হে মুসলিম আপনি- কোথায় থাকবেন, কার সাথে থাকবেন, কোন বিষয় থেকে দূরে থাকবেন?

প্রসিদ্ধ তারিখ ও সীরাত গ্রন্থসমূহে উল্লেখ রয়েছে, “নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি পবিত্র মক্কা শরীফ অবস্থান মুবারক করার সময় কতিপয় যুবক তারা সম্মানিত দ্বীন ইসলাম গ্রহণ করে। কিন্তু নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি যখন পবিত্র মদীনা শরীফ হিজরত মুবারক করলেন তখন ঐ সমস্ত যুবকদেরকে তাদের বাপ-দাদা ও বংশের লোকেরা বন্দী করে রাখে এবং দ্বীন ইসলাম পরিত্যাগের জন্য তাদের উপর নির্যাতন চালায়। এতে তারা ঈমান ধরে রাখতে না পেরে সম্মানিত দ্বীন ইসলাম ত্যাগ করে। নাউযূবিল্লাহ!

পরে তারা তাদের গোত্রের লোকদের সাথে বদর যুদ্ধে মুসলমানদের বিরুদ্ধে অংশগ্রহণ করে এবং ওই অবস্থায় তাদের মৃত্যু হয়।” তাদের সম্পর্কে মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র আয়াত শরীফ নাযিল করে ইরশাদ মুবারক করেন,


“নিশ্চয়ই যারা নিজেদের উপর যুলুম করে, তাদের প্রাণ গ্রহণের সময় হযরত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনারা বললেন, তোমরা কি অবস্থায় ছিলে? তারা বলে দুনিয়ায় আমরা অসহায় ছিলাম। তখন হযরত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনারা বলেন, দুনিয়া কি এমন প্রশস্ত ছিল না, যেখানে তোমরা হিজরত করতে পারতে? অবশ্যই তাদের আবাসস্থল জাহান্নাম আর তা খুবই মন্দ আবাস।” (পবিত্র সূরা নিসা শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ- ৯৭)

 প্রসঙ্গত, এখন মুসলমানরা দুনিয়াবী স্বার্থে বাবা-মাকে ত্যাগ করে অন্যত্র চলে যায়, স্ত্রীর মন রক্ষার্থে কিংবা সন্তানদের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে গ্রাম ছেড়ে শহরাঞ্চলে স্থানান্তরিত হয়। অনেকে দুনিয়াবী ফায়দার জন্য দূর দুরান্তে জমি কিনে সেখানেই আবাসন গড়ে ক্ষণস্থায়ী জীবনে একটু ভালো থাকার জন্য। এটা এখন খুব স্বাভাবিক ঘটনা। কিন্তু কোন মুসলমান কি তার মহামূল্যবান ঈমান হিফাজত করার জন্য বা দ্বীন ইসলাম উনার উপর ইস্তেক্বামাত থাকার জন্য কুফরিতে নিমজ্জিত বাবা মা পরিবারকে ত্যাগ করে অন্যত্র স্থানান্তরিত হয়? কুফরি শিরকি পরিবেশ ছেড়ে নেককার আল্লাহওয়ালা উনাদের কাছাকাছি স্থানান্তরিত হওয়ার চেষ্টা কোশেশ করে? এটা নজিরবিহীন। এর কারণ অনেক। তবে উল্লেখযোগ্য একটি কারণ হচ্ছে মুসলমানদের মধ্যে মুসলমানিত্ব অনুপস্থিত। মহামূল্যবান ঈমান তার কাছে মূল্যহীন। একারণেই তার উপর ঈমানী আঘাত আসলে সে তা অনুভব করেনা।

শেয়ার করুন
পূর্ববর্তী পোষ্ট
পরবর্তী পোষ্ট