মুসলমান পুরুষদের জন্য দাড়ি রাখা ফরয।

এক মুষ্ঠির নিচে দাড়ি ছাঁটা, কাটা কিংবা মু-ন করা হারাম ও কবীরাহ গুনাহ। সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার থেকে আরম্ভ করে হযরত আদম আলাইহিস সালাম উনার পর্যন্ত যত হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম এবং যত ওলী-আউলিয়ায়ে কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিম অতীত হয়েছেন উনারা সকলেই দাড়ি মুবারক রেখেছেন। সুবহানাল্লাহ!
স্বয়ং নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “তোমরা দাড়ি লম্বা করো এবং মোচকে খাট করো।” (মিশকাত শরীফ)
তিনি আরো ইরশাদ মুবারক করেন, “তোমরা মুশরিকদের বিরোধিতার জন্য দাড়ি বড় করো এবং মোচ খাট করো।” (বুখারী শরীফ ও মুসলিম শরীফ)
তিনি আরো ইরশাদ মুবারক করেন, “দশটি কাজ ফিতরাতের অন্তর্ভুক্ত। তন্মধ্যে দুটি হচ্ছে মোচ কাটা ও দাড়ি রাখা।” (আবূ দাউদ শরীফ)
দাড়ি মুসলমান পুরুষদের খুছুছিয়াত শিআর বা বৈশিষ্ট্যের অন্তর্ভুক্ত। চিবুক ও উভয় গালের চুলকে দাড়ি বলে। সম্পূর্ণ দাড়ি মু-ানো অথবা কিছু দাড়ি রেখে দেয়া হারাম। এক মুষ্ঠির অপেক্ষা বর্ধিত দাড়ি কেটে ফেলা জায়িয রয়েছে। আর যদি দাড়ি খুব বেশি লম্বা হয়ে যায় তবে এক মুষ্ঠি রেখে অতিরিক্ত দাড়ি কেটে ফেলা উত্তম।
দাড়ি ছেটে কেটে সুন্দর করে এক মুষ্ঠি পরিমাণ রাখা এবং যে সমস্ত দাড়ি অন্য দাড়ির চেয়ে বেড়ে যায় তা কেটে সমান করে রাখা সুন্নত। ঠোটের নিচের দাড়ি যাকে নিম দাড়ি বলা হয় তা কাটা, ছাঁটা ও মু-ন করাও হারাম।
এক মুষ্ঠির নিচে দাড়ি কাটা, ছাটা ও মু-ন করা হচ্ছে হারাম। আর হারাম থেকে বেঁচে থাকা হচ্ছে ফরয। তাই পুরুষের জন্য কমপক্ষে এক মুষ্ঠি দাড়ি রাখতেই হবে। এটা শুধু সুন্নতই নয়; বরং ফরয।

দৈনন্দিন জীবনকে পরিপূর্ণ সুন্নতী সাজে সাজাতে চলে আসুন- আন্তর্জাতিক মহাপবিত্র সুন্নত মুবারক প্রচারকেন্দ্রে”
ঠিকানা: সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ গেট, ৫/১ আউটার সার্কুলার রোড, রাজারবাগ শরীফ, ঢাকা ১২১৭।
অথবা কল করুন- 
☎️+8801782 255 244
🌐ভিজিট করুন: https://sunnat.info

শেয়ার করুন
পূর্ববর্তী পোষ্ট
পরবর্তী পোষ্ট