অপরদিকে যে ব্যক্তি উনাদের বিরোধিতা করবে, উনাদের প্রতি বিদ্বেষ পোষণ করবে, সে হালাক (ধ্বংস) হয়ে যাবে, ইহকাল ও পরকালে লাঞ্ছিত হবে, সে বেঈমান হয়ে মারা যাবে, আকৃতি-বিকৃতি হয়ে মারা যাবে, মহান আল্লাহ পাক উনার রহমত মুবারক হতে বঞ্চিত হবে এবং দুনিয়াতে থাকতেই তার ঠিকানা হবে জাহান্নাম। নাঊযুবিল্লাহ!
যেমন এ প্রসঙ্গে একটি ঘটনা উল্লেখ রয়েছে, এক ব্যক্তি যখন কোনো ওলীআল্লাহগণ উনাদেরকে দেখতো, তখন সে ঘৃণা করে ও বিদ্বেষ পোষণ করে উনাদের থেকে মুখ ঘুরিয়ে রাখতো এবং উনাদের বিরোধিতা করতো। নাঊযুবিল্লাহ! যখন তার মৃত্যু হলো তার মুখ ক্বিবলা থেকে বিমুখ ছিলো, কোনোমতেই ক্বিবলার দিকে ঘুরছিলো না। বহু প্রকারের চেষ্টা চালানো হলো কিন্তু কোনো ফল হলো না। এই দৃশ্য দেখে সমস্ত লোকেরা আশ্চর্য হয়ে গেলো। অবশেষে গায়েব হতে আওয়াজ এলো, ওহে বান্দাগণ! তোমরা অযথা কষ্ট করো না, এই লোক জীবিতাবস্থায় আমার সম্মানিত ওলীগণ উনাদেরকে দেখে সে ঘৃণা করতো, উনাদের প্রতি বিদ্বেষ পোষণ করতো এবং উনাদের থেকে মুখ ফিরিয়ে রাখতো; আজ আমিও আমার রহমত মুবারক তার থেকে ফিরিয়ে রেখেছি এবং বহিষ্কৃতদের তালিকায় তার নাম লিখেছি। কাল-ক্বিয়ামতের ময়দানে তাকে ভাল্লুকের চেহারায় উত্তোলন করা হবে। নাঊযুবিল্লাহ!
উক্ত ঘটনা থেকে সকল বান্দা-বান্দীর জন্য ইবরত-নছীহত হচ্ছে- সর্বাবস্থায় মহান আল্লাহ পাক উনার মহাসম্মানিত ওলীগণ উনাদেরকে মুহব্বত করা এবং উনাদের প্রতি সুধারণা পোষণ করা। কোনো প্রকারেই উনাদের প্রতি বিদ্বেষ পোষণ করা যাবে না, উনাদের বিরোধিতা করা যাবে না এবং উনাদের থেকে বিমুখ হওয়া যাবে না।