হযরত আন নূরুছ ছালিছাহ আলাইহাস সালাম উনার সম্মানিত খিদমত মুবারক থেকে মাহরূম হয়ে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলো, যেমনিভাবে সাইয়্যিদাতুনা হযরত আন নূরুছ ছানিয়াহ আলাইহাস সালাম উনার সম্মানিত খিদমত মুবারক থেকে মাহরূম হয়ে যাওয়ার জন্য উতবাকে নির্দেশ দিয়েছিলো। উতাইবাহ তার বাবা-মার নির্দেশ পেয়ে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত খিদমত মুবারক-এ উপস্থিত হয়ে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে বললো, 
كَفَرْتُ بِدِيْنِكَ وَفَارَقْتُ ابْنَتَكَ لَا تُـحِبُّنِـىْ وَلَا اُحِبُّكَ ثُـمَّ سطا عَلَيْهِ فَشَقَّ قَمِيْصَ النَّبِـىِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ.
অর্থ: “আমি আপনার সম্মানিত দ্বীন উনাকে অস্বীকার করলাম এবং আপনার মহাসম্মানিতা বানাত সাইয়্যিদাতুনা হযরত আন নূরুছ ছালিছাহ আলাইহাস সালাম উনার সম্মানিত খিদমত মুবারক থেকে মাহরূম হয়ে গেলাম। আপনি আমাকে মুহব্বত করেন না, আমিও আপনাকে মুহব্বত করি না। নাঊযুবিল্লাহ! অর্থাৎ আপনার সাথে আমার কোনো সম্পর্ক নেই। না‘ঊযুবিল্লাহ! অতঃপর সে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে এবং উনার সম্মানিত কোর্তা মুবারক ছিঁড়ে ফেলে। না‘ঊযুবিল্লাহ! 
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি উতাইবার এই অচরণে চরম অসন্তুষ্ট হন এবং তার বিরুদ্ধে বদদোয়া করেন, 
اَمَا اِنِّـىْ اَسْأَلُ اللهَ اَنْ يُّـسَـلِّـطَ عَلَيْكَ كَلْبًا مِّنْ كِلَابِهٖ .
অর্থ: “সাবধান! নিশ্চয়ই আমি মহান আল্লাহ পাক উনার নিকট সম্মানিত দোয়া মুবারক করছি, তিনি যেন উনার কুকুরসমূহ থেকে একটি কুকুরকে তোমার উপর গালিব বা প্রবল করে দেন।” সুবহানাল্লাহ! 
অপর বর্ণনায় এসেছে, 
فَقَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اَللّٰهُمَّ سَـلِّـطْ عَلَيْهِ كَلْبًا مِّـنْ كِلَابِكَ.
অর্থ: “অতঃপর নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহু হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেছেন, আয় বারে এলাহী, মহান আল্লাহ পাক! আপনি আপনার কুকুরসমূহ থেকে একটি কুকুরকে তার উপর গালিব বা প্রবল করে দিন।” সুবহানাল্লাহ! (দালাইলুন নুবুওওয়াহ লিল বাইহাক্বী, যখায়েরুল ‘উক্ববাহ)
অন্য বর্ণনায় রয়েছে, 
اَللّٰهُمَّ سَـلِّـطْ عَلَيْهِ اَسَدًا
অর্থ: “আয় বারে এলাহী, মহান আল্লাহ পাক! আপনি একটি সিংহকে তার উপর গালিব বা প্রবল করে দিন।”সুবহানাল্লাহ!
অপর বর্ণনায় এসেছে, 
اِنَّ عُتْبَةَ ابْنَ اَبِـىْ لَـهَبٍ كَانَ يَسُبُّ الرَّسُوْلَ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَيُؤْذِيْه وَيسخر مِنَ الرَّسُوْلِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَمِنَ الْقُرْاٰنِ فَدَعَا عَلَيْهِ الرَّسُوْلُ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَقَالَ اَللّٰهُمَّ سَـلِّـطْ عَلَيْهِ كَلْبًا مِّـنْ كِلَابِكَ
অর্থ: “উতবাহ ইবনে আবূ লাহাব সে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে গালি দিয়েছিলো, উনাকে কষ্ট দিয়েছিলো এবং নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কুরআন শরীফ উনাদেরকে নিয়ে উপহাস করেছিলো, ঠাট্টা-বিদ্রƒপ করেছিলো। না‘ঊযুবিল্লাহ! ফলশ্রুতিতে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি  উতবার বিরুদ্ধে বদদোয়া মুবারক করেছিলেন। তিনি ইরশাদ মুবারক করেছেন,  
اَللّٰهُمَّ سَـلِّـطْ عَلَيْهِ كَلْبًا مِّـنْ كِلَابِكَ.
অর্থ: “আয় বারে এলাহী, মহান আল্লাহ পাক! আপনি আপনার কুকুরসমূহ থেকে একটি কুকুরকে তার উপর গালিব বা প্রবল করে দেন।” সুবহানাল্লাহ!
অন্য বর্ণনায় রয়েছে, 
اَللّٰهُمَّ سَـلِّـطْ عَلَيْهِ اَسَدًا
অর্থ: “আয় বারে এলাহী, মহান আল্লাহ পাক! আপনি একটি সিংহকে তার উপর গালিব বা প্রবল করে দিন।” সুবহানাল্লাহ!
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ¦াতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরুস সালাম মুবারক (মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র যবান মুবারক) নিঃসৃত উপরোক্ত মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কালাম মুবারক শুনে উতবাহ ও উতাইবার মনে ভীষণ ত্রাসের সঞ্চার হলো। এমনকি তাদের পিতা আবূ লাহাবের মনেও সেদিন থেকে একটি প্রবল ভীতির সৃষ্টি হলো। সেদিন থেকে উতবাহ, উতাইবাহ এবং আবূ লাহাবের চেহারায় সেই ত্রাস ও ভীতির নিদর্শন এমনভাবে ফুটে উঠলো যে, যেকোনো লোক তাদেরকে দেখেই মনে করতো যে, নিশ্চয়ই আবূ লাহাব ও তার দুই পুত্র উতবাহ ও উতাইবাহ কোনো অশুভ চিন্তায় আক্রান্ত হয়েছে। এভাবে কিছুদিন অতিবাহিত হওয়ার পর আবূ লাহাব তার দুই পুত্রকে নিয়ে সিরিয়ায় বাণিজ্য যাত্রার জন্য প্রস্তুত হলো। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি তাদের বিরুদ্ধে বদদোয়া করার পর তারা যে ত্রাস ও ভীতির শিকার হয়েছিলো, তা তখনও তাদের মধ্যে পূর্ণরূপে বিরাজমান ছিলো। সিরিয়ায় বাণিজ্যের উদ্দেশ্যে যাত্রা করে পথিমধ্যে একস্থানে রাত যাপনের জন্য তাঁবু খাটালো। কেউ কেউ উক্ত স্থানের নাম যারক্বা’ বলে উল্লেখ করেছেন। কিন্তু এ সময় তাদের সেই ভীতি ও ত্রাস আরো প্রবল আকার ধারণ করলো। যার কারণে তারা নিরাপত্তার জন্য তাঁবুর চারদিকে তাদের ব্যবসায়িক পণ্যসমূহ উঁচু করে স্তূপাকার করে রাখলো এবং তার মাঝখানে উতবাহ ও উতাইবার জন্য শোয়ার ব্যবস্থা করলো। যাতে করে কোনো জীবজন্তু তা অতিক্রম করে উতবাহ ও উতাইবাহর উপর হঠাৎ করে হামলা করতে না পারে। কিন্তু মহান আল্লাহ পাক তিনি যদি কাউকে নিশ্চিহ্ন করতে চান, ধ্বংস করতে চান, তাহলে কায়িনাতের বুকে দ্বিতীয় কেউ নেই তাকে রক্ষা করে। গভীর রাতে সবাই যখন ঘুমে অচেতন, তখন অত্যন্ত ভয়ঙ্কর গর্জন করে দুইটি সিংহ লাফ দিয়ে পণ্যের উঁচু স্তূপ ডিঙ্গিয়ে উতবাহ ও উতাইবাহর ঘাড়ের উপর যেয়ে পড়লো এবং চোখের পলকে তাদের ঘাড় মটকিয়ে তাদেরকে পিঠে নিয়ে উধাও হয়ে গেল। সুবহানাল্লাহ! কাফিলার যেসব লোক তাঁবু প্রহরায় নিযুক্ত ছিলো তারা সবাই ভীত চকিত নয়নে এই ভয়ানক দৃশ্য দেখলো; কিন্তু তাদের কিছুই করার ছিলো না। মহান আল্লাহ পাক উনার পক্ষ থেকে যখন গযব আসে, তখন এভাবেই নিশ্চিহ্ন হয়ে যেতে হয়। মুহূর্তের মধ্যে কাফিলার লোকজনের মাঝে হুলুস্থ’ল পড়ে গেলো। কান্নার রোল উঠলো। কিন্তু করার কিছুই অবশিষ্ট থাকলো না। আবূ লাহাবের এ যাত্রায় আর সিরিয়া গমন করা হলো না। সে সেখান থেকেই বিষাদ ভারাক্রান্ত চিত্তে বাড়িতে ফিরে এলো।

মূলত, সাইয়্যিদাতুনা হযরত আন নূরুছ ছানিয়াহ আলাইহাস সালাম উনাকে এবং সাইয়্যিদাতুনা হযরত আন নূরুছ ছালিছাহ আলাইহাস সালাম উনাকে অর্থাৎ উনাদেরকে কষ্ট দেয়ার কারণেই তাদের এই ভয়াবহ কঠিন পরিণতি হয়েছে। সুবহানাল্লাহ! মহান আল্লাহ পাক তিনি খাছ গযব নাযিল করে তাদেরকে নিশ্চিহ্ন করে দিয়েছেন। সুবহানাল্লাহ!

মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে কষ্ট দেয়ার পরিণতি এরূপ ভয়ঙ্করই হয়ে থাকে। সুবহানাল্লাহ

মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, ‘মহান আল্লাহ পাক উনার নিদর্শন সম্বলিত দিবসগুলিকে স্মরণ করিয়ে দিন সমস্ত কায়িনাতকে। নিশ্চয়ই এর মধ্যে ধৈর্যশীল ও শোকরগোজার বান্দা-বান্দী উনাদের জন্য ইবরত ও নছীহত রয়েছে।’ সুবহানাল্লাহ!

মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, ‘মহান আল্লাহ পাক উনার নিদর্শন সম্বলিত দিবসগুলিকে স্মরণ করিয়ে দিন সমস্ত কায়িনাতকে। নিশ্চয়ই এর মধ্যে ধৈর্যশীল ও শোকরগোজার বান্দা-বান্দী উনাদের জন্য ইবরত ও নছীহত রয়েছে।’ সুবহানাল্লাহ!


আজ সুমহান বেমেছাল ফযীলতপূর্ণ ১১ই জুমাদাল ঊলা শরীফ। সুবহানাল্লাহ! সাইয়্যিদাতু নিসায়ি আহলিল জান্নাহ, বিনতু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদাতুনা হযরত আন নূরুছ ছালিছাহ আলাইহাস সালাম উনার পবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ দিবস। সুবহানাল্লাহ! তাই সকলের জন্য দায়িত্ব-কর্তব্য হচ্ছে- এ মুবারক দিবস উপলক্ষে মাহফিল করে উনার পবিত্র সাওয়ানেহ উমরী মুবারক আলোচনা করা।

আর সরকারের জন্যও দায়িত্ব-কর্তব্য হচ্ছে- উনার পবিত্র জীবনী মুবারক শিশুশ্রেণী থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ শ্রেণী পর্যন্ত সমস্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সিলেবাসের অন্তর্ভুক্ত করা এবং এ মহান দিবসে মাহফিল আয়োজন করা।

- ক্বওল শরীফ: সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুল উমাম আলাইহিস সালাম
========

যামানার লক্ষ্যস্থল ওলীআল্লাহ, যামানার ইমাম ও মুজতাহিদ, ইমামুল আইম্মাহ, মুহইউস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, মুজাদ্দিদে আ’যম, ক্বইয়ূমুয যামান, জাব্বারিউল আউওয়াল, ক্বউইয়্যূল আউওয়াল, সুলত্বানুন নাছীর, হাবীবুল্লাহ, জামিউল আলক্বাব, আওলাদে রসূল, মাওলানা সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুল উমাম আলাইহিস সালাম তিনি বলেন- নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার লখতে জিগার, অত্যন্ত স্নেহময়ী বিনতু এবং সর্বপ্রথম উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত কুবরা আলাইহাস সালাম উনার মহাসম্মানিতা চার বানাত আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের একজন অর্থাৎ তৃতীয়া বিনতু সাইয়্যিদাতুন নিসা হযরত আন নূরুছ ছালিছাহ আলাইহাস সালাম। মূলত তিনি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত আওলাদ আলাইহিমুস সালাম উনাদের অন্যতমা। 

মুজাদ্দিদে আ’যম, সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুল উমাম আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, সাইয়্যিদাতু নিসায়ি আহলিল জান্নাহ, উম্মু আবীহা সাইয়্যিদাতুনা হযরত আন নূরুছ ছালিছাহ আলাইহাস সালাম তিনি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার আনুষ্ঠানিক নুবুওওয়াত মুবারক প্রকাশের প্রায় পাঁচ বছর পূর্বে পবিত্র জুমুদাল ঊলা শরীফ উনার ১১ তারিখে পবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ করেন। তিনিও প্রথমা বিনতু সাইয়্যিদাতুনা হযরত আন নূরুল উলা আলাইহাস সালাম ও দ্বিতীয়া বিনতু সাইয়্যিদাতুনা হযরত আন নূরুছ ছানিয়া আলাইহাস সালাম উনাদের ন্যায় অত্যন্ত খুবছূরত ছিলেন। তিনি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার এবং উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত কুবরা আলাইহাস সালাম উনাদের গুণে গুণান্বিত ছিলেন। সুবহানাল্লাহ!

মুজাদ্দিদে আ’যম, সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুল উমাম আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, বিনতু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদাতু নিসায়ি আহলিল জান্নাহ, উম্মু আবীহা সাইয়্যিদাতুনা হযরত আন নূরুছ ছালিছাহ আলাইহাস সালাম উনার অল্প বয়স মুবারকে নিসবাতুল আযীম মুবারক সম্পন্ন হয়। প্রথম নিসবাতুল আযীম মুবারক সম্পন্ন হয় আবু লাহাবের ছেলে উতাইবা’র সাথে। পবিত্র ‘সূরা মাসাদ’ শরীফ নাযিল হওয়ার পর উতাইবা সে বিনতু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদাতুনা হযরত আন নূরুছ ছালিছাহ আলাইহাস সালাম উনার সম্মানিত খিদমত মুবারক করার অযোগ্য বলে প্রমাণিত হয়। পরবর্তীতে বিনতু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদাতুনা হযরত নূরুছ ছানিয়াহ আলাইহাস সালাম তিনি পবিত্র বিছালী শান মুবারক প্রকাশ করার পরে তৃতীয় হিজরী সনের পবিত্র ৩রা রবীউল আউওয়াল শরীফে সাইয়্যিদুনা হযরত যুন নূরাইন আলাইহিস সালাম উনার সাথে পবিত্র নিসবাতুল আযীম মুবারক সম্পন্ন হয়। সুবহানাল্লাহ!

মুজাদ্দিদে আ’যম, সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুল উমাম আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, সাইয়্যিদুনা হযরত যুন নূরাইন আলাইহিস সালাম উনার সাথে পবিত্র নিসবাতুল আযীম মুবারক সম্পন্ন হওয়ার ৬ বছর পর হিজরী নবম সালে পবিত্র ৬ই রমাদ্বান শরীফ সাইয়্যিদাতু নিসায়ি আহলিল জান্নাহ, উম্মু আবীহা সাইয়্যিদাতুনা হযরত আন নূরুছ ছালিছাহ আলাইহাস সালাম তিনি পবিত্র বিছালী শান মুবারক প্রকাশ করেন। অর্থাৎ তিনি ২৬ বছর ৩ মাস ২৫ দিন দুনিয়ার যমীনে অবস্থান মুবারক করেন। নুরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি স্বয়ং উনার পবিত্র জানাযা নামায পড়ান। হযরত আসমা বিনতে উমায়স রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহা এবং হযরত ছাফিয়া রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহা উনারা উনাকে গোছল মুবারক দেন। সুবহানাল্লাহ!

মুজাদ্দিদে আ’যম, সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুল উমাম আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, মূলত উনার ফাযায়িল-ফযীলত, মর্যাদা-মর্তবা ও বুযূর্গী সম্পর্কিত ইলম না থাকার কারণে অনেকেই উনাকে যথাযথ মুহব্বত ও অনুসরণ করতে পারছে না। যার ফলে তারা মহান আল্লাহ পাক উনার ও উনার হাবীব, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের খাছ রেযামন্দি হাছিলে ব্যর্থ হচ্ছে। তাই উনার সম্পর্কে জানা সকলের জন্যই ফরয। কেননা যে বিষয়টা আমল করা ফরয, সে বিষয়ে ইলম অর্জন করাও ফরয। অথচ আশ্চর্যের বিষয় হলো- ৯৮ ভাগ মুসলমানের দেশ বাংলাদেশের মাদরাসা, স্কুল-কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ্যসূচিতে উনার সম্পর্কে কোনো আলোচনাই নেই। তাহলে মুসলমানরা কী করে হাক্বীক্বী মুসলমান হবে? তাই সকলের জন্য দায়িত্ব-কর্তব্য হচ্ছে- এ মুবারক দিবস উপলক্ষে মাহফিল করে উনার পবিত্র সাওয়ানেহ উমরী মুবারক আলোচনা করা। আর সরকারের জন্যও দায়িত্ব-কর্তব্য হচ্ছে- উনার পবিত্র জীবনী মুবারক শিশুশ্রেণী থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ শ্রেণী পর্যন্ত সমস্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সিলেবাসের অন্তর্ভুক্ত করা এবং এ মহান দিবসে মাহফিল উনার আয়োজন করা।
-০-

মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, ‘মহান আল্লাহ পাক উনার নিদর্শন সম্বলিত দিবসগুলিকে স্মরণ করিয়ে দিন সমস্ত কায়িনাতকে। নিশ্চয়ই এর মধ্যে ধৈর্যশীল ও শোকরগোজার বান্দা-বান্দী উনাদের জন্য ইবরত ও নছীহত রয়েছে।’ সুবহানাল্লাহ!

মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, ‘মহান আল্লাহ পাক উনার নিদর্শন সম্বলিত দিবসগুলিকে স্মরণ করিয়ে দিন সমস্ত কায়িনাতকে। নিশ্চয়ই এর মধ্যে ধৈর্যশীল ও শোকরগোজার বান্দা-বান্দী উনাদের জন্য ইবরত ও নছীহত রয়েছে।’ সুবহানাল্লাহ!


সুমহান মহাপবিত্র জুমাদাল ঊলা শরীফ মাস উনার ৯, ১১, ১২, ২২, ২৮ এবং ২৯ তারিখ মহাসম্মানিত আইয়্যামুল্লাহ শরীফ উনাদের অন্তর্ভুক্ত। সুবহানাল্লাহ! তাই, এই মহাসম্মানিত দিবসসমূহ যথাযথ তা’যীম, তাকরীম, জওক-শওক এবং সাখাওয়াতির সাথে ব্যাপকভাবে উদযাপন করার জন্য সার্বিক প্রস্তুতি গ্রহণ করা সকলের দায়িত্ব-কর্তব্য।

যামানার লক্ষ্যস্থল ওলীআল্লাহ, যামানার ইমাম ও মুজতাহিদ,  আওলাদে রসূল, মাওলানা সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুল উমাম আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র কুরআন শরীফে ‘আইয়ামুল্লাহ’ অর্থাৎ সম্মানিত বিশেষ বিশেষ দিনসমূহের কথা উল্লেখ করেছেন। মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, ‘মহান আল্লাহ পাক উনার নিদর্শন সম্বলিত দিবসগুলিকে স্মরণ করিয়ে দিন সমস্ত কায়িনাতকে। নিশ্চয়ই এর মধ্যে ধৈর্যশীল ও শোকরগোজার বান্দা-বান্দী উনাদের জন্য ইবরত ও নছীহত রয়েছে।’ সুবহানাল্লাহ! সুমহান মহাপবিত্র জুমাদাল ঊলা শরীফ মাস উনার ৯, ১১, ১২, ২২, ২৮ এবং ২৯ তারিখ সম্মানিত আইয়্যামুল্লাহ শরীফ উনাদের অন্তর্ভুক্ত। সুবহানাল্লাহ!

মুজাদ্দিদে আ’যম, সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুল উমাম আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, পবিত্র জুমাদাল ঊলা শরীফ মাস হযরত আহলু বাইত শরীফ, আওলাদে রসূল ও হযরত আউলিয়ায়ে কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনাদের মুবারক আলোচনার মাস। কেননা সুমহান ৯ই জুমাদাল ঊলা শরীফ: কুতুবুল আলম, আহলু বাইতে রসূলিল্লাহ সাইয়্যিদুনা হযরত হাদীউল উমাম আলাইহিস সালাম উনার পবিত্রতম বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ দিবস। সুবহানাল্লাহ!

১১ই জুমাদাল ঊলা শরীফ: বিনতু রসূলিল্লাহ সাইয়্যিদাতুনা হযরত আন নূরুছ ছালিছাহ আলাইহাস সালাম উনার মহাপবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ দিবস। সুবহানাল্লাহ!
১২ই জুমাদাল ঊলা শরীফ: পবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’দাদ শরীফ অর্থাৎ ১২ই শরীফ। এ দিন কোটি কোটি কণ্ঠে পবিত্র মীলাদ শরীফ অনুষ্ঠিত হয়। সুবহানাল্লাহ!
২২শে জুমাদাল ঊলা শরীফ: ক) নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মু’মিনীন আল ঊলা কুবরা আলাইহাস সালাম উনার পবিত্র নিসবাতুল আযীমাহ শরীফ দিবস। সুবহানাল্লাহ!
খ) বিনতু রসূলিল্লাহ সাইয়্যিদাতুনা হযরত আন নূরুল ঊলা আলাইহাস সালাম উনার সাথে সাইয়্যিদুনা হযরত যুন নূর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র নিসবাতুল আযীমাহ মুবারক দিবস। সুবহানাল্লাহ!
গ) সাইয়্যিদুনা হযরত জাদ্দু রসূলিল্লাহি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত বিছালী শান মুবারক প্রকাশ দিবস। সুবহানাল্লাহ!
ঘ) সিবতু রসূলিল্লাহ সাইয়্যিদুনা হযরত ইমাম ইবনে যুন নূরাইন আলাইহিস সালাম উনার মহাসম্মানিত বিছালী শান মুবারক প্রকাশ দিবস। সুবহানাল্লাহ!
২৮শে জুমাদাল ঊলা শরীফ: সাইয়্যিদুনা হযরত ছিদ্দীক্বে আকবর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ দিবস। সুবহানাল্লাহ!
২৯শে জুমাদাল ঊলা শরীফ: সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মু’মিনীন আল হাদিয়াহ আশার আলাইহাস সালাম উনার মহাসম্মানিত বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ দিবস। সুবহানাল্লাহ!

মুজাদ্দিদে আ’যম, সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুল উমাম আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, তাই, এই মহাসম্মানিত দিবসসমূহ যথাযথ তা’যীম, তাকরীম, জওক-শওক এবং সাখাওয়াতির সাথে ব্যাপকভাবে উদযাপন করার জন্য সার্বিক প্রস্তুতি গ্রহণ করা সকলের জন্য দায়িত্ব-কর্তব্য। আর সরকারের জন্যও দায়িত্ব-কর্তব্য হচ্ছে- এই মহাসম্মানিত দিবসসমূহে পবিত্র মাহফিলসমূহের সার্বিক আনজাম দেয়ার সাথে সাথে এ পবিত্র আইয়্যামুল্লাহ শরীফ সংশ্লিষ্ট বিষয়সমূহ সম্পর্কে আলোচনা মুবারক শিশুশ্রেণী থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ শ্রেণী পর্যন্ত সমস্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সিলেবাসের অন্তর্ভুক্ত করা এবং উক্ত দিবসসমূহ পালনে সরকারিভাবে বাজেট ঘোষণা করা।
-০-

অষ্টম হিজরী শতকে পবিত্র ঈদে মীলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন

অষ্টম হিজরী শতকে পবিত্র ঈদে মীলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন


প্রখ্যাত ইতিহাসবিদ ইবনে বতুতা তিনি লিখেন- “প্রতি জুম‘আ নামায শেষে এবং নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ দিবসে বনু শায়বা গোত্রের প্রধান কর্তৃক পবিত্র কা’বা শরীফ উনার দরজা খোলা হতো।

নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত বংশধর আলাইহিমুস সালাম উনাদের এবং সাধারণ জনগনের মাঝে খাবার বিতরণ করতেন পবিত্র মক্কা শরীফ উনার বিচারক নাজমুদ্দীন মুহম্মদ ইবনে আল ইমাম মুহিউদ্দীন আত তাবারী।” (কিতাবুর রিহলা, ১ম খ-, পৃষ্ঠা ৩০৯ ও ৩৪৭)

মসজিদ নিয়ে অবমাননাকর মন্তব্যের দায়েএকাত্তর টিভির মিথিলা ফারজানাকে লিগ্যাল নোটিশ

মসজিদ নিয়ে অবমাননাকর মন্তব্যের দায়েএকাত্তর টিভির মিথিলা ফারজানাকে লিগ্যাল নোটিশ


নিউজ ডেস্ক : মসজিদ নিয়ে অবমাননাকর মন্তব্যের মাধ্যমে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের দায়ে একাত্তর টিভির টক শো “একাত্তর জার্নাল”-এর উপস্থাপিকা মিথিলা ফারজানাকে লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে। “বিশ্ববার্তা২৪” নামক নিউজ পোর্টালের সম্পাদক মুহাম্মদ আরিফুর রহমানের পক্ষে আজ [বৃহস্পতিবার] বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এডভোকেট শেখ ওমর শরীফ রেজিস্টার্ড ডাকযোগে লিগ্যাল নোটিশটি পাঠান।

লিগ্যাল নোটিশে বলা হয়, সম্প্রতি একাত্তর টিভির টক শো “একাত্তর জার্নাল”-এর একটি পর্বে মিথিলা ফারজানা মন্তব্য করেন, “মসজিদ তো সবার আগে জমি দখলের প্রথম কাজ”। এই মন্তব্য দ্বারা মুসলিমদের পবিত্র উপাসনালয় মসজিদকে অবমাননার মাধ্যমে মিথিলা ফারজানা মুসলিমদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দিয়েছেন।

নোটিশে বলা হয়, নদী তীরের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের সাথে বৈধভাবে ওয়াকফকৃত জমিতে নির্মিত মসজিদের কোনো সম্পর্ক নেই। মিথিলা ফারজানা সম্পূর্ণ উদ্দেশ্যমূলকভাবে নদী তীরের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের সাথে মসজিদের প্রসঙ্গটি জড়িয়ে মসজিদকে “জমি দখলের প্রথম কাজ” হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। অথচ বাংলাদেশে ওয়াকফকৃত সম্পত্তির বিষয়ে সুনির্দিষ্ট আইন আছে এবং মসজিদসমূহ বাংলাদেশে প্রচলিত আইনের আওতায়ই নির্মিত হয়। মসজিদ স্থাপনের আইনসম্মত বিষয়ের সাথে অবৈধভাবে জমি দখলকে সম্পর্কিত করে মিথিলা ফারজানা কোটি কোটি মুসলিমের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দিয়েছেন।

নোটিশদাতা বলেন, উদ্দেশ্যমূলকভাবে কোনো সম্প্রদায়ের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করাটা বাংলাদশে প্রচলিত দণ্ডবিধির ২৯৫(ক) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ। ডিজিটাল মাধ্যমে এমন ধর্মীয় অবমাননামূলক তথ্য সম্প্রচার করাটা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন, ২০১৮-এর ২৮ ধারার অধীনে অপরাধ।

নোটিশে বলা হয়, নোটিশ পাওয়ার ৭ কার্যদিবসের মধ্যে মিথিলা ফারজানাকে একাত্তর টিভির উল্লেখিত টক শো-তে সুস্পষ্ট বিবৃতি দিয়ে মসজিদ বিষয়ক মন্তব্যটি প্রত্যাহার করতে হবে এবং নিঃশর্ত ক্ষমা চাইতে হবে। ভবিষ্যতে ধর্ম অবমাননামূলক মন্তব্য আর করবেন না—এমন প্রতিশ্রুতি দিতেও মিথিলা ফারজানাকে আহবান জানানো হয়েছে।

অন্যথায় নোটিশদাতা আইনের আশ্রয় নেবেন বলে নোটিশে বলা হয়েছে।
https://bit.ly/2FkcRbf

দৈনিক ১৬বাটি পানি পানে ৮০% রোগমুক্তি

দৈনিক ১৬বাটি পানি পানে ৮০% রোগমুক্তি


‘জাস্ট অ্যা ওয়াটার’ বা ‘বেশি করে পানি খাও’ 

মুজাদ্দিদে আযম সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুল উমাম আলাইহিস সালাম তিনি বলেন- কেউ যদি দৈনিক ১৬বাটি পানি পান করেন তাহলে তার দেহে ৮০% রোগমুক্ত থাকবে। সুবহানাল্লাহ!
মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
كُلُوْا وَاشْرَبُوْا مِنْ رِّزْقِ اللهِ
অর্থ: “মহান আল্লাহ পাক উনার দেয়া রিযিক থেকে খাও ও পান করো।” (পবিত্র সূরা বাক্বারা শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ৬০)
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত রয়েছে-
عَنْ حَضْرَتْ اُمِّ الْمُؤْمِنِيْنَ الثَّالَثَةِ الصِّدِّيْـقَةِ عَلَيْهَا السَّلَامُ قَالَتْ كَانَ اَحَبُّ الشَّرَابِ اِلَى رَسُوْلِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الْـحُلْوُ الْبَارِدُ.
অর্থ: “উম্মুল মু’মিনীন আছ ছালিছা হযরত ছিদ্দীক্বা আলাইহাস সালাম উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নিকট খাবার পানির মধ্যে সর্বাধিক প্রিয় ছিল ঠান্ডা ও মিষ্টি বা সুস্বাদু পানি।” (তিরমিযী শরীফ: কিতাবুশ শারাবাহ: হাদীছ শরীফ নং ১৮৯৫; আবূ ইয়ালা শরীফ ৪র্থ খণ্ড ২৯৯ পৃষ্ঠা: হাদীছ শরীফ নং ৪৫১৬) 

আমাদের শরীরে প্রায় তিন ভাগের দুই ভাগই পানি। সুস্থভাবে বেঁচে থাকতে তাই পানি পানের বিকল্প নেই। পানির অপর নাম জীবন। তাই নিয়মিত পানি খাওয়া খুব জরুরী। কিন্তু শীতকালে গরমকালের তুলনায় পিপাসায় কিছুটা কম থাকার কারণে অধিকাংশ সময় পানি খাওয়া হয় না অথবা খেলেও পরিমাণ মতো খাওয়া হয় না। ফলে দেখা দেয় নানান সমস্যা।

যার যত ওজন সেই হিসেবে পানি পান করা প্রয়োজন রয়েছে। এছাড়া কাজের ধরন, পরিবেশ ইত্যাদির ওপরেও পানি পানের পরিমাণ নির্ভর করে।

প্রতিদিনের জীবনযাত্রায় স্বাস্থ্যকর খাবার, শরীরচর্চা, ছয় থেকে আট ঘণ্টা ঘুম এবং প্রচুর পানি পান করুন। বিভিন্ন গবেষণা থেকে জানা যায় যে, খাবারের ২০ থেকে ৩০ মিনিট আগে দুই বাটি পানি পান করা দেহকে সুস্থ রাখে, বিপাক প্রক্রিয়া বাড়ায় ও ক্ষুধার চাহিদা কমায়। 

দৈনিক যতটা পানি প্রয়োজন: সুস্থ থাকার জন্য একজন মানুষের প্রতিদিন অন্তত চার লিটার পানি খাওয়ার প্রয়োজন বলে মনে করেন বেশির ভাগ চিকিৎসক। পানি দিনের যে কোনও সময়েই নির্দ্বিধায় খাওয়া যায়। তাতে উপকারই হয়। কাজের ধরন এবং স্বাস্থ্যের অবস্থা বুঝে পানি পান করা উচিত। অনেক গবেষণাতেই দেখা গেছে দৈনিক চার লিটার পানি পান করা জরুরি। কতটুকু পানি পান করতে হবে তা আপনার ওজনের উপর নির্ভর করে।  যার ওজন যতবেশি তার পানির চাহিদা তত বেশি। আমাদের শরীরের ৭০ শতাংশ পানি। সুস্থ থাকলে একজন মানুষের পানি পানের বিকল্প নেই। 

প্রাপ্তবয়স্ক মহিলাদের দিনে ১২ গ্লাস বা ৩ লিটার পানি পান করা দরকার। অন্যদিকে পুরুষদের প্রায় ১৬ বাটি বা ৪ লিটার পানি পান করতে হবে।
তথা সাধারণ অবস্থায় একজন পূর্ণবয়স্ক নারী ও পুরুষের দৈনিক জন্য মিনিমাম ৪ লিটার বা ১৬ বাটি পানি পান করা প্রয়োজন। এ ছাড়া মহিলাদের গর্ভকালীন অবস্থায় বেশি পানি পান করতে হবে। দৈনিক নির্দিষ্ট পরিমান পানি পান করলে ৮৫ভাগ রোগ থেকে নিরাপদ থাকা যায়।

অনেকে মনে করে থাকে, শিশুদের কম পানি পান করলেও চলবে। এটি ঠিক নয়। ১-১০ কেজি ওজনের শিশুকে প্রতি কেজি ওজন হিসাবে ১০০ সিসি তরল পান করাতে হবে। ১১-২০ কেজি ওজনের জন্য প্রতি কেজি ওজন হিসাবে ১ লিটার ও ২০ কেজির বেশি ওজনের শিশুর জন্য প্রতি কেজি ওজন হিসাবে ১.৫ লিটার তরল পান করাতে হবে। এ ক্ষেত্রে পানি পান করানোই ভালো।

তাই শীতকালের চেয়ে গরমকালে শরীরে পানির চাহিদা বেড়ে যায় আবহাওয়ার কারণেই। আর যারা কায়িক পরিশ্রম বেশি করে, তাদের বেশি পানি পান করতে হয়। যারা স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি ঘামে, তাদের জন্য একটু বেশি পানি পান করা জরুরী। তবে মহিলাদের চেয়ে পুরুষরা পরিমাণে বেশি পানি পান করে থাকে। সাধারণভাবে যখনই পানির তৃষ্ণা তৈরি হবে, তখনই পানি পান করে শরীরের ঘাটতি মেটানো উচিত। দিনের কোনও একটা সময়ে একসঙ্গে অনেকটা পানি না খেয়ে বরং সারাদিন ধরেই সমান তালে পানি খেতে পারেন। শরীরে যেন পানির ঘাটতি কোনও ভাবেই না হয়, সেটা খেয়াল রাখুন।

পর্যাপ্ত পানি পানের সুফল: পানি সমস্ত রোগ প্রতিরোধের সবচেয়ে ভালো ওষুধ। তবে সে পানি হতে হবে বিশুদ্ধ। পানি আমাদের শরীর কে সতেজ রাখে এবং বিভিন্ন রোগ থেকে শরীরকে  রক্ষা করে। পানি পান করলে তা দেহ থেকে টক্সিন (বিষ) তাড়ায়, চামড়ার আর্দ্রতা রক্ষা করে, হজম শক্তি বাড়ায়। এক কথায়, স্বাস্থ্যের প্রভূত উপকার করে। কিডনীর কার্যকারিতা সঠিক ভাবে পরিচালনা করার জন্য পানি অনেক সাহায্য করে। ত্বক ও শরীর হাইড্রেট রাখে ফলে ত্বক উজ্জ্বল দেখায়। শরীরের ক্ষতিকর বিষাক্ত উপাদান যেমন :ইউরিয়া, ইউরিক এসিড, ক্রিয়েটিনিন, ইত্যাদি দুর করে।
পর্যাপ্ত পানি পানের উপকারিতা নিম্নরূপ-
১. শরীরের কোষগুলোকে সবল ও স্বাভাবিক রাখতে সহায়তা করে।
২. শরীরে রক্ত চলাচল স্বাভাবিক থাকে।
৩. কিডনি, যকৃৎ, হৃৎপিণ্ড ও মস্তিষ্ক ভালো থাকে।
৪. মাথার যন্ত্রণা, অম্বল, শরীরের ব্যথা এবং ক্লান্তি দূর হয়ে যায়।
৫. খাবার হজমে সহজ হয়।
৬. সবচেয়ে সহজে শরীরের ওজন কমানো যায়।
৭. শরীর থেকে সমস্ত বিষাক্ত পদার্থ বা টক্সিন দূর করে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।
৮. পেশী ও হাড় সুস্থ থাকে।
৯. ত্বকের ঔজ্জ্বল্য বাড়াতে সহায়ক ও ত্বকের শুষ্কতা রোধে উপকারী।
১০. শরীরে শক্তির পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়।

অপর্যাপ্ত পানি পানের সমস্যা: পানি কম খেলে যেমন ভুগতে হয় পানিশূন্যতায় তেমনই দেখা যায় কিডনির সমস্যার মতো বড় সমস্যাও। এজন্য সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন সচেতনতা।  পর্যাপ্ত পানি না খেলে বিভিন্ন ধরনের শারীরিক সমস্যা দেখা দিতে পারে। যেমন- প্রথমত ডিহাইড্রেশন হয়ে থাকে। পানি শূন্যতার কারণে শরীর স্বাভাবিক কার্যক্ষমতা হারিয়ে ফেলে। শরীর তার স্বাভাবিক কাজকর্ম করতে পারে না। তাড়াতাড়ি ক্লান্ত হয়ে পড়া,মুখের ভেতরে শুকনো ভাব, মাথাব্যথা এবং মাথা ঘোরা, পেশির দুর্বলতা, শরীরের  দুর্বলতা অনুভব করা। কোষ্ঠকাঠিন্য, শারীরিক শক্তির মাত্রা হ্রাস পাওয়া ইত্যাদী। এমনভাবে চলতে থাকলে এসব নানা রোগ বাসা বাধে শরীরে।
১. শরীরের কোষগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়। 
২. শরীরে রক্ত চলাচল কমে যায় ফলে রক্তচাপ কমে যেতে পারে। 
৩. ইউরিন ইনফেকশন এবং কিডনির জটিলতা দেখা দিতে পারে। এমনকি কিডনি অকেজো হয়ে পড়ারও আশঙ্কা থাকে।
তাই শরীরে পানির ঘাটতি মেটাতে প্রতিদিন পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান করা উচিত।

পানি পানের মহাসম্মানিত সুন্নত মুবারক:
১. ডান হাতে পানি পান করা।
২. বসে পানি পান করা।
৩. ‘বিসমিল্লাহ’ বলে পানি পান শুরু করা। 
৪. পানি পানের পূর্বে পানির পাত্রে ক্ষতিকারক কিছু আছে কিনা দেখে পান করা।
৫. তিন ঢোকে বা শ্বাসে পানি পান করা।
৬. পানি পান শেষে ‘আলহামদুলিল্লাহ’ পাঠ করা।
৭. কাঠের পেয়ালাতে পানি পান করা।

সুতরাং কাজের প্রয়োজনে বাহিরে যেতেই হয় এজন্য সাথে অবশ্যই পানির বোতল রাখার অভ্যাস করুন। নির্দিষ্ট মাপের বোতল থেকে পানি খান তাহলে দিনে কতটুকু পানি খেলেন তার পরিমাপ বোঝা যাবে। পরিমানমত পানি পান করুন এবং সুস্থ থাকুন।

শত ব্যস্ততার মাঝেও অনেকে দৈনিক ১৬-ষোল বাটি পানি পানের অভ্যাস ধরে রাখেন। আর নিয়মিত সু্সথ থাকেন।

“মিথ্যা সমস্ত পাপের মূল”

“মিথ্যা সমস্ত পাপের মূল”

মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র সূরা ইবরাহিম শরীফ উনার ২৬ নং পবিত্র আয়াত শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেন,
وَمَثَلُ كَلِمَةٍ خَبِيثَةٍ كَشَجَرَةٍ خَبِيثَةٍ اجْتُثَّتْ مِن فَوْقِ الْأَرْضِ مَا لَهَا مِن قَرَارٍ
অর্থ মুবারক: “মন্দ কথা মন্দ গাছের মত যা মাটির উপর থেকে তুলে ফেলা হয়, তার কোন স্থায়িত্ব থাকেনা।”
এই মহাসম্মানিত আয়াত শরীফ উনার দ্বারা মহান আল্লাহ পাক তিনি মন্দ কথার মেছাল দিয়েছেন, মন্দ গাছের যেরূপ কোন স্থায়িত্ব নেই তদ্রুপ মন্দ কথার দ্বারা মানুষের অস্তিত্ব নিশ্চিহ্ন ‎ হয়ে যাবে এবং পরকালে নাজাতও পাবেনা।
অন্যত্র ইরশাদ মুবারক করেন,
وَيُضِلُّ اللَّـهُ الظَّالِمِينَ ۚ وَيَفْعَلُ اللَّـهُ مَا يَشَاءُ
অর্থ মুবারক: “যারা নফসের প্রতি জুলুম করে (মিথ্যার আশ্রয় নেয়, মিথ্যা কথা বলে) মহান আল্লাহ পাক তিনি তাদেরকেই বিভ্রান্ত করেন। অর্থাৎ মিথ্যাকে গ্রহণ করার কারণে তারা বিভ্রান্ত হয়। মহান আল্লাহ পাক তিনি যা চান তাই করেন।” নাউযুবিল্লাহ! (পবিত্র সূরা ইবরাহিম শরীফ: পবিত্র  আয়াত শরীফ ২৬ )
আফসুসের বিষয় হলো, মানুষ কথায় কথায় মিথ্যা বলে। মিথ্যা বলা তাদের কাছে মামুলি বিষয়। অথচ মিথ্যার খারাবী সম্পর্কে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে,
اِذَا كَذَبَ الْعَبْدُ تَبَاعَدَ عَنْهُ الْمَلَكُ مَيْلًا مِنْ نَتْنِ مَا جَاءَ بِه. [رواه الترمذي]
অর্থ মুবারক: “মানুষ যখন মিথ্যা বলে, তখন হযরত ফেরেশ্তা আলাইহিমুস সালাম উনারা মিথ্যার দুর্গন্ধে এক মাইল দূরে চলে যান।”  নাউযুবিল্লাহ! (তিরমিযী শরীফ)
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে আরো ইরশাদ মুবারক হয়েছে,
عَمَّارِ بْنِ يَسَارٍ رَضِىَ الله تَعَالى عَنْهُ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَنْ كَانَ لَهُ وَجْهَانِ فِي الدُّنْيَا كَانَ لَهُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ لِسَانَانِ مِنْ نَارٍ.
অর্থ মুবারক: “হযরত আম্মার ইবনে ইয়াসার রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “যে দুনিয়াতে দু’মুখী হবে (অর্থাৎ একজনের কাছে মিথ্যা বলবে, আরেকজনের কাছে অস্বীকার করবে অথবা কাজ করবে একরকম, বলবে আরেকরকম) ক্বিয়ামতের দিন তার আগুনের জিহ্বা হবে।” নাউযুবিল্লাহ! (তিরমিযী শরীফ, ইবনে মাযাহ্ শরীফ)
উল্লেখ্য যে, পুরুষ-মহিলা প্রত্যেকেরই ফিকির করতে হবে, জিহ্বা যদি আগুনের হয় তখন কি কঠিন অবস্থা হবে!
মু’মীন ব্যক্তি কখনও মিথ্যা বলবেন না বরং সর্বদা সত্য কথা বলবেন। কেননা মিথ্যা কথা বলার দ্বারা মানুষ মহান আল্লাহ পাক উনার নিকট মিথ্যাবাদী হিসেবে সাব্যস্ত হয়। আর সত্য কথা বলার দ্বারা সত্যবাদী হিসেবে সাব্যস্ত হয়। এ প্রসঙ্গে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে,
عَنِ ابْنِ مَسْعُودٍ رَضِىَ الله تَعَالى عَنْهُ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ﷺ: عَلَيْكُمْ بِالصِّدْقِ، فَإِنَّ الصِّدْقَ يَهْدِي إِلَى الْبِرِّ، وَإِنَّ الْبِرَّ يَهْدِي إِلَى الْجَنَّةِ، وَمَا يَزَالُ الرَّجُلُ يَصْدُقُ، وَيَتَحَرَّى الصِّدْقَ، حَتَّى يُكْتَبَ عِنْدَ اللَّهِ صِدِّيقًا، وَإِيَّاكُمْ وَالْكَذِبَ، فَإِنَّ الْكَذِبَ يَهْدِي إِلَى الْفُجُورِ، وَإِنَّ الْفُجُورَ يَهْدِي إِلَى النَّارِ، وَمَا يَزَالُ الرَّجُلُ يَكْذِبُ، وَيَتَحَرَّى الْكَذِبَ، حَتَّى يُكْتَبَ عِنْدَ اللَّهِ كَذَّابًا. مُتَّفَقٌ عَلَيْهِ.
অর্থ মুবারক: “হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ রদি¦য়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, আপনার জন্য আবশ্যক হল সত্যকে আঁকড়িয়ে ধরা। কারণ সত্য মানুষকে পূণ্যের বা নেক কাজের পথ দেখায়। আর নেক কাজ বা সৎ কাজ মানুষকে জান্নাতের পথ দেখায়। আর যখন মানুষ সর্বদা সত্য কথা বলে/ বলার চেষ্টা করে, অবশেষে সে মহান আল্লাহ পাক উনার কাছে ছিদ্দীক হিসেবে পরিগণিত হয়। সুবহানাল্লাহ! এবং নিজেকে মিথ্যা বলা থেকে বিরত রাখুন। নিশ্চয়ই মিথ্যা মানুষকে পাপাচারের পথ দেখায় বা পথ প্রর্দশন করে। যে ব্যক্তি সর্বদাই মিথ্যা বলতে থাকে এবং মিথ্যা বলার কোশেশ করে, অবশেষে সে  মহান আল্লাহ পাক উনার নিকট মিথ্যাবাদী হিসেবে সাব্যস্ত হয়।” নাঊযূবিল্লাহ!  (বুখারী শরীফ)
মিথ্যাবাদীদের সর্ম্পকে মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, لَعْنَتَ اللّهِ عَلَي الْكَاذِبِيْنَ
অর্থ মুবারক: “মিথ্যাবাদীদের উপর মহান আল্লাহ পাক উনার লানত।” (পবিত্র সূরা আলে ইমরান শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ- ৬১)
বর্তমানে দেখা যায় কিছু লোক মানুষদেরকে হাসানোর জন্য মিথ্যা কথা বলে। তাদের সম্পর্কে পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে,
وَيْلُ  لِمَنْ يُحَدِّثُ فَيُكْذِبُ لِيُضْحِكَ بِهِ الْقَوْمَ وَيْلٌ لَه وَيْلٌ لَه (رواه أبو داود)
অর্থ মুবারক: “নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, যে মানুষকে হাসানোর জন্য মিথ্যা কথা বলে তার জন্য ধ্বংস, তার জন্য ধ্বংস।” নাঊযূবিল্লাহ! (আবু দাঊদ শরীফ, দারিমী শরীফ, আহমদ শরীফ)
এই মহাসম্মানিত হদীছ শরীফ উনার দ্বারা প্রতীয়মান হয়, কোন অবস্থাতেই মিথ্যার আশ্রয় নেয়া যাবেনা। এমনকি ঠাট্টা করেও কেউ যদি মিথ্যা কথা বলে তার জন্য ধ্বংস বা জাহান্নাম। নাঊযূবিল্লাহ!
বলাবাহুল্য, যে ব্যক্তি মিথ্যা তরক করে সত্য বলার কোশেশে লিপ্ত থাকে তার সম্পর্কে মহাসম্মানিত হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে,
عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ مَنْ تَرَكَ الْكَذِبَ وَهُوَ بَاطِلٌ بُنِيَ لَهُ فِي رَبَاضِ الْجَنَّةِ وَمَنْ تَرَكَ الْمِرَاءَ وَهُوَ مُحِقٌّ بُنِيَ لَهُ فِي وَسَطِهَا وَمَنْ حَسَّنَ خُلُقَهُ بُنِيَ لَهُ فِي أَعْلَاهَا. (رَوَاهُ التِّرْمِذِيّ)
অর্থ মুবারক: “হযরত আনাস ইবনে মালিক রদি¦য়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “কোন না-হক্ব ব্যক্তি মিথ্যা বলা ছেড়ে দিল তার জন্য জান্নাত উনার এক প্রান্তে একটা প্রাসাদ তৈরী করা হল। আর কোন হক্বপন্থী ঝগড়া বা তর্ক-বিতর্ক করা ছেড়ে দিল তার জন্য জান্নাত উনার মধ্যবর্তী স্থানে একটি প্রাসাদ তৈরী করা হবে। আর যে তার চরিত্রকে উত্তমভাবে গড়ে  তুলবে, তার জন্য সর্বোচ্চ স্থানে প্রাসাদ তৈরী হবে। সুবহানাল্লাহ! (তিরমিযী শরীফ)
এই মহাসম্মানিত হাদীছ শরীফ উনার দ্বারা স্পষ্টভাবে প্রমাণিত হচ্ছে যে, না-হক্ব ব্যক্তি মিথ্যা তরক করলে তার জন্য জান্নাত উনার এক প্রান্তে একটা প্রাসাদ তৈরী করা হবে। বিষয়টা যদি এরূপই হয়, তাহলে কোন হক্বপন্থী মিথ্যা তরক করলে কি ফযিলত লাভ করবে তা ফিকিরের বিষয়। সুবহানা উম্মিল উমাম আলাইহাস সালাম!
বলার অপেক্ষা রাখে না, একমাত্র জবানকে নিয়ন্ত্রনে রাখার মাধ্যমেই মিথ্যা কথা বর্জন করা সম্ভব। কেননা ভাল-মন্দ, সত্য-মিথ্যা সমস্ত কথাই জবান দ্বারা প্রকাশ পায়। এ কারণে অসংখ্য পবিত্র হাদীছ শরীফ উনাদের মধ্যে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি যবানকে নিয়ন্ত্রনে রাখার নির্দেশ মুবারক দিয়েছেন। যেমন: পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত রয়েছে,
عَنْ عُقْبَةَ بْنِ عَامِرٍ رَضِىَ اللّهُ تَعَالى عَنْهُ قَالَ : قُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ ، مَا النَّجَاةُ ؟ قَالَ : أَمْسِكْ عَلَيْكَ لِسَانَكَ  وَلْيَسَعْكَ بَيْتُكَ ، وَابْكِ عَلَى خَطِيئَتِكَ (الترمذي)
অর্থ মুবারক: “হযরত উকবা ইবনে আমের রদি¦য়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত, একবার তিনি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে সাক্ষাত মুবারক করলেন এবং উনাকে জিজ্ঞাস করলেন, কোন জিনিস নাজাত দেয়?  নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বললেন, তোমার জন্য আবশ্যক হল তোমার জবানকে নিয়ন্ত্রনে রাখা/অধিনে রাখা ও তুমি ঘরে থাকার জন্য চেষ্টা কর এবং তোমার গুনাহর জন্য কাঁদো।” (তিরমিযী শরীফ)
অন্য পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত আছে,
عن أَبي سَعيدٍ الخُدْرِيِّ عن النَّبيّ ﷺ قَالَ: إِذَا أَصْبَحَ اِبْنُ آدَمَ، فَإنَّ الْأَعْضَاءَ كُلَّهَا تُكَفِّرُ اللِّسَانَ، فَتَقُوْلُ: اِتِّقِ اللِّه فِيْنَا، فَإنَّمَا نَحْنُ بِكَ؛ فَإنِ اسْتَقَمْتَ اِسْتَقَمْنَا، وَإِنِ اعْوَجَجْتَ اعْوَجَجْنَا. (رواه الترمذي)
অর্থ মুবারক: “হযরত আবু সাঈদ খুদরী রদি¦য়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “বান্দা যখন ভোরে ঘুম থেকে উঠে তখন তার প্রত্যেক অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ জিহ্বাকে বিনয়ের সাথে বলে, আমাদের ব্যাপারে মহান আল্লাহ পাক উনাকে ভয় কর, কেননা আমরা তোমার সাথে জড়িত বা সংযুক্ত। যদি তুমি ঠিক থাক আমরাও ঠিক থাকব। আর যদি তুমি বাঁকা হও তাহলে আমরাও বাঁকা হব।”  (তিরমিযী শরীফ)
আরো ইরশাদ মুবারক হয়েছে,
عَنْ سُفْيَانَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ الثَّقَفِيِّ قَالَ قُلْتُ : يَا رَسُولَ اللَّهِ مَا أَخْوَفُ مَا تَخَافُ عَلَيَّ فَأَخَذَ بِلِسَانِ نَفْسِهِ ، ثُمَّ قَالَ : هَذَا
অর্থ মুবারক: “হযরত সুফিয়ান ইবনে আবদুল্লাহ ছাকাফী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বলেন, আমি বললাম,ইয়া রসূলাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আমার জন্য সবচেয়ে ভয়ংকর কোন বিষয়টি? তখন তিনি উনার পবিত্র জবান মুবারক উনাকে ধরে বললেন, এটা।” (তিরমিযী শরীফ)
হযরত মুয়ায বিন জাবাল রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বলেন,
قَالَ: أَلَا أُخْبِرُكَ بِمِلَاكِ ذلِكَ كُلِّه؟ قُلْتُ بَلى يَا نَبِيَّ اللهِ فَأَخَذَ بِلِسَانِه فَقَالَ: كَفِّ عَلَيْكَ هذَا فَقُلْتُ يَا نَبِيَّ اللهِ وَإِنَّا لَمُؤَاخَذُوْنَ بِمَا نَتَكلَّمُ بِه قَالَ ثَكِلَتْكَ أُمُّكَ يَا مُعَاذُ وَهَلْ يُكَبُّ النَّاسُ فِي النَّارِ عَلَى وُجُوْهِهِمْ أَوْ عَلى مَنَاخِرِهِمْ اِلَّا حَصَائِدَ اَلْسِنَتِهِمْ. (رواه احمد و الترمذى وابن ماجه)
অর্থ মুবারক: নূরে মুজাস্সাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বললেন, “আমি কি আপনাকে এ সমস্ত বিষয়ের (দ্বীন উনার) মূল কি, সে বিষয়ে সংবাদ দিবো না? আমি বললাম, হ্যাঁ, অবশ্যই হে মহান আল্লাহ পাক উনার নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! তখন তিনি (নূরে মুজাস্সাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) উনার জবান মুবারক ধরলেন এবং বললেন, আপনার এই জবানকে সংযত রাখুন। তখন হযরত মুয়ায বিন জাবাল রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু বললেন, এই জবান দ্বারা আমরা যা কিছু বলি, এর জন্য আমরা অবশ্যই পাকড়াও হয়ে যাবো। নূরে মুজাস্সাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বললেন, আপনার মা আপনাকে হারাক, হে মুয়ায রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু!। মানুষকে জাহান্নামে তাদের চেহারার উপর অথবা নাকের উপর উপুড় করে ফেলা হবে তাদের যবানের অসংযত কথা-বর্তার কারণে। নাঊযূবিল্লাহ! (তিরমিযী, ইবনে মাযাহ্, আহমদ শরীফ) 

আল্লহ পাক যেন আমাদেরকে মিথ্যা বর্জন করে,
সত্য কথা বলার এবং সৎ মত পথে চলার তৌফিক  দান করেন। আমিন।

কারামতে মুত্বহ্হারাহ, মুত্বহহিরাহ সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম-৪০

কারামতে মুত্বহ্হারাহ, মুত্বহহিরাহ সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম-৪০

 ফেনীর একজন পীরবোন একবার ভাবছিলেন শায়েখ আলাইহিস সালাম উনারা তো সর্বদা হুযূরীর সাথে ইবাদত বন্দেগী করার কথা বলেন। তাই এটা উনাদের নির্দেশ মুবারক। তাহলে তো নামাজের সময়ও হুযূরীর সাথে থাকতে হবে। হুযূরীবিহীন নামাজ আদায় করলে তো সেটা কবুল হবে না। তাই তিনি ভাবছিলেন কিভাবে হুযূরীর সাথে নামাজ আদায় করা যায়? এটা উনার মনের মধ্যে প্রশ্ন ছিল কিন্তু তিনি বিষয়টি কারো থেকে জিজ্ঞাসা করেননি। পরেরদিন তিনি সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম উনার সোহবত মুবারক আদায়ের লক্ষ্যে পবিত্র দরবার শরীফে আসেন। এসে তিনি খুবই আশ্চর্য হয়ে যান যে, সেইদিন সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম তিনি হুযূরীর সাথে কিভাবে নামাজ আদায় করা যাবে সেই বিষয়ে সম্মানিত নছীহত মুবারক করছেন এবং কী কী ভুল-ত্রুটি থাকার কারণে নামাজ কবুল হয়না সেই বিষয়েও সম্মানিত নছীহত মুবারক করছেন। সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম উনার আলোচনা মুবারক থেকেই উক্ত পীরবোন উনার প্রশ্নের উত্তর পেয়ে যান উনাকে আলাদা করে কোন প্রশ্ন করতে হয়নি। (সুবহানা উম্মিল উমাম আলাইহাস সালাম)।
মহান আল্লাহ পাক তিনি এবং উনার হাবীব সাইয়্যিদুল মুরসালিন, ইমামুল মুরসালিন, খাতামুন নাবিয়্যিন, নূরে মুজাস্সাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনারা ইলমে গইব উনার অধিকারী, অন্তরের অন্তস্থলের খবর উনারা জানেন। ঠিক তদ্রুপ ওলী আল্লাহগণ উনারাও ইলমে গইব জানেন এবং অন্তরের খবর রাখেন। তেমনি সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম তিনি মহান আল্লাহ পাক প্রদত্ত ইলমে গইব উনার অধিকারী। যার কারণে প্রশ্ন না করা সত্বেও তিনি উক্ত প্রশ্নের জবাব পরিপূর্ণভাবে দান করেছেন। (সুবহানা উম্মিল উমাম আলাইহাস সালাম)

কারামতে মুত্বহ্হারাহ, মুত্বহহিরাহ সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম-৩৯

কারামতে মুত্বহ্হারাহ, মুত্বহহিরাহ সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম-৩৯

শান্তিবাগের একজন পীরবোন উনার স্বাভাবিক মাজুরতার দুই তিন দিন পূর্ব থেকেই প্রচন্ড মাথা ব্যথা শুরু হত। এত ব্যথা হত যে ঔষধ খাওয়ার পরও কমতো না। এ ভাবে দুই থেকে তিনদিন উনাকে প্রচন্ড ব্যথা সহ্য করতে হত। তখন তিনি বিষয়টি সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম উনাকে জানান। উনার উক্ত সমস্যার কথা শুনে সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম তিনি ফুঁ মুবারক দিয়ে বলেন, “মহান আল্লাহ পাক তিনি হিফাযত করবেন।” এর কয়েকদিনের মধ্যেই তিনি একটি মুবারক স্বপ্ন দেখেন। উক্ত পীরবোন স্বপ্নে দেখেন, সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম  তিনি উক্ত পীরবোনকে সম্মোধন করে বলছেন, তোমার না প্রচন্ড মাথা ব্যথা? সেই পীরবোন তিনি বললেন, “জ্বী আম্মাজী ক্বিবলা আলাইহাস সালাম!” অতঃপর সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম তিনি বললেন, “শুন! তুমি আমার কাছে আস।” তখন উক্ত পীরবোন তিনি সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম উনার একেবারে সামনে গেলেন। অতঃপর সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম তিনি বললেন, “তুমি আমার চোখের দিকে তাকাও।” উক্ত পীরবোন তিনি সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম উনার চোখ মুবারকদ্বয় উনাদের দিকে তাকিয়ে দেখতে পেলেন, আকাশে বিজলী চমকালে যেরূপ আলোকরশ্মি দেখা যায় ঠিক তদ্রুপ আলোকরশ্মি সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম উনার চোখদ্বয় মুবারক থেকে সেই পীরবোনের মাথার দিকে আসছে। উক্ত পীরবোন তিনি বর্ণনা করার সময় বলেন, উক্ত আলোকচ্ছটা দেখতে অনেকটা বিজলীর আলোকরশ্মির মত কিন্তু আসলে তা কিরূপ ছিল তা হুবহু বর্ণনা করা উনার পক্ষে সম্ভব নয়। এই আলোকরশ্মি কিছু সময় উনার মাথার মধ্যে স্থায়ী ছিল। এরপর পরই উক্ত পীরবোন উনার ঘুম ভেঙ্গে যায়। এই সম্মানিত স্বপ্ন মুবারক দেখার পর থেকে সেই পীরবোন উনার আর কখনোই সেরকম মাথা ব্যথা হয়নি। (সুবহানা উম্মিল উমাম আলাইহাস সালাম)।
মহান আল্লাহ পাক তিনি সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম উনাকে মহান নিয়ামত হিসেবে প্রেরণ করে কায়িনাতবাসীকে ধন্য করেছেন। সালিকাগণ যেকোন সমস্যায় পড়ে উনার নিকট দোয়া মুবারক চাওয়ার পর তিনি স্বপ্ন এবং জাগরণ অর্থাৎ সর্বাবস্থায় সে সমস্যার সমাধান করে দেন এবং অসুস্থ হলে শিফা দান করেন। আমরা যেন এ সুমহান নিয়ামত মুবারক উনার সর্বাবস্থায় শুকরিয়া আদায় করতে পারি। (আমীন)

কারামতে মুত্বহ্হারাহ, মুত্বহহিরাহ সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম-৩৮

কারামতে মুত্বহ্হারাহ, মুত্বহহিরাহ সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম-৩৮

একজন পীরবোন একবার দরবার শরীফ থেকে অডিও-ভিডিও কিছু ক্বাছিদা শরীফ মোবাইলে নেন। এর মধ্যে একটি সম্মানিত ক্বাছিদা শরীফ ছিল সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম উনার পবিত্র শান মুবারকে। সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম উনার পবিত্র শান মুবারকের উক্ত ক্বাছিদা খানা উক্ত পীরবোনের খুব পছন্দ ছিল। হঠাৎ একদিন তিনি লক্ষ্য করেন উনার মোবাইল থেকে সমস্ত ক্বাছিদা ডিলেট হয়ে গিয়েছে। এ অবস্থায় পীরবোনটি মনে খুব কষ্ট পান যা ভাষায় বর্ণনা করার মত না। তিনি কষ্ট পেয়েই উক্ত বিষয়টি সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম উনাকে জানান। যে দিন উনাকে জানানো হয় তার পরদিন উক্ত পীরবোন ঘুম থেকে উঠে মোবাইলটি অফ করে পুনরায় অন করার পর দেখতে পান সমস্ত ক্বাছিদা শরীফগুলো আগের মতই রয়ে গিয়েছে। (সুবহানা উম্মিল উমাম আলাইহাস সালাম)। উক্ত পীরবোন তিনি বলেন, আমার জানা মতে মোবাইল থেকে কোন কিছু ডিলেট বা ফরমেট হয়ে গেলে তা পুনরায় আবার কখনোই ফিরে আসে না এবং আজ পর্যন্ত ফিরে আসেনি।  সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম উনার সম্মানার্থে উনার দোয়া মুবারক উনার বদৌলতে তিনি ক্বাছিদা শরীফগুলো পুনরায় ফিরে পেয়েছেন।
ওলী আল্লাহগণ উনারা মহান আল্লাহ পাক এবং উনার হাবীব সাইয়্যিদুল মুরসালিন, ইমামুল মুরসালিন, খাতামুন নাবিয়্যিন, নূরে মুজাস্সাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের হাক্বিক্বী ক্বায়িম-মাক্বাম। মহান আল্লাহ পাক তিনি এবং উনার হাবীব সাইয়্যিদুল মুরসালিন, ইমামুল মুরসালিন, খাতামুন নাবিয়্যিন, নূরে মুজাস্সাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনারা যেকোন সময় যেকোন অবস্থাতে যেকোন কিছু করতে পারেন,  তেমনি ওলীঅল্লাহগণ উনারাও খাছ রহমত মুবারক উনার কারণে সবকিছুই করতে পারেন। (সুবহানা উম্মিল উমাম আলাইহাস সালাম)।
মহান আল্লাহ পাক তিনি যেন আমাদেরকে সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম উনার হাক্বিক্বী হক্ব আদায় করার তৌফিক দান করেন। (আমীন)

কারামতে মুত্বহ্হারাহ, মুত্বহহিরাহ সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম-৩৭

কারামতে মুত্বহ্হারাহ, মুত্বহহিরাহ সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম-৩৭

                   
একবার এক ছাত্রী ক্লাসে ব্ল্যাকবোর্ড আনতে যায়। যখনই ব্ল্যাকবোর্ড টান দেয় ব্ল্যাকবোর্ডটি তার পায়ের উপর উঠে যায় এবং পায়ের বৃদ্ধাঙ্গুলির নখ অর্ধেকের বেশী ফেটে প্রায় আলাদা হয়ে যায়। সেই ছাত্রীর পায়ের নখ থেকে এতপরিমানে রক্ত ঝরছিল যে যতটুকু স্থান সে হেঁটেছে তা সম্পূর্ণ রক্তে রঞ্জিত হয়ে যায়। এ অবস্থা দেখে সবাই তাকে হসপিটালে নেওয়ার জন্য পিড়াপিড়ি করতে থাকে। তখন উক্ত ছাত্রী বলে, “আমি তো হাঁটতেই পারছি না তার উপর ডাক্তারের কাছে গেলে কাটা জায়গা সেলাই দিবে, ঔষধ খেতে হবে, তারপরও কখন যে ভাল হবে তার কোন গ্যারান্টি নেই। এরচেয়ে ভাল হবে আমি সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম উনাকে হাদিয়া দিয়ে উনার থেকে দোয়া মুবারক নেই, তাহলে আরও তাড়াতাড়ি ভাল হয়ে যাবে।” অতঃপর সে সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম উনার কাছে যায় এবং দোয়া মুবারক চায়। তখন সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম তিনি উক্ত স্থানটি দেখতে চান, উনাকে দেখানোর পর তিনি দেখে “উফ” শব্দ মুবারক উচ্চারণ করেন এবং ফুঁ মুবারক দিয়ে দেন। যেখানে সকলেই বলছিল নখটি সম্পূর্ণ পড়ে যাবে কারণ নখটি প্রথমে নীল অতঃপর কালো বর্ণ ধারণ করেছিল এবং ব্যথার কারণে পা ফেলা যাচ্ছিল না, সেখানে তাৎক্ষনিক ব্যথা কমে যায় এবং দু-একদিনের মধ্যেই নখটি সম্পূর্ণ জোড়া লেগে ভাল হয়ে যায়। (সুবহানা উম্মিল উমাম আলাইহাস সালাম)
মহান আল্লাহ পাক উনার ওলীগণ উনারা মহান আল্লাহ পাক উনার খাছ রহমত মুবারক, মহান নিয়ামত মুবারক। ওলীআল্লাহগণ উনাদের মুবারক উছিলায় অসম্ভব বিষয়সমূহও সম্ভব হয়ে যায়। তেমনি মহান আল্লাহ পাক উনার খাছ লক্ষ্যস্থল ওলীআল্লাহ হলেন সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম তিনি। উনার মুবারক উছিলায় মহান আল্লাহ পাক তিনি সমস্ত প্রকার কষ্ট লাঘব করেন এবং সুস্থতা দান করেন। (সুবহানা উম্মিল উমাম আলাইহাস সালাম)