শ্রেষ্ঠ উম্মতদের দায়িত্ব কি?

মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “তোমাদেরকে শ্রেষ্ঠ উম্মত হিসেবে মনোনীত করা হয়েছে, তোমরা সৎকাজের আদেশ করবে, অসৎ কাজে নিষেধ করবে, খালিছ ঈমান আনবে।” সুবহানাল্লাহ!
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার উম্মতদের শ্রেষ্ঠ উম্মত হিসেবে মহান আল্লাহ পাক তিনি মনোনীত করেছেন এবং উনাদেরকে দায়িত্ব দিয়ে দিয়েছেন যে, তোমরা খালিছভাবে ঈমান আনবে, সৎ কাজের আদেশ করবে, অসৎ কাজে নিষেধ করবে। যারা খালিছভাবে ঈমান আনতে পারবে না, সৎকাজের আদেশ করবে না। অসৎ কাজে নিষেধ করবে না, তাদের এই শ্রেষ্ঠত্ব থাকবে না। বরং তারা কাফিরদের মতো নিকৃষ্ট জীব হবে, বোবা শয়তান হবে, অনন্তকালের জন্য জাহান্নামী হবে। নাউযুবিল্লাহ!
মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ পাক উনার নিকট সবচেয়ে নিকৃষ্ট জীব হলো কাফিররা যারা ঈমান আনে না।” (পবিত্র সূরা আনফাল শরীফ : পবিত্র আয়াত শরীফ ৫৫)
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “ যে হক্ব কথা বলা থেকে চুপ থাকে, সে বোবা শয়তান।” নাউযুবিল্লাহ! শয়তান তো চির জাহান্নামী।
যারা ঈমানদার দাবি করে, তাদেরকে অবশ্যই পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র হাদীছ শরীফ উনাদের সম্মানিত আদেশ মুবারক ও সম্মানিত নিষেধ মুবারক বিশ্বাস করতে হবে। মানতে হবে এবং আমল করার কোশেশ করতে হবে। আর যারা কিছু মানবে, কিছু মানবে না তারা মুরতাদ হয়ে যায়। বর্তমানে বেশির ভাগ মুসলমানদের এরকম দেখা যায়। যার জন্য তারা ছবি মূর্তিকে ভাল মনে করে, বেপর্দাকে জায়িয মনে করে, কাফিরদের অনুসরণ করে, সরকার কাফিরদের প্রধান বিচারক বানায়, উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তা বানায় তারা প্রতিবাদ করে না। নাউযূবিল্লাহ! আবার সরকারের লোকজন কুরবানী আসলে কুরবানীর হাট কমানোর কোশেশ করে, বলে নির্দিষ্ট জায়গায় কুরবানী করতে হবে। নাউযুবিল্লাহ! মুসলমান হয়েও পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র হাদীছ শরীফ উনাদের বিরোধিতা করে। নাউযুবিল্লাহ! সরকারের দলের মধ্যে যারা মুসলমান রয়েছে, তাদের দায়িত্ব ছিল যে, প্রতি বছর কুরবানীর হাট বৃদ্ধি করা, মুসলমানরা যাতে সহজেই কুরবানী করতে পারে সেই ব্যবস্থা করে দেয়া, সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার শিক্ষা যাতে সমস্ত মুসলমান সহজেই শিখতে পারে, আমল করতে পারে, সেই ব্যবস্থা করে দেয়া এবং কাফির মুশরিকদের সমস্ত ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে কঠোর প্রতিবাদ করা, শক্ত অবস্থান নেয়া। কিন্তু তারা বিপরীতটা করে নিজেদেরকে মুরতাদ প্রমাণ করছে। নাউযুবিল্লাহ! 
এদের সম্পর্কে মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, হে ঈমানদারগণ! তোমাদের মধ্যে যারা মুরতাদ হয়ে গেছে, তাদের বাদ দিয়ে মহান আল্লাহ পাক তিনি নতুন এক ক্বওম আনবেন, যাদের তিনি মুহব্বত করবেন, তারাও মহান আল্লাহ পাক উনাকে মুহব্বত করবেন। তারা হবেন মু’মিনদের প্রতি দয়ালু এবং কাফিরদের প্রতি কঠোর। উনারা মহান আল্লাহ পাক উনার জন্য জিহাদ করবেন এবং কোন নিন্দুকের নিন্দায় ভয় করবেন না। ইহা মহান আল্লাহ পাক উনার অনুগ্রহ, যাকে ইচ্ছা দান করেন। বস্তুত মহান আল্লাহ পাক তিনি প্রাচুর্যময়, প্রজ্ঞাময়। সুবহানাল্লাহ! (পবিত্র সূরা মায়িদা শরীফ : পবিত্র আয়াত শরীফ ৫৫)
সুতরাং যারা মুরতাদের খাতায় নাম লিখিয়েছে তাদের মহান আল্লাহ পাক উনাকে ভয় করে খালিছ ইস্তেগফার তওবা করা উচিত। 
আর খালিছভাবে ঈমান এনে সৎকাজের আদেশ করা এবং অসৎ কাজে নিষেধ করা। নতুবা অতি শীঘ্রই এই ক্ষমতা চলে যাবে। মহান আল্লাহ পাক তিনি যেন সমস্ত মুসলমানদের খালিছভাবে ঈমান আনার, নেক কাজ করার, সমস্ত গুনাহ থেকে বেঁচে থাকার, সৎকাজের আদেশ করার, অসৎকাজে নিষেধ করার তাওফীক দান করেন। আমিন!

শেয়ার করুন
পূর্ববর্তী পোষ্ট
পরবর্তী পোষ্ট