খলীফাতুল্লাহ খলীফাতু রসূলিল্লাহ, ইমামুল আইম্মাহ, মুহইস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, সুলতানুল আরিফীন, মুজাদ্দিদে আ’যম, হাকিমুল হাদীস, আহলে বাইতে রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুল উমাম আলাইহিস সালাম উনার কতিপয় কারামাত মুবারক ও কামালত মুবারক (৪)

আমরা পূর্বেই উল্লেখ করেছি যে, কারামত মুবারকে বিষয়টি পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র হাদীছ শরীফ সম্মত। অর্থাৎ পবিত্র হাদীছ শরীফেও তার অনেক প্রমাণ রয়েছে।

লাঠি মুবারক থেকে আলো বিচ্ছুরিত হওয়া
লাঠি মুবারক থেকে আলো বিচ্ছুরিত হওয়া স্বাভাবিক বিষয় নয়। বিশিষ্ট ছাহাবী, খাদিমু রসূলিল্লাহ হযরত আনাছ ইবনে মালিক রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বর্ণনা করেন। হযরত উসাইদ ইবনে হুযাইর রদ্বিয়াল্লাহু আনহু এবং হযরত আব্বাস ইবনে বিশর রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনারা দুজনই বিশিষ্ট ছাহাবী। একদিন উনারা কোন এক বিশেষ প্রয়োজনে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার ছোহবত মুবারকে গেলেন। দীর্ঘ রাত পর্যন্ত নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে কথা-বার্তা বললেন। রাতটি ছিল ঘোর অন্ধকার। উনারা নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নিকট থেকে বাড়ীর উদ্দেশ্যে রওয়ানা হলেন। সে সময় উনাদের প্রত্যেকের হাতে ছোট একটি লাঠি মুবারক ছিল। পথে বের হওয়ার পর উনাদের একজনের লাঠি মুবারকটি বাতির ন্যায় আলো দিতে লাগলো। সুবহানাল্লাহ! আর উনারা সেই লাঠি মুবারকের আলোতে পথ চলতে থাকেন। তারপর কিছুদুর যাওয়ার পর উনাদের পথ যখন পৃথক পৃথক হলো তখন অপরজনের লাঠি মুবারকটিও আলোকিত হয়ে উঠলো। সুবহানাল্লাহ! অবশেষে উনারা প্রত্যেকে আপন আপন লাঠি মুবারকের আলোয় নিজেদের বাড়ীতে পৌঁছে গেলেন। সুবহানাল্লাহ! (বুখারী শরীফ, মুসলিম শরীফ)
এরূপ ঘটনা একটি-দুটি নয়। বরং হাজার হাজার ঘটনা পবিত্র হাদীছ শরীফে বর্ণিত রয়েছে। কাজেই কারামত মুবারককে অস্বীকার করা যে কুফরী তা ব্যাখ্যা করার প্রয়োজন নেই।
তবে ব্যক্তি বিশেষ তথা নির্দিষ্ট কোন ওলী আল্লাহ উনার নির্দিষ্ট কোন কারামত মুবারককে অস্বীকার করা কুফুরী না হলেও অবশ্যই গোমরাহী। ক্ষেত্র বিশেষে ইমান হারা হওয়ার কারণ। মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদের সবাইকে হিফাযত করুন। 

শেয়ার করুন
পূর্ববর্তী পোষ্ট
পরবর্তী পোষ্ট