মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র সূরা ইবরাহিম শরীফ উনার ২৬ নং পবিত্র আয়াত শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেন,
وَمَثَلُ كَلِمَةٍ خَبِيثَةٍ كَشَجَرَةٍ خَبِيثَةٍ اجْتُثَّتْ مِن فَوْقِ الْأَرْضِ مَا لَهَا مِن قَرَارٍ
অর্থ মুবারক: “মন্দ কথা মন্দ গাছের মত যা মাটির উপর থেকে তুলে ফেলা হয়, তার কোন স্থায়িত্ব থাকেনা।”
এই মহাসম্মানিত আয়াত শরীফ উনার দ্বারা মহান আল্লাহ পাক তিনি মন্দ কথার মেছাল দিয়েছেন, মন্দ গাছের যেরূপ কোন স্থায়িত্ব নেই তদ্রুপ মন্দ কথার দ্বারা মানুষের অস্তিত্ব নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে এবং পরকালে নাজাতও পাবেনা।
অন্যত্র ইরশাদ মুবারক করেন,
وَيُضِلُّ اللَّـهُ الظَّالِمِينَ ۚ وَيَفْعَلُ اللَّـهُ مَا يَشَاءُ
অর্থ মুবারক: “যারা নফসের প্রতি জুলুম করে (মিথ্যার আশ্রয় নেয়, মিথ্যা কথা বলে) মহান আল্লাহ পাক তিনি তাদেরকেই বিভ্রান্ত করেন। অর্থাৎ মিথ্যাকে গ্রহণ করার কারণে তারা বিভ্রান্ত হয়। মহান আল্লাহ পাক তিনি যা চান তাই করেন।” নাউযুবিল্লাহ! (পবিত্র সূরা ইবরাহিম শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ২৬ )
আফসুসের বিষয় হলো, মানুষ কথায় কথায় মিথ্যা বলে। মিথ্যা বলা তাদের কাছে মামুলি বিষয়। অথচ মিথ্যার খারাবী সম্পর্কে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে,
اِذَا كَذَبَ الْعَبْدُ تَبَاعَدَ عَنْهُ الْمَلَكُ مَيْلًا مِنْ نَتْنِ مَا جَاءَ بِه. [رواه الترمذي]
অর্থ মুবারক: “মানুষ যখন মিথ্যা বলে, তখন হযরত ফেরেশ্তা আলাইহিমুস সালাম উনারা মিথ্যার দুর্গন্ধে এক মাইল দূরে চলে যান।” নাউযুবিল্লাহ! (তিরমিযী শরীফ)
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে আরো ইরশাদ মুবারক হয়েছে,
عَمَّارِ بْنِ يَسَارٍ رَضِىَ الله تَعَالى عَنْهُ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَنْ كَانَ لَهُ وَجْهَانِ فِي الدُّنْيَا كَانَ لَهُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ لِسَانَانِ مِنْ نَارٍ.
অর্থ মুবারক: “হযরত আম্মার ইবনে ইয়াসার রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “যে দুনিয়াতে দু’মুখী হবে (অর্থাৎ একজনের কাছে মিথ্যা বলবে, আরেকজনের কাছে অস্বীকার করবে অথবা কাজ করবে একরকম, বলবে আরেকরকম) ক্বিয়ামতের দিন তার আগুনের জিহ্বা হবে।” নাউযুবিল্লাহ! (তিরমিযী শরীফ, ইবনে মাযাহ্ শরীফ)
উল্লেখ্য যে, পুরুষ-মহিলা প্রত্যেকেরই ফিকির করতে হবে, জিহ্বা যদি আগুনের হয় তখন কি কঠিন অবস্থা হবে!
মু’মীন ব্যক্তি কখনও মিথ্যা বলবেন না বরং সর্বদা সত্য কথা বলবেন। কেননা মিথ্যা কথা বলার দ্বারা মানুষ মহান আল্লাহ পাক উনার নিকট মিথ্যাবাদী হিসেবে সাব্যস্ত হয়। আর সত্য কথা বলার দ্বারা সত্যবাদী হিসেবে সাব্যস্ত হয়। এ প্রসঙ্গে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে,
عَنِ ابْنِ مَسْعُودٍ رَضِىَ الله تَعَالى عَنْهُ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ﷺ: عَلَيْكُمْ بِالصِّدْقِ، فَإِنَّ الصِّدْقَ يَهْدِي إِلَى الْبِرِّ، وَإِنَّ الْبِرَّ يَهْدِي إِلَى الْجَنَّةِ، وَمَا يَزَالُ الرَّجُلُ يَصْدُقُ، وَيَتَحَرَّى الصِّدْقَ، حَتَّى يُكْتَبَ عِنْدَ اللَّهِ صِدِّيقًا، وَإِيَّاكُمْ وَالْكَذِبَ، فَإِنَّ الْكَذِبَ يَهْدِي إِلَى الْفُجُورِ، وَإِنَّ الْفُجُورَ يَهْدِي إِلَى النَّارِ، وَمَا يَزَالُ الرَّجُلُ يَكْذِبُ، وَيَتَحَرَّى الْكَذِبَ، حَتَّى يُكْتَبَ عِنْدَ اللَّهِ كَذَّابًا. مُتَّفَقٌ عَلَيْهِ.
অর্থ মুবারক: “হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ রদি¦য়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, আপনার জন্য আবশ্যক হল সত্যকে আঁকড়িয়ে ধরা। কারণ সত্য মানুষকে পূণ্যের বা নেক কাজের পথ দেখায়। আর নেক কাজ বা সৎ কাজ মানুষকে জান্নাতের পথ দেখায়। আর যখন মানুষ সর্বদা সত্য কথা বলে/ বলার চেষ্টা করে, অবশেষে সে মহান আল্লাহ পাক উনার কাছে ছিদ্দীক হিসেবে পরিগণিত হয়। সুবহানাল্লাহ! এবং নিজেকে মিথ্যা বলা থেকে বিরত রাখুন। নিশ্চয়ই মিথ্যা মানুষকে পাপাচারের পথ দেখায় বা পথ প্রর্দশন করে। যে ব্যক্তি সর্বদাই মিথ্যা বলতে থাকে এবং মিথ্যা বলার কোশেশ করে, অবশেষে সে মহান আল্লাহ পাক উনার নিকট মিথ্যাবাদী হিসেবে সাব্যস্ত হয়।” নাঊযূবিল্লাহ! (বুখারী শরীফ)
মিথ্যাবাদীদের সর্ম্পকে মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, لَعْنَتَ اللّهِ عَلَي الْكَاذِبِيْنَ
অর্থ মুবারক: “মিথ্যাবাদীদের উপর মহান আল্লাহ পাক উনার লানত।” (পবিত্র সূরা আলে ইমরান শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ- ৬১)
বর্তমানে দেখা যায় কিছু লোক মানুষদেরকে হাসানোর জন্য মিথ্যা কথা বলে। তাদের সম্পর্কে পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে,
وَيْلُ لِمَنْ يُحَدِّثُ فَيُكْذِبُ لِيُضْحِكَ بِهِ الْقَوْمَ وَيْلٌ لَه وَيْلٌ لَه (رواه أبو داود)
অর্থ মুবারক: “নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, যে মানুষকে হাসানোর জন্য মিথ্যা কথা বলে তার জন্য ধ্বংস, তার জন্য ধ্বংস।” নাঊযূবিল্লাহ! (আবু দাঊদ শরীফ, দারিমী শরীফ, আহমদ শরীফ)
এই মহাসম্মানিত হদীছ শরীফ উনার দ্বারা প্রতীয়মান হয়, কোন অবস্থাতেই মিথ্যার আশ্রয় নেয়া যাবেনা। এমনকি ঠাট্টা করেও কেউ যদি মিথ্যা কথা বলে তার জন্য ধ্বংস বা জাহান্নাম। নাঊযূবিল্লাহ!
বলাবাহুল্য, যে ব্যক্তি মিথ্যা তরক করে সত্য বলার কোশেশে লিপ্ত থাকে তার সম্পর্কে মহাসম্মানিত হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে,
عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ مَنْ تَرَكَ الْكَذِبَ وَهُوَ بَاطِلٌ بُنِيَ لَهُ فِي رَبَاضِ الْجَنَّةِ وَمَنْ تَرَكَ الْمِرَاءَ وَهُوَ مُحِقٌّ بُنِيَ لَهُ فِي وَسَطِهَا وَمَنْ حَسَّنَ خُلُقَهُ بُنِيَ لَهُ فِي أَعْلَاهَا. (رَوَاهُ التِّرْمِذِيّ)
অর্থ মুবারক: “হযরত আনাস ইবনে মালিক রদি¦য়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “কোন না-হক্ব ব্যক্তি মিথ্যা বলা ছেড়ে দিল তার জন্য জান্নাত উনার এক প্রান্তে একটা প্রাসাদ তৈরী করা হল। আর কোন হক্বপন্থী ঝগড়া বা তর্ক-বিতর্ক করা ছেড়ে দিল তার জন্য জান্নাত উনার মধ্যবর্তী স্থানে একটি প্রাসাদ তৈরী করা হবে। আর যে তার চরিত্রকে উত্তমভাবে গড়ে তুলবে, তার জন্য সর্বোচ্চ স্থানে প্রাসাদ তৈরী হবে। সুবহানাল্লাহ! (তিরমিযী শরীফ)
এই মহাসম্মানিত হাদীছ শরীফ উনার দ্বারা স্পষ্টভাবে প্রমাণিত হচ্ছে যে, না-হক্ব ব্যক্তি মিথ্যা তরক করলে তার জন্য জান্নাত উনার এক প্রান্তে একটা প্রাসাদ তৈরী করা হবে। বিষয়টা যদি এরূপই হয়, তাহলে কোন হক্বপন্থী মিথ্যা তরক করলে কি ফযিলত লাভ করবে তা ফিকিরের বিষয়। সুবহানা উম্মিল উমাম আলাইহাস সালাম!
বলার অপেক্ষা রাখে না, একমাত্র জবানকে নিয়ন্ত্রনে রাখার মাধ্যমেই মিথ্যা কথা বর্জন করা সম্ভব। কেননা ভাল-মন্দ, সত্য-মিথ্যা সমস্ত কথাই জবান দ্বারা প্রকাশ পায়। এ কারণে অসংখ্য পবিত্র হাদীছ শরীফ উনাদের মধ্যে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি যবানকে নিয়ন্ত্রনে রাখার নির্দেশ মুবারক দিয়েছেন। যেমন: পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত রয়েছে,
عَنْ عُقْبَةَ بْنِ عَامِرٍ رَضِىَ اللّهُ تَعَالى عَنْهُ قَالَ : قُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ ، مَا النَّجَاةُ ؟ قَالَ : أَمْسِكْ عَلَيْكَ لِسَانَكَ وَلْيَسَعْكَ بَيْتُكَ ، وَابْكِ عَلَى خَطِيئَتِكَ (الترمذي)
অর্থ মুবারক: “হযরত উকবা ইবনে আমের রদি¦য়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত, একবার তিনি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে সাক্ষাত মুবারক করলেন এবং উনাকে জিজ্ঞাস করলেন, কোন জিনিস নাজাত দেয়? নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বললেন, তোমার জন্য আবশ্যক হল তোমার জবানকে নিয়ন্ত্রনে রাখা/অধিনে রাখা ও তুমি ঘরে থাকার জন্য চেষ্টা কর এবং তোমার গুনাহর জন্য কাঁদো।” (তিরমিযী শরীফ)
অন্য পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত আছে,
عن أَبي سَعيدٍ الخُدْرِيِّ عن النَّبيّ ﷺ قَالَ: إِذَا أَصْبَحَ اِبْنُ آدَمَ، فَإنَّ الْأَعْضَاءَ كُلَّهَا تُكَفِّرُ اللِّسَانَ، فَتَقُوْلُ: اِتِّقِ اللِّه فِيْنَا، فَإنَّمَا نَحْنُ بِكَ؛ فَإنِ اسْتَقَمْتَ اِسْتَقَمْنَا، وَإِنِ اعْوَجَجْتَ اعْوَجَجْنَا. (رواه الترمذي)
অর্থ মুবারক: “হযরত আবু সাঈদ খুদরী রদি¦য়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “বান্দা যখন ভোরে ঘুম থেকে উঠে তখন তার প্রত্যেক অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ জিহ্বাকে বিনয়ের সাথে বলে, আমাদের ব্যাপারে মহান আল্লাহ পাক উনাকে ভয় কর, কেননা আমরা তোমার সাথে জড়িত বা সংযুক্ত। যদি তুমি ঠিক থাক আমরাও ঠিক থাকব। আর যদি তুমি বাঁকা হও তাহলে আমরাও বাঁকা হব।” (তিরমিযী শরীফ)
আরো ইরশাদ মুবারক হয়েছে,
عَنْ سُفْيَانَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ الثَّقَفِيِّ قَالَ قُلْتُ : يَا رَسُولَ اللَّهِ مَا أَخْوَفُ مَا تَخَافُ عَلَيَّ فَأَخَذَ بِلِسَانِ نَفْسِهِ ، ثُمَّ قَالَ : هَذَا
অর্থ মুবারক: “হযরত সুফিয়ান ইবনে আবদুল্লাহ ছাকাফী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বলেন, আমি বললাম,ইয়া রসূলাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আমার জন্য সবচেয়ে ভয়ংকর কোন বিষয়টি? তখন তিনি উনার পবিত্র জবান মুবারক উনাকে ধরে বললেন, এটা।” (তিরমিযী শরীফ)
হযরত মুয়ায বিন জাবাল রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বলেন,
قَالَ: أَلَا أُخْبِرُكَ بِمِلَاكِ ذلِكَ كُلِّه؟ قُلْتُ بَلى يَا نَبِيَّ اللهِ فَأَخَذَ بِلِسَانِه فَقَالَ: كَفِّ عَلَيْكَ هذَا فَقُلْتُ يَا نَبِيَّ اللهِ وَإِنَّا لَمُؤَاخَذُوْنَ بِمَا نَتَكلَّمُ بِه قَالَ ثَكِلَتْكَ أُمُّكَ يَا مُعَاذُ وَهَلْ يُكَبُّ النَّاسُ فِي النَّارِ عَلَى وُجُوْهِهِمْ أَوْ عَلى مَنَاخِرِهِمْ اِلَّا حَصَائِدَ اَلْسِنَتِهِمْ. (رواه احمد و الترمذى وابن ماجه)
অর্থ মুবারক: নূরে মুজাস্সাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বললেন, “আমি কি আপনাকে এ সমস্ত বিষয়ের (দ্বীন উনার) মূল কি, সে বিষয়ে সংবাদ দিবো না? আমি বললাম, হ্যাঁ, অবশ্যই হে মহান আল্লাহ পাক উনার নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! তখন তিনি (নূরে মুজাস্সাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) উনার জবান মুবারক ধরলেন এবং বললেন, আপনার এই জবানকে সংযত রাখুন। তখন হযরত মুয়ায বিন জাবাল রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু বললেন, এই জবান দ্বারা আমরা যা কিছু বলি, এর জন্য আমরা অবশ্যই পাকড়াও হয়ে যাবো। নূরে মুজাস্সাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বললেন, আপনার মা আপনাকে হারাক, হে মুয়ায রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু!। মানুষকে জাহান্নামে তাদের চেহারার উপর অথবা নাকের উপর উপুড় করে ফেলা হবে তাদের যবানের অসংযত কথা-বর্তার কারণে। নাঊযূবিল্লাহ! (তিরমিযী, ইবনে মাযাহ্, আহমদ শরীফ)
আল্লহ পাক যেন আমাদেরকে মিথ্যা বর্জন করে,