প্রতিবেদক: পাঁচ বছরের কারাদ- ও তিন কোটি টাকা জরিমানার বিধান রেখে ‘সামুদ্রিক মৎস্য আইন-২০১৯’-এর খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। সোমবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিপরিষদ সভায় এই অনুমোদন দেওয়া হয়। পরে সচিবালয়ে এ বিষয়ে ব্রিফ করেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘সামুদ্রিক মৎস্য আইন-২০১৯, একটি অর্ডিনেন্স হিসেবে চালু ছিল ১৯৮২ সালের আগে। নতুন আইনে সমুদ্রে যে নৌযানগুলো মাছ ধরতে যাবে সেগুলোর আকারের বর্ণনা দেওয়া আছে। আইনে আরও বলা হয়- সমুদ্রে মৎস্য শিকারে গেলে লাইসেন্স নিতে হবে। দুই বছর পর পর লাইসেন্স নবায়ন করতে হবে। আইনের ধারা যদি কেউ লঙ্ঘন করে, তবে সর্বোচ্চ তিন কোটি টাকা জরিমানা ও পাঁচ বছরের জেলের বিধান রাখা হয়েছে।’
‘অবৈধ মৎস্য শিকার প্রতিরোধে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার বিধান রাখা হয়েছে আইনে। বিদেশি কোনও নৌযান বাংলাদেশের নৌসীমায় প্রবেশ করে মৎস্য শিকার করলে তাদের জন্যও একই শাস্তির বিধান রাখা হয়েছে। এই অপরাধের আগের শাস্তি ছিল এক লাখ টাকা জরিমানা ও তিনি মাসের কারাদ-।’
খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘মন্ত্রিপরিষদ সভায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয় আইন-২০১৯ এর খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এটি হবে কিশোরগঞ্জ জেলা শহরে। এই আইনে ৫৫টি ধারা রাখা হয়েছে। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর, ভাইস চ্যান্সেলর, ট্রেজারার, সিন্ডিকেট, সিনেট- এগুলোর নিয়োগ কীভাবে হবে তার বিধান রাখা হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘সভায় সুনামগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় আইন-২০১৯ এর খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এ আইনেও ৫৫টি ধারা রাখা হয়েছে। এতেও চ্যান্সেলর, ভাইস চ্যান্সেলর, ট্রেজারার, সিন্ডিকেট, সিনেট- এগুলোর নিয়োগ কীভাবে হবে তার বিধান রাখা হয়েছে।
‘বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (সংশোধন) আইন- ২০১৯ এর খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে আজকের বৈঠকে। এই আইনের ৩৪/৫ ধারা বলে কমিশন একটি অর্থবছরে যতবার চাইবে প্রজ্ঞাপন জারির মাধ্যমে ট্যারিফ পরিবর্তন করতে পারবে। বিদ্যমান আইনে এক অর্থবছরে একবারের বেশি ট্যারিফ পরিবর্তন করতে পরতো না-বলেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব।
তিনি জানান, বৈঠকে বাংলাদেশ ও দক্ষিণ আফ্রিকার মধ্যে স্বাক্ষরিত ‘এক্সজিবিশন অ্যান্ড মিউচুয়াল লিগ্যাল অ্যাসিসট্যান্স ইন ক্রিমিনাল ম্যাটার’ সংক্রান্ত দুটি চুক্তি স্বাক্ষরের অনুসমর্থনের প্রস্তাব অনুমোদন পেয়েছে। ‘বৈঠকে বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের আওতায় বাংলাদেশ ডেটা সেন্টার কোম্পানি লিমিটেড শীর্ষক কোম্পানি গঠনের প্রস্তাব করা হয়েছে। এই কোম্পানির মেমোরেনডাম অব অ্যাসোসিয়েশন অ্যান্ড আর্টিক্যালস অব অ্যাসোসিশন এর খসড়ার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘সভায় বাংলাদেশ কম্পিউটার কউন্সিলের আওতায় “স্ট্যাটআপ বাংলাদেশ লিমিটেড” শীর্ষক কোম্পানি গঠনের প্রস্তাব করা হয়েছে। এই কোম্পানিরও মেমোরেনডাম অব অ্যাসোসিয়েশন অ্যান্ড আর্টিক্যালস অব অ্যাসোসিশন এর খসড়ার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, “প্রটকল রিলেটিং টু বি মাদ্রিদ অ্যাগ্রিমেন্ট কনসার্নিং দ্য ইন্টারন্যাশনাল রেজিস্ট্রেশন অব মার্কস-১৯৮৯’ এ বাংলাদেশের অন্তর্ভুক্তির প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে আজকের বৈঠকে ৷