মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন,
وَذَكِّرْهُمْ بِاَيَّامِ اللهِ اِنَّ فِىْ ذٰلِكَ لَاٰيَاتٍ لِكُلِّ صَبَّارٍ شَكُورٍ.
অর্থ: “আর (আমার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!) আপনি তাদেরকে (সমস্ত জিন-ইনসান, তামাম কায়িনাতবাসীকে) আইয়্যামিল্লাহ তথা মহান আল্লাহ পাক উনার বিশেষ বিশেষ দিনগুলো সম্পর্কে স্মরণ করিয়ে দিন, জানিয়ে দিন। নিশ্চয়ই এই বিশেষ বিশেষ দিনগুলো উনাদের মধ্যে অবশ্যই প্রত্যেক শোকরগুজার ও ধৈর্যশীল বান্দা-বান্দীদের জন্য নির্দশন মুবারক রয়েছে। অর্থাৎ এই সম্মানিত বিশেষ বিশেষ দিনগুলো যদি বান্দা-বান্দী, উম্মত, কায়িনাতবাসী তা’যীম-তাকরীম ও মুহব্বতের সাথে পালন করতে পারে, তাহলে তারা এর মাধ্যম দিয়ে মহান আল্লাহ পাক উনার এবং উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের হাক্বীক্বী রেযামন্দি-সন্তুষ্টি মুবারক লাভ করতে পারবে, ইহকাল ও পরকালে হাক্বীক্বী কামিয়াবী হাছিল করতে পারবে।” সুবহানাল্লাহ! (সম্মানিত ও পবিত্র সূরা ইবরাহীম শরীফ : সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ ৫)
মুত্বহ্হার, মুত্বহ্হির, আছ ছমাদ, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “আর সেই মহাসম্মানিত আইয়্যামিল্লাহ তথা মহান আল্লাহ পাক উনার বিশেষ বিশেষ দিবসসমূহ উনাদের এক অনন্য বেমেছাল মহাসম্মানিত বরকতপূর্ণ ফযীলতপূর্ণ বিশেষ দিবস হচ্ছেন মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ২২শে জুমাদাল ঊলা শরীফ। সুবহানাল্লাহ! কেননা এই মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ২২শে জুমাদাল ঊলা শরীফেই সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ¦তামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার এবং আফদ্বলুন নাস ওয়ান নিসা বা’দা রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, সাইয়্যিদাতু নিসায়ি আহলিল জান্নাহ, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন আল ঊলা সাইয়্যিদাতুনা হযরত কুবরা আলাইহাস সালাম উনার অর্থাৎ উনাদের মহাপবিত্র মহাসম্মানিত রহমতপূর্ণ, বরকতপূর্ণ, সাকীনাপূর্ণ, ফযীলতপূর্ণ আযীমুশান নিসবতে আযীম শরীফ অনুষ্ঠিত হয়েছিলো। সেই বৎসর মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ২২শে জুমাদাল ঊলা শরীফ বার হিসেবে ইছনাইনিল আযীম শরীফ ছিলেন। সুবহানাল্লাহ! সুবহানাল্লাহ! সুবহানাল্লাহ! সেই দিন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন আল ঊলা সাইয়্যিদাতুনা হযরত কুবরা আলাইহাস সালাম তিনি অর্থাৎ উনারা এতো বেমেছাল খুশি মুবারক প্রকাশ করেছেন, যা কায়িনাতের মাঝে নযীর বিহীন। সুবহানাল্লাহ! শুধু তাই নয়, হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনারা, হযরত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনারা এবং সমস্ত কায়িনাত সকলে তো অবশ্যই; এমনকি সেই দিন স্বয়ং যিনি খ¦লিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনিও সম্মানিত খুশি মুবারক প্রকাশ করেছেন, মহাসম্মানিত ‘ফালইয়াফরহূ’ সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ পালন করেছেন। সুবহানাল্লাহ! আবার এই মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ২২শে জুমাদাল ঊলা শরীফেই মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিছালী শান মুবারক প্রকাশ করেছেন সাইয়্যিদু কুরাইশ, সাইয়্যিদুন নাস, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ইমামুছ ছাক্বালাইন, ইমামুল মুত্তাক্বীন, মালিকুল জান্নাহ সাইয়্যিদুনা হযরত জাদ্দু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সেই বৎসর মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ২২শে জুমাদাল ঊলা শরীফ বার হিসেবে ইছনাইনিল আযীম শরীফ ছিলেন। সুবহানাল্লাহ! শুধু তাই নয়, এই মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ২২শে জুমাদাল ঊলা শরীফ ইয়াওমুল আরবিয়াতে বিনতু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদুনা হযরত আন নূরুছ ছানিয়াহ আলাইহাস সালাম উনার মহাসম্মানিত আওলাদ, সিবতু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদু শাবাবি আহলিল জান্নাহ সাইয়্যিদুনা হযরত ইমাম ইবনে হযরত যুন নূরাইন আলাইহিমাস সালাম তিনিও মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিছালী শান মুবারক প্রকাশ করেন।” সুবহানাল্লাহ!
তাহলে এই মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ২২শে জুমাদাল ঊলা শরীফ কতো বেমেছাল রহমতপূর্ণ, বরকতপূর্ণ, নিয়ামতপূর্ণ, ফযীলতপূর্ণ তা সমস্ত জিন-ইনসান, তামাম কায়িনাতবাসীর চিন্তা ও কল্পনার ঊর্ধ্বে। সুবহানাল্লাহ!