সুওয়াল: বেশি লোককে যাকাত দেয়ার জন্য কম দামের খদ্দরের লুঙ্গি ও পাতলা শাড়ি কাপড় যাকাত হিসেবে দিলে যাকাত আদায় হবে কিনা?

সুওয়াল: বেশি লোককে যাকাত দেয়ার জন্য কম দামের খদ্দরের লুঙ্গি ও পাতলা শাড়ি কাপড় যাকাত হিসেবে দিলে যাকাত আদায় হবে কিনা?
জাওয়াব: কম দামের খদ্দরের লুঙ্গি ও পাতলা শাড়ি কাপড় যাকাত হিসেবে দিলে যাকাত কস্মিনকালেও আদায় হবে না। কারণ শরীয়ত তথা কুরআন ও সুন্নাহর ফতওয়া হলো যেটা সবচেয়ে ভালো, পছন্দনীয় ও মূল্যবান সেটাই দান করতে হবে। আর যেটা খারাপ, নিম্ন মানের ও নিম্ন মূল্যের সেটা দান করা যাবে না। অর্থাৎ যাকাত তথা দান-ছদকার বস্তু যেমন হালাল হওয়া শর্ত তেমনি তা উৎকৃষ্ট ও সবচেয়ে মূল্যবান হওয়াও শর্ত। অন্যথায় তা মহান আল্লাহ পাক উনার নিকট আদৌ কবুলযোগ্য নয়। মহান আল্লাহ পাক তিনি তা পরিষ্কার কালাম পাকে জানিয়ে দিয়েছেন। ইরশাদ হয়েছে-
لن تنالوا البر حتى تنفقوا مما تحبون. وما تنفقوا من شىء فان الله به عليم. অর্থ: তোমরা কখনই নেকী, কল্যাণ হাছিল করতে পারবে না, যে পর্যন্ত না তোমরা তোমাদের প্রিয় বা পছন্দনীয় বস্তু দান করবে। এবং তোমরা যা কিছু দান করো সে সম্পর্কে মহান আল্লাহ পাক অবশ্যই পূর্ণ খবর রাখেন। (সূরা আলে ইমরান : আয়াত শরীফ-৯২)
মহান আল্লাহ পাক তিনি আরো ইরশাদ করেন-
يايها الذين امنوا انفقوا من طيبت ما كسبتم ومما اخرجنا لكم من الارض ولا تيمموا الخبيث منه تنفقون ولستم باخذيه الا ان تغمضوا فيه واعلموا ان الله غزيز حميد.
অর্থ: “হে ঈমানদারগণ! তোমরা স্বীয় উপার্জন থেকে এবং আমি তোমাদের জন্য ভূমি থেকে যা উৎপন্ন করেছি তা থেকে উৎকৃষ্ট বস্তু ব্যয় করো এবং নিকৃষ্ট জিনিস ব্যয় করতে নিয়ত বা মনস্থ করো না। কেননা তোমরা তা অনিচ্ছাকৃত ব্যতীত গ্রহণ করবে না। জেনে রাখ, নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ পাক তিনি অভাবমুক্ত, প্রশংসিত।” (সূরা বাক্বারা: আয়াত শরীফ-২৬৭) এখানে সম্পদের যাকাত, ফিতরা ও জমির ফসলের উশর ইত্যাদি ফরয, ওয়াজিব, নফল সকল প্রকার দান-ছদক্বার কথাই বলা হয়েছে। অর্থাৎ যেটা উত্তম উৎকৃষ্ট, মূল্যবান সেটাই দিতে হবে। যেটা নিকৃষ্ট, নিম্ন মানের, নিম্ন মূল্যের সেটা দেয়া তো দূরের কথা সেটা দেয়ার কল্পনা বা চিন্তা করাও যাবে না। কেননা খারাপটা কেউই গ্রহণ করতে চায় না। তাহলে মহান আল্লাহ পাক তিনি সেটা কি করে গ্রহণ করবেন। এখন কেউ যদি চোখ বন্ধ করে নিজের খেয়াল খুশি মতো সেটা দিয়ে দেয় সেক্ষেত্রে মহান আল্লাহ পাক তিনি জানিয়েছেন দেখো, মহান আল্লাহ পাক তিনি তোমাদের এসব দানের মুখাপেক্ষী নন। তিনি গণী বা অভাবমুক্ত এবং হামীদ বা চরম প্রশংসিত। অতএব, যেটা সবচেয়ে ভালো, পছন্দনীয় ও মূল্যবান সেটাই যাকাত হিসেবে দান করতে হবে। অন্যথায় তা মহান আল্লাহ পাক উনার নিকট আদৌ কবুলযোগ্য হবে না। (সমূহ হাদীছ, তাফসীর ও ফিক্বাহর কিতাব দ্রষ্টব্য)

পরহেযগার ব্যক্তির ১০টি আলামত রয়েছে

পরহেযগার ব্যক্তির ১০টি আলামত রয়েছে


ইমাম হযরত আবু লাইস সমরখন্দী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, অরা’ বা পরহেযগারিতার মাকাম হাছিলকারী ব্যক্তিত্ব উনার ১০টি আলামত রয়েছে।

১. তিনি মহান আল্লাহ পাক উনার প্রদত্ত নিয়ামতরাজীর স্বীকৃতি প্রদান করেন। কেননা পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-

بلِ اللَّـهُ يَمُنُّ عَلَيْكُمْ أَنْ هَدَاكُمْ لِلْإِيمَانِ

অর্থ: “মহান আল্লাহ পাক তোমাদের প্রতি ইহসান করেছেন যে, তোমাদেরকে সম্মানিত ঈমান উনার প্রতি পথ প্রদর্শন করেছেন। (পবিত্র সূরা হুজুরাত শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ১৭)

২. তিনি পাঁচ ওযাক্ত নামায যথাযথভাবে আদায় করেন। কেননা পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-

حَافِظُوا عَلَى الصَّلَوَاتِ وَالصَّلَاةِ الْوُسْطَىٰ وَقُومُوا لِلَّـهِ قَانِتِينَ

অর্থ: “তোমরা পাঁচ ওয়াক্ত নামায সংরক্ষণ করো। বিশেষ করে মধ্যবর্তী নামাযের প্রতি যত্নশীল হও এবং মহান আল্লাহ পাক উনার সামনে বিনীত-বিনম্র হয়ে দাঁড়াও।” (পবিত্র সূরা বাক্বারা শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ২৩৮)

৩. তিনি সত্য কথা বলেন। কেননা পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-

واذا قلتم فاعدلوا

অর্থ: “যখন তোমরা কথা বলবে তখন তাতে সত্য ও ন্যায়-নীতি অবলম্বন করবে। (পবিত্র সূরা আনআম শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ১৫২)

৪. তিনি অন্যের প্রতি কু-ধারণা পোষণ করা থেকে বিরত থাকেন। কেননা মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-

اجْتَنِبُوا كَثِيرًا مِّنَ الظَّنِّ إِنَّ بَعْضَ الظَّنِّ إِثْمٌ

অর্থ: “তোমরা ধারণা পোষণ করা থেকে বিরত থাকো। কেননা কোন কোন ধারণা (কঠিন) গুণাহের কারণ। (পবিত্র সূরা হুজুরাত শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ১২)

৫. তিনি যবানকে গীবত থেকে মুক্ত রাখেন। কেননা, মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-

ولايَغْتَب بَّعْضُكُم بَعْضًا

অর্থ: “তোমারা এক জন অন্য জনের গীবত করিও না। (পবিত্র সূরা হুজুরাত শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ১২)

৬. কারো প্রতি ঠাট্টা-বিদ্রুপ করা থেকে তিনি বিরত থাকেন। কেননা, মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-

يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا لَا يَسْخَرْ قَوْمٌ مِّن قَوْمٍ عَسَىٰ أَن يَكُونُوا خَيْرًا مِّنْهُمْ

অর্থ: “মু’মিনগণ যেনো অন্য কাউকে উপহাস, ঠাট্টা-বিদ্রুপ না করে। কেননা, হতে পারে সে উপহাসকারী অপেক্ষা উত্তম। (পবিত্র সূরা হুজুরাত শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ১১)

৭. তিনি অহঙ্কার ও গৌরব করেন না। কেননা, মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন,

تِلْكَ الدَّارُ الْآخِرَةُ نَجْعَلُهَا لِلَّذِينَ لَا يُرِيدُونَ عُلُوًّا فِي الْأَرْضِ وَلَا فَسَادًا.

অর্থ: “ঐ বেহেশত তাঁদের জন্য তৈরী করেছি, যারা যমীনের বুকে অহঙ্কার এবং বিপর্যয় সৃষ্টি করে না।” (পবিত্র সূরা কাসাস শরীফ : পবিত্র আয়াত শরীফ ৮৩)

৮. তিনি হারাম জিনিস থেকে দৃষ্টি নিম্নগামী রাখেন। কেননা মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-

قُل لِّلْمُؤْمِنِينَ يَغُضُّوا مِنْ أَبْصَارِهِمْ

অর্থ: “হে হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আপনি মু’মিনদেরকে বলে দিন, তারা যেন তাদের দৃষ্টিকে নিম্নগামী করে”। (পবিত্র সূরা নূর শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ৩০)

৯. অরা’ উনার মাকাম হাছিলকারী ব্যক্তিত্ব তিনি স্বীয় সম্পদকে পাপ কাজে ব্যয় না করে সম্মানিত শরীয়ত অনুযায়ী ব্যয় করেন। কেননা ইরশাদ মুবারক হয়েছে-

وَالَّذِينَ إِذَا أَنفَقُوا لَمْ يُسْرِفُوا وَلَمْ يَقْتُرُوا

অর্থ: আর যখন তারা সম্পদ ব্যয় করেন তখন অপব্যয় করেন না, কৃপণতাও করেন না। (পবিত্র সূরা ফুরক্বান শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ৬৭)

১০. তিনি اهل السنة والجماعة উনার মতের উপর ইস্তিকামাত বা অটল থাকেন। পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-

وان هذا صراطى مستقيما فاتبعوه

অর্থ: “নিশ্চয়ই এটাই আমার সরল- সঠিক পথ। সুতরাং তোমরা এটাকে অনুসরণ করো।” (পবিত্র সূরা আনআম শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ১৫৩)

#12shareef
#Saiyidul_Aayaad_Shareef
#সাইয়্যিদুল_আইয়াদ_শরীফ

সুন্নতি সামগ্রী সংগ্রহ করুনঃ https://sunnat.info
সরাসরি আজিমুশ শান ৬৩দিনব্যাপী মাহফিল শুনতে ভিজিট করুনঃ http://al-hikmah.net/

🔷সন্তান লালন পালনে পিতা-মাতার প্রাথমিক করনীয়🔷

🔷সন্তান লালন পালনে পিতা-মাতার প্রাথমিক করনীয়🔷

পরহেযগার মুত্তাক্বী সন্তান সবারই কাম্য। 

সন্তানেরা নিষ্পাপ, মুত্তাক্বী হয়েই পৃথিবীতে জন্মগ্রহণ করে। কিন্তু পিতা-মাতা তাকে ইহুদী, নাছারা, মজুসী ইত্যাদি বাতিল আক্বীদা ও বদ খাছলতের সাথে যুক্ত করে। 

এ প্রসঙ্গে পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে, প্রত্যেক সন্তান ফিতরাতের উপর জন্ম গ্রহণ করে। অতঃপর তার পিতা-মাতা তাকে ইহুদী, নাছারাতে পরিণত করে। (মুসলিম শরীফ)। 

✅ সন্তান জন্মের পর নাড়ি কেটে গোসল করাতে হবে। যা সুন্নত মুবারক উনার অন্তর্ভুক্ত। 
✅তারপর ডান কানে আযান ও বাম কানে ইক্বামত দিতে হবে। শয়তান তার উপর যেন কোনো প্রভাব না ফেলতে পারে। 
✅তারপর কোনো বুযুর্গ বা আল্লাহওয়ালা উনাদের দ্বারা তাহনীক করাতে হবে মধু দিয়ে। উনার অবর্তমানে পিতা-মাতাকে করতে হবে। 
✅তারপর মায়ের দুধ খাওয়াতে হবে। 
✅সপ্তম দিনে আক্বীক্বা করতে হবে। 
✅সুন্দর অর্থবোধক নাম রাখতে হবে। 

✅বর্তমানে কিছু জাহিল মূর্খ ডাক্তার প্রচার করছে, সন্তান জন্মের পর গোসল করানো, মধু খাওয়ানো, মাথার চুল ফেলানো যাবে না। নাউযুবিল্লাহ! মূলত ইহুদী-নাছারারা ডাক্তারের মাধ্যমে এসব প্রচারণা চালাচ্ছে। কিছু অজ্ঞ মুসলমান তাদের ষড়যন্ত্রের ফাঁদে পড়ে কাঙ্খিত সন্তানকে পবিত্র সুন্নত মুবারক থেকে বঞ্চিত করে বিধর্মীদের গোলামে পরিণত করছে। নাউযুবিল্লাহ! 

এখন আমাদের উচিত বিধর্মীদের তর্জ-তরীক্বা মোতাবেক না চলে পবিত্র কুরআন শরীফ, পবিত্র হাদীছ শরীফ, পবিত্র ইজমা শরীফ ও পবিত্র ক্বিয়াস শরীফ মোতাবেক চলা। 

✅সুন্নতি সকল বিষয়ে জানতে কল করুনঃ
☎️+8801782 255 244

🌐নিয়মিত ভিজিট করুন: https://sunnat.info

৯৮ ভাগ মুসলমান অধ্যুষিত দেশে হিন্দুয়ানী পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে নয়, বরং ‘১২ই রবীউল আউওয়াল শরীফ উপলক্ষে বোনাস’ দিতে হবে।

৯৮ ভাগ মুসলমান অধ্যুষিত দেশে হিন্দুয়ানী পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে নয়, বরং ‘১২ই রবীউল আউওয়াল শরীফ উপলক্ষে বোনাস’ দিতে হবে।

৯৮ ভাগ মুসলমান অধ্যুষিত দেশে হিন্দুয়ানী পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে নয়, বরং ‘১২ই রবীউল আউওয়াল শরীফ উপলক্ষে বোনাস’ দিতে হবে। পহেলা বৈশাখ উৎসব উপলক্ষে মূল বেতনের ২০ শতাংশ বোনাস পাচ্ছেন সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা

এখানে স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন আসে- সারা বছরে এত উৎসব থাকার পরেও পহেলা বৈশাখে কেন এই বোনাস দেয়া হচ্ছে? বলা হচ্ছে, পহেলা বৈশাখ সার্বজনীন উৎসব। নাউযুবিল্লাহ! তাই সবার মাঝেই এই উৎসবের আমেজ ছড়িয়ে দিতেই এই বোনাস দেয়া হচ্ছে। নাউযুবিল্লাহ! বাদশাহ আকবর যেমন করে তার রাজত্ব টিকিয়ে রাখার জন্য পৃথক একটি ধর্ম চালু করেছিল। সেই ধর্মের নাম দিয়েছিল দ্বীন-ই-এলাহী। দেখা যাচ্ছে, বর্তমান সরকারও ক্ষমতায় থাকার জন্য কথিত সার্বজনীন উৎসবের নাম করে পহেলা বৈশাখে বোনাস দিচ্ছে। অথচ পহেলা বৈশাখে মুসলমানগণ উনাদের কোনো উৎসব নেই; বরং হিন্দু ও উপজাতিদের ১৪ রকম পূজা রয়েছে।
তাহলে এখানে পরিষ্কার করে দেখা যাচ্ছে যে, পহেলা বৈশাখে মুশরিকদের অনেক পূজা থাকলেও মুসলমানগণ উনাদের কোনো উৎসবই নেই। তাহলে কি করে এখানে মুসলমানদেরকে জড়ানো যেতে পারে? মূলত, কাফির-মুশরিকরা মুসলমানদেরকে ধোঁকা দিয়ে ঈমানহারা করার জন্যই মুসলমানদেরকে কাফির-মুশরিকদের বিভিন্ন উৎসবে যেতে উৎসাহিত করে। নাউযুবিল্লাহ! তাছাড়া মুসলমানগণ একটা ঘটনা ফিকির করলে সহজেই বুঝতে পারবে। ঘটনাটি হলো- এক এলাকায় এক বুজুর্গ ইন্তেকাল করলেন। কয়েকদিন পর তার এক বন্ধু স্বপ্নে উনাকে দেখে জিজ্ঞাসা করলেন, আপনি কেমন আছেন? তিনি তখন বললেন, আমি এখন ভালো আছি, তবে আমি এর আগে কঠিন পেরেশানিতে ছিলাম। তিনি বললেন, হযরত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালামগণ উনারা যখন আমাকে মহান আল্লাহ পাক উনার কাছে নিয়ে গেলেন, তখন মহান আল্লাহ পাক তিনি বললেন, তুমি তো পূজারী, তোমার জাহান্নামে যাওয়া উচিত। আমি তখন ভয়ে কাঁপতে লাগলাম। মহান আল্লাহ পাক তিনি বললেন, সেদিনের কথা কি তোমার মনে পড়ে না- যেদিন হিন্দুদের হোলিপূজা চলছিল আর তোমার পাশ দিয়ে একটি গাধা যাচ্ছিল, যার গায়ে কোনো রং ছিলো না। তুমি তখন পান খাচ্ছিলে। মুখ থেকে সেই পানের চিপটি গাধাকে লাগিয়ে বলেছিলে- তোমাকে তো কেউ রং লাগিয়ে দেয়নি, আমি লাগিয়ে দিলাম। এটা কি পূজা হয়নি? তখন আমি ভীষণ লজ্জিত হয়ে বললাম, হে বারে ইলাহী! আমার ভুল হয়ে গেছে। আমি বিষয়টা ফিকির করিনি। কেউ আমাকে বিষয়টা ধরিয়েও দেয়নি। আমাকে ক্ষমা করে দিন। মহান আল্লাহ পাক অন্যান্য নেক আমলের জন্য আমাকে ক্ষমা করে দিয়েছেন, তবে সেই ভুলের জন্য আমি এখনো খুবই লজ্জিত আছি।
তাহলে ফিকিরের বিষয়, হিন্দুদের পূজার সাথে মিল করার কারণে যদি মহান আল্লাহ পাক উনার কাছে কঠিন অবস্থার সম্মুখীন হতে হয়, তাহলে যারা সরাসরি মুশরিকদের পূজায় অংশগ্রহণ করবে তাদের কি অবস্থা হবে? কঠিন আযাব-গযবে মহান আল্লাহ পাক তাদের গ্রেফতার করবেন। তাই ৯৮ ভাগ মুসলমান অধ্যুষিত দেশে সবাই যেন বেশি বেশি করে খুশি প্রকাশ করে পবিত্র সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ পালন তথা হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিলাদত শরীফ উনার সম্মানার্থে খুশি মুবারক পালন করতে পারে সেজন্য ‘১২ই রবীউল আউওয়াল শরীফ উপলক্ষে বোনাস’ প্রদান করতে হবে- মুশরিকদের পহেলা বৈশাখে নয়!

#12shareef 
#Saiyidul_Aayaad_Shareef 
#সাইয়্যিদুল_আইয়াদ_শরীফ

অনেকে চোখ থাকতেও অন্ধ

অনেকে চোখ থাকতেও অন্ধ

 চোখ প্রাণীদের জন্য এক অমূল্য সম্পদ। চোখের সাহায্যে প্রাণীজগৎ চলমান। যার চোখ নাই সে বুঝে চোখের কি মূল্য। যেকোনো মূল্যেই সে চায় চোখ। অনেকে চোখ দ্বারা দেখেও পরিস্থিতি বুঝতে পারে না। সুতরাং সে দেখা না দেখারই নামান্তর। প্রাণীজগতে সবারই চোখ আছে তেমন না। যেমন কেঁচোর চোখ নাই বা উই পোকারও চোখ নাই। তাদের চোখের প্রয়োজনও হয় না। মাছির আছে সহস্র চোখ। কাছিম চোখ থেকে এক প্রকার রে (রশ্মি) দ্বারা দূর থেকে তার ডিমে তাপ দেয়। বাদুর সূর্যের আলো সহ্য করতে পারে না। তাই দিনের বেলা চলাফেরা করে না। রাতের আঁধারে শব্দ তরঙ্গ সৃষ্টি করে আঁধারে সে পথ চলে।
 মহান আল্লাহ পাক তিনি উনার সৃষ্টি রহস্যের কি কোনো শেষ আছে। মানুষের বাহ্যিক চোখ ছাড়াও রয়েছে গোপন চোখ। ঘুমন্ত মানুষ সেই চোখ দিয়ে স্বপ্ন দেখে। ওলীআল্লাহগণ উনাদের কাশফকেই বলা হয় অন্তঃচোখ। এই চোখ দিয়েই উনারা মহান আল্লাহ পাক উনার অপার মা’রিফাত দেখে থাকেন ও প্রকাশ করে থাকেন। রিয়াজত-মাশাক্কাত, ফায়েয-তাওয়াজ্জুহ দ্বারাই তা সম্ভব।

সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ পালন করা তথা নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উনার জন্য ‘ফালইয়াফরাহু’ তথা খুশি মুবারক প্রকাশ করা কেন এবং কিভাবে সর্বশ্রেষ্ঠ ইবাদত?

সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ পালন করা তথা নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উনার জন্য ‘ফালইয়াফরাহু’ তথা খুশি মুবারক প্রকাশ করা কেন এবং কিভাবে সর্বশ্রেষ্ঠ ইবাদত?

সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ পালন করা তথা নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উনার জন্য ‘ফালইয়াফরাহু’ তথা খুশি মুবারক প্রকাশ করা কেন এবং কিভাবে সর্বশ্রেষ্ঠ ইবাদত

যেমন মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-

وَمَا خَلَقْتُ الْـجِنَّ وَالْاِنْسَ اِلَّا لِيَعْبُدُوْنِ

অর্থ : “আমি জিন ও ইনসানকে একমাত্র আমার ইবাদত করার জন্য সৃষ্টি করেছি।” (পবিত্র সূরা যারিয়াত শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ- ৫৬)

এখন ইবাদত বা আমলের মধ্যে কোন ইবাদত বা আমল সর্বশ্রেষ্ঠ তা মহান আল্লাহ পাক তিনিই ভালো জানেন। এবং তা প্রকাশ করার লক্ষ্যে পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেন-

يَا اَيُّهَا النَّاسُ قَدْ جَاءَتْكُمْ مَّوْعِظَةٌ مّن رَّبّكُمْ وَشِفَاءٌ لّمَا فِي الصُّدُوْرِ وَهُدًى وَرَحْـمَةٌ لّلْمُؤْمِنِيْنَ ◌ قُلْ بِفَضْلِ اللهِ وَبِرَحْـمَتِهه فَبِذٰلِكَ فَلْيَفْرَحُوْا هُوَ خَيْرٌ مّـمَّا يَـجْمَعُوْنَ

অর্থ : “হে মানবজাতি! অবশ্যই মহান আল্লাহ পাক উনার পক্ষ থেকে তোমাদের মধ্যে তাশরীফ মুবারক এনেছেন মহান নছীহত মুবারক দানকারী, তোমাদের অন্তরের সকল ব্যাধিসমূহ শিফা মুবারক দানকারী, কুল-কায়িনাতের মহান হিদায়েত মুবারক দানকারী ও খাছভাবে ঈমানদারদের জন্য, আমভাবে সমস্ত কায়িনাতের জন্য মহান রহমত মুবারক দানকারী (নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)। হে আমার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আপনি উম্মাহকে বলে দিন, মহান আল্লাহ পাক তিনি সম্মানিত ফদ্বল বা অনুগ্রহ মুবারক ও সম্মানিত রহমত মুবারক হিসেবে উনার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে হাদিয়া মুবারক করেছেন; সেজন্য তারা যেনো সম্মানিত ঈদ উদযাপন তথা খুশি মুবারক প্রকাশ করে। এই খুশি মুবারক প্রকাশ বা ঈদ করাটা সেসব কিছু থেকে উত্তম, যা তারা দুনিয়া-আখিরাতের জন্য সঞ্চয় করে।” (পবিত্র সূরা ইঊনুস শরীফ : পবিত্র আয়াত শরীফ ৫৭-৫৮)

অর্থাৎ فَلْيَفْرَحُوْا ‘ফালইয়াফরাহু’ বা খুশি প্রকাশ করা হচ্ছে সর্বশ্রেষ্ঠ ইবাদত বা আমল। আর এই فَلْيَفْرَحُوْا ‘ফালইয়াফরাহু’ বা খুশি প্রকাশ করার বিষয়ে মহান আল্লাহ পাক তিনি বলেছেন,
هُوَ خَيْرٌ مِّمَّا يَجْمَعُونَ
অর্থাৎ “এই খুশি প্রকাশ করাটা হবে বান্দা-বান্দির জন্য সব কিছু থেকে উত্তম, যা তারা দুনিয়া ও আখিরাতের জন্য জমা করে রাখে।”

উপরোক্ত পবিত্র আয়াত শরীফ দ্বারা প্রমাণিত হল হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সল্লাম উনার জন্য “ফালইয়াফরাহু” তথা খুশী মুবারক প্রকাশ করা সর্বশ্রেষ্ঠ ইবাদত।

এছাড়াও সহীহ হাদীস শরীফ দ্বারা প্রমাণিত যে “হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে সৃষ্টি মুবারক না করলে মহান আল্লাহ পাক তিনি কিছুই সৃষ্টি মুবারক করতেন না”। (দালায়েলুন নাবায়িয়্যাহ, মুসতাদরাক আল হাকেম, আল মাদখাল, আল মাওয়াহেবুল লাদুনিয়্যাহ, শেফাউস সিকাম)
উনার অস্থিত্ব মুবারক উনার উছিলাতেই সমস্ত কিছু অস্থিত্ব মুবারক লাভ করেছে। আমরা অন্যান্য ইবাদত যেমন নামাজ, রোযা, হজ্জ, যাকাত সর্বোপরি সর্বশ্রেষ্ট এবং সর্বোত্তম আদর্শ মুবারক উনার মাধ্যম দিয়েই লাভ করেছি। শুধু আমরা না হযরত আদম আলাইহিস সালাম উনার থেকে শুরু করে সমস্ত হযরত নবী রসূল আলাইহিমুস সালাম এমনকি সৃষ্টির শুরু থেকে এই পর্যন্ত জিনারা যা কিছু লাভ করেছেন সমস্ত কিছুই উনার মাধ্যম দিয়েই লাভ করেছেন । এই বিষয়ে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সম্মানিত হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেন,
اِنَّـمَا اَنَا قَاسِمٌ وَاللهِ يُعْطِىْ
অর্থ: “নিশ্চয়ই আমি হচ্ছি বণ্টনকারী। আর যিনি খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি হচ্ছেন দাতা।” সুবহানাল্লাহ! (বুখারী শরীফ, মুসলিম শরীফ)

সুতরাং মহান আল্লাহ পাক উনার ফজল এবং রহমত মুবারক হিসেবে হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে যদি আমরা লাভ না করতাম তাহলে কোন নিয়ামতই আমরা লাভ করতে পারতাম না। সুতরাং উনার জন্য খুশি মুবারক প্রকাশ করাই হচ্ছে সমস্ত কিছু থেকে শ্রেষ্ট। এমন শ্রেষ্ট যে কুফরী শিরিকী ও এই আমল বিনষ্ট করতে পারে না।

হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উনার জন্য ‘ফালইয়াফরাহু’ তথা খুশি মুবারক প্রকাশ করাই যে সর্বশ্রেষ্ঠ ইবাদত এবং কুফরী ‍শিরিকী করলে দ্বারাও যে এই আমল বিনষ্ট হয় না তা কাট্টা কাফির আবু লাহাব কে দিয়েই মহান আল্লাহ পাক তিনি প্রকাশ করে দিয়েছেন। সে বিষয়টা হচ্ছে আবু লাহাব কাট্টা কাফির চিরজাহান্নমী হওয়ার পরেও, নবীজী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উনার আগমনের দিনে খুশি প্রকাশ করাই প্রতি সোমবার দিনে তাকে পানি পান করানো হয়। এই বিষয়ে পবিত্র বুখারী শরীফ উনার মধ্যে উল্লেখ রয়েছে,

قال حضرت عروة رضي الله عنه وثويبة مولاة لابي لهب كان ابو لهب اعتقها فارضعت النبي صلي الله عليه و سلم فلما مات ابو لهب اريه بعض اهله بشر حيبة قال له ماذا لقيت قال ابو لهب لم الق بعد كم غير اني سقيت في هذه بعتاقتي ثويبة

অর্থ : হযরত উরওয়া রদ্বিয়াল্লাহু আনহু তিনি বর্ননা করেন, হযরত সুয়াইবিয়া রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহা তিনি ছিলেন আবু লাহাবের বাঁদী এবং আবু লাহাব হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিলাদত(আগমন) শরীফে খুশি হয়ে উনার খিদমত করার জন্য ওই বাঁদীকে আযাদ করে দিয়েছিলো ! এরপর আখেরী রসূল, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে তিনি দুধ পান করান । অতঃপর আবু লাহাব যখন মারা গেলো (কিছুদিন পর) তার পরিবারের একজন অর্থাৎ তার ভাই হযরত আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি স্বপ্নে দেখলেন যে, আবু লাহাব সে ভিষন কষ্টের মধ্যে নিপতিত আছে! তিনি তাকে জিজ্ঞাসা করলেন, তোমার সাথে কিরূপ ব্যবহার করা হয়েছে ? আবু লাহাব উত্তরে বললো, যখন থেকে আপনাদের থেকে দূরে রয়েছি তখন থেকেই ভীষন কষ্টে আছি !
তবে হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিলাদত(আগমন) শরীফ উপলক্ষে খুশি প্রকাশ করে বাঁদী সুয়াইবা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহা উনাকে দু’আঙ্গুলের ইশারায় আযাদ/মুক্তি দেয়ার কারনে সেই দু’আঙ্গুল হতে সুমিষ্ট ঠান্ডা ও সুশীতল পানি পান করতে পারছি !””
( সহীহ বুখারী শরীফ – কিতাবুন নিকাহ- ২য় খন্ড ৭৬৪ পৃষ্ঠা )

বিখ্যাত মুহাদ্দিস, বুখারী শরীফের বিখ্যাত ব্যাখ্যাকার, হাফিজে হাদীস, হযরত ইবনে হাজার আসকালানী রহমাতুল্লাহি আলাইহি এবং বিখ্যাত মুহাদ্দিস, হাফিজে হাদীস, হযরত বদরুদ্দীন আইনী রহমাতুল্লাহি আলাইহি উনারা উনাদের বুখারী শরীফের শরাহতে উল্লেখ করেছেন-

وذكر السهيلي ان العباس قال لما مات ابو لهب رايته في منامي بعد حول في شر حال فقال ما لقيت بعد كم راحة الا ان العذاب يخفف عني في كل يوم اثنين وذلك ان النبي صلي الله عليه و سلم ولد يوم الاثنين وكانت ثويبة بشرت ابا لهب بمولده فاعتقها

অর্থ: হযরত ইমাম সুহাইলী রহমাতুল্লাহি আলাইহি তিনি উল্লেখ করেন যে, হযরত আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু আনহু তিনি বলেন, আবু লাহাবের মৃত্যুর এক বছর পর তাকে স্বপ্নে দেখি যে, সে অত্যন্ত দুরবস্থায় রয়েছে ! সে বললো, ( হে ভাই হযরত আব্বস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু) আপনাদের কাছ থেকে বিদায় নেয়ার পর আমি কোন শান্তির মুখ দেখি নাই।
তবে হ্যাঁ, প্রতি সোমবার শরীফ যখন আগমন করে তখন আমার থেকে সমস্ত আযাব লাঘব করা হয়, আমি শান্তিতে থাকি। হযরত আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বলেন,আবু লাহাবের এ আযাব লাঘব হয়ে শান্তিতে থাকার কারন হচ্ছে, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিলাদত (আগমন) শরীফ এর দিন ছিলো সোমবার শরীফ ! সেই সোমবার শরীফ এ হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিলাদত শরীফের সুসংবাদ নিয়ে আবু লাহাবের বাঁদী সুয়াইবা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহা তিনি আবু লাহাবকে জানালেন তখন আবু লাহাব বিলাদত শরীফের খুশির সংবাদ শুনে খুশি হয়ে হযরত সুয়াইবা রদ্বিয়াল্লাহু আনহা উনাকে তৎক্ষণাৎ আযাদ করে দেয় !””
(ফতহুল বারী শরহে বুখারী ৯ম খন্ড ১১৮ পৃষ্ঠা , ওমদাতুল ক্বারী লি শরহে বুখারী ২০ খন্ড ৯৫ পৃষ্ঠা, মাওয়াহেবুল লাদুননিয়াহ ১ম খন্ড, শরহুয যারকানী ১ম খন্ড ২৬০ পৃষ্ঠা )

বিখ্যাত ঐতিহাসিক আল্লামা ইয়াকুব রহমাতুল্লাহি আলাইহি উনার কিতাবে লিখেন-

قال النبي صلي الله عليه و سلم رايت ابا لهب في النار يصيح العطش العطش فيسقي من الماء في نقر ابهامه فقلت بم هذا فقال بعتقي ثويبة لانها ارضعتك

অর্থ : হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বলেন, আমি আবু লাহাবকে দেখেছি জাহান্নামের আগুনে নিমজ্জিত অবস্থায় চিৎকার করে বলছে, পানি দাও ! পানি দাও !

অতঃপর তার বৃদ্ধাঙুলীর গিরা দিয়ে পানি পান করানো হচ্ছে। আমি বললাম, কি কারনে এ পানি পাচ্ছো ? আবু লাহাব বললো, আপনার বিলাদত(আগমন) শরীফ উপলক্ষে খুশি প্রকাশ করে হযরত সুয়াইবা রদ্বিয়াল্লাহু তায়লা আনহা উনাকে মুক্ত করার কারনে এই ফায়দা পাচ্ছি ! কেননা তিনি আপনাকে দুধ মুবারক পান করিয়েছেন !””( তারীখে ইয়াকুবী ১ম খন্ড ৩৬২ পৃষ্ঠা )

সুতরাং প্রমানিত হল হুয়ূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উনাকে পাওয়ার কারনে উনার জন্য ‘ফালইয়াফরাহু’ তথা খুশি মুবারক প্রকাশ করা সর্বশ্রেষ্ঠ ইবাদত যা কুফরী শিরিকী করলেও ধ্বংস হয় না।
আর এই সর্বশ্রেষ্ঠ ইবাদত বা আমল পালনার্থে যামানার ইমাম, মহান আল্লাহ পাক উনার খাছ লক্ষ্যস্থল, মুজাদ্দিদে আ’যম, হযরত ইমামুল উমাম আলাইহিস সালাম রাজারবাগ শরীফ উনার জারী করেছেন অনন্তকাল ব্যাপী সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদশরীফ মাহফিল। হযরত ইমামুল উমাম আলাইহিস সালাম তিনি এমন একজন ওলীআল্লাহ যিনি সকাল-সন্ধ্যা মহান আল্লাহ পাক উনার এবং উনার হাবীব, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের সন্তুষ্টি মুবারক তালাশ করে থাকেন। তাই দুনিয়ার সমস্ত মুসলমানের উচিত হযরত ইমামুল উমাম আলাইহিস সালাম উনার সংসর্গে আসা এবং দায়িমীভাবে ‘ফালইয়াফরাহু’ বা খুশি প্রকাশ করার জন্য রাজারবাগ শরীফে আসা।কেননা মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন –

وَاصْبِرْ نَفْسَكَ مَعَ الَّذِينَ يَدْعُونَ رَبَّهُم بِالْغَدَاةِ وَالْعَشِيِّ يُرِيدُونَ وَجْهَهُ ۖ وَلَا تَعْدُ عَيْنَاكَ عَنْهُمْ تُرِيدُ زِينَةَ الْحَيَاةِ الدُّنْيَا ۖ وَلَا تُطِعْ مَنْ أَغْفَلْنَا قَلْبَهُ عَن ذِكْرِنَا وَاتَّبَعَ هَوَاهُ وَكَانَ أَمْرُهُ فُرُطًا.

অর্থ : “আপনি নিজেকে উনাদের সংসর্গে আবদ্ধ রাখুন যাঁরা সকাল ও সন্ধ্যায় উনাদের পালনকর্তাকে উনার সন্তুষ্টি অর্জনের উদ্দেশ্যে ডেকে থাকেন (যিকির করেন) এবং আপনি পার্থিব জীবনের সৌন্দর্য্যে মোহগ্রস্থ হয়ে উনাদের থেকে নিজেকে দূরে সরিয়ে নিবেন না। ঐ ব্যক্তিকে অনুসরণ করবেন না, যার অন্তর আমার যিকির থেকে গাফিল করে দিয়েছি, যে নিজের কুপ্রবৃত্তির অনুসরণ করে এবং যার কার্যকলাপ হচ্ছে সম্মানিত শরীয়তে উনার খেলাফ বা বিপরীত।” (পবিত্র সূরা কাহাফ শরীফ : পবিত্র আয়াত শরীফ ২৮)

#12shareef 
#Saiyidul_Aayaad_Shareef 
#সাইয়্যিদুল_আইয়াদ_শরীফ

ঈদে মীলাদে হাবীবুল্লাহ (ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) উনার বিরোধীতা করার আগে পড়ে দেখুন

ঈদে মীলাদে হাবীবুল্লাহ (ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) উনার বিরোধীতা করার আগে পড়ে দেখুন

বিষয়টা এখনি ফয়সালা করে নেয়া দরকার। সঠিক অবস্থানটা পরিষ্কার করা দরকার।
বাতিল ফের্কার একটা পার্ট পবিত্র ঈদে মীলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিরোধীতা করে তথাকথিত নামধারী কিছু ভন্ডের কারনে। এই বিদয়াতিগুলো এসকল বিশেষ দিন সহ সবসময়ই গানবাজনা, নাচানাচি, ঢোল তবলা, নেশাগ্রস্থ হওয়া, পুরুষ মহিলা একাকার হওয়া সহ বিভিন্ন বেশরা কাজ করে। এদের এসকল ভন্ডামীর কারনে কিছূ মানুষ পবিত্র অনুষ্ঠানকে বিদয়াত বলে থাকে। নাউযুবিল্লাহ।

উদাহরন স্বরূপ, মাজার শরীফ যিয়ারত করা সুন্নত। কিন্তু মাজারে একশ্রেনীর বিদয়াতী ভন্ডের গাঁজা সেবন সহ বিভিন্ন বেশরা কাজ করার কারনে ওহাবীরা সুন্নত মাযার যিয়ারতকে মাজার পুজা বলার মত সাহস পায়।
তদ্রুপ এসকল বিদয়াতীরা গুরুত্বপূর্ণ দিবসে তাদের অঙ্গনে বসে ভন্ডামী করে। ওহাবীরা এসব দেখে মনে করে পুরো কার্যক্রমটাই বোধহয় এমন। তারাও ঢালাই ভাবে প্রচার করে পবিত্র মীলাদ শরীফ বিদয়াত। নাউযুবিল্লাহ।

কথা হচ্ছে, মাথা ব্যাথা হলে মাথা কেটে ফেলার সুযোগ নাই। গাছে রোগ হলে গাছ কেটে ফেলার দরকার নাই। বরং মাথা ব্যাথার ওষুধ খেতে হবে। গাছের রোগ হলে গাছ না কেটে গাছের গোড়ার ওষুধ দিতে হয়। সূতরাং কোন বিদয়াতীর বদ আমল দেখে মূল আমল বাদ না দিয়ে বিদয়াতী বেশরা আমল বাদ দিতে হবে।
শিয়ারা নামাজ পড়ার সময় সিজদায় মাথার নিচে মাটির টুকরা রাখে, নিজেদের বাড়িতে কাবা শরীফ উনার অনুরুপ ঘড় বানিয়ে তাওয়াফ করে। এদের বিদয়াত কাজ দেখেতো আপনি নামাজ ও তাওয়াফ বাদ দিবেন না। বরং এদের ভন্ডামী আস্তাকুড়ে নিক্ষেপ করে সঠিক আমল করবেন।

ঈদে মীলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মাহফিলে আমরা প্রকৃত মুসলানরা যে আমল করি,
১) ছলাত ও সালাম পাঠ করি। যা পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র হাদীস শরীফ উনাদের সুস্পষ্ট র্নিদেশ মুবারক।
২) হাবীবুল্লাহ হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সুমহান ছানা সিফত মুবারক করা হয়। যা পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে স্বয়ং মাহান আল্লাহ পাক নিজেই করেছেন।
৩) উনার আগমন সর্ম্পকে হাদীস শরীফ বর্ণনা করা হয়। যা হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনি নিজেই করেছেন।
৪) হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে পাওয়ার কারনে শুকরিয়া আদায় করা হয়।
উপরোক্ত সব কাজই শরীয়ত সম্মত। এই কাজ গুলো করতে কোন মুসলমানের আপত্তি থাকার কথা নয়।
আর হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে পাওয়ার কারনে খুশি নয় এমন কোন মুসলমান পৃথিবীতে আছে বলে মনে হয় না। কারন যে খুশি নয় সে আদৌ মুসলামনও নয়। তাহলে এতবড় নিয়ামত পেয়ে খুশি প্রকাশ করতে সমস্য কোথায়?

কোন বিদয়াতি, ভন্ড যদি হুক্কা খায়, গাঁজা খায়, ঢোল তবলা বাজায়, গান গায়, মহিলা পুরুষ একাকার করে সমাবেশ করে এই গুনাহের কাজের দায়ভার শুধুমাত্র তাদের। তাদের ভন্ডামীর জন্য পবিত্র আমল বাদ দেয়া যাবে না। বরং শরীয়ত সম্মতভাবে আরো বেশি মুহব্বতের সাথে কিভাবে আয়োজন করা যাবে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।

#12shareef 
#Saiyidul_Aayaad_Shareef 
#সাইয়্যিদুল_আইয়াদ_শরীফ

হে মুসলিম আপনি- কোথায় থাকবেন, কার সাথে থাকবেন, কোন বিষয় থেকে দূরে থাকবেন?

হে মুসলিম আপনি- কোথায় থাকবেন, কার সাথে থাকবেন, কোন বিষয় থেকে দূরে থাকবেন?
প্রসিদ্ধ তারিখ ও সীরাত গ্রন্থসমূহে উল্লেখ রয়েছে, “নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি পবিত্র মক্কা শরীফ অবস্থান মুবারক করার সময় কতিপয় যুবক তারা সম্মানিত দ্বীন ইসলাম গ্রহণ করে। কিন্তু নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি যখন পবিত্র মদীনা শরীফ হিজরত মুবারক করলেন তখন ঐ সমস্ত যুবকদেরকে তাদের বাপ-দাদা ও বংশের লোকেরা বন্দী করে রাখে এবং দ্বীন ইসলাম পরিত্যাগের জন্য তাদের উপর নির্যাতন চালায়। এতে তারা ঈমান ধরে রাখতে না পেরে সম্মানিত দ্বীন ইসলাম ত্যাগ করে। নাউযূবিল্লাহ!

পরে তারা তাদের গোত্রের লোকদের সাথে বদর যুদ্ধে মুসলমানদের বিরুদ্ধে অংশগ্রহণ করে এবং ওই অবস্থায় তাদের মৃত্যু হয়।” তাদের সম্পর্কে মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র আয়াত শরীফ নাযিল করে ইরশাদ মুবারক করেন,


“নিশ্চয়ই যারা নিজেদের উপর যুলুম করে, তাদের প্রাণ গ্রহণের সময় হযরত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনারা বললেন, তোমরা কি অবস্থায় ছিলে? তারা বলে দুনিয়ায় আমরা অসহায় ছিলাম। তখন হযরত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনারা বলেন, দুনিয়া কি এমন প্রশস্ত ছিল না, যেখানে তোমরা হিজরত করতে পারতে? অবশ্যই তাদের আবাসস্থল জাহান্নাম আর তা খুবই মন্দ আবাস।” (পবিত্র সূরা নিসা শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ- ৯৭)

 প্রসঙ্গত, এখন মুসলমানরা দুনিয়াবী স্বার্থে বাবা-মাকে ত্যাগ করে অন্যত্র চলে যায়, স্ত্রীর মন রক্ষার্থে কিংবা সন্তানদের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে গ্রাম ছেড়ে শহরাঞ্চলে স্থানান্তরিত হয়। অনেকে দুনিয়াবী ফায়দার জন্য দূর দুরান্তে জমি কিনে সেখানেই আবাসন গড়ে ক্ষণস্থায়ী জীবনে একটু ভালো থাকার জন্য। এটা এখন খুব স্বাভাবিক ঘটনা। কিন্তু কোন মুসলমান কি তার মহামূল্যবান ঈমান হিফাজত করার জন্য বা দ্বীন ইসলাম উনার উপর ইস্তেক্বামাত থাকার জন্য কুফরিতে নিমজ্জিত বাবা মা পরিবারকে ত্যাগ করে অন্যত্র স্থানান্তরিত হয়? কুফরি শিরকি পরিবেশ ছেড়ে নেককার আল্লাহওয়ালা উনাদের কাছাকাছি স্থানান্তরিত হওয়ার চেষ্টা কোশেশ করে? এটা নজিরবিহীন। এর কারণ অনেক। তবে উল্লেখযোগ্য একটি কারণ হচ্ছে মুসলমানদের মধ্যে মুসলমানিত্ব অনুপস্থিত। মহামূল্যবান ঈমান তার কাছে মূল্যহীন। একারণেই তার উপর ঈমানী আঘাত আসলে সে তা অনুভব করেনা।

মহান আল্লাহ পাক উনার ওলীগণ উনাদেরকে মুহব্বত করো, কেননা উনারা কবুলকৃত আর উনাদের প্রতি বিদ্বেষ পোষণ করো না, কেননা উনারা সাহায্যপ্রাপ্ত

মহান আল্লাহ পাক উনার ওলীগণ উনাদেরকে মুহব্বত করো, কেননা উনারা কবুলকৃত আর উনাদের প্রতি বিদ্বেষ পোষণ করো না, কেননা উনারা সাহায্যপ্রাপ্ত
মহান আল্লাহ পাক রব্বুল আলামীন উনার ওলী তথা বন্ধুগণ উনারা মহান আল্লাহ পাক উনার নিকট মনোনীত ও মকবুলকৃত। ওলীআল্লাহগণ উনাদের পরিচয় মুবারক হলো- উনারা মহান আল্লাহ পাক উনাকে অধিক ভয় করেন। উনারা কখনো সম্মানিত শরীয়ত উনার বিরোধী কোনো কাজ করেন না, হারাম-নাজায়িয কাজ হতে মুক্ত। উনারা পবিত্র কুরআন শরীফ, পবিত্র হাদীছ শরীফ, পবিত্র ইজমা ও পবিত্র ক্বিয়াস শরীফ অনুযায়ী চলেন এবং সুন্নত মুবারক উনার পরিপূর্ণ অনুসরণ করেন। আর সেই মহাসম্মানিত ওলীআল্লাহগণ উনাদেরকে যে ব্যক্তি মুহব্বত করবে, সে নাজাত লাভ করবে এবং ঈমান নিয়ে দুনিয়া থেকে বিদায় নিবে। সুবহানাল্লাহ!

অপরদিকে যে ব্যক্তি উনাদের বিরোধিতা করবে, উনাদের প্রতি বিদ্বেষ পোষণ করবে, সে হালাক (ধ্বংস) হয়ে যাবে, ইহকাল ও পরকালে লাঞ্ছিত হবে, সে বেঈমান হয়ে মারা যাবে, আকৃতি-বিকৃতি হয়ে মারা যাবে, মহান আল্লাহ পাক উনার রহমত মুবারক হতে বঞ্চিত হবে এবং দুনিয়াতে থাকতেই তার ঠিকানা হবে জাহান্নাম। নাঊযুবিল্লাহ!

যেমন এ প্রসঙ্গে একটি ঘটনা উল্লেখ রয়েছে, এক ব্যক্তি যখন কোনো ওলীআল্লাহগণ উনাদেরকে দেখতো, তখন সে ঘৃণা করে ও বিদ্বেষ পোষণ করে উনাদের থেকে মুখ ঘুরিয়ে রাখতো এবং উনাদের বিরোধিতা করতো। নাঊযুবিল্লাহ! যখন তার মৃত্যু হলো তার মুখ ক্বিবলা থেকে বিমুখ ছিলো, কোনোমতেই ক্বিবলার দিকে ঘুরছিলো না। বহু প্রকারের চেষ্টা চালানো হলো কিন্তু কোনো ফল হলো না। এই দৃশ্য দেখে সমস্ত লোকেরা আশ্চর্য হয়ে গেলো। অবশেষে গায়েব হতে আওয়াজ এলো, ওহে বান্দাগণ! তোমরা অযথা কষ্ট করো না, এই লোক জীবিতাবস্থায় আমার সম্মানিত ওলীগণ উনাদেরকে দেখে সে ঘৃণা করতো, উনাদের প্রতি বিদ্বেষ পোষণ করতো এবং উনাদের থেকে মুখ ফিরিয়ে রাখতো; আজ আমিও আমার রহমত মুবারক তার থেকে ফিরিয়ে রেখেছি এবং বহিষ্কৃতদের তালিকায় তার নাম লিখেছি। কাল-ক্বিয়ামতের ময়দানে তাকে ভাল্লুকের চেহারায় উত্তোলন করা হবে। নাঊযুবিল্লাহ!

উক্ত ঘটনা থেকে সকল বান্দা-বান্দীর জন্য ইবরত-নছীহত হচ্ছে- সর্বাবস্থায় মহান আল্লাহ পাক উনার মহাসম্মানিত ওলীগণ উনাদেরকে মুহব্বত করা এবং উনাদের প্রতি সুধারণা পোষণ করা। কোনো প্রকারেই উনাদের প্রতি বিদ্বেষ পোষণ করা যাবে না, উনাদের বিরোধিতা করা যাবে না এবং উনাদের থেকে বিমুখ হওয়া যাবে না। 
মহান আল্লাহ পাক রব্বুল আলামীন তিনি যেন আমাদেরকে সেই তাওফীক দান করেন। আমীন।

হাসপাতালে নারীর নিরাপত্তা এবং শরয়ী পর্দাভিত্তিক আল মুতমাইন্নাহ মা ও শিশু হাসপাতালের প্রয়োজনীয়তা ।****************************************

হাসপাতালে নারীর নিরাপত্তা এবং শরয়ী পর্দাভিত্তিক আল মুতমাইন্নাহ মা ও শিশু হাসপাতালের প্রয়োজনীয়তা ।****************************************
সম্প্রতি রাজধানীতে ইউনাইটেড হাসপাতাল নামক এক হাসপাতালে এক নারী রোগীর শ্লীলতাহানীর খবর ফাঁস হয়েছে। অপারেশনের পর রোগীকে অজ্ঞান অবস্থায় পেয়ে অসৎ উদ্দেশ্যে হস্ত সঞ্চালন করে ওই হাসপাতালের এক স্টাফ নার্স। স্পর্শকাতর জায়গায় অনুভূতি পেয়ে জ্ঞান ফিরে আসার পর রোগী দেখতে পান তার দেহে এক পুরুষের হাত, এক পর্যায়ে সেই হাতটি সরানোর চেষ্টা করছে। কিন্তু অপারেশনের পর নিথর হয়ে পড়ে থাকা নারী নিজের ইজ্জত আব্রুর রক্ষা করতে সক্ষম হয়নি। মহিলার স্বামী দেখতে আসলে প্রায় ১৬ ঘণ্টা পর তাদের সাক্ষাৎ করতে দেয়া হয়। এসময়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ রোগীকে মানসিক চাপ সৃষ্টি করে যেন তার স্বামীকে এসব কথা না জানায়। 
এই ঘটনা একটি উদাহরণ মাত্র। এরূপ ঘটনা অনেক হাসপাতালেই ঘটে চলেছে প্রতিনিয়ত; যা কোনো নারী লোক লজ্জার ভয়ে প্রকাশ করেনা কিংবা অপরাধী বা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের হুমকীতে অথবা নগদ টাকা পয়সার লোভে গোপন রাখে। 
এসব সমস্যা সমাধানে প্রয়োজন পৃথকভাবে শুধু নারীদের জন্য হাসপাতাল। যেখানে রিসিপশনিস্ট থেকে শুরু করে রেডিওগ্রাফারসহ সকল স্টাফ, নার্স, ডাক্তার, সার্জন সকলেই হবে নারী। এতে একদিক থেকে যেমন নারী রোগীদের ইজ্জত আব্রুর, সম্ভ্রম নিরাপত্তায় থাকবে; পাশাপাশি বহু অসহায় বেকার নারী নার্সদের নিরাপদ কর্মক্ষেত্র সৃষ্টি হবে। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে বাংলাদেশে এরূপ সুবিধাসম্পন্ন হাসপাতাল পাওয়া স্বপ্নের মতো। 
তবে নারীদের জন্য স্বস্তিদায়ক খবর হচ্ছে- বাংলাদেশে একটি মাত্র হাসপাতালই আছে যেখানে সম্পূর্ণ শরয়ী পর্দায় শুধুমাত্র নারী চিকিৎসক, নারী প্যাথলজিস্ট, নারী স্টাফ দ্বারা পরিচালিত হয়। সেই ব্যতিক্রমধর্মী ও সম্পূর্ণ শরয়ী পর্দায় চিকিৎসাদানকারী হাসপাতালটির নাম হচ্ছে আল মুতমাইন্নাহ মা ও শিশু হাসপাতাল; যা সম্ভ্রান্ত নারীদের জন্য অন্তরের প্রশান্তি। হাসপাতালটি ঢাকার রাজারবাগ পুলিশ লাইনের পাশেই প্রতিষ্ঠিত। যা স্বয়ং মুজাদ্দিদে আ’যম আলাইহিস সালাম উনার নির্দেশনা মুবারক অনুযায়ী প্রতিষ্ঠিত এবং পরিচালিত। সুবহানাল্লাহ!

পবিত্র সূরা ফাতিহা শরীফ কেউ যদি হাকীকতে বুঝতে পারে তার পক্ষে হিদায়েত পাওয়া একেবারেই সহজ

পবিত্র সূরা ফাতিহা শরীফ কেউ যদি হাকীকতে বুঝতে পারে তার পক্ষে হিদায়েত পাওয়া একেবারেই সহজ
অনন্তকালব্যাপী মাহফিল উনার বিশেষ শান ৬৩ দিনব্যাপী মাহফিল উনার প্রতিষ্ঠাতা এবং পৃষ্ঠপোষকতায় সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুল ইমাম আলাইহিস সালাম
=====================

বর্ণিত হয়েছে, অতীতে নাযিলকৃত কিতাব ও ছহীফা সমূহে যা রয়েছে বা যে সমস্ত বিধান মুবারক নাযিল হয়েছে উক্ত সমস্ত বিধানই পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে রয়েছে। আবার পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে যা কিছু রয়েছে বা যত বিধান মুবারক নাযিল করা হয়েছে উক্ত সমস্ত বিধান মুবারক বা সমস্ত কিছুই রয়েছে পবিত্র সূরা ফাতিহা শরীফ উনার মধ্যে। আর এ কারণেই পবিত্র সূরা ফাতিহা শরীফ উনাকে বলা হয় উম্মুল কুরআন শরীফ। সুবহানাল্লাহ!
পবিত্র সূরা ফাতিহা শরীফ প্রতি নামাযে প্রতি রাকায়াতে পাঠ করা ওয়াজিব। উক্ত পবিত্র সূরা শরীফ উনার মধ্যে ৭ খানা পবিত্র আয়াত শরীফ রয়েছে। উক্ত প্রতিটি পবিত্র আয়াত শরীফ পবিত্র ছলাত (নামায) উনার মধ্যে পাঠ করা ওয়াজিব করা হয়েছে। সুবহানাল্লাহ! উক্ত পবিত্র সূরা শরীফ উনার মধ্যে প্রথমত যিনি খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার বিষয়ে উল্লেখ করা হয়েছে। দ্বিতীয়ত মহাসম্মানিত মহাপবিত্র হাবীব ও মাহবূব নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিষয়ে উল্লেখ করা হয়েছে। আর তৃতীয়ত খাছভাবে ইহুদী ও নাছারা এবং আমভাবে সকল কাফির-মুশরিকদের বিষয়ে উল্লেখ করা হয়েছে। যেমন ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
الْحَمْدُ لِلَّهِ رَبِّ الْعَالَمِينَ¬¬¬¬¬.الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ. مَالِكِ يَوْمِ الدِّينِ. عَلَى صِرَاطٍ مُسْتَقِيمٍ إِيَّاكَ نَعْبُدُ وَإِيَّاكَ نَسْتَعِينُ.اهْدِنَا الصِّرَاطَ الْمُسْتَقِيمَ. صِرَاطَ الَّذِينَ أَنْعَمْتَ عَلَيْهِمْ. غَيْرِ الْمَغْضُوبِ عَلَيْهِمْ وَلَاالضَّالِّينَ. 
অর্থ: সমস্ত প্রশংসা মহান আল্লাহ পাক উনার জন্য যিনি সমস্ত আলম বা জাহানের সম্মানিত রব। যিনি পরম করুণাময়, অসীম দয়ালু। যিনি বিচার দিনের মালিক। আমরা একমাত্র আপনারই ইবাদত করি এবং আপনার কাছেই সাহায্য চাই। আপনি আমাদেরকে সঠিক পথে পরিচালিত করুন। সে পথে পরিচালিত করুন যাদেরকে আপনি নিয়ামত দিয়েছেন। তাদের পথ নয় অর্থাৎ তাদের পথে পরিচালিত করবেন না যারা গযবপ্রাপ্ত এবং যারা বিভ্রান্ত।
উক্ত পবিত্র সূরা শরীফ উনার প্রথম ৪ খানা পবিত্র আয়াত শরীফ উনার মধ্যে মহান আল্লাহ পাক তিনি নিজের বিষয়ে উল্লেখ করেছেন যে, তিনি সমস্ত জাহানের সম্মানিত রব, খালিক্ব, মালিক। তিনি পরম করুণাময়, অসীম দয়ালু। তিনি বিচার দিনেরও মালিক। সেই হিসেবে উনার প্রশংসা মুবারক করতে হবে এবং উনারই ইবাদত করতে হবে এবং উনার কাছেই সাহায্য চাইতে হবে। 
অতঃপর ৫ ও ৬ নং পবিত্র আয়াত শরীফ উনার মধ্যে ছিরাতুল মুস্তাক্বীম তথা মহাসম্মানিত মহাপবিত্র হাবীব ও মাহবূব নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রদর্শিত ও অনুসৃত পথে চলার জন্য দুআ মুবারক করতে বলেছেন। যেহেতু উনার প্রদর্শিত ও অনুসৃত পথই ছিরাতুল মুস্তাক্বীম। সুবহানাল্লাহ! 
এ প্রসংঙ্গে পবিত্র সূরা ইয়াছীন শরীফ উনার ৩ ও ৪ নং পবিত্র আয়াত শরীফ উনার মধ্যে মহান আল্লাহ পাক তিনি উনার মহাসম্মানিত হাবীব ও মাহবূব নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সর্ম্পকে ইরশাদ মুবারক করেÑ
إِنَّكَ لَمِنَ الْمُرْسَلِينَ. عَلَى صِرَاطٍ مُسْتَقِيمٍ
অর্থ: নিশ্চয়ই আপনি মহাসম্মানিত রসূল উনাদের অর্ন্তভুক্ত অর্থাৎ আপনি মহাসম্মানিত সাইয়্যিদুল মুরসালীন ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। নিশ্চয়ই আপনি ছিরাতুল মুস্তাক্বীম উনার উপর প্রতিষ্ঠিত।
 আর মহাসম্মানিত মহাপবিত্র হাবীব ও মাহবূব নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনিই কায়িনাতবাসীর জন্য নিয়ামতে উযমা তথা সর্বশ্রেষ্ঠ নিয়ামত মুবারক হিসেবে প্রেরিত হয়েছেন। উনার মাধ্যমেই সকলেই সর্বপ্রকার নিয়ামত মুবারক লাভ করে থাকে। সুবহানাল্লাহ!
 তাই পবিত্র সূরা মায়িদা শরীফ উনার ০৭নং পবিত্র আয়াত শরীফ উনার মধ্যে মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেনÑ
وَاذْكُرُوا نِعْمَةَ اللَّهِ عَلَيْكُمْ
অর্থ: আর তোমাদের প্রতি প্রদত্ত মহান আল্লাহ পাক উনার নিয়ামত মুবারক স্মরণ বা প্রকাশ করো।
 পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার একাধিক বর্ণনার মধ্যেও মহাপবিত্র হাবীব ও মাহবূব নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রদর্শিত ও অনুসৃত পথে চলার জন্য আদেশ মুবারক করা হয়েছে। 
অতঃপর শেষোক্ত তথা ৭নং পবিত্র আয়াত শরীফ উনার মধ্যে মহান আল্লাহ পাক উনার এবং উনার মহাসম্মানিত হাবীব ও মাহবূব নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের বিরোধী ও বিদ্বেষী যারা গযবপ্রাপ্ত ও বিভ্রান্ত খাছভাবে ইহুদী, নাছারা এবং আমভাবে সমস্ত কাফির ও মুশরিক তাদের প্রদর্শিত ও অনুসৃত পথে চলতে নিষেধ করেছেন।

অথচ আজ সাধারণ মুসলমান থেকে শুরু করে নামধারী আলিম-উলামা, পীর-মাশায়েখ, মুফতী-মুহাদ্দিছ, শাইখুল হাদীছ, শাইখুত তাফসীর, মুফাসসিরে কুরআন, মুরুব্বীয়ে তাবলীগ, আমীরে জামাত, ইমাম-খতীবরা পর্যন্ত সেই গযবপ্রাপ্ত ও বিভ্রান্ত- ইহুদী, নাছারা ইত্যাদি কাফির মুশরিকদের প্রদর্শিত ও অনুসৃত পথে চলছে। তারা ছোঁয়াচে বিশ্বাস করছে, জামায়াতে কাতার ফাঁক করে দাঁড়াচ্ছে, মাস্ক পরছে, শার্ট, প্যান্ট, কোট, টাই ইত্যাদি পরিধান করছে, ছবি তুলছে, টিভি-সিনেমা দেখছে, বেপর্দা চলছে, খেলাধুলা করছে, গান-বাজনা শুনছে, গণতন্ত্র-ভোট-নির্বাচন করছে। নাউযুবিল্লাহ!

#12shareef #Saiyidul_Aayaad_Shareef #সাইয়্যিদুল_আইয়াদ_শরীফ

সুন্নতি সামগ্রী সংগ্রহ করুনঃ https://sunnat.info https://fb.com/ispc12 https://fb.com/12ispc 
সরাসরি আজিমুশ শান ৬৩দিনব্যাপী মাহফিল শুনতে ভিজিট করুনঃ http://al-hikmah.net/

আলোচিত ৪৯ মামলার আসামী একরামুল আহসান কাঞ্চনকে নিয়ে মুখ খুলেছেন তারই গর্ভধারীনি মা ৮৪ বছরের বৃদ্ধা কমরের নেহার।

আলোচিত ৪৯ মামলার আসামী একরামুল আহসান কাঞ্চনকে নিয়ে মুখ খুলেছেন তারই গর্ভধারীনি মা ৮৪ বছরের বৃদ্ধা কমরের নেহার।
 কাঞ্চন সম্পর্কে বলেছেন অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য। জানিয়েছেন, কাঞ্চন তার আপন মায়ের বিরুদ্ধেই ২টি মামলা করে, এমনকি নিজের মায়ের নামীয় সম্পত্তি হাতিয়ে নিতে অন্য নারীকে মা বানিয়ে জাল দলিল তৈরী করে।

আজ জাতীয় প্রেসক্লাবের আকরাম খাঁ হলে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে আলোচিত ৪৯ মামলার আসামী একরামুল আহসান কাঞ্চনের মা কমরের নেহার এসব কথা বলেন। এ সময় তার সাথে স্ব-পরিবারে উপস্থিত ছিলেন কাঞ্চনের বড় ভাই আক্তারী কামাল ও একমাত্র বোন ফাতেমা আক্তার, মামাতো ভাই শাকেরুল কবির ও তার দুই বোন। এছাড়া অনলাইনে স্ব-পরিবারে সংযুক্ত হন কাঞ্চনের ছোট ভাই কামরুল আহসান বাদল ও তার পরিবার।

কাঞ্চনের মা কমরের নেহার বলেন, রাজারবাগ দরবার শরীফের পীর সাহেব ক্বিবলা উনার নামে আমি কোন সম্পত্তি লিখে দেইনি। আমার স্বামীর অনুকরণে একটি মাদরাসা করার নিয়ত করায় আমার মেঝপুত্র কাঞ্চনের সাথে আমার ২০০৯ সাল থেকে থেকে বিরোধ হয়। তার কথা মেনে না নেয়ায়, সে ২০০৯ সালে অন্য মহিলাকে মা বানিয়ে আমার নামে জমির জাল দলিল তৈরী করে। ছেলে হয়েও সে আমার বিরুদ্ধে ২টি মামলা করে।

প্রেস ব্রিফিংয়ে কাঞ্চনের মা কমরের নেহার বলেন, আমার স্বামী ডা আনোয়ার উল্লাহ সাহেব। ১৯৮৬ সালে তিনি ঢাকা রাজারবাগ দরবার শরীফে বাইয়াত গ্রহণ করেছিলেন। উনার অনুকরণে আমিও রাজারবাগ দরবার শরীফে বাইয়াত গ্রহণ করি।

আমার স্বামী জীবিত থাকাকালে আমার বড় ছেলে ও একমাত্র কন্যাও ঢাকা রাজারবাগ দরবার শরীফের বায়াত গ্রহণ করে। আমার ২য় ছেলে একরামুল আহসান কাঞ্চনও ১৯৯৫ সালে জাপান থেকে ফিরে এসে রাজারবাগ দরবার শরীফে বাইয়াত হয় এবং তার দ্বিতীয় বিয়ের অনুষ্ঠানও রাজারবাগ দরবার শরীফে অনুষ্ঠিত হয়।

কমরের নেহার বলেন, আমার স্বামী আর্থিকভাবে সামর্থবান ছিলেন। তিনি অনেক জমিজমা ক্রয় করেন। ঢাকার শেওড়াপাড়ার জমি, শাহজাহানপুর থানার শান্তিবাগে বাড়ি, নারায়নগঞ্জের ফতুল্লার কুতুবাইলে ফ্যাক্টরি, তক্কার মাঠে জমি, পিলকুনিতে ৪টি প্লট উল্লেখযোগ্য।

এছাড়া তিনি নোয়াখালীতে পৈত্রিক সূত্রে অনেক জমিজমা লাভ করেন। উনার ইন্তেকালের পর এই সম্পত্তিগুলোর কাঞ্চনসহ সবার মধ্যে বণ্টন হয়, যা প্রত্যেকের স্বচ্ছল জীবন-যাপনের জন্য যথেষ্ট।

কমরের নেহার বলেন, আমার স্বামী আমার জন্য আলাদা কিছু সম্পত্তি ক্রয় করেছিলেন। আমার সেই জমি থেকে কিছু জমি মাদ্রাসা ও ইয়াতিমখানায় দান করার নিয়ত করি। কিন্তু আমার এ দানের বিষয়টি অন্য সন্তানরা মেনে নিলেও দ্বিতীয় পূত্র একরামুল আহসান কাঞ্চন মানতে পারেনি।

সে চাপ প্রয়োগ করতে থাকে যেন, আমি আমার ভাগের সম্পত্তিটুকু পুরোটাই তাকে লিখে দেই, কোনভাবেই যেন মাদ্রাসায় জমি দান না করি। কাঞ্চন পৈর্তৃকসূত্রে পর্যাপ্ত সম্পত্তি লাভ করার পরও আমার দানের সম্পত্তির উপর লোভ সামলাতে পারে না। সে অন্য এক মহিলাকে মা বানিয়ে আমার জমির জাল দলিল তৈরী করে (জাল হেবা দলীল নং ১৩৯২৬, তারিখ: ২২/১১/২০০৯)।

কমরের নেহার বলেন, আমার স্বামীর সম্পত্তির সব দলিলপত্র সব সময় আমার মেঝ ছেলে কাঞ্চনের কাছেই জমা থাকতো। তাকে আমরা পরিবারের সবাই খুব বিশ্বাস করতাম। কিন্তু অন্য নারীকে মা বানিয়ে জাল দলিল তৈরীর পর সবাই নড়েচড়ে বসে এবং তখন কেঁচো খুড়তে সাপ বেড়িয়ে আসে।

দেখা যায় প্রায় ১ যুগ আগেই সে আমাকে মৃত দেখিয়ে এবং তার একমাত্র বোন ফাতেমা আক্তারকে বাদ দিয়ে ওয়ারিশনামা তৈরী করেছে। কাঞ্চনের বানানো জাল দলিল বাতিল করতে এবং আমার কন্যার ওয়ারিশসত্ত্ব ফিরিয়ে আনতে আমি আদালতের দারস্থ হই। এতে কাঞ্চন ক্ষিপ্ত হয়ে আমাদের বিরুদ্ধে মামলা করা শুরু করে।

আমি গর্ভধারিনী মা হওয়া সত্ত্বেও আমার বিরুদ্ধে ২টি, তার আপন বড় ভাই আক্তারী কামালের বিরুদ্ধে ৭টি, তার একমাত্র বোনের বিরুদ্ধে ৩টি এবং তার মামাতো ভাই শাকেরুল কবিরের বিরুদ্ধে ৪টি মামলা করে।

কাঞ্চনের মা বলেন, মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ যেন তার জ্বালায় অতিষ্ট হয়ে আমার দানের জমি গ্রহণ না করে সেজন্য রাজারবাগ দরবার শরীফ ও মুহম্মদীয়া জামিয়া শরীফ মাদ্রাসার সংশ্লিষ্ট লোকজনের উপর মামলা-হামলা করতে থাকে।

অনেককে সে রক্তাক্ত করে হাসপাতালে পাঠায়। মাদ্রাসায় যাওয়া বোরকা পরিহিতা নারীদের সে উত্ত্যক্ত করতো। কিছুদিনের মধ্যে আমার পুত্র কাঞ্চনের আচরণ এতটাই উচ্ছৃঙ্খল হয়ে উঠে যে, লজ্জায় আমার মুখ দেখানোর যায়গা থাকে না। তার কারণে আমার মান-সম্মান সব ধুলায় মিশে যায়।

কমরের নেহার বলেন, ২০১৪ সালে আমি সাব-রেজিস্টারের সামনে স্বেচ্ছায়, স্বজ্ঞানে স্বাক্ষর করে মুহম্মদীয়া জামিয়া শরীফ মাদ্রাসায় সর্বমোট প্রায় ৭৬ শতাংশ জমি দান করি। আমার বড়পুত্র আক্তারী কামাল ও কন্যা মোসাম্মত ফাতেমা আক্তার পরিবার নিয়ে ব্যস্ত সময় থাকে।

এমতাবস্থায় আমি আমার ছোট ভাইয়ের ছেলে শাকেরুল কবিরের সাহায্য চাই। শাকের আমার বিপদের সময় এগিয়ে আসায় আমার অনেক উপকার হয়। শাকেরের কারণে জমি-জমাগুলো কাঞ্চনের দখলে যায় না, আমার নিয়ন্ত্রণেই থাকে। এতে কাঞ্চন শাকেরের উপর মারাত্মক ক্ষেপে যায় এবং মিডিয়ায় তার নামে আবোল তাবোল বলতে থাকে, যার কোনটাই সত্য না।

কাঞ্চনের মা কমরের নেহার বলেন, মাদ্রাসায় জমি দান করা হয়ে গেলে কাঞ্চন তা বাতিল করতে উঠে পড়ে লাগে। এজন্য সে মিডিয়ায় আমার সম্পর্কে মিথ্যা ও বানোয়াট তথ্য প্রচার শুরু করে।

প্রথম অবস্থায় সে বলে বেড়ায়, “আমাকে নাকি গুম করে আমার থেকে সম্পদ লিখে নেয়া হয়েছে। তাই আমার দান বিশুদ্ধ হয়নি।” তখন আমি বলি, “আমার থেকে কেউ জোর করে জমি লিখে নেয় নাই, বরং আমি স্বেচ্ছায় মাদ্রাসায় জমি দান করেছি।” আমার বক্তব্যের পর তার এ ষড়যন্ত্র ব্যর্থ হয়।

কাঞ্চনের মা কমরের নেহার বলেন, এরপর কাঞ্চন মিডিয়ায় ‘আমি পাগল হয়ে গেছি, কাজেই আমার দান শুদ্ধ নয়’ বলে প্রচার শুরু করে। এজন্য সে প্রচার করে, আমি নাকি আমাদের থাকার শান্তিবাগের বাড়ি পীর সাহেবকে লিখে দিয়েছি।

কিংবা পীর সাহেবের বড় মেয়ের বিয়েতে ৪০ ভরি ওজনের স্বর্ণের মুকুট দিয়েছি। প্রচার করে, সম্পত্তি বিক্রি করে নাকি আমি পীর সাহেবকে ১৩ কোটি টাকা দিয়েছি। আরো দাবী করে, সে নাকি জাপান থেকে একটা গাড়ি পাঠিয়েছে, সেই গাড়ি নাকি আমি পীর সাহেবকে দিয়ে দিয়েছি।

কাঞ্চনের মা কমরের নেহার আরো বলেন, প্রকৃত সত্য হলো, আমি মোটেও পাগল হয়নি, আমি সম্পুর্ণ সুস্থ মস্তিষ্কে আছি। তাছাড়া আমি পীর সাহেবের বড় মেয়ের বিয়েতে ৪০ ভরি ওজনের কোন স্বর্ণের মুকুট তো দূরের কথা, কোন মেয়ের বিয়েতেই কোন গিফট দেইনি।

আর আমি নিজেই যেখানে ১০ ভরি স্বর্ণও ব্যবহার করিনা, সেখানে অন্যকে কিভাবে ৪০ ভরি স্বর্ণ উপহার দিতে যাবো? অন্যদিকে শান্তিবাগের থাকার বাড়ি দেয়ার প্রশ্নই আসে না, কারণ শান্তিবাগের বাড়ি তো আমার স্বামীর নামে।

আমি কিভাবেই সেই সম্পত্তি দিবো? এছাড়া ‘আমি সম্পত্তি বিক্রি করে ১৩ কোটি টাকা দিয়েছি’ এটাও সম্পূর্ণ বানোয়াট বক্তব্য। কারণ আমি আমার কিছু জমি বিক্রি করেছিলাম এটা ঠিক, কিন্তু বিক্রি করা জমির মূল্য ১ কোটি টাকার টাকারও কম। ১৩ কোটি টাকা দিবো কিভাবে? আর জাপান থেকে সে কখন কোন গাড়ি পাঠায়নি, এটাও সম্পূর্ণ মিথ্যা কথা।

কমরের নেহার বলেন, সম্প্রতি কাঞ্চন নতুন করে প্রচার শুরু করছে, পীর সাহেব নাকি আমাকে বাইয়াত করে ভুলভাল বুঝিয়ে আমার সব সম্পত্তি লিখে নিচ্ছেন। আমি নাকি তাদের পৈর্তৃক সম্পত্তি থেকে তাদের বঞ্চিত করে পীর সাহেবকে সব সম্পত্তি লিখে দিচ্ছি। এটা সম্পূর্ণ ভুল কথা।

আমি দরবার শরীফে নতুন বাইয়াত হয়নি। আমি ২৮ বছর ধরে দরবার শরীফের বাইয়াত। আমাকে নতুন করে বাইয়াত করে ভুল বুঝানোর কিছু নেই। পাশাপাশি আমি কোন সম্পত্তি পীর সাহেবকে লিখেও দেই নি। যতটুকু সম্পত্তি আমি দান করেছি সেটা একটা মাদ্রাসা ও ইয়াতিমখানার জন্য। পীর সাহেব বা দরবার শরীফের নামে নয়।

কাঞ্চনের মা কমরের নেহার মিডিয়া ও প্রশাসনের উদ্দেশ্যে বলেন, আপনারা দয়া করে তার এই অসৎকর্মে সহায়তা করবেন না। কাঞ্চন যদি আমার দান করা জমি কেড়ে নিতে পারে, তবে সেখানেই সে থেমে থাকবে না।

একটা সময় তার আপন ভাইবোনদের সম্পত্তির দিকেও হাত বাড়াবে। ইতিমধ্যে ওয়ারিশনামায় সে তার একমাত্র বোনকে বঞ্চিত করেছে, জাল হেবায় বড় ভাইকে বঞ্চিত করেছে আর শেওড়াপাড়া ও নারায়নগঞ্জের ফ্যাক্টরির জমিতে ছোট ভাইকে বঞ্চিত করেছে। সুযোগ পেলে ভাই-বোনদের পুরো সম্পত্তি সে গ্রাস করবে। আমি চাই, প্রত্যেকেই যেন তার প্রাপ্য জমির হক্ব বুঝে পায়, একজন যেন অন্যজনের হক্ব নষ্ট না করতে পারে।

কমরের নেহার তার ছেলে-মেয়ে নাতী-নাতনীদের ওসিয়ত করে বলেন, আমার মৃত্যুর পরও যেন আমার দান যেন অক্ষত থাকে, তা মাদ্রাসা ও ইয়াতিমখানা কার্যক্রমে ব্যবহৃত হয়।

আমার আশঙ্কা হয়, আমি মারা গেলে কাঞ্চন আমার পরকালের সম্বল মাদ্রাসা-ইয়াতিমখানা হতে দিবে না, ঠিক যেভাবে তার পিতার ওসিয়ত করা হেফজখানা সে বন্ধ করে দিয়েছে। মিডিয়া ও প্রশাসনের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আমার এ ওসিয়ত বাস্তবায়নে সর্বাত্মক সহায়তা করবেন, এটাই আপনাদের আমার প্রতি আকুল আকুতি।

খায়রুল কুরনে পবিত্র সাইয়্যিদুল আইয়াদ শরীফ পালনের আরও কিছু দলীল

খায়রুল কুরনে পবিত্র সাইয়্যিদুল আইয়াদ শরীফ পালনের আরও কিছু দলীল
খলীফা হারুনুর রশীদের যামানায় পবিত্র মীলাদ শরীফ পাঠ করার জন্য এক ব্যক্তি ওলী আল্লাহ হিসাবে আখ্যায়িত হলেন। সুবহানাল্লাহ। আল্লামা সাইয়্যিদ আবু বকর মক্কী আদ দিময়াতী আশ শাফেয়ী রহমতুল্লাহি আলাইহি (ওফাত: ১৩০২ হিজরী) উনার বিখ্যাত “ইয়নাতুল ত্বলেবীন” কিতাবে বর্ণনা করেন,
أنه كان في زمان أمير المؤمنين هارون الرشيد شاب في البصرة مسرف على نفسه وكان أهل البلد ينظرون إليه بعين التحقير لاجل أفعاله الخبيثة، غير أنه كان إذا قدم شهر ربيع الاول غسل ثيابه وتعطر وتجمل وعمل وليمة واستقرأ فيها مولد النبي ودام على هذا الحال زمانا طويلا، ثم لما مات سمع أهل البلد هاتفا يقول: احضروا يا أهل البصرة واشهدوا جنازة ولي من أولياء الله فإنه عزيز عندي، فحضر أهل البلد جنازته ودفنوه، فرأوه في المنام وهو يرفل في حلل سندس واستبرق، فقيل له بم نلت هذه الفضيلة ؟ قال بتعظيم مولد النبي صلى الله عليه وسلم
অর্থ: বর্ণিত রয়েছে, খলীফা হারুনুর রশীদের যামানায় (১৪৮-১৯৩ হিজরী) বছরা শহরের এক যুবক সে নফসের অনুসরন করে চলতো। শহরের লোকেরা নিন্দনীয় আমলের জন্য তাকে নিন্দার চোখে দেখতো। তবে যখন পবিত্র রবিউল আউয়াল শরীফ মাস আসতো, এই যুবক কাপড় ধৌত করতেন, সুগন্ধি ব্যবহার করতেন ও খারাপ কাজ থেকে বিরত থাকতেন। সেই সাথে ভালো খাবারের ব্যবস্থাও করতেন এবং পবিত্র মীলাদ শরীফ উনার মাসে এ আমল লম্বা সময়ব্যাপী করতেন। অতপর যখন তিনি ইন্তেকাল করেন তখন শহরবাসীগণ গায়েবী আহ্বান শুনতে পান। সেখানে বলা হচ্ছিলো, হে বসরাবাসী! আপনারা আল্লাহ পাক উনার ওলীদের মধ্যে অর্ন্তভুক্ত একজন ওলীর জানাজায় শরীক হন। নিশ্চয়ই তিনি আমার কাছে খুবই প্রিয়। অতপর শহরবাসী উনার জানাজায় উপস্থিত হলেন এবং দাফন সম্পন্ন করলেন। উনারা (শহরবাসী) স্বপ্নে দেখলেন, উক্ত যুবক কারুকার্যপূর্ণ রেশমী কাপড় পরিহিত অবস্থায় ঘোরাফেরা করছেন। উনাকে জিজ্ঞাসা করা হলো, এ ফযিলত আপনি কি করে লাভ করলেন? তিনি বললেন, পবিত্র মীলাদ শরীফ উনাকে তাযীম করার কারনে।” (ইয়নাতুল ত্বলেবীন ৩য় খন্ড ৬১৩ পৃষ্ঠা ; প্রকাশনা: দারুল হাদীছ , কাহেরা, মিশর)
 উল্লেখ্য যে খলীফা হারুনুর রশীদের যামানা ছিলো খায়রুল কুরুনে। উপরোক্ত ঘটনায় বোঝা যায় সে সময় পবিত্র মীলাদ শরীফ পাঠের রীতি ছিলো। তাই এক ব্যক্তি তার আমল কিছুটা মন্দ হলেও পবিত্র মীলাদ শরীফ উনাকে তাযীম করাকে মহান আল্লাহ পাক তার মর্যাদার কারণ হিসাবে প্রকাশ করলেন। এবং সম্মানিত ওলী আল্লাহ হিসাবে গ্রহন করলেন। সুবহানাল্লাহ।
 সুতরাং উপরোক্ত ঘটনা ও সময়কাল থেকে জ্ঞানী মাত্রই যা বোঝার কথা সেটা হলো, উক্ত ঘটনা খায়রুল কুরনের। আর মীলাদ শরীফ নতুন কোন আমল নয়। বরং পবিত্র ইসলাম উনার প্রথম থেকেই এ আমল চলে আসছে। আর সে কারনে সম্মানিত খায়রুল কুরুনে মীলাদ শরীফ উনার ফযীলত সংশ্লিষ্ট অনেক ক্বওল শরীফ কিতাবে পাওয়া যায়। যেমন সে সময়কার বিখ্যাত ফক্বীহ, শাফেয়ী মাযহাব উনার ইমাম হযরত ইমাম শাফিয়ী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি নিজেই বলেন,
قَالَ اَلاِمَامُ الشَّافِعِىُّ رَحِمَهُ اللهُ مَنْ جَمَعَ لِمَوْلِدِ النَّبِىِّ صَلّٰى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلّمَ اِخْوَانًا وَهَيَّاَ طَعَامًا وَاَخْلٰى مَكَانًا وَعَمَلَ اِحْسَانًا وَصَارَ سَبَبًا لِقِرَائَتِهٖ بَعَثَهُ اللهُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ مَعَ الصِّدِّيْقِيْنَ وَالشُّهَدَاءِ وَالصَّالِحِيْنَ وَيَكُوْنُ فِىْ جَنَّاتِ النَّعِيْمِ.
অর্থ: ‘যে ব্যক্তি পবিত্র ঈদে মীলাদে হাবীবীল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উদযাপন উপলক্ষে লোকজন একত্রিত করলো, খাদ্য তৈরি করলো, জায়গা নির্দিষ্ট করলো এবং এ জন্য উত্তমভাবে তথা সুন্নাহ ভিত্তিক আমল করলো তাহলে উক্ত ব্যক্তিকে মহান আল্লাহ পাক সম্মানিত হাশরের দিন ছিদ্দীক্ব, শহীদ ছলিহীনগণ উনাদের সাথে উঠাবেন এবং উনার ঠিকানা হবে জান্নাতে নায়ীমে।’ সুবহানাল্লাহ। (আন নি’মাতুল কুবরা আলাল আলাম ১০ পৃষ্ঠা, মাদরেজুজ সউদ ১৫ পৃষ্ঠা, নাফহতুল আম্বারিয়া ৮ পৃষ্ঠা, ইয়নাতুল ত্বলেবীন ৩য় খন্ড ৬১৩ পৃষ্ঠা)
 সুতরাং যারা বলে পবিত্র ঈদে মীলাদে হাবীবীল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার আমল খায়রুল কুরুনে ছিলো না তারা গন্ডমূর্খ, ইলিমশূন্য। 

নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার শান মুবারকে বিন্দুতম চু-চেরা করে কেউ ঈমানদার থাকতে পারে না

নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার শান মুবারকে বিন্দুতম চু-চেরা করে কেউ ঈমানদার থাকতে পারে না
পবিত্র ঈমান উনার মূলই হচ্ছেন- সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি। উনার প্রতি পরিপূর্ণ পবিত্র ঈমান না আনা পর্যন্ত, পরিপূর্ণ হুসনে যন বা সুধারণা পোষণ না করা পর্যন্ত, উনাকে সবচেয়ে মুহব্বত না করা পর্যন্ত, উনার আদেশ-নিষেধগুলো মনে প্রাণে না মানা পর্যন্ত এবং উনাকে অনুসরণ-অনুকরণ না করা পর্যন্ত কেউ মুসলমান হতে পারে না। 
এটাই যদি সত্য হয়, তাহলে উনার সীমাহীন পবিত্রতম শান-মান, মর্যাদা-মর্তবা, খুছুছিয়ত-বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে যারা চু-চেরা করে, (নাঊযুবিল্লাহ!) এবং প্রশ্ন উত্থাপন করে বলে যে, তিনি নূর মুবারক উনার বা উনার থেকে সৃষ্টি নন, (নাঊযুবিল্লাহ!) তিনি গইবের ইলম সম্পর্কে জানেন না, (নাঊযুবিল্লাহ!) তিনি তাদের মতো রক্ত-গোশতে গড়া সাধারণ মানুষ ইত্যাদি ইত্যাদি। নাঊযুবিল্লাহ! নাঊযুবিল্লাহ! নাঊযুবিল্লাহ! তারা কখনোই মুসলমান হতে পারে না।
কাজেই নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্রতম মর্যাদা-মর্তবা, শান-মান মুবারক সম্পর্কে সম্মানিত আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়াত উনাদের যে আক্বীদা বা বিশ্বাস, সেই আক্বীদা বা বিশ্বাস প্রতিটি মুসলমানকে রাখতে হবে। সম্মানিত আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়াত উনাদের আক্বীদা বা বিশ্বাস হলো- সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি নূর মুবারক উনার সৃষ্টি, তিনি ইলমে গইব উনার অধিকারী, তিনি তাদের মতো সাধারণ মানুষ নন।
সম্মানিত আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়াত উনাদের আক্বীদা বা বিশ্বাসের বিপরীত যাদের আক্বীদা বা বিশ্বাস, তারা মুসলমান দাবি করলেও হাক্বীক্বত তারা মুসলমানের অন্তর্ভুক্ত নয়। বরং তারা পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত ৭২টি বাতিল ও জাহান্নামী ফিরক্বারই অন্তর্ভুক্ত।

🔷সুন্নতী ধুন্দলের ছোবড়া🔷

🔷সুন্নতী ধুন্দলের ছোবড়া🔷

বর্তমান বিশ্বে, ধুন্দল সবজি হিসেবে খুবই জনপ্রিয়। যার উপকারিতাও অপরিসীম। 
অতি প্রাচীনকাল থেকেই গোসলের সামগ্রী হিসেবে গা ঘষার কাজে ধুন্দলের ছোবড়া ব্যবহার হয়ে আসছে। 

আমরা কি জানি যে, ধুন্দলের ছোবড়া ব্যবহার করে গোসল করা সুন্নত। 

কাজেই সকলেরই উচিৎ হবে, সুন্নত মুবারক আদায়ের লক্ষ্যে ধুন্দলের ছোবড়া ব্যবহার করে গোসল করা।  

✅উন্নতমানের এবং কোয়ালিটি সম্পূর্ণ ধুন্দলের ছোবড়া পাওয়া যাচ্ছে Sunnati স্টোরে। 
আজই অর্ডার করতে কল করুন, 
☎️+8801782 255 244
ফেসবুকে পেজে অর্ডার করতে ইনবক্সে টেক্সট করুন।
অথবা
🌐ভিজিট করুন: https://sunnat.info

ইতিহাস থেকে প্রমাণ-যে আমল মুবারক কখনো কোনভাবেই নষ্ট হয়নি এবং হয় না

ইতিহাস থেকে প্রমাণ-যে আমল মুবারক কখনো কোনভাবেই নষ্ট হয়নি এবং হয় না

মুঘল শাসক আকবরের নাম শুনেনি এমন লোক খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। তার সময়কার এক ক্ষমতাধর দুনিয়াদার গুমরাহ বাদশাহ। মূলত, মুঘল বাদশাহদের দাপট তৎকালীন দুনিয়ায় এতই প্রবল ছিল যে অন্যান্য রাজা-বাদশাহরা সবসময় ভয়ে তটস্থ থাকতো- কখন না জানি মুঘলদের রোষানলে পড়ে ক্ষমতাহীন হতে হয়। তার এই দুনিয়াবী ক্ষমতা অপব্যবহার করে সে সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার সমূহ ক্ষতিসাধনের কোশেশ করতো। আর এর জন্য দায়ী ছিল তৎকালীন ধর্মব্যবসায়ী দুনিয়াদার আলেম-উলামারা। তৎকালীন কুখ্যাত উলামায়ে ‘সূ’ আবুল ফজল, ফৈজী, মোল্লা মুবারক নাগরী প্রমুখ আলিম নামধারীদের প্ররোচনায় সে ‘দ্বীন-ই-ইলাহী’ নামক বাতিল ধর্মের প্রবর্তন করেছিল।

চিন্তা করুন কতটা বিভ্রান্ত হলে সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনাকে বাদ দিয়ে ‘দ্বীন-ই-ইলাহী’ নামক বাতিল ধর্মের প্রবর্তন করা যায়। অর্থাৎ সে দ্বীনের প্রবর্তক দাবি করেছিল। মূলত, দ্বীন-ই-ইলাহী ছিল সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনাকে দুনিয়ার যমীন থেকে মিটিয়ে দেয়ার জন্য রাষ্ট্রীয় ক্ষমতাকে অপব্যবহার করে একটি সর্বাত্মক ঘৃণ্য অপপ্রয়াস। দুই একটা বিষয় উল্লেখ করলেই সেই ভয়াবহ পরিস্থিতি সম্পর্কে কিঞ্চিত ধারণা পাওয়া যাবে। আকবরের ইসলামবিদ্বেষের কিছু নমুনা নিম্নরূপ-পবিত্র কালেমা শরীফ পরিবর্তন, বাল্যবিবাহ নিষিদ্ধকরণ, মসজিদকে মন্দিরে রূপান্তর, আযান দেয়া নিযিদ্ধ করা, রাজদরবারে সেজদা প্রথা চালু, গরু কুরবানী নিষিদ্ধ প্রভৃতি। অর্থাৎ সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার মধ্যে বর্ণিত প্রত্যেকটি হালালকে হারাম ঘোষণা করেছিল এবং হারামগুলোকে হালাল ঘোষণা করেছিল। এতটা সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার বিদ্বেষী হওয়ার পরও বিশিষ্ট ঐতিহাসিক হযরত জাকাউল্লাহ রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার মতে সে ঈমান নিয়ে মৃত্যুবরণ করেছে। এটাও কি সম্ভর! মূলত, সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনাকে বাদ দিয়ে নতুন ধর্মের প্রবর্তন করার পর কেউ যদি লক্ষ-কোটি বছরও নামায, রোযা, হজ্জ, যাকাত আদায় করে তারপরও এই কুফরীর কাফফারা আদায় সম্ভব নয়। তাহলে সে কিভাবে সম্মানিত ঈমান নিয়ে মৃত্যুবরণ করলো। মূলত, সে একটি সম্মানিত নেক আমল করেছিল, যার সম্মানার্থে সে নাজাত লাভ করেছিল। ঘটনাটি হলো- আকবর ১১ বছর বয়সে গুজরাট বিজয়ের শুকরিয়াস্বরপ সে সুলত্বানুল হিন্দ খাজা ছাহিব রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার সম্মানিত দরবার শরীফে খালি পায়ে হেঁটে গিয়েছিল জিয়ারতের উদ্দেশ্যে। এছাড়া সে ১২০ মণ চাল রান্না করা যায় এমন একটি ডেগ হাদিয়া করেছিল এবং কিছু সম্পত্তি ওয়াক্ফ করেছিল। আপাতদৃষ্টিতে একজন ক্ষমতাধর বাদশাহ হিসেবে সে অনেক বড় খিদমতের আনজাম দেয়নি; কিন্তু মর্যাদার বিচারে সে সর্বশ্রেষ্ঠ একটি আমল করেছিল। আর তা হলো- সে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু ওয়া সাল্লাম উনার একজন সম্মানিত আওলাদ হযরত খাজা ছাহেব রহমতুল্লহি আলাইহি উনার সম্মানিত খিদমতের আনজাম দিয়েছিল।

উল্লেখ্য যে, আকবর প্রথম জীবনে হযরত খাজা ছাহিব রহমতুল্লাহি উনার খাছ ভক্ত ছিল। পরবর্তীতে উলামায়ে সূ’দের খপ্পড়ে পড়ে বিভ্রান্ত হয়। এই সম্মানিত আমল উনার সম্মানার্থে সারাজীবন চরম কুফরী করার পরও যখন সে মহান আল্লাহ পাক উনার খালিছ ওলী হযরত মুজাদ্দিদে আলফে ছানী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার রোবে পড়ে লাঞ্ছিত হয়ে মৃত্যুবরণ করছিল, তখন খাজা ছাহিব রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি হযরত মুজাদ্দিদে আলফে ছানী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনাকে বাতিনীভাবে নির্দেশ দেন যে- আকবরকে যেন তওবা করার সুযোগ দেয়া হয়। যার ফলশ্রুতিতে আকবর অন্তিম মুহূর্তে তওবা করে ঈমান নিয়ে মুত্যুবরণ করার সুযোগ লাভ করে। হযরত খাজা ছাহেব রহমতুল্লাহি আলাইহি উনাকে এখন সরাসরি পাওয়া যাবে না। কারণ তিনি সম্মানিত বিছালী শান মুবারক প্রকাশ করেছেন। তাহলে কি এই সম্মানিত খিদমত মুবারক করার সুযোগ শেষ হয়ে গেছে। সম্মানিত হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “যখন আমার সম্মানিত আওলাদ অর্থাৎ হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনারা যমীনে থাকবেন না, তখন যমীন ধ্বংস হয়ে যাবে।”
আমরা সকলেই নামায, রোযা, হজ্জ, যাকাত ইত্যাদি ফযীলতপূর্ণ আমলের অনেক ফাযায়িল-ফযীলত জানি। এগুলো আসলেই ফযীলতপূর্ণ আমল। কিন্তু যে সম্মানিত নেক আমলটি অনেকের কাছেই অজানা এবং মানুষ এই সম্মানিত আমলটি সম্পর্কে কখনো চিন্তা-ফিকির করে কিনা তাও চিন্তা-ফিকিরের বিষয়। সম্মানিত কুরআন শরীফ উনার মধ্যে মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “(হে আমার হাবীব নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছলাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!) আপনি বলে দিন, তোমাদের নিকট কোনো বিনিময় চাওয়া হচ্ছে না, চাওয়াটাও স্বাভাবিক নয়। তবে তোমাদের জন্য ফরয হচ্ছে আমার সর্বাধিক নিকট সম্পর্কের অধিকারী, নিকটাত্মীয় তথা মহাসম্মানিত হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে মুহব্বত করা, তা’যীম তাকরীম মুবারক করা, উনাদের সম্মানিত খিদমত মুবারক উনার আনজাম মুবারক দেয়া! (সম্মানিত সুরা শুরা শরীফ : সম্মানিত আয়াত শরীফ-২৩) 

সম্মানিত হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “আমি চার শ্রেণীর লোকের জন্য ক্বিয়ামতের দিন অবশ্যই সুপারিশ করবো- যে ব্যক্তি আমার পবিত্রতম বংশধর তথা আমার পবিত্রতম আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে সম্মান করবে, উনাদের মালী তথা আর্থিক খিদমত মুবারক উনার আনজাম দিবে, উনাদের জান দিয়ে তথা দৈহিকভাবে সম্মানিত খিদমত মুবারক উনার আনজাম দিবে এবং উনাদেরকে অন্তরে মুহব্বত করবে এবং জবানে উনাদের ছানা-ছিফত মুবারক বর্ণনা করবে।” (দায়লামী শরীফ) 

সম্মানিত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের আগমনের ধারাবাহিকতায় যমীনে অবস্থান করছেন ঢাকা রাজারবাগ শরীফ উনার মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম- যিনি সম্মানিত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের অন্তর্ভুক্ত। উনার সম্মানিত খিদমত মুবারক উনার আনজাম দিলে, উনার ছানা-ছিফত মুবারক বর্ণনা করলে, উনাকে তা’যীম-তাকরীম মুবারক করলে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার শাফায়াত মুবারক তার জন্য ওয়াজিব হয়ে যাবে।

#12shareef
#Saiyidul_Aayaad_Shareef
#সাইয়্যিদুল_আইয়াদ_শরীফ

সুন্নতি সামগ্রী সংগ্রহ করুনঃ https://sunnat.info
সরাসরি আজিমুশ শান ৬৩দিনব্যাপী মাহফিল শুনতে ভিজিট করুনঃ http://al-hikmah.net/

মুসলমান পুরুষদের জন্য দাড়ি রাখা ফরয।

মুসলমান পুরুষদের জন্য দাড়ি রাখা ফরয।
এক মুষ্ঠির নিচে দাড়ি ছাঁটা, কাটা কিংবা মু-ন করা হারাম ও কবীরাহ গুনাহ। সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার থেকে আরম্ভ করে হযরত আদম আলাইহিস সালাম উনার পর্যন্ত যত হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম এবং যত ওলী-আউলিয়ায়ে কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিম অতীত হয়েছেন উনারা সকলেই দাড়ি মুবারক রেখেছেন। সুবহানাল্লাহ!
স্বয়ং নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “তোমরা দাড়ি লম্বা করো এবং মোচকে খাট করো।” (মিশকাত শরীফ)
তিনি আরো ইরশাদ মুবারক করেন, “তোমরা মুশরিকদের বিরোধিতার জন্য দাড়ি বড় করো এবং মোচ খাট করো।” (বুখারী শরীফ ও মুসলিম শরীফ)
তিনি আরো ইরশাদ মুবারক করেন, “দশটি কাজ ফিতরাতের অন্তর্ভুক্ত। তন্মধ্যে দুটি হচ্ছে মোচ কাটা ও দাড়ি রাখা।” (আবূ দাউদ শরীফ)
দাড়ি মুসলমান পুরুষদের খুছুছিয়াত শিআর বা বৈশিষ্ট্যের অন্তর্ভুক্ত। চিবুক ও উভয় গালের চুলকে দাড়ি বলে। সম্পূর্ণ দাড়ি মু-ানো অথবা কিছু দাড়ি রেখে দেয়া হারাম। এক মুষ্ঠির অপেক্ষা বর্ধিত দাড়ি কেটে ফেলা জায়িয রয়েছে। আর যদি দাড়ি খুব বেশি লম্বা হয়ে যায় তবে এক মুষ্ঠি রেখে অতিরিক্ত দাড়ি কেটে ফেলা উত্তম।
দাড়ি ছেটে কেটে সুন্দর করে এক মুষ্ঠি পরিমাণ রাখা এবং যে সমস্ত দাড়ি অন্য দাড়ির চেয়ে বেড়ে যায় তা কেটে সমান করে রাখা সুন্নত। ঠোটের নিচের দাড়ি যাকে নিম দাড়ি বলা হয় তা কাটা, ছাঁটা ও মু-ন করাও হারাম।
এক মুষ্ঠির নিচে দাড়ি কাটা, ছাটা ও মু-ন করা হচ্ছে হারাম। আর হারাম থেকে বেঁচে থাকা হচ্ছে ফরয। তাই পুরুষের জন্য কমপক্ষে এক মুষ্ঠি দাড়ি রাখতেই হবে। এটা শুধু সুন্নতই নয়; বরং ফরয।

দৈনন্দিন জীবনকে পরিপূর্ণ সুন্নতী সাজে সাজাতে চলে আসুন- আন্তর্জাতিক মহাপবিত্র সুন্নত মুবারক প্রচারকেন্দ্রে”
ঠিকানা: সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ গেট, ৫/১ আউটার সার্কুলার রোড, রাজারবাগ শরীফ, ঢাকা ১২১৭।
অথবা কল করুন- 
☎️+8801782 255 244
🌐ভিজিট করুন: https://sunnat.info

পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র হাদীছ শরীফ থেকে বাল্যবিবাহের স্পষ্ট দলীল

পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র হাদীছ শরীফ থেকে বাল্যবিবাহের স্পষ্ট দলীল
অনন্তকালব্যাপী মাহফিল উনার বিশেষ শান ৬৩ দিনব্যাপী মাহফিল উনার প্রতিষ্ঠাতা এবং পৃষ্ঠপোষকতায় সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুল ইমাম আলাইহিস সালাম
=====================


পবিত্র সূরা নিসা শরীফ উনার ৩নং পবিত্র আয়াত শরীফ উনার মধ্যে মহান আল্লাহ পাক ইরশাদ মুবারক করেন,
وَإِنْ خِفْتُمْ أَلَّا تُقْسِطُوا فِي الْيَتَامَىٰ فَانكِحُوا مَا طَابَ لَكُم مِّنَ النِّسَاءِ مَثْنَىٰ وَثُلَاثَ وَرُبَاعَ
অর্থ: “আর যদি তোমরা ভয় কর যে, ইয়াতীম মেয়েদের হক্ব যথাথভাবে পূরণ করতে পারবে না, তবে সেসব মেয়েদের মধ্যে থেকে যাদের ভালো লাগে তাদের বিয়ে করে নাও দুই, তিন, কিংবা চারটি পর্যন্ত।” (সূরা নিসা ৩নং আয়াত শরীফ)
এবার জানা দরকার ইয়াতীম কাকে বলে, লিসানুল আরব অভিধানে ইয়াতীমের সংজ্ঞায় বর্ণিত আছে,
اليتيم: الذي يموت أبوه حتى يبلغ الحلم، فإذا بلغ زال عنه اسم اليتيم، واليتيمة ما لم تتزوج، فإذا تزوجت زال عنها اسم اليتيمة.
অর্থ: ইয়াতীম এমন সন্তানকে বলা হয়, যার পিতা মারা গিয়েছে, বালেগ হওয়া অবধি সে ইয়াতীম হিসাবে গণ্য হবে, বালেগ হবার পর ইয়াতীম নামটি তার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে। আর মেয়ে সন্তান বিয়ের পূর্ব পর্যন্ত ইয়াতীম বলে গণ্য হবে বিয়ের পর তাকে আর ইয়াতীম বলা হবে না।” (লিসানুল আরব ১২/৬৪৫)
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইয়াতীম প্রসঙ্গে বর্ণিত আছে,
قَالَ حضرت عَلِيُّ بْنُ أَبِي طَالِبٍ عليه السلام حَفِظْتُ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ لاَ يُتْمَ بَعْدَ احْتِلاَمٍ 
অর্থ: ইমামুল আউওয়াল মিন আহলে বাইতি রসূলিল্লাহি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, আমীরুল মু’মিনীন, খলীফাতুল মুসলিমীন হযরত কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহূ আলাইহিস সালাম উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার থেকে আমি হাদীছ শরীফ হিফয করে রেখেছি যে, বালেগ হওয়ার পর ইয়াতীম থাকে না।” (আবু দাউদ শরীফ ২৮৭৫, সুনানে কুবরা বায়হাক্বী ৬/৫৭ হাদীছ ১১৬৪২, মুজামুল কবীর তাবরানী ৩৪২২, সুনানে ছগীর লি বায়হাকী ২০৪৯, শরহুস সুন্নহ ৯/২০০, ফতহুল বারী ২/৩৪৬, উমদাতুল ক্বারী ২১/১০৭, কানযুল উম্মল ৬০৪৬)

উক্ত পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার সনদ উত্তম ও সকল রাবী ছেকাহ।
উপরোক্ত বর্ণিত পবিত্র আয়াত শরীফে “ইয়াতীম” ও তার ব্যাখ্যায় পবিত্র হাদীছ শরীফ এবং লুগাত থেকে যা বোঝা গেলো,
ইয়াতীম মেয়েদের বিবাহ করা যাবে। আর মেয়েদের মধ্যে ইয়াতীম হচ্ছে সেই সব মেয়ে যারা এখেনো বালেগ হয়নি।
এ বিষয়ে ছহীহ একখানা হাদীছ শরীফ আছে যেখানে ইয়াতীমকে বিবাহের বিষয়টা বলা হয়েছে,
عَنْ حضرت أَبِي هُرَيْرَةَ عليه السلام قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ الْيَتِيمَةُ تُسْتَأْمَرُ فِي نَفْسِهَا فَإِنْ صَمَتَتْ فَهُوَ إِذْنُهَا وَإِنْ أَبَتْ فَلاَ جَوَازَ عَلَيْهَا ‏"‏ ‏.‏ قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ أَبِي مُوسَى وَابْنِ عُمَرَ ام المؤمنن وَعَائِشَةَ عليها السلام ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ أَبِي هُرَيْرَةَ حَدِيثٌ حَسَنٌ 
অর্থ: হযরত আবূ হুরায়রা রদ্বিয়াল্লাহু আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ইয়াতীম কুমারী থেকে তার বিবাহের ব্যাপারে সম্মতি গ্রহণ করতে হবে। যদি সে চুপ থাকে তবে তাই তার সম্মতি বলে গণ্য হবে। আর যদি অস্বীকার করে তবে তার উপর তা কার্যকারী হবে না। 
এই বিষয়ে হযরত আবূ মূসা রদ্বিয়াল্লাহু আনহু উনার, হযরত ইবনে উমার রদ্বিয়াল্লাহু আনহু এবং উম্মুল মু’মিনীন আছ ছালিছাহ হযরত ছিদ্দীক্বা আলাইহাস সালাম থেকেও পবিত্র হাদীছ শরীফ বর্ণিত আছে। ইমাম হযরত আবূ ঈসা রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, হযরত আবূ হুরায়রা রদ্বিয়াল্লাহু আনহু উনার থেকে বর্ণিত পবিত্র হাদীছ শরীফখানা হাসান। (ছহীহ আবু দাউদ ১৮২৫, তিরমিযি শরীফ ১১০৯)
সুতরাং প্রমাণিত হলো ইয়াতীম মেয়েকেও বিবাহ করা যাবে, আর ইয়াতীম হচ্ছে তারা যারা এখনো বালেগ হয়নি। এ প্রসঙ্গে আরো একটি ছহীহ হাদীছ শরীফ বর্ণিত আছে,
‌‏ وَقَالَ أَحْمَدُ وَإِسْحَاقُ إِذَا بَلَغَتِ الْيَتِيمَةُ تِسْعَ سِنِينَ فَزُوِّجَتْ فَرَضِيَتْ فَالنِّكَاحُ جَائِزٌ وَلاَ خِيَارَ لَهَا إِذَا أَدْرَكَتْ ‏.‏ وَاحْتَجَّا بِحَدِيثِ ام المؤمين عَائِشَةَ علهاالسملام أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم بَنَى بِهَا وَهِيَ بِنْتُ تِسْعِ سِنِينَ

অর্থ: হযরত ইমাম আহমাদ রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি ও হযরত ইসহাক রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, যখন ইয়তীম কণ্যার বয়স নয় (৯) বৎসর হয় আর তাকে বিয়ে দিয়ে দেয়া হয় এবং সে সম্মতি দান করে তবে এই বিয়ে জায়িয। সাবালিকা হওয়ার পর আর তার ইখতিয়ার থাকবে না। উনারা হযরত উম্মুল মু’মিনিন আছ ছালিছাহ ছিদ্দীক্বা আলাইহাস সালাম উনার ঘটনাকে দলীল হিসাবে পেশ করেন যে, যখন উনার বয়স মুবারক নয় (৯) বৎসর হয়, তখন সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার হুজরা শরীফ মুবারকে তাশরীফ গ্রহণ করেন। হযরত উম্মুল মু’মিনিন আছ ছালিছাহ ছিদ্দীক্বা আলাইহাস সালাম বলেন,

وَقَدْ قَالَتْ حضرت ام المؤمين عَائِشَةُ عليها السلام إِذَا بَلَغَتِ الْجَارِيَةُ تِسْعَ سِنِينَ فَهِيَ امْرَأَةٌ

“মেয়েদের বয়স নয় (৯) বছর হলে সে মহিলা।” (তিরমিযী ১১০৯, সুনানু কুবরা বায়হাক্বী ১৪২৫, ফতহুল বারী ২/৭১২)
নয় (৯) বছর হলে যদি মহিলা হয়, তবে তাকে বিবাহ করাও শরীয়ত সম্মত। যা ছহীহ পবিত্র হাদীছ শরীফ থেকেই প্রমাণ হলো। এরপরও কোনো মুসলমান বাল্য বিবাহের বিরোধিতা করলে সে কি মুসলমান থাকবে?

#12shareef #Saiyidul_Aayaad_Shareef #সাইয়্যিদুল_আইয়াদ_শরীফ

সুন্নতি সামগ্রী সংগ্রহ করুনঃ https://sunnat.info https://fb.com/ispc12 https://fb.com/12ispc 
সরাসরি আজিমুশ শান ৬৩দিনব্যাপী মাহফিল শুনতে ভিজিট করুনঃ http://al-hikmah.net/

সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনারাই উম্মুল কায়িনাত

সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনারাই উম্মুল কায়িনাত
অনন্তকালব্যাপী মাহফিল উনার বিশেষ শান ৬৩ দিনব্যাপী মাহফিল উনার প্রতিষ্ঠাতা এবং পৃষ্ঠপোষকতায় সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুল ইমাম আলাইহিস সালাম
=====================


সাইয়্যিদুল আম্বিয়া ওয়াল মুরসালীন, রহমাতুল্লিল আলামীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি হচ্ছেন আবুল কায়িনাত আর তিনি যে সকল পূত-পবিত্রা সম্মানিতা মহিলা উনাদের সাথে নিসবতে আযীম মুবারক স্থাপন করেন উনারাই হচ্ছেন উম্মুল কায়িনাত। সুবহানাল্লাহ!

স্মরণীয় যে, সমস্ত মানুষের পিতা হচ্ছেন হযরত আদম ছফিউল্লাহ আলাইহিস সালাম তিনি। যার কারণে উনাকে আবুল বাশার বলা হয়। আর সমস্ত মানুষের মাতা হচ্ছেন হযরত হাওওয়া আলাইহাস সালাম। যার কারণে উনাকে উম্মুল বাশার বলা হয়।

আর হযরত ইবরাহীম খলীলুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনাকে বলা হয় আবুল মুসলিমীন। আর উনার সম্মানিতা আযওয়াজে মুত্বহ্হারাত আলাইহিন্নাস সালাম উনারা হচ্ছেন উম্মুল মুসলিমীন।

আর সাইয়্যিদুল আম্বিয়া ওয়াল মুরসালীন, রহমাতুল্লিল আলামীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি কায়িনাতবাসী সকলের অভিভাবক তথা পিতা স্বরূপ অর্থাৎ আবুল কায়িনাত। সুবহানাল্লাহ! আর উনার সম্মানিতা আযওয়াজে মুত্বহ্হারাত আলাইহিন্নাস সালাম উনারা হচ্ছেন উম্মুল কায়িনাত। সুবহানাল্লাহ!

উনাদের ফযীলত, মর্যাদা-মর্তবা, শান-মান বর্ণনার অপেক্ষা রাখে না। সাইয়্যিদুল আম্বিয়া ওয়াল মুরসালীন, রহমাতুল্লিল আলামীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি হুসনে জন বা সুধারণা পোষণ করা, উনাকে মুহব্বত করা, উনাকে অনুসরণ করা যেরূপ ফরয একইভাবে উম্মুল মু’মিনীন, উম্মুল কায়িনাত আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের প্রতিও সুধারণা পোষণ করা, উনাদেরকে মুহব্বত করা এবং উনাদেরকে অনুসরণ করা ফরয।

উনাদের পবিত্রতা সম্পর্কে স্বয়ং যিনি খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি উনার সম্মানিত কিতাব পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে আয়াত শরীফ নাযিল করেছেন। সুবহানাল্লাহ! ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
إِنَّمَا يُرِيدُ اللَّـهُ لِيُذْهِبَ عَنْكُمُ الرِّجْسَ أَهْلَ الْبَيْتِ وَيُطَهِّرَكُمْ تَطْهِيرًا 
অর্থ: নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ পাক তিনি সম্মানিত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে সমস্ত অপবিত্রতা থেকে দূরে রেখে পূত-পবিত্র করে সৃষ্টি করেছেন। (পবিত্র সূরা আহযাব শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ৩৩)
উল্লেখ্য, সম্মানিত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের মধ্যে অন্যতম হচ্ছেন হযরত উম্মুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনারা।

উনাদের ফযীলত সম্পর্কে মহান আল্লাহ পাক তিনি আরো ইরশাদ মুবারক করেন-
لَسْتُنَّ كَأَحَدٍ مِّنَ النِّسَاءِ
অর্থ: আপনারা অন্য কোন মহিলাদের মতো নন। সুবহানাল্লাহ! (পবিত্র সূরা আহযাব শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ৩২)
অর্থাৎ নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি যেমন নিজের শান মুবারক সম্পর্কে ইরশাদ মুবারক করেন-
لَسْتُ كَاَحَدِكُمْ
অর্থ: আমি তোমাদের কারো মতো নই। (মুসলিম শরীফ) 

তদ্রুপ মহান আল্লাহ পাক তিনি হযরত উম্মুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের শান মুবারক সম্পর্কে ইরশাদ মুবারক করে জানিয়ে দিয়েছেন যে, উনারা কোন মহিলাদের মতো নন অর্থাৎ অন্য কারোরই মতো নন। সুবহানাল্লাহ!
অতএব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পরেই শ্রেষ্ঠত্বের অধিকারিণী হচ্ছেন হযরত উম্মুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনারা। সুবহানাল্লাহ!
উনাদেরকে স্বয়ং খ¦ালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি উম্মতের মা হিসেবে ঘোষণা দিয়েছেন। যেমন ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
النَّبِيُّ أَوْلىٰ بِالْمُؤْمِنِينَ مِنْ أَنْفُسِهِمْ ۖ وَأَزْوَاجُهُ أُمَّهَاتُهُمْ
অর্থ: নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি এবং হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনারা মু’মিনদের নিকট নিজেদের জানের চেয়েও অধিক প্রিয় এবং নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি হচ্ছেন সমস্ত সৃষ্টির মহাসম্মানিত পিতা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এবং হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনারা হচ্ছেন সমস্ত সৃষ্টির মহাসম্মানিত মাতা আলাইহিন্নাস সালাম। সুবহানাল্লাহ!

অতএব, নিজেদের মা সম্পর্কে যারা কোনরূপ চু-চেরা, ক্বীল-ক্বাল করবে একদিক থেকে তারা মু’মিন-মুসলমান থেকে খারিজ হবে আরেকদিক থেকে তারা অবৈধ সন্তানরূপে গণ্য হবে। নাউযুবিল্লাহ!

#12shareef #Saiyidul_Aayaad_Shareef #সাইয়্যিদুল_আইয়াদ_শরীফ

সুন্নতি সামগ্রী সংগ্রহ করুনঃ https://sunnat.info https://fb.com/ispc12 https://fb.com/12ispc 
সরাসরি আজিমুশ শান ৬৩দিনব্যাপী মাহফিল শুনতে ভিজিট করুনঃ http://al-hikmah.net/

সুমহান সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ পালন করার কারণে মৃত্যুদণ্ড থেকে পরিত্রাণ লাভ

সুমহান সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ পালন করার কারণে মৃত্যুদণ্ড থেকে পরিত্রাণ লাভ
অনন্তকালব্যাপী মাহফিল উনার বিশেষ শান ৬৩ দিনব্যাপী মাহফিল উনার প্রতিষ্ঠাতা এবং পৃষ্ঠপোষকতায় সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুল ইমাম আলাইহিস সালাম
=====================

বর্ণিত রয়েছে, খলীফা আব্দুল মালিক ইবনে মারওয়ানের খিলাফাতকালে শামদেশের এক সুদর্শন যুবক সে ঘোড়ায় চড়ে খেলতেছিল। একদিন হঠাৎ সে তার ঘোড়ার পিঠ থেকে পড়ে যায়। অতঃপর ঘোড়ার পিঠে উঠলে ঘোড়াটি তাকে নিয়ে শাম দেশের পথে চলতে শুরু করে। ঘোড়াটিকে সে থামাতে সক্ষম হচ্ছিল না। অতঃপর ঘোড়াটি খলীফার দরজায় গিয়ে উপনীত হলো। তখন খলীফার ছেলেটি ঘোড়ার সামনে চলে আসলো এবং খলীফার ছেলেটিও ঘোড়াটিকে ফিরিয়ে রাখতে সক্ষম হলো না বরং সে ঘোড়ার দ্বারা আঘাতপ্রাপ্ত হয় এবং নিহত হয়। এই সংবাদ খলীফার নিকট পৌঁছলে খলীফা উক্ত যুবককে তার দরবারে উপস্থিত হওয়ার জন্য আদেশ করলো। খলীফার আদেশ যখন তার প্রতি ঘোষণা করা হলো, সেটা কঠিন বিপদ মনে করে সেই যুবক বললো যে, মহান আল্লাহ পাক তিনি যদি আমাকে এই কঠিন বিপদ থেকে উদ্ধার করেন তাহলে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সুমহান বিলাদত শরীফ উপলক্ষে আমি বড় করে ওলীমা বা খাবারের মজলিসের ব্যবস্থা করবো এবং তা (প্রতিবছর) জারী রাখবো। অতঃপর সেই যুবক খলীফার সমীপে উপস্থিত হলো এবং তার দিকে দৃষ্টি দিল। তখন হত্যা করার গোস্বা সত্ত্বেও খলীফা হেসে দিল। অতঃপর বললো, হে ব্যক্তি! তুমি কি জাদু করো? সে বললো, হে আমীরুল মু’মিনীন! মহান আল্লাহ পাক উনার কসম! আমি জাদু করি না। অতঃপর খলীফা বললো, আমি তোমার অপরাধ ক্ষমা করে দিলাম। অতএব, তুমি যা বলার তা আমাকে বলতে পারো। তখন সেই যুবক বললো, আমি নিয়ত করেছিলাম, মহান আল্লাহ পাক তিনি যদি আমাকে এই কঠিন বিপদ থেকে উদ্ধার করেন তাহলে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সুমহান বিলাদত শরীফ বা মীলাদ শরীফ উপলক্ষে ওলীমা মাহফিলের ব্যবস্থা গ্রহন করবো এবং প্রতিবছর তা জারী রাখবো। অতঃপর খলীফা পূনরায় বললো, আমি তোমাকে ক্ষমা করে দিলাম এবং তোমাকে সুমহান মীলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার উপলক্ষে এক হাজার স্বর্ণমুদ্রা হাদিয়া করলাম এবং আমার ছেলের হত্যার অপরাধ থেকেও মুক্তি দান করলাম। যুবক খলীফার দরবার থেকে মৃত্যুদন্ডেরর শাস্তি থেকে ক্ষমাপ্রাপ্ত হয়ে বের হলো এবং সুমহান মীলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বরকতে এক হাজার স্বর্ণ মুদ্রা গ্রহণ করলো। এ বিষয়টি যখন প্রকাশিত হলো, তখন যুবকের সমস্ত ভাই মনযোগী ও আগ্রহী হলো আদনান গোত্রের শ্রেষ্ঠতম সন্তান নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সুমহান বিলাদত শরীফ তথা মীলাদ শরীফ পালনের ব্যাপারে। কেননা উনার কারণেই সমস্ত রূহ ও দেহ সৃষ্টি হয়েছে এবং উনার সম্মানার্থে তারা লাভ করেছে জীবন, সম্পদ ও খাদ্য। 

মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদেরকে ও আপনাদেরকে উনার সম্মানিত নবী ও রসূল নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সুমহান বিলাদত বা মীলাদ শরীফ দায়িমীভাবে পালন করার তাওফীক দান করুন। এবং এ উদ্দেশ্যে সমস্ত দিনব্যাপী ও সময়ব্যাপী মাল সম্পদ খরচ করারও তাওফীক দান করুন। আমীন। (ইয়ানাতুত ত্বালিবীন: ৩য় খণ্ড-, পৃষ্ঠা নং ৬১৩)

#12shareef #Saiyidul_Aayaad_Shareef #সাইয়্যিদুল_আইয়াদ_শরীফ

সুন্নতি সামগ্রী সংগ্রহ করুনঃ https://sunnat.info https://fb.com/ispc12 https://fb.com/12ispc 
সরাসরি আজিমুশ শান ৬৩দিনব্যাপী মাহফিল শুনতে ভিজিট করুনঃ http://al-hikmah.net/

শ্রেষ্ঠ উম্মতদের দায়িত্ব কি?

শ্রেষ্ঠ উম্মতদের দায়িত্ব কি?
মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “তোমাদেরকে শ্রেষ্ঠ উম্মত হিসেবে মনোনীত করা হয়েছে, তোমরা সৎকাজের আদেশ করবে, অসৎ কাজে নিষেধ করবে, খালিছ ঈমান আনবে।” সুবহানাল্লাহ!
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার উম্মতদের শ্রেষ্ঠ উম্মত হিসেবে মহান আল্লাহ পাক তিনি মনোনীত করেছেন এবং উনাদেরকে দায়িত্ব দিয়ে দিয়েছেন যে, তোমরা খালিছভাবে ঈমান আনবে, সৎ কাজের আদেশ করবে, অসৎ কাজে নিষেধ করবে। যারা খালিছভাবে ঈমান আনতে পারবে না, সৎকাজের আদেশ করবে না। অসৎ কাজে নিষেধ করবে না, তাদের এই শ্রেষ্ঠত্ব থাকবে না। বরং তারা কাফিরদের মতো নিকৃষ্ট জীব হবে, বোবা শয়তান হবে, অনন্তকালের জন্য জাহান্নামী হবে। নাউযুবিল্লাহ!
মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ পাক উনার নিকট সবচেয়ে নিকৃষ্ট জীব হলো কাফিররা যারা ঈমান আনে না।” (পবিত্র সূরা আনফাল শরীফ : পবিত্র আয়াত শরীফ ৫৫)
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “ যে হক্ব কথা বলা থেকে চুপ থাকে, সে বোবা শয়তান।” নাউযুবিল্লাহ! শয়তান তো চির জাহান্নামী।
যারা ঈমানদার দাবি করে, তাদেরকে অবশ্যই পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র হাদীছ শরীফ উনাদের সম্মানিত আদেশ মুবারক ও সম্মানিত নিষেধ মুবারক বিশ্বাস করতে হবে। মানতে হবে এবং আমল করার কোশেশ করতে হবে। আর যারা কিছু মানবে, কিছু মানবে না তারা মুরতাদ হয়ে যায়। বর্তমানে বেশির ভাগ মুসলমানদের এরকম দেখা যায়। যার জন্য তারা ছবি মূর্তিকে ভাল মনে করে, বেপর্দাকে জায়িয মনে করে, কাফিরদের অনুসরণ করে, সরকার কাফিরদের প্রধান বিচারক বানায়, উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তা বানায় তারা প্রতিবাদ করে না। নাউযূবিল্লাহ! আবার সরকারের লোকজন কুরবানী আসলে কুরবানীর হাট কমানোর কোশেশ করে, বলে নির্দিষ্ট জায়গায় কুরবানী করতে হবে। নাউযুবিল্লাহ! মুসলমান হয়েও পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র হাদীছ শরীফ উনাদের বিরোধিতা করে। নাউযুবিল্লাহ! সরকারের দলের মধ্যে যারা মুসলমান রয়েছে, তাদের দায়িত্ব ছিল যে, প্রতি বছর কুরবানীর হাট বৃদ্ধি করা, মুসলমানরা যাতে সহজেই কুরবানী করতে পারে সেই ব্যবস্থা করে দেয়া, সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার শিক্ষা যাতে সমস্ত মুসলমান সহজেই শিখতে পারে, আমল করতে পারে, সেই ব্যবস্থা করে দেয়া এবং কাফির মুশরিকদের সমস্ত ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে কঠোর প্রতিবাদ করা, শক্ত অবস্থান নেয়া। কিন্তু তারা বিপরীতটা করে নিজেদেরকে মুরতাদ প্রমাণ করছে। নাউযুবিল্লাহ! 
এদের সম্পর্কে মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, হে ঈমানদারগণ! তোমাদের মধ্যে যারা মুরতাদ হয়ে গেছে, তাদের বাদ দিয়ে মহান আল্লাহ পাক তিনি নতুন এক ক্বওম আনবেন, যাদের তিনি মুহব্বত করবেন, তারাও মহান আল্লাহ পাক উনাকে মুহব্বত করবেন। তারা হবেন মু’মিনদের প্রতি দয়ালু এবং কাফিরদের প্রতি কঠোর। উনারা মহান আল্লাহ পাক উনার জন্য জিহাদ করবেন এবং কোন নিন্দুকের নিন্দায় ভয় করবেন না। ইহা মহান আল্লাহ পাক উনার অনুগ্রহ, যাকে ইচ্ছা দান করেন। বস্তুত মহান আল্লাহ পাক তিনি প্রাচুর্যময়, প্রজ্ঞাময়। সুবহানাল্লাহ! (পবিত্র সূরা মায়িদা শরীফ : পবিত্র আয়াত শরীফ ৫৫)
সুতরাং যারা মুরতাদের খাতায় নাম লিখিয়েছে তাদের মহান আল্লাহ পাক উনাকে ভয় করে খালিছ ইস্তেগফার তওবা করা উচিত। 
আর খালিছভাবে ঈমান এনে সৎকাজের আদেশ করা এবং অসৎ কাজে নিষেধ করা। নতুবা অতি শীঘ্রই এই ক্ষমতা চলে যাবে। মহান আল্লাহ পাক তিনি যেন সমস্ত মুসলমানদের খালিছভাবে ঈমান আনার, নেক কাজ করার, সমস্ত গুনাহ থেকে বেঁচে থাকার, সৎকাজের আদেশ করার, অসৎকাজে নিষেধ করার তাওফীক দান করেন। আমিন!

পবিত্র দ্বীন ইসলামকে নিয়ে কটূক্তিকারী ও অবমাননাকারীর শরয়ী শাস্তির বিধান

পবিত্র দ্বীন ইসলামকে নিয়ে কটূক্তিকারী ও অবমাননাকারীর শরয়ী শাস্তির বিধান
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে,
قَالَ حَدَّثَنَا ابْنُ عَبَّاسٍ، أَنَّ أَعْمَى، كَانَتْ لَهُ أُمُّ وَلَدٍ تَشْتُمُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم وَتَقَعُ فِيهِ فَيَنْهَاهَا فَلاَ تَنْتَهِي وَيَزْجُرُهَا فَلاَ تَنْزَجِرُ - قَالَ - فَلَمَّا كَانَتْ ذَاتَ لَيْلَةٍ جَعَلَتْ تَقَعُ فِي النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَتَشْتِمُهُ فَأَخَذَ الْمِغْوَلَ فَوَضَعَهُ فِي بَطْنِهَا وَاتَّكَأَ عَلَيْهَا فَقَتَلَهَا فَوَقَعَ بَيْنَ رِجْلَيْهَا طِفْلٌ فَلَطَخَتْ مَا هُنَاكَ بِالدَّمِ فَلَمَّا أَصْبَحَ ذُكِرَ ذَلِكَ لِرَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَجَمَعَ النَّاسَ فَقَالَ ‏"‏ أَنْشُدُ اللَّهَ رَجُلاً فَعَلَ مَا فَعَلَ لِي عَلَيْهِ حَقٌّ إِلاَّ قَامَ ‏"‏ ‏.‏ فَقَامَ الأَعْمَى يَتَخَطَّى النَّاسَ وَهُوَ يَتَزَلْزَلُ حَتَّى قَعَدَ بَيْنَ يَدَىِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَنَا صَاحِبُهَا كَانَتْ تَشْتِمُكَ وَتَقَعُ فِيكَ فَأَنْهَاهَا فَلاَ تَنْتَهِي وَأَزْجُرُهَا فَلاَ تَنْزَجِرُ وَلِي مِنْهَا ابْنَانِ مِثْلُ اللُّؤْلُؤَتَيْنِ وَكَانَتْ بِي رَفِيقَةً فَلَمَّا كَانَتِ الْبَارِحَةَ جَعَلَتْ تَشْتِمُكَ وَتَقَعُ فِيكَ فَأَخَذْتُ الْمِغْوَلَ فَوَضَعْتُهُ فِي بَطْنِهَا وَاتَّكَأْتُ عَلَيْهَا حَتَّى قَتَلْتُهَا ‏.‏ فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ أَلاَ اشْهَدُوا أَنَّ دَمَهَا هَدَرٌ
অর্থ: “হযরত ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, একজন হযরত ছাহাবী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু (উক্ত ছাহাবী রদ্বিয়াল্লাহু আনহু অন্ধ ছিলেন) উনার একটি দাসী ছিল। সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সুমহান শান মুবারকের খিলাফ বেয়াদবিমূলক কথাবার্তা বলতো সে দাসী। নাউযুবিল্লাহ! সেই ছাহাবী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি তাকে এরূপ করতে নিষেধ করতেন, কিন্তু সে তা মানতো না। উক্ত ছাহাবী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি তাকে ধমকাতেন, তবু সে তা থেকে বিরত হতো না। এমতাবস্থায় সে দাসী এক রাতে যখন সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার শান মুবারকের খিলাফ অমর্যাদাকর কথাবার্তা বলতে থাকে। নাউযুবিল্লাহ! তখন সেই ছাহাবী রদ্বিয়াল্লাহু আনহু তিনি একটি ছোরা নিয়ে তার পেটে প্রচ- আঘাত করেন, যার ফলে সে দাসী মারা যায়। এ সময় তার এক ছেলে তার পায়ের উপর এসে পড়ে, আর সে যেখানে বসে ছিল, সে স্থানটি রক্তাক্ত হয়ে যায়। পরদিন সকালে এ ব্যাপারে যখন সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নিকট আলোচনা হয়, তখন তিনি সকলকে একত্রিত করে বলেন, আমি মহান আল্লাহ পাক উনার নামে শপথ করে বলছি যে- আমি ওই ব্যক্তির সংবাদ নিবোই, যে এ কাজ করেছে। এবং এটা তার প্রতি আমার হক্ব। তাই যে ব্যক্তি তাকে হত্যা করেছে, সে যেন দাঁড়িয়ে যায়। সে সময় ওই অন্ধ ছাহাবী রদ্বিয়াল্লাহু আনহু তিনি লোকদের সারি ভেদ করে প্রকম্পিত অবস্থায় সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সামনে গিয়ে বসে পড়েন এবং বলেন- ইয়া রাসূলাল্লাহ্ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আমি তাকে হত্যা করেছি। সে আপনার সুমহান শান মুবারকের খিলাফ কটূক্তি ও গালি-গালাজ করতো। নাউযুবিল্লাহ! আমি তাকে এরূপ করতে নিষেধ করতাম ও ধমকাতাম। কিন্তু সে কর্ণপাত করতো না। ওই দাসী থেকে আমার দুটি সন্তান আছে, যারা মণি-মুক্তা সদৃশ এবং সেও আমার প্রিয় ছিল। কিন্তু গত রাতে সে যখন পুনরায় আপনার সম্পর্কে কটূক্তি ও আপত্তিকর কথা বলতে থাকে। নাউযুবিল্লাহ! তখন আমি আমার উপর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলি এবং ছোরা দিয়ে তার পেটে প্রচ- আঘাত করে তাকে হত্যা করি। তখন সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, তোমরা সাক্ষী থাক যে, ওই দাসীর রক্ত ক্ষতিপূরণের অযোগ্য বা মূল্যহীন।” (দলীল: সুনানে আবু দাউদ- কিতাবুল হুদুদ- বাবু হুকমু ফিমান সাব্বান নাব্যিয়্যি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম- হাদীছ নং ৪৩১০)
সুতরাং স্পষ্ট প্রমাণ হলো যারা সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মানহানী করে, তাদের মৃত্যুদ- দেয়া আবশ্যক। 
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি কটূক্তিকারীদের শাস্তি বিষয়ে আরো একটি পবিত্র হাদীছ শরীফ বর্ণিত আছে,
عَنْ عَلِيٍّ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ أَنَّ يَهُودِيَّةً، كَانَتْ تَشْتِمُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم وَتَقَعُ فِيهِ فَخَنَقَهَا رَجُلٌ حَتَّى مَاتَتْ فَأَبْطَلَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم دَمَهَا
অর্থ: “ইমামুল আউওয়াল, আমীরুল মু’মিনীন, খলীফাতুল মুসলিমীন, সাইয়্যিদুনা হযরত কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহূ আলাইহিস সালাম উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি জনৈকা ইহুদী নারী কটূক্তি ও গালি-গালাজ করতো। নাউযুবিল্লাহ মিন যালিক! এ কারণে কোনো এক ব্যক্তি শ্বাসরুদ্ধ করে তাকে মেরে ফেলেন। সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ওই নারীর খুনের বদলা বাতিল বলে ঘোষণা করেন।” সুবহানাল্লাহ! (সুনানে আবু দাউদ- কিতাবুল হুদুদ- হাদীছ নম্বর ৪৩১১)
আরো অসংখ্য পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে উনার পবিত্র শান মুবারক হানীকারীদের হত্যার শাস্তি উল্লেখ করা হয়েছে। আমাদের দেশ ৯৮% মুসলমান অধ্যুষিত দেশ। অথচ এদেশে প্রকাশ্যে এক শ্রেণীর লোক তারা সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার শান মুবারকে আজেবাজে কথা বলছে, ব্যাঙ্গ করছে, মিথ্যা অপবাদ দিচ্ছে। কিন্তু সরকারিভাবে এর বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থাই নেয়া হচ্ছে না। অপরদিকে ইন্টারনেট ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বিরুদ্ধে অপপ্রচারণা বা প্রোপাগান্ডা চালালে বা অবমাননা করলে সর্বোচ্চ যাবজ্জীবন কারাদ-, এক কোটি টাকা জরিমানা বা উভয় দ- দেয়া হবে বলে আইন আছে। তাহলে যিনি বর্তমান সরকারপ্রধান ও তার পিতা বঙ্গবন্ধুসহ সৃষ্টি জগতের সকলের রসূল, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মানহানীর শাস্তি কোথায়? কেন উনার মহাসম্মানিত শান মুবারক উনার হানীর শাস্তি মৃত্যুদ- আইন করা হচ্ছে না?

এক নজরে সাইয়্যিদাতুন নিসায়ি ‘আলাল ‘আলামীন, আফদ্বলুন নাস ওয়ান নিসা বা’দা রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আল হাদিয়াহ্ ‘আশার আলাইহাস সালাম উনার মহাসম্মানিত পরিচিতি মুবারক

এক নজরে সাইয়্যিদাতুন নিসায়ি ‘আলাল ‘আলামীন, আফদ্বলুন নাস ওয়ান নিসা বা’দা রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আল হাদিয়াহ্ ‘আশার আলাইহাস সালাম উনার মহাসম্মানিত পরিচিতি মুবারক


সাইয়্যিদাতুন নিসায়ি ‘আলাল ‘আলামীন, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আল হাদিয়াহ্ ‘আশার আলাইহাস সালাম তিনি হচ্ছেন মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের মধ্যে বিশেষ ব্যক্তিত্বা মুবারক। সুবহানাল্লাহ! তিনি শুধু যিনি খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি নন এবং নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি নন; এছাড়া সমস্ত শান-মান, ফাযায়িল-ফযীলত, বুযূর্গী-সম্মান মুবারক উনাদের অধিকারিণী হচ্ছেন তিনি। সুবহানাল্লাহ! উনার সম্মানিত মুহব্বত মুবারকই হচ্ছেন সম্মানিত ঈমান। সুবহানাল্লাহ! 
নিম্নে এক নজরে উনার মহাসম্মানিত পরিচিতি মুবারক তুলে ধরা হলো-

মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় ইসিম বা নাম মুবারক: সাইয়্যিদাতুনা হযরত রমলাহ্ আলাইহাস সালাম। সুবহানাল্লাহ!
সম্মানিত কুনিয়াত মুবারক: সইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মু হাবীবাহ্ আলাইহাস সালাম। সুবহানাল্লাহ! তিনি এই সম্মানিত কুনিয়াত মুবারকেই সকলের মাঝে পরিচিত ছিলেন। সুবহানাল্লাহ!
সম্মানিত লক্বব মুবারক: উম্মুল মু’মিনীন, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদাতুন নিসায়ি ‘আলাল আলামীন, আফদ্বলুন নাস ওয়ান নিসা বা’দা রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদাতু নিসায়ি আহলিল জান্নাহ, মুত্বহ্হার, মুত্বহ্হির, আছ ছমাদ, আত্ব ত্বাহিরাহ, আত্ব ত্বইয়্যিবাহ্, মালিকাতুল জান্নাহ, মালিকাতুল কায়িনাত, যাতুল হিজরাতাইন এছাড়াও আরো অসংখ্য-অগণিত। সুবহানাল্লাহ!
যেই সম্মানিত লক্বব মুবারক-এ সম্মানিত পরিচিতি মুবারক গ্রহণ করেছেন: মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আল হাদিয়াহ্ ‘আশার আলাইহাস সালাম। সুবহানাল্লাহ!
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র পিতা আলাইহিস সালাম: সাইয়্যিদুনা হযরত আবূ সুফিয়ান আলাইহিস সালাম। সুবহানাল্লাহ!
মহাসম্মানিতা ও মহাপবিত্রা মাতা আলাইহাস সালাম: সাইয়্যিদাতুনা হযরত ছফিয়্যাহ্ বিনতে আবিল ‘আছ আলাইহাস সালাম। সুবহানাল্লাহ!
সম্মানিত বংশ মুবারক: কুরাইশ। সুবহানাল্লাহ!
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ: আনুষ্ঠানিকভাবে মহাসম্মানিত নুবুওওয়াত ও রিসালত মুবারক প্রকাশের ১৭ বছর পূর্বে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ২৯শে জুমাদাল ঊলা শরীফ ইয়াওমুছ ছুলাছা’ শরীফ। সুবহানাল্লাহ!
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ করার সম্মানিত স্থান মুবারক: মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মক্কা শরীফ। সুবহানাল্লাহ!
সম্মানিত অবস্থান মুবারক: মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মক্কা শরীফ, সম্মানিত ও পবিত্র হাবশাহ শরীফ এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মদীনা শরীফ। সুবহানাল্লাহ!
আনুষ্ঠানিকভাবে সম্মানিত ঈমান মুবারক প্রকাশ: সম্মানিত ও পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার সূচনালগ্নে। সুবহানাল্লাহ!
সম্মানিত হিজরত মুবারক: দুইবার। প্রথবার সম্মানিত ও পবিত্র হাবশাহ শরীফ। দ্বিতীবার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মদীনা শরীফ। সুবহানাল্লাহ!
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে ‘আযীমুশ শান মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নিসবতে ‘আযীম শরীফ: ৭ম হিজরী শরীফ উনার ৩রা ছফর শরীফ লাইলাতু সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আইয়্যাম শরীফ (লাইলাতু ইছনাইনিল ‘আযীম শরীফ)। সুবহানাল্লাহ!
‘আযীমুশ শান মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নিসবতে ‘আযীম শরীফ অনুষ্ঠিত হওয়ার সময় দুনিয়াবী দৃষ্টিতে উনার সম্মানিত বয়স মুবারক: ৩৬ বছর ৮ মাস ৪ দিন। সুবহানাল্লাহ!
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত খিদমত মুবারক উনার আনজাম মুবারক দেয়া: ৪ বছর ১ মাস ৯ দিন। সুবহানাল্লাহ!
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিছালী শান মুবারক প্রকাশ: ৪৪ হিজরী শরীফ উনার ১৭ই শা’বান শরীফ ইয়াওমুল খমীস শরীফ। সুবহানাল্লাহ!
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিছালী শান মুবারক প্রকাশ করার সম্মানিত স্থান মুবারক: মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মদীনা শরীফ। সুবহানাল্লাহ!
দুনিয়ার যমীনে সম্মানিত অবস্থান মুবারক: ৭৩ বছর ২ মাস ১৮ দিন। সুবহানাল্লাহ!
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র রওযা শরীফ: মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র জান্নাতুল বাক্বী’ শরীফ। সুবহানাল্লাহ!

#12shareef #Saiyidul_Aayaad_Shareef #সাইয়্যিদুল_আইয়াদ_শরীফ

সুন্নতি সামগ্রী সংগ্রহ করুনঃ https://sunnat.info https://fb.com/ispc12 https://fb.com/12ispc 
সরাসরি আজিমুশ শান ৬৩দিনব্যাপী মাহফিল শুনতে ভিজিট করুনঃ http://al-hikmah.net/

মহান আল্লাহ পাক উনার এবং উনার হাবীব নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের ফায়সালা মুবারক অন্তরের অন্তঃস্থল থেকে মেনে নেয়া ফরযে আইন ।

মহান আল্লাহ পাক উনার এবং উনার হাবীব নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের ফায়সালা মুবারক অন্তরের অন্তঃস্থল থেকে মেনে নেয়া ফরযে আইন ।
খালিক মালিক রব মহান আল্লাহ তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-

ﻓَﻠَﺎ ﻭَﺭَﺑِّﻚَ ﻟَﺎ ﻳُﺆْﻣِﻨُﻮﻥَ ﺣَﺘَّﻰٰ ﻳُﺤَﻜِّﻤُﻮﻙَ ﻓِﻴﻤَﺎ ﺷَﺠَﺮَ ﺑَﻴْﻨَﻬُﻢْ ﺛُﻢَّ ﻟَﺎ ﻳَﺠِﺪُﻭﺍ ﻓِﻲ ﺃَﻧﻔُﺴِﻬِﻢْ ﺣَﺮَﺟًﺎ ﻣِّﻤَّﺎ ﻗَﻀَﻴْﺖَ ﻭَﻳُﺴَﻠِّﻤُﻮﺍ ﺗَﺴْﻠِﻴﻤًﺎ

অর্থ: মহান আল্লাহ পাক উনার কসম! তোমরা ততক্ষণ পর্যন্ত মু’মিন হতে পারবে না, যতক্ষণ পর্যন্ত তোমাদের জাহিরী এবং বাতেনী প্রত্যেক বিষয়ে মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে ফায়সালাকারী হিসেবে মেনে না নিবে। এবং আপনার ফায়সালা মুবারক উনার ব্যাপারে নিজের অন্তরে কোনো রকম সংশয় সন্দেহ না করে বাহ্যিক-অভ্যন্তরীণ উভয় দিক থেকে তা আনুগত্যতার সাথে মেনে নেয়ার মতো মেনে নিতে হবে। (পবিত্র সূরা নিসা শরীফ: আয়াত শরীফ - ৬৫)

অর্থাৎ মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যা হালাল করেছেন তা হালাল জানতে ও মানতে হবে। আর যা হারাম করেছেন তা হারাম জানতে ও মানতে হবে বাহ্যিক ও অভন্তরীণ উভয় দিক দিয়ে। এর খিলাফ যে করবে সে কখনোই মুসলমান থাকতে পারবে না।
এ প্রসঙ্গে পবিত্র হাদীছ শরীফ ও পবিত্র তাফসীর শরীফ উনাদের মধ্যে বর্ণিত রয়েছে, বিশর নামে এক ব্যক্তি মুসলমান দাবি করতো। কিন্তু কার্যক্ষেত্রে সে ছিল মুনাফিক। এ মুনাফিকের সাথে একবার এক ইহুদীর একটা বিষয়ে দ্বন্দ¦ হয়। সেটা ফায়সালার জন্য তারা উভয়ে খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার দরবার শরীফ হাযির হয়। খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বিষয়টি ফায়সালা করে দিলেন। ফায়সালার রায় ইহুদীর পক্ষে পড়লো। সেখানে তারা উভয়েই মেনে নিল। কিন্তু সেখান থেকে বের হয়ে এসে মুনাফিক ব্যক্তি ইহুদীকে বললো যে, ফায়সালাটি তার মনঃপুত হয়নি। নাউযুবিল্লাহ!

তাই সে ইহুদীকে বুঝিয়ে পুনরায় বিষয়টি ফায়সালার জন্য সাইয়্যিদুনা হযরত ফারূক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম উনার নিকট গেলো। সে মনে করেছিল, সাইয়্যিদুনা হযরত ফারূক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম তিনি কাফিরদের বিরুদ্ধে কঠোর। তিনি হয় তো ইহুদীর বিপক্ষে রায় দিবেন। সাইয়্যিদুনা হযরত ফারূক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম তিনি বিষয়টি শুনতে চাইলে ইহুদী প্রথমে বললো, হে সাইয়্যিদুনা হযরত ফারূক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম! আমাদের এ বিষয়টি কিছুক্ষণ পূর্বে যিনি খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনিই ফায়সালা করে দিয়েছেন। ফায়সালা আমার পক্ষে পড়েছে। কিন্তু এই ব্যক্তির নাকি সে ফায়সালা মনঃপুত হয়নি। যে কারণে সে পুনরায় আপনার কাছে এসেছে ফায়সালার জন্য। এটা শুনে সাইয়্যিদুনা হযরত ফারূক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম তিনি বললেন, তোমরা বসো, আমি ফায়সালা করে দিচ্ছি। এটা বলে তিনি উনার হুজরা শরীফের ভিতরে প্রবেশ করে বেশ কয়েকটি তরবারির মধ্যে থেকে সবচাইতে ধারালো তরবারিটি নিয়ে এসে মুসলমান নামধারী সেই মুনাফিককে এক কোপে দু’টুকরা করে বললেন, এটাই হচ্ছে তোমার একমাত্র ন্যায্য বিচার। ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়লো। মুনাফিক বিশরের আত্মীয়-স্বজনরা এসে খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার কাছে নালিশ করলো, ইয়া রসূলাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! সাইয়্যিদুনা হযরত ফারূক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম তিনি একজন মুসলমানকে হত্যা করেছেন। খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বললেন, উনার পক্ষে তো কোনো মুসলমানকে হত্যা করা সম্ভব নয়। অতঃপর উনাকে ডেকে এনে জিজ্ঞাসা করলেন, হে সাইয়্যিদুনা হযরত ফারূক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম! আপনি নাকি একজন মুসলমানকে হত্যা করেছেন, তিনি বললেন- ইয়া রসূলাল্লাহ! ইয়া হাবীবাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আমি কোনো মুসলমান হত্যা করিনি। আমি যাকে হত্যা করেছি সে হচ্ছে একটা কাট্টা মুনাফিক। যে আপনার ফায়সালাকৃত বিষয়কে মনঃপুত হয়নি বলে পুনরায় ফায়সালার জন্য আমার নিকট গিয়েছিল। তাই আমি ফায়সালা হিসাবে তার মৃত্যুদ- দিয়েছি। তখন বিশরের আত্মীয়-স্বজন বললো, ইয়া রসূল্লাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! বিশর যে মুনাফিক ছিল, মুসলমান ছিল না এর প্রমাণ ও সাক্ষী কোথায়? সেই মুহূর্তে খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি নিজেই সাক্ষী হয়ে প্রমাণ হিসেবে নাযিল করে দিলেন-

ﻓَﻠَﺎ ﻭَﺭَﺑِّﻚَ ﻟَﺎ ﻳُﺆْﻣِﻨُﻮﻥَ ﺣَﺘَّﻰٰ ﻳُﺤَﻜِّﻤُﻮﻙَ ﻓِﻴﻤَﺎ ﺷَﺠَﺮَ ﺑَﻴْﻨَﻬُﻢْ ﺛُﻢَّ ﻟَﺎ ﻳَﺠِﺪُﻭﺍ ﻓِﻲ ﺃَﻧﻔُﺴِﻬِﻢْ ﺣَﺮَﺟًﺎ ﻣِّﻤَّﺎ ﻗَﻀَﻴْﺖَ ﻭَﻳُﺴَﻠِّﻤُﻮﺍ ﺗَﺴْﻠِﻴﻤًﺎ
 
অর্থ: মহান আল্লাহ পাক উনার কসম! তোমরা ততক্ষণ পর্যন্ত মু’মিন হতে পারবে না, যতক্ষণ পর্যন্ত তোমাদের জাহিরী এবং বাতেনী প্রত্যেক বিষয়ে মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে ফায়সালাকারী হিসেবে মেনে না নিবে। এবং আপনার ফায়সালা মুবারক উনার ব্যাপারে নিজের অন্তরে কোনো রকম সংশয় সন্দেহ না করে বাহ্যিক-অভ্যন্তরীণ উভয় দিক থেকে তা আনুগত্যতার সাথে মেনে নেয়ার মতো মেনে নিতে হবে। (পবিত্র সূরা নিসা শরীফ: আয়াত শরীফ - ৬৫)

খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি পবিত্র আয়াত শরীফ তিলাওয়াত করে শুনিয়ে দিলেন, এখন বিশরের আত্মীয়-স্বজনসহ সকলেই জানলো যে, বিশর ছিল প্রকৃতপক্ষে মুনাফিক এবং তার মৃত্যুদ- দেয়া সঠিকই হয়েছে।

উপরোক্ত আলোচনা দ্বারা সুস্পষ্টভাবে প্রমাণিত হলো- মহান আল্লাহ পাক উনার এবং উনার হাবীব, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাত ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের ফায়সালা মুবারক মেনে না নেয়া হারাম। অর্থাৎ উনাদের ফায়সালা মুবারক অন্তরের অন্তঃস্থল হতে মেনে নেয়া ফরযে আইন।