মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, ‘মহান আল্লাহ পাক উনার নিদর্শন সম্বলিত দিবসগুলিকে স্মরণ করিয়ে দিন সমস্ত কায়িনাতকে। নিশ্চয়ই এর মধ্যে ধৈর্যশীল ও শোকরগোজার বান্দা-বান্দী উনাদের জন্য ইবরত ও নছীহত রয়েছে।’ সুবহানাল্লাহ!



আজ সুমহান বেমেছাল ফযীলতপূর্ণ ১১ই জুমাদাল ঊলা শরীফ। সুবহানাল্লাহ! সাইয়্যিদাতু নিসায়ি আহলিল জান্নাহ, বিনতু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদাতুনা হযরত আন নূরুছ ছালিছাহ আলাইহাস সালাম উনার পবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ দিবস। সুবহানাল্লাহ! তাই সকলের জন্য দায়িত্ব-কর্তব্য হচ্ছে- এ মুবারক দিবস উপলক্ষে মাহফিল করে উনার পবিত্র সাওয়ানেহ উমরী মুবারক আলোচনা করা।

আর সরকারের জন্যও দায়িত্ব-কর্তব্য হচ্ছে- উনার পবিত্র জীবনী মুবারক শিশুশ্রেণী থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ শ্রেণী পর্যন্ত সমস্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সিলেবাসের অন্তর্ভুক্ত করা এবং এ মহান দিবসে মাহফিল আয়োজন করা।

- ক্বওল শরীফ: সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুল উমাম আলাইহিস সালাম
========

যামানার লক্ষ্যস্থল ওলীআল্লাহ, যামানার ইমাম ও মুজতাহিদ, ইমামুল আইম্মাহ, মুহইউস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, মুজাদ্দিদে আ’যম, ক্বইয়ূমুয যামান, জাব্বারিউল আউওয়াল, ক্বউইয়্যূল আউওয়াল, সুলত্বানুন নাছীর, হাবীবুল্লাহ, জামিউল আলক্বাব, আওলাদে রসূল, মাওলানা সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুল উমাম আলাইহিস সালাম তিনি বলেন- নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার লখতে জিগার, অত্যন্ত স্নেহময়ী বিনতু এবং সর্বপ্রথম উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত কুবরা আলাইহাস সালাম উনার মহাসম্মানিতা চার বানাত আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের একজন অর্থাৎ তৃতীয়া বিনতু সাইয়্যিদাতুন নিসা হযরত আন নূরুছ ছালিছাহ আলাইহাস সালাম। মূলত তিনি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত আওলাদ আলাইহিমুস সালাম উনাদের অন্যতমা। 

মুজাদ্দিদে আ’যম, সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুল উমাম আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, সাইয়্যিদাতু নিসায়ি আহলিল জান্নাহ, উম্মু আবীহা সাইয়্যিদাতুনা হযরত আন নূরুছ ছালিছাহ আলাইহাস সালাম তিনি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার আনুষ্ঠানিক নুবুওওয়াত মুবারক প্রকাশের প্রায় পাঁচ বছর পূর্বে পবিত্র জুমুদাল ঊলা শরীফ উনার ১১ তারিখে পবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ করেন। তিনিও প্রথমা বিনতু সাইয়্যিদাতুনা হযরত আন নূরুল উলা আলাইহাস সালাম ও দ্বিতীয়া বিনতু সাইয়্যিদাতুনা হযরত আন নূরুছ ছানিয়া আলাইহাস সালাম উনাদের ন্যায় অত্যন্ত খুবছূরত ছিলেন। তিনি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার এবং উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত কুবরা আলাইহাস সালাম উনাদের গুণে গুণান্বিত ছিলেন। সুবহানাল্লাহ!

মুজাদ্দিদে আ’যম, সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুল উমাম আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, বিনতু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদাতু নিসায়ি আহলিল জান্নাহ, উম্মু আবীহা সাইয়্যিদাতুনা হযরত আন নূরুছ ছালিছাহ আলাইহাস সালাম উনার অল্প বয়স মুবারকে নিসবাতুল আযীম মুবারক সম্পন্ন হয়। প্রথম নিসবাতুল আযীম মুবারক সম্পন্ন হয় আবু লাহাবের ছেলে উতাইবা’র সাথে। পবিত্র ‘সূরা মাসাদ’ শরীফ নাযিল হওয়ার পর উতাইবা সে বিনতু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদাতুনা হযরত আন নূরুছ ছালিছাহ আলাইহাস সালাম উনার সম্মানিত খিদমত মুবারক করার অযোগ্য বলে প্রমাণিত হয়। পরবর্তীতে বিনতু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদাতুনা হযরত নূরুছ ছানিয়াহ আলাইহাস সালাম তিনি পবিত্র বিছালী শান মুবারক প্রকাশ করার পরে তৃতীয় হিজরী সনের পবিত্র ৩রা রবীউল আউওয়াল শরীফে সাইয়্যিদুনা হযরত যুন নূরাইন আলাইহিস সালাম উনার সাথে পবিত্র নিসবাতুল আযীম মুবারক সম্পন্ন হয়। সুবহানাল্লাহ!

মুজাদ্দিদে আ’যম, সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুল উমাম আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, সাইয়্যিদুনা হযরত যুন নূরাইন আলাইহিস সালাম উনার সাথে পবিত্র নিসবাতুল আযীম মুবারক সম্পন্ন হওয়ার ৬ বছর পর হিজরী নবম সালে পবিত্র ৬ই রমাদ্বান শরীফ সাইয়্যিদাতু নিসায়ি আহলিল জান্নাহ, উম্মু আবীহা সাইয়্যিদাতুনা হযরত আন নূরুছ ছালিছাহ আলাইহাস সালাম তিনি পবিত্র বিছালী শান মুবারক প্রকাশ করেন। অর্থাৎ তিনি ২৬ বছর ৩ মাস ২৫ দিন দুনিয়ার যমীনে অবস্থান মুবারক করেন। নুরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি স্বয়ং উনার পবিত্র জানাযা নামায পড়ান। হযরত আসমা বিনতে উমায়স রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহা এবং হযরত ছাফিয়া রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহা উনারা উনাকে গোছল মুবারক দেন। সুবহানাল্লাহ!

মুজাদ্দিদে আ’যম, সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুল উমাম আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, মূলত উনার ফাযায়িল-ফযীলত, মর্যাদা-মর্তবা ও বুযূর্গী সম্পর্কিত ইলম না থাকার কারণে অনেকেই উনাকে যথাযথ মুহব্বত ও অনুসরণ করতে পারছে না। যার ফলে তারা মহান আল্লাহ পাক উনার ও উনার হাবীব, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের খাছ রেযামন্দি হাছিলে ব্যর্থ হচ্ছে। তাই উনার সম্পর্কে জানা সকলের জন্যই ফরয। কেননা যে বিষয়টা আমল করা ফরয, সে বিষয়ে ইলম অর্জন করাও ফরয। অথচ আশ্চর্যের বিষয় হলো- ৯৮ ভাগ মুসলমানের দেশ বাংলাদেশের মাদরাসা, স্কুল-কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ্যসূচিতে উনার সম্পর্কে কোনো আলোচনাই নেই। তাহলে মুসলমানরা কী করে হাক্বীক্বী মুসলমান হবে? তাই সকলের জন্য দায়িত্ব-কর্তব্য হচ্ছে- এ মুবারক দিবস উপলক্ষে মাহফিল করে উনার পবিত্র সাওয়ানেহ উমরী মুবারক আলোচনা করা। আর সরকারের জন্যও দায়িত্ব-কর্তব্য হচ্ছে- উনার পবিত্র জীবনী মুবারক শিশুশ্রেণী থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ শ্রেণী পর্যন্ত সমস্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সিলেবাসের অন্তর্ভুক্ত করা এবং এ মহান দিবসে মাহফিল উনার আয়োজন করা।
-০-

শেয়ার করুন
পূর্ববর্তী পোষ্ট
পরবর্তী পোষ্ট