রোগ নিরাময়ে সুন্নতী সিরকা

রোগ নিরাময়ে সুন্নতী সিরকা
"সিরকা
রোগ নিরাময়ে সুন্নতী সিরকা
১। আরবি শব্দ خَلٌ (খল) বা সিরকা হল এক ধরনের তরল পানীয়, যা 
খাদ্যের সাথে ব্যবহার করার শিক্ষা দিয়েছেন স্বয়ং যিনি সর্বকালের 
সর্বশ্রেষ্ঠ নবী ও রসূল শেষ নবী হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া 
সাল্লাম তিনি। তাই সিরকা খাওয়া খাছ সুন্নত বলা হয়।
১। সিরকা একটি রোগ নিরাময়ী পানীয় এতে বিভিন্ন রোগের আরোগ্য
রয়েছে।
২। গ্যাস্টিকের সমস্যা সম্পূর্ণ রুপে দূর করে। 
৩। সিরকা খেলে দ্রুত দেহের ওজন কমে
৪। ব্রণ ও রোদে পোড়া ভাব দূর করে
৫। ক্ষুধা কম লাগে
৬। পেটের চর্বি কমায়
৭। উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি কমায় এবং হৃৎপিণ্ড সুস্থ রাখতে।
৮। ক্যানসারের ঝুঁকি কমাতে কার্যকরী।
৯। ঘামের দুর্গন্ধ সৃষ্টিকারী ব্যাকটেরিয়া প্রতিহত করে।
১০। হজমে সহায়তা করে কোষ্ঠকাঠিন্য ও ডায়রিয়াসহ অন্ত্রের
 অন্যান্য রোগের চিকিৎসা দেয়।

"👑কেন সিরকা পান করবেন?👑
সিরকার উপকার সীমাহীন। বলা যায়, ঘরের ডাক্তার সুন্নতী সিরকা বা ভিনেগার। 
✳️কেন সিরকাকে যে কোন রোগের ওষুধ বলে মনে করা হয়, আসুন জেনে নিই।
১. সিরকা খাওয়া খাছ সুন্নত মুবারক।
২. প্রায় সমস্ত নবী রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের খাবার ছিল সিরকা। 
৩. গ্যাস্টিকের দ্রুত সমাধান দেয় ।   
৪. সিরকা খেলে দ্রুত দেহের ওজন এবং চর্বি কমায় । 
৫. ব্রণ ও রোদে পোড়া ভাব দূর করে। 
৬. অতি দ্রুত খাবার ডাইজেস্ট হয় বিধায় ক্ষুধা লাগে।  
৭. রুগ্নদের রুচি বৃদ্ধির মাধ্যমে স্বাস্থ্যর উন্নতি সাধন করে। 
৮. উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি কমায় এবং হৃৎপিণ্ড সুস্থ রাখে। 
৯. ক্যানসারের ঝুঁকি কমাতে কার্যকরী। 
১০. ঘামের দুর্গন্ধ সৃষ্টিকারী ব্যাকটেরিয়াকে প্রতিহত করে। 
১১. শারীরিক সক্ষমতা বজায় রাখতে সাহায্য করে। 
১২. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।  
১৩. ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রেনে বিশেষ ভুমিকা রাখে । 
১৪. রান্নার স্বাদ বৃদ্ধিতে সিরকা ব্যবহার প্রাচীনকাল থেকেই। 
১৫. অনিদ্রার রোগীদের জন্যেও সিরকা বেশ উপকারি।
১৬. প্রতিদিন রাতে ঘুমের আগে গরম পানির সাথে সিরকা মিশিয়ে গোসল করলে শরীর ব্যথা ও শরীরের স্নায়ুর উত্তেজনা কমে, ফলে মন শিথিল হয়। তাই সহজেই ঘুম চলে আসে । 
১৭. সিরকা মেশানো পানিতে চুল ধুয়ে নিলে চুল খুশকি মুক্ত ও ঝরঝরে থাকে।
১৮. কোষ্ঠকাঠিন্য ও ডায়রিয়াসহ অন্ত্রের অন্যান্য রোগের চিকিৎসা দেয়। 
১৯. পেটের সকল সমস্যা দূর করতে সিরকা অনেক বেশি কার্যকারী । 
২০. যে কোন রোগের জন্য আমরা নিয়ত করে সিরকা পান করতে পারি।
২১. কোন প্রকার সাইড ইফেক্ট নেই। 
🔖সম্পূর্ণ অর্গানিক, সুন্নতী খাবার সিরকা পাওয়া যাচ্ছে আন্তর্জাতিক সুন্নত মুবারক প্রচার কেন্দ্রে আজই সংগ্রহ করুন। 
অর্ডার করতে কল করুন,
☎️+8801722 999448 
#Vinager #sirka #purewater #water #waterfall #watercolor #drinks #drinking #drinklocal #drinkingwater #DrinkResponsibly 
#90DaysMahfil 
SM40.Com

মিসওয়াক করার গুরুত্ব, ফযীলত এবং মহাসম্মানিত সুন্নতী তারতীব মুবারক

মিসওয়াক করার গুরুত্ব, ফযীলত এবং মহাসম্মানিত সুন্নতী তারতীব মুবারক
মিসওয়াক করার গুরুত্ব, ফযীলত এবং মহাসম্মানিত সুন্নতী তারতীব মুবারক---

মিসওয়াক কি:
মিসওয়াক (سِوَاكُ) সিওয়াক থেকে নির্গত। অর্থ মাজা, ঘষা। মুখগহ্বর, দাঁত ও জিহ্বাসহ মুখের অভ্যন্তর ভাগ পরিষ্কার করার জন্য গাছের যে ডাল বা শিকড়ের নরম ও মসৃন অংশ ব্যবহার করা হয় তাকে মিসওয়াক (مِسْوَاكٌ) বলে।
মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদেরকে পবিত্রতা অর্জনের জন্য যে তিনটি বিধান দিয়েছেন তার মধ্যে ওযূ একটি, আর ওযূর সৌন্দর্য বর্ধণের কয়েকটি বিধানের মধ্যে মুখগহ্বর পরিস্কার করা একটি বিধান। মিসওয়াক করা খাছ সুন্নতে রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম।
পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-

إِنَّ اللَّهَ يُحِبُّ التَّوَّابِينَ وَيُحِبُّ الْمُتَطَهِّرِينَ

অর্থ: “নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ পাক তিনি তওবাকারী এবং পবিত্রতা অর্জনকারীদেরকে পছন্দ করেন।” (পবিত্র সূরা বাক্বারা শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ২২২)
কাজেই প্রতিটি ক্ষেত্রে অপবিত্রতা থেকে বেঁচে থাকতে হবে। আর পবিত্রতা অর্জন করতে হবে।

মিসওয়াক ব্যবহারের দলীল:

(১) মিসওয়াক সম্পর্কে পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-

عَنْ حَضْرَتْ ام المؤمنين الثالثة الصديقة عليها السلام قَالَتْ قَال رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ السِّوَاكُ مَطْهَرَةٌ لِلْفَمِ مَرْضَاةٌ لِلرَّبِّ.
অর্থ : সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মু’মিনীন আছ ছালিছাহ ছিদ্দীক্বাহ আলাইহাস সালাম উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, মিসওয়াক হল মুখ পরিষ্কারকারী এবং মহান আল্লাহ পাক উনার সন্তুষ্টি লাভের উপায়।” (নাসাঈ শরীফ, মিশকাত শরীফ)

(২) অন্য বর্ণনায় এসেছে-
عَنْ حَضْرَتْ اِبْنِ عُمَرَ رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلَيْكُمْ بالسِّوَاكِ فَاِنـَّـهَا مَطْهَرَةٌ لِلْفَمِ مَرْضَاةٌ لِلرَّبِّ.
অর্থ : “হযরত ইবনে উমর রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, তোমাদের জন্য মিসওয়াক ব্যবহার করা অপরিহার্য। কারণ এতে মুখের পবিত্রতা হাছিল হয় এবং মহান আল্লাহ পাক উনার সন্তুষ্টি মুবারক অর্জিত হয়।” (বুখারী শরীফ)

(৩) মিসওয়াক করার প্রতি জোর তাকীদ প্রদান করে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
عَنْ حَضْرَتْ اَبِـىْ هُرَيْرَةَ رَضِىَ اللهُ تَعَالـٰى عَنْهُ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَوْلاَ أَنْ أَشُقَّ عَلَى أُمَّتِي لَأَمَرْتُـهُمْ بِالسِّوَاكِ عِنْدَ كُلِّ وُضُوءٍ.
অর্থ : “হযরত আবূ হুরায়রা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, যদি আমি আমার উম্মতের উপর কঠিন মনে না করতাম তাহলে প্রত্যেক ওযূর সাথে তাদেরকে মিসওয়াক করার নির্দেশ দিতাম।” (বুখারী শরীফ)

(৪) অন্য বর্ণনায় এসেছে-
عَنْ حَضْرَتْ أَبِيْ هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ اَنَّ رَسُوْلَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ لَوْلاَ اَنْ اَشُقَّ عَلَى اُمَّتِيْ اَوْ عَلَى النَّاسِ لَاَمَرْتُـهُمْ بِالسِّوَاكِ مَعَ كُلِّ صَلٰوةٍ.
অর্থ : “হযরত আবূ হুরায়রা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, আমার উম্মতের জন্য যদি কঠিন মনে না করতাম, তাহলে প্রত্যেক ছলাতের সাথে তাদেরকে মিসওয়াক করার নির্দেশ দিতাম।” (বুখারী শরীফ, মিশকাত শরীফ)

সময়:
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি পাঁচ ওয়াক্ত নামায আদায়ের জন্য যেমন নামাযের পূর্বে ওযূর সাথে মিসওয়াক করতেন ঠিক তেমনি রাতে উঠে তাহাজ্জুদ নামায আদায়ের জন্যও মিসওয়াক করতেন। যেমন পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
عنْ حَضْرَتْ حُذَيْفَةَ رَضِيَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ اِذَا قَامَ لِلتَّهَجُّدِ مِنَ اللَّيْلِ يَشُوْصُ فَاهُ بِالسِّوَاكِ.
অর্থ : “হযরত হুযায়ফা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি রাতের বেলা যখন তাহাজ্জুদ নামাযের জন্য উঠতেন, তখন মিসওয়াক দ্বারা উনার মহাপবিত্র নূরুস সালাম (মহাপবিত্র মুখ মুবারক) মিসওয়াক করে নিতেন।” (বুখারী শরীফ)

নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি শুধু নামাযের আগেই মিসওয়াক করতেন তা কিন্তু নয় বরং তিনি যখন পবিত্র হুজরা শরীফ উনার মধ্যে প্রবেশ করতেন তখন সর্বপ্রথম মিসওয়াক করতেন।عَنْ حَضْرَتِ الْمِقْدَامِ بْنِ شُرَيْحٍ رَضِيَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ عَنْ اَبِيْهِ قَالَ سَاَلْتُ حَضْرَتْ ام المؤمنين الثالثة الصديقة عليها السلام قُلْتُ بِاَىِّ شَىْءٍ كَانَ يَبْدَاُ النَّبِىُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اِذَا دَخَلَ بَيْتَهُ قَالَتْ بِالسِّوَاكِ.
অর্থ : “হযরত মিকদাম ইবনে শুরাইহ্ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি উনার পিতা থেকে বর্ণনা করে বলেন, আমি সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মু’মিনীন আছ ছালিছাহ ছিদ্দীক্বাহ আলাইহাস সালাম উনাকে জিজ্ঞেস করলাম, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি যখন পবিত্র হুজরা শরীফ উনার মধ্যে প্রবেশ করতেন তখন কোন্ আমল মুবারকটি সর্বপ্রথম করতেন? সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মু’মিনীন আছ ছালিছাহ ছিদ্দীক্বাহ আলাইহাস সালাম তিনি বলেন, সর্বপ্রথম মিসওয়াক করতেন।” (মুসলিম শরীফ)

হযরত উলামায়ে কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনাদের থেকেও মিসওয়াকের ব্যাপারে গুরুত্বপূর্ণ দিকনির্দেশনা রয়েছে। তন্মধ্যে হযরত ইমাম নববী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেছেন, সবসময় মিসওয়াক করা মুস্তাহাব। তবে পাঁচ সময়ে অত্যন্ত জরুরী- 
১) নামাযের সময়! 
২) ওযূর সময়! 
৩) পবিত্র কুরআন শরীফ তিলাওয়াতের সময়! 
৪) ঘুম থেকে উঠলে ও! 
৫) মুখে দুর্গন্ধ হলে !

মূলত মিসওয়াক করার ফলে নামাযের ফযীলতও বহুগুণে বেড়ে যায়। যেমন পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত আছে-
عَنْ حَضْرَتْ جَابِرٍ رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ رَكْعَتَانِ بِالسِّوَاكِ اَفْضَلُ مِنْ سَبْعِيْنَ رَكْعَةً بِغَيْرِ سِوَاكٍ.
অর্থ : “হযরত জাবির রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, মিসওয়াক করে দু’রাকায়াত নামায পড়া মিসওয়াকবিহীন সত্তর রাকায়াত নামায পড়ার চেয়ে উত্তম।” (মিরকাত শরীফ) (অসমাপ্ত)

#90DaysMahfil
বিস্তারিত জানুন: SM40.com
সুন্নতী সামগ্রীর বিপুল সমাহার: Sunnat.info

সাইয়্যিদুনা হযরত ইমাম ইবনে যুন নূরাইন আলাইহিস সালাম উনার সংক্ষিপ্ত সাওয়ানেহ উমরী মুবারক বা পরিচিতি মুবারক

সাইয়্যিদুনা হযরত ইমাম ইবনে যুন নূরাইন আলাইহিস সালাম উনার সংক্ষিপ্ত সাওয়ানেহ উমরী মুবারক বা পরিচিতি মুবারক
❤️সাইয়্যিদুনা হযরত ইমাম ইবনে যুন নূরাইন আলাইহিস সালাম উনার সংক্ষিপ্ত সাওয়ানেহ উমরী মুবারক বা পরিচিতি মুবারক- সাইয়্যিদুনা হযরত ইমাম ইবনে যুন নূরাইন আলাইহিস সালাম উনার সবথেকে বড় পরিচয় মুবারক হচ্ছেন তিনি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত সিবতু বা নাতি আলাইহিস সালাম। সুবহানাল্লাহ!

🌹নাম মুবারক: হযরত ইমাম আব্দুল্লাহ ইবনে যুন নূরাইন আলাইহিস সালাম।
🌹যেভাবে সম্মোধন করা আদব: সিবতু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদুনা হযরত ইমাম ইবনে যুন নূরাইন আলাইহিস সালাম।
🌹সম্মানিত পিতা: পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার ৩য় খলীফা, সাইয়্যিদুনা হযরত যুন নূরাইন আলাইহিস সালাম।
🌹সম্মানিত মাতা: বিনতু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদাতুনা হযরত আন নূরুছ ছানিয়াহ আলাইহাস সালাম।
🌹বিলাদতী শান মুবারক: আনুষ্ঠানিকভাবে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নুবুওওয়াত ও রিসালত মুবারক প্রকাশের ১১তম বছর মুবারক পার হয়ে ১২তম বছর মুবারক উনার শুরুতে হাবশায়, ৫ রবী‘ঊছ ছানী শরীফ, সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আইয়্যাম শরীফ (ইয়াওমুল ইছনাইনিল ‘আযীম শরীফ)। তখন দুনিয়াবী দৃষ্টিতে সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বয়স মুবারক ৫১ তম বছর মুবারক পার হয়ে ৫২ তম বছর মুবারক চলমান। সুবহানাল্লাহ!
🌹বিছালী শান মুবারক: ৪র্থ হিজরীর পবিত্র ২২শে জুমাদাল ঊলা শরীফ ইয়াওমুল আরবিয়া।
দুনিয়াবী হায়াত মুবারক: ৬ বছর ১ মাস ১৭ দিন।
🌹পবিত্র রওজা শরীফ: পবিত্র মদীনা শরীফ।

☪️মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদের সবাইকে উনার হাক্বীক্বী নিসবত, মুহব্বত হাছীল করার তৌফিক দান করুন। আমীন!

#90DaysMahfil #Aiyamullah SM40.comPublished from Blogger Prime Android App

জাহাজভাঙা শিল্পের পিতল পাচার রোধে ব্যবস্থা নিতে রিট

জাহাজভাঙা শিল্পের পিতল পাচার রোধে ব্যবস্থা নিতে রিট
নিউজ ডেস্ক: একইসঙ্গে প্রত্যেকটি জাহাজ থেকে প্রাপ্ত পিতলের পরিমাণ নিবন্ধন, জাহাজভাঙা শিল্প-কারখানায় কর্মরত শ্রমিকদের প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ বাধ্যতামূলক না পলিসি গ্রহণ, জাহাজভাঙা শিল্প কারখানায় ১৮ বছরের নিচের কোনো ব্যক্তিকে নিয়োগ প্রদান না করা এবং শিল্প-কারখানার শ্রমিকদের দুর্ঘটনা রোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।

ইতিপূর্বে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বিবাদীদের প্রতি আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছিল। অন্যথায় প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানানো হয়েছিল। কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় পিটিশনটি ফাইল করা হয়েছে।

মানবাধিকার সংগঠন ল’ অ্যান্ড লাইভ ফাউন্ডেশন ট্রাস্টের পক্ষে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার মোহাম্মদ হুমায়ন কবির রিটটি ফাইল করেন।

বাংলাদেশে পিতলের চাহিদা দিন দিন বেড়েই চলছে। এটি দিয়ে তৈরি হচ্ছে দামি আসবাব, বাথরুম ফিটিংস তথা দৈনন্দিন ব্যবহার্য অনেক সামগ্রী। পিতলের ওপর ভিত্তি করে গড়ে উঠেছে হাজার হাজার শিল্প প্রতিষ্ঠান। এসবের বড় অংশের জোগান আসে আন্তর্জাতিক দরপত্রে ক্রয়কৃত বিভিন্ন জাহাজ থেকে শিপব্রেকিং ইয়ার্ডে সংগৃহীত পিতল থেকে। বাকিটা সংগৃহীত হয় স্থানীয়ভাবে।

ভারতে ব্যাপক চাহিদা থাকায় এসব পাচার হচ্ছে। ফলে বাংলাদেশের পিতল নির্ভর কারখানাগুলোকে বেশি দামে পার্শ্ববর্তী দেশটি এবং অন্য দেশ থেকে আমদানি করতে হয়। ফলে আমাদের দেশে পিতল সামগ্রীর মূল্য বৃদ্ধি পাচ্ছে।

একইসঙ্গে পিতলনির্ভর শিল্পপ্রতিষ্ঠান বন্ধের উপক্রম হচ্ছে। যা দেশের সামগ্রিক অর্থনীতির ওপর প্রভাব ফেলছে। বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত রিপোর্ট অনুযায়ী, একটি সিন্ডিকেট নিজেরা লাভবান হয়ে পিতল পাচার করে দেশের ক্ষতি করছে, যা বেআইনি এবং কোনোভাবেই কাম্য নয়।

বাংলাদেশের জাতীয় শিল্পনীতি-২০২২ অনুযায়ী, দেশীয় শিল্পের স্বার্থ সংরক্ষণ, উন্নয়ন ও বিকাশ করার কথা বলা হয়েছে। কাজেই দেশীয় শিল্পের স্বার্থ সংরক্ষণ, উন্নয়ন ও বিকাশে অবশ্যই জনস্বার্থ রক্ষায় পিতল পাচার বন্ধ করতে হবে।

এছাড়া শিপ ব্রেকিং ইয়ার্ডগুলোতে শিশু শ্রমিক নিয়োগ করা হয়, যা আইনসঙ্গত নয়। জাহাজভাঙা শিল্প কারখানায় প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থার অপ্রতুলতা এবং নিরাপত্তা সামগ্রীর অভাবে প্রতিবছর বহু সংখ্যক শ্রমিক দুর্ঘটনার শিকার হয়ে হতাহত হন। যার তেমন কোনো প্রতিকার নেই। আইনে সুস্পষ্টভাবে বাধ্যতামূলক শ্রমিকদের জন্য বীমা করার বিধান থাকলেও সেটা করা হচ্ছে না।

বাণিজ্য সচিব, বাংলাদেশ ট্রেড এবং ট্যারিফ কমিশনের চেয়ারম্যান, এক্সপোর্ট প্রমোশন ব্যুরোর চেয়ারম্যান, দুর্নীতি দমন কমিশন, বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যানসহ ১০ জনকে বিবাদী করা হয়েছে।Published from Blogger Prime Android App

সমুদ্রভিত্তিক শক্তিশালী অর্থনীতি গঠনে নৌবাহিনীর বিকল্প নেই : প্রধানমন্ত্রী

সমুদ্রভিত্তিক শক্তিশালী অর্থনীতি গঠনে নৌবাহিনীর বিকল্প নেই : প্রধানমন্ত্রী
নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশের বিশাল সমুদ্র অঞ্চলের সার্বভৌমত্ব রক্ষা এবং সমুদ্রভিত্তিক শক্তিশালী অর্থনীতি গঠনের জন্য শক্তিশালী নৌবাহিনীর কোনো বিকল্প নেই বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

রোববার (৩০ অক্টোবর) গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশ নৌবাহিনীতে ২টি মেরিটাইম প্যাট্রোল এয়ারক্রাফট (এমপিএ) সংযোজন এবং নৌবাহিনীর রীতি অনুযায়ী নামফলক উন্মোচন অনুষ্ঠানে তিনি একথা জানান।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, নতুন দুই এমপিএ সংযোজনের মাধ্যমে নেভাল অ্যাভিয়েশনের সক্ষমতা বহুলাংশে বাড়বে এবং এর মাধ্যমে স্বল্প সময়ে দ্রুততার সঙ্গে বাংলাদেশের সুবিশাল সমুদ্রসীমা টহল দেওয়া আরও সহজ হবে।

শেখ হাসিনা বলেন, বর্তমান সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই ফোর্সেস গোল-২০৩০-এর আলোকে বাংলাদেশ নৌবাহিনীকে একটি যুগোপযোগী ত্রিমাত্রিক নৌবাহিনী হিসেবে গড়ে তোলার জন্য বিভিন্ন অবকাঠামোগত উন্নয়ন, নৌবহরে যুদ্ধজাহাজ সংযোজন, জাহাজগুলোর অপারেশনাল সক্ষমতা বাড়ানো এবং অপারেশনাল অ্যাভিয়েশন উইং গঠনসহ বিভিন্ন বাস্তবমুখী পরিকল্পনা নিয়েছে। জাতির পিতার প্রণীত প্রতিরক্ষা নীতির আলোকে বাংলাদেশ নৌবাহিনীকে একটি শক্তিশালী নৌবাহিনী হিসেবে গড়ে তোলার জন্য বর্তমান সরকার নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।

সরকারপ্রধান বলেন, বাংলাদেশ নৌবাহিনীতে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক আধুনিক যুদ্ধজাহাজ, হেলিকপ্টার, মেরিটাইম প্যাট্রোল এয়ারক্রাফট এবং সাবমেরিনসহ আধুনিক যুদ্ধ সরঞ্জাম ও প্রযুক্তি সংযোজিত হয়েছে। এর মাধ্যমে বাংলাদেশ নৌবাহিনীকে একটি পূর্ণাঙ্গ ত্রিমাত্রিক নৌবাহিনী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

এমপিএ ও হেলিকপ্টার পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য আধুনিক সকল সুবিধা সম্বলিত বিভিন্ন অবকাঠামোগত উন্নয়ন কার্যক্রম সম্পন্ন হয়েছে। এই সকল টহল বিমান সংযোজন দেশের সমুদ্র সম্পদ রক্ষা ও নিজ জলসীমায় যে কোনো ধরনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় গুরুত্বপূর্ণ সহায়ক ভূমিকা পালন করবে বলে তিনি মন্তব্য করেন।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে নৌ সদর দফতরের পিএসওরা, চট্টগ্রামসহ অন্যান্য নৌ অঞ্চলের আঞ্চলিক কমান্ডাররা, মুক্তিযোদ্ধা নৌ কমান্ডোসহ বিশিষ্ট ব্যক্তি এবং ঊর্ধ্বতন সামরিক ও অসামরিক কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।Published from Blogger Prime Android App

পবিত্র মীলাদ শরীফ উনার তাবারুক নিয়ে ব্যঙ্গ বিদ্রুপ কারীরা ছোটলোক

পবিত্র মীলাদ শরীফ উনার তাবারুক নিয়ে ব্যঙ্গ বিদ্রুপ কারীরা ছোটলোক
পবিত্র মীলাদ শরীফ উনার তাবারুক নিয়ে ব্যঙ্গ বিদ্রুপ কারীরা ছোটলোক
====================================
এক শ্রেনীর ইসলাম বিদ্বেষীরা পবিত্র ঈদে মীলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার তাবারুক নিয়ে বিভিন্ন অপপ্রচার চালায়। তারা ব্যঙ্গাত্মকভাবে সিন্নীখোর, বিরানীখোর ইত্যাদি অশালীন কথা বলে। এদর কথা শুনে মনে হয় এরা নিজেরাও না খেয়ে থাকে, অন্যকে তো খাবার খাওয়াই না। (অবশ্য কওমী ওহাবীরা অন্যরটা খেতে অভ্যস্থ, মানুষকে খাওয়ানোর কথা তারা স্বপ্নেও দেখে নাই)

মানুষকে খাদ্য খাওয়ানোর ফযীলত সম্পর্কে পবিত্র কুরআন শরীফ হাদীস শরীফ উনার মধ্যে অনেক দলীল দেয়া আছে।
খাদ্য খাওয়ানো ব্যক্তি মহান আল্লাহ পাক উনার অনুগ্রহ লাভে ধন্য হবেন। মহান আল্লাহ পাক পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেন,
إِنَّمَا نُطْعِمُكُمْ لِوَجْهِ اللهِ لاَ نُرِيْدُ مِنْكُمْ جَزَاءً وَلاَ شُكُوْرًا
অর্থ: “তারা বলে, কেবল আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে আমরা তোমাদের আহার্য দান করি, তোমাদের নিকট এর কোন প্রতিদান চাই না এবং কৃতজ্ঞতাও কামনা করি না’ (পবিত্র সূরা দাহর শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ৭৬/৯)
পবিত্র হাদীস শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত আছে,
عن حضرت عبد الله بن سلام رضى الله تعالى عنه قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم يايها الناس افشوا السلام واطعموا الطعام وصلوا الارحام وصلوا باليال والناس نيام تدخلوا الجنة بسلام
অর্থ: “হযরত আব্দুল্লাহ বিন সালাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, হে লোক সকল! তোমরা সালামের প্রচলন কর, মানুষকে খাদ্য খাওয়াও, আত্মীয়তার সম্পর্ক রক্ষা কর এবং রাতের বেলায় মানুষ যখন ঘুমিয়ে থাকে তখন নামায পড় তাহলে শান্তির সাথে জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে।” (তিরমিযী শরীফ ১৮৫৫, ইবনে মাযাহ্ শরীফ ১৩৯৫, আদাবুল মুফাররাদ ৯৮১, আবদ ইবনে হুমাইদ ৩৫৫, দারিমী)
মহান আল্লাহ পাক তিনি ‘পবিত্র সূরা হজ্জ শরীফ’ উনার ২৮ নম্বর পবিত্র আয়াত শরীফি উনার মধ্যে আরো ইরশাদ মুবারক করেন, “এবং নির্দিষ্ট দিনগুলোতে মহান আল্লাহ তায়ালা উনার নাম মুবারক স্মরণ করে উনার দেয়া চতুষ্পদ জন্তু যবেহ করো। অতঃপর তোমরা তা থেকে আহার করো এবং দুস্থ অভাবগ্রস্তকে আহার করাও।”

আতএব মানুষকে খাদ্য খাওয়ানোও একটা ইবাদত। যারা এ বিষয়কে টিটকারী তুচ্ছ্য তাচ্ছিল্য করে তারা পবিত্র কুরআন শরীফ পবিত্র হাদীস শরীফ এহানতকারী। আর অন্য একটা বিষয় হচ্ছে এরা নিম্ন শ্রেনীর ফ্যামিলির লোক। এরা নিজেরাও খায় না। অন্যকে খাওয়ানোর কথা ভাবে না। কলিকাতার হিন্দুদের মত এদের অবস্থা। যারা বলে অর্ধেকটি দিলুম, পুরাটা খাবেন।

সুমহান ৯০ দিন ব্যাপী আযিমুশশান মাহফিল সম্মানিত প্রতিষ্ঠাতা পৃষ্ঠপোষক: 
======================
সাইয়্যিদুনা মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা
আলাইহিস সালাম যিনি সম্মানিত শায়িখ
রাজারবাগ দরবার শরীফ।

حدث رائع في التاريخ في بنغلاديش
 تسعين يوما طويلة المحفل

A wonderful event in history happening in Bangladesh: 90 days long mahfil

#90DaysMahfil 
বিস্তারিত দেখুন: 
sm40com

‘আন্তর্জাতিক পবিত্র সুন্নত মুবারক প্রচার কেন্দ্র’ থেকে সংগ্রহ করুন কালোজিরা ও কালোজিরার তেল ।

‘আন্তর্জাতিক পবিত্র সুন্নত মুবারক প্রচার কেন্দ্র’ থেকে সংগ্রহ করুন কালোজিরা ও কালোজিরার তেল ।
‘আন্তর্জাতিক পবিত্র সুন্নত মুবারক প্রচার কেন্দ্র’ থেকে সংগ্রহ করুন কালোজিরা ও কালোজিরার তেল ।

নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, মৃত্যু ছাড়া এমন কোন রোগ নেই কালোজিরায় যার আরোগ্যতা নেই।”
নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি আরও ইরশাদ মুবারক করেন, যখন রোগ-যন্ত্রণা খুব বেশী কষ্টদায়ক হয় তখন এক চিমটি পরিমাণ কালোজিরা নিয়ে খাবে তারপর পানি ও মধু সেবন করবে।

প্রায় সকল রোগেই বিভিন্নভাবে কালোজিরা ও কালোজিরার তেল ব্যবহারে নানাবিধ উপকার পাওয়া যায়। এ সম্পর্কে আরও বিস্তারিত জানতে মহাপবিত্র রাজারবাগ দরবার শরীফ থেকে প্রকাশিত ‘বরকমতময় সুন্নতী খাদ্যসমূহ’ কিতাবখানি সংগ্রহ করুন। বরকতময় ও পবিত্রতম সকল নিত্যপ্রয়োজনীয় সুন্নতী সামগ্রী সংগ্রহ করতে যোগাযোগ করুন-

আন্তর্জাতিক পবিত্র সুন্নত মুবারক প্রচার কেন্দ্র, সাইয়্যিদুল আইয়াদ শরীফ গেট, ৫ আউটার সার্কুলার রোড, রাজারবাগ শরীফ, ঢাকা- ১২১৭

ফোন: 01722990448 (WhatsApp, Telegram)

সুমহান ৯০ দিন ব্যাপী আযিমুশশান মাহফিল সম্মানিত প্রতিষ্ঠাতা পৃষ্ঠপোষক: 
======================
সাইয়্যিদুনা মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা
আলাইহিস সালাম যিনি সম্মানিত শায়িখ
রাজারবাগ দরবার শরীফ।

حدث رائع في التاريخ في بنغلاديش
 تسعين يوما طويلة المحفل

A wonderful event in history happening in Bangladesh: 90 days long mahfil

#90DaysMahfil 
বিস্তারিত দেখুন: 
sm40com

The moon was split in two by a gesture of the blessed finger of our beloved Prophet Sallallahu Alaihi wa Sallam

The moon was split in two by a gesture of the blessed finger of our beloved Prophet Sallallahu Alaihi wa Sallam
The moon was split in two by a gesture of the blessed finger of our beloved Prophet Sallallahu Alaihi wa Sallam 

عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ أَنَّهُ حَدَّثَهُمْ أَنَّ أَهْلَ مَكَّةَ سَأَلُوْا رَسُوْلَ اللهِ صلى الله عليه وسلم أَنْ يُرِيَهُمْ آيَةً فَأَرَاهُمْ انْشِقَاقَ الْقَمَرِ

 Narrated by Hazrat Anas Ibn Malik Radiyallahu Anhu, the disbelievers of Makkah asked Huzur Pak sallallahu alaihi wa sallam for guidance, and he showed them the moon in two.

(Bukhari Shareef: 3637) 

Match it with any formula of physics?
 All the scientists will not be able to match the calculation of such a gesture of the blessed finger of our Prophet until the doomsday.


Sallallahu Ala Rasulillah, Sallallahu Alaihi wa Sallam 

Sumohan 90-Days Azimushshan Mahfil Honorary Founder Patron:
 ======================
 Sayiduna Mamduh Hazrat Murshid Qibla
 Alaihis Salam who is the respected Shaykh
 Rajarbag Dorbar Shareef .

حدث رائع في التاريخ في بنغلاديش
 تسعين يوما طويلة المحفل

A wonderful event in history happening in Bangladesh: 90 days long mahfil

#90DaysMahfil 
See details:
sm40com

সাবধান! মৌলুদ আর মিলাদ কিন্তু এক নয় !

সাবধান! মৌলুদ আর মিলাদ কিন্তু এক নয় !
সাবধান! মৌলুদ আর মিলাদ কিন্তু এক নয় !
==================================

ঈদে মীলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিরোধীরা প্রায় বলে থাকে, হযরত মুজাদ্দিদে আলফে সানী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি নাকি ঈদে মীলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিরোধীতা করেছেন এবং তারা দলীল স্বরুপ বলে থাকে, যেখানে মুজাদ্দিদে আলফে সানী রহমতুল্লাহি বলেন- “যদি আল্লাহর নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আজকের যুগে থাকতেন আর এই সব মাহফিল দেখতে পেতেন, আমি হেন অধমের দৃঢ় বিশ্বাস যে কখনো তিনি এ কাজ পছন্দ করতেন না, বরং এ সব অনুষ্ঠান একেবারে বন্ধ করে দিতেন”। পাশাপাশি তারা অনেক ইমাম-মুজতাহিদগণ উনাদের রেফারেন্স ব্যবহার করে।

কিন্তু এ কাজ করতে গিয়ে বীরুধীতাকারীরা একটি বিষয় এড়িয়ে যায়, তা হলো মৌলুদ আর মাউলিদ/ঈদে মীলাদ এক নয়। ঐ সময় মৌলুদ নামক এক চরম বেহায়া, বেদাতী, হারাম নাজায়েজ অনুষ্ঠানের প্রচলন করা হতো। যেখানে গান-বাদ্য-বেহায়া বেপর্দার ঘটনা ঘটতো। যেসব দলিল ঈদে মীলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিরোধীতায় বর্তমানে ব্যবহার করা হচ্ছে সেগুলো মূলত মৌলুদ নামক অনুষ্ঠানের, ঈদে মীলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিরোধীতা করে নয়।

যেমন কওমী গুরু আশরাফ আলী থানভী মৌলুদকে হারাম বলেছে, কিন্তু বেহেস্তী জেওরে ঈদে মীলাদে হাবীবুল্লাহ (ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে অপরিহার্য বলেছেন। তাই যারা মৌলুদ আর ঈদে মীলাদকে এক করে বিভ্রান্তি ছড়ায়, তারা পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার শত্রু ছাড়া অন্যকিছু নয়।

সুমহান ৯০ দিন ব্যাপী আযিমুশশান মাহফিল সম্মানিত প্রতিষ্ঠাতা পৃষ্ঠপোষক: 
======================
সাইয়্যিদুনা মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা
আলাইহিস সালাম যিনি সম্মানিত শায়িখ
রাজারবাগ দরবার শরীফ।

حدث رائع في التاريخ في بنغلاديش
 تسعين يوما طويلة المحفل

A wonderful event in history happening in Bangladesh: 90 days long mahfil

#90DaysMahfil 
বিস্তারিত দেখুন: 
sm40com

কাঠের মিম্বারও নবীজী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার শান বুঝে, এক পলকের বিচ্ছেদও সহ্য করতে পারে না। আর আমাদের কি অবস্থা?

কাঠের মিম্বারও নবীজী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার শান বুঝে, এক পলকের বিচ্ছেদও সহ্য করতে পারে না। আর আমাদের কি অবস্থা?
কাঠের মিম্বারও নবীজী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার শান বুঝে, এক পলকের বিচ্ছেদও সহ্য করতে পারে না। আর আমাদের কি অবস্থা?
 
হাদীছ শরীফে বর্নিত আছে,

عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم خَطَبَ إِلَى لِزْقِ جِذْعٍ وَاتَّخَذُوا لَهُ مِنْبَرًا فَخَطَبَ عَلَيْهِ فَحَنَّ الْجِذْعُ حَنِينَ النَّاقَةِ فَنَزَلَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم فَمَسَّهُ فَسَكَنَ فَقَالَ ‏لَوْ لَمْ أَحْتَضِنْهُ لَحَنَّ إِلَى يَوْمِ الْقِيَامَةِ 

“হযরত আনাস ইবনু মালিক রদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পবিত্র মাসজিদে নাববী শরীফে একটি খেজুর গাছের কান্ডের সাথে হেলান/ঠেস দিয়ে খুৎবা দিতেন। তারপর উনার জন্য হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু আনহুমগন একখানা মিম্বার স্থাপন করলেন, অতপর তিনি মিম্বারের উপর দাঁড়িয়ে খুৎবা দান করেন। সে সময় খুঁটিটি উষ্ট্রীর মতো কাঁদতে লাগল। হাবীবুল্লাহ হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মিম্বার হতে অবতরণ করে তাকে স্পর্শ করলে তা কান্না বন্ধ করে (শান্ত হয়) । অতঃপর তিনি বলেন, আমি তার গায়ে হাত না বুলালে তা কিয়ামত পর্যন্ত রোনাজারি করতো।”
 
(দলীল: ইবনু মাজাহ ১৪১৫ , তিরমিযী শরীফ ৩৬২৭, শরহে মুশকিলুল আছার ৪১৯৪)

আয় আল্লাহ পাক! আমাদের অন্তরেও আপনার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি এমন মুহব্বত দান করুন।

সুমহান ৯০ দিন ব্যাপী আযিমুশশান মাহফিল সম্মানিত প্রতিষ্ঠাতা পৃষ্ঠপোষক: 
======================
সাইয়্যিদুনা মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা
আলাইহিস সালাম যিনি সম্মানিত শায়িখ
রাজারবাগ দরবার শরীফ।

حدث رائع في التاريخ في بنغلاديش
 تسعين يوما طويلة المحفل

A wonderful event in history happening in Bangladesh: 90 days long mahfil

#90DaysMahfil 
বিস্তারিত দেখুন: 
sm40com

আমাদের প্রিয় নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার আঙ্গুল মুবারকের এক ইশারায় চাঁদ দ্বিখন্ডিত হয়ে যায়।

আমাদের প্রিয় নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার আঙ্গুল মুবারকের এক ইশারায় চাঁদ দ্বিখন্ডিত হয়ে যায়।
আমাদের প্রিয় নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার আঙ্গুল মুবারকের এক ইশারায় চাঁদ দ্বিখন্ডিত হয়ে যায়। 

عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ أَنَّهُ حَدَّثَهُمْ أَنَّ أَهْلَ مَكَّةَ سَأَلُوْا رَسُوْلَ اللهِ صلى الله عليه وسلم أَنْ يُرِيَهُمْ آيَةً فَأَرَاهُمْ انْشِقَاقَ الْقَمَرِ

হযরত আনাস ইবনে মালিক রদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, মক্কাবাসী কাফিররা হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নিকট নির্দশন দেখানোর জন্য বললে তিনি তাদেরকে চাঁদ দু’ভাগ করে দেখালেন।"

(দলীল : বুখারী শরীফ: হাদীছ ৩৬৩৭) 

ফিজিক্সের কোন সূত্র দিয়ে এটা মিলাবেন? 
আমাদের নবীজীর এমন শান উনার আঙ্গুল মুবারকের একটা ইশারার হিসাবই সকল বিজ্ঞানী কিয়ামত পর্যন্ত মিলাতে পারবে না।

ছল্লাল্লাহ আলা রসূলিল্লাহ , ছল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়া সাল্লাম

সুমহান ৯০ দিন ব্যাপী আযিমুশশান মাহফিল সম্মানিত প্রতিষ্ঠাতা পৃষ্ঠপোষক: 
======================
সাইয়্যিদুনা মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা
আলাইহিস সালাম যিনি সম্মানিত শায়িখ
রাজারবাগ দরবার শরীফ।

حدث رائع في التاريخ في بنغلاديش
 تسعين يوما طويلة المحفل

A wonderful event in history happening in Bangladesh: 90 days long mahfil

#90DaysMahfil 
বিস্তারিত দেখুন: 
sm40com

সাবধান! মৌলুদ আর মিলাদ কিন্তু এক নয় !

সাবধান! মৌলুদ আর মিলাদ কিন্তু এক নয় !
সাবধান! মৌলুদ আর মিলাদ কিন্তু এক নয় !
==================================

ঈদে মীলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিরোধীরা প্রায় বলে থাকে, হযরত মুজাদ্দিদে আলফে সানী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি নাকি ঈদে মীলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিরোধীতা করেছেন এবং তারা দলীল স্বরুপ বলে থাকে, যেখানে মুজাদ্দিদে আলফে সানী রহমতুল্লাহি বলেন- “যদি আল্লাহর নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আজকের যুগে থাকতেন আর এই সব মাহফিল দেখতে পেতেন, আমি হেন অধমের দৃঢ় বিশ্বাস যে কখনো তিনি এ কাজ পছন্দ করতেন না, বরং এ সব অনুষ্ঠান একেবারে বন্ধ করে দিতেন”। পাশাপাশি তারা অনেক ইমাম-মুজতাহিদগণ উনাদের রেফারেন্স ব্যবহার করে।

কিন্তু এ কাজ করতে গিয়ে বীরুধীতাকারীরা একটি বিষয় এড়িয়ে যায়, তা হলো মৌলুদ আর মাউলিদ/ঈদে মীলাদ এক নয়। ঐ সময় মৌলুদ নামক এক চরম বেহায়া, বেদাতী, হারাম নাজায়েজ অনুষ্ঠানের প্রচলন করা হতো। যেখানে গান-বাদ্য-বেহায়া বেপর্দার ঘটনা ঘটতো। যেসব দলিল ঈদে মীলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিরোধীতায় বর্তমানে ব্যবহার করা হচ্ছে সেগুলো মূলত মৌলুদ নামক অনুষ্ঠানের, ঈদে মীলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিরোধীতা করে নয়।

যেমন কওমী গুরু আশরাফ আলী থানভী মৌলুদকে হারাম বলেছে, কিন্তু বেহেস্তী জেওরে ঈদে মীলাদে হাবীবুল্লাহ (ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে অপরিহার্য বলেছেন। তাই যারা মৌলুদ আর ঈদে মীলাদকে এক করে বিভ্রান্তি ছড়ায়, তারা পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার শত্রু ছাড়া অন্যকিছু নয়।

সুমহান ৯০ দিন ব্যাপী আযিমুশশান মাহফিল সম্মানিত প্রতিষ্ঠাতা পৃষ্ঠপোষক: 
======================
সাইয়্যিদুনা মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা
আলাইহিস সালাম যিনি সম্মানিত শায়িখ
রাজারবাগ দরবার শরীফ।

حدث رائع في التاريخ في بنغلاديش
 تسعين يوما طويلة المحفل

A wonderful event in history happening in Bangladesh: 90 days long mahfil

#90DaysMahfil 
বিস্তারিত দেখুন: 
sm40com

পবিত্র মীলাদ শরীফ ও ক্বিয়াম শরীফ এমন একটি আমল যা কখনোই বিনষ্ট হবে না যা অবশ্যই নিশ্চিত কবুলযোগ্য একটি আমল

পবিত্র মীলাদ শরীফ ও ক্বিয়াম শরীফ এমন একটি আমল যা কখনোই বিনষ্ট হবে না যা অবশ্যই নিশ্চিত কবুলযোগ্য একটি আমল
=============================
পবিত্র মীলাদ শরীফ ও ক্বিয়াম শরীফ এমন একটি আমল যা কখনোই বিনষ্ট হবে না, অবশ্যই কবুল হবে এই বিষয়ে বিখ্যাত মুহাদ্দিছ ও মুহাক্কিক, হযরতুল আল্লামা শায়খ আব্দুল হক মুহাদ্দিছ দেহলভী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার কিতাবের দুয়া করে লিখেন,

اے اللہ! میرا کوئی عمل ایسا نہیں ہے جسے آپکے دربار میں پیش کرنے کے لائق سمجھوں، میرے تمام اعمال میں فساد نیت موجود رہتی ہے، البتہ مجھ حقیر فقیر کا ایک عمل صرف تیری ذات پاک کی عنایت کیوجہ سے بہت شاندار ہے اور وہ یہ ہے کہ مجلس میلاد کے موقع پر میں کھڑے ہو کر سلام پڑھتاہوں اور نہایت ہی عاجزی وانکسار ی محبت وخلوص کے ساتھ تیری حبیب پاک صلی اللہ علیہ وسلم پر درود سلام بھیجتا رہا ہوں. اے اللہ! وہ کون سا مقام ہے جہاں میلاد مبارک سے زیادہ تیری خیر وبرکت کانزول ہوتا ہے! اس لئے اے ارحم الراحمین مجھے پکا یقین ہے کہ میرا یہ عمل کبھی بیکار نہ جائیگا بلکہ یقینا تیری بارگاہ میں قبول ہوگا اور جوکوئی درود وسلام پڑھے اور اس کےذریعہ دعا کرے وہ کبھی مسترد نہیں ہو سکتی
অর্থ: আয় আল্লাহ পাক আমার এমন কোন আমল নেই, যা আপনার মুবারক দরবারে পেশ করার উপযুক্ত মনে করি। আমার সমস্ত আমলের নিয়তের মধ্যেই ত্রুটি রয়েছে। তবে আমি নগণ্যের শুধুমাত্র একটি আমল আপনার পবিত্র জাতের দয়ায় অনেক সম্মানিত বা মর্যাদাবান। আর সেটা হচ্ছে পবিত্র মীলাদ শরীফ-এর মজলিসে ক্বিয়ামের সময় দাড়িয়ে সালাম মুবারক পেশ করি। আর একান্ত আজীজী ইনকিসারী, মুহব্বত ইখলাছের সাথে আপনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি ছলাত-সালাম পাঠ করি।
হে আল্লাহ পাক এমন কোন স্থান আছে কি, যেখানে মীলাদ মুবারক-এর চেয়ে অধিক খায়ের বরকত নাযিল হয়? হে আরহামুর রহিমীন, আমর দৃঢ় বিশ্বাস যে আমার এ আমল কখনও বৃথা যাবে না। বরং অবশ্যই আপনার পবিত্র দরবারে কবুল হবে। এবং যে কেউ ছলাত-সালাম পাঠ করবে এবং উহাকে ওসীলা দিয়ে দুয়া করবে সে কখনও মাহরূম হতে পারে না। অর্থাৎ সে অবশ্যই কবুলযোগ্য। সুবহানাল্লাহ! (আখবারুল আখইয়াার ৬২৪ পৃষ্ঠা)

সুমহান ৯০ দিন ব্যাপী আযিমুশশান মাহফিল সম্মানিত প্রতিষ্ঠাতা পৃষ্ঠপোষক: 
======================
সাইয়্যিদুনা মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা
আলাইহিস সালাম যিনি সম্মানিত শায়িখ
রাজারবাগ দরবার শরীফ।

حدث رائع في التاريخ في بنغلاديش
 تسعين يوما طويلة المحفل

A wonderful event in history happening in Bangladesh: 90 days long mahfil

#90DaysMahfil 
বিস্তারিত দেখুন: 
sm40com

ঈমানদারদের জন্য সর্বশ্রেষ্ঠ তম খুশির দিন হচ্ছে ১২ ই রবিউল আউয়াল শরীফ।

ঈমানদারদের জন্য সর্বশ্রেষ্ঠ তম খুশির দিন হচ্ছে ১২ ই রবিউল আউয়াল শরীফ।

অনেক আলেম নামধারী জাহিল প্রকৃতির লোকেরা বলে থাকে ১২ রবিউল আউয়াল শরীফ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিছাল( ইন্তেকাল) শরীফ এর দিন, তাই এই দিন খুশি প্রকাশ করা জাবে না বরং তারা বলে থাকে এই দিনে নাকি দু:খ প্রকাশ করতে হবে!! নাউজুবিল্লাহ।

মূলত এই ধরনের আলেম নামধারী জাহেল প্রকৃতির যে সকল লোক নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সালাম উনার পবিত্র বিছালী(ইন্তেকাল) শান মুবারক প্রকাশ উনার দিবসকে শোকের দিন বলে এবং উক্ত দিনে খুশি মুবারক প্রকাশ না করে শোক পালন করতে চায়, সেটা সম্পূর্ণরূপে পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র সুন্নাহ শরীফ উনাদের বিরোধী কাজ।
কারণ পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে –
عَنْ حَضْرَتْ اُمّ عَطِيَّةَ رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهَا قَالَتْ كُنَّا نُنْهٰى اَنْ نُـحِدَّ عَلٰى مَيّتٍ فَوْقَ ثَلَاثٍ اِلَّا عَلٰى زَوْجٍ اَرْبَعَةَ اَشْهُرٍ وَّعَشْرًا.‏
অর্থ : “হযরত উম্মু আতিয়্যাহ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহা উনার থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, কারো ইন্তিকালে তিন দিনের পর আর শোক প্রকাশ করতে আমাদেরকে নিষেধ করা হয়েছে। তবে স্বামীর জন্য আহলিয়া চার মাস দশ দিন শোক পালন করতে পারবে।” (মুয়াত্তা মালিক শরীফ, বুখারী শরীফ : কিতাবুত তালাক : হাদীছ শরীফ নং ৫৩৪১, মুসলিম শরীফ : কিতাবুত তালাক : হাদীছ শরীফ নং ১৪৯৩, আবূ দাউদ শরীফ, নাসায়ী শরীফ, তিরমিযী শরীফ, ইবনে মাজাহ শরীফ, দারিমী শরীফ, মিশকাত শরীফ)
সুতরাং ইন্তিকালের ৩ দিন পর আর শোক পালন করা যাবে না। যদি কেউ কারো ইন্তিকালের ৩ দিন পরও শোক পালন করে সেটা সম্মানিত শরীয়ত উনার খিলাফ হবে। পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার বিরোধিতা হবে।
আর সবচেয়ে বড় কথা হলো, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি হচ্ছেন হায়াতুন নবী। তিনি পবিত্র রওজা শরীফ উনার মধ্যে জীবিত আছেন। উনার পবিত্র বিছালী শান প্রকাশ উপলক্ষ্যে শোক প্রকাশ স্পষ্ট গোমরাহী ও হায়াতুন নবী অস্বীকার করার নামান্তর।

সুমহান ৯০ দিন ব্যাপী আযিমুশশান মাহফিল সম্মানিত প্রতিষ্ঠাতা পৃষ্ঠপোষক: 
======================
সাইয়্যিদুনা মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা
আলাইহিস সালাম যিনি সম্মানিত শায়িখ
রাজারবাগ দরবার শরীফ।

حدث رائع في التاريخ في بنغلاديش
 تسعين يوما طويلة المحفل

A wonderful event in history happening in Bangladesh: 90 days long mahfil

#90DaysMahfil 
বিস্তারিত দেখুন: 
sm40com

হযরত আব্দুল হক্ব মুহাদ্দিছ দেহলভী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি উনার ‘মা ছাবাতা বিস সুন্নাহ শরীফ’ উনার মধ্যে বলেন,

হযরত আব্দুল হক্ব মুহাদ্দিছ দেহলভী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি উনার ‘মা ছাবাতা বিস সুন্নাহ শরীফ’ উনার মধ্যে বলেন,
হযরত আব্দুল হক্ব মুহাদ্দিছ দেহলভী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি উনার ‘মা ছাবাতা বিস সুন্নাহ শরীফ’ উনার মধ্যে বলেন,

اِنّهٗ وُلِدَ لَيْلًا فَتِلْكَ اللَّيْلَةُ اَفْضَلُ مِنْ لَيْلَةِ الْقَدْرِ بِلَا شُبْهَةٍ.

অর্থ: ‘নিশ্চয়ই নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি যেই সম্মানিত রজনী মুবারক সম্মানিত বরকতময় বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ করেছেন, নিঃসন্দেহে সেই সম্মানিত রজনী মুবারক ‘লাইলাতুল ক্বদর উনার থেকে অধিক (লক্ষ-কোটিগুণ বেশি) ফযীলতপূর্ণ।’
(মা ছাবাতা বিস সুন্নাহ শরীফ ৩৯ পৃষ্ঠা)

সুমহান ৯০ দিন ব্যাপী আযিমুশশান মাহফিল সম্মানিত প্রতিষ্ঠাতা পৃষ্ঠপোষক: 
======================
সাইয়্যিদুনা মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা
আলাইহিস সালাম যিনি সম্মানিত শায়িখ
রাজারবাগ দরবার শরীফ।

حدث رائع في التاريخ في بنغلاديش
 تسعين يوما طويلة المحفل

A wonderful event in history happening in Bangladesh: 90 days long mahfil

#90DaysMahfil 
বিস্তারিত দেখুন: 
sm40com

রহমতের নবীর আশেকেরা আপনার মৃত্যুর পর কবরে আপনি কি বিষয়ে জিজ্ঞাসিত হবেন?

রহমতের নবীর আশেকেরা আপনার মৃত্যুর পর কবরে আপনি কি বিষয়ে জিজ্ঞাসিত হবেন?
সাধারণত আমরা জানি কবরে ৩ টি প্রশ্ন করা হবে। 
مَنْ رَبُّكَ وَمَا دِينُكَ وَمَنْ نَبِيُّكَ
তোমর রব কে? তোমর দ্বীন কি? তোমার নবী কে? (সুনানে আবু দাউদ ৪৭৫৩, তিরমিযী ৩১২০)

এই হাদীছ শরীফটি যাদিও সহী কিন্তু সহীহাইন বা বুখারী শরীফ, মুসলিম শরীফে নেই। বুখারী শরীফ এবং মুসলিম শরীফে আবার ৩ টি প্রশ্ন নেই। প্রশ্ন মাত্র ১ টাই। সে প্রশ্নটা হচ্ছে,
مَا كُنْتَ تَقُولُ فِي هَذَا الرَّجُلِ لِمُحَمَّدٍ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ
সম্মানিত রসূল হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সম্পর্কে তুমি কি বলতে? অর্থাৎ কি আক্বীদা রাখতে? 
فَأَمَّا المُؤْمِنُ، فَيَقُولُ: أَشْهَدُ أَنَّهُ عَبْدُ اللَّهِ وَرَسُولُهُ
তখন মু’মিন ব্যক্তি বলবে, আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, তিনি আল্লাহ পাকের হাবীব এবং উনার রসূল। (বুখারী শরীফ ১৩৭৪, মুসলিম শরীফ ২৮৭০)

অর্থাৎ মূল বিষয়ই হচ্ছে নবীজী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে চেনা, উনার মারিফত মুহবব্ত অর্জন করা, উনার প্রতি বিশুদ্ধ আক্বীদা রাখা। যারা দুনিয়াতে উনার প্রতি ভালো আক্বীদা রাখতো তাদের জন্যই উত্তর দেয়া সহজ হবে, অন্য কোন প্রশ্নই তাদের আর আটকাতে পারবে না। 
কত সুনছীব সকল মানব জাতির। আপনি যেমনই হন না কেন কাল কবরে অবশ্যই অবশ্যই নবীজীর সাক্ষাৎ পাবেনই পাবেন। শুধু উনাকে ভালোবাসুন, উনার তাযিম ও সম্মান করুন, দরূদ ও সালামে জবানকে সিক্ত রাখুন, উনার আলোচনা করুন… তাহলেইতো সুসংবাদ!

সুমহান ৯০ দিন ব্যাপী আযিমুশশান মাহফিল সম্মানিত প্রতিষ্ঠাতা পৃষ্ঠপোষক: 
======================
সাইয়্যিদুনা মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা
আলাইহিস সালাম যিনি সম্মানিত শায়িখ
রাজারবাগ দরবার শরীফ।

حدث رائع في التاريخ في بنغلاديش
 تسعين يوما طويلة المحفل

A wonderful event in history happening in Bangladesh: 90 days long mahfil

#90DaysMahfil 
বিস্তারিত দেখুন: 
sm40com

সৃষ্টি জগতের সবাই হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সলাত সালামে মশগুল আর উম্মত হিসাবে মানুষ বেখবর !!!

সৃষ্টি জগতের সবাই হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সলাত সালামে মশগুল আর উম্মত হিসাবে মানুষ বেখবর !!!
সৃষ্টি জগতের সবাই হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সলাত সালামে মশগুল আর উম্মত হিসাবে মানুষ বেখবর !!!

পবিত্র হাদীছ শরীফে বর্ণিত আছে,
عَنْ جَابِرِ بْنِ سَمُرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ إِنِّي لأَعْرِفُ حَجَرًا بِمَكَّةَ كَانَ يُسَلِّمُ عَلَىَّ قَبْلَ أَنْ أُبْعَثَ إِنِّي لأَعْرِفُهُ الآنَ
হযরত জাবির ইবনু সামুরাহ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, হাবীবুল্লাহ হূযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেছেন, আমি পবিত্র মাক্কা শরীফে একটি পাথরকে জানি, যে আমার প্রেরিত হওয়ার আগেও আমাকে সালাম দিতো, আমি এখনও তাকে সন্দেহাতীতভাবে চিনতে পারি। (সহীহ মুসলিম ২২৭৭, মুসনাদে আহমদ ২০৮২৮, মুছান্নাফ ইবনু আবী শায়বা ৩১৭০৫)

পাথরও হাবীবুল্লাহ হূযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে চিনে সলাত সালামে মশগুল থাকে। আর মানুষ ফতোয়া খোঁজায় ব্যস্ত !!!

সুমহান ৯০ দিন ব্যাপী আযিমুশশান মাহফিল সম্মানিত প্রতিষ্ঠাতা পৃষ্ঠপোষক: 
======================
সাইয়্যিদুনা মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা
আলাইহিস সালাম যিনি সম্মানিত শায়িখ
রাজারবাগ দরবার শরীফ।

حدث رائع في التاريخ في بنغلاديش
 تسعين يوما طويلة المحفل

A wonderful event in history happening in Bangladesh: 90 days long mahfil

#90DaysMahfil 
বিস্তারিত দেখুন: 
sm40.com

পাহাড়, বৃক্ষ সবাই নবীজী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে সালাম দিতো, আর মানুষের প্রতি আদেশ থাকার পরও তারা এ ব্যাপারে কত গাফেল…

পাহাড়, বৃক্ষ সবাই নবীজী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে সালাম দিতো, আর মানুষের প্রতি আদেশ থাকার পরও তারা এ ব্যাপারে কত গাফেল…
পাহাড়, বৃক্ষ সবাই নবীজী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে সালাম দিতো, আর মানুষের প্রতি আদেশ থাকার পরও তারা এ ব্যাপারে কত গাফেল….

হাদীছ শরীফে বর্ণিত আছে,
عَنْ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ، قَالَ كُنْتُ مَعَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم بِمَكَّةَ فَخَرَجْنَا فِي بَعْضِ نَوَاحِيهَا فَمَا اسْتَقْبَلَهُ جَبَلٌ وَلاَ شَجَرٌ إِلاَّ وَهُوَ يَقُولُ السَّلاَمُ عَلَيْكَ يَا رَسُولَ اللَّهِ
“হযরত আলী ইবনু আবূ তালিব আলাইহিস সালাম থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ ছল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে পবিত্র মক্কা শরীফের কোন এক প্রান্তের উদ্দেশ্যে বের হলাম। তিনি যে কোন পাহাড় বা বৃক্ষের নিকট দিয়ে যেতেন তারা উনাকে “আস-সালামু আলাইকা ইয়া রাসূলাল্লাহ” বলে অভিবাদন জানাত।”

(দলীল: তিরমিযী শরীফ ৩৬২৬, মিছবাহুস সুন্নাহ ৪৬৩৫, মিশকাতুল মাছাবীহ ৫৯১৯, বিদায়া ওয়ান নিহায়া ৮/৬৯৮)

ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!
ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!
ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!

সুমহান ৯০ দিন ব্যাপী আযিমুশশান মাহফিল সম্মানিত প্রতিষ্ঠাতা পৃষ্ঠপোষক: 
======================
সাইয়্যিদুনা মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা
আলাইহিস সালাম যিনি সম্মানিত শায়িখ
রাজারবাগ দরবার শরীফ।

حدث رائع في التاريخ في بنغلاديش
 تسعين يوما طويلة المحفل

A wonderful event in history happening in Bangladesh: 90 days long mahfil

#90DaysMahfil 
বিস্তারিত দেখুন: 
sm40com

নিশ্চয়ই রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মধ্যে রয়েছে উত্তম আদর্শ।

নিশ্চয়ই রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মধ্যে রয়েছে উত্তম আদর্শ।
আল্লাহ পাক এবং উনার রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সন্তুষ্টি পাওয়ার সূত্র কিন্তু খুবই সোজা। জাষ্ট নিয়তটা ঠিক করে নিলেই সহজ হয়ে যায়। 
ধরেন আপনি একজন মানুষ হিসাবে আপনাকে অবশ্যই খাবার খেতে হয়, ঘুমাতে হয়, পরিবারে সময় দিতে হয়, বাথরুমে যেতে হয়, পোশাক পরিধান করতে হয়, রাস্তায় হাঁটতে হয় অনেক কিছু করতে হয়....! 
যদি কাজগুলো সুন্নতের খেয়ালে করেন তাহলে ?
যেমন- পানি পান করছেন ? বসে পান করেন, ৩ ঢোকে পান করেন। 
ভাত খাচ্ছেন? নিয়ত করেন ভাত সুন্নতী খাবার , সুন্নতের খেয়ালে খান, মাছ গোশত, ফল সবজিও অনুরূপ। খাবারটা দস্তরখানায় বিছিয়ে খান, আঙ্গুলটা চেটে খান, খাওয়ার শুরুতে ও শেষে লবন দিয়ে শুরু করেন। 
বাথরুমে যেতেই হবে !!! বাম পায়ে প্রবেশ করেন, ডান পা দিয়ে বের হয়। বসার সময় বাম পায়ে ভর দিয়ে বসেন।
পোশাক পরিধান করবেন? ডান দিক থেকে পরেন, বাম দিক থেকে খোলেন। 
ঘর থেকে বের হবেন? বাম পা দিয়ে বের হন, ঢোকার সময় ডান পা...! 
কথা বলছেন? হাসি মুখে বিনয়ের সাথে বলুন, সালাম দিয়ে কুশল বিনিময় করুন! 
বিবাহিত জীবন ? আহলিয়া সাথে নিয়ে নির্জনে হাঁটুন, হাসিখুশি আলাপচারিতা করুন। 
বাচ্চাকে আদর করুন তাও সুন্নতের খেয়ালে।
আরে ভাই, বৃষ্টি হচ্ছে সে বৃষ্টির স্পর্শও গ্রহন করুন সুন্নতের খেয়ালে....! এছাড়া আরো অসংখ্য বিষয় তা আপনারাও জানেন। মানব জীবনের কোন কাজটা আছে যেটা সুন্নত অনুযায়ী করা যায় না? সবই করা যায় বা করা হয় কিন্তু নিয়তটা করতে মানুষ ভুলে যায়। 
আমরা যদি সুন্নত অনুযায়ী জীবন যাপন করি তাহলে আমরাই হতাম সফলকাম! কারন আল্লাহ পাক বলেছেন,
لَّقَدْ كَانَ لَكُمْ فِى رَسُولِ ٱللَّهِ أُسْوَةٌ حَسَنَةٌ 
অর্থঃ নিশ্চয়ই রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মধ্যে রয়েছে উত্তম আদর্শ। (সূরা আহযাব ২১)
আমাদের কি উত্তম আদর্শ গ্রহন করা উচিত নয়?
আর কি কি কাজ সুন্নতের নিয়তে করা যায় সবাই কমেন্টসে লিখুন !

সুমহান ৯০ দিন ব্যাপী আযিমুশশান মাহফিল সম্মানিত প্রতিষ্ঠাতা পৃষ্ঠপোষক: 
======================
সাইয়্যিদুনা মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা
আলাইহিস সালাম যিনি সম্মানিত শায়িখ
রাজারবাগ দরবার শরীফ।

حدث رائع في التاريخ في بنغلاديش
 تسعين يوما طويلة المحفل

A wonderful event in history happening in Bangladesh: 90 days long mahfil

#90DaysMahfil 
বিস্তারিত দেখুন: 
sm40.com 

আখলাকুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম।

আখলাকুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম।

হাদীছ শরীফে বর্ণিত আছে,
عَنْ سَعْدِ بْنِ هِشَامِ بْنِ عَامِرٍ، قَالَ: أَتَيْتُ عَائِشَةَ، فَقُلْتُ: يَا أُمَّ الْمُؤْمِنِينَ، أَخْبِرِينِي بِخُلُقِ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَتْ: " ‌كَانَ ‌خُلُقُهُ ‌الْقُرْآنَ
হযরত সাঈদ ইবনে হিশাম ইবনে আমের রদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি উম্মুল মু’মিনিন হযরত আয়েশা সিদ্দীকা আলাইহাস সালাম উনাকে জিজ্ঞাসা করলাম, হে উম্মুল মু’মিনিন! আমাদের রসূল হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সুমহান আখলাক বা চরিত্র মুবারক সম্পর্কে সংবাদ দিন। তিনি বললেন, সম্পূর্ণ কুরআন শরীফই হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার আখলাক বা চরিত্র মুবারক।”

(দলীল: মুসনাদে আহমদ ৪১/১৪৮; হাদীছ শরীফ ২৪৬০১)

সুবহানাল্লাহ!

সুমহান ৯০ দিন ব্যাপী আযিমুশশান মাহফিল সম্মানিত প্রতিষ্ঠাতা পৃষ্ঠপোষক: 
======================
সাইয়্যিদুনা মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা
আলাইহিস সালাম যিনি সম্মানিত শায়িখ
রাজারবাগ দরবার শরীফ।

حدث رائع في التاريخ في بنغلاديش
 تسعين يوما طويلة المحفل

A wonderful event in history happening in Bangladesh: 90 days long mahfil

#90DaysMahfil 
বিস্তারিত দেখুন: 
sm40com

হাবীবুল্লাহ হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি মুহব্বতের সীমা নির্ধারন কোন দলীল দিয়ে করবেন???

হাবীবুল্লাহ হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি মুহব্বতের সীমা নির্ধারন কোন দলীল দিয়ে করবেন???
----------------------------------------------
হাবীবুল্লাহ হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পেশাব মুবারক (নুরুননাযাত মুবারক) পুতঃ পবিত্র, যা পানে জান্নাত নছীব হয়। হাদীছ শরীফে বর্ণিত আছে,

عن حكيمة بنت اميمة بنت دقيقة عن امها انها قالت: كَانَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ‌يَبُولُ ‌فِي ‌قَدَحِ ‌عِيدَانٍ، ‌ثُمَّ يَرْفَعُ تَحْتَ سَرِيرِهِ، فَبَالَ فِيهِ ثُمَّ جَاءَ فَأَرَادَهُ فَإِذَا الْقَدَحُ لَيْسَ فِيهِ شَيْءٌ، فَقَالَ لِامْرَأَةٍ يُقَالُ لَهَا بَرَكَةُ كَانَتْ تَخْدُمُ أُمَّ حَبِيبَةَ، جَاءَتْ بِهَا مِنْ أَرْضِ الْحَبَشَةِ: «أَيْنَ الْبَوْلُ الَّذِي كَانَ فِي الْقَدَحِ؟» قَالَتْ: شَرِبَتُهُ، فَقَالَ: «لَقَدِ احْتَظَرْتِ مِنَ النَّارِ بِحِظَارٍ

অর্থঃ- “হযরত হাকীমা বিনতে আমীমা বিনতে দাক্বীক্বা রহমতুল্লাহি আলাইহা উনার মাতা হযরত আমীমা বিনতে দাক্বীক্বা রহমতুল্লাহি আলাইহা থেকে বর্ণনা করেছেন। নিশ্চয়ই তিনি বলেছেন, একদা হযরত নবী করীম ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম একটি পাত্রে পেশাব মুবরাক (নুরুশ শিফা মুবারক) করলেন এবং তা খাটের নিচে রেখে দিলেন। এরপর তার একটা ব্যবস্থা করার ইচ্ছা করলে এসে দেখলেন পাত্রের মধ্যে কিছু নেই। তখন তিনি বারাকা নামের এক মহিলা, যে হাবশা হতে হযরত উম্মু হাবীবা রদ্বিয়াল্লাহু আনহা-এর খাদিমা হিসেবে এসেছিলেন, হাবীবুল্লাহ হুযূর ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, পাত্রের মধ্যে যে পেশাব মুবারক (নুরুশ শিফা মুবারক) ছিল তা কোথায় গেল? উত্তরে তিনি বললেন, আমি উহা পান করে ফেলেছি। তখন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, অবশ্যই তুমি তোমার নিজেকে জাহান্নাম থেকে নিরাপদ রাখলে।” (আত্ ত্ববারানী ফিল্ মু’জামিল কবীর ১৭ খন্ড ৪৩০ পৃষ্ঠা: হাদীছ ১৯৯৪৮, মা’রেফাতুছ ছাহাবা লি আবু নুয়াইম: হাদীছ ৭৫১৭, বদরুল মুনীর ১/৪৮২, তালখীছুল হাবীর ১/১৭১, তাহযীবুল কামাল ৩৫/১৫৬, সিয়ারু আলাম নুবালা ১৭/৪৭৪, নাইলুল আওতার ১/১০৬, খাছায়েছুল কুবরা ১/১২২, সুবলুল হুদা ওয়ার রাশাদ ১০/৪৫৫, শরহে সুনানুন নাসায়ী লিস সুয়ুতী ১/৫২৯)
অন্য কোন বর্ণনায় আছে, যাবতীয় অসূখ থেকে আজীবন শিফা লাভ করবে।

এখন প্রশ্ন হচ্ছে, হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু আনহুম উনারা পবিত্র পেশাব মুবারক বা নুরুশ শিফা মুবারক পান করলেন কোন দলীলের ভিত্তিতে? কুরআন শরীফে কি আল্লাহ পাক বলেছেন? হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি কি এ বিষয়ে কোন আদেশ পূর্বে করেছিলেন? 

এর উত্তর হচ্ছে উনারা করেছেন সর্বোচ্চ মুহব্বত থেকে। এবং এই হাদীছ শরীফ থেকে প্রমাণ হয় মুহব্বতের কোন সীমা রেখা নেই। মুহব্বতের জন্য এটা করা যাবে এটা যাবে না এরকম কোন দলীল নাই। 
আর উনার মুহব্বতে উনার আগমনে খুশি হয়ে পবিত্র ঈদে মীলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন করা যে সর্বশ্রেষ্ঠ আমল এ ব্যাপারেও কোন সন্দেহ নেই। 


সুমহান ৯০ দিন ব্যাপী আযিমুশশান মাহফিল সম্মানিত প্রতিষ্ঠাতা পৃষ্ঠপোষক: 
======================
সাইয়্যিদুনা মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা
আলাইহিস সালাম যিনি সম্মানিত শায়িখ
রাজারবাগ দরবার শরীফ।

حدث رائع في التاريخ في بنغلاديش
 تسعين يوما طويلة المحفل

A wonderful event in history happening in Bangladesh: 90 days long mahfil

#90DaysMahfil 
বিস্তারিত দেখুন: 
sm40com

হাজার বছরের মুজাদ্দিদ হযরত মুজাদ্দিদে আলফেসানী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি পবিত্র মীলাদ শরীফের পক্ষে লিখেছেন।

হাজার বছরের মুজাদ্দিদ হযরত মুজাদ্দিদে আলফেসানী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি পবিত্র মীলাদ শরীফের পক্ষে লিখেছেন।

বিভিন্ন বাতিলপন্থীরা পবিত্র মীলাদ শরীফ উনার বিরুধীতা করতে গিয়ে হযরত হযরত মুজাদ্দিদে আলফে সানি রহমতল্লাহি আলাইহি উনার নামে মিথ্যাচার করে বলে থাকে তিনি নাকি পবিত্র মীলাদ শরীফ উনার বিরুদ্ধে বলেছেন অথচ তিনি পক্ষেই বলেছেন।

এর পূর্বে বিশেষ ভাবে লক্ষনিয় হযরত আহমদ ফারুক সেরহিন্দ মুজাদ্দিদে আলফে সানী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনি এমন পর্যায়ের ওলী আল্লাহ ছিলেন যে, উনার সম্পর্কে পবিত্র হাদীস শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত আছে , যা ইমাম জালালুদ্দীন সুয়ুতি রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার জামিউল জাওয়াম ও জামিউল আহাদীস কিতাবে উল্লেখ করেন,

يُبْعَثُ رَجُلٌ عَلـٰى اَحَدَ عَشَرَ مِائَةِ سَنَةٍ وَهُوَ نُوْرٌ عَظِيْمٌ اِسْـمُه اِسْـمِىْ بَيْنَ السُّلْطَانَيْنِ الْـجَابِرَيْنِ يَدْخُلُ الْـجَنَّةَ بِشَفَاعَتِهٖ رِجَالٌ اُلُوْفًا.

অর্থ: “একাদশ হিজরীতে একজন মহান ব্যক্তিত্ব’র আবির্ভাব ঘটবে, তিনি হচ্ছেন ‘মহান নূর’। উনার নাম মুবারক হবে আমার নাম মুবারক-এ। তিনি দুই যালিম বাদশাহার মাঝে তাশরীফ নিবেন। উনার শাফায়াতে হাজার হাজার লোক জান্নাতে প্রবেশ করবে।” (জামউল জাওয়াম, জামিউদ দুরার)

يَكُوْنُ فِـىْ اُمَّتِـىْ رَجُلٌ يُقَالُ لَه صِلَةُ يَدْخُلُ الْـجَنَّةَ بِشَفَاعَتِهٖ كَذَا وَكَذَا مِنَ النَّاسِ

অর্থ: “আমার উম্মতের মাঝে একজন মহান ব্যক্তিত্ব’র আবির্ভাব ঘটবে। উনাকে ‘ছিলাহ’ বলা হবে। উনার মুবারক শাফায়াতে (সুপারিশে) অসংখ্য মানুষ জান্নাতে প্রবেশ করবে।” (জামউল জাওয়াম, জামিউদ দুরার, জামিউল আহাদীছ, যুহুদ, ইবনে সা’দ, বাইহাক্বী)

অর্থাৎ মুযাদ্দিদে আলফে সানী রহমতুল্লাহি’র নাম ছিলো ‘আহমদ’ এবং উনার আগমণ ঘটেছে বাদশাহ আকবর ও বাদশাহ জাহাঙ্গীরের মধ্যবর্তী সময়ে। হাদীস শরীফ উনার মধ্যে উল্লেখ রয়েছে, নবী করিম সল্লাল্লাহু আলাইহি আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, “মহান আল্লাহ প্রতি হিজরী শতকের শুরুতে এমন একজন ব্যক্তিত্ব পাঠান, যিনি উম্মতের স্বার্থে পবিত্র দ্বীন ইসলামের সংস্কার সাধন করেন।” (আবু দাউদ শরীফ)
অর্থাৎ প্রতি হিজরী শতকের শুরুতে একজন করে মুজাদ্দিদ শ্রেণীর ওলী আল্লাহ’র আগমণ ঘটবে, যাদের উছিলায় আল্লাহ তায়ালা পবিত্র দ্বীন ইসলামকে হিফাজত করবেন। আর মুজাদ্দিদে আলফে সানী রহমতুল্লাহি ছিলেন ঐ শ্রেণীর ওলী আল্লাহগণের মধ্যে অন্যতম। উল্লেখ্য, মুযাদ্দিদে আলফে সানী রহমতুল্লাহি’র সময় সবচেয়ে বড় ফিৎনা ছিলো বাদশাহ আকবরের তৈরীকৃত দ্বীন-ই ইলাহী নামক সর্বধর্মের মিশ্রন। এই দ্বীনে এলাহী নিশ্চিহৃ করে হযরত মুজাদ্দিদে আলফে সানী রহমাতুল্লাহি আলাইহি আবার ইসলাম কায়েম করেন। আবার সুন্নত সমূহ জারি করেন। সুবহানাল্লাহ্।
এই বিখ্যাত ওলী তিনি পবিত্র মীলাদুন্নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর পক্ষে লিখে গেছেন। পবিত্র মীলাদ শরীফ সম্পর্কে বিখ্যাত ওলী কাইয়্যূমে আউয়াল, আফযালুল আউলিয়া হযরত মুজাদ্দিদে আলফে ছানী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন,

دیگر درباب مولود خوانی اندراج یا فتہ بود در نفس قران خواندن بصوت حسن وقصائد نعت ومنقبت خواندن چہ مضائقہ است؟ ممنوع تحریف وتغیر حروف قران است والتزام رعایت مقامات نغمہ وتبرید صوت باں طریق الحان باتصفیق منا سب انکہ در شعر نیز غیر مبارح است. اگر ہر نہجے خوانند کہ تحریفے در کلمات قران واقع نشود و در قصائد خواندن شروط مذکورہ متحقق نگردد رواں ہم بغرض صحیح تجویز نما یند چہ مانع است؟

অর্থাৎ সুমিষ্ট আওয়াজে পবিত্র কুরআন শরীফ পাঠ এবং নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার শানে সুন্দর ক্বাছীদাবলী আবৃত্তি করতে কি বাধা আছে? নিষিদ্ধ হচ্ছে পবিত্র কুরআন শরীফের হরফ বা অক্ষর সমূহের মধ্যে পরিবর্তন বা গানের তাল বা ছন্দ অবলম্বন স্বরের উত্থান-পতন যা সাধারণ কবিতার মধ্যেও জায়িয নেই। যদি পবিত্র মীলাদ শরীফ এমনভাবে পড়া হয় যে, পবিত্র কুরআন শরীফের মধ্যে কোনরূপ পরিবর্তন আপতিত না হয় এবং পবিত্র ক্বাছীদা শরীফ আবৃত্তির মধ্যে উপরোক্ত গানের ছন্দ বা তালের অনুসরণ করা না হয়, তাহলে এরূপ পবিত্র মীলাদ শরীফ পাঠে কি বাধা আছে?” (দলীল- মাকতুবাতে ইমাম রব্বানী ৩য় খ- মাকতুব নং ৭২)

মুজাদ্দিদে আলফেসানী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার মত যুগশ্রেষ্ঠ , মনোনীত শ্রেনীর ওলী আল্লাহ তিনি মীলাদুন্নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পক্ষে সমর্থন করে গেছেন। সেখানে দুই পয়সার ওহাবী বিদয়াতিরা কোন সাহসে বিরোধীতা করে??


বর্তমানে ৯০ দিনব্যাপী মাহফিল চলমান পবিত্র রাজারবাগ দরবার শরীফে । উক্ত মাহফিলে আপনারা দলে দলে যোগদান করুন।
Map location- tinyurl.com/Rajarbag-Shareef


sm40.com
sunnat.info
#90DaysMahfil

পবিত্র ঈদে মীলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালনকে যারা বিদয়াত বলে তাদের দাঁতভাঙ্গা জবাব

পবিত্র ঈদে মীলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালনকে যারা বিদয়াত বলে তাদের দাঁতভাঙ্গা জবাব
পবিত্র ঈদে মীলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালনকে যারা বিদয়াত বলে তাদের দাঁতভাঙ্গা জবাব
====================================
পবিত্র মীলাদ শরীফ এবং ক্বিয়াম শরীফ এবং ঈদে মীলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সুন্নত এটা কুরআন শরীফ,হাদীস শরীফ, ইমাম মুস্তাহিদ উনাদের দলীল দ্বারা অকাট্য ভাবে প্রমানিত হয়েছে । তারপরও কিছু ধর্মব্যবসায়ী ভন্ড মুনাফিক যেমন দেওবন্দী/খারেজী/তাবলীগি/জামাতি/সালাফি ইত্যাদি বাতিল ফির্কা মীলাদ শরীফ উনাকে বিদয়াত বলে থাকে।
নাউযুবিল্লাহ !

মীলাদ-ক্বিয়াম বিরোধীরা বলে থাকে “মীলাদ-ক্বিয়াম”বিদয়াত তাদের এ ফতওয়া সম্পূর্ণ ভুল, মনগড়া ও বিভ্রান্তিকর যা শরীয়ত বিরোধী এবং কুফরীর অন্তর্ভূক্ত ।
মূলতঃ তাদের উক্ত বক্তব্য দ্বারা বুঝা যায় যে, তারা বিদয়াত সম্পর্কে নেহায়েতই অজ্ঞ ও জাহেল । কেননা বিদয়াত সম্পর্কে যদি তাদের সামান্যতম ইলমও থাকতো, তবে তারা কখনোই মীলাদ শরীফ-ক্বিয়াম শরীফ কে বিদয়াত বলে ফতওয়া দিতনা। তাই তাদের সহীহ্ সমঝের জন্য বিদয়াত সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত দলীল ভিত্তিক আলোচনা করা হলো- মূলতঃ বিদয়াত সম্পর্কে বুঝতে হলে, আমাদেরকে প্রথমেই জানতে হবে বিদয়াতের লোগাতী ও শরয়ী অর্থ । অতপরঃ জানতে হবে বিদয়াত কত প্রকার ও কি কি? কোনটি গ্রহণযোগ্য ও কোনটি পরিত্যাজ্য |
বিদয়াতের লোগাতী অর্থ–>>
বিদয়াতের লোগাতী অর্থ হচ্ছে-
(১) “বিদয়াত হলো-দ্বীনের পূর্ণতার পর নতুন কোন বিষয় উদ্ভব হওয়া অথবা সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পর আমল ও খাহেশাত সম্পর্কিত কোন বিষয় নতুন উদ্ভব হওয়া।” দলীল-লোগাতুল কামূস আল মহীত্ব ৩য় জিঃ পৃঃ৩, বায়ানুল লিসান, পৃঃ১১৫

(২) “বিদয়াতহলো- নমুনা ব্যতীত সৃষ্ট জিনিস।” (মিছবাহুল লোগাত, পৃঃ ২৭)
(৩) “বিদয়াত মূলতঃ ওটাকেই বলা হয়, যা পূর্ব নমুনা ব্যতীত সৃষ্টি করা হয়েছে ।” (ফাতহুল বারী শরহে বুখারী ৪র্থ জিঃ পৃঃ২১৯,মিরকাত শরীফ)
(৪) “জেনেরাখ, হুযূরে পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পরে উদ্ভব ঘটেছে এমন প্রত্যেক কাজই বিদয়াত।”
(আশয়াতুল লোমআত)
(৫) “বিদয়াতহলো- নতুনকথা, নতুন প্রথা ।”(আরবী ফিরোজুল লোগাত পৃঃ৫৩)
(৬) “বিদয়াত ওটাকে বলা হয়, যা পূর্ব নমুনা ব্যতীত সৃষ্টি করা হয় ।” (লোগাত আল মনজিদ পৃঃ৭৬)
(৭) “বিদয়াত হলো- নতুন কথা।” (লোগাতে সাঈদী পৃঃ৯৬)
সুতরাং বিদয়াত শব্দের লোগাতী বা আভিধানিক মূল অর্থ হলো- নতুন উৎপত্তি, নতুন উদ্ভব, নতুন সৃষ্টি। পূর্বে যার কোন অস্তিত্ব ছিলনা ।

বিদয়াতের শরীয়তী অর্থ—>>
(১) বিদয়াতের শরীয়ী অর্থ সম্পর্কে বিখ্যাত মুহাদ্দিস ও ফক্বীহ্ আল্লামা বদরুদ্দীন আইনী হানাফী রহমতুল্লাহি আলাইহি লিখেছেন,-
“প্রকৃতপক্ষে বিদয়াত হলো- এমন জিনিসের আবির্ভাব, যার নমুনা হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সময় ছিলনা ।”
(ওমদাতুল ক্বারী শরহে বুখারী ৫ম জিঃ পৃঃ৩৫৬)
(২) আল্লামা ইসমাইল নাবহানী রহমতুল্লাহি আলাইহি লিখেছেন, (শায়খুল ইসলাম) ইজদুদ্দীন ইবনে সালাম বলেন, —
“বিদয়াত এমন একটি কাজ, যা সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার যামানায় সম্পন্ন হয়নি।” (জাওয়াহিরুল বিহার পৃঃ২৮০)
(৩) ইমাম নববী রহমতুল্লাহি আলাইহি লিখেছেন,-
“শরীয়ত মুতাবেক বিদয়াত হচ্ছে- এমনসব নব আবিস্কৃত জিনিসের নাম, যা হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সময় ছিলনা।”(শরহে মুসলিম লিন নববী)
(৪) হাফেজ ইবনে রজব রহমতুল্লাহি আলাইহি লিখেছেন,-
“বিদয়াত ঐ বিষয়কেই বলা হয়, যার ভিত্তি শরীয়তে নেই । সুতরাং শরীয়তে যে বিষয়ের ভিত্তি রয়েছে, শরীয়ত মুতাবেক তা বিদয়াত নয়, যদিও আভিধানিক অর্থে বিদয়াত বলা হয় ।”
(জামিউল উলূম ওয়াল হাকাম পৃঃ১৯৩, ইরশাদুল উনূদ পৃঃ১৬১)
(৫) ইমাম নববী রহমতুল্লাহি আলাইহি লিখেছেন, –
ইমাম নববী রহমতুল্লাহি আলাইহি বলেন, “বিদয়াতের শরীয়তী অর্থ হচ্ছে এমন একটি নতুন কর্ম, যা হুযূরে পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার যামানায় ছিলনা ।’” (তাহযীবুল আসমা ওয়াল লোগাত)
শরীয়তের দৃষ্টিতে বিদয়াত শব্দের মূল অর্থ হলো- ঐ নতুন উদ্ভব বিষয়, যার ভিত্তি কুরআন শরীফ, হাদীছ শরীফ, ইজমা ও ক্বিয়াসে নেই ।
উপরোক্ত আলোচনা দ্বারা এটা স্পষ্টই বুঝা যায় যে, বিদয়াত হলো- হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পর হতে ক্বিয়ামত পর্যন্ত উদ্ভাবিত প্রত্যেক নতুন বিষয় । এখন তা ‘খায়রুল কুরুনে’ ও হতে পারে অথবা তার পরেও হতে পারে।
বিদয়াতের ব্যাখ্যা—>>>
উপরোক্ত লোগাতী ও শরীয়তী অর্থের আলোচনা দ্বারা এটাই প্রমাণিত হয় যে, বিদয়াত হলো হুযূরে পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পর হতে ক্বিয়ামত পর্যন্ত উদ্ভাবিত প্রত্যেক নতুন বিষয় । অতএব, নতুন উদ্ভাবিত বিষয়ের কোনটি শরীয়তে গ্রহণযোগ্য ও কোনটি পরিত্যাজ্য, তা অবশ্যই ব্যাখ্যা সাপেক্ষ।
তাই এ বিদয়াতের ব্যাখ্যা প্রসঙ্গে বিখ্যাত মুহাদ্দিস হযরত মোল্লা আলী ক্বারী রহমতুল্লাহি আলাইহি তাঁর বিশ্ব বিখ্যাত হাদীছ শরীফের কিতাব মেশকাত শরীফের শরাহ্ মেরকাত শরীফে উল্লেখ করেন,-

قال الشافعى رحمة الله مااحدث لمايخالف الكتاب اوالسنة او الاثر او الاجماع فهو ضلالة- وما احدث لمالا يخالف شيأكما ذكر فليس بمذموم– (مرقات شرح مشكوة ج ১ صفه ১৮৯)

অর্থ: “ইমাম শাফেয়ী রহমতুল্লাহি আলাইহি বলেন, যে নব উদ্ভাবিত কাজ কুরআন শরীফ, হাদীস শরীফ, আসার (অর্থাৎ সাহাবা-ই-কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুগণের আমল বা কাওল) অথবা ইজমার বিরুদ্ধ বলে প্রমাণিত, সেটাই গোমরাহী ও নিকৃষ্ট । আর যে নব উদ্ভাবিত কাজ উল্লেখিত কোনটির বিপরীত বা বিরুদ্ধ নয়, তা মন্দ বা নাজায়েয নয় ।” (মেরকাত শরহে মেশকাত, ১ম জিঃ পৃঃ১৮৯)
ইমাম শারানী রহমতুল্লাহি আলাইহি বলেন,-
“প্রত্যেক নতুন উদ্ভাবিত পদ্ধতিই যে নিকৃষ্ট বা নিষিদ্ধ হবে, তার কোন যুক্তি নেই ।” (আরওয়ারে কুদসিয়্যাহ্)

অথচ আজকাল কিছু জাহিল লোক সকল বিদয়াতকেই (নতুন উদ্ভাবিত পদ্ধতি) গোমরাহী বলে থাকে এবং দলীল হিসাবে তারা নিম্নোক্ত হাদীস শরীফ খানা পেশ করে থাকে । যেমন হাদীছ শরীফে ইরশাদ করা হয়েছে,
كل بدعة ضلالة وكل ضلالة فى النار.
অর্থঃ- “প্রত্যেক বিদয়াত ই গোমরাহী, আর প্রত্যেক গোমরাহ লোকই জাহান্নামে যাবে।”
অথচ এই হাদীস শরীফ উনার ব্যাখ্যা সম্পর্কে তারা নেহায়েতই অজ্ঞ । এ হাদীস শরীফ উনার ব্যাখ্যা “মেশকাত শরীফের শরাহ্ মেরকাত শরীফে” উল্লেখ করা হয়, –
“সাহেবে মেরকাত হযরত মোল্লা আলী ক্বারী রহমতুল্লাহি আলাইহি বলেন, “আল আজহার” নামক কিতাবে كل بدعة ضلالة

হাদীস শরীফের এ অংশটুকুর ব্যাখ্যা এভাবে করা হয়েছে, “সকল বিদয়াতে সাইয়্যিয়াই গোমরাহী ।”

আর তাই শায়খ ইব্রাহীম হালবী রহমতুল্লাহি আলাইহি বলেন,-

وعدم النقل عن النبى صلى الله عليه وسلم وعن الصحابة والتابعين رضى الله عنهم وكونه بدعة لا ينافى كونه حسنا. (كبيرى شرح منية المصلى صفه ২৫১)

অর্থ: “নতুন উদ্ভাবিত কোন কাজ হযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, হযরত সাহাবা-ই-কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম তাবেয়ীন রহমতুল্লাহি আলাইহিম গণের নিকট হতে প্রমাণিত না থাকলে অথবা উক্ত কাজের প্রতি বিদয়াত শব্দ আরোপিত হলেই যে, তা মন্দ বা গোমরাহী একথা যুক্তিযুক্ত নয়, বরং তা ভালও হতে পারে ।”
(কবীরী শরহে মুনিয়াতুল মুসল্লী পৃঃ২৫১)
হুজ্জাতুল ইসলাম হযরত ইমাম গাজ্জালী রহমতুল্লাহি আলাইহি ও উনার এহইয়াউল উলুম কিতাবের ২য় খন্ড ২৬ পৃষ্ঠায় অনুরূপ মন্তব্য করেন।
কেউ কেউ আবার হযরত আয়েশা সিদ্দিকা আলাইহাস সালাম ওয়া রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহা হতে বর্ণিত নিম্নোক্ত হাদীছ শরীফখানা পেশ করে বলেন যে, সকল বিদয়াতই নাকি পরিত্যাজ্য । পবিত্র হাদীস শরীফ টি হল, –

من احدث فى امرنا هذا هذا ماليس منه فهورد.

অর্থ-“যে ব্যক্তি আমার এ দ্বীনের ভিতরে কোন নতুন জিনিস উদ্ভাবন করবে, যার ভিত্তি এ দ্বীনে নেই, সেটা অবশ্যই পরিত্যাজ্য ।”
এ হাদীস শরীফের ব্যাখ্যায় মাওলানা শাব্বীর আহমদ ওসমানী রহমতুল্লাহি আলাইহি বলেন,

قوله ماليس منه يدل على ان الا مور التى لها اصل من الكتاب او من سنة رسول الله صلى الله عليه وسلم او من الخلفاء الراشدين اوتعا هل عامة اسلف او الاجتها دالمعتبر بشروط، المستند الى النصوص لا تسمى يدعة شرعية لاى (يدعة سية) فان هذه الا صول كلها من الدين– (فتح الملهم شرح المسلم ج ২ صفه ৪০৭)

অর্থ: পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার উক্ত “ماليس منه হাদীস শরীফের উক্ত শব্দ দ্বারা এটাই প্রমাণিত হয়, যে সকল দ্বীনী কাজের সনদ কুরআন শরীফ অথবা হাদীস শরীফ বা খোলাফা-ই-রাশেদীন রদ্বীয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনাদের সুন্নত অথবা বুযুর্গানে দ্বীনের পারস্পরিক কার্যকলাপ অথবা গ্রহণযোগ্য শর্তাদীসহ শরীয়তের স্পষ্ট দলীলসমূহের ভিত্তিতে যে ইজতিহাদ করা হয়েছে, তার মধ্যে পাওয়া যায়, তবে সেগুলোকে নিকৃষ্ট বিদয়াত (বিদয়াতে সাইয়্যিায়াহ্) বলা যাবেনা । কারণ এ ভিত্তিসমূহ দ্বীনের অন্তর্ভূক্ত ।”
(ফাতহুল মুলহিম শরহে মুসলিম, ২য় জিঃ পৃঃ৪০৭)

অতএব, যে সকল কাজ উল্লেখিত ভিত্তিসমূহের উপর প্রতিষ্ঠিত, তা দ্বীন অর্থাৎ শরীয়তের অন্তর্ভূক্ত বলেই বিবেচিত হবে ।
অনুরূপ মোযাহেরে হক্ব ১ম খন্ড ৭০ পৃষ্ঠায় উল্লেখ রয়েছে, হাদীছ শরীফে ,-
– উদ্দেশ্য এই যে, যে সকল কাজ কুরআন শরীফ ও সুন্নাহ শরীফের বিরুদ্ধ নয়, সেগুলোকে বিদয়াতের গন্ডি বহির্ভূত করে রাখা । কারণ এ সকল কাজ নতুন উদ্ভুত হলেও গোমরাহী বা নিকৃষ্ট নয় ।
উল্লেখিত আলোচনা দ্বারা এটা স্পষ্টই প্রমাণিত হয় যে, বিদয়াত মাত্রই পরিত্যাজ্য নয় এবং সকল বিদয়াতই গোমরাহী নয় । যদি তাই হতো, তবে তারাবীহ্ নামাজ জামায়েতে পড়া জায়েয হতো না। কেননা এটাকেও বিদয়াত বলা হয়েছে, অর্থাৎ উত্তম বিদয়াত ।

এখন মূল বিষয় হলো- বিদয়াত কত প্রকার ও কি কি এবং তার মধ্যে কোনটি শরীয়তে গ্রহণযোগ্য আর কোনটি শরীয়তে পরিত্যাজ্য, তা নির্ণয় করা ।
বিদয়াতের শ্রেণী বিভাগ–>>
ইমাম, মুজতাহিদগণ শরীয়তের বিধান অনুযায়ী বিদয়াতকে প্রথমতঃ দু’ভাগে বিভক্ত করেছেন-
১| বিদয়াতে ই’তেক্বাদী, অর্থাৎ আক্বীদা বা বিশ্বাসগত বিদয়াত ।
২| বিদয়াতে আ’মালী, অর্থাৎ কর্মগত বিদয়াত।
(১) বিদয়াতে ই’তেক্বাদী বা আক্বীদা গত বিদয়াত হলো–>>
যে সমস্ত আক্বীদা কুরআন শরীফ ও সুন্নাহ শরীফের মূলনীতি বহির্ভূত, মূলতঃ এ আক্বীদাগত বিদয়াতের সবটাই হারামের পর্যায়ভূক্ত এবং অবশ্যই পরিত্যাজ্য । যেমন- খারেজী, মু’তাজিলা, জাবারিয়া, ক্বদরিয়া, শিয়া, ওহাবী,তাবলীগি ইত্যাদি বাতিল ফিরকার আবির্ভাব। এই নব আবির্ভূত ফিরকার ন্যায় আক্বীদা পোষণ করা সম্পূর্ণই হারাম ও কুফরী ।
(২) বিদয়াতে আ’মালী বা কর্মগত বিদয়াত->>
বিদয়াতে আ’মালী প্রথমতঃদু’ভাগে বিভক্ত-
(ক) বিদয়াতে হাসানা,
(খ) বিদয়াতে সাইয়্যিয়াহ্ ।
(ক) বিদয়াতে হাসানা আবার তিন প্রকার-
(১) বিদয়াতে ওয়াজিব,
(২) বিদয়াতে মোস্তাহাব ও
(৩) বিদয়াতে মোবাহ্ ।
আর এ বিদয়াতে হাসানাহ্ সম্পর্কেই হাদীস শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে,-
من سن فى الاسلام سنة حسنة فله اجرها واجرمن عمل بها من بعده. (رواة مسلم)
অর্থ: “যে কেউ দ্বীন ইসলাম উনার মধ্যে উত্তম কোন পদ্ধতি উদ্ভাবন করবে (যা শরীয়ত সম্মত), তার জন্য সে সাওয়াব পাবে এবং তারপরে যারা এ পদ্ধতির অনুসরণ করবে, তার সাওয়াবও সে পাবে ।” (মুসলিম শরীফ মিশকাত শরীফ)

উল্লেখিত হাদীস শরীফ উনার দৃষ্টিতে বিদয়াতে হাসানাকে বিদয়াত লিদদ্বীন বলা হয় । কেউ কেউ আবার উক্ত হাদীস শরীফের দৃষ্টিতে বিদয়াতে হাসানাকে ‘বিদয়াতে লোগবী’ও বলে থাকেন। অর্থাৎ যদিও শাব্দিক অর্থে বিদয়াত বলা হয়েছে, মূলতঃ এগুলো সুন্নাতেরই অন্তর্ভূক্ত । কারণ হাদীছ শরীফে (سنة) সুন্নাত শব্দ উল্লেখ রয়েছে।
(খ) আর বিদয়াতে সাইয়্যিয়াহ্ দু’প্রকার-
(১) বিদয়াতে হারাম,
(২) বিদয়াতে মাকরূহ্
এই বিদয়াতে সাইয়্যিয়াহ্ সম্পর্কেই হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে,-

من احدث فى امرنا هذا ماليس منه فهورد. (مشكوة شريف)

অর্থ-“যে ব্যক্তি আমার এ দ্বীনের ভিতরে কোন নতুন বিষয়ের প্রবর্তন করবে, যার ভিত্তি এ দ্বীনে নেই, তা অবশ্যই পরিত্যাজ্য ।” (মিশকাত শরীফ)
আর এ বিদয়াত সম্পর্কেই ইরশাদ হয়েছে,

كل بدعة ضلالة وكل ضلالة فى النار

অর্থঃ- “প্রত্যেক বিদয়াত ই গোমরাহী, আর প্রত্যেক গোমরাহ লোকই জাহান্নামে যাবে ।

উল্লেখিত হাদীস শরীফ উনার দৃষ্টিতে বিদয়াতে সাইয়্যিয়াহকে বিদয়াত ফিদদ্বীন বলা হয় । আর এ বিদয়াতে সাইয়্যিয়াহ কেই ‘শরয়ী’বিদয়াত বলা হয়।
মূলকথা হলো- যা সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালিন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পর নতুন উদ্ভব হয় এবং তা দ্বীনের সাহায্য করে থাকে অথবা সাহায্যকারী না হলেও দ্বীনের কোন ক্ষতি করে না, সেটাই বিদয়াত লিদদ্বীন বা লোগবী বিদয়াত অর্থাৎ বিদয়াতে হাসানা। আর যে নতুন বিষয় উদ্ভব হওয়ার কারণে দ্বীনের কিছুমাত্র ও ক্ষতি হয়, তবে সেটাই হবে বিদয়াতে ফিদদ্বীন বা শরয়ী বিদয়াত অর্থাৎ বিদয়াতে সাইয়্যিয়াহ্ ।
উল্লেখিত আলোচনা দ্বারা এটাই প্রমাণিত হয় যে, বিদয়াত বলতেই পরিত্যাজ্য নয় । অর্থাৎ যেই নতুন উদ্ভাবিত কাজ কুরআন শরীফ, হাদীস শরীফ, ইজমা ও ক্বিয়াসের বিপরীত তা অবশ্যই বর্জনীয়। আর সেটাই বিদয়াতে সাইয়্যিয়াহ্ যা হারামের অন্তর্ভূক্ত, যদিও তা “কুরুনে সালাসার”মধ্যে উদ্ভাবিত হোক না কেন। আর যেই নতুন উদ্ভাবিত কাজ কুরআন শরীফ, হাদীছ শরীফ, ইজমা ও ক্বিয়াসের অনুকুলে তা অবশ্যই জায়েয এবং উত্তম, আর এটাকেই বিদয়াতে হাসানাহ্ বলা হয় । যদিও তা ‘কুরুনে সালাসার’ পরে উদ্ভাবিত হয়।
বিদয়াতে হাসানা ও বিদয়াতে সাইয়্যিয়াহ-এর বিশ্লেষণ—>>>
নিম্নে বিদয়াতে হাসানা ও বিদয়াতে সাইয়্যিয়ার উদাহরণভিত্তিক ব্যাখ্যা দেয়া হলো-
১| বিদয়াতে ওয়াজিবঃ- যা পালন না করলে ইসলামের ক্ষতি বা সংকট হবে, যেমন- কুরআন শরীফ ও হাদীস শরীফ কাগজে কিতাব আকারে লিপিবদ্ধ করা, কুরআন শরীফের জের, জবর, পেশ দেওয়া, মাদ্রাসা নির্মাণ করা, নহু সরফ, উসুল ইত্যাদি প্রয়োজনীয় কিতাব লেখা ও পড়া ।
২| বিদয়াতে মোস্তাহাবঃ- যা শরীয়তে নিষেধ নেই এবং তা সমস্ত মুসলমানগণ ভাল মনে করে সাওয়াবের নিয়তে করে থাকেন, যেমন- তারাবীহ্ নামাজ জামায়াতে পড়া, মুসাফিরখানা, ইবাদতখানা, লঙ্গরখানা, ইত্যাদি জনহিতকর কাজ করা। খতিবের সম্মুখে আজান দেওয়া, রমাদ্বান শরীফে বিতর নামাজ জামায়াতে আদায় করা ইত্যাদি | এ প্রসঙ্গে হযরত ইবনে মাসউদ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু হতে বর্ণিত- সাইয়্যিদুল মুরসালিন, ইমামুল মুরসালিন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন,-

ما راه الناس حسنا فهو عندا لله حسنا- لا تجتمع امتى على الضلالة. (مشكوة)

“লোকে যা ভাল মনে করে তা আল্লাহ্ পাক-এর নিকটও ভাল। আমার উম্মতগণ কখনো গোমরাহীর মধ্যে একমত হবে না।”
(মেশকাত শরীফ)
৩| বিদয়াতে মোবাহ –ঐ সমস্ত নতুন কাজ যা শরীয়তে নিষেধ নেই, যেমন- পোলাও, বিরিয়ানী, বুট, মুড়ী, পিয়াঁজো ইত্যাদি খাদ্য খাওয়া, ট্রেন, মোটরগাড়ী, প্লেন ইত্যাদি যান-বাহনে চড়া ।
৪| বিদয়াতে হারামঃ- যা কুরআন শরীফ ও হাদীস শরীফ-এর পরিপন্থি বা ওয়াজিব আমলগুলি ধ্বংসের কারণ। যেমন- ইহুদী, নাসারা ও ভন্ড ফকিরদের কু-প্রথা বা আক্বীদাসমূহ ।
৫| বিদয়াতে মাকরূহ- যার দ্বারা কোন সুন্নত কাজ বিলুপ্ত হয়ে যায়। যেমন- বিধর্মীদের পোশাক পরিধান করা, টাই পরিধান করা এবং বিধর্মীদের অনুসরণ করা ইত্যাদী । কেননা হাদীস শরীফ উনার মদ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন,-

قال رسول الله صلى الله عليه وسلم- ما احدث قوم بدعة الارفع مثلها من السنة فتمسك بسنة خير من احداث بدعة. (رواه احمد)

অর্থ: “যখনই কোন ক্বাওম একটি বিদয়াতের উদ্ভব ঘটিয়েছে, তখনই একটি সুন্নত লোপ পেয়েছে । সুতরাং একটি সুন্নতের আমল করা (যদিও ওটা ক্ষুদ্র হতে ক্ষুদ্রতর হয়) একটি বিদয়াত উদ্ভব করা হতে উত্তম (যদিও ওটা বিদয়াতে হাসানা হয়)।” (মসনদে আহমদ)

বিদয়াতের অনুরূপ ব্যাখ্যা বা সংজ্ঞা নিন্মোক্ত কিতাবসমূহেও রয়েছে। যেমন- বুখারী শরীফের শরাহ ফাতহুল মুবীন, হাশিয়ায়ে মেশকাত, আশআতুল লোময়াত, ফতওয়ায়ে শামী, এশবাউল কালাম, আসমা ওয়াল লোগাত, হুসনুল মাকাছেদ ইত্যাদি আরো আনেক কিতাব সমূহে।
কেউ কেউ আবার বলে থাকে, খাইরুল কুরুনের পর আবিস্কৃত প্রত্যেক নতুন জিনিসই বিদয়াতে সাইয়্যিয়াহ্ । অথচ এটা মোটেও শুদ্ধ নয় । কেননা যদি তাই হতো, তবে আমাদের সামাজে প্রচলিত এমন অনেক নতুন বিষয় রয়েছে, যা অবশ্যই পরিত্যাগ করা জরুরী হয়ে পড়তো । যেমন-
(ক) বর্তমানে যে পদ্ধতিতে মাদ্রাসায় ইলম শিক্ষা দেওয়া হয়, সেই পদ্ধতি সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে শুরু করে “খাইরুল কুরুন”পর্যন্ত কারো সময় ই ছিলনা।
(খ) বর্তমানে আমরা যে নাহু সরফ শিক্ষা করে থাকি, তাও “খাইরুল কুরুনে” ছিল না ।
(গ) বর্তমানে আমরা যে পদ্ধতিতে তারাবীহর নামাজ পড়ে থাকি, এ পদ্ধতিও হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সময় ছিলনা ।
(ঘ) বর্তমানে আমরা মসজিদে জামায়াতের জন্য যে সময় নির্ধারণ করে থাকি, তাও সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালিন হযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সময় ছিলনা ।
(ঙ) বর্তমানে আমরা যে পদ্ধতিতে জুময়ার সানী আজান দিয়ে থাকি, এ পদ্ধতি সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সময় ছিলনা ।
(চ) বর্তমানে আমরা যে পদ্ধতিতে ওয়াজ মাহফিল করে থাকি ঐরূপ পদ্ধতিতে সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ওয়াজ মাহফিল করেননি ।
(ছ) বর্তমানে আমরা যে পোলাও, বিরিয়ারী কোর্মা, বুট, মুড়ী, পিয়াজো খেয়ে থাকি, তা সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম খাননি ।
(জ) বর্তমানে আমরা যে সকল যান-বাহনে চড়ে থাকি যেমন- মোটরগাড়ী, ট্রেন, প্লেন, রকেট, রিক্সা জাহাজ ইত্যাদি এবং পবিত্র হজ্বব্রত পালন করি ও বিদেশ ভ্রমনে যাই, তা সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সময় ছিলনা, তিনি ঐগুলোতে কখনো চড়েননি ।
(ঝ) বর্তমানে মানুষ যে সকল খাট-পালঙ্ক, সোকেস-আলমারী ইত্যাদি ব্যবহার করে থাকে, তা সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ব্যবহার করেননি ।
(ঞ) বর্তমানে বিয়ে-শাদীতে যে কাবিননামা করা হয়, তা সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর সময় ছিলনা ।
(ত) বর্তমানে যে সকল আধুনিক যন্ত্রপাতি মানুষ ব্যবহার করছে, যেমন- ফ্যান, ঘড়ি, চশমা, মাইক, কম্টিউটার ইত্যাদি, এগুলো সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর সময় ছিলনা।
(থ) বর্তমানে যে পদ্ধতিতে মাদ্রাসার জন্য চাঁদা আদায় করা হয়, যেমন সদকা, ফেৎরা, যাকাত, কুরবানীর চামড়া, মান্নতের টাকা ইত্যাদি এবং যে পদ্ধতিতে মাদ্রাসা তৈরী করা হয়, তা যেমন সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সময় ছিলনা । তদ্রুপ ‘খায়রুল কুরুনেও’ ছিলনা।
এমনিভাবে আরো অনেক বিষয়ই রয়েছে, যা সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বা “খায়রুল কুরুনে” ছিলনা কিন্তু আমরা তা দায়েমী ভবে করছি। আপনারা কি এগুলো ব্যবহার হতে বিরত থাকেন আছেন?
সুতরাং মূলকথা হলো- সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পর নতুন উদ্ভব হয় এবং তা দ্বীনের সাহায্য করে থাকে অথবা সাহায্যকারী না হলেও দ্বীনের কোন ক্ষতি করে না, সেটাই বিদয়াতে হাসানা । আর যে নতুন বিষয় উদ্ভব হওয়ার কারণে দ্বীনের কিছুমাত্রও ক্ষতি হয়, তবে সেটাই হবে বিদয়াতে সাইয়্যিয়াহ্ ।
এখন যেসকল বাতিল ফির্কা মীলাদ শরীফ উনার বিরোধিতা করো এখন এই পোস্ট পড়ে তাওবা করে বিরোধিতা ত্যাগ করো। অন্যথায় জাহান্নামের আগুন তোমাদের হাতছানি দিচ্ছে……

sm40.com
sunnat.info
#90DaysMahfil

যখন নিয়ামত নাযিল হয় তখন কেউ যদি গাফিল থাকে তাহলে কঠিন পরিণতি হবে। এর উদাহরণটা কি?

যখন নিয়ামত নাযিল হয় তখন কেউ যদি গাফিল থাকে তাহলে কঠিন পরিণতি হবে। এর উদাহরণটা কি?
যখন নিয়ামত নাযিল হয় তখন কেউ যদি গাফিল থাকে তাহলে কঠিন পরিণতি হবে। এর উদাহরণটা কি?
====================================
যখন নিয়ামত নাযিল হয় তখন কেউ যদি গাফিল থাকে তাহলে কঠিন পরিণতি হয় এর উদাহরণ হচ্ছে-
১. ইহুদিরা। তারা হাজার বছর ধরে অপেক্ষা করেছিল সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার জন্য। বনু কায়নুকা, বনু নাযির ইত্যাদি ইহুদি গোত্রসমূহ হাজার বছর ধরে অপেক্ষমান ছিল আখেরী নবী উনার জন্য। যখন তিনি তাশরিফ মুবারক নিলেন তখন তারা নফসানিয়াতের কাছে হেরে গেল। তারা ভেবেছিল তিনি বনী ইসরাইল এর মধ্যে আগমন করবেন কিনতু তিনি বনী ইসমাঈলে হযরত যবীহুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনার মধ্যে আগমন করার কারণে তারা বিদ্বেষী হয়ে উঠল। তারা নফসানিয়াতের কাছে হেরে গেল। চির লা’নতগ্রস্থ হয়ে গেল।

২. উদাহরণ মক্কাবাসী মুশরিকরা। তারা প্রচলিত রীতিনীতি ছাড়তে পারলনা। তারাও চির লা’নতগ্রস্থ হযে গেল।

৩. আরেকটি উদাহরণ হল কুফাবাসী। আশুরার দিনে তারা ইমামুছ ছালিছ হযরত ইমাম হুসাইন আলাইহিস সালাম উনার খিদমত মুবারকে সাড়া না দিয়ে তারা ব্যক্তিগত কাজে ব্যস্ত ছিল। তারাও চির লা’নতগ্রস্থ হযে গেল।

৪. আর একটি উদাহরণ হচ্ছে- সা’য়লাবা ইবনে হাতিফ। তার চরম পরিণতি। তার অন্তরে মুনাফিকি তৈরী করে দেয়া হয়েছে ইলা ইয়াওমিয়াল কাওনাহু। কেউ তার যাকাত গ্রহণ করেনি। কেন, যখন তাকে শুকরিয়া আদায় করতে বলা হলো তখন সে শুকরিয়া আদায় করেনি।

যারা সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ উনাকে অবহেলা করবে, সাধারণভাবে নিবে তাদেরও ঠিক একই পরিণতি হবে । 

Currently, the 90-days Mahfil is going on in the sacred Rajarbag Dorbar Shareef. Join the mahfil in groups.

সুমহান ৯০ দিন ব্যাপী আযিমুশশান মাহফিল সম্মানিত প্রতিষ্ঠাতা পৃষ্ঠপোষক: 
======================
সাইয়্যিদুনা মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা
আলাইহিস সালাম যিনি সম্মানিত শায়িখ
রাজারবাগ দরবার শরীফ।

حدث رائع في التاريخ في بنغلاديش
 تسعين يوما طويلة المحفل

A wonderful event in history happening in Bangladesh: 90 days long mahfil.

Map location- tinyurl.com/Rajarbag-Shareef

#90DaysMahfil 
বিস্তারিত দেখুন: 
sm40com

সবচেয়ে বড় নাফরমান সর্বোচ্চ জান্নাতী

সবচেয়ে বড় নাফরমান সর্বোচ্চ জান্নাতী
সবচেয়ে বড় নাফরমান সর্বোচ্চ জান্নাতী
==========================

মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত রয়েছেন- অর্থ: “নিশ্চয়ই (বনী ইসরাঈলে) এক ব্যক্তি (যে দুই শত বছর হায়াত পেয়েছিলো এবং) দুই শত বছর মহান আল্লাহ পাক উনার নাফরমানী করেছিলো। সে তার সম্পূর্ণ হায়াতে মহান আল্লাহ পাক উনার চরম অবাধ্য ও নাফরমানীতে মশগূল ছিলো, বেপরওয়া ছিলো। (যার কারণে কেউ তাকে পছন্দ করতো না এবং সকলে চরম ঘৃণা করতো।) ফলে সে যখন ইন্তেকাল করল, তখন বনী ইসরাঈলরা তার পায়ে ধরে তাকে টেনে হেঁচড়ে গোবর পূর্ণ স্থানে, গোবরের স্তূপে নিক্ষেপ করল। তারপর যিনি খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি জলীলুল ক্বদর নবী এবং রসূল হযরত মূসা কালীমুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনাকে সম্মানিত ওহী মুবারক করেন যে, তিনি যেন বণী ইসরাঈলের সমস্ত লোকজন নিয়ে ঐ ব্যক্তির গোসল, কাফন ও দাফনের ব্যবস্থা করেন এবং তার জানাযার নামায পড়েন। মহান আল্লাহ পাক তিনি যা নির্দেশ মুবারক করলেন, হযরত কালীমুল্লাহ আলাইহিস সালাম তিনি তাই করলেন। এই কারণে বনী ইসরাঈলরা আশ্চর্য হলো। তারা বললো, সে এমন এক ব্যক্তি- যার মতো অত্যধিক সীমালঙ্গনকারী, চরম অবাধ্য, অত্যন্ত কঠিন হৃদয়ের অধিকারী, চরম বেপরওয়া, কর্কশভাষী, বড় যালিম, চরম বেআদব, সেরকাশী (অবাধ্য ) এবং অত্যধিক পাপীষ্ঠ, গুণাহগার আর কেউ ছিলো না। হযরত কালীমুল্লাহ আলাইহিস সালাম তিনি বললেন, নি:সন্দেহে আমি তা জানি। কিন্তু মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাকে এরূপ করার জন্য সম্মানিত নির্দেশ মুবারক দিয়েছেন। সুবহানাল্লাহ! তখন তারা সবাই বললো, আপনি (দয়া করে) আপনার রব তা'য়ালা মহান আল্লাহ পাক উনাকে (এ বিষয়ে) জিজ্ঞাসা করুন (যে, এর হাক্বীক্বত কী?)। তারপর হযরত কালীমুল্লাহ আলাইহিস সালাম তিনি উনার রব তা'য়ালা মহান আল্লাহ পাক উনাকে সুওয়াল করলেন। তিনি বললেন, আয় বারে এলাহী! বনী ইসরাঈলরা যা বলেছে আপনি অবশ্যই তা জানেন। তখন মহান আল্লাহ পাক তিনি হযরত কালীমুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনাকে সম্মানিত ওহী মুবারক করলেন যে, বনী ইসরাঈলরা যা বলেছে তা সত্যই বলেছে। নিশ্চয়ই সে দুই শত বছর আমার নাফরমাণী করেছে। তবে সে একদিন সম্মানিত ও পবিত্র তাওরাত শরীফ খুলে দেখতে পেলো যে, সেখানে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় ইসিম বা নাম মুবারক লিখিত রয়েছেন।
তখন সে খুশি মুবারক প্রকাশ করে অত্যন্ত মুহব্বতে আমার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব মাহবুব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় ইসিম মুবারক 'সাইয়্যিদুনা হযরত মুহম্মদ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মধ্যে (একবার মাত্র) বুছা দিয়েছিলো এবং খুশি মুবারক প্রকাশ করে অত্যন্ত মুহব্বতে উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় ইসিম মুবারক তার দুই চোখে লাগিয়েছিলো। সুবহানাল্লাহ! অপর বর্ণনায় রয়েছেন, এবং সে উনার প্রতি সম্মানিত ছলাত মুবারক পাঠ করেছিলো অর্থাৎ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদুল আ'ইয়াদ শরীফ পালন করেছিলো। সুবহানাল্লাহ! এই কারণে আমি তাকে উত্তম প্রতিদান দান করেছি। সুবহানাল্লাহ! তার দুই শত বছরের (জীবনের) সমস্ত গুণাহ-খতাগুলো ক্ষমা করে দিয়েছি এবং তার সাথে সত্তর জন হুরের বিবাহ দিয়েছি। সুবহানাল্লাহ! অর্থাৎ তার উপর জাহান্নাম হারাম করে সম্মানিত জান্নাত মুবারক ওয়াজিব করে দিয়েছি এবং আপনার মতো একজন জলীলুল ক্বদর নবী ও রসূল উনার জন্য তার গোসল, কাফন ও দাফনের ব্যবস্থা করা এবং তার জানাযার নামায পড়া ফরয করে দিয়েছি।” সুবহানাল্লাহ! (খছায়িছল কুবরা ১/২৯, সুবুলুল হুদা ওয়ার রশাদ ১/৪১২, সীরাতে হালবিয়্যাহ ১/১৩৬, তাফসীরে দুররে মানছুর ৩/৫৭৯, শরহুল বুখারী ২/১১৯ ইত্যাদি)

নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় ইসিম বা নাম মুবারক মাত্র একবার বুছা দিলে, চোখে স্পর্শ মুবারক করলে অথবা উনার প্রতি একবার সম্মানিত ছলাত মুবারক পাঠ করলে অর্থাৎ উনার সম্মানার্থে সামান্য সময় মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদুল আ'ইয়াদ শরীফ পালন করলে যদি দুইশত বছরের সমস্ত গুনাহ্-খতা মাফ করে দেয়া হয়, ঐ ব্যক্তি উনার উপর জহান্নাম হারাম করে দিয়ে সম্মানিত জান্নাত মুবারক ওয়াজিব করে দেয়া হয়, ৭০ জন হুরের সাথে বিবাহ দেওয়া হয় এবং ঐ ব্যক্তি উনার গোসল, কাফন ও দাফনের ব্যবস্থা করা এবং তার জানাযার নামায পড়া জলীলুল ক্বদর নবী এবং রসূল হযরত কালীমুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনার উপর ফরয করে দেয়া হয়, তাহলে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদুল আ'ইয়াদ শরীফ পালন করার ফযীলত মুবারক কতো বেমেছাল এটা সমস্ত জিন-ইনসান, তামাম কায়িনাতবাসী সকলের চিন্তা ও কল্পনার উর্ধ্বে। সুবহানাল্লাহ!
#7RobiulAwalShareef
#9RobiulAwalShareef
#12RobiulAwalShareef
#90DaysMahfil 
#RajarbagDorberShareef
sunnat.info
Sm40.com

অলিউল্লাহ উনার ছোহবত মুবারক

অলিউল্লাহ উনার ছোহবত মুবারক
একজন অলিউল্লাহ উনার ছোহবত মুবারক ইখতিয়ার করলে ৬০ বছরের বেরিয়া এবাদতের চেয়েও উত্তম । সুবহানাল্লাহ!
তাহলে , আহলু বাইত রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বা আওলাদে রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের ছোহবত মুবারক কত ফজিলতের হবে ? কায়িনাতবাসীর পক্ষে সেটা কখনোই মিলানো সম্ভব হবে না! 

মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন,
اِنَّـمَا يُرِيْدُ اللهُ لِيُذْهِبَ عَنْكُمُ الرِّجْسَ اَهْلَ الْبَيْتِ وَيُـطَـهِّـرَكُمْ تَطْهِيْراً.
অর্থ: “হে সম্মানিত হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম, নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ পাক তিনি চান আপনাদের থেকে সমস্ত প্রকার অপবিত্রতা দূর করে আপনাদেরকে পবিত্র করার মতো পবিত্র করতে। অর্থাৎ তিনি আপনাদেরকে পবিত্র করার মতো পবিত্র করেই সৃষ্টি মুবারক করেছেন।” সুবহানাল্লাহ! (সম্মানিত সূরা আহযাব শরীফ: সম্মানিত আয়াত শরীফ ৩৩)

Currently, the 90-days Mahfil is going on in the sacred Rajarbag Dorbar Shareef. Join the mahfil in groups.

সুমহান ৯০ দিন ব্যাপী আযিমুশশান মাহফিল সম্মানিত প্রতিষ্ঠাতা পৃষ্ঠপোষক: 
======================
সাইয়্যিদুনা মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা
আলাইহিস সালাম যিনি সম্মানিত শায়িখ
রাজারবাগ দরবার শরীফ।

حدث رائع في التاريخ في بنغلاديش
 تسعين يوما طويلة المحفل

A wonderful event in history happening in Bangladesh: 90 days long mahfil.

Map location- tinyurl.com/Rajarbag-Shareef

#90DaysMahfil 
বিস্তারিত দেখুন: 
sm40com

কুল-কায়িনাতের সকলের জন্য ফরয হচ্ছে- সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিশ শুহুরিল আ’যম, পবিত্র রবীউল আউওয়াল শরীফ মাসে তো অবশ্যই, বরং অনন্তকালব্যাপী দায়িমীভাবে খিদমত মুবারক উনার আঞ্জাম দেয়া।

কুল-কায়িনাতের সকলের জন্য ফরয হচ্ছে- সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিশ শুহুরিল আ’যম, পবিত্র রবীউল আউওয়াল শরীফ মাসে তো অবশ্যই, বরং অনন্তকালব্যাপী দায়িমীভাবে খিদমত মুবারক উনার আঞ্জাম দেয়া।
কুল-কায়িনাতের সকলের জন্য ফরয হচ্ছে- সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিশ শুহুরিল আ’যম, পবিত্র রবীউল আউওয়াল শরীফ মাসে তো অবশ্যই, বরং অনন্তকালব্যাপী দায়িমীভাবে খিদমত মুবারক উনার আঞ্জাম দেয়া।
=================================
মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, ‘তোমরা মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার খিদমত মুবারক করো, উনাকে তা’যীম-তাকরীম মুবারক করো এবং উনার ছানা-ছিফত মুবারক বা প্রশংসা মুবারক বর্ণনা করো সকাল-সন্ধ্যা।” অর্থাৎ দায়িমীভাবে সদা-সর্বদা অনন্তকাল ধরে। সুবহানাল্লাহ!
তাই কুল-কায়িনাতের সকলের জন্য ফরয হচ্ছে- সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিশ শুহুরিল আ’যম, পবিত্র রবীউল আউওয়াল শরীফ মাসে তো অবশ্যই, বরং অনন্তকালব্যাপী দায়িমীভাবে খিদমত মুবারক উনার আঞ্জাম দেয়া।
কারণ অনন্তকালব্যাপী জারীকৃত মহাপবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ উনার সুমহান সম্মানার্থে খিদমত মুবারক উনার আঞ্জাম দেয়া অশেষ ফযীলত এবং ইহ-পরকালে কামিয়াবী ও নাজাত লাভ করার সর্বোত্তম উসীলা। সুবহানাল্লাহ!

খলীফাতুল্লাহ, খলীফাতু রসূলিল্লাহ, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “আমার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আমি আপনাকে প্রেরণ করেছি হাজির-নাযির, সুসংবাদদাতা ও ভয়প্রদর্শনকারীরূপে। তোমরা মহান আল্লাহ পাক উনার প্রতি পবিত্র ঈমান আনো এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি পবিত্র ঈমান আনো ও উনার খিদমত মুবারক করো, উনাকে তা’যীম-তাকরীম মুবারক করো এবং উনার ছানা-ছিফত মুবারক বা প্রশংসা মুবারক বর্ণনা করো সকাল-সন্ধ্যা অর্থাৎ দায়িমীভাবে সদা-সর্বদা অনন্তকাল।” এ পবিত্র আয়াত শরীফ উনার দ্বারা বান্দা-বান্দী ও উম্মত উনাদের জন্য মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার খিদমত মুবারক করা ফরয সাব্যস্ত হয়। সুবহানাল্লাহ! এখন উম্মত সরাসরি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার খিদমত মুবারক উনার আঞ্জাম দিতে পারবে না, যেহেতু তিনি বরকতময় দিদার মুবারকে রয়েছেন। তবে বর্তমানে উনার মহাপবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ অর্থাৎ মহাপবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ উনার সুমহান সম্মানার্থে খুশি প্রকাশ করে সাধ্য-সামর্থ্য অনুযায়ী খরচ করে উনার খিদমত মুবারক উনার আঞ্জাম দিতে হবে। সুবহানাল্লাহ!

আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, সাইয়্যিদে ঈদে আ’যম, সাইয়্যিদে ঈদে আকবর মহাপবিত্র ঈদে মীলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম অর্থাৎ মহাপবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ উনার সম্মানার্থে কেউ যদি এক মুদ (১৪ ছটাক) বা অর্ধমুদ (৭ ছটাক) গম দান করে, তবে সে অন্যান্য নেক কাজে উহুদ পাহাড় পরিমাণ স্বর্ণ দান করলে যেই ফযীলত; তার চেয়ে বেশি ফযীলত লাভ করবে। সুবহানাল্লাহ! যে প্রসঙ্গে পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে, “আমার হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদেরকে তোমরা গালমন্দ, সমালোচনা বা দোষারোপ করো না। তোমাদের কেউ যদি উহুদ পাহাড় পরিমাণ স্বর্ণ মহান আল্লাহ পাক উনার রাস্তায় দান করো, তবুও হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনারা আমার খিদমত মুবারকে এক মুদ (১৪ ছটাক) বা অর্ধ মুদ (৭ ছটাক) গম হাদিয়া করে যে ফযীলত অর্জন করেছেন তার সমপরিমাণ ফযীলত তোমরা অর্জন করতে পারবে না।” সুবহানাল্লাহ!

আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, অর্থাৎ হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনারা মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার জন্য হাদিয়া মুবারক করে যে বেমেছাল ফযীলত হাছিল করেছেন পরবর্তী উম্মত যদি সেই ফযীলতের অনুরূপ ফযীলত হাছিল করতে চায়, তাহলে তাদের কর্তব্য হলো- মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাপবিত্র বিলাদত শরীফ অর্থাৎ মহাপবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ উনার সম্মানার্থে খুশি প্রকাশ করে সর্বোচ্চ তাওফীক বা সাধ্য অনুযায়ী খরচ করা। অর্থাৎ আর্থিক খিদমত মুবারক উনার আঞ্জাম দেয়া। সুবহানাল্লাহ!

আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, মূলত সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ, সাইয়্যিদে ঈদে আ’যম, সাইয়্যিদে ঈদে আকবর পবিত্র ঈদে মীলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম অর্থাৎ পবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ উনার সম্মানার্থে মাত্র এক দিরহাম খরচ করার অর্থ হচ্ছে নিশ্চিতরূপে জান্নাত লাভ করা। এ প্রসঙ্গে বিশ্ব সমাদৃত ও সুপ্রসিদ্ধ পবিত্র মীলাদ শরীফ কিতাব “আন নি’য়ামাতুল কুবরা আলাল আলাম ফী মাওলিদি সাইয়্যিদি উলদি আদম” উনার মধ্যে বর্ণিত আছে, (মহাসম্মানিত হযরত নবী আলাইহিমুস সালাম উনাদের পরে শ্রেষ্ঠ মানুষ) হযরত ছিদ্দীক্বে আকবর আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, “যে ব্যক্তি মহাপবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ উনার সম্মানার্থে খুশি প্রকাশ করে এক দিরহাম খরচ করবে, সে জান্নাতে আমার বন্ধু হয়ে থাকবে। অর্থাৎ মহাপবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ উনার খিদমত মুবারকে এক দিরহাম খরচ করা সাইয়্যিদুনা হযরত ছিদ্দীক্বে আকবর আলাইহিস সালাম উনার সারা জীবনের আমলের চেয়েও শ্রেষ্ঠ।” সুবহানাল্লাহ!

আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, তাই, সকল বান্দা-বান্দী ও উম্মত উনাদের জন্য ফরয হচ্ছে- মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার যথাযথ খিদমত মুবারক করা অর্থাৎ মহাপবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ উনার সুমহান সম্মানার্থে অনন্তকালব্যাপী দায়িমীভাবে খিদমত মুবারক উনার আঞ্জাম দেয়া; যা অশেষ ফযীলত ও ইহ-পরকালে নাজাত লাভ করার সর্বোত্তম উসীলাও বটে। সুবহানাল্লাহ!

Currently, the 90-days Mahfil is going on in the sacred Rajarbag Dorbar Shareef. Join the mahfil in groups.

সুমহান ৯০ দিন ব্যাপী আযিমুশশান মাহফিল সম্মানিত প্রতিষ্ঠাতা পৃষ্ঠপোষক: 
======================
সাইয়্যিদুনা মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা
আলাইহিস সালাম যিনি সম্মানিত শায়িখ
রাজারবাগ দরবার শরীফ।

حدث رائع في التاريخ في بنغلاديش
 تسعين يوما طويلة المحفل

A wonderful event in history happening in Bangladesh: 90 days long mahfil.

Map location- tinyurl.com/Rajarbag-Shareef

#90DaysMahfil 
বিস্তারিত দেখুন: 
sm40com

হুব্বে রসূল বা রসূল পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি মুহব্বতের কি কোন মাপকাঠি আছে?

হুব্বে রসূল বা রসূল পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি মুহব্বতের কি কোন মাপকাঠি আছে?
হুব্বে রসূল বা রসূল পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি মুহব্বতের কি কোন মাপকাঠি আছে? 

নবীজী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি মুহব্বত শিখতে হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু আনহুম উনাদের আমলের দিকে তাকাতে হবে। আসুন দেখি হাদীছ শরীফে কি বর্ণিত আছে,
عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي قُرَادٍ أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ تَوَضَّأَ يَوْمًا فَجَعَلَ أَصْحَابُهُ يَتَمَسَّحُونَ بِوَضُوئِهِ فَقَالَ لَهُمُ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: مَا يَحْمِلُكُمْ عَلَى هَذَا؟ قَالُوا: حَبُّ اللَّهِ وَرَسُولِهِ
“হযরত আবদুর রহমান ইবনু আবূ কুরাদ রদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদিন হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ওযূ করলেন। হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু আনহুমগন উনার ওযূর পানি স্বীয় শরীরে মর্দন করতে লাগলেন। হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের বললেন, কিসে তোমাদেরকে এ কাজের প্রতি উদ্বুদ্ধ করল? হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু আনহুমগন বললেন, আল্লাহ পাক এবং উনার রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর মুহব্বত বা ভালোবাসা।” সুবহানাল্লাহ!
(দলীল: শুয়াবুল ঈমান লিল বায়হাকী ৩/১১০: হাদীছ ১৪৪০, মিশকাতুল মাছাবীহ ৪৯৯০)

এখন খুবই ঠান্ডা মাথায় চিন্তা করেন, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র ওযূর পানি শরীরে মাখতে হবে এ মর্মে কুরআন শরীফে কি কোন আয়াত শরীফ আছে? না হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি কোন আদেশ করেছিলেন? 

তাহলে হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু আনহুমগন কিসের ভিত্তিতে করলেন? উত্তর কিন্তু উনারাই দিয়েছেন, সেটা হচ্ছে মুহব্বত বা ভালোবাসার জন্য। আমরা আখেরী যামানার উম্মতরা সরাসরি নবীজীকে পাচ্ছি না এখন যদি আমারা আমাদের অন্তরের অকুতি থেকে উনার প্রতি ভালোবাসা প্রকাশ করি, উনার শান মান আলোচনা করি, বিলাদত শরীফ পালন করি সেটা কেন প্রশ্নবিদ্ধ করা হবে?

_______
সুমহান ৯০ দিন ব্যাপী আযিমুশশান মাহফিল সম্মানিত প্রতিষ্ঠাতা পৃষ্ঠপোষক: 
======================
সাইয়্যিদুনা মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা
আলাইহিস সালাম যিনি সম্মানিত শায়িখ
রাজারবাগ দরবার শরীফ।

حدث رائع في التاريخ في بنغلاديش
 تسعين يوما طويلة المحفل

A wonderful event in history happening in Bangladesh: 90 days long mahfil.

Currently, the 90-days Mahfil is going on in the sacred Rajarbag Dorbar Shareef. Join the mahfil in groups.

Map location- tinyurl.com/Rajarbag-Shareef


#90DaysMahfil 
বিস্তারিত দেখুন: 
sm40com