এক পীর বোন নিয়মিত দরবার শরীফে আসতে পারেন না। তাই তিনি যে কোন অসুখ-বিসুখ, বিপদ-আপদ, অসুবিধা ইত্যাদির জন্য অন্য একজন পীর বোন (যিনি নিয়মিত মুবারক ছোহবতে আসেন) উনার মাধ্যমে সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আম্মাজী ক্বিবলা আলাইহাস সালাম উনার নিকট দোয়া মুবারক চাইতেন। কিন্তু যাকে জানানো হতো তিনি হয়তো বা কখনো এক দিন পরে বা কখনো দুই দিন পরে, আবার কখনো উনার সুবিধা মত জানানোর কারণে অনেক দিন দেরী হয়ে যেত। অত্যন্ত আশ্চর্যের বিষয় যে, তিনি কেবলমাত্র ফোনের মাধ্যমে সংবাদ জানিয়েছেন; আর সাথে সাথেই বিপদমুক্ত হয়েছেন, কিংবা সুস্থতা লাভ করেছেন, কিংবা যেকোন প্রয়োজন পুরা হয়ে গিয়েছে। অথচ, সংবাদটি তখনো সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম উনার নিকট পৌঁছানো হয়নি।(সুবহানা উম্মিল উমাম আলাইহাস সালাম)।
বলাবাহুল্য যে, পবিত্র দরবার শরীফ উনার যে কোন একজনকে যেকোন বিষয়ে জানিয়ে সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম উনার নিকট দোয়া মুবারক চাওয়া হলে, দেখা যায় হয়ত সেই মুহূর্তে খবর পৌঁছানো সম্ভব হয়নি তারপরও সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম উনার মুবারক উছিলায় যাবতীয় বিষয় সমূহের ফায়ছালা হয়ে যায়। (সুবহানা উম্মিল উমাম আলাইহাস সালাম) সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম উনার মুবারক উছিলা দিয়ে পবিত্র দরবার শরীফ উনার যে কোন জড়বস্তুর কাছেও যদি কোন বিষয়ে কিংবা কোন সমস্যার কথা বলে যাওয়া হয় তাহলেও সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম উনার সুমহান সম্মানার্থে মহান আল্লাহ পাক তিনি সে বিষয়ের ফায়ছালা দান করেন এবং সমস্ত সমস্যা সমাধান হয়ে যায়। (সুবহানা উম্মিল উমাম আলাইহাস সালাম) কেননা, সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম তিনি হলেন মুস্তাজাবুদ দাওয়াত। মহান আল্লাহ পাক তিনি যেন সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম উনাকে হাক্বীক্বীভাবে চিনে, ছোহবত মুবারকে থেকে দায়িম-কায়িম, ইস্তেকামত থাকার তৌফিক আমাদেরকে দান করেন। (আমীন)<<<<<<<<<<<<<<<<<<<<<<<<<<<<<<<<<