কারামতে মুত্বহ্হারাহ, মুত্বহ্হিরাহ সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম-৫০


পাবনার এক পীরবোন স্বপ্নে দেখেন, কোথাও তালীমের মজলিস হবে। সেখানে মহাসম্মানিতা সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম, উম্মুল উযমা আম্মাজী ক্বিবলা আলাইহাস সালাম তিনি তাশরীফ মুবারক আনয়ন করবেন। তাই উক্ত পীরবোন উনার মুবারক সাক্ষাৎ লাভের আশায় অধীর আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষা করছেন। উক্ত পীরবোন বলেন, ‘আমি কিছুক্ষণ পরে দেখলাম, সেখানে একজন খুবছূরত, নূরানী চেহারা মুবারক উনার অধিকারিনী একজন মহাসম্মানিতা নিসা (মহিলা) তাশরীফ আনলেন। উনাকে আমি ইতিপূর্বে কখনো দেখিনি। দেখে মনে হচ্ছে, তিনি একজন অত্যন্ত শরীফ বংশের কেউ হবেন। তাই উনার নিকটে গিয়ে ক্বদমবুছী করে অত্যন্ত আদবের সহিত উনার নিকট জানতে চাইলাম, ‘আজকে এখানে আমাদের যিনি আম্মাজী ক্বিবলা আলাইহাস সালাম তিনি তাশরীফ মুবারক আনার কথা। কিন্তু আপনি? আপনাকে আমি চিনতে পারছিনা। তখন তিনি বললেন, আমি স্বয়ং আন নুরুর রবি’য়াহ হযরত যাহরা আলাইহাস সালাম। আমি এ কথা শুনে খুব আনন্দিত হয়ে সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম উনার জন্য যেই আসন মুবারকটি নির্ধারণ করা হয়েছিল ; উক্ত আসনে হযরত যাহরা আলাইহাস সালাম উনাকে বসানোর ব্যবস্থা করি।  আমি উনাকে পেয়ে এতই খুশি হয়েছি যে, আমি  আমার ব্যক্তিগত কিছু কথা জানালাম। এভাবে আমি আমার মনের যত কথা আছে সবকিছু উনাকে এক নিঃশ্বাসে জানাতে থাকলাম। ভাবলাম যে, উনাকে যদি আর সরাসরি দেখতে না পাই। তাই সব মনের কথা বলি। কিন্তু সাইয়্যিদাতুনা আন নুরুর রবিয়াহ হযরত যাহরা আলাইহাস সালাম তিনি চুপ থাকলেন। আমি উনার চুপ থাকা দেখে ভয় পেলাম যে, কোন বেয়াদবী হয়ে গেল কিনা ......তারপরও কিছুক্ষণ পরে আমি আবার আগের মত সব আরজু পেশ করছিলাম, দোয়া চাচ্ছিলাম। ঠিক তখনই হযরত যাহরা আলাইহাস সালাম তিনি আমাকে বললেন, “তোমাদের সব কথা তোমাদের যিনি মা  উম্মুল উমাম আম্মাজী ক্বিবলা আলাইহাস সালাম উনাকে জানাও। তিনিই উত্তম ফায়ছালাকারী। (সুবহানা উম্মিল উমাম আলাইহাস সালাম)। তোমরা এ সমস্ত বিষয় উনাকে জানাও। তিনি তোমাদের ফায়ছালা করে দিবেন ” এভাবে তিনি এ কথাগুলো বারবার বললেন। এরপর উক্ত পীরবোন দেখতে পান যে, ‘উক্ত নূরানী চেহারা মুবারক কিছুক্ষণ পর পর পরিবর্তন হয়ে যাচ্ছেন। একবার হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম উনার চেহারা মুবারক, আরেকবার সাইয়্যিদাতুনা নাক্বীবাতুল উমাম শাহজাদী উলা আলাইহাস সালাম উনার চেহারা মুবারক, আবার কখনো হযরত নিবরাসাতুল উমাম শাহজাদী ছানিয়াহ আলাইহাস সালাম উনার মুবারক চেহারা ধারণ করছেন। (সুবহানা উম্মিল উমাম আলাইহাস সালাম!!) এভাবে একের পর এক পরিবর্তন হচ্ছিলেন। একজনের মাঝে চারজন সম্মানিতা ব্যক্তিত্ব উনাদের মুবারক চেহারা দৃষ্টিগোচর হচ্ছিল। স্বপ্নদ্রষ্টা পীর বোন অবাক হয়ে উক্ত চেহারা মুবারক সমূহ দেখতে থাকেন। সবশেষে সাইয়্যিদাতুনা হযরত যাহরা আলাইহাস সালাম তিনি তাবাস্সুমি শান মুবারক (মুচকি হাসি) প্রকাশ করে সেই স্থান থেকে চলে গেলেন। 
উক্ত বিষয়টি দ্বারা মহাসম্মানিতা ও মহাপবিত্রা সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম উনার শান-মান মুবারক মর্যাদা-মর্তবা মুবারক, ফাযায়িল-ফযীলত মুবারক, বেমেছাল বুযুর্গি-সম্মান মুবারক সম্পর্কে  জানা এবং বুঝা সম্ভব। (সুবহানা উম্মিল উমাম আলাইহাস সালাম)। মহান আল্লাহ পাক তিনি যেন মহান নিয়ামতে উজমা মুবারক সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম উনাকে হাক্বীক্বীভাবে চিনে উনার হাক্বীক্বী হক্ব আদায় করে আবাদুল-আবাদ উনার পুত পবিত্র নুরুদ দারাজাত (ক্বদম) মুবারকে ইস্তেকামত থাকার তৌফিক দান করেন। (আমীন)

শেয়ার করুন
পূর্ববর্তী পোষ্ট
পরবর্তী পোষ্ট