পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে, “কোনো ফাসিক ব্যক্তির প্রশংসা করলে, মহান আল্লাহ পাক তিনি এতোটা অসন্তুষ্ট হন যে উনার অসন্তুষ্টির কারণে পবিত্র আরশ প্রকম্পিত হয়ে থাকে।” (মিশকাত শরীফ)
ফাসিক বলা হয় ওই ব্যক্তিকে, যে ঈমান এনেছে কিন্তু ফরয, ওয়াজিব, সুন্নতে মুয়াক্কাদা তরক করে বা আমল করে না; কিন্তু সে মুসলমান। এখন ফিকিরের বিষয় হচ্ছে যে, মুসলমান হওয়া সত্ত্বেও কেবল ফাসিক হওয়ার কারণে তার প্রশংসা করলে যদি মহান আল্লাহ পাক এতোটা অসন্তুষ্ট হন, তাহলে যারা মহান আল্লাহ পাক উনাকে অস্বীকার করে এবং নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে অস্বীকার করে- সেই সব কাফির-মুশরিকদের প্রশংসা করলে কতোটা অসন্তুষ্টি ও লা’নত বর্ষণ করবেন- তা চিন্তা ফিকির করতে হবে।
আমরা যেকোনো পবিত্র আয়াত শরীফ পাঠ করার পূর্বে একটি আয়াত শরীফ পাঠ করি, যাঁর অর্থ হচ্ছে- ‘সমস্ত প্রশংসা মহান আল্লাহ পাক উনার জন্য’। তাহলে এখানে কাফির-মুশরিকদের প্রশংসা করা প্রকাশ্য শিরকে অন্তর্ভুক্ত হয়ে যায়। নাউযুবিল্লাহ! আর শিরকের গুনাহ এতোটা ভয়াবহ ও কঠিন গুনাহ যে; মহান আল্লাহ পাক বান্দার সমস্ত গুনাহ মাফ করলেও শিরকের গুনাহ মাফ করেন না।
সুতরাং কেউ মুসলমান হিসেবে থাকতে চাইলে কাফির-মুশরিকদের প্রশংসা ভুল ক্রমেও করা যাবে না, তাদের অনুসরণ অনুকরণ করা যাবে না, তাদের সাথে বন্ধুত্ব করা যাবে না। এ ব্যাপারে মহান আল্লাহ পাক তিনি স্পষ্টভাবে ইরশাদ মুবারক করেছেন- “হে ঈমানদারগণ! তোমরা আমার শত্রু এবং তোমাদের শত্রুকে বন্ধু হিসেবে গ্রহণ করো না।” (পবিত্র সূরা মুমতাহিনা শরীফ, পবিত্র আয়াত শরীফ: ১)