ইহুদী-মুশরিকরা ৩শ বছরের পরিকল্পনা এঁটেছিল- মুসলমানদের সমস্ত দেশগুলো দখল করার জন্য। তাদের পরিকল্পনার মূল সূত্র ছিলো, যেভাবেই হোক দ্বীন ইসলাম থেকে মুসলমানদের ধীরে ধীরে সরিয়ে দিতে হবে এবং মুসলমানদের তাহযীব-তামাদ্দুন বিনষ্ট করে দিতে হবে। কারণ তারা এটা জানে পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মাঝে রয়ে গেছে যতদিন মুসলমানগণ পবিত্র কুরআন শরীফ ও সুন্নাহ শরীফ আঁকড়িয়ে থাকবে ততদিন মুসলমানদের ক্ষতি করা সম্ভব নয়।
যে কারণে তারা অপসংস্কৃতির আগ্রাসন চালাচ্ছে। আর এসব অপসংস্কৃতিকে প্রচার-প্রসারে ব্যবহৃত হচ্ছে সংবাদপত্র, রেডিও, টিভি ইত্যাদি মিডিয়াগুলো। যে কারণে একদিকে চলছে মুসলমানদের নৈতিক অধঃপতন ঘটানোর মহড়া অপরদিকে রাজনৈতিক শক্তি তথা রাষ্ট্রের মন্ত্রী-এমপিদেরকে দিয়েও চেষ্টা চলছে মানবতাবাদ বা অসাম্প্রদায়িকতার নামে ইসলামবিহীন শিক্ষাব্যবস্থা ও আইন ব্যবস্থা জারি করার অপচেষ্টা। সরকারী আমলাদের জিহালতী ও দুনিয়ার লোভকে ব্যবহার করছে কুফরী শক্তিগুলো। ফলশ্রুতিতে সংবিধান থেকে মহান আল্লাহপাক উনার আস্থা ও বিশ্বাসকে মুছে ফেলা হলো, পর্দানশীন মুসলিম নারীদেরকে বেপর্দা করতে বাধ্য করা হচ্ছে, ছবি তোলানো হচ্ছে, স্কুল-কলেজ, মাদরাসায় নাস্তিক্যবাদ শিক্ষা দেয়া হচ্ছে; এর সবগুলোই সরকারী আমলাদের মাধ্যমে বাস্তবায়ন করানো হচ্ছে।
কাফিররা জানে পর্দার উছিলাতেই মুসলমানদের নৈতিকতা অটুট থাকে। কাজেই পর্দা প্রথা তুলে দিতে হবে। নাউযুবিল্লাহ! বাল্যবিবাহ চরিত্রের সংরক্ষক, তাই অনৈতিক সম্পর্কের ব্যাপক বিস্তার ঘটাতে আইন করে বাল্যবিবাহ বন্ধ করা হয়েছে। নাউযুবিল্লাহ!
মূলত দুনিয়ার লোভ ও এমপি-মন্ত্রীদের ইসলামী জ্ঞান শূন্যতাই তাদেরকে এসব ইসলামবিরোধী কাজে জড়াচ্ছে। তাই দেশের সচেতন আলেম সমাজদের উচিত- ইসলাম বিরোধী সকল কাজের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ করা ও হক্ব বিষয়টি সুস্পষ্টভাবে ও সাহসিকতার সাথে প্রকাশ করা ও বলা।