31st নাইট পালন করা মুসলমানদের জন্য হারাম । উদযাপন করা কুফুরি ।

31st নাইট পালন করা মুসলমানদের জন্য হারাম । উদযাপন করা কুফুরি ।


৩১st নাইট পালন করলে মুসলমানরা যা যা পাবে - 
১. ঈমান নষ্ট হয়ে হয়ে যাবে । 
২. বিয়ে করে থাকলে বউ তালাক হয়ে যাবে । 
৩. বাবার ওয়ারিস্বত্ব নষ্ট হয়ে যাবে। মানে সে বাবার কোন সম্পত্তিতে কোন ভাগ পাবেনা । 
৪. হজ্জ্ব করে থাকলে তা সাকেত বা নষ্ট হয়ে যাবে । 
৫. এই অবস্থায় মারা গেলে তার কাফন , দাফন , জানাযা কানটাই করা জায়েজ হবনা । 
৬. এই হারাম কাজের পর মারা গেলে তাকে কুকুর , শৃগালের মতো মাটিতে পুঁতে রাখতে হবে । 
৭. তার জীবনের সমস্ত আমল বরবাদ হয়ে যাবে । 
৮. আবার ,শুভ নববরষ, হ্যাপি নিউ ইয়ার দিলেও আমল নষ্ট হয়ে যাবে। 

31 st নাইটের কোন ভালো দিক তো নাই ই । বরং এই দিনে কোটি কোটি হারাম ও অসামাজিক কাজ সংগঠিত হয়ে থাকে । 
হারাম ও অসামাজিক কাজের কিছু নমুনা- 

১.এই দিনে বিভিন্ন হোটেলে চলে মদ ও নারীর মেলা । 
২. যে যার সাথে খুশি খারাপ কাজ করতে পারে । 
৩.ছেলে-মেয়ের এক সাথে নাচা- নাচি করে । 
৪. ছোট - বড় সবাই এক সাথে মদ খায় । 
৫. অনেক ছেলে মেয়ে হারাম ভাবে তাদের মনের কুকাজ গুলো করে থাকে । বিশেষ করে , নিজের পবিত্র চারত্রকে বিলিয়ে দেয় অন্যের হাতে । 
৬. তারা বিভিন্ন জায়গায় আতশ বাজি , এবং বন্দুকের গুলি ছোড়ে যা পরিবেশে ও সমাজের জন্য হুমকির কারণ হয়ে ওঠে । 
হাদীস শরীফ উনার মাঝে ইরশাদ মুবারক হয়েছে , মান তাশাববাহা মিন কওমিন ফাহুয়া মিনহু - ( অর্থ - যে যে সম্প্রদায়ের সাথে মিল রাখবে তার সাথে তার হাশর নাশর হবে ) ।
৩১st হলো বিধরমীদের কালচার বা নিয়ম কানুন । 
তাই মুসলমনাদের জন্য ফরয ওয়াজীব হলো বিজাতীয় কালাচার বাদ দিয়ে ইসলামী নিয়ম নীতি অনুসরণ অনুকরণ করা । 

আল্লাহ পাক আমাদের সবাইকে হিদায়েত দান করুন ।

মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, ঐ ব্যক্তির চেয়ে বড় যালিম আর কে? যে ব্যক্তি মহান আল্লাহ পাক উনার পবিত্র মসজিদসমূহে উনার পবিত্র যিকির করতে বা উনার পবিত্র নাম মুবারক উচ্চারণ করতে বাধা দেয় এবং পবিত্র মসজিদসমূহ বিরান বা ধ্বংস করার চেষ্টা করে। নাউযুবিল্লাহ!

মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, ঐ ব্যক্তির চেয়ে বড় যালিম আর কে? যে ব্যক্তি মহান আল্লাহ পাক উনার পবিত্র মসজিদসমূহে উনার পবিত্র যিকির করতে বা উনার পবিত্র নাম মুবারক উচ্চারণ করতে বাধা দেয় এবং পবিত্র মসজিদসমূহ বিরান বা ধ্বংস করার চেষ্টা করে। নাউযুবিল্লাহ!


সম্মানিত ইসলামী শরীয়ত উনার দৃষ্টিতে- মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মসজিদসমূহ উত্তমভাবে তা’যীম-তাকরীমের সাথে সংরক্ষণ করা ফরয। সুবহানাল্লাহ! পক্ষান্তরে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মসজিদসমূহ ভাঙ্গা, ভাঙ্গার কাজে সহযোগীতা করা নির্দেশ প্রদান করা, স্থানান্তর করা, বিক্রি করা কাট্টা কুফরী, হারাম ও জাহান্নামী হওয়ার কারণ।

তাই সরকার ও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের জন্য ফরযে আইন হচ্ছে- রাস্তা-ঘাট, ফ্লাইওভার, মেট্রোরেল, নদী সংরক্ষণ বা যেকোনো উন্নয়ন মূলক কাজের অজুহাতে পবিত্র মসজিদসমূহ ভাঙ্গা, ক্রয়, স্থানান্তর ও বিক্রি করা থেকে বিরত থাকা। নচেৎ ইহকাল ও পরকালে কঠিন কাফ্ফারা আদায় করতে হবে।

খলীফাতুল্লাহ খলীফাতু রসূলিল্লাহ, ইমামুল আইম্মাহ, মুহইস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, সুলতানুল আরিফীন, মুজাদ্দিদে আ’যম, হাকিমুল হাদীস, আহলে বাইতে রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুল উমাম আলাইহিস সালাম উনার কতিপয় কারামাত মুবারক ও কামালত মুবারক (৩)

খলীফাতুল্লাহ খলীফাতু রসূলিল্লাহ, ইমামুল আইম্মাহ, মুহইস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, সুলতানুল আরিফীন, মুজাদ্দিদে আ’যম, হাকিমুল হাদীস, আহলে বাইতে রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুল উমাম আলাইহিস সালাম উনার কতিপয় কারামাত মুবারক ও কামালত মুবারক (৩)
অমৌসুমী ফল খাওয়া:
সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মু রুহুল্লাহ আলাইহাস সালাম তিনি অমৌসুমী ফল খেতেন। একদিন হযরত যাকারিয়া আলাইহিস সালাম তা দেখে ফেললেন। এ প্রসঙ্গে কালাম পাকে বর্ণিত আছে-
كُلَّمَا دَخَلَ عَلَيْهَا زَكَرِيَّا الْمِحْرَابَ وَجَدَ عِندَهَارِزْقًا قَالَ يَا مَرْيَمُ أَنَّىٰ لَكِ هَـٰذَا
অর্থ:- হযরত যাকারিয়া আলাইহিস সালাম তিনি যখনই মিহরাবে উনার (হযরত মরিয়ম আলাইহাস সালাম) নিকট আসতেন তখনই কিছু না কিছু রিযিক (খাবার) দেখতে পেতেন। একদিন তিনি জিজ্ঞাসা করলেন, হে মরিয়ম আলাইহাস সালাম! এগুলো কোথায় পেলেন? তখন কি বললেন?
هُوَ مِنْ عِندِ اللَّـهِ ۖ إِنَّ اللَّـهَ يَرْزُقُ مَن يَشَاءُ بِغَيْرِ حِسَابٍ
অর্থ: এগুলো মহান আল্লাহ পাক উনার তরফ থেকে (হাদিয়া স্বরূপ) এসেছে। আর মহান আল্লাহ পাক তিনি যাকে ইচ্ছা তাকে বেহিসাব রিযিক দান করেন। সুবহানাল্লাহ! (পবিত্র সূরা আলে ইমরান শরীফ : পবিত্র আয়াত শরীফ ৩৭)

হযরত আসিফ বিন বারখিয়া
রহমাতুল্লাহি আলাইহি উনার চোখের পলকে সিংহাসন আনয়ন
মহান আল্লাহ পাক উনার জলিলুল কদর ও সম্মানিত রসূল হযরত সুলাইমান আলাইহিস সালাম। মহান আল্লাহ পাক উনাকে সারা দুনিয়ার কর্তৃত্ব (শাসন ক্ষমতা) দিয়েছেন। তিনি সকল মাখলুকাতের ভাষা জানতেন। হযরত সুলায়মান আলাইহিস সালাম উনার প্রধান ও সভাসদগণের বিশেষ ব্যক্তিত্বের নাম মুবারক ছিল আসিফ বিন বারখিয়া রহমতুল্লাহি আলাইহি। যিনি সিদ্দীক তবকার ওলী আল্লাহ ছিলেন। উনার দ্বারা যে কারামত মুবারক প্রকাশ পেয়েছে তা মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফে বর্ণনা করেছেন। মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
وقَالَ الَّذِي عِندَهُ عِلْمٌ مِّنَ الْكِتَابِ أَنَا آتِيكَ بِهِ قَبْلَ أَن يَرْتَدَّ إِلَيْكَ طَرْفُكَ ۚ
অর্থ: আর (তাদের মধ্যে) যাঁর কিতাবের ইলিম ছিল তথা যিনি ওলী আল্লাহ ছিলেন তিনি (সিংহাসন আনার ব্যাপারে) বললেন, আপনি চোখের পলক ফেলার পূর্বে আমি তা আপনাকে এনে দিব। (পবিত্র সূরা নমল শরীফ : পবিত্র আয়াত শরীফ ৪০)
হযরত সুলায়মান আলাইহিস সালাম তিনি উনার দৃঢ় চিত্ত কথা শুনে খুবই খুশী হলেন। তিনি উনাকে অনুমতি দিলেন। তিনি চোখের পলকে হযরত সুলায়মান আলাইহিস সালাম উনার কাছে তা উপস্থিত করলেন। সুবহানাল্লাহ! এটা দেখে হযরত সুলায়মান আলাইহিস সালাম তিনি অত্যন্ত খুশি হলেন। আর বললেন-
فَلَمَّا رَآهُ مُسْتَقِرًّا عِندَهُ قَالَ هَـٰذَا مِن فَضْلِ رَبِّي لِيَبْلُوَنِي اَاَشْكُرُ اَمْ اَكْفُرُ
অর্থ: হযরত সুলায়মান আলাইহিস সালাম তিনি যখন তা সামনে উপস্থিত বা রক্ষিত দেখলেন, তখন বললেন, ইহা আমার পালনকর্তা মহান রব তায়ালা উনার বিশেষ অনুগ্রহ। তিনি আমাকে পরীক্ষা করেন যে, আমি শুকরিয়া আদায় করি, অথবা না করি।” (পবিত্র সূরা নমল শরীফ : পবিত্র আয়াত শরীফ ৪০)
সুলতানুল আরিফীন, ইমামুল মুহাদ্দিসীন, হযরত ইমাম জালালুদ্দীন সূয়ুতী রহমাতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন- হযরত আসিফ বিন বারখিরা রহমাতুল্লাহি আলাইহি তিনি হযরত সুলায়মান আলাইহিস সালাম উনাকে বললেন, আপনি আকাশ পানে দৃষ্টি নিক্ষেপ করুন। তিনি আকাশের দিকে তাকালেন। অতঃপর দৃষ্টি ফিরালেন। আর সাথে সাথে তিনি উনার সামনে সাবার রানী হযরত বিলকিস আলাইহাস সালাম উনার রাজ সিংহাসন স্থাপিত দেখতে পেলেন। সুবহানাল্লাহ! (তাফসীরে জালালাইন শরীফ)
বাইতুল মাকদাস থেকে ইয়ামানের সাবা শহরের দূরত্ব এক হাজার মাইলেরও বেশী। এতদূর থেকে এত বড় বিশাল সিংহাসন মহুর্তের মধ্যে হাজির করা স্বাভাবিক নয়। তা অবশ্যই কারামত মুবারক উনার অন্তর্ভূক্ত। সুবহানাল্লাহ!

জোড়াতালি দিয়ে চলছে সরকারি হাইস্কুল!

জোড়াতালি দিয়ে চলছে সরকারি হাইস্কুল!

নিজস্ব প্রতিবেদক: জানা গেছে, সারাদেশে সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় আছে (নতুন জাতীয়করণসহ) মোট ৩৫৮টি। টানা সাত বছর এসব বিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগ বন্ধ ছিল। গত কয়েক বছর ধরে বিসিএস নন-ক্যাডারদের মধ্য থেকে হাইস্কুলগুলোতে শিক্ষক নিয়োগ কার্যক্রম শুরু করা হয়। কিন্তু তাতেও চলমান সংকট কাটছে না। গত সাত বছরে মৃত্যু অথবা অবসরজনিত কারণে প্রায় দুই হাজার ৮৭৫ শিক্ষকের পদ শূন্য হয়েছে।

এছাড়া ২০১২ সাল থেকে কারিকুলাম ও সিলেবাস পরিবর্তনের কারণে বিদ্যালয়গুলোতে গত সাত বছরে চারটি নতুন বিষয় যুক্ত হয়েছে। এগুলো হলো- তথ্যপ্রযুক্তি (আইসিটি), শারীরিক শিক্ষা, কর্মমুখী শিক্ষা, চারু ও কারুকলা। এসব ক্ষেত্রেও কোনো বিষয়ভিত্তিক শিক্ষক সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোতে নেই। এক বিষয়ের শিক্ষক পড়াচ্ছেন অন্য বিষয়। তথ্যপ্রযুক্তির মতো মৌলিক ও বিশেষ বিষয়ও পড়ানো হচ্ছে অন্য বিষয়ের শিক্ষক দিয়ে।

ঢাকার বাইরে শিক্ষক সংকট অতিমাত্রায়। মফস্বলে এ সংকট চরম পর্যায়ে। দেখা গেছে, শরীয়তপুর সদরের শরীয়তপুর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে ৫০ শিক্ষকের পদ সৃজন থাকলেও আছেন মাত্র ২৩ জন। শূন্য রয়েছে ২৭টি পদ। রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ নাজির উদ্দিন পাইলট সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে ১৩টি পদের মধ্যে সাতটি পদই শূন্য। মফস্বলের অনেক হাইস্কুলে এমন চিত্র দেখা গেছে।

মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতর (মাউশি) থেকে জানা গেছে, সারাদেশে ৩৫৮ সরকারি হাইস্কুলে ১০ হাজার ৬৪৮ জন সহকারী শিক্ষকের মধ্যে এক হাজার ৯৬৯টি পদ শূন্য রয়েছে। এর মধ্যে বাংলা বিষয়ে ৫৪৮ জন, ইংরেজিতে ১৭৯ জন, গণিতে ৭৭ জন, সামাজিক বিজ্ঞানে ৪৭ জন, ইসলাম ধর্মে ২৭৬ জন, ভৌত বিজ্ঞানে ২৫৩ জন, জীবন বিজ্ঞানে ২৬৮ জন, ব্যবসা শিক্ষায় ৭৫ জন, ভূগোলে ১২৯ জন, কৃষিশিক্ষায় ৭১ জন, শারীরিক শিক্ষায় ১০০ জন, চারুকলায় ১৯১ জন এবং অন্যান্য বিষয়ে ১৫১ শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে।

শুধু তা-ই নয়, হাইস্কুলে প্রধান শিক্ষক পদে ২৩৬ জন ও সহকারী প্রধান শিক্ষক পদেও ১২২টি পদ শূন্য রয়েছে। সবমিলিয়ে পদ সৃষ্টির পরও সারাদেশে মোট দুই হাজার ৩২৭ শিক্ষক সংকট রয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১২ সালের ১৫ মে সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের পদমর্যাদা দ্বিতীয় শ্রেণির গেজেটেড কর্মকর্তায় উন্নীত করেন। এতে শিক্ষক নিয়োগের মূল ক্ষমতা চলে যায় মাউশির বদলে সরকারি কর্মকমিশনের (পিএসসি) হাতে। তবে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে পিএসসিকে শিক্ষক নিয়োগের জন্য বারবার অনুরোধ করা হলেও এতদিন তাতে রাজি হয়নি পিএসসি। পিএসসি জানিয়ে দেয়, নিয়োগবিধি গেজেট আকারে জারি না হলে এ পদে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ সম্ভব নয়। সম্প্রতি এ সংক্রান্ত বিধিতে সংশোধন আনা হয়। দুই মাস আগে শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা শেষ করে পিএসসি। বর্তমানে ফলাফল প্রকাশের অপেক্ষায়।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে শূন্য পদের সংখ্যা ক্রমশই বাড়ছে। শিক্ষক সংকটের কারণে এক বিষয়ের শিক্ষক অন্য বিষয়ে ক্লাস নিচ্ছেন। মহানগরীর বিদ্যালয়গুলোতে তেমন সংকট না থাকলেও উপজেলাপর্যায়ের স্কুলগুলোতে এ সংকট তীব্র। এছাড়া এসব সরকারি বিদ্যালয়ে তথ্যপ্রযুক্তিসহ নতুন চালু করা বিষয়গুলোর শিক্ষকও নেই। আবার বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে লাইব্রেরিয়ানের পদ থাকলেও সরকারি বিদ্যালয়ে পদটি এখনও সৃষ্টি হয়নি।

এসব বিষয়ে মাউশির মহাপরিচালক অধ্যাপক সৈয়দ গোলাম ফারুক বলেন, সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগ কার্যক্রম পিএসসির আওতাভুক্ত। এ কারণে পর্যাপ্ত শিক্ষক পাওয়া যাচ্ছে না। প্রতিনিয়ত শিক্ষকদের পদ শূন্য হচ্ছে। তিনি বলেন, বিসিএস পরীক্ষার মাধ্যমে নন-ক্যাডার থেকে হাইস্কুলে নিয়োগের জন্য যে সংখ্যায় সুপারিশ আসছে তা দিয়ে সংকট কাটছে না। এ কারণে আলাদাভাবে এক হাজার ৩৭৮ শিক্ষক নিয়োগের জন্য পিএসসিতে চিঠি দেয়া হয়। তার ভিত্তিতে পিএসসির মাধ্যমে নিয়োগ পরীক্ষা শেষ হয়েছে। ফলাফল প্রকাশ হলে সেখান থেকে প্রায় দেড় হাজার শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হবে।

কারিকুলাম পরিবর্তনে সরকার কাজ করছে -শিক্ষামন্ত্রী

কারিকুলাম পরিবর্তনে সরকার কাজ করছে -শিক্ষামন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক: শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের কারণে আগামী দিনের শ্রমবাজার দখল করবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও রোবট। চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের এ চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সরকার দক্ষ মানবসম্পদ তৈরির ওপর গুরুত্ব দিচ্ছে। এ লক্ষ্যে শিক্ষা কারিকুলাম পরিবর্তনে সরকার কাজ করছে। শুক্রবার রাজশাহী কলেজ মাঠে রাজশাহী কলেজের সাবেক শিক্ষার্থীদের এক পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।

মন্ত্রী আরো বলেন, শিক্ষা ক্ষেত্রে বিনিয়োগ জিডিপির ৬ শতাংশে উন্নীত করার লক্ষ্যে সরকার কাজ করছে। শিক্ষকদের ওপরও বিনিয়োগ বৃদ্ধি করা হবে। কারণ শিক্ষার গুণগতমান নির্ভর করে ভালো শিক্ষকের ওপর। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গবেষণা বৃদ্ধি করার ওপর তিনি গুরুত্বারোপ করেন।

মন্ত্রী সাবেক শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেন, সরকার ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার যে স্বপ্ন দেখছে তা বাস্তবে রূপায়িত করতে সমাজের সকল স্তরের অংশগ্রহণ জরুরি। রাজশাহী কলেজের বর্তমান ও সাবেক শিক্ষার্থীদের এই কাজে আত্মনিয়োগ করার জন্য তিনি আহ্বান জানান।

প্রাথমিকে পিছিয়ে পড়া শিশুদের আলাদা পাঠদানের সুপারিশ

প্রাথমিকে পিছিয়ে পড়া শিশুদের আলাদা পাঠদানের সুপারিশ

নিজস্ব প্রতিবেদক: প্রাথমিক স্তরের বিভিন্ন ক্লাসে পিছিয়ে পড়া শিক্ষার্থীদের আলাদা করে পাঠদানের ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করেছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি। একইসঙ্গে স্বাধীনতাবিরোধী রাজাকারদের নামে কোনো স্কুল থাকলে সেগুলোর তালিকা করতে বলা হয়েছে। গতকাল সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত কমিটির বৈঠকে এ সুপারিশ করা হয়।

বৈঠক শেষে কমিটির সদস্য শিরীন আখতার বলেন, যেসব শিক্ষার্থী ক্লাসে পিছিয়ে আছে, তাদের ক্লাসের বাইরে আলাদা করে পাঠদানের ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বলা হয়েছে। বলা হয়েছে, ওই শিক্ষার্থীদের ব্যাপারে শিক্ষকরা যাতে আরও মনোযোগী হন, সে ব্যাপারে ব্যবস্থা নিতে হবে। প্রাথমিক ও ইবতেদায়ী শিক্ষা সমাপনীতে অংশ নেওয়া খুদে পরীক্ষার্থীদের বহিষ্কারের নিয়মটি সম্প্রতি তুলে দিয়েছে সরকার।

এদিকে সংসদীয় কমিটির বৈঠকে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সংসদীয় কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী প্রাথমিক শিক্ষার গুণগত মানোন্নয়নে প্রতিদিন শিক্ষার্থীদের ন্যূনতম একটি করে বাংলা ও ইংরেজি শব্দ সঠিক উচ্চারণে শেখাতে ‘ওয়ান ডে ওয়ান ওয়ার্ড’ কর্মসূচি চালু করা হয়েছে। মন্ত্রণালয় জানায়, এ কর্মসূচি ফলপ্রসূ করার জন্য প্রতিটি শিক্ষার্থীর জন্য আলাদা ছক তৈরি করে রেকর্ড করা হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা এ বিষয়টি তদারকি করছেন।

রাজাকারদের নামে স্কুলের নাম থাকলে তার তালিকার বিষয়ে মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এ তালিকা করতে তারা মাঠপর্যায়ে চিঠি পাঠিয়েছে। এ বিষয়ে সুনির্দিষ্ট তথ্য পাওয়ার পর প্রতিবেদন আকারে সংসদীয় কমিটিকে জানানো হবে।

সংসদ সচিবালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম শতবার্ষিকী উদ্যাপন উপলক্ষে মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করতে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা সঠিকভাবে লেখাপড়া করছে কি না, তা পর্যবেক্ষণের জন্য স্থানীয় সংসদ সদস্যদের তদারকি কার্যক্রম জোরদার করার সুপারিশ করা হয় বৈঠকে। এছাড়া বাধ্যতামূলক শিক্ষা, প্রাথমিক শিক্ষা একাডেমি, পিটিআই নিয়ে আলোচনা হয় এবং এসব প্রতিষ্ঠান থেকে প্রশিক্ষণের আলোকে শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের শিক্ষা দিচ্ছেন কি না, তা তদারক করার জন্য ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করা হয়। প্রকল্প গ্রহণের আগে প্রকল্পের অর্থ যাতে যথাযথভাবে ব্যয় হয়, তা নিশ্চিত করার পাশাপাশি ইতিবাচক ফল বয়ে আনতে সক্ষম এমন প্রকল্প প্রণয়নের সুপারিশ করা হয় বৈঠকে।

যুক্তরাষ্ট্রের সাইবার ইঞ্জিনিয়ার বাংলাদেশের যুবক

যুক্তরাষ্ট্রের সাইবার ইঞ্জিনিয়ার বাংলাদেশের যুবক

নিউজ ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্রের ইউনাইটেড এয়ারলাইন্সের সিনিয়র সাইবার সিকিউরিটি অটোমেশন ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে কাজ করছেন বাংলাদেশে বেড়ে ওঠা মর্তুজা আজম। ইউনাইটেড এয়ারলাইন্সের সাইবার সিকিউরিটির প্রায় সব প্রযুক্তিকে এক প্ল্যাটফর্মে এনে অটোমেটিক্যালি নিয়ন্ত্রণের মতো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করছেন তিনি।

বিশ্বে সাইবার নিরাপত্তা দিন দিন যখন হুমকির রূপ নিচ্ছে ঠিক তখনই ইঞ্জিনিয়ার এস এম গোলাম মর্তুজা আজম শুধুমাত্র ইউনাইটেড এয়ারলাইন্সেই নয়, তিনি সাইবার নিরাপত্তা দিচ্ছেন ম্যানহাটান বোরো প্রেসিডেন্ট অফিস, যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ব্রডকাস্টিং কোম্পানি তথা ওয়ার্ল্ড এন্টারটেইনমেন্ট জায়ান্ট এনবিসি ইউনিভার্সালের মতো প্রতিষ্ঠানকে।

শুধু যুক্তরাষ্ট্রেই নয় তিনি দেশের সাইবার নিরাপত্তার জন্যও কাজ করে যাচ্ছেন। ইতোমধ্যে প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা, এক্সেস টু ইনফরমেশনের অ্যাডভাইজার, পরিকল্পনামন্ত্রীসহ উচ্চ পর্যায়ের ব্যক্তির সঙ্গে কনফারেন্স ও মিটিং অব্যাহত রেখেছেন।

মর্তুজা আজম বরিশালের বানারীপাড়া ইউনিয়নের আলতা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। এ বাড়িতে চার ভাই আর মা-বাবাকে নিয়ে বেড়ে উঠছিলেন তিনি। বাবা শিক্ষকতা করতেন আর মা ছিলেন গৃহিণী। ১৯৯৬ সালের দুর্বৃত্তের নারকীয় হামলায় তার বাবা দুই হাতের সব আঙ্গুল চিরদিনের জন্য অকেজো হয়ে যায়। সে হামলা থেকে রেহয়া পায়নি মর্তুজা আজম, তার মা ও ভাই। এর পর থেকে আর সেই বাড়িতে ফিরে যায়নি কেউ। নানা বিপত্তি পেরিয়ে বড় হলেও ২০১৫ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি গাজীপুরে সন্ত্রাসী হামলার শিকার হন মর্তুজা। শেষ পর্যন্ত বাধ্য হয়ে ২০১৬ সালের ডিসেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রে আশ্রয়গ্রহণ করেন ও কর্মজীবন শুরু করেন।

তবে মর্তুজা আজম কর্মজীবনের শুরুতে বিএসআইটি ও বাংলাদেশ পুলিশের ইনফরমেশন টেকনোলজির ট্রেইনার ছিলেন, বাংলাদেশ বেতারের উপস্থাপক ও সংবাদপাঠক, বাংলাদেশ টেলিভিশনের আবৃত্তিকার ও ডকুমেন্টারির ভয়েস আর্টিস্ট, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাইবার ইন্টার্ন ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এক্সেস টু ইনফরমেশনের একজন সফল ইন্টার্ন ফেলো হিসেবে কর্মরত ছিলেন। ২০১৫ সালে জাতিসংঘ সাধারণ অ্যাসেম্বলিতে ইয়াং লিডার হিসেবে বক্তব্য দেন এবং প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে ইউনাইটেড স্টেটের সিনেটে বক্তব্যও দিন তিনি।

ঈমান বিধ্বংসী হিউম্যান মিল্ক ব্যাংক বন্ধের আহবান

ঈমান বিধ্বংসী হিউম্যান মিল্ক ব্যাংক বন্ধের আহবান

নিউজ ডেস্ক : সমাজ সেবার নামে ‘হিউম্যান মিল্ক ব্যাংক’ প্রতিষ্ঠার কার্যক্রম সম্পূর্ণ ঈমান বিধ্বংসী ও শরীআহ বিরোধী কাজ। অবিলম্বে এই কার্যক্রম বন্ধে সরকারকে দ্রুত পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন উচ্চতর ইসলামী শিক্ষা ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান শায়খ আবুল হাসান আলী নদভী ইসলামিক রিসার্চ ইনস্টিটিউটের পরিচালক ইসলামিক স্কলার ও গবেষক মাওলানা শহীদুল ইসলাম ফারুকী।

মাওলানা ফারুকী বলেন, ওআইসি’র ইসলামি ধর্মীয় বিধান বিষয়ক বোর্ড ‘মাজমাউল ফিকহিল ইসলামী’ (International Islamic jurist of OIC) এর ঐক্যমতের ভিত্তিতে মিল্ক ব্যাংককে হারাম ঘোষণা করা হয়েছে। ওআইসির ফতোয়া অনুসারে মিল্কব্যাংকে দুধ দান করা, মিল্কব্যাংক থেকে দুধ পান করা এবং মিল্কব্যাংক স্থাপন করা সবই হারাম। আর এর ওপরই উম্মাহর ইজমা ও ঐকমত্য। বিবৃতিতে তিনি বলেন, মুসলিম দেশে মিল্কব্যাংক গড়ে তোলার মতো অনৈসলামিক ও ঈমান বিধ্বংসী কোনো প্রজেক্ট মেনে নেয়া যায় না।

মাওলানা ফারুকী হিউম্যান মিল্ক ব্যাংক হারাম হওয়ার কারণ ব্যাখ্যা করে বলেন, ইসলামি শরীআহ’র পাঁচটি লক্ষ্য উদ্দেশ্যের একটি হচ্ছে, নছল তথা বংশধারা রক্ষা করা। এজন্যই ইসলামে বিবাহ বহির্ভূত সব ধরনের যৌন সম্পর্ক হারাম। হিউম্যান মিল্ক ব্যাংক বংশধারা ও আত্মীয়তার সম্পর্ককে ধ্বংস করবে। ইসলামে দুধের সম্পর্কও রক্তের সম্পর্কের মতো। দুধ পান করার সাথে সাথে ওই মায়ের রক্তের লোকজন বিয়ের ক্ষেত্রে তার জন্য হারাম হয়ে যায়। আল্লাহ পাক কোরআনে স্পষ্ট করে বলেছেন, ‘তোমাদের জন্য নিষিদ্ধ (বিয়ের জন্য) তোমাদের দুধ মাতা, দুধ বোন’। (সূরা নিসা, ২৩)।

রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘রক্তের সম্পর্কের ভিত্তিতে যেসব স্বজনেরা (বিয়ের জন্য) হারাম তদ্রূপ দুধপানের সম্পর্কের ভিত্তিতেও তারা হারাম। (বুখারী ও মুসলিম)। হিউম্যান মিল্ক ব্যাংকের মাধ্যমে বহু অজানা দুধ ভাই বোন হবে, যাদের মধ্যে বিয়ে হারাম। অজ্ঞাতেই বহু হারাম বিবাহ হওয়ার আশঙ্কা থাকবে। সুতরাং হিউম্যান মিল্ক ব্যাংক একটি হারাম ও শরীআহ বিরোধী কার্যক্রম শুরু করতে চাচ্ছে।

তিনি আরো বলেন, মুসলিম বিশ্বের কোথাও এ ধরনের কোনো মিল্ক ব্যাংক নেই। গণমাধ্যমের বরাতে জানা গেছে, বাংলাদেশে বেসরকারি অনুদানে একটি ইন্সটিটিউট এই মিল্ক ব্যাংক গড়ে তোলার উদ্যোগ নিয়েছে।
সরকারকে অবশ্যই এর বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে এবং এ ঘটনার সাথে জড়িতদের আইনের আওতায় আনতে হবে। তিনি বলেন, এদেশের ঈমানদার তৌহিদী জনতা ওআইসির সদস্যভুক্ত দ্বিতীয় বৃহত্তম মুসলিম দেশে প্রকাশ্যে মিল্ক ব্যাংকের ইসলামী সমাজ ও শরীআহ বিরোধী কর্মকান্ড কোনোভাবেই মেনে নিবে না।

৫ বছরের কারাদন্ডের বিধান রেখে মৎস্য আইন অনুমোদন

৫ বছরের কারাদন্ডের বিধান রেখে মৎস্য আইন অনুমোদন

 প্রতিবেদক: পাঁচ বছরের কারাদ- ও তিন কোটি টাকা জরিমানার বিধান রেখে ‘সামুদ্রিক মৎস্য আইন-২০১৯’-এর খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। সোমবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিপরিষদ সভায় এই অনুমোদন দেওয়া হয়। পরে সচিবালয়ে এ বিষয়ে ব্রিফ করেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘সামুদ্রিক মৎস্য আইন-২০১৯, একটি অর্ডিনেন্স হিসেবে চালু ছিল ১৯৮২ সালের আগে। নতুন আইনে সমুদ্রে যে নৌযানগুলো মাছ ধরতে যাবে সেগুলোর আকারের বর্ণনা দেওয়া আছে। আইনে আরও বলা হয়- সমুদ্রে মৎস্য শিকারে গেলে লাইসেন্স নিতে হবে। দুই বছর পর পর লাইসেন্স নবায়ন করতে হবে। আইনের ধারা যদি কেউ লঙ্ঘন করে, তবে সর্বোচ্চ তিন কোটি টাকা জরিমানা ও পাঁচ বছরের জেলের বিধান রাখা হয়েছে।’

‘অবৈধ মৎস্য শিকার প্রতিরোধে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার বিধান রাখা হয়েছে আইনে। বিদেশি কোনও নৌযান বাংলাদেশের নৌসীমায় প্রবেশ করে মৎস্য শিকার করলে তাদের জন্যও একই শাস্তির বিধান রাখা হয়েছে। এই অপরাধের আগের শাস্তি ছিল এক লাখ টাকা জরিমানা ও তিনি মাসের কারাদ-।’

খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘মন্ত্রিপরিষদ সভায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয় আইন-২০১৯ এর খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এটি হবে কিশোরগঞ্জ জেলা শহরে। এই আইনে ৫৫টি ধারা রাখা হয়েছে। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর, ভাইস চ্যান্সেলর, ট্রেজারার, সিন্ডিকেট, সিনেট- এগুলোর নিয়োগ কীভাবে হবে তার বিধান রাখা হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘সভায় সুনামগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় আইন-২০১৯ এর খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এ আইনেও ৫৫টি ধারা রাখা হয়েছে। এতেও চ্যান্সেলর, ভাইস চ্যান্সেলর, ট্রেজারার, সিন্ডিকেট, সিনেট- এগুলোর নিয়োগ কীভাবে হবে তার বিধান রাখা হয়েছে।

‘বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (সংশোধন) আইন- ২০১৯ এর খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে আজকের বৈঠকে। এই আইনের ৩৪/৫ ধারা বলে কমিশন একটি অর্থবছরে যতবার চাইবে প্রজ্ঞাপন জারির মাধ্যমে ট্যারিফ পরিবর্তন করতে পারবে। বিদ্যমান আইনে এক অর্থবছরে একবারের বেশি ট্যারিফ পরিবর্তন করতে পরতো না-বলেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব।

তিনি জানান, বৈঠকে বাংলাদেশ ও দক্ষিণ আফ্রিকার মধ্যে স্বাক্ষরিত ‘এক্সজিবিশন অ্যান্ড মিউচুয়াল লিগ্যাল অ্যাসিসট্যান্স ইন ক্রিমিনাল ম্যাটার’ সংক্রান্ত দুটি চুক্তি স্বাক্ষরের অনুসমর্থনের প্রস্তাব অনুমোদন পেয়েছে। ‘বৈঠকে বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের আওতায় বাংলাদেশ ডেটা সেন্টার কোম্পানি লিমিটেড শীর্ষক কোম্পানি গঠনের প্রস্তাব করা হয়েছে। এই কোম্পানির মেমোরেনডাম অব অ্যাসোসিয়েশন অ্যান্ড আর্টিক্যালস অব অ্যাসোসিশন এর খসড়ার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘সভায় বাংলাদেশ কম্পিউটার কউন্সিলের আওতায় “স্ট্যাটআপ বাংলাদেশ লিমিটেড” শীর্ষক কোম্পানি গঠনের প্রস্তাব করা হয়েছে। এই কোম্পানিরও মেমোরেনডাম অব অ্যাসোসিয়েশন অ্যান্ড আর্টিক্যালস অব অ্যাসোসিশন এর খসড়ার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, “প্রটকল রিলেটিং টু বি মাদ্রিদ অ্যাগ্রিমেন্ট কনসার্নিং দ্য ইন্টারন্যাশনাল রেজিস্ট্রেশন অব মার্কস-১৯৮৯’ এ বাংলাদেশের অন্তর্ভুক্তির প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে আজকের বৈঠকে ৷ 

সীমান্ত এলাকায় মোবাইল নেটওয়ার্ক বন্ধ

সীমান্ত এলাকায় মোবাইল নেটওয়ার্ক বন্ধ

নিজস্ব প্রতিবেদক: ভারত সীমান্ত থেকে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে এক কিলোমিটার পর্যন্ত এলাকায় মোবাইল ফোনের নেটওয়ার্ক কভারেজ বন্ধ রাখার নির্দেশনা দিয়েছে টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি। গত রোববার রাতে বিটিআরসির নির্দেশনার পর এরই মধ্যে সীমান্ত এলাকায় নেটওয়ার্ক বন্ধ করে দিয়েছে দেশের সবকটি অপারেটর।

একটি অপারেটরের এক শীর্ষ কর্মকর্তা বলেন, এ নির্দেশনার ফলে চার অপারেটরের প্রায় দুই হাজার বিটিএস বন্ধ করা হয়েছে। সব অপারেটরই ইতিমধ্যে এ নির্দেশনা বাস্তবায়ন করেছে। এর ফলে সীমান্ত এলাকার প্রায় কোটি গ্রাহক মোবাইল ফোন ব্যবহারে সমস্যায় পড়বে বলে জানান ওই কর্মকর্তা।

রোববার রাতে গ্রামীণফোন, টেলিটক, রবি এবং বাংলালিংক বরাবর পাঠানো নির্দেশনায় বলা হয়, বর্তমান প্রেক্ষাপটে দেশের নিরাপত্তার স্বার্থে পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত সীমান্ত এলাকায় নেটওয়ার্ক কভারেজ বন্ধ রাখতে হবে।

নির্দেশনার কারণ জানতে চাইলে বিটিআরসি চেয়ারম্যান জহুরুল হক বলেন, সম্প্রতি সরকারের উচ্চ পর্যায়ের একটি বৈঠক থেকে এ সিদ্ধান্ত আসে। সেই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। নির্দেশনাটি ‘সাময়িক’ বলেও জানান তিনি।

পায়রা তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রের সঞ্চালন লাইন চালু হচ্ছে আজ

পায়রা তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রের সঞ্চালন লাইন চালু হচ্ছে আজ

নিজস্ব প্রতিবেদক: এক হাজার ৩২০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্রের সঞ্চালন লাইন নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে  সোমবার (৩০ ডিসেম্বর)। আজ মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টায় লাইনটিতে বিদ্যুৎ-সংযোগ দিয়ে পরীক্ষা করা হবে। এরপর বিভিন্ন ভোল্টেজ লেভেলে তিন ঘণ্টা লাইনটিতে বিদ্যুৎ সঞ্চালন করা হবে। এরপর বিকেল তিনটা নাগাদ পায়রা-গোপালগঞ্জ সঞ্চালন লাইনটি বিদ্যুৎ সঞ্চালনের উপযুক্ত বলে ঘোষণা করবে পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশ (পিজিসিবি)। সব ঠিকঠাক থাকলে ২০২০ সালের জানুয়ারির শেষের দিকে পরীক্ষামূলক উৎপাদন শুরু করা সম্ভব হবে।

দেশের সবচেয়ে বড় এই তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রটি পটুয়াখালীতে নির্মাণ করা হয়েছে। চীনের এক্সিম ব্যাংকের ১৬ হাজার কোটি টাকার ঋণে কেন্দ্রটি নির্মাণ করা হয়েছে। কেন্দ্রের সমান মালিকানা রয়েছে বাংলাদেশ ও চীনের হাতে।

সঞ্চালন লাইন নির্মাণের প্রকল্প পরিচালক পিজিসিবির প্রধান প্রকৌশলী শফিকুর রহমান বলেন, ‘মঙ্গলবার দুপুর ১২টা থেকে লাইনের পরীক্ষা শুরু হবে। আশা করছি, তিন ঘণ্টার এই পরীক্ষা শেষ হবে বিকেল তিনটা নাগাদ। এরপরই ৪০০ কেভিসম্পন্ন ১৬২ কিলোমিটারের লম্বা এই লাইনটিকে বিদ্যুৎ সঞ্চালনের উপযুক্ত বলে ঘোষণা করা হবে।’

মহাস্থানে মিললো আড়াই হাজার বছর আগের বাণিজ্যিক কেন্দ্রের সন্ধান

মহাস্থানে মিললো আড়াই হাজার বছর আগের বাণিজ্যিক কেন্দ্রের সন্ধান

বগুড়া সংবাদদাতা: বগুড়ার মহাস্থানগড়ে প্রত্নতাত্তিক খননে বেরিয়ে এসেছে আড়াই হাজার বছরের প্রাচীন মুসলিশ স্থাপত্য নিদর্শন। সেইসঙ্গে খ্রিষ্টপূর্ব তৃতীয়াব্দ থেকে শুরু করে মুসলিম শাসনামলের সমৃদ্ধ প্রতœ সামগ্রীও পাওয়া গেছে এবারের খননে।

প্রায় আড়াই হাজার বছরের প্রাচীন নগরী ও প্রত্নতাত্তিক স্থান মহাস্থান গড়ে বাংলাদেশ-ফ্রান্স যৌথ খননকালে এসব নিদর্শনের সন্ধান মেলে। গত নভেম্বর মাসের মাঝামাঝি থেকে খনন কাজ শুরু হয়েছে মহাস্থান গড়ে।

এবার গড়ের বৈরাগীর ভিটার ৫টি স্থানে শুরু হয় খনন কাজ। বৈরাগীর ভিটায় ২০১৭ সালে খননের পর তিনটি প্রাচীন নিদর্শন মেলে। এবার ওই খননস্থানের দক্ষিণ-পূর্ব পাশে খনন করা হয়। খননকালে যেসব প্রত্নতাত্তিক নিদর্শন মিলেছে তা থেকে ধারণা করা হচ্ছে বৈরাগী ভিটার এ জায়গাটি কোনো বাণিজ্যিক কেন্দ্র অথবা খাদ্য সরবরাহ কেন্দ্র ছিল। কারণ খননকালের পাশাপাশি এ ৫টি জায়গায় মোট ৮টি কূপের সন্ধান মিলেছে। সেই সঙ্গে পাওয়া গেছে বেশকিছু মৃৎ পাত্র, মৃৎ পাত্রের ভগ্নাংশ, মাটির বিশালাকায় একটি ডাবর (মটকা)।

এতে খনন দলের সদস্যরা ধারণা করছেন, জায়গাটি বাণিজ্যিক কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত হওয়ার সম্ভবনাই বেশি। খননস্থলে প্রাপ্ত স্থাপত্য কাঠামো এবং উত্তরাঞ্চলীয় উজ্জ্বল চকচকে কালো মৃৎপাত্র (এনবিপিডাব্লিউ) দেখে খনন সংশ্লিষ্টরা ধারণা করছেন এসব খ্রিষ্টপূর্ব তৃতীয়াব্দ অর্থাৎ মৌর্য আমলের। সেই হিসেবে খনন থেকে প্রাপ্ত ও উন্মোচিত প্রত্নতাত্তিক সামগ্রী প্রায় আড়াই হাজার বছরের প্রাচীন।

খনন দলের সদস্য মোহাম্মদ যায়েদ জানান, এবার যেসব কূপের সন্ধান মিলেছে তার মধ্যে একটি কূপ একেবারেই ব্যতিক্রম। ইতোপূর্বে যত খনন পরিচালিত হয়েছে সেসব খননে কোথাও ইটের গাঁথুনি বিশিষ্ট কূপের সন্ধান মেলেনি। কিন্তু এবারই প্রথম তেমন একটি কূপের সন্ধান মিলেছে বৈরাগীর ভিটায়। এ কূপের প্রায় ৬ ফুট গভীর পর্যন্ত তারা এবার খনন করে ৪৬ সারি ইটের গাঁথুনি উন্মোচন করেছেন। এছাড়া অন্য ৭টি পাতকূয়া বলে তিনি উল্লেখ করেন।

তিনি জানান, ইটের গাঁথুনি বিশিষ্ট কূপটি সপ্তম থেকে অষ্টম শতাব্দি অর্থাৎ পাল আমলের। অন্যান্য কূপও সমসাময়িক সময়ের। সেই হিসেবে প্রায় ১৩০০ বছর আগে এ অঞ্চলে ইটের গাঁথুনি বিশিষ্ট কূপ থেকে মানুষ পানি সংগ্রহ করেছে।

রাশিয়া থেকে বিজিবির দুই হেলিকপ্টার আসছে

রাশিয়া থেকে বিজিবির দুই হেলিকপ্টার আসছে

নিজস্ব প্রতিবেদক: সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে নতুন বছরের দ্বিতীয় সপ্তাহেই প্রায় সাড়ে ৩’শ কোটি টাকা ব্যয়ে দু’টি অত্যাধুনিক হেলিকপ্টার পেতে যাচ্ছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। আগামী ১৭ জানুয়ারি (২০২০) রাশিয়ার কোম্পানি ‘জেএসসি রাশিয়া’ থেকে সরকারি (জি-টু-জি) পর্যায়ে কেনা এ দু’টি হেলিকপ্টার বাংলাদেশে এসে পৌঁছবে বলে জানিয়েছেন বিজিবির মহাপরিচালক (ডিজি) মেজর জেনারেল সাফিনুল ইসলাম।

সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীল সূত্র জানায়, হেলিকপ্টার দু’টি চালানোর কারিগরি সহযোগিতাও দেবে জেএসসি রাশিয়া। ঘন্টায় সর্বোচ্চ ২৫০ কিলোমিটার গতির হেলিকপ্টার দু’টির প্রতিটির ওজন প্রায় ১৩ হাজার কেজি। দুর্ঘটনায় পড়ার হার কম হওয়ায় দুর্গম পার্বত্য এলাকায় পর্যবেক্ষণ ও নজরদারি বাড়াতে এমআই-১৭১ই সিরিজের দুই হেলিকপ্টার বিজিবির আধুনিক পথচলাকে নিশ্চিত করবে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর বর্ডার গার্ড বাংলাদেশকে (বিজিবি) ঢেলে সাজানোর উদ্যোগ গ্রহণ করে। সীমান্তরক্ষী এ বাহিনীটির আধুনিকায়নেও সরকার নানামুখী উদ্যোগ গ্রহণ করে।

এ উদ্যোগের অংশ হিসেবেই ২০১৮ সালের ১০ মে বিজিবির জন্য রাশিয়া থেকে দু’টি হেলিকপ্টার কেনার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে সরকার। সেইদিন অর্থনৈতিক বিষয়-সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে এ বিষয়ে নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়।

বিজিবি সদর দপ্তর সূত্র জানায়, আধা সামরিক এ বাহিনীটিকে যুগোপযোগী করে গড়ে তুলতে সরকার অত্যাধুনিক অস্ত্র ও সরঞ্জামাদি কিনে দিচ্ছে। সম্প্রতি বিজিবি দিবসেও প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, বিজিবির জন্য কেনা হয়েছে আধুনিক, যুগোপযোগী ও কার্যকর ট্যাংক বিধ্বংসী অস্ত্র।

১২টি আর্মাড পার্সোনেল ক্যারিয়ার (এপিসি) এবং ১০টি রায়ট কন্ট্রোল ভেহিক্যালও কেনা হচ্ছে। সীমান্তের স্পর্শকাতর আইসিপি/এলসিপি সমূহে ভেহিক্যাল এক্স-রে স্ক্যানার মেশিন স্থাপন এবং ‘বিজিবি ডগ স্কোয়াড’ গঠন করা হয়েছে। সেই অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী দেশপ্রেম, সততা এবং দক্ষতার সঙ্গে দায়িত্বপালন করে বিজিবির সুনাম ও মর্যাদা সমুন্নত রাখারও আহ্বান জানান।

বিজিবি সদর দপ্তর সূত্র জানায়, দেশের দুর্গম অঞ্চলে জরুরি ভিত্তিতে সেনা মোতায়েন, পণ্য পরিবহন, উদ্ধার তৎপরতা, মুমূর্ষু রোগী যাতায়াত ও দুর্গম পার্বত্য এলাকায় পর্যবেক্ষণ অথবা নজরদারি বাড়ানোর জন্য অত্যাধুনিক হেলিকপ্টার অপরিহার্য হয়ে উঠায় সরকার সময়োপযোগী এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে।

এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে মনোযোগী সরকার রাশিয়ার কোম্পানি ‘জেএসসি রাশিয়া’ থেকে সরকারি (জি-টু-জি) পর্যায়ে হেলিকপ্টার দু’টি কিনেছে। এ দুই হেলিকপ্টারের প্রতিটিতে একজন স্টুয়ার্ডসহ ২৬ জন যাত্রী পরিবহন ও পণ্য পরিবহনের সুবিধা রয়েছে।

একই সূত্র জানায়, গত বছরের ১০ ডিসেম্বর বিজিবি সদর দপ্তরে ‘জেএসসি রাশিয়া হেলিকপ্টারস’ এর সাথে এই বিষয়ে বিজিবির মহাপরিচালক (ডিজি) মেজর জেনারেল সাফিনুল ইসলাম ও জেএসসি রাশিয়া হিলকপ্টারসের আন্দ্রে ফোর্তে নিজ নিজ পক্ষে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।

বিজিবি সদর দপ্তর জানায়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার বিজিবিকে ত্রিমাত্রিক বাহিনী হিসেবে গড়ে তুলতে কার্যকর নানা উদ্যোগ গ্রহণের পাশাপাশি বাস্তবায়ন করছে। এ হেলিকপ্টার দু’টি পার্বত্য চট্টগ্রামের দুর্গম পাহাড়ী অঞ্চলে বিওপি নির্মাণে সহায়তা, রেশন দ্রব্য ও লজিস্টিক সহায়তা পৌঁছাতে, বাহিনীর অসুস্থ সদস্যদের হাসপাতালে পৌঁছানো, জরুরি উদ্ধার অভিযান ও অপারেশনাল সক্ষমতা বাড়াতে বিজিবির এয়ার উইং গঠিত হয়েছে।

খলীফাতুল্লাহ খলীফাতু রসূলিল্লাহ, ইমামুল আইম্মাহ, মুহইস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, সুলতানুল আরিফীন, মুজাদ্দিদে আ’যম, হাকিমুল হাদীস, আহলে বাইতে রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুল উমাম আলাইহিস সালাম উনার কতিপয় কারামাত মুবারক ও কামালাত মুবারক (৫)

খলীফাতুল্লাহ খলীফাতু রসূলিল্লাহ, ইমামুল আইম্মাহ, মুহইস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, সুলতানুল আরিফীন, মুজাদ্দিদে আ’যম, হাকিমুল হাদীস, আহলে বাইতে রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুল উমাম আলাইহিস সালাম উনার কতিপয় কারামাত মুবারক ও কামালাত মুবারক (৫)
সর্বকালের সর্বযুগের সর্ব শ্রেষ্ঠ মুজাদ্দিদ, মুজাদ্দিদে আ’যম, খলীফাতুল্লাহ খলীফাতু রসূলিল্লাহ, ইমামুল আইম্মাহ মুহইস সুন্নাহ কুতুবুল আলম, সুলতানুল আরিফীন, জাব্বারিউল আউয়াল, ক্ববিউল আউয়াল, আহলু বাইতে রসূলিল্লাহ, হাকিমুল হাদীছ, সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুল উমাম আস সাফফা আলাইহিস সালাম উনার অসংখ্য-অগণিত কারামত মুবারক ও কামালত মুবারক ইতোমধ্যে প্রকাশ পেয়েছে। আমরা আলোচ্য নিবন্ধে তার কতিপয় উল্লেখ করবো। ইহা মু’মিন-মু’মিনাগণের ইমানী কুওওয়াত বৃদ্ধির কারণ হবে। তাদের আমলের জজবা বা অনুপ্রেরণা যোগাবে। হক্ব তালাশী তথা মা’রিফাত-মুহব্বত প্রত্যাশীগণের আত্তার খোরাক বা রুহানী গেযা হবে। সর্বাপরি তাদের সন্তুষ্টি-রেজামন্দির পথ প্রসারিত হবে। সুবহানাল্লাহ! 

কারামত মুবারক-১
১৯৯৩ সালের কথা। কুড়িগ্রাম জেলার উলিপুর উপজেলা। উলিপুর এম.এস.এম. উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে ওয়াজ ও দোয়ার মাহফিল। প্রধান অতিথি ছিলেন- ইমামুল আইম্মাহ, মুহইস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, মুজাদ্দিদে আ’যম, হাকিমুল হাদীছ, হুজ্জাতুল ইসলাম, সুলতানুল আরিফীন, জাব্বারিউল আউয়াল, ক্ববিউল আউয়াল, আহলে বাইতে রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুল উমাম আলাইহিস সালাম। তিনি যথাসময়ে মাহফিল মুবারকে তাশরীফ নেয়ার জন্য রওয়ানা হলেন। মাহফিলের নিকটবর্তীও হলেন। কিন্তু প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করলো দুটি বিল্ডিং এবং একটি পুকুর। দুই বিল্ডিংয়ের মধ্য দিয়ে সংকীর্ণ রাস্তা পার হয়ে ষ্টেজে পৌঁছা সম্ভব নয়। 
ড্রাইভার সাহেব থমকে দাঁড়ালেন। কারণ, এতো সংকীর্ণ রাস্তা দিয়ে Pajero Jeep কখনো ভিতরে প্রবেশ করতে পারবে না। আর ইতোপূর্বে এতবড় গাড়ী কখনো প্রবেশও করেনি। তাহলে কি হেঁটে যেতে হবে? কিন্তু না। তিনি তো মহান আল্লাহ পাক উনার ওলী বা পরম বন্ধু। তিনি কি তা হতে দিতে পারেন? কি করে সম্ভব? তিনি তো উনার ওলী উনার জন্য যথেষ্ট। কুল কায়িনাতের সকলই উনাদের খিদমত মুবারকের জন্য সদা-ইন্তিজার। সব কিছুই উনাদের খিদমত মুবারকের জন্য ফানা। 
খলীফাতুল্লাহ, খলীফাতু রসূলিল্লাহ, ইমামুল আইম্মাহ, মুহইস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, মুজাদ্দিদে আ’যম, আহলু বাইতি রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুল উমাম আলাইহিস সালাম তিনি ড্রাইভার সাহেবকে উদ্দেশ্য করে বললেন, দাঁড়ালে কেন? যাও। ড্রাইভার সাহেব বললেন, মুর্শিদ ক্বিবলা! বেয়াদবী ক্ষমা চাই। রাস্তাটি ছোট। গাড়ী ভিতরে প্রবেশ করতে পারবে না। 
সাইয়্যিদুনা মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি উনাকে আবারো বললেন, যাও। সামনে বাড়াও। এবারো ড্রাইভার সাহেব অক্ষমতা প্রকাশ করলেন। তখন মহান মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি একটু জালালিয়াতের সাথে বললেন, তোমাকে যেতে বলছি। তুমি সামনে অগ্রসর হও। কোন দিকে তাকাবে না। আর ইতোমধ্যে অনেক লোক চতুর্দিকে দাঁড়িয়ে গেলো। তারা ব্যাপারটা পর্যবেক্ষণ করছে। এতো ছোট রাস্তা দিয়ে গাড়ীটি কি ভিতরে প্রবেশ করবে? দেখার জন্য সবাই কৌতুহলী হয়ে রয়েছেন। এবার ড্রাইভার সাহেব, তিনি কোন কথা না বাড়িয়ে গাড়ী স্টার্ট করলেন। আর অনায়াসে গাড়িটি গন্তব্য স্থান- মাহফিল স্টেজের নিকটে এসে দাঁড়ালো। সুবহানাল্লাহ! উপস্থিত সবাই একবার রাস্তার দিকে দেখছে! আর একবার গাড়ীর দিকে তাকাচ্ছে। আর ভাবছে কিভাবে গাড়ীটি এতো সংকীর্ণ রাস্তা দিতে প্রবেশ করলো। কেউ কেউ বলতেছিলেন উনার মতো ওলীআল্লাহ উনার জন্য ব্যাপারটি একেবারে মামুলী। কেউ বলছে একেই বলে কারামত মুবারক। ওলীআল্লাহগণ উনাদের কারামত মুবারক যে সত্য ইহা তারই বহিঃপ্রকাশ। সুবহানাল্লাহ!

খলীফাতুল্লাহ খলীফাতু রসূলিল্লাহ, ইমামুল আইম্মাহ, মুহইস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, সুলতানুল আরিফীন, মুজাদ্দিদে আ’যম, হাকিমুল হাদীস, আহলে বাইতে রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুল উমাম আলাইহিস সালাম উনার কতিপয় কারামাত মুবারক ও কামালত মুবারক (৪)

খলীফাতুল্লাহ খলীফাতু রসূলিল্লাহ, ইমামুল আইম্মাহ, মুহইস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, সুলতানুল আরিফীন, মুজাদ্দিদে আ’যম, হাকিমুল হাদীস, আহলে বাইতে রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুল উমাম আলাইহিস সালাম উনার কতিপয় কারামাত মুবারক ও কামালত মুবারক (৪)
আমরা পূর্বেই উল্লেখ করেছি যে, কারামত মুবারকে বিষয়টি পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র হাদীছ শরীফ সম্মত। অর্থাৎ পবিত্র হাদীছ শরীফেও তার অনেক প্রমাণ রয়েছে।

লাঠি মুবারক থেকে আলো বিচ্ছুরিত হওয়া
লাঠি মুবারক থেকে আলো বিচ্ছুরিত হওয়া স্বাভাবিক বিষয় নয়। বিশিষ্ট ছাহাবী, খাদিমু রসূলিল্লাহ হযরত আনাছ ইবনে মালিক রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বর্ণনা করেন। হযরত উসাইদ ইবনে হুযাইর রদ্বিয়াল্লাহু আনহু এবং হযরত আব্বাস ইবনে বিশর রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনারা দুজনই বিশিষ্ট ছাহাবী। একদিন উনারা কোন এক বিশেষ প্রয়োজনে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার ছোহবত মুবারকে গেলেন। দীর্ঘ রাত পর্যন্ত নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে কথা-বার্তা বললেন। রাতটি ছিল ঘোর অন্ধকার। উনারা নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নিকট থেকে বাড়ীর উদ্দেশ্যে রওয়ানা হলেন। সে সময় উনাদের প্রত্যেকের হাতে ছোট একটি লাঠি মুবারক ছিল। পথে বের হওয়ার পর উনাদের একজনের লাঠি মুবারকটি বাতির ন্যায় আলো দিতে লাগলো। সুবহানাল্লাহ! আর উনারা সেই লাঠি মুবারকের আলোতে পথ চলতে থাকেন। তারপর কিছুদুর যাওয়ার পর উনাদের পথ যখন পৃথক পৃথক হলো তখন অপরজনের লাঠি মুবারকটিও আলোকিত হয়ে উঠলো। সুবহানাল্লাহ! অবশেষে উনারা প্রত্যেকে আপন আপন লাঠি মুবারকের আলোয় নিজেদের বাড়ীতে পৌঁছে গেলেন। সুবহানাল্লাহ! (বুখারী শরীফ, মুসলিম শরীফ)
এরূপ ঘটনা একটি-দুটি নয়। বরং হাজার হাজার ঘটনা পবিত্র হাদীছ শরীফে বর্ণিত রয়েছে। কাজেই কারামত মুবারককে অস্বীকার করা যে কুফরী তা ব্যাখ্যা করার প্রয়োজন নেই।
তবে ব্যক্তি বিশেষ তথা নির্দিষ্ট কোন ওলী আল্লাহ উনার নির্দিষ্ট কোন কারামত মুবারককে অস্বীকার করা কুফুরী না হলেও অবশ্যই গোমরাহী। ক্ষেত্র বিশেষে ইমান হারা হওয়ার কারণ। মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদের সবাইকে হিফাযত করুন। 

লিবিয়ায় সেনা পাঠাবেন এরদোগান

লিবিয়ায় সেনা পাঠাবেন এরদোগান

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : রাশিয়ার উদ্বেগ সত্ত্বেও লিবিয়ায় সেনা পাঠানোর কথা জানিয়েছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান। উত্তর আফ্রিকার দেশটির অনুরোধেই এই সেনা পাঠানো হচ্ছে তুরস্ক।

বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে এমন তথ্যই মিলেছে। আগামী জানুয়ারিতে এ সংক্রান্ত আইন প্রণয়নে বিষয়টি পার্লামেন্ট উপস্থাপন করবেন তিনি। মাসখানেক আগে লিবিয়ার আন্তর্জাতিক স্বীকৃত ফাইয়াজ আল সিরাজ সরকারের সঙ্গে দুটি চুক্তি সই করেছে আংকারা।

এর মধ্যে একটি হচ্ছে, নিরাপত্তা ও সামরিক সহায়তার, অন্যটি পূর্ব ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলে নৌসীমানা সংক্রান্ত।

মাসব্যাপী লড়াইয়ে পূর্ব লিবিয়ায় খলিফা হাফতারের বাহিনীকে রুখে দিয়েছে সিরাজের জাতীয় ঐক্যের সরকার (জিএনএ)। রাশিয়া, মিসর ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের সমর্থন পেয়েছেন হাফতার।

ক্ষমতাসীন একে পার্টির এক অনুষ্ঠানে দেয়া বক্তৃতায় এরদোগান বলেন, সেখান থেকে একটি অনুরোধ আসার পর সেটি আমরা গ্রহণ করেছি। পার্লামেন্ট চালু হলে এই সেনা পাঠানোর ইস্যুটি আমরা সেখানে তুলবো।

প্রতিবেশী লিবিয়ার সঙ্গে একটি সম্ভাব্য অস্ত্রবিরতিতে পৌঁছাতে সহযোগিতা করতে বুধবার তিউনিশিয়া সফরে যান এরদোগান। বৃহস্পতিবার তিনি বলেন, জিএনএকে সমর্থন দিতে তুরস্ক ও তিউনিশিয়া একমত হয়েছে।

লিবিয়ায় তুরস্কের সম্ভাব্য সেনা মোতায়েন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে রাশিয়া। গত সপ্তাহে তুর্কি প্রেসিডেন্ট বলেন, হাফতারকে রুশ সমর্থিত ভাড়াটে খুনিদের সহায়তা চুপ থাকবে না তুরস্ক৷ 

জন্মনিয়ন্ত্রণ পিল থেকে হতে পারে ব্রেস্ট ক্যান্সার!

জন্মনিয়ন্ত্রণ পিল থেকে হতে পারে ব্রেস্ট ক্যান্সার!

নিউজ ডেস্ক: ব্রেস্ট ক্যান্সারে আক্রান্ত নারীর সংখ্যা বেড়েই চলেছে দিনদিন। এ নিয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে সারা বিশ্বে নানা প্রয়াস চালানো হচ্ছে। আমেরিকার ‘ফ্রেড হোচিনসন ক্যান্সার রিসার্চ সেন্টার’-এর গবেষকরা সামনে এনেছে ব্রেস্ট ক্যান্সারের অন্যতম এক কারণ। অধিকাংশ মেয়েইদ বিয়ের পর জন্মনিয়ন্ত্রক পিল খাওয়ার অভ্যাস করেন। ঘন ঘন এই পিল খাওয়াই ব্রেস্ট ক্যান্সারের অন্যতম কারণ বলে দাবি বিজ্ঞানীদের।

সম্প্রতি ওই ‘ফ্রেড হোচিনসন ক্যান্সার রিসার্চ সেন্টার’-এর গবেষকদের একটি রিপোর্ট প্রকাশ পেয়েছে আমেরিকার একটি হেলথ ম্যাগাজিনে। সেই তথ্য অনুসারে, ৪০-এর কমবয়সি মেয়েদের শরীরে ব্রেস্ট ক্যান্সার বাসা বাঁধার অন্যতম কারণ এই বার্থ কন্ট্রোল পিল বা গর্ভনিরোধক বড়ি।

অনেকেই খানিকটা সাবধান হয়ে কম পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার পিল খোঁজেন। কিন্তু গবেষণায় দেখা গিয়েছে, প্রায় সবরকম পিল ব্যবহারেই ব্রেস্ট ক্যান্সারের একটা ঝুঁকি থেকেই যায়।

২১ হাজার ৯৫২ জন মহিলাকে নিয়ে পরীক্ষা চালান গবেষকেরা। ১০ বছর ধরে টানা পরীক্ষা চালানোর পর তারা ২০১০-এ গর্ভনিরোধক বড়িকে ‘ভিলেন’ হিসেবে সন্দেহ করেছে। সাম্প্রতিক পরীক্ষায় দেখা গিয়েছে, এই ২১ হাজার ৯৫২ জনের মধ্যে ১১০২ জন ব্রেস্ট ক্যান্সারে আক্রান্ত রোগীর অধিকাংশেরই এই ধরনের পিল খাওয়া অভ্যাস ছিল।

গবেষণা চলাকালীন, টানা ১০ বছরে যারা নতুন করে এই পিল নেয়া শুরু করেছিল তাদের প্রায় ৬৪ শতাংশের ক্ষেত্রেই এই অসুখ দেখা দিয়েছে। আবার অনেকেই ১০ বছর আগে এই ওষুধ নেয়া বন্ধ করে দিয়েছিল। এতদিন কোনো লক্ষণও ধরা পড়েনি। কিন্তু ১০ বছর পর এই রোগ নতুন করে জানান দিচ্ছে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, এই ধরনের পিল হরমোনের উপর খুবই প্রভাব ফেলে। জন্মনিরোধক পিলগুলোর কমবেশি পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থাকেই। ইস্ট্রোজেনের মাত্রার তারতম্য ঘটায় এই ওষুধ। ইস্ট্রোজেনের মাত্রা কমে যাওয়ার জন্যও ব্রেস্ট ক্যান্সার দেখা দিতে পারে। তবে ইস্ট্রোজেনের মাত্রা সরাসরি কতটা দায়ী তা নিয়ে সারা বিশ্বে এখনও সবিস্তার গবেষণা চলছে। কিন্তু তা নিয়ে বিস্তারিত গবেষণা না হলেও গর্ভনিরোধক বড়িগুলো যেভাবে হরমোনের তারতম্য ঘটায়, তা নিয়মিত নিলে ক্যান্সারের শঙ্কা খুবই বাড়ে।

নিরপেক্ষ নয়, দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে সক্রিয় হতে হবে -দুদক কমিশনার

নিরপেক্ষ নয়, দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে সক্রিয় হতে হবে -দুদক কমিশনার

নিজস্ব প্রতিবেদক: দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আইনজীবীদের নিরপেক্ষ নয়, দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে সক্রিয় হতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন সংস্থাটির কমিশনার ড. মোজাম্মেল হক খান।

সোমবার দুদকের প্রধান কার্যালয়ে দুদকের পাবলিক প্রসিকিউটরদের বিশেষ প্রশিক্ষণ কর্মসূচির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন। প্রশিক্ষণে ৪১ জন পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অংশ নেন।

পিপিদের উদ্দেশে দুদকের কমিশনার বলেন, দুদকের মামলা দায়ের থেকে বিচার প্রক্রিয়া সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত প্রতিটি ধাপে বিজ্ঞ পিপিদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। আপনাদের অভিজ্ঞতা ও জ্ঞান বহুমাত্রিক। কিন্তু তারপরও কিছু নেতিবাচক কথা শোনা যায়, যা আমরা প্রত্যাশা করি না। আমরা মামলা সৃষ্টি করে তা বিচার নিশ্চিতকরণের দায়িত্ব অপনাদের হাতে অর্পণ করি। আপনারা মামলা পরিচালনার ক্ষেত্রে কোনো অবস্থাতেই নিরপেক্ষ নন, আপনারা দুদকের সক্রিয় পক্ষ।

তিনি বলেন, কমিশনের মামলায় যেন কমিশনের স্বার্থ অর্থাৎ রাষ্ট্রের স্বার্থ অক্ষুন্ন থাকে, সে বিষয়ে আপনারা সক্রিয় থাকবেন। আমরা নিরপেক্ষ নই, আমরা দুর্নীতিপরায়নদের বিপক্ষে। আপনাদেরকেও দুর্নীতিপরায়নদের বিরুদ্ধে সক্রিয় ভূমিকা গ্রহণ করতে হবে।

মোজাম্মেল হক খান বলেন, কমিশনে যেসব সমস্যা রয়েছে, সেগুলো কটিয়ে ওঠার চেষ্টা করছি। ক্রমান্বয়ে সমস্যার সমাধান করা হচ্ছে। আজ অনেকেই বলছেন, অতীতের যেকোনো সময়ের চেয়ে দুদক অধিকতর সক্রিয় ও সক্ষম। কমিশনের এই সক্রিয়তা ক্রমাগত বিস্তৃত ও বিকশিত করা হবে।

তিনি বলেন, আমাদের পেশা ও শ্রেণীভেদে মানুষের মধ্যে উদারতার কিছুটা সীমাবদ্ধতা রয়েছে। আমরা শুধু নিজেদের নিয়েই গর্ব করি, অন্যদের কাজের সাফল্য প্রকাশের ক্ষেত্রে কিছুটা হলেও ম্রিয়মাণ থাকি। তাই আমাদের পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ ও অন্যের সৎ কাজের প্রতি সমর্থন, সহযোগিতা বাড়াতে হবে। আমাদের দেশের স্বার্থে সর্বস্তরের মানুষের বিশেষ করে অংশীজনদের সমন্বিত চেষ্টার মাধ্যমেই দুর্নীতির মতো অনৈতিকতার করাল গ্রাস থেকে সবাইকে রক্ষা করতে হবে।

৬ মাসেই গোটা বছরের ঋণ গ্রহণ সরকারের

৬ মাসেই গোটা বছরের ঋণ গ্রহণ সরকারের

নিজস্ব প্রতিবেদক: চলতি অর্থবছরের অর্ধেকও এখনো পার হয়নি। এরই মধ্যে ব্যাংক ব্যবস্থা থেকে পুরো বছরের জন্য সরকারের ঋণ নেয়ার লক্ষ্যমাত্রা প্রায় ছুঁই ছুঁই করছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১৯-২০ অর্থবছরে সরকার অভ্যন্তরঢু খাত থেকে মোট ৭৭ হাজার ৩৬৩ কোটি টাকা ঋণ নেবে বলে ঠিক করে।

এর মধ্যে ব্যাংক ব্যবস্থা থেকে ৪৭ হাজার ৩৬৩ কোটি টাকা ঋণ নেয়ার কথা। কিন্তু বাংলাদেশ ব্যাংকের পাক্ষিক প্রধান অর্থনৈতিক সূচকে বলা হয়েছে, চলতি বছরের ০১ জুলাই থেকে ২৮ নভেম্বর পর্যন্ত ব্যাংক ব্যবস্থা থেকে সরকার ৪১ হাজার ৩৬২ কোটি টাকারও বেশি ঋণ নিয়েছে। অর্থাৎ ৫ মাসেই সরকার ব্যাংক ব্যবস্থা থেকে বাজেটে টার্গেটের সিংহভাই নিয়ে নিয়েছে। দ্রুতই হয়তো বছরের ঋণের লক্ষ্যমাত্রার পুরো টাকাটাই নিয়ে ফেলবে তারা।

এ ব্যাপারে অর্থনীতিবিদ ফারিয়া নাইম বলেন, এর ফলে মুদ্রাস্ফীতি বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। অর্থনীতির দুর্বলতাগুলো আরও বেশি বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়। ঘাটতি মেটাতে এক বার দুবার ঋণ নেয়া যায়, বার বার নেয়া যায় না। তিনি আরও বলেন, সরকারের ঋণ বেড়ে গেলে আরও যে সমস্যাটি প্রবল হয়ে দাঁড়ায়, তা হলো ব্যক্তিগত বিনিয়োগকারীদের তহবিল পেতে সমস্যা হয়। ফলে বিনিয়োগ বাড়ে না। আর বিনিয়োগ না বাড়লে উৎপাদনও বাড়ে না। যার ফলে বাধাগ্রস্ত হয় সামগ্রিক অর্থনীতি।

এ প্রসঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষক সায়মা হক বলেন, চলতি বছর আগেভাগেই সরকার ঋণের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করে ফেলেছে বা আর কয়েক দিনের মধ্যেই পূরণ করে ফেলবে। ফলে বাজেট ঘাটতি পূরণে পরিকল্পনার চেয়ে আরও বেশি ঋণ নেয়া সরকারের দরকার হবে। এ অবস্থায় ব্যয় কাট-ছাট করা ছাড়া উপায় থাকবে না। আর এ কারণে গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প বাদ পড়ে যেতে পারে। তিনি বলেন, অভ্যন্তরঢু খাত থেকে ঋণ না পেলে অনেক সময় সরকারকে চড়া সুদে বিদেশি উৎস থেকেও ঋণ নিতে হয়। যা পরবর্তীতে সরকারের ওপর চাপ তৈরি করে। এ অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসতে হলে সরকারের আয় বাড়াতে হবে।

জ্বালানি খাতে সহায়তা করতে চায় যুক্তরাষ্ট্র

জ্বালানি খাতে সহায়তা করতে চায় যুক্তরাষ্ট্র

নিজস্ব প্রতিবেদক:বৈঠকের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন মার্কিন প্রতিনিধি দলের সদস্যরাবাংলাদেশের বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে বিনিয়োগ বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু সাংবাদিকদের একথা জানিয়েছেন।

বাংলাদেশ সফররত যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশীয় বিষয়ক ডেপুটি অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি থমাস ভাজদা, মার্কিন রাষ্ট্রদূত ইরাল মিলারসহ আট সদস্যের সঙ্গে বৈঠকের পর প্রতিমন্ত্রী একথা জানান। রবিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) বিদ্যুৎ ভবনে এ বৈঠক হয়।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের বিনিয়োগ কীভাবে আরও বাড়ানো যায় সে বিষয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতির প্রশংসা করেছে। তারা শেখ হাসিনার নেতৃতের প্রতি আস্থাশীল। আগামীতে কীভাবে আরও ঘনিষ্ঠভাবে দু’দেশ কাজ করতে পারে সে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।

এসময়ে মিলার বলেন, ‘অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির সঙ্গে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকা জরুরি। বাংলাদেশ শ্রম নিরাপত্তায় উল্লেখযোগ্য কাজ করেছে। আমরা মনে করছি বাংলাদেশের বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে আরও বিনিয়োগ করতে পারি।’

থমাস বলেন, ‘বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ ভৌগলিক অবস্থানে রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র বিনিয়োগের ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে সম্ভাব্য দেশ হিসেবে বিবেচনা করছে। বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্র নতুন বিনিয়োগ করতে চায়।’

সেচ মৌসুমে জ্বালানি তেল ভারতে পাচারের শঙ্কা

সেচ মৌসুমে জ্বালানি তেল ভারতে পাচারের শঙ্কা

নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশে ডিসেম্বর থেকে মে পর্যন্ত চলতি সেচ মৌসুমে জ্বালানি তেলের চাহিদা নির্ধারণ করা হয়েছে ১৮ লাখ মেট্রিক টনের মতো। সরবরাহ নিশ্চিত করতে এরই মধ্যে প্রস্তুতি নিয়েছে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি)। অধীনস্থ তিনটি তেল বিপণন কোম্পানির মাধ্যমে সর্বত্র তেল সহজে পৌঁছে দিতে চায় সংস্থাটি। তবে প্রতিবেশী দেশ ভারতের কোথাও কোথাও জ্বালানির দাম বেশি হওয়ায় পাচারের আশঙ্কাকেও উড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে না। এরই মধ্যে বিষয়টি নিয়ে সার্বক্ষডুক সতর্ক থাকতে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশকে (বিজিবি) নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

বিপিসি সূত্র জানায়, প্রায় প্রতিবছরই সেচ মৌসুমে কৃষকদের দোড়গোরায় জ্বালানি তেল পৌঁছাতে কোথাও না কোথাও তৈরি হয় সংকট। বিষয়টিকে মাথায় রেখে অতীতের বিভিন্ন সময়ের তেলের চাহিদা বিবেচনায় নিয়ে চাহিদা নির্ধারণ করেছে বিপিসি। আর এটি করতে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সহযোগিতা নেওয়া হয়েছে এবার।  রোববার এ বিষয়ে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপুর সভাপতিত্বে একটি বৈঠক হয়।

বৈঠক সূত্রে জানা যায়, কৃষকদের কাছে বিশেষ করে উত্তরাঞ্চলে জ্বালানি তেল পৌঁছে দিতে সব ধরনের প্রস্তুতির নির্দেশ দিয়েছেন প্রতিমন্ত্রী। সহজে তেল পরিবহনে ওয়াগন প্রস্তুত রাখতে রেলপথ মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। নৌপথ মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে শুষ্ক মৌসুমে যেসব নদীতে কম পানি সেগুলোকে ড্রেজিং করে তেল পরিবহনে তা স্বাভাবিক রাখতে।

বৈঠকে উপস্থিত এক কর্মকর্তা বলেন, চট্টগ্রাম বন্দর এবং কর্ণফুলী নদী এলাকায় রাতের বেলা জাহাজ চলাচলে নিষেধাজ্ঞা থাকে, যা স্বাভাবিক তেল পরিবহনে বড় বাধা। তাই চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষকে বলা হয়েছে সেচ মৌসুমে যাতে জ্বালানি তেলবাহী জাহাজ চলাচলে কোনো ধরনের বাধা না দেওয়া হয়।

ভারতে তেল পাচারের শঙ্কার বিষয়টিও বৈঠকে গুরুত্বের সঙ্গে আলোচনা হয়। কেননা প্রতিবেশী দেশটির কোথাও কোথাও বাংলাদেশের তুলনায় ডিজেলের দাম লিটারপ্রতি ৪ থেকে ১৩ টাকা পর্যন্ত বেশি। তাই স্থানীয় পাচারকারী ছাড়াও স্থলবন্দর দিয়ে যে ট্রাকগুলো দুদেশে পণ্য আনা-নেওয়া করে, সেগুলোর মাধ্যমে তেল পাচারের সুযোগ থাকে। এ জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে বিজিবিকে সতর্ক করা হয়েছে। পাশাপাশি সীমান্তবর্তী পেট্রোলপাম্পগুলোকেও দেওয়া হচ্ছে বিশেষ নির্দেশনা।

গত নভেম্বরর থেকেই কৃষিকাজে জ্বালানি তেল সরবরাহ শুরু হয়েছে। তবে সবচেয়ে বেশি চাহিদা তৈরি হয় ডিসেম্বর থেকে মে মাস পর্যন্ত। চলতি বছর ডিজিলের চাহিদা নির্ধারণ করা হয়েছে ১৬ লাখ ৮৪ হাজার মেট্রিক টন। আর লুব অয়েলের চাহিদা ধরা হয়েছে ৫০ হাজার ৮৬৪ মেট্রিক টন। বিপিসি বলছে, বিদেশ থেকে আমদানিকৃত জ্বালানি তেল চট্টগ্রামের পতেঙ্গা গুপ্তখালে ট্যাংকারে রাখা হয়। সেখান থেকে সরবরাহ করা হয় দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে থাকা ডিপোগুলোয়। এর মধ্যে গোদনাইল ফতুল্লা ডিপো থেকে ঢাকার আশপাশের জেলায়; খুলনার দৌলতপুর থেকে খুলনা-যশোর অঞ্চলের বিভিন্ন জেলায়; বাঘাবাড়ী ডিপো থেকে সিরাজগঞ্জ, বগুড়া, গাইবান্ধা ও পাবনার আশপাশে; রংপুর রেলহেড ডিপো থেকে রংপুর, লালমনিরহাট, কুড়িগ্রাম অঞ্চলে তেল সরবারহ করা হয়। এ ছাড়া হরিয়ান রেলহেড ডিপো থেকে তেল সরবরাহ করা হয় রাজশাহী অঞ্চলে; পার্বতীপুর ডিপো থেকে দিনাজপুরের আশপাশের বিভিন্ন জেলায় এবং শ্রীমঙ্গল, ভৈরব, বরিশাল, ঝালকাঠি এলাকায়। এর মধ্যে দেশের জ্বালানি তেলের প্রায় ৭০ শতাংশই ডিজেলের চাহিদা, যার মধ্যে ১৬ শতাংশ কৃষিকাজে ব্যবহৃত হয়। তাই সেচকালে কৃষিকাজে ব্যবহৃত তেল সহজে পৌঁছাতে গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে কন্ট্রোলরুম পর্যন্ত স্থাপন করে বিপিসি।

সেচ মৌসুমে কৃষিকাজে জ্বালানি তেল সরবরাহের প্রস্তুতি সম্পর্কে বিপিসির চেয়ারম্যান সামছুর রহমান বলেন, আমাদের দেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হওয়ার চেষ্টা করছে। সে ক্ষেত্রে কৃষিকাজে জ্বালানি তেল সময়মতো পৌঁছে দেওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সে লক্ষ্যে প্রতিবছরই আমরা জ্বালানি তেল সরবরাহে সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়ে থাকি। এ বছরও তার ব্যতিক্রম নয়। আশা করছি এ বছরও কৃষকদের কাছে খুব সহজে জ্বালানি তেল সরবরাহ করতে পারব।

ইঁদুরের উৎপাত থেকে বাঁচার উপায়

ইঁদুরের উৎপাত থেকে বাঁচার উপায়

নিউজ ডেস্ক: জামাকাপড় থেকে বই-খাতা, ইঁদুরের হাত থেকে এদের বাঁচিয়ে রাখা বেশ কষ্টসাধ্য। চকচকে পরিষ্কার ঘরেও প্রায়ই হানা দেয় ইঁদুর। কীটনাশক দিয়ে বা পেস্ট কন্ট্রোল সার্ভিসের সাহায্যে ইঁদুর সাময়িক দূর হলেও, কিছুদিন পরেই ফের এই আক্রমণ শুরু হয়।

তা ছাড়া এসব উপায়ে ইঁদুর তাড়াতে গেলে ব্যবহার করতে হয় নানা রাসায়নিক যা শরীরের জন্য মোটেই উপকারী নয়। বিশেষ করে, বাড়িতে শিশু থাকলে তার শ্বাসের মাধ্যমে এসব রাসায়নিক শরীরে প্রবেশ করলে তা স্বাস্থ্যকর নয়। আবার অনেকে অকারণে প্রাণী হত্যা পছন্দ করেন না।

বরং কিছু ঘরোয়া উপায় অবলম্বন করলে ইঁদুর বাড়িছাড়া হবে সহজেই। এমনিতে ইঁদুরকলের কথা অনেকেরই জানা। এতে ইঁদুরকে না মেরেও আটক করা যায়। কিন্তু সব বাড়িতে কল ব্যবহার করার সুযোগ থাকে না। তাই ইঁদুরকলের বাইরে কিছু ঘরোয়া পদ্ধতি জানা থাকলে তা ইঁদুরের হাত থেকে পরিত্রাণ দেবে।

লবঙ্গের ঝাঁঝালো গন্ধ ইঁদুরের অত্যন্ত অপ্রিয়। একটা নরম কাপড়ে বেশ কয়েকটি লবঙ্গ জড়িয়ে ঘরের যেসব জায়গায় ইঁদুরের উৎপাত বেশি সেখানে রেখে দিন। ইঁদুর আর ওমুখো হবে না।

ইঁদুর বা কোনো পোকা কেউই শুকনো মরিচের ঝাঁঝ সহ্য করতে পারে না। নরম কোনো কাপড়ে শুকনো মরিচের গুঁড়ো পুরে দিন। এবার ঘরের যেসব জায়গা দিয়ে ইঁদুর প্রবেশ করে সেখানে রেখে দিন এই কাপড়। ইঁদুরের প্রবেশ কমবে।

পিপারমিন্ট তেলে ডুবিয়ে রাখুন তুলো। পিপারমিন্টের গন্ধ একেবারেই সইতে পারে না ইঁদুর। তুলোর এমন ছোট ছোট বল ঘরের বিভিন্ন জায়গায় রাখলে তা সহজেই দূর করবে ইঁদুরের উত্পাৎ।

ঘরের নানা কোনায় বেকিং পাউডার ছড়িয়ে রাখুন। সকালে ঝাঁট দিয়ে দিন। বেকিং সোডার গন্ধও ইঁদুরের অত্যন্ত অপছন্দের। এর প্রকোপে ঘরে ইঁদুরের প্রবেশ রুখে দেয়া যাবে সহজেই।

ট্রলার থেকে পড়ে কলেজছাত্র নিখোঁজ

ট্রলার থেকে পড়ে কলেজছাত্র নিখোঁজ
নূরানীগঞ্জের (নারায়ণগঞ্জ)  মেঘনা নদীতে ট্রলার থেকে পড়ে সেলিম মিয়া (১৭) নামে এক কলেজছাত্র নিখোঁজ হয়েছে।
আজ (০১ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১০টায় নিখোঁজ হওয়ার খবর পেয়ে আড়াইহাজার ফায়ার সার্ভিস ও ঢাকা থেকে বিশেষজ্ঞ ডুবুরি দল দুপুর পৌনে ২ টা পর্যন্ত চেষ্টা করেও নিখোঁজ কলেজ ছাত্রের সন্ধান পায়নি।
সেলিম উপজেলার ফতেহপুর ইউনিয়নের বগাদী ব্রাহ্মণপাড়া এলাকার জামাল হোসেনের ছেলে। তিনি সরকারি সফর আলী কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র ছিলেন।
 চাঁদপুরের মতলব উপজেলার এক মাজারে ওরশ শেষে ট্রলারযোগে সকালে মেঘনা নদীর টেটিয়া এলাকায় পৌঁছালে ট্রলার থেকে হঠাৎ নদীতে পড়ে যান কলেজছাত্র সেলিম। পরে খবর পেয়ে আড়াইহাজার ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল ও ঢাকা থেকে বিশেষজ্ঞ ডুবুরি দল যৌথভাবে উদ্ধার অভিযানে নামে। কিন্তু কলেজ ছাত্র সেলিমের কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি।

জ্বালানি তেল উত্তোলন, হ্রাস চুক্তি থেকে বের হয়ে আসতে পারে রাশিয়া

জ্বালানি তেল উত্তোলন, হ্রাস চুক্তি থেকে বের হয়ে আসতে পারে রাশিয়া

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : বাজার নিয়ন্ত্রণে কয়েক বছর ধরে উত্তোলন ও সরবরাহ কমিয়ে দিলেও কার্যত লক্ষ্যপূরণে প্রায় ব্যর্থ হয়েছে ওপেক প্লাস জোট। চুক্তি অনুযায়ী, জোটভুক্ত দেশগুলো উত্তোলন হ্রাস করলেও যুক্তরাষ্ট্রসহ অন্যান্য দেশের উত্তোলন বৃদ্ধির কারণে বাজারের ওপর তেমন প্রভাব ফেলতে পারেনি জোটটি। উল্টো বাজার হিস্যা হারাচ্ছে বৃহৎ উৎপাদক দেশগুলো। সে কারণে রাশিয়া আগামী বছর জোটের সঙ্গে করা উত্তোলন হ্রাস চুক্তি থেকে বেরিয়ে যেতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। খবর ব্লুমবার্গ ও রয়টার্স।

জ্বালানি তেলের বাজার নিয়ন্ত্রণ ও যুক্তরাষ্ট্রের আধিপত্য ঠেকাতে ২০১৬ সালে রফতানিকারক দেশগুলোর সংগঠন ওপেক ও ওপেক বহির্ভূত দেশ নিয়ে গঠিত হয় ওপেক প্লাস জোট। যার নেতৃত্বে যথাক্রমে সৌদি আরব ও রাশিয়া। বাজারে জ্বালানি পণ্যটির সরবরাহ কমিয়ে দাম বৃদ্ধি ত্বরান্বিত করতে ২০১৭ সাল থেকে উত্তোলন হ্রাস চুক্তি কার্যকর করে আসছে জোটটি। চুক্তি অনুযায়ী, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে আগামী বছরের প্রথম প্রান্তিক (জানুয়ারি-মার্চ) পর্যন্ত জ্বালানি তেলের দৈনিক উত্তোলন ১২ লাখ ব্যারেল কমিয়ে আনছে জোটের সদস্য দেশগুলো। এতেও বাজার চাঙ্গা না হওয়ায় আগামী বছরের প্রথম প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ) দৈনিক উত্তোলন অতিরিক্ত আরো পাঁচ লাখ টন কমিয়ে আনতে যাচ্ছে জোটটি। অর্থাৎ আগামী বছর থেকে দৈনিক উত্তোলন ১৭ লাখ ব্যারেল কমাবে জোটটি। যার মধ্যে রাশিয়াকে একাই কমাতে হবে দৈনিক তিন লাখ ব্যারেল। উত্তোলন হ্রাস চুক্তি মার্চের পর আরো বৃদ্ধির বিষয়েও জোটের মধ্যে আলোচনা রয়েছে।

কিন্তু উত্তোলন হ্রাসের এ কৌশল নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন ওপেক প্লাসের প্রভাবশালী দেশ ও কার্যত নেতা রাশিয়া। এমনকি উত্তোলন হ্রাসের চুক্তি থেকে নাম প্রত্যাহার করে নেয়ারও আভাস দিয়েছে দেশটি।

রাশিয়ার জ্বালানিমন্ত্রী আলেকজান্ডার নোভাক সম্প্রতি ওপেক প্লাস জোটের টিকে থাকা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন। দেশটির একটি টিভি চ্যানেলে দেয়া এক সাক্ষাত্কারে তিনি বলেন, উত্তোলন হ্রাস স্থায়ী কোনো বিষয় নয়। আমাদের ধীরে ধীরে এটি থেকে বের হতে হবে। কারণ এখন পর্যন্ত যে পরিমাণ উত্তোলন কমিয়ে আনা হয়েছে সেটি উদ্বেগের। জ্বালানি তেলের বাজারে রাশিয়ার হিস্যা বাড়ানো এবং দেশের কোম্পানিগুলোর ভবিষ্যৎ প্রকল্প সম্প্রসারণের জন্য এ চুক্তি থেকে আগামী বছর নাগাদ বের হয়ে যাওয়ার বিষয় বিবেচনা করা হবে বলেও জানান তিনি।

বাজার চাঙ্গা করার বাসনা নিয়ে ২০১৬ সালে চুক্তি এগিয়ে নিতে নেতৃত্ব দিলেও রাশিয়া যে এখন এ চুক্তি আর মানতে চাচ্ছে না, তার প্রমাণ চলতি বছর দেশটির উত্তোলন প্রবৃদ্ধি। চলতি বছরের প্রথম আট মাসে দেশটি জোটের সঙ্গে করা চুক্তি অনুযায়ী কোটার চেয়ে বেশি জ্বালানি তেল উত্তোলন করেছে। চলতি মাসেও এ ধারা অব্যাহত রেখেছে। এখন পর্যন্ত দৈনিক ১ কোটি ১২ লাখ ৫২ হাজার ব্যারেল জ্বালানি তেল উত্তোলন করেছে, যা দেশটির জন্য নির্ধারিত কোটার তুলনায় ৬২ হাজার ব্যারেল বেশি। এছাড়া আগামী বছর দৈনিক উত্তোলন ১ কোটি ১১ লাখ ২০ হাজার থেকে ১ কোটি ১৩ লাখ ২০ হাজার ব্যারেলের মধ্যে রাখা হবে বলে জানিয়েছেন জ্বালানিমন্ত্রী আলেকজান্ডার নোভাক।

এদিকে কোটার অতিরিক্ত উত্তোলন করার পরও ওপেক প্লাস জোটের সঙ্গে চুক্তি নিয়ে দেশেও স্বস্তিতে নেই রাশিয়া। এরই মধ্যে দেশটির খাতসংশ্লিষ্টরা এ চুক্তি নিয়ে সমালোচনা শুরু করেছেন। তারা মনে করছেন, এ চুক্তি থেকে রাশিয়ার কোনো লাভ হচ্ছে না। উপরন্তু বাজারের হিস্যা কমে যাচ্ছে।

পয়লা জানুয়ারি তথা থার্টি ফাস্ট নাইট সম্পর্কে জেনে নিন -✅ থার্টি ফার্স্ট নাইট ও ১লা জানুয়ারী পালনের ইতিহাস:

পয়লা জানুয়ারি তথা থার্টি ফাস্ট নাইট সম্পর্কে জেনে নিন -✅  থার্টি ফার্স্ট নাইট ও ১লা জানুয়ারী পালনের ইতিহাস:


থার্টি ফার্স্ট নাইট ও ১লা জানুয়ারি (নববর্ষ) পালন ইসলাম ও মুসলমানদের জন্য নয়, যা পালন করা মুসলমানদের জন্য সম্পূর্ণ হারাম।

ইতিহাসের তথ্য অনুযায়ী খ্রিস্টপূর্ব ৪৬ সালে জুলিয়াস সিজার সর্বপ্রথম ইংরেজি নববর্ষ উৎসবের প্রচলন করে। ১লা জানুয়ারি পালনের ইতিহাস ইসলামের সাথে সম্পৃক্ত নয়। পহেলা জানুয়ারি পাকাপোক্তভাবে নববর্ষের দিন হিসেবে নির্দিষ্ট হয় ১৫৮২ সালে গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডার প্রবর্তনের পর।

 ধীরে ধীরে শুধু ইউরোপে নয় সারা বিশ্বের বিভিন্ন দেশে গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডার [খৃস্টানদের তথাকথিত ধর্মযাজক, দুশ্চরিত্র (যার বিবাহ বহির্ভূত একটি সন্তান ছিল] পোপ গ্রেগরীর নামানুসারে যে ক্যালেন্ডার) অনুযায়ী নববর্ষ পালন করা হচ্ছে।

ইরানে নববর্ষ বা নওরোজ শুরু হয় পুরনো বছরের শেষ বুধবার এবং উৎসব চলতে থাকে নতুন বছরের ১৩ তারিখ পর্যন্ত। সাধারণভাবে প্রাচীন পারস্যের পরাক্রমশালী সম্রাট জমশীদ খ্রিস্টপূর্ব ৮০০ সালে এই নওরোজের প্রবর্তন করেছিল এবং এ ধারাবাহিকতা এখনো পারস্য তথা ইরানে নওরোজ ঐতিহ্যগত নববর্ষের জাতীয় উৎসব পালিত হয়।

 ইরান হতেই ইহা একটি সাধারণ সংস্কৃতির ধারা বহিয়া মধ্য প্রাচ্যের বিভিন্ন মুসলিম দেশ এবং ভারত উপমহাদেশে প্রবেশ করে। মেসোপটেমিয়ায় এই নববর্ষ বা আকিতু শুরু হতো নতুন চাঁদের সঙ্গে। ব্যাবিলনিয়ায় নববর্ষ শুরু হতো মহাবিষুবের দিনে ২০ মার্চ। 

অ্যাসিরিয়ায় শুরু হতো জলবিষূবের দিনে ২১ সেপ্টেম্বর। মিসর, ফিনিসিয়া ও পারসিকদের নতুন বছর শুরু হতো ২১ সেপ্টেম্বর। গ্রীকদের নববর্ষ শুরু হতো খ্রিস্টপূর্ব পঞ্চম শতাব্দী পর্যন্ত ২১ ডিসেম্বর। রোমান প্রজাতন্ত্রের পঞ্জিকা অনুযায়ী নববর্ষ শুরু হতো ১ মার্চ এবং খ্রিস্টপূর্ব ১৫৩-এর পরে ১ জানুয়ারিতে।

ইহুদীদের নববর্ষ বা রোশ হাসানা শুরু হয় তিসরি মাসের প্রথম দিন গোঁড়া ইহুদীদের মতে সেই মাসের দ্বিতীয় দিন। মোটামুটিভাবে তিসরি মাস হচ্ছে ৫ সেপ্টেম্বর থেকে ৬ অক্টোবর। মধ্যযুগে ইউরোপের বেশিরভাগ দেশে নববর্ষ শুরু হতো ২৫ মার্চ, তারা ধারণা করতো, এদিন দেবদূত গ্যাব্রিয়েল যিশুমাতা মেরির কাছে যিশু খ্রিস্টের জন্মবার্তা জ্ঞাপন করে।
অ্যাংলো-স্যাকসন ইংল্যান্ডে নববর্ষের দিন ছিল ২৫ ডিসেম্বর। 

পহেলা জানুয়ারি পাকাপোক্তভাবে নববর্ষের দিন হিসেবে নির্দিষ্ট হয় ১৫৮২ সালে গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডার প্রবর্তনের পর। ধীরে ধীরে শুধু ইউরোপে নয় সারা বিশ্বের বিভিন্ন দেশে গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডার অনুযায়ী নববর্ষ পালন করা হচ্ছে।
বাদশাহ আকবরের ফরমান অনুযায়ী আমীর ফতেহ উল্লাহ্‌ শিরাজী উদ্ভাবিত বাংলা ফসলি সাল চালু হয় ১০ মার্চ ১৫৬৩ সালে। ইংরেজ আমলে গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডার অনুসরণ করা হলেও রাজস্ব আদায়ে ও অভ্যন্তরীণ ব্যবসা-বাণিজ্যে বাংলা সাল তথা ফসলী সন বেশি ব্যবহার করা হতো।

বর্ষবরণের সাথে ধর্মীয় বিশ্বাস অনুভূতি যোগটা সে শুরু থেকেই ছিলো বা বর্ষবরণকারীরা ধর্মীয় বিশ্বাসের আলোকেই তা করতো। অথবা বর্ষবরণকে তাদের বিশেষ ধর্মীয় আচার বলে বিশ্বাস করতো। মজুসী বা অগ্নি উপাসকরা এখনো বর্ষবরণকে সরকারিভাবেও ব্যাপক জাঁকজমকভাবে পালন করে থাকে। একে তারা তাদের ধর্মীয় অনুষঙ্গ মনে করে এবং একে নওরোজ বা নতুন দিন বলে অভিহিত করে।

ফসলী সনের নববর্ষ হিন্দুদের খাছ ধর্মীয় উৎসবের দিন। এর আগের দিন তাদের চৈত্র সংক্রান্তি। আর পহেলা বৈশাখ হলো ঘট পূজার দিন।

✅ ইতিহাস পর্যালোচনায় শরিয়তের ফায়সালাঃ
হযরত ইমাম আবু হাফস কবীর রহমতুল্লাহি আলাইহি বলেন, নওরোজ বা নববর্ষ উপলক্ষে যদি কেউ একটা ডিমও দান করে তার ৫০ বৎসরের আমল থাকলে তা বরবাদ হয়ে যাবে। অর্থাৎ নওরোজ বা নববর্ষ পালনের কারণে তার জিন্দেগির সমস্ত আমল বরবাদ হয়ে যাবে।
আজকে অনেক মুসলমান থার্টি ফার্স্ট নাইট পালন করছে। ইংরেজি নববর্ষ, ফসলী সনের নববর্ষসহ বিভিন্ন নববর্ষ পালন করছে।

 আর এতে করে তারা বিজাতি ও বিধর্মীদের সাথেই মিল মিশ রাখছে। তাদেরই অনুসরণ অনুকরণ করছে।

কালামুল্লাহ শরীফ-এ ইরশাদ হয়েছে, “নিশ্চয়ই সমস্ত প্রাণীর মাঝে আল্লাহ পাক এর নিকট কাফিররাই নিকৃষ্ট, যারা ঈমান আনেনি।” (সূরা আনফাল : আয়াত শরীফ ৫৫) 

আর নববর্ষ পালনের দ্বারা সে কাফিরদেরই অনুসরণ-অনুকরণ করা হয়।

হাদীছ শরীফ-এ ইরশাদ হয়েছে, “হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে উমর রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু থেকে বর্ণিত। হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন, যে ব্যক্তি যে সম্প্রদায়ের সাথে মিল রাখে, সে তাদের দলভুক্ত এবং তার হাশর-নশর তাদের সাথেই হবে।” (সুনানে আহমদ, সুনানে আবূ দাউদ)

ইতিহাস এটাই প্রমাণ করে যে, সব নববর্ষের প্রবর্তকই বিধর্মীরা। তাই ইসলাম নববর্ষ পালনকে কখনোই স্বীকৃতি দেয় না।

যারা পালন করবে তারা কোন দিন ঈমানদার থাকবে না। তাই দয়া করে কোন মুসলমান এইসব দিবস পালন করবেন না। কারন আল্লাহ কে ভয় করুন। দুনিয়ার জীবন চিরস্থায়ী না। একদিন মরতে হবে।

সন্তানের ভবিষ্যতের সাথে সাথে নিজের পারলৌকিক জীবন নিয়ে ভাবুন

সন্তানের ভবিষ্যতের সাথে সাথে নিজের পারলৌকিক জীবন নিয়ে ভাবুন
মানুষ অনেক সময় নিজের জ্ঞান ও যুক্তিকে অগ্রাহ্য করে আবেগ দ্বারা চালিত হয়। যেমন নিজে না খেয়ে কষ্ট করে সঞ্চয় করে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য। এটা নেহায়েৎ বোকামি। খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি প্রত্যেক বান্দা-প্রাণীর রুজির ব্যবস্থা করেই পৃথিবীতে পাঠিয়েছেন। সুতরাং অন্য কারো রুজির জন্য নিজের ঘুম হারাম করাটা অনর্থক। বরং সঞ্চিত অর্থ মহান আল্লাহ পাক উনার রাস্তায় ব্যয় করলে তাহা বহুগুণে ইহকাল ও পরকালে পাওয়ার প্রতিশ্রুতি মহান রাব্বুল আলামীন তিনি ঘোষণা করেছেন। সুবহানাল্লাহ!

আমি পৃথিবী থেকে বিদায় নিলে আমার সন্তানদের কি হবে- অনেকে এমন চিন্তা করে বিচলিত হয়ে পড়েন। কোনো এক জ্ঞানী ব্যক্তি বলেন- আপনার সন্তান কিন্তু আপনার নয়। তারা আপনার মাধ্যমে এসেছে, আপনার থেকে আসে নাই। তাদের সকল ব্যবস্থার জন্য স্বয়ং খালিক্ব মালিক রব তিনিই যথেষ্ট।

আপনাকে আপনার সন্তানের শুধু লালন-পালনের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে; যখন সে শিশু এবং নিজে চলতে অক্ষম। সুতরাং সন্তানের চিন্তায় অধিক সময় ব্যয় না করে একটু নিজের ভবিষ্যতের চিন্তা করুন। এর বাইরে আপনার দুশ্চিন্তা শুধু বাড়াতে পারবেন- ব্যাস এতটুকুই। বুদ্ধির ব্যবহারই বুদ্ধিমানদের সঠিক কাজ।

সন্তানের ভবিষ্যতের সাথে সাথে নিজের পারলৌকিক জীবন নিয়ে ভাবুন

সন্তানের ভবিষ্যতের সাথে সাথে নিজের পারলৌকিক জীবন নিয়ে ভাবুন
মানুষ অনেক সময় নিজের জ্ঞান ও যুক্তিকে অগ্রাহ্য করে আবেগ দ্বারা চালিত হয়। যেমন নিজে না খেয়ে কষ্ট করে সঞ্চয় করে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য। এটা নেহায়েৎ বোকামি। খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি প্রত্যেক বান্দা-প্রাণীর রুজির ব্যবস্থা করেই পৃথিবীতে পাঠিয়েছেন। সুতরাং অন্য কারো রুজির জন্য নিজের ঘুম হারাম করাটা অনর্থক। বরং সঞ্চিত অর্থ মহান আল্লাহ পাক উনার রাস্তায় ব্যয় করলে তাহা বহুগুণে ইহকাল ও পরকালে পাওয়ার প্রতিশ্রুতি মহান রাব্বুল আলামীন তিনি ঘোষণা করেছেন। সুবহানাল্লাহ!

আমি পৃথিবী থেকে বিদায় নিলে আমার সন্তানদের কি হবে- অনেকে এমন চিন্তা করে বিচলিত হয়ে পড়েন। কোনো এক জ্ঞানী ব্যক্তি বলেন- আপনার সন্তান কিন্তু আপনার নয়। তারা আপনার মাধ্যমে এসেছে, আপনার থেকে আসে নাই। তাদের সকল ব্যবস্থার জন্য স্বয়ং খালিক্ব মালিক রব তিনিই যথেষ্ট।

আপনাকে আপনার সন্তানের শুধু লালন-পালনের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে; যখন সে শিশু এবং নিজে চলতে অক্ষম। সুতরাং সন্তানের চিন্তায় অধিক সময় ব্যয় না করে একটু নিজের ভবিষ্যতের চিন্তা করুন। এর বাইরে আপনার দুশ্চিন্তা শুধু বাড়াতে পারবেন- ব্যাস এতটুকুই। বুদ্ধির ব্যবহারই বুদ্ধিমানদের সঠিক কাজ।

যে শব্দগুলো মুসলমানদের ব্যবহার করা উচিত নয়

যে শব্দগুলো মুসলমানদের ব্যবহার করা উচিত নয়
শব্দ ব্যবহারের কুচিন্তায় যোগসাধনের ষড়যন্ত্র ইহুদী খৃস্টানদের ঐতিহ্যগত প্রবৃত্তি। স্বয়ং হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সময়ও ইহুদী খৃস্টানদের এরূপ ষড়যন্ত্রের জাল বিস্তার ছিল। কুরআন শরীফ-এ ইরশাদ হয়েছে, “হে ঈমানদারগণ! তোমরা রঈনা বলো না উনজুরনা বলো এবং শ্রবণ কর (বা শুনতে থাক) আর কাফিরদের জন্য রয়েছে কঠিন শাস্তি।” (সূরা বাক্বারা : আয়াত শরীফ ১০৪)

আয়াতের শানে নযুলে বলা হয়েছে, রসূলে পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে কষ্ট দেবার জন্য ইহুদীরা ‘রঈনা’ শব্দ ব্যবহার করত, যার একাধিক অর্থ। একটি অর্থ হল ‘আমাদের দিকে লক্ষ্য করুন’ যা ভালো অর্থে ব্যবহার হয় আর খারাপ অর্থ হলো ‘হে মূর্খ, হে মেষ শাবক’ এবং হিব্রু ভাষায় একটি বদদোয়া। হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে ইহুদীরা রঈনা বলে সম্বোধন করত। যাতে প্রকৃতপক্ষে তাদের উদ্দেশ্য ছিল খারাপ অর্থের প্রতি ইঙ্গিত করা। আর হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুমগণ ‘রঈনা’ শব্দের ভালো অর্থের প্রতি ইঙ্গিত করে হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে সম্বোধন করলে ইহুদীরা খারাপ অর্থ চিন্তা করে হাসাহাসি করত। এতে হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি কষ্ট পেতেন তবুও কিছু বলতেন না। কেননা আল্লাহ পাক উনার রসূল হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ওহী ছাড়া কোনো কথা বলতেন না। যেমন কুরআন শরীফ-এ ইরশাদ হয়েছে, “তিনি (হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ওহী ব্যতীত নিজের থেকে মনগড়া কোনো কথা বলেন না”। (সূরা নজম : আয়াত শরীফ ৩, ৪)

এর ফলশ্রুতিতে মহান আল্লাহু পাক তিনি কুরআন শরীফ-এর আয়াত শরীফ নাযিল করে ‘রঈনা’ শব্দের বদলে ‘উনজুরনা’ শব্দ ব্যবহার করতে বললেন। কারণ ‘রঈনা’ শব্দ ভালো-খারাপ উভয় অর্থে ব্যবহার হলেও ‘উনজুরনা’ শব্দ শুধুমাত্র ভালো অর্থে ব্যবহার হয়। তাই যে সকল শব্দের ভালো-খারাপ উভয় অর্থে ব্যবহার হয়, সে সকল শব্দের পরিবর্তে উপরোক্ত আয়াত মুতাবিক ওটার সমার্থক অর্থবোধক শব্দ ব্যবহার করতে হবে, যা শুধুমাত্র ভালো অর্থেই ব্যবহার হয়।

১. God : প্রায় সকল বইতে “আল্লাহ পাক” শব্দটিকে ইংরেজিতে লিখার সময় প্রতিশব্দ হিসেবে God লিখে থাকে। কিন্তু এই শব্দটি মোটেও ব্যবহার করা উচিত নয় কারণ God শব্দটির স্ত্রী বাচক শব্দ Goddess আছে। অপরপক্ষে মহান আল্লাহ পাক তিনি হচ্ছেন সমাদ বা বেনীয়াজ অর্থাৎ তিনি সমস্ত কিছু থেকে পবিত্র। তাই মহান আল্লাহ পাক ইংরেজিতে লিখার সময় (সকল অক্ষর বড় হরফে) ALLAH PAK লিখতে হবে। প্রসঙ্গত উল্লেখ যে, মহান আল্লাহ পাক ইংরেজিতে লিখার সময় pronoun বা সর্বনাম হিসেবে ঐঊ লিখা যাবে না, যা দ্বারা মুলত পুরুষ বাচক শব্দ বুঝানো হয়। তাই প্রত্যেকের উচিত সকল বাক্যে ALLAH PAKÓ শব্দটি ব্যবহার করা।

২. Prophet : প্রায়ইশ দেখা যায়, “নবী” শব্দটির প্রতিশব্দ হিসেবে হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নাম মুবারকের পূর্বে Prophet শব্দ ব্যবহার করে থাকে; যা স্পষ্টতঃ উনাকে ইহানতে শামিল। কারণ Prophet শব্দটি ধর্মীয় শব্দ ছাড়াও অর্থনীতিতে ও সমাজ বিজ্ঞানে ব্যবহার করা হয়। যেমন, অর্থনৈতিক বিশ্লেষণে ব্যক্তিগত সাফল্যের ক্ষেত্রে prophet of greed শব্দটি ব্যবহার করা হয়। আবার সমাজ বিজ্ঞানে  সঙ্কট সংশ্লিষ্ট বিষয়ে Òprophets of doom শব্দটি ব্যবহার করে। তাই মহান আল্লাহ পাক উনার পরে যাঁর মুবারক স্থান, উনার নাম মুবারকের পূর্বে Prophet শব্দটি কখনোই ব্যবহার করা উচিত নয়। তার পরিবর্তে উনার লক্বব মুবারক ব্যবহার করা উচিত।

৩. Messenger : হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে রসূল বুঝাতে ইংরেজিতে Messenger শব্দটি ব্যবহার করা হয়। কিন্তু Messenger শব্দটি দ্বারা কেবল “বার্তা বাহক” বুঝানো হয় যা কখনই রসূল” শব্দটির সমার্থক শব্দ নয়। তাই হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকেসহ সকল রসূল আলাইহিমুস সালাম উনারদের ক্ষেত্রে ইংরেজিতে Rasul শব্দ মুবারকটি ব্যবহার করতে হবে।
৪. Mohhamaden: অনেকে মুসলমান শব্দটির প্রতিশব্দ হিসেবে Mohhamaden ব্যবহার করে থাকে। কিন্তু  শব্দটি দ্বারা মূলত মুসলমানদেরকে তাচ্ছিল্য অর্থে বুঝানো হয়ে থাকে। তাই শব্দটি পরিহার করে ÒMuslimÓ শব্দটি ব্যবহার করা উচিত।

৫. রাম : আমরা বড় কিছু বুঝাতে অনেক শব্দের সাথে “রাম” শব্দটি যুক্ত করে বলে থাকে। যেমন- রামদা, রামছাগল ইত্যাদি। কিন্তু “রাম” শব্দটি দ্বারা মুলত যবন, ম্লেচ্ছ, অস্পৃশ্য হিন্দুদের দেবতাকে বুঝানো হয়ে থাকে। তাই “রাম” শব্দটি পরিহার করে “বড়” শব্দ ব্যবহার করা উচিত। যেমন- বড় দা, বড় ছাগল ইত্যাদি।

৬. লক্ষ্মী : আমরা প্রায়শ ভালো কিছু বুঝাতে “লক্ষ্মী” শব্দটি ব্যবহার করি। যেমন- ভাগ্য লক্ষ্মী কিংবা ঘরের লক্ষ্মী। কিন্তু “লক্ষ্মী” শব্দটি দ্বারা মুলত যবন, ম্লেচ্ছ, অস্পৃশ্য হিন্দুদের দেবীকে বুঝানো হয়। তাই “লক্ষ্মী” শব্দটি পরিহার করা উচিত।

৭. জল : “পানি” শব্দের প্রতিশব্দ হিসেবে আমরা “জল” শব্দটি ব্যবহার করে থাকি। যেমন- অশ্রু জল, জল দাগী ইট, জিভে জল আসে ইত্যাদি কিন্তু এই শব্দটি যবন, ম্লেচ্ছ, অস্পৃশ্য হিন্দুদের জন্য খাছ শব্দ। তাই এই শব্দটি পরিহার করে “পানি” শব্দটি ব্যবহার করা উচিত। যেমন- চোখের পানি, পানি দাগী ইট, জিভে পানি আসে ইত্যাদি।

৮. হরিলুট : বড় ধরনের লুটপাট বুঝাতে “হরিলুট” শব্দটি ব্যবহার করা হয়। কিন্তু এই শব্দের হরি অংশটি মুলত হিন্দুদের সাথে সংশ্লিষ্ট। তাই “হরিলুট” শব্দ পরিহার করা উচিত। 

৯. কালিজিরা : অনেকে কালোজিরাকে কালিজিরা বলে থাকে। যবন, ম্লেচ্ছ, অস্পৃশ্য হিন্দুদের দেবী কালি কালো বলে তাকে কালি বলা হতো। (যদিও সব কাল্পনিক) তাই কালি জিরা না বলে কালো জিরা বলা উচিত।

১০. Sufism: Sufism অর্থাৎ সূফীবাদ শব্দটি একটি ভুল শব্দ কারণ ঝঁভর শব্দের সাথে ইংরেজি ism প্রত্যয় যুক্ত আছে। আর ism অর্থ হলো মতবাদ অর্থাৎ মানব সৃষ্ট ধারণা। কিন্তু সূফী তথা তাসাউফ সম্পর্কিত ধারণা সম্পূর্ণরূপে রূহানী সংশ্লিষ্ট। তাই Sufism শব্দটি পরিহার করে বাতেনী জ্ঞান কিংবা তাসাউফ চর্চা ব্যবহার করা যেতে পারে।

বিধর্মীরা মুসলমানদের খাদিম...

বিধর্মীরা মুসলমানদের খাদিম...
বিধর্মীদের আবিষ্কৃত তৈরিকৃত যন্ত্রপাতি, আসবাব ইত্যাদি ব্যবহার নিয়ে অনেকেই মুসলমানদের মাঝে বিভ্রান্তি ছড়িয়ে থাকে। মহান আল্লাহ পাক তিনি ও নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনারা যেহেতু মুসলমানদের জন্য কাফির-মুশরিক তথা তাবৎ বিধর্মী অমুসলিমদের সাথে কোনো প্রকার মিল-মুহব্বত এবং তাদের তর্জ তরীক্বা, নিয়ম-নীতি নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছেন, তাহলে তাদের তৈরিকৃত বা উদ্ভাবিত আসবাব, যন্ত্রপাতি তথা কম্পিউটার, মোবাইলসহ অন্যান্য মেশিনারিজ ব্যবহার করার বিষয়ে অনেকেই সঠিক ও সুস্পষ্ট ফায়সালা করতে পারে না।
প্রথমত, এখানে যে বিষয়টি আমাদেরকে বুঝতে হবে, এ প্রসঙ্গে মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেন, “মহান আল্লাহ পাক তিনি তোমাদের (ফায়দার) জন্য দুনিয়ার সমস্ত কিছু সৃষ্টি করেছেন।” (পবিত্র সূরা বাক্বারাহ শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ-২৯)
এবং পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে উল্লেখ আছে- “নিশ্চয়ই দুনিয়া তোমাদের (খিদমতের) জন্য তৈরি করা হয়েছে আর তোমরা সৃষ্টি হয়েছে পরকাল মহান আল্লাহ পাক উনার জন্য।”
কাজেই সকল কাফিররা হলো মুসলমানদের খাদিম। তারা অনেক কিছু তৈরি করবে, আবিষ্কার করেছে এবং করবে। কিন্তু মুসলমানদেরকে যাচাই করতে হবে, দেখতে হবে পবিত্র কুরআন শরীফ, পবিত্র হাদীছ শরীফ, পবিত্র ইজমা ও ক্বিয়াস দিয়ে পরখ করে নিতে হবে- কাফিরদের ওই সকল খিদমতের কোনটা সম্মানিত ইসলামী শরীয়ত উনার খিলাফ, আর কোনটা খিলাফ নয়। তখন মুসলমানগণ যেটা শরীয়তসম্মত দেখবেন সেটা ইচ্ছা করলে গ্রহণ করলেও করতে পারেন। আর সম্মানিত ইসলামী শরীয়ত উনার খিলাফ হলে অবশ্যই অবশ্যই তা বর্জন করবেন। উল্লেখ্য, কোনো মুসলমানও যদি সম্মানিত শরীয়ত উনার খিলাফ কিছু আবিষ্কার করে তবে সেটাও গ্রহণযোগ্য নয়। কারণ মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেছেন, “তোমরা নেকী এবং পরহেযগারীর মধ্যে পরস্পর পরস্পরকে সাহায্য করো। পাপ এবং শত্রুতার মধ্যে পরস্পর পরস্পরকে সাহায্য করোনা।” (পবিত্র সূরা মায়িদা শরীফ: আয়াত শরীফ-২)
তবে মনে রাখতে হবে অমুসলিম, বিধর্মীদের আবিষ্কৃত জিনিস, দ্রব্যাদি, আসবাব ইত্যাদি ব্যবহার করার ক্ষেত্রে এই ফায়সালা হলেও তাদের যে কোন বিশেষ আমল, নিয়ম-নীতি অনুসরণ-অনুকরণ স্পষ্টতঃই সম্মানিত শরীয়তে নিষিদ্ধ ও হারাম। পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মাঝে ইরশাদ মুবারক হয়েছে- “যে যার সাথে মিল রাখে সে তাদের অর্ন্তভুক্ত।” অতএব মুসলমানদেরকে আল্লাহওয়ালাগণ উনাদের সাথেই মিল-মুহব্বত রাখতে হবে, আর কাফির অমুসলিমদের অনুসরণ-অনুকরণ থেকে বেঁচে থাকতে হবে।

নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনিই সর্বপ্রথম সৃষ্টি বা সকল সৃষ্টির মূল। সুবহানাল্লাহ!

নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনিই সর্বপ্রথম সৃষ্টি বা সকল সৃষ্টির মূল। সুবহানাল্লাহ!
অর্থাৎ নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সৃষ্টি না হলে কোনো কিছুই সৃষ্টি হতো না, এমনকি মহান আল্লাহ পাক উনার আযীমুশ্ শান রুবুবিয়্যাত মুবারকও প্রকাশ পেত না। সুবহানাল্লাহ!
যা উনার সীমাহীন ও বেমেছাল ফযীলত মুবারক। সুবহানাল্লাহ!

- ক্বওল শরীফ: সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুল উমাম আলাইহিস সালাম


যামানার লক্ষ্যস্থল ওলীআল্লাহ, যামানার ইমাম ও মুজতাহিদ, ইমামুল আইম্মাহ, মুহ্ইউস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, মুজাদ্দিদে আ’যম, ক্বইয়ূমুয যামান, জাব্বারিউল আউওয়াল, ক্বউইয়্যূল আউওয়াল, সুলত্বানুন নাছীর, হাবীবুল্লাহ, জামিউল আলক্বাব, আওলাদে রসূল, মাওলানা সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুল উমাম আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, মহান আল্লাহ পাক তিনি ‘পবিত্র সূরা মায়িদা শরীফ’ উনার ১৫ নম্বর পবিত্র আয়াত শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেন, “মহান আল্লাহ তায়ালা উনার তরফ থেকে তোমাদের প্রতি এক মহান নূর মুবারক এসেছেন ও প্রকাশ্য কিতাব মুবারক এসেছেন।” সুবহানাল্লাহ! আর পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে, হযরত আবু হুরায়রা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন- সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “আমিই সর্বপ্রথম নবী হিসেবে সৃষ্টি হয়েছি। তবে প্রকাশিত হয়েছি সকল হযরত নবী আলাইহিমুস সালাম উনাদের শেষে।” সুবহানাল্লাহ!

মুজাদ্দিদে আ’যম, সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুল উমাম আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকেই মহান আল্লাহ পাক তিনি সর্বপ্রথম সৃষ্টি করেন। অর্থাৎ যখন মহান আল্লাহ পাক তিনি ব্যতীত আর কেউ বা কিছুই ছিল না, তখনই মহান আল্লাহ পাক তিনি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে সৃষ্টি করেন। যেমন পবিত্র হাদীছে কুদসী শরীফ উনার মধ্যে মহান আল্লাহ পাক রব্বুল আলামীন তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “আমি গুপ্ত ছিলাম। যখন আমার মুহব্বত হলো যে, আমি প্রকাশিত হই, তখনই আমি প্রকাশ হওয়ার জন্য সৃষ্টি করলাম আমার রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে।” সুবহানাল্লাহ!

মুজাদ্দিদে আ’যম, সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুল উমাম আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে আরো ইরশাদ মুবারক হয়েছে- নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “মহান আল্লাহ পাক তিনি সর্বপ্রথম আমার নূর মুবারক সৃষ্টি করেন এবং সেই নূর মুবারক থেকেই সমস্ত কায়িনাত সৃষ্টি করেন।” সুবহানাল্লাহ! 

মুজাদ্দিদে আ’যম, সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুল উমাম আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে আরো ইরশাদ মুবারক হয়েছে, হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে উমর রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুমা উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “মহান আল্লাহ পাক তিনি প্রথমে কলম মুবারক সৃষ্টি করেন একখানা ‘নূর মুবারক’ হতে।” সুবহানাল্লাহ!

মুজাদ্দিদে আ’যম, সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুল উমাম আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, বর্ণিত পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে উল্লিখিত ‘পবিত্র নূর মুবারকই’ হচ্ছেন- ‘নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি’। সুবহানাল্লাহ! যা আসমান-যমীন, চন্দ্র-সূর্য, গ্রহ-নক্ষত্র, লাওহে মাহফুয, জান্নাত-জাহান্নাম ও কলম- এক কথায় সমস্ত কায়িনাত সৃষ্টির পূর্বেই মহান আল্লাহ পাক তিনি সৃষ্টি করেন। তাই উনিই হচ্ছেন সকল সৃষ্টির মূল বা উৎস। সুবহানাল্লাহ!

মুজাদ্দিদে আ’যম, সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুল উমাম আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, মূলকথা হলো- নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনিই সর্বপ্রথম সৃষ্টি বা সকল সৃষ্টির মূল। সুবহানাল্লাহ! অর্থাৎ নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সৃষ্টি না হলে কোনো কিছুই সৃষ্টি হতো না, এমনকি মহান আল্লাহ পাক উনার আযীমুশ শান রুবুবিয়্যাত মুবারকও প্রকাশ পেত না। যা উনার সীমাহীন ও বেমেছাল ফযীলত মুবারক। সুবহানাল্লাহ!

নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, ‘যে ব্যক্তি যে সম্প্রদায়ের সাথে মিল রাখবে; সে ব্যক্তি সে সম্প্রদায়ের অন্তর্ভুক্ত বলে গণ্য হবে।’

নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, ‘যে ব্যক্তি যে সম্প্রদায়ের সাথে মিল রাখবে; সে ব্যক্তি সে সম্প্রদায়ের অন্তর্ভুক্ত বলে গণ্য হবে।’

তাই সকল মুসলমান পুরুষ ও মহিলাদের জন্য ফরয হচ্ছে- ইহুদী-মুশরিক, হিন্দু-বৌদ্ধ, মজুসী-নাছারা, বেদ্বীন-বদদ্বীনদের তথা বিধর্মী কাফিরদের নিয়ম-নীতি, তর্জ-তরীক্বা ও দিবস যেমন- পহেলা জানুয়ারী বা থার্টিফার্স্ট নাইট, চৈত্রসংক্রান্তি, পহেলা বৈশাখে বৈশাখীপূজাসহ অন্যান্য পূজা, ভেলেন্টাইন ডে, পহেলা এপ্রিল, পহেলা মে ইত্যাদি দিবসগুলি পালন করা থেকে বিরত থাকা। নচেৎ ইহুদী-মুশরিক, বৌদ্ধ, মজুসী-নাছারা, বেদ্বীন-বদদ্বীনদের তথা বিধর্মী কাফিরদের ন্যায় জাহান্নামী হওয়া ব্যতীত কোনোই গত্যন্তর থাকবে না।

- ক্বওল শরীফ: সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুল উমাম আলাইহিস সালাম


যামানার লক্ষ্যস্থল ওলীআল্লাহ, যামানার ইমাম ও মুজতাহিদ, ইমামুল আইম্মাহ, মুহ্ইউস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, মুজাদ্দিদে আ’যম, ক্বইয়ূমুয যামান, জাব্বারিউল আউওয়াল, ক্বউইয়্যূল আউওয়াল, সুলত্বানুন নাছীর, হাবীবুল্লাহ, জামিউল আলক্বাব, আওলাদে রসূল, মাওলানা সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুল উমাম আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “তোমাদের মধ্যে যারা কাফির-মুশরিক তথা বিধর্মীদের সাথে মিল-মুহব্বত রাখবে, তারা সেই সমস্ত কাফির-মুশরিক তথা বিধর্মীদের অন্তর্ভুক্ত হবে।” নাউযুবিল্লাহ! আর পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে, হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে উমর রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “যে ব্যক্তি যে সম্প্রদায়ের সাথে মিল রাখে সে তাদের দলভুক্ত এবং তার হাশর-নশর তাদের সাথেই হবে।” নাউযুবিল্লাহ!

মুজাদ্দিদে আ’যম, সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুল উমাম আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, এ প্রসঙ্গে হিন্দুস্তানের একটি ঘটনা বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। “হিন্দুস্তানে একজন জবরদস্ত ওলীআল্লাহ ছিলেন। যিনি ইন্তিকালের পর অন্য একজন বুযূর্গ ব্যক্তি উনাকে স্বপ্নে দেখে জিজ্ঞেস করেন, আপনি কেমন আছেন? তখন সেই ওলীআল্লাহ তিনি জাওয়াবে বললেন, আপাতত আমি ভালোই আছি; কিন্তু আমার উপর দিয়ে এক কঠিন সময় অতিবাহিত হয়েছে, যা বলার অপেক্ষা রাখে না। তখন স্বপ্নদ্রষ্টা ব্যক্তি জিজ্ঞাসা করলেন, আপনি কি আমাকে আপনার সেই কঠিন অবস্থা সম্পর্কে বলবেন? তিনি জবাব দিলেন, অবশ্যই বলবো। কারণ এতে যমীনবাসীদের জন্য শক্ত ইবরত ও নছীহত রয়েছে। এরপর তিনি বলা শুরু করলেন, আমার ইন্তিকালের পর আমাকে হযরত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনারা সরাসরি মহান আল্লাহ পাক উনার সম্মুখে পেশ করেন। মহান আল্লাহ পাক তিনি উনার হযরত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনাদের বললেন, হে হযরত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম! তোমরা কেন তাকে এখানে নিয়ে এসেছো? হযরত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনারা বললেন, আয় আল্লাহ পাক!  আমরা উনাকে আপনার খাছ বান্দা হিসেবে আপনার সাথে সাক্ষাৎ করার জন্য নিয়ে এসেছি। তখন মহান আল্লাহ পাক তিনি বললেন, তার হাশর-নশর তো হিন্দুদের সাথে হওয়ার কথা। বিছালপ্রাপ্ত ওলীআল্লাহ তিনি বলেন, একথা শুনে আমি ভয়ে থরথর করে কাঁপতে কাঁপতে বললাম, আয় বারে ইলাহী! আমার হাশর-নশর হিন্দুদের সাথে হবে কেন? আমি তো মুসলমান ছিলাম। মহান আল্লাহ পাক তিনি বললেন, যেহেতু আপনি পূজা করেছেন তাই আপনার হাশর-নশর হিন্দুদের সাথেই হবে। আমি বললাম, আয় আল্লাহ পাক, আপনার কসম! পূজা করা তো দূরের কথা আমি জীবনে কোনো দিন মন্দিরের আশপাশ দিয়েও হাঁটিনি। তখন মহান আল্লাহ পাক তিনি বললেন, আপনি সেদিনের কথা স্মরণ করুন, যেদিন হিন্দুস্তানে হোলিপূজা হচ্ছিলো। আপনি রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিলেন। আপনার সামনে-পিছনে, ডানে-বামে, উপরে-নিচে, আশে-পাশে সমস্ত গাছপালা, পশুপাখি, কীট-পতঙ্গ, বাড়ি-ঘর, সবকিছুতেই রঙ দেয়া হয়েছিলো। এমতাবস্থায় আপনার সামনে দিয়ে একটি গর্দভ (গাধা) হেঁটে যাচ্ছিলো যাকে রঙ দেয়া হয়নি। তখন আপনি পান চিবাচ্ছিলেন, আপনি সেই গর্দভের গায়ে এক চিপটি পানের রঙিন রস নিক্ষেপ করে বলেছিলেন, হে গর্দভ! তোমাকে তো এই হোলিপূজার দিনে কেউ রঙ দেয়নি তাই আমি তোমাকে রঙ দিয়ে দিলাম। এতে কি আপনার পূজা করা হয়নি? আপনি কি জানেন না যে, আমার রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বলেছেন, যে ব্যক্তি যে সম্প্রদায়ের সাথে মিল রাখবে, সে তাদের অন্তর্ভুক্ত এবং তার হাশর-নশর তাদের সাথে হবে। সুতরাং আপনার হাশর-নশর হিন্দুদের সাথে হওয়ারই কথা। এটা শুনে বিছালপ্রাপ্ত ওলীআল্লাহ তিনি মহান আল্লাহ পাক উনার নিকট অনেক কান্না-কাটি, রোনাজারি করে বললেন, বারে ইলাহী! আমি বিষয়টি বুঝতে পারিনি। কেউ আমাকে বিষয়টি বুঝায়েও দেয়নি। আর এ বিষয়ে আমার অন্তরও সাড়া দেয়নি। তাই আমি বিষয়টি বুঝতে পারিনি বারে ইলাহী। দয়া করে আমাকে ক্ষমা করে দিন। তখন মহান আল্লাহ পাক তিনি বললেন, ঠিক আছে, আপনার অন্যান্য আমলের কারণে আপনাকে ক্ষমা করা  হলো।” সুবহানাল্লাহ!

মুজাদ্দিদে আ’যম, সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুল উমাম আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, তিনি বলেন, এ ঘটনা থেকে সমস্ত মুসলমানদের নছীহত হাছিল করা উচিত যে- একজন বুযূর্গ ও ওলীআল্লাহ হওয়ার পরও তিনি মুশরিকদের হোলিপূজায় সরাসরি শরীক না হওয়া সত্ত্বেও শুধুমাত্র সাধারণভাবে পানের পিক দিয়ে একটা পশুকে রঙ দেয়ার কারণে যদি মৃত্যুর পর পূজারী হিসেবে কঠিন পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হয়, তাহলে যারা মুশরিক, বৌদ্ধ, মজুসী তথা কাফির, বেদ্বীন, বদদ্বীনদেরকে অনুসরণ করে, খ্রিস্টানদের ক্রিসমাস ডে পালন করবে, পহেলা জানুয়ারী বা থার্টিফার্স্ট নাইট পালন করবে, বৌদ্ধদের পূর্ণিমাপূজা পালন করবে, পহেলা বৈশাখে বৈশাখী পূজাসহ অন্যান্য পূজা পালন করবে তাহলে তাদের মৃত্যুর পর কি অবস্থা হবে- তা সত্যিই চিন্তার বিষয়।