নিয়ামত নিয়ে একটু চিন্তা করুন!

নিয়ামত নিয়ে একটু চিন্তা করুন!

নিয়ামত নিয়ে একটু চিন্তা করুন!

যেমন, মহান আল্লাহ পাক ইরশাদ মুবারক করেন,
وَاذْكُرُوا نِعْمَتَ اللَّهِ عَلَيْكُمْ
অর্থ: তোমরা আল্লাহ পাক উনার নিয়ামতের কথা স্মরন করো ( পবিত্র আল ইমরান শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ১০৩)
অন্যত্রে , মহান আল্লাহ পাক ইরশাদ মুবারক করেন,
وَإِن تَعُدُّوا نِعْمَةَ اللَّهِ لَا تُحْصُوهَا ۗ إِنَّ اللَّهَ لَغَفُورٌ رَّحِيمٌ

অর্থ: যদি আল্লাহর নেয়ামত গণনা কর, শেষ করতে পারবে না। নিশ্চয় আল্লাহ ক্ষমাশীল, দয়ালু। ( পবিত্র সূরা নহল শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ১৮)

একটু চিন্তা করুন, মহান আল্লাহ পাক! আপনি আমাকে কতটুকু নিয়ামত দিয়েছেন ? সেটা কিন্তু বলে শেষ করা যাবে না। এক কথায় বলতে হয় যে, মহান আল্লাহ পাক আমাদেরকে নিয়ামত উনার সাগরে ডুবিয়ে রাখছেন। সুবহানাল্লাহ!

একথা বলার অপেক্ষা রাখে না যে, আপনি আমি ও সারা কায়িনাত যে নিয়ামত পেয়েছি সেই সব নিয়ামত উনার মধ্যে সব চেয়ে বড় ও সর্বোত্তম নিয়ামত হচ্ছেন হাবীবুল্লাহ হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি । সুবহানাল্লাহ!

আর আল্লাহ পাক বারবার বলেছেন, সে নিয়ামত তথা হাবীবুল্লাহ হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার আলোচনা মুবারক করতে, এবং এ নিয়ামত এতবড় নিয়ামত যে, যা আলোচনা ছানা সিফত করে শেষ করা যাবে না। সুবহানাল্লাহ!

সেই মহান নিয়ামত উনার আগমন উপলক্ষে আলোচনা ও ছানা সিফত করার উদ্দেশ্যে আয়োজন করা হয়েছে ৯০ দিনব্যাপী বিশেষ মাহফিল। সুবহানাল্লাহ!

স্থান: যোগাযোগের ঠিকানা: ৫/১ আউটার সারকুলার 
রোড, রাজারবাগ শরীফ, ঢাকা -১২১৭ ।


অতএ দুনিয়ার সমস্ত জীন-ইনসান সকলের দায়িত্ব এবং কর্তব্য হচ্ছে উক্ত মাহফিলে শারীরিক এবং আর্থিক খেদমতের আনজাম দেয়া ।
শরীক হতে বিকাশ, 01718740742

90-Days Azimushshan Mahfil Honorary Founding Patrons:
======================
Saiyiduna Mamduh Hazrat Murshid Qibla
Alaihis Salam who is the respected Shaykh
Rajarbag Dorbar Shareef.


A wonderful event in history happening in Bangladesh: 90 days long mahfil

বিস্তারিত জানুন: SM40.com
সুন্নতী সামগ্রীর বিপুল সমাহার: Sunnat.info
#90DaysMahfil

অন্তর দিয়ে চিন্তা করুন! আপনাকেই বলছি!

অন্তর দিয়ে চিন্তা করুন! আপনাকেই বলছি!
অন্তর দিয়ে চিন্তা করুন!
আপনাকেই বলছি! 
=============================

আপনি যদি কোটি বছর‌ও "লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ" কালিমা শরীফ পাঠ করেন তারপরেও আপনি ঈমানদার হতে পারবেন না ! 
যতক্ষণ না আপনি নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি ঈমান আনবেন অর্থাৎ, "মুহম্মদুর রসূলুল্লাহ" (ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) পাঠ না করবেন।

এখন‌, আসুন আমি যে বিষয়টি বুঝাতে চাচ্ছি সেটা হলো , সেই হাবীব, মাহবুব হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার আগমনে খুশি প্রকাশ করবো সেটা কিভাবে বিদয়াত বা নাযায়েজ হতে পারে ? 

বিনা দলিলে জায়েজ তো অবশ্যই বরং ফরজ ওয়াজিব উনার অন্তর্ভুক্ত। 

তাই বলি এই সব বিদয়াত নাজায়েজ না বলে নবীজী উনাকে পাওয়ার কারনে খুশি প্রকাশ করে সর্বোচ্চ খরচ করুন 'হলফ' করে বলতে পারি নিঃসন্দেহে দুনিয়া ও আখিরাতে সর্বোচ্চ কামিয়াবি লাভ করবেন এতে কোন সন্দেহ নেই । ইনশাআল্লাহ!

বিশেষ দাওয়াত!!!
খুশি মুবারক প্রকাশ করে ঢাকা রাজারবাগ দরবার শরীফে ৯০ দিন ব্যাপী বিশেষ মাহফিল উনার আয়োজন করা হয়েছে। 

উক্ত নিয়ামতপূর্ণ মাহফিলে আর্থিক ও শারীরিক খেদমতের আনজাম দিয়ে সর্বোচ্চ কামিয়ামী হাসিল করুন । বিকাশ, 01718740742

90-Days Azimushshan Mahfil Honorary Founding Patrons:
======================
Saiyiduna Mamduh Hazrat Murshid Qibla
Alaihis Salam who is the respected Shaykh
Rajarbag Dorbar Shareef.

بنگلہ دیش میں رونما ہونے والا تاریخ کا ایک شاندار واقعہ: ٩٠ دن طویل محفل
A wonderful event in history happening in Bangladesh: 90 days long mahfil

বিস্তারিত জানুন: SM40.com
সুন্নতী সামগ্রীর বিপুল সমাহার: Sunnat.info
#90DaysMahfil 

#90DaysMahfil

#90DaysMahfil
পবিত্র সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ তথা ঈদে মীলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এমন সর্বশ্রেষ্ঠতম ঈদ যেখানে রয়েছে দায়িমী ছলাত মুবারক, যা স্বয়ং মহান আল্লাহ পাক তিনি পাঠ করেন।

#90DaysMahfil | SM40.COM | Sunnat.info

কত সুনছীব সকল মানব জাতির। আপনি যেমনই হন না কেন কাল কবরে অবশ্যই অবশ্যই নবীজীর সাক্ষাৎ পাবেনই পাবেন।

কত সুনছীব সকল মানব জাতির। আপনি যেমনই হন না কেন কাল কবরে অবশ্যই অবশ্যই নবীজীর সাক্ষাৎ পাবেনই পাবেন।
রহমতের নবীর আশেকেরা আপনার মৃত্যুর পর কবরে আপনি কি বিষয়ে জিজ্ঞাসিত হবেন?
সাধারণত আমরা জানি কবরে ৩ টি প্রশ্ন করা হবে। 
مَنْ رَبُّكَ وَمَا دِينُكَ وَمَنْ نَبِيُّكَ
তোমর রব কে? তোমর দ্বীন কি? তোমার নবী কে? (সুনানে আবু দাউদ ৪৭৫৩, তিরমিযী ৩১২০)

এই হাদীছ শরীফটি যাদিও সহী কিন্তু সহীহাইন বা বুখারী শরীফ, মুসলিম শরীফে নেই। বুখারী শরীফ এবং মুসলিম শরীফে আবার ৩ টি প্রশ্ন নেই। প্রশ্ন মাত্র ১ টাই। সে প্রশ্নটা হচ্ছে,
مَا كُنْتَ تَقُولُ فِي هَذَا الرَّجُلِ لِمُحَمَّدٍ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ
সম্মানিত রসূল হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সম্পর্কে তুমি কি বলতে? অর্থাৎ কি আক্বীদা রাখতে? 
فَأَمَّا المُؤْمِنُ، فَيَقُولُ: أَشْهَدُ أَنَّهُ عَبْدُ اللَّهِ وَرَسُولُهُ
তখন মু’মিন ব্যক্তি বলবে, আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, তিনি আল্লাহ পাকের হাবীব এবং উনার রসূল। (বুখারী শরীফ ১৩৭৪, মুসলিম শরীফ ২৮৭০)

অর্থাৎ মূল বিষয়ই হচ্ছে নবীজী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে চেনা, উনার মারিফত মুহবব্ত অর্জন করা, উনার প্রতি বিশুদ্ধ আক্বীদা রাখা। যারা দুনিয়াতে উনার প্রতি ভালো আক্বীদা রাখতো তাদের জন্যই উত্তর দেয়া সহজ হবে, অন্য কোন প্রশ্নই তাদের আর আটকাতে পারবে না। 
কত সুনছীব সকল মানব জাতির। আপনি যেমনই হন না কেন কাল কবরে অবশ্যই অবশ্যই নবীজীর সাক্ষাৎ পাবেনই পাবেন। শুধু উনাকে ভালোবাসুন, উনার তাযিম ও সম্মান করুন, দরূদ ও সালামে জবানকে সিক্ত রাখুন, উনার আলোচনা করুন… তাহলেইতো সুসংবাদ!
#90DaysMahfil 
Sm40.com

সকল মুসলিম ব্যবসায়ী ভাইদের বিশেষ দৃষ্টি আকর্ষণ

সকল মুসলিম ব্যবসায়ী ভাইদের বিশেষ দৃষ্টি আকর্ষণ
সকল মুসলিম ব্যবসায়ী ভাইদের বিশেষ দৃষ্টি আকর্ষণ
===================================
সকল মুসলিম ব্যবসায়ী ভাইদের বিশেষ দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলছি, আসছে পবিত্র সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ তথা ঈদে মীলাদে হাবীবুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উপলক্ষে আপনারা আপনাদের পণ্যে বিশেষ ছাড় দিন। কাস্টমারকে আকৃষ্ট করুন।

আমি হলফ করে বলতে পারি, এ ধারায় যদি আপনারা ব্যবসা চালু করতে পারেন, তবে পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে আপনাদের ব্যবসায় যত লাভ হয়, পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষে আপনাদের ব্যবসায় যত লাভ হয়, তার থেকে অনেক অনেক বেশি লাভ হবে পবিত্র ঈদে মীলাদে হাবীবুল্লাহ (ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) উপলক্ষে ব্যবসা করলে। সুবহানাল্লাহ।

কেননা: ঈদুল ফিতর উনার আনন্দ হচ্ছে ফেতরা দেওয়াকে কেন্দ্র করে,
ঈদুল আযহা উনার আনন্দ হচ্ছে পবিত্র কুরবানী বা ত্যাগের আনন্দকে কেন্দ্র করে,
কিন্তু ঈদে মীলাদে হাবীবুল্লাহ (ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) উনার আনন্দ হচ্ছে স্বয়ং আমাদের নবীজি (ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) উনার আগমন মুবারককে কেন্দ্র করে।

সুতরাং নিঃসন্দেহে ঈদে মীলাদে হাবীবুল্লাহ (ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) উনার খুশি-আনন্দ সব কিছুকে অতিক্রম করবে।

পরিশেষে বলতে হয়, আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন,

وما ارسلناك الا رحمة للعالمين

অর্থ: “আমি আপনাকে সারা আলম-এর জন্য রহমতস্বরূপ প্রেরণ করেছি।” ( পবিত্র সূরা আম্বিয়া শরীফ : পবিত্র আয়াত শরীফ ১০৭)

তাই মূল রহমত উনার আগমন মুবারককে কেন্দ্র করে যা কিছুই করবেন, তাতে আপনার ব্যাবসায়ীক সাফল্য অসংখ্য গুন বেশি হবে তাতে কোন সন্দেহ নাই।
মহান আল্লাহ পাক তিনি প্রত্যেক মুসলিম ব্যবাসায়ী ভাইকে সাইয়্যিদুল আইয়াদ শরীফ তথা ঈদে মীলাদে হাবীবুল্লাহ (ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) উপলক্ষে বিশেষ ব্যবসায়ীক কার্যক্রম গ্রহণ করার তৌফিক দান করুন। আমিন।


sm40.com
sunnat.info
#90daysMahfil

বর্তমান সঙ্কট থেকে মুসলিম জাতির পরিত্রাণের একমাত্র উপায় হচ্ছে, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সুমহান শান মুবারক এ সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ তথা ঈদে মীলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন করা।

বর্তমান সঙ্কট থেকে মুসলিম জাতির পরিত্রাণের একমাত্র উপায় হচ্ছে, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সুমহান শান মুবারক এ সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ তথা ঈদে মীলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন করা।

বর্তমান সঙ্কট থেকে মুসলিম জাতির পরিত্রাণের একমাত্র উপায় হচ্ছে, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সুমহান শান মুবারক এ সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ তথা ঈদে মীলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন করা।
====================================
বর্তমান সঙ্কট থেকে সারা বিশ্বের মুসলিম জাতির পরিত্রাণের একমাত্র উপায় হচ্ছে সারা পৃথিবব্যিাপী হাক্বীক্বীভাবে সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ তথা হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বেলাদত শরীফ উনার সম্মানার্থে উনার সুমহান শান মুবারকে সর্বেশ্রেষ্ট খুশি মুবারক প্রকাশ করা অর্থাৎ ঈদে মীলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন করা।

সারা বিশ্বে আজ মুসলমানরা নির্যাতিত ও পর্যুদস্ত, এর কারণ-মুসলমানরা রহমত থেকে দূরে সরে গেছে। মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন,

وما ارسلناك الا رحمة للعالمين

অর্থ: “আমি আপনাকে সারা আলম-এর জন্য রহমতস্বরূপ (নবীজি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) প্রেরণ করেছি।” (পবিত্র সূরা আল আম্বিয়া শরীফ : পবিত্র আয়াত শরীফ ১০৭)

আমরা বর্তমান জামানার উম্মতরা নবীজি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সেই রহমতকে গ্রহণ করতে পারিনি। অথচ ইতিহাস ঘাটলে পাওয়া যাবে, পূর্ববর্তী মুসলমানরা সেই রহমত গ্রহণ করার কারণেই সফলতা অর্জন করেছিলো।

আপনারা সবাই নিশ্চয়ই হযরত সুলতান সালাউদ্দিন আইয়ুবী রহমতুল্লাহি আলাইহি’র নাম জানেন। তিনি একাই সকল খ্রিস্টান ক্রসেডারদের নাকানি-চুবানি দিয়েছিলেন। মহান আল্লাহ তায়ালা’র পক্ষ থেকে অবশ্যই হযরত সুলতান সালাউদ্দিন আইয়ুবী রহমতুল্লাহি আলাইহি’র উপর বিশেষ রহমত এসেছিলো। কিন্তু ইতিহাস বলে, সুলতান সালাউদ্দিন আইয়ুবী রহমতুল্লাহি আলাইহি’র সেই রহমতের উৎস হচ্ছে: তিনি পুরো মুসলিম সালতানাতে ঈদে মীলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ব্যাপকভাবে চালু করেছিলেন। সুবহানাল্লাহ।

এবং ঐ সাইয়্যিদুল আইয়াদ তথা ঈদে মীলাদে হাবীবুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন করার কারণে উনার প্রতি নবীজি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার খাস রহমত মুবারক তথা গায়েবী মদদ নাজিল হতো। সুবহানাল্লাহ।

শুূধূ তাই না পূর্ববর্তী জামানাই ও মুসলমানরা পবিত্র ঈদে মীলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন করার মাধ্যমে নিরাপত্তা ও স্বস্তি, জীবিকার মানোন্নয়ন, শিশু ও সম্পদ বৃদ্ধি এবং শহরের শান্তি ও উনাদের সাফল্য অর্জন করতেন।

যেমন হাফিজুল হাদীছ আবুল ফয়েয হযরত আব্দুর রহমান ইবনুল জাওযী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি লিখেন,

لَازَالَ اَهْلُ الْـحَرَمَيْنِ الشَّرِيْفَيْنِ وَالْـمِصْرِ وَالْيَمَنِ وَالشَّامِ وَسَائِرِ بِلَادِ الْعَرَبِ مِنَ الْـمَشْرِقِ وَالْـمَغْرِبِ يَـحْتَفِلُوْنَ بِـمَجْلِسِ مَوْلِدِ النَّبِىّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَيَفْرَحُوْنَ بِقُدُوْمِ هِلَالِ رَبِيْعِ الْاَوَّلِ وَيَغْتَسِلُوْنَ وَيَلْبَسُوْنَ الثّيَابَ الْفَاخِرَةَ وَيَتَزَيّـِنُوْنَ بِاَنْوَاعِ الزّيْنَةِ وَيَتَطَيّـِبُوْنَ وَيَكْتَحِلُوْنَ وَيَأْتُوْنَ بِالسُّرُوْرِ فِىْ هٰذِهِ الْاَيَّامِ وَيَبْذُلُوْنَ عَلَى النَّاسِ بِـمَا كَانَ عِنْدَهُمْ مِنَ الْـمَضْرُوْبِ وَالْاَجْنَاسِ وَيَهْتَمُّوْنَ اِهْتِمَامًا بَلِيْغًا عَلَى السّمَاعِ وَالْقِرَاءَةِ لِـمَوْلِدِ النَّبِىّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَيَنَالُوْنَ بِذَالِكَ اَجْرًا جَزِيْلًا وَفَوْزًا عَظِيْمًا.

অর্থ : “হারামাইন শরীফাইন, মিশর, ইয়ামেন, সিরিয়া এবং পূর্ব থেকে পশ্চিম পর্যন্ত আরবের সকল শহর ও নগরের অধিবাসীদের মধ্যে অব্যাহতভাবে এ নিয়ম চলে আসছে যে, তারা নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র মীলাদ শরীফ উনার অনুষ্ঠান করেছেন। পবিত্র রবীউল আউওয়াল শরীফ উনার নতুন চাঁদের আগমনে আনন্দিত হন, গোসল করেন, দামী পোশাক পরিধান করেন, নানা প্রকার সাজ-সজ্জা করেন, সুগন্ধি ব্যবহার করেন, সুরমা লাগান, এই দিনগুলোতে আনন্দ উৎসব করেন, ধন-সম্পদ, টাকা-পয়সা মানুষের মধ্যে বিলিয়ে দেন এবং অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে পবিত্র মীলাদ শরীফ পাঠ ও শ্রবণের ব্যবস্থা করে অধিক ছাওয়াব এবং বিরাট সাফল্য অর্জন করেন। উনারা পবিত্র ঈদে মীলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন করে যে নিরাপত্তা ও স্বস্তি, জীবিকার মানোন্নয়ন, শিশু ও সম্পদ বৃদ্ধি এবং শহরের শান্তি ও উনাদের সাফল্য অর্জন করেছেন তা প্রকাশ করতেন।” (তাফসীরে রূহুল বয়ান লি শেখ ইসমাইল হাক্কী রহমতুল্লাহি আলাইহি- ৯ম খ-, পৃষ্ঠা ৫৬; মীলাদুল উরুস- উর্দু “বয়ান-ই-মিলাদুন নবী”, পৃষ্ঠা ৩৪-৩৫, লাহোর; দুররুল মুনাজ্জাম, পৃষ্ঠা ১০০-১০১; মীলাদুন নবী, পৃষ্ঠা ৫৮)

বর্তমানে সাইয়িদুল আ’ইয়াদ শরীফ তথা হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিলাদত শরীফ (আগমন) উনার সম্মানার্থে সর্বশ্রেষ্ঠ ঈদ তথা খুশি মুবারক প্রকাশের বিরোধীতার মূল হচ্ছে সউদী ওহাবীরা। যারা বিভিন্ন মাধ্যম দিয়ে রহমতপ্রাপ্তির এ দিনটি বন্ধ করতে চাইছে। কিন্তু এটা তো সত্যি যে, সউদীদের সৃষ্টিকর্তা হচ্ছে ব্রিটিশ খ্রিস্টানা। আর ব্রিটিশদের পূর্ব পুরুষ সুলতান সালাউদ্দিন আইয়ুবী রহমতুল্লাহি আলাইহি’র সাথে ক্রুসেড যুদ্ধে নাস্তানাবুদ হয়েছিলো, তখন তারা গবেষণা করে দেখে মুসলমানদের নৈতিক শক্তির রহস্যগুলো কি । পরবর্তীকালে সেই নৈতিক শক্তির মূলতত্ত্বগুলোই এ সউদীদের মাধ্যমে ভেঙ্গে দেয় ব্রিটিশরা।

সুতরাং মুসলমানদের সেই সোনালী অতীত ফিরিয়ে আনতে হলে পুনরায় রহমতের দ্বার উন্মুক্ত করতে হবে তাদেরকে। সবাইকে মন-প্রাণ উজার করে সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ তথা ঈদে মীলাদে হাবীবুল্লাহ (ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) উদযাপন করতে হবে,পালন করতে হবে। তবেই বর্তমান সঙ্কট থেকে পরিত্রাণ পাবে মুসলমানরা।

sm40.com
sunnat.info
#90daysMahfil

প্রত্যেক রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ ও তাদের কর্মীদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি

প্রত্যেক রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ ও তাদের কর্মীদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি
প্রত্যেক রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ ও তাদের কর্মীদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি
===================================
প্রত্যেক রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ ও তাদের কর্মীদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলছি আপনারা, প্রত্যেক রাজনৈতিক দল দলীয় বিভিন্ন দিবসকে কেন্দ্র করে প্রোগ্রাম করে থাকেন, যেমন:
– কেউ ১৭ই মার্চ পালন করেন,
– কেউ ১৫ই আগস্ট পালন করেন,
– কেউ ১৮ই অক্টোবর পালন করেন,
– কেউ ১৯শে জানুয়ারি পালনে করেন,
– কেউ বা ২০শে নভেম্বর পালন করেন।
তবে আপনারা প্রত্যেক দলই, তাদের দলীয় দিবস ছাড়াও ঈদুল ফিতর, ঈদুল আজহা, কিংবা বিজয় দিবসকে কেন্দ্র করে জনগণকে শুভেচ্ছা জানান। সবার সাথে দেখা সাক্ষাৎ করেন, ব্যানার ফেস্টুন ছাপিয়ে থাকেন।

তবে আমি বলবো, এসব দিবসকে কেন্দ্র করে সবাইকে শুভেচ্ছা জানালে আপনারা রাজনৈতিক দলগুলো যতটুকু ফায়দা পাবেন, তার থেকে অনেক অনেক বেশি ফায়দা পাবেন পবিত্র ঈদে মীলাদে হাবীবুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উপলক্ষে সবাইকে শুভেচ্ছা জানালে। কেননা, যেহেতু এ দিবসটি স্বয়ং আমাদের প্রত্যেকের প্রাণপ্রিয় নবীজি হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে সম্পৃক্ত, আর উনার পবিত্র নাম মুবারক শুনলেই প্রত্যেক মুসলমানদের অন্তর প্রশান্তি লাভ করে। সেক্ষেত্রে এ দিবসটির শুভেচ্ছা মানুষের অন্তরকে আরো অধিক অধিক পরিমানে নাড়া দিবে।

বিশেষ করে, আওয়ামীলীগের অংগসংগঠনগুলোর মনে রাখা উচিত, বাংলাদেশে ঈদে মীলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম জাতীয়ভাবে উদযাপন শুরু করেছিলেন কিন্তু বঙ্গবন্ধুই। তাই আওয়ামীলীগের অঙ্গ সংগঠন গুলোর উচিত এ দিবসটিকে অতিগুরুত্বের সাথে পালন করা। তারা যদি নতুন করে বিষয়টি গুরুত্ব্যের সাথে পালন শুরু করে, সেক্ষেত্রে বিশেষ চমক সৃষ্টি হবে এবং মুসলমানদের কাছে তাদের গ্রহণযোগ্যতা বৃদ্ধি পাবে।

আওয়ামীলীগ যদি, এ ধর্মীয় দিবসটি গুরুত্বের সাথে পালন করে, তবে বিএনপি’র বসে থাকলে চলবে না, বিএনপিকে আরো গতিশীলতার সাথে এগিয়ে আসতে হবে। কারণ বিএনপিকে অনেকেই অধিক ধর্মীয় সম্পৃক্ত দল হিসেবে মনে করে। বিশেষ করে, ঈদে মীলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উদযাপনের মাধ্যমে মুসলিম জাতীয়তাবাদের বিকাশ দ্রুত ঘটবে এটা নিশ্চিত, তাই জাতীয়বাদে বিশ্বাসী বিএনপি ও তার অঙ্গসংগঠনগুলোকে এক্ষেত্রে আরো বেশী অগ্রগামী হতে হবে।

পরিশেষে বলতে হয়, মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন,

وَمَا أَرْسَلْنَاكَ إِلَّا رَحْمَةً لِّلْعَالَمِينَ

অর্থ: “আমি আপনাকে (নবীজি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সারা বিশ্বের জন্য রহমতস্বরূপ প্রেরণ করেছি” (পবিত্র সূরা আল আম্বিয়া শরীফ : পবিত্র আয়াত শরীফ ১০৭)
অতএব এ রহমত উনার ভাণ্ডার লাভ করার জন্য, বিপদ-আপদ থেকে হিফাজত থাকার জন্য, দুনিয়া-আখিরাতে সমৃদ্ধি লাভ করার জন্য আপনাদেরকে অবশ্যই এ দিবসটি গুরুত্বের সাথে পালন করতে হবে।

তাই প্রত্যেক রাজনৈতিক দলের উচিত হবে, ১২ই রবিউল আউয়াল শরীফ উপলক্ষে
-দেশজুড়ে মিলাদ মাহফিল উনার ব্যবস্থা করা,
-গরীব-মিসকিনদের ভালো খাদ্য খাওয়ানো
-সমগ্র দেশবাসীকে ব্যানার-ফেস্টুন-বিলবোর্ড করে শুভেচ্ছা জানানো,
-দেশবাসীর সাথে আনন্দ খুশির জন্য দেখা-সাক্ষাৎ করা।
মহান আল্লাহ তায়ালা আমাদের প্রত্যেককে অতি অতি শান-শওকতের সাথে পবিত্র ১২ রবিউল আউয়াল শরীফ সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ তথা ঈদে মীলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন করার তৌফিক দান করুন। আমিন।

sm40.com
sunnat.info
#90DaysMahfil

৯০দিনব্যাপী মাহফিলে যোগদান করুন- আর্থিকভাবে শরিক হউন।

৯০দিনব্যাপী মাহফিলে যোগদান করুন- আর্থিকভাবে শরিক হউন।
৯০দিনব্যাপী মাহফিলে যোগদান করুন- আর্থিকভাবে শরিক হউন। 

মুহতারাম,
সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিশ শুহুর শাহরুল আ'যম মহাসম্মানিত রবিউল আউয়াল শরীফ মাস শুরু হয়েছে।

ঈদ মুবারক!
এ উপলক্ষ্যে জারী হয়েছে
*৯০ দিনব্যাপী মাহফিল* রাজারবাগশরীফএ।
উনার: আজ ৫৭তম দিন
চলমান ৪৫ দিনব্যাপী ওয়াজ মাহফিল উনার: আজ ১৫তম দিন
****

নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, 
مَنْ عَظَّمَ مَوْلِدِىْ وَهُوَ لَيْلَةُ اثْنَـىْ عَشَرَ مِنْ شَهْرِ رَبِيْعِ الْاَوَّلِ بِاتِّـخَاذِهٖ فِيْهَا طَعَامًا كُنْتُ لَهٗ شَفِيْعًا يَّوْمَ الْقِيَامَةِ
অর্থ: যে ব্যক্তি খাদ্য খাওয়ানোর মাধ্যমে আমার বরকতময় বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ করার সম্মানিত তারিখ মহাপবিত্র ১২ই রবী‘উল আউওয়াল শরীফ রাত্র মুবারক (এবং দিবস মুবারক) উনাকে সম্মান করবেন, আমি ক্বিয়ামতের দিন উনার জন্য শাফায়াতকারী হবো।” সুবহানাল্লাহ! (নাফহাতুল আম্বরিয়া ৮ নং পৃষ্ঠা, মাদারিজুস সউদ ১৫ নং পৃষ্ঠা, তালহীনুছ ছাননাজ ৫ নং পৃষ্ঠা 
bkas/nagad personal, 01718740742

বিস্তারিত জানুন: 
SM40.com
সম্মানিত সুন্নতী সামগ্রীর বিপুল সমাহার- 
Sunnat.info - fb.com/12ispc
#90DaysMahfil

১২ রবিউল আউয়াল শরীফ ই নূরে মুজাসসাম,হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ দিবস।

১২ রবিউল আউয়াল শরীফ ই নূরে মুজাসসাম,হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ দিবস।

১২ রবিউল আউয়াল শরীফ ই নূরে মুজাসসাম,হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ দিবস।
====================================
অনেকে পবিত্র সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ তথা ঈদে মীলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিরুধীতা করতে গিয়ে বলে থাকে যে, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু উনার বিলাদত(জম্ম) শরীফ উনার তারিখ ১২ রবিউল আউয়াল নাকি ভুল। তাদের উদ্দেশ্যে আমরা বলতে চাই যে, ১২ তারিখ ই হচ্ছে সহিহ এবং গ্রহনযোগ্য মত এবং অন্যান্য মতগুলোই মূলত বাতিল মত ।

মূলত ১২ই রবিউল আউয়াল শরীফ ই নবীজী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াছাল্লাম উনার আগমন যা সহীহ হাদীস শরীফ দ্বারা প্রমাণিত। এই বিষয়টি কাটানোর জন্য কোন ঐতিহাসিক গ্রন্থ কিংবা কোন অ্যাস্ট্রোনোমারের তথ্য গ্রহণযোগ্য নয়। যারা ৯ তারিখকে নবীজি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিলাদত দিবস বলে দাবি করে, তারা সহিহ হাদীস শরীফকে দুর্বল বলে মাহমুদ পাশা নামক এক মিশরীয় নাস্তিকের বক্তব্য রেফারেন্স হিসেবে ব্যবহার করে। এ দ্বারা প্রমাণিত হয় ঐ গোষ্ঠীটি সহীহ হাদীস শরীফকে জইফ বলে নাস্তিকদের কথা রেফারেন্স হিসেবে ব্যবহার করে।

৯ তারিখ প্রমাণের জন্য নাস্তিক মাহমুদ পাশার যে চরম গাণিতিক ভুল বিশ্লেষণকে পুঁজি করা হয় তার বিশ্লেষণে দেখানো হয়েছে যে, দশম হিজরীর মাহে শাওয়ালের শেষ তারিখে সূর্যগ্রহণ হয়েছিল আর একই দিনেই নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-উনার ছেলে আউলাদ মুবারক হযরত ইবরাহীম আলাইহিস সালাম তিনি বিছাল(ইন্তেকাল) শরীফ গ্রহণ করেন। আর এই হিসাব অনুযায়ী গণনা করে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-উনার দুনিয়ার যমীনে আগমনের তারিখ রবীউল আউওয়াল শরীফ মাসের ৯ তারিখ প্রমাণ করা ব্যর্থ চেষ্টা করা হয়েছে।
যেহেতু হযরত ইবরাহীম আলাইহিস সালাম ৮ম হিজরী সনের যিলহজ্জ শরীফ মাসে দুনিয়ার যমীনে আগমন করেন। আর হাদীছ শরীফ অনুযায়ী তিনি ১৬ মাস যমীনে অবস্থান মুবারক করেন।
যেমন পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে এসেছে-
عَنْ حَضْرَتْ اَلْبَرَاءِ بْنِ عَازِبٍ رَضِىَ اللهُ تَعَالـٰى عَنْهُ قَالَ مَاتَ حَضْرَتْ اِبْرَاهِيْمُ ابْنُ رَسُوْلِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَهُوَ ابْنُ سِتَّةَ عَشَرَ شَهْرًا فَاَمَرَ بِهٖ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اَنْ يُّدْفَنَ فِى الْبَقِيْعِ وَقَالَ اِنَّ لَهٗ مُرْضِعًا يُّرْضِعُهٗ فِى الْـجَنَّةِ
অর্থ: “হযরত বারা ইবনে আযিব রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, হযরত ইবরাহীম আলাইহিস সালাম-উনার দুনিয়াবী বয়স মুবারক যখন ১৬ মাস, তখন তিনি বিছাল শরীফ গ্রহণ করেন। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হযরত ইবরাহীম আলাইহিস সালাম উনাকে জান্নাতুল বাক্বীতে দাফন মুবারক করার জন্য নির্দেশ মুবারক প্রদান করেন এবং তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, নিশ্চয়ই উনার জন্য জান্নাত-এ একজন দুধপানকারিনী রয়েছেন, যিনি উনাকে দুধ মুবারক পান করাবেন।” সুবহানাল্লাহ! (মুসনাদে আহমদ ৩০/৫২০, মুসনাদে আবী ইয়া’লা ৩/২৫১, আল আহাদ ওয়াল মাছানী ৫/৫৬৪, তারীখুল মদীনা ১/৯৭)
অনুরূপ বর্ণনা আস সুনানুল কুবরা লিলবাইহাক্বী, শরহু মা‘আনিল আছার, মুছান্নাফে আবী শায়বাহ, মা’রিফাতুছ ছাহাবাহ লিআবী নাঈম, মুছান্নাফে আব্দির রাজ্জাক্ব ইত্যাদি কিতাবসমূহেও রয়েছে।

হিসেবে করে দেখা যায়, ৮ম হিজরী সনের যিলহজ্জ শরীফ মাসের পরবর্তী ১৬ মাস পর উনার বিছাল শরীফ গ্রহণের মাস হচ্ছে রবীউল আউওয়াল শরীফ মাস। কোন ভাবেই শাওওয়াল শরীফ মাস হয় না।
আর তাই ১০ম হিজরী সনের শাওওয়াল শরীফ মাসের শেষ তারিখ ৬৩২ সালের ৭ নভেম্বরকে সূর্যগ্রহণের তারিখ ধরে সে হিসেব অনুযায়ী গণনা করে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-উনার দুনিয়ার যমীনে আগমনের তারিখ রবীউল আউওয়াল শরীফ মাসের ৯ তারিখ প্রমাণ করার অপচেষ্টা একটি প্রতারণা বৈ কিছুই নয়।
আসল কথা হচ্ছে, হযরত ইবরাহীম আলাইহিস সালাম ১০ম হিজরী সনের ১০ই রবীউল আউওয়াল শরীফ, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার), প্রায় ১৬ মাস (১৫ মাস ৮ দিন) বয়সে বিছাল শরীফ গ্রহণ করেন।
এ প্রসঙ্গে বর্ণিত আছে-
ومات يوم الثلاثاء لعشر ليال خلون من شهر ربيع الأول سنة عشر.
অর্থ : “তিনি ১০ম হিজরী সনের ১০ই রবীউল আউওয়াল শরীফ, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার)বিছাল শরীফ গ্রহণ করেন। (সুবুলুলহ হুদা ওয়ার রশাদ ১১/২৪, ওয়াকিদী, মুখতাছারু তারীখে দিমাশক্ব ৪/৪৬৫)
যদিও হযরত ইবরাহীম আলাইহিস সালাম বিছাল শরীফ গ্রহণের দিন সূর্যগ্রহণ হয়েছিল কিন্তু প্রকৃত অর্থে সেদিনে সূর্যগ্রহণ হওয়ার কথা নয়। কেননা কোন আরবী (চন্দ্র) মাসের ২য় সপ্তাহে কখনো সূর্যগ্রহণ হয় না, সাধারণভাবে আরবী মাসের শেষের দিকে সূর্যগ্রহণ হয়ে থাকে।
বস্তুত এই সূর্যগ্রহণ নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-উনার একটি মুজিযা শরীফ ছিলো। আর এই সূর্যগ্রহণের মাধ্যমে মহান আল্লাহ পাক হযরত ইবরাহীম আলাইহিস সালাম-উনার অপরিসীম মর্যাদা মুবারক উনার বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়েছেন।

তাই এই সূর্যগ্রহণের বিষয়টিকে সমস্ত ইমাম মুজতাহিদ রহমতুল্লাহি আলাইহিমগন এক বাক্যে মেনে নিয়েছেন যে, এটি ছিল সূর্যের শোক প্রকাশ। সুবহানাল্লাহ! এই মতের বিরোধিতাকারীদের বিরুদ্ধে অনেক ইমাম মুজতাহিদ রহমতুল্লাহি আলাইহিম শক্ত জবাবও দিয়েছেন।
সুতরাং প্রমাণিত হলো যে, হযরত ইবরাহীম আলাইহিস সালাম ১০ম হিজরী সনের শাওওয়াল শরীফ মাসে শেষ তারিখে বিছাল শরীফ গ্রহণ করেননি বরং তিনি ১০ হিজরী সনের ১০ই রবীউল আউওয়াল শরীফে বিছাল শরীফ গ্রহণ করেছেন। তাই ১০ম হিজরী সনে শাওওয়াল শরীফ মাসে শেষ তারিখে সূর্যগ্রহণের তারিখ ধরে সে হিসেব অনুযায়ী গণনা করে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-উনার দুনিয়ার যমীনে আগমনের তারিখ রবীউল আউওয়াল শরীফ মাসের ৯ তারিখ প্রমাণ করার অপচেষ্টা একটি প্রতারণা বৈ কিছুই নয়।
দ্বিতীয় আরেকটি ভুল হচ্ছে- ১০ম হিজরী সনের শাওওয়াল শরীফ মাসে শেষ তারিখে সূর্যগ্রহণের তারিখ ধরে সে হিসেব অনুযায়ী গণনা করে আমুল ফীল বা হস্তির বছর রবীউল আউওয়াল শরীফ মাসের ১লা তারিখ ধরা হয়েছে ৫৭১ ঈসায়ী সনের ১২ই এপ্রিল। কিন্ত সে বছর পবিত্র মক্কা শরীফে ১১ই এপ্রিলই যে খালি চোখে রবীউল আউওয়াল শরীফ মাস উনার চাঁদ দেখা গিয়েছিল তার প্রমাণ নাস্তিক মাহমুদ পাশা দিতে পারেনি। তাহলে একটি অগ্রহণযোগ্য ও অনুমান ভিত্তিক বিষয়ের উপর ভিত্তি করে আমুল ফীল বা হস্তির বছর রবীউল আউওয়াল শরীফ মাসের ১লা তারিখ ১২ই এপ্রিল ধরা মোটেও গ্রহণযোগ্য নয়। বস্তুত সৌর বছরের হিসাব দিয়ে চন্দ্র বছরের হিসাব মিলানো সহজ নয়। কেননা সৌর বছর হয় ৩৬৫ দিনে (অধিবর্ষে ৩৬৬ দিন) আর চন্দ্র বর্ষ হয় ৩৫৪/৩৫৫ দিনে। এছাড়াও আরবী মাস শুরু হয় সূর্যাস্তের সাথে সাথে আর সৌর সন শুরু হয় রাত ১২টার পর থেকে।

তার উপর তৎকালীন আরবে নাসী (মাস আগে–পিছে) করা হতো। তারা তাদের নিজেদের স্বার্থ সিদ্ধির জন্য কখনো কখনো ১৭ মাসেও বছর গণনা করতো। কোন সময়ে এই অতিরিক্ত মাসগুলো সংযোজন করতো তার কোন দলীল-প্রমাণ নেই। এমনকি যুদ্ধ-বিগ্রহের জন্য ছফর মাসকে মুহররম মাসের আগে গণনা করতো। এমন পরিস্থিতিতে ক্যালকুলেশন বা গণনা পদ্ধতি অবলম্বন করে হিসাব মিলানো কখনোই সম্ভব নয়। আর তাই নাস্তিক মাহমুদের হিসাব অনুযায়ী আমুল ফীল বা হস্তির বছর ৫৭১ ঈসায়ী হচ্ছে। অথচ বছরটি হচ্ছে ৫৭০ ঈসায়ী।
কেননা বিখ্যাত ঐতিহাসিক ইবনে খালদুন রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন,
وُلِدَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَامَ الْفِيْلِ لِاِثْنَتَـيْ عَشْرَةَ لَيْلَةٍ خَلَتْ مِنْ رَبِيْعِ الْاَوَّلِ لِاَرْبَعِيْنَ سَنَةً مّنْ مُلْكِ كِسْرٰي انَوْشِيْرْوَان
অর্থ : “নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ১২ই রবীউল আউওয়াল শরীফ, আমুল ফিল বা হস্তী বাহিনীর বছর রাতে দুনিয়ায় তাশরীফ মুবারক নেন। তখন ছিলো শাসক নাওশেরাওয়ার শাসনকালের ৪০তম বছর।” (তারীখে ইবনে খালদুন ২য় খ- ৩৯৪ পৃষ্ঠা)
আর হিসাব অনুযায়ী ৫৭০ ঈসায়ী সন হচ্ছে ইরানের শাসক নাওশেরাওয়ারের ৪০তম বছর।
তাহলে যেখানে ঈসায়ী সন হিসেবে ১ বছরের একটি তারতম্য পরিলক্ষিত হচ্ছে সেখানে এটা কি করে বলা যেতে পারে যে, আমুল ফীল বা হস্তির বছর রবীউল আউওয়াল শরীফ মাসের ১২ তারিখ ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) ছিল না। নাঊযুবিল্লাহ!
তাই এর একমাত্র সমাধান হচ্ছে পবিত্র হাদীছ শরীফ। পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে স্পষ্ট বর্ণনা করা হয়েছে যে, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-উনার দুনিয়ার যমীনে আগমনের তারিখ হচ্ছে ১২ই রবীউল আউওয়াল শরীফ, সেদিনটি ছিল- ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম শরীফ (সোমবার)।
عَنْ حَضْرَتْ عَفَّانَ رَحْـمَةُ اللهِ عَلَيْهِ عَنْ حَضْرَتْ سَلِيْمِ بْنِ حَيَّانَ رَحْـمَةُ اللهِ عَلَيْهِ عَنْ حَضْرَتْ سَعِيْدِ بْنِ مِينَا رَحْـمَةُ اللهِ عَلَيْهِ عَنْ حَضْرَتْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللهِ الْأَنْصَارِيّ وَحَضْرَتْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عَبَّاسٍ رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُمَا قَالَ وُلِدَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَامَ الْفِيلِ يَوْمَ الِاثْنَيْنِ الثَّانِـيْ عَشَرَ مِنْ شَهْرِ رَبِيْعٍ الْاَوَّلِ.
অর্থ : “হযরত আফফান রহমতুল্লাহি আলাইহি থেকে বর্ণিত। তিনি হযরত সালিম বিন হাইয়ান রহমতুল্লাহি আলাইহি থেকে তিনি হযরত সাঈদ ইবনে মীনা রহমতুল্লাহি আলাইহি থেকে বর্ণনা করেছেন যে, হযরত জাবির ইবনে আব্দুল্লাহ আনছারী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু ও হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু বলেন, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সালাম-উনার বিলাদত শরীফ হস্তি বাহিনী বর্ষের ১২ই রবীউল আউওয়াল শরীফ ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম শরীফ হয়েছিল।” সুবহানাল্লাহ! (বুলুগুল আমানী শরহিল ফাতহির রব্বানী, আছ ছিহ্হাহ্ ওয়াল মাশাহীর ১ম খ- ২৬৭ পৃষ্ঠা)
উক্ত পবিত্র হাদীছ শরীফ বর্ণনার সনদের মধ্যে প্রথম বর্ণনাকারী হযরত আফফান রহমতুল্লাহি আলাইহি যিনার সম্পর্কে মুহাদ্দিছগণ বলেছেন, “তিনি একজন উচ্চ পর্যায়ের নির্ভরযোগ্য ইমাম, প্রবল স্মরণশক্তি ও দৃঢ়প্রত্যয় সম্পন্ন ব্যক্তি।” (খুলাছাতুত তাহযীব শরীফ)
“দ্বিতীয় ও তৃতীয় বর্ণনাকারী যথাক্রমে হযরত সালিম বিন হাইয়ান রহমতুল্লাহি আলাইহি ও হযরত সাঈদ ইবনে মীনা রহমতুল্লাহি আলাইহিও অত্যন্ত নির্ভরযোগ্য।” (খুলাছাহ শরীফ, তাক্বরীব শরীফ)
সনদের উপরের দুজন তো ছাহাবী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুমাদের তো কোন তুলনাই নেই। অপর তিন জন রাবী হযরত সাঈদ ইবনে মীনা রহমতুল্লাহি আলাইহি, হযরত সলিম ইবনে হাইয়ান রহমতুল্লাহি আলাইহি ও হযরত আফফান রহমতুল্লাহি আলাইহি সম্পর্কে রেজালের কিতাবে বলা হয়েছে উনারা উচ্চ পর্যায়ের নির্ভযোগ্য ইমাম, সিকাহ, তীক্ষ স্মরণশক্তিসম্পন্ন, বিশস্ত এবং নির্ভরযোগ্য, দৃঢ় প্রত্যয়সম্পন্ন ব্যক্তিত্ব।’’ (খুলাছাতুত তাহযীব ২৬৮ পৃষ্ঠা, ত্বাকরীবুত তাহযীব ২য় খন্ড ১২৬ পৃষ্ঠা, সমূহ রেজালের কিতাব)
আর হযরত জাবির রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু এবং হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু দু’জন উচ্চ পর্যায়ের ফক্বীহ ছাহাবী। এই বিশুদ্ধ বর্ণনা থেকে প্রমাণিত হলো যে, “১২ই রবীউল আউওয়াল শরীফ হচ্ছে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সালাম-উনার বিলাদত শরীফ দিবস।”
এ ছহীহ ও নির্ভরযোগ্য বর্ণনার উপরই হযরত ইমামগণের ইজমা (ঐকমত্য) প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। (সীরাত-ই-হালবিয়াহ শরীফ, যুরক্বানী আলাল মাওয়াহিব শরীফ, মা ছাবাতা বিস সুন্নাহ শরীফ ইত্যাদি)

সুতরাং প্রমাণিত হল ১২ রবিউল আউয়াল শরীফ ই হচ্ছে হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিলাদত শরীফ উনার সহিহ তারিখ।

sm40.com
sunnat.info
#90DaysMahfil

Gift Tabaruk in a 90-days celebration. Intercession and salvation are guaranteed.

Gift Tabaruk in a 90-days celebration. Intercession and salvation are guaranteed.
Gift Tabaruk in a 90-days celebration. Intercession and salvation are guaranteed.
=================================
পবিত্র ঈদে মীলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ৯০দিনব্যাপী মাহফিলে তাবারুকে হাদিয়া করুন। শাফায়াত ও নাজাত সুনিশ্চিত।

যেমন পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
عَنْ حَضْرَتْ اَبِى الدَّرْدَاءِ رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ اَنَّهٗ مَرَّ مَعَ النَّبِىّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اِلٰى بَيْتِ عَامِرِ الاَنْصَارِىّ وَكَانَ يُعَلّمُ وَقَائِعَ وِلادَتِهٖ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لاَبْنَائِهٖ وَعَشِيْرَتِهٖ وَيَقُوْلُ هٰذَا الْيَوْمَ هٰذَا الْيَوْمَ فَقَالَ عَلَيْهِ الصَّلٰوةُ وَالسَّلامُ اِنَّ اللهَ فَتَحَ لَكَ اَبْوَابَ الرَّحْـمَةِ وَالْمَلائِكَةُ كُلُّهُمْ يَسْتَغْفِرُوْنَ لَكَ مَنْ فَعَلَ فِعْلَكَ نَـجٰى نَـجٰتَكَ.
অর্থ : “হযরত আবূ দারদা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত আছে যে, একদা তিনি নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে হযরত আমির আনছারী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার গৃহে উপস্থিত হয়ে দেখতে পেলেন যে, তিনি উনার সন্তানাদি এবং আত্মীয়-স্বজন, জ্ঞাতি-গোষ্ঠী, পাড়া-প্রতিবেশী উনাদেরকে নিয়ে আখিরী রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ সম্পর্কিত মুবারক ঘটনাসমূহ শুনাচ্ছেন এবং বলছেন, এই দিবস; এই দিবস (অর্থাৎ এই দিবসে রসূলুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি যমীনে তাশরীফ মুবারক এনেছেন এবং ইত্যাদি ইত্যাদি ঘটেছে)। এতদশ্রবণে মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ তায়ালা উনার মুবারক রহমত উনার দরজা মুবারক আপনার জন্য উম্মুক্ত করেছেন এবং সমস্ত হযরত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনারা আপনার জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করছেন এবং যে কেউ আপনার মত এরূপ কাজ করবে, তিনিও আপনার মত নাজাত (ফযীলত) লাভ করবেন।” সুবহানাল্লাহ! 

(আত তানউইর ফী মাওলিদিল বাশীর ওয়ান নাযীর, মাওলূদুল কাবীর, দুররুল মুনাযযাম, সুবুলুল হুদা ফী মাওলিদিল মুস্তফা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ইশবাউল কালামি ফী ইছবাতিল মাওলিদি ওয়াল ক্বিয়ামি, হাক্বীক্বতে মুহম্মদী মীলাদে আহমদী)

Let's take a look:
 A 90 days long special festival is being organized at the sacred Rajarbagh Sharif, which is now ongoing. 90 days as many people as possible! Everyone is fed Tabaruk at 3 times.

আর্থিক মন্দার এই কঠিন সময়ে ৯০দিনই আগত মেহমানদের থাকা,খাওয়া, পানি,বিদ্যুৎ, পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা ইত্যাদির সার্বিক নিরাপত্তা ও নিশ্চয়তাসহ এতমিনানের সহিত মাহফিল শুনার সুজোগ করে দেয়া হচ্ছে

অতএব দুনিয়া ও আখিরাতে শাফায়াত নসিবে জোটার সুজোগ নিতে মাহফিলে সর্বোচ্ছ হাদিয়া করুন।ও পরিচিতদেরও বলুন। Bkash, 01718740742
 
sunnat.info
sm40.com
#90daysMahfil

ঈমানদারদের জন্য সর্বশ্রেষ্ঠ তম খুশির দিন হচ্ছে ১২ ই রবিউল আউয়াল শরীফ।

ঈমানদারদের জন্য সর্বশ্রেষ্ঠ তম খুশির দিন হচ্ছে ১২ ই রবিউল আউয়াল শরীফ।
ঈমানদারদের জন্য সর্বশ্রেষ্ঠ তম খুশির দিন হচ্ছে ১২ ই রবিউল আউয়াল শরীফ।
===================================
অনেক আলেম নামধারী জাহিল প্রকৃতির লোকেরা বলে থাকে ১২ রবিউল আউয়াল শরীফ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিছাল( ইন্তেকাল) শরীফ এর দিন, তাই এই দিন খুশি প্রকাশ করা জাবে না বরং তারা বলে থাকে এই দিনে নাকি দু:খ প্রকাশ করতে হবে!! নাউজুবিল্লাহ।

মূলত এই ধরনের আলেম নামধারী জাহেল প্রকৃতির যে সকল লোক নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সালাম উনার পবিত্র বিছালী(ইন্তেকাল) শান মুবারক প্রকাশ উনার দিবসকে শোকের দিন বলে এবং উক্ত দিনে খুশি মুবারক প্রকাশ না করে শোক পালন করতে চায়, সেটা সম্পূর্ণরূপে পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র সুন্নাহ শরীফ উনাদের বিরোধী কাজ।
কারণ পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে –
عَنْ حَضْرَتْ اُمّ عَطِيَّةَ رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهَا قَالَتْ كُنَّا نُنْهٰى اَنْ نُـحِدَّ عَلٰى مَيّتٍ فَوْقَ ثَلَاثٍ اِلَّا عَلٰى زَوْجٍ اَرْبَعَةَ اَشْهُرٍ وَّعَشْرًا.‏
অর্থ : “হযরত উম্মু আতিয়্যাহ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহা উনার থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, কারো ইন্তিকালে তিন দিনের পর আর শোক প্রকাশ করতে আমাদেরকে নিষেধ করা হয়েছে। তবে স্বামীর জন্য আহলিয়া চার মাস দশ দিন শোক পালন করতে পারবে।” (মুয়াত্তা মালিক শরীফ, বুখারী শরীফ : কিতাবুত তালাক : হাদীছ শরীফ নং ৫৩৪১, মুসলিম শরীফ : কিতাবুত তালাক : হাদীছ শরীফ নং ১৪৯৩, আবূ দাউদ শরীফ, নাসায়ী শরীফ, তিরমিযী শরীফ, ইবনে মাজাহ শরীফ, দারিমী শরীফ, মিশকাত শরীফ)
সুতরাং ইন্তিকালের ৩ দিন পর আর শোক পালন করা যাবে না। যদি কেউ কারো ইন্তিকালের ৩ দিন পরও শোক পালন করে সেটা সম্মানিত শরীয়ত উনার খিলাফ হবে। পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার বিরোধিতা হবে।
আর সবচেয়ে বড় কথা হলো, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি হচ্ছেন হায়াতুন নবী। তিনি পবিত্র রওজা শরীফ উনার মধ্যে জীবিত আছেন। উনার পবিত্র বিছালী শান প্রকাশ উপলক্ষ্যে শোক প্রকাশ স্পষ্ট গোমরাহী ও হায়াতুন নবী অস্বীকার করার নামান্তর।

sm40.com
sunnat.info
#90DaysMahfil

#12shareef 
#Saiyidul_Aayaad_Shareef 
#সাইয়্যিদুল_আইয়াদ_শরীফ

সম্মানিত দ্বীন ইসলামে দিবস পালন করা মহান আল্লাহ পাক উনার আদেশ মুবারক, সে দিবসসূহের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ দিবস হচ্ছে ১২ ই রবিউল আউয়াল শরীফ দিবস।

সম্মানিত দ্বীন ইসলামে দিবস পালন করা মহান আল্লাহ পাক উনার আদেশ মুবারক, সে দিবসসূহের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ দিবস হচ্ছে ১২ ই রবিউল আউয়াল শরীফ দিবস।

সম্মানিত দ্বীন ইসলামে দিবস পালন করা মহান আল্লাহ পাক উনার আদেশ মুবারক, সে দিবসসূহের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ দিবস হচ্ছে ১২ ই রবিউল আউয়াল শরীফ দিবস।
====================================
কিছু বাতিল ও গোমরাহ ফেরকার লোকেরা বলে থাকে সম্মানিত দ্বীন ইসলামে নাকি দিবস পালন করা হারাম! বলার বিষয় হল যদি সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার মধ্যে দিবস পালনের বিধান হারাম-ই হয়ে থাকে তাহলে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি পবিত্র লাইলাতুল ক্বদর শরীফ বা পবিত্র শবে ক্বদর শরীফ তালাশ করতে কেন বললেন?

যেমন এ প্রসঙ্গে পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে –
عَنْ اُمّ الْمُؤْمِنِيْن حَضْرَتْ عَائِشَةَ الصِدّيْقَةَ عَلَيْهَا السَّلَامَ قَالَتْ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ تَـحَرَّوْا لَيْلَةَ الْقَدْرِ فِي الْوِتْرِ مِنَ الْعَشْرِ الْاَوَاخِرِ مِنْ رَمَضَانَ‌‏.‏
অর্থ : “উম্মুল মু’মিনীন আছ ছালিছা সাইয়্যিদাতুনা হযরত ছিদ্দীক্বা আলাইহাস সালাম উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, তোমরা পবিত্র রমাদ্বান শরীফ মাস উনার শেষ দশ দিনের বেজোড় রাতে পবিত্র শবে ক্বদর বা লাইলাতুল ক্বদর তালাশ করো।” (বুখারী শরীফ : কিতাবু ফাদ্বলি লাইলাতিল ক্বদর : বাবু তার্হারী লাইলাতিল ক্বদরি ফিল উইতি মিনাল আশরি আওয়াখিরি : হাদীছ শরীফ নং ২০১৭)

অন্য বর্ণনায় বর্ণিত আছে-
عَنْ اُمّ الْمُؤْمِنِيْن حَضْرَتْ عَائِشَةَ الصِدّيْقَةَ عَلَيْهَا السَّلَاَم قَالَتْ كَانَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُـجَاوِرُ فِي الْعَشْرِ الْاَوَاخِرِ مِنْ رَمَضَانَ وَيَقُوْلُ‏ تَـحَرَّوْا لَيْلَةَ الْقَدْرِ فِي الْعَشْرِ الْاَوَاخِرِ مِنْ رَمَضَانَ‌‏.‏
অর্থ : “উম্মুল মু’মিনীন আছ ছালিছা হযরত ছিদ্দীক্বা আলাইহাস সালাম উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি পবিত্র রমাদ্বান শরীফ মাস উনার শেষ দশকে ইতিকাফ করতেন এবং বলতেন, তোমরা পবিত্র রমাদ্বান শরীফ মাস উনার শেষ দশকে পবিত্র লাইলাতুল ক্বদর তালাশ করো।” (বুখারী শরীফ : কিতাবু ফাদ্বলিল লাইলাতুল ক্বদরি : বাবু তার্হারী লাইলাতিল ক্বদরি ফিল উইতি মিনাল আশরি আওয়াখিরি : হাদীছ শরীফ নং ২০২০)
পবিত্র লাইলাতুল ক্বদর শরীফ বা পবিত্র শবে ক্বদর শরীফ তালাশ কী কোন দিবস পালন নয়?

নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি পবিত্র আশূরা শরীফ পালন করলেন, এ দিবস উপলক্ষ্যে কেন রোযা রাখলেন এবং উম্মতকে রোযা রাখতে বললেন?
যেমন এ প্রসঙ্গে পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
عَنْ حَضْرَتْ اِبْنِ عَبَّاسٍ رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ قَالَ قَدِمَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الْمَدِينَةَ فَرَاَى الْيَهُودَ تَصُوْمُ يَوْمَ عَاشُورَاءَ فَقَالَ مَا هٰذَا‌‏.‏ قَالُوْا هٰذَا يَوْمٌ صَالِحٌ هٰذَا يَوْمٌ نَـجَّى اللهُ بَنِـي اِسْرَائِيْلَ مِنْ عَدُوّهِمْ فَصَامَهٗ مُوْسٰى عَلَيْهِ السَّلَامُ‏.‏ قَالَ‏ فَاَنَا اَحَقُّ بِـمُوْسٰى عَلَيْهِ السَّلَامُ‏ مِنْكُمْ (نَـحْنُ اَحَقُّ بِـمُوْسٰى عَلَيْهِ السَّلَامُ‏ مِنْكُمْ.) فَصَامَهٗ وَاَمَرَ بِصِيَامِهٖ.‏
অর্থ : “হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি যখন পবিত্র মদীনা শরীফ উনার মধ্যে তাশরীফ মুবারক নিয়ে দেখতে পেলেন যে, ইয়াহুদীরা পবিত্র আশূরা শরীফ উনার দিন রোযা রেখে থাকে। তিনি উম্মতকে তা’লীম প্রদানের জন্য তাদেরকে এর কারণ জিজ্ঞাসা করলেন। তখন ইয়াহুদীরা বললো, ওই দিনে ফির‘আঊন ও তার সৈন্যবাহিনী পানিতে ডুবে ধবংসপ্রাপ্ত হয়েছিলো। আর হযরত কালীমুল্লাহ আলাইহিস সালাম তিনি ও উনার সঙ্গী-সাথীরা যুলুম-নির্যাতন থেকে মুক্তি পেয়েছিলেন। এজন্য আমরা মহান আল্লাহ পাক উনার কৃতজ্ঞতা প্রকাশার্থে রোযা পালন করি। তখন নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, হযরত কালীমুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনার ব্যাপারে তোমাদের চেয়ে আমিই বেশি হক্বদার। (ইবনে মাজাহ শরীফ উনার রেওয়াতে- তোমাদের চেয়ে আমরাই বেশি হক্বদার।) অতঃপর নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি স্বয়ং পবিত্র আশূরা শরীফ উনার দিন রোযা রাখলেন এবং ওই মুবারক দিনে সবাইকে রোযা রাখার হুকুম মুবারক দিয়েছেন।” (বুখারী শরীফ : কিতাবুছ্ ছওম : বাবু ছিয়ামি ইয়াউমি আশূরা : হাদীছ শরীফ নং ২০০৪, ইবনে মাজাহ শরীফ : কিতাবুছ্ ছওম : বাবু ছিয়ামি ইয়াউমি আশূরা : হাদীছ শরীফ নং ১৭৩৪)

তাহলে কী আশূরা শরীফ পালন বন্ধ করে দিতে হবে, এ দিবস উপলক্ষ্যে রোযা পালন বন্ধ করে দিতে হবে? সর্বোপরি মুসলমানদের জন্য বছরে ২টি বিশেষ দিবস- ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আদ্বহা। এই ২টি বিশেষ দিবস পালনও কী বন্ধ করে দিতে হবে? বাস্তবতা হচ্ছে- সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার মধ্যে যদি দিবস পালনের বিধান না-ই থাকতো বা হারাম হতো তাহলে উক্ত দিবসগুলো কখনোই আসতো না। তাই ‘সম্মানিত দ্বীন ইসলামে দিবস পালন করা হারাম’ এ ধরনের মন্তব্য কুফরীর শামিল। কেননা এ ধরনের মন্তব্য প্রদান করা পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র হাদীছ শরীফ অস্বীকার করার নামান্তর।


sm40.com
sunnat.info
#90DaysMahfil

মুবারক হো ৯০ দিনব্যাপী বিশেষ মাহফিল।

মুবারক হো ৯০ দিনব্যাপী বিশেষ মাহফিল।
মুবারক হো ৯০ দিনব্যাপী বিশেষ মাহফিল।


“ যে ব্যক্তি মীলাদুন্নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উপলক্ষ্যে এক দিরহাম খরচ করবে সে জান্নাতে আমার সঙ্গী হবে ” । ( দলীল আন নেয়মাতুল কুবরা আলাল আলাম , পৃষ্ঠা নং -৭ , মাদারেজ আস সউদ ১৫ পৃষ্ঠা , নাফহাতুল আম্বরিয়া ” ৮ পৃষ্ঠা , ই’য়ানাতুত ত্বলেবীন ) 

বিস্তারিতঃ tinyurl.com/120post
sm40.com
sunnat.info
#90DaysMahfil 

সপ্তম হিজরী শতাব্দীর ইতিহাসবিদ শায়েখ আবুল আব্বাস আল আযাফি এবং উনার ছেলে আবুল কাসিম আল আযাফি (সার্জারির জনক) উনাদের কিতাব-এ লিখেন-

সপ্তম হিজরী শতাব্দীর ইতিহাসবিদ শায়েখ আবুল আব্বাস আল আযাফি এবং উনার ছেলে আবুল কাসিম আল আযাফি (সার্জারির জনক) উনাদের কিতাব-এ লিখেন-
মুবারক হো ৯০ দিনব্যাপী বিশেষ মাহফিল।

সপ্তম হিজরী শতাব্দীর ইতিহাসবিদ শায়েখ আবুল আব্বাস আল আযাফি এবং উনার ছেলে আবুল কাসিম আল আযাফি (সার্জারির জনক) উনাদের কিতাব-এ লিখেন-

 “পবিত্র মক্কা শরীফ উনার মধ্যে ঈদে মীলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার দিন ধার্মিক ওমরাহ-হজ্জ যাত্রী এবং পর্যটকেরা দেখতেন যে, সকল ধরণের কার্য্যক্রম (দুনিয়াবী) বন্ধ, এমনকি ক্রয়-বিক্রয় হতো না, উনাদের ব্যতীত যারা সম্মানিত বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশের স্থান জড়ো হয়ে দেখতেন। এ দিন পবিত্র কা’বা শরীফ সকলের জন্য উন্মুক্ত করা হতো।” (দুররুল মুনাজ্জাম)

সুমহান ৯০ দিন ব্যাপী আযিমুশশান মাহফিল সম্মানিত প্রতিষ্ঠাতা পৃষ্ঠপোষক: 
=======
সাইয়্যিদুনা মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা
আলাইহিস সালাম যিনি সম্মানিত শায়িখ
রাজারবাগ দরবার শরীফ।

A wonderful event in history happening in Bangladesh: 90 days long mahfil

#90DaysMahfil 
বিস্তারিত দেখুন: 
sm40com
sunnat.info

যখন ইখতিয়ার থাকবেনা তখন তো আমল করা যায়না তাহলে তখন কিভাবে খুশি মুবারক প্রকাশ করব?

যখন ইখতিয়ার থাকবেনা তখন তো আমল করা যায়না তাহলে তখন কিভাবে খুশি মুবারক প্রকাশ করব?
৯০ দিনব্যাপী মাহফিল মুবারক হো!

যখন ইখতিয়ার থাকবেনা তখন তো আমল করা যায়না তাহলে তখন কিভাবে খুশি মুবারক প্রকাশ করব?
=================================================
এই দুনিয়ার জমিনে জিনারা হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলািইহি ওয়া সাল্লাম উনার সুমহান শান মুবারকে উনার জন্য খুশি মুবারক প্রকাশ করবে তথা ফালইয়াফরাহু পালন করবে তারা পরকালেও ফালইয়াফরাহু পালন করতে পারবে।

আর ইখতিয়ারের মধ্যে দায়িমী ফাল ইয়াফরাহু করলে খালিক্ব মালিক বর মহান আল্লাহ পাক তিনি গইরে ইখাতিয়ারেও তা করার তাওফিক দান করবেন। কবরে জিজ্ঞাসা করা হবে কে কি করতে চায়? কেউ নামায পড়তে চাইলে উনাকে নামায পড়ার এখতিয়ার দেয়া হবে, যে যেটা চাইবেন উনাকে সেটাই দিয়ে দেয়া হবে। আমরা বলব আমরা ফাল ইয়াফরাহু পালন করতে চাই। সাইয়্যিদুল আইয়াদ শরীফ পালন করতে চাই।

সুমহান ৯০ দিন ব্যাপী আযিমুশশান মাহফিল সম্মানিত প্রতিষ্ঠাতা পৃষ্ঠপোষক: 
======================
সাইয়্যিদুনা মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা
আলাইহিস সালাম যিনি সম্মানিত শায়িখ
রাজারবাগ দরবার শরীফ।

حدث رائع في التاريخ في بنغلاديش
 تسعين يوما طويلة المحفل

A wonderful event in history happening in Bangladesh: 90 days long mahfil

#90daysMahfil
বিস্তারিত দেখুন: 
sm40.com
sunnat.info

হাক্বীক্বীভাবে সাইয়্যিদুল আ'ইয়াদ শরীফ তথা ঈদে মীলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন করতে পারলে বান্দার সমস্ত নেক মাকসুদ পূর্ণ করা হবে এবং সমস্ত গুনাহ মুছে ফেলা হবে। সুবহানআল্লাহ!

হাক্বীক্বীভাবে সাইয়্যিদুল আ'ইয়াদ শরীফ তথা ঈদে মীলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন করতে পারলে বান্দার সমস্ত নেক মাকসুদ পূর্ণ করা হবে এবং সমস্ত গুনাহ মুছে ফেলা হবে। সুবহানআল্লাহ!

৯০ দিনব্যাপী মাহফিল মুবারক হো!

হাক্বীক্বীভাবে সাইয়্যিদুল আ'ইয়াদ শরীফ তথা ঈদে মীলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন করতে পারলে বান্দার সমস্ত নেক মাকসুদ পূর্ণ করা হবে এবং সমস্ত গুনাহ মুছে ফেলা হবে। সুবহানআল্লাহ!
=================================================
সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ তথা ঈদে মীলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন করলে অর্থাৎ ফালইয়াফরাহু তথা হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার জন্য সর্বশ্রেষ্ট খুশী মুবারক প্রকাশ করলে কি পাওয়া যাবে।

এই বিষয়ে পবিত্র হাদীস শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করা হয়েছে,

عَنْ حَضْرَتْ الطُّفَيْلِ بْنِ اُبَـىّ بْنِ كَعْبٍ رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ عَنْ اَبِيْهِ قَالَ كَانَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اِذَا ذَهَبَ ثُلُثَا اللَّيْلِ قَامَ فَقَالَ‏ يَا اَيُّهَا النَّاسُ اذْكُرُوا اللهَ اذْكُرُوا اللهَ جَاءَتِ الرَّاجِفَةُ تَتْبَعُهَا الرَّادِفَةُ جَاءَ الْمَوْتُ بِـمَا فِيْهِ جَاءَ الْمَوْتُ بِـمَا فِيْهِ‏.‏ قَالَ حَضْرَتْ اُبَـىٌّ رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ قُلْتُ يَا رَسُوْلَ الله صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ِاِنّـِيْ اُكْثِرُ الصَّلَاةَ عَلَيْكَ فَكَمْ أَجْعَلُ لَكَ مِنْ صَلَاتِـيْ فَقَالَ‏ مَا شِئْتَ‏،‏ قَالَ قُلْتُ الرُّبُعَ‏،‏ قَالَ مَا شِئْتَ فَإِنْ زِدْتَ فَهُوَ خَيْرٌ لَكَ‏،‏ قُلْتُ النّـِصْفَ،‏ قَالَ‏ مَا شِئْتَ فَاِنْ زِدْتَ فَهُوَ خَيْرٌ لَكَ،‏ قَالَ قُلْتُ فَالثُّلُثَيْنِ،‏ قَالَ مَا شِئْتَ فَاِنْ زِدْتَ فَهُوَ خَيْرٌ لَكَ،‏ قُلْتُ اَجْعَلُ لَكَ صَلَاتِـيْ كُلَّهَا،‏ قَالَ اِذًا تُكْفٰى هَـمُّكَ وَيُغْفَرُ لَكَ ذَنْبُكَ‏.‏
অর্থ : “হযরত তুফাইল ইবনে উবাই ইবনে কা’ব রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি উনার পিতা থেকে বলেন, একদা রাতের দুই তৃতীয়াংশ অতিবাহিত হওয়ার পর নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি খুতবা মুবারক প্রদান করার জন্য দাঁড়ালেন এবং ইরশাদ মুবারক করলেন, হে মানুষেরা! মহান আল্লাহ পাক উনাকে স্মরণ করুন। মহান আল্লাহ পাক উনাকে স্মরণ করুন। ভূমিকম্প এসেছে, তার সাথে মহামারীও এসেছে, যেভাবে মৃত্যু আসার সেভাবে মৃত্যুও এসেছে। হযরত উবাই ইবনে কা’ব রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বলেন, ইয়া রসূলাল্লাহ ইয়া হাবীবাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আমি আপনার জন্য ছলাত মুবারক, সালাম মুবারক, ছানা-ছিফত মুবারক বেশি বেশি করতে চাই। কত সময় ধরে আপনার ছানা-ছিফত মুবারক করবো ইয়া রসূলাল্লাহ ইয়া হাবীবাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করলেন, আপনি যতটুকু সম্ভব করুন। তাহলে চার ভাগের এক ভাগ (অর্থাৎ ২৪ ঘণ্টায় ৬ ঘণ্টা) আপনার ছানা-ছিফত মুবারক করবো ইয়া রসূলাল্লাহ ইয়া হাবীবাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! এটা শুনে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করলেন, আপনি যতটুকু সম্ভব করুন, তবে এর চাইতে আরো বৃদ্ধি করতে পারলে আরো উত্তম হবে। তিনি বললেন, তাহলে অর্ধেক সময় (২৪ ঘণ্টায় ১২ ঘণ্টা) আপনার আমি ছানা-ছিফত মুবারক করবো ইয়া রসূলাল্লাহ ইয়া হাবীবাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! তাহলে কি হবে? নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করলেন, আপনার যতটুকু সম্ভব আপনি করুন, তবে এর চাইতে আরো বৃদ্ধি করতে পারলে আরো উত্তম হবে। সুবহানাল্লাহ! তাহলে তিন ভাগের দুই ভাগ (২৪ ঘণ্টায় ১৬ ঘণ্টা) আমি আপনার ছানা-ছিফত মুবারক করবো ইয়া রসূলাল্লাহ ইয়া হাবীবাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! তাহলে কি হবে? শুনে স্বয়ং নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করলেন, আপনি যতটুকু ইচ্ছা পারেন করুন, তবে এর চাইতে আরো বৃদ্ধি করতে পারলে আরো উত্তম হবে। তিনি বললেন, ইয়া রসূলাল্লাহ ইয়া হাবীবাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! তাহলে আমি আমার জিন্দেগীর সমস্ত সময় (২৪টা ঘণ্টাই) আমি আপনার ছানা-ছিফত মুবারক উনার মধ্যে ব্যয় করবো। সুবহানাল্লাহ!
এটা শুনে স্বয়ং নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি খুশি হয়ে গেলেন। সুবহানাল্লাহ! তিনি খুশি হয়ে ইরশাদ মুবারক করলেন, খুব উত্তম! আপনি যদি এটা করতে পারেন তাহলে আপনার জিন্দেগীর যত নেক মকছুদ সবগুলো পুরা করে দেয়া হবে। সুবহানাল্লাহ! এবং আপনার জিন্দেগীর যত গুনাহ-খাতা রয়েছে সব ক্ষমা করে দেয়া হবে।” সুবহানাল্লাহ! (তিরমিযী শরীফ : কিতাবু ছিফাতিল ক্বিয়ামাতি ওয়া রিক্বাক্ব ওয়া ওয়ারা : হাদীছ শরীফ নং ২৪৫৭; আল বাইয়্যিনাত শরীফ ২২১তম সংখ্যা ৯১ পৃষ্ঠা)

পবিত্র হাদীস শরীফ উনার দ্বারাই প্রমাণিত, সমস্ত নেক মাকসুদ পূর্ণ করা হবে এবং সমস্ত গুনাহ খতা মুছে ফেলা হবে’। সুবহানাল্লাহ!
যা চাইবো সব কিছুই পাওয়া যাবে। সুতরাং আমরা চাই

১. মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনাকে
২. হযরত আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে
৩. নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে।


সুমহান ৯০ দিন ব্যাপী আযিমুশশান মাহফিল সম্মানিত প্রতিষ্ঠাতা পৃষ্ঠপোষক: 
======================
সাইয়্যিদুনা মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা
আলাইহিস সালাম যিনি সম্মানিত শায়িখ
রাজারবাগ দরবার শরীফ।

حدث رائع في التاريخ في بنغلاديش
 تسعين يوما طويلة المحفل

A wonderful event in history happening in Bangladesh: 90 days long mahfil

#90daysMahfil
বিস্তারিত দেখুন: 
sm40.com
sunnat.info

যাদের অন্তরে হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি মুহব্বত আছে তাদের পক্ষেই শুধুমাত্র পবিত্র সাইয়্যিদুল আইয়াদ শরীফ পালন তথা হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বেলাদত শরীফ উনার সম্মানার্থে সর্বশ্রেষ্ঠ খুশি মুবারক প্রকাশ করা সম্ভব

যাদের অন্তরে হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি মুহব্বত আছে তাদের পক্ষেই শুধুমাত্র পবিত্র সাইয়্যিদুল আইয়াদ শরীফ পালন তথা হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বেলাদত শরীফ উনার সম্মানার্থে সর্বশ্রেষ্ঠ খুশি মুবারক প্রকাশ করা সম্ভব
৯০ দিনব্যাপী মাহফিল মুবারক হো!

যাদের অন্তরে হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি মুহব্বত আছে তাদের পক্ষেই শুধুমাত্র পবিত্র সাইয়্যিদুল আইয়াদ শরীফ পালন তথা হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বেলাদত শরীফ উনার সম্মানার্থে সর্বশ্রেষ্ঠ খুশি মুবারক প্রকাশ করা সম্ভব
===================================
যাদের অন্তরে হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি মুহব্বত আছে তাদের পক্ষেই শুধুমাত্র পবিত্র সাইয়্যিদুল আইয়াদ শরীফ পালন তথা হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বেলাদত শরীফ উনার সম্মানার্থে সর্বশ্রেষ্ঠ খুশি মুবারক প্রকাশ করা সম্ভব

মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন,

النَّبِيُّ أَوْلَىٰ بِالْمُؤْمِنِينَ مِنْ أَنفُسِهِمْ

অর্থ: হযরত নবী করীম ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মুমিনদের নিকট তাদের নিজেদের জীবন অপেক্ষা অধিক নিকটবর্তী (পবিত্র সূরা আহযাব শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ৬)

আল্লাহ পাক আরো ইরশাদ ‍মুবারক করেন,

مَا كَانَ لِأَهْلِ الْمَدِينَةِ وَمَنْ حَوْلَهُم مِّنَ الْأَعْرَابِ أَن يَتَخَلَّفُوا عَن رَّسُولِ اللَّهِ وَلَا يَرْغَبُوا بِأَنفُسِهِمْ عَن نَّفْسِهِ ۚ ذَٰلِكَ بِأَنَّهُمْ لَا يُصِيبُهُمْ ظَمَأٌ

অর্থ: “মদীনাবাসী ও পাশ্ববর্তী পল্লীবাসীদের উচিত নয় রসূলুল্লাহর সঙ্গ ত্যাগ করে পেছনে থেকে যাওয়া এবং রসূলের প্রাণ থেকে নিজেদের প্রাণকে অধিক প্রিয় মনে করা।” (পবিত্র সূরা তওবা শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ১২০)

হাদীস শরীফে এরশাদ হয়েছে-

لا يؤمن احدكم حتي اكون احب اليه من والده ووالده والناس اجمعين وفي رواية من ماله و نفسه

অর্থ : তোমরা কেউ ততক্ষণ পর্যন্ত মু’মিন হতে পারবেনা যতক্ষণ পর্যন্ত সে তার পিতা-মাতা, সন্তান সন্তুতি, এবং সমস্ত মানুষ অপেক্ষা আমাকে বেশি মুহব্বত না করবে। অন্য বর্নায় এসেছে, তার ধন সম্পদ এবং জীবনের চাইতে বেশি মুহব্বত না করবে।” (দলীল- বুখারী শরীফ ১/৭-কিতাবুল ঈমান- হাদীস নম্বর ১৪ এবং ১৫)

হাদীস শরীফ উনার মধ্যে আরো ইরশাদ মুবারক হয়েছে,

عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، أَنَّ النَّبِيَّ قَالَ: ” لَا يُؤْمِنُ عَبْدٌ حَتَّى أَكُونَ أَحَبَّ إِلَيْهِ مِنْ أَهْلِهِ وَمَالِهِ وَالنَّاسِ أَجْمَعِينَ

অর্থ: ‘‘নবী করীম ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ মুবারক করেন, কোন মানুষ মু’মিন হতে পারবে না যতক্ষন পর্যন্ত নিজের পরিবার, মাল সম্পদ, সমস্ত মানুষ থেকে আমাকে বেশি মুহব্বত না করবে।’’ (আবু ইয়ালা ৩৮৪২)

হাদীস শরীফ উনার মধ্যে আরো বর্ণিত হয়েছে,

عَنِ ابْنِ أَبِي لَيْلَى , قَالَ : قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : ” لا يُؤْمِنُ عَبْدٌ حَتَّى أَكُونَ أَحَبَّ إِلَيْهِ مِنْ نَفْسِهِ , وَتَكُونَ عِتْرَتِي أَحَبَّ إِلَيْهِ مِنْ عِتْرَتِهِ , وَيَكُونَ أَهْلِي أَحَبَّ إِلَيْهِ مِنْ أَهْلِهِ , وَتَكُونَ ذَاتِي أَحَبَّ إِلَيْهِ مِنْ ذَاتِهِ ”

অর্থ: কোনো বান্দা ততক্ষণ পর্যন্ত মু’মিন হতে পারবে না, যতক্ষণ পর্যন্ত সে তার নিজের জান থেকে আমাকে বেশি মুহব্বত করতে না পারবে এবং আমার সম্মানিত বংশধরগণ উনাদেরকে তার নিজের বংশধর থেকে বেশি মুহব্বত না করবে। আর আমার সম্মানিত আত্মীয়-স্বজন উনাদেরকে তার আত্মীয়-স্বজন থেকে বেশি মুহব্বত না করবে। আমার সম্মানিত জাত মুবারক উনাকে তার নিজের জাত থেকে বেশি মুহব্বত না করবে।” (মু’জামুল আওসাত লিত তাবারান ৫৯৪০, মুজামুল কবীর ৬৩০০, শুয়াইবুল ঈমান ১৪১৮)

যারা সত্যিকার অর্থে এমনভাবে মুহব্বত করতে পারবে তাদের পক্ষেই ঈদে মীলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন করা সম্ভব। তাদের অন্তরেই নবীজী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে পাওয়ার কারনে খুশির আমেজ কাজ করেবে। তাদের পক্ষেই নিয়ামত হিসাবে হযরত নবী করীম ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে পাওয়ার কারনে সে নিয়মতকে স্মরন করা ও সে উপলক্ষে খুশি মুবারক প্রকাশ করা সম্ভব হবে।

পবিত্র কালাম পবিত্র কুরআন শরীফে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-

اذكروا نعمة الله عليكم

অর্থাৎ “তোমাদেরকে যে নিয়ামত দেয়া হয়েছে, তোমরা সে নিয়ামতকে স্মরণ কর।” (পবিত্র সূরা আলে ইমরান : পবিত্র আয়াত শরীফ ১০৩)

এখন মুহব্বতের কষ্ঠিপাথর দ্বারা নিজের অবস্থান যাচাই করে নিন। বিন্দুমাত্র মুহব্বত থাকলে হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বেলাদত শরীফ উনার সম্মানার্থে খুশি মুবারক প্রকাশের বিরুধীতা করা সম্ভব নয়। 

Now verify your position with the rock of love. If there is even an iota of love, it is not possible to resist expressing happiness in honor of Huzur Pak sallallahu alaihi wa sallam.

সুমহান ৯০ দিন ব্যাপী আযিমুশশান মাহফিল সম্মানিত প্রতিষ্ঠাতা পৃষ্ঠপোষক: 
======================
সাইয়্যিদুনা মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা
আলাইহিস সালাম যিনি সম্মানিত শায়িখ
রাজারবাগ দরবার শরীফ।

حدث رائع في التاريخ في بنغلاديش
 تسعين يوما طويلة المحفل

A wonderful event in history happening in Bangladesh: 90 days long mahfil


বিস্তারিত দেখুন: 
sm40.com
sunnat.info
#90daysMahfil

জগৎ বিখ্যাত ইমাম মুস্তাহিদগন উনাদের তালিকা যিনারা পবিত্র ঈদে মীলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন করেছেন এবং কিতাব লিখেছেন।

জগৎ বিখ্যাত ইমাম মুস্তাহিদগন উনাদের তালিকা যিনারা পবিত্র ঈদে মীলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন করেছেন এবং কিতাব লিখেছেন।
৯০ দিনব্যাপী মাহফিল মুবারক হো!
===================================
জগৎ বিখ্যাত ইমাম মুস্তাহিদগন উনাদের তালিকা যিনারা পবিত্র ঈদে মীলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন করেছেন এবং কিতাব লিখেছেন।

আমরা ইতিপূর্বে কুরআন শরীফ, হাদীস শরীফ উনার অকাট্য দলীল আদীল্লা এর মাধ্যমে সর্বশ্রেষ্ঠ ঈদ, ঈদে আযম, পবিত্র ঈদে মীলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন করার হুকুম,ফযীলত, গুরুত্ব প্রমান করেছি!
আজকে আমরা দেখবো জগৎ বিখ্যাত ইমাম, মুস্তাহিদ, মুফাসসির, মুহাদ্দিস , ফকীহ, ইমাম উনাদের তালিকা, যিনারা পবিত্র ঈদে মীলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন করার ব্যাপারে ফতোয়া দিয়েছেন, নিজেরা পালন করেছেন এবং সবাইকে করতে বলেছেন !!
অর্থাৎ এ মহান আমলটির ব্যাপারে সবাই ঐক্যমত্য স্থাপন করেছেন !

আর এই ইজমা বা ঐক্যমত্যের ব্যাপারে হাদীস শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত হয়েছে —

عَنْ حَضْرَتْ اِبْنِ عُمَرَ رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَنْ تَـجْتَمِعَ اُمَّتِي عَلَى الضَّلَالَةِ اَبَدًا.
অর্থ : “হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে উমর রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, (ক্বিয়ামত পর্যন্ত) কখেনোই আমার উম্মত গুমরাহীর মধ্যে একমত হবেন না।” (আল্ মু’জামুল কবীর লিত্ ত্ববারানী শরীফ : ১১তম খ- : ৭৮ পৃষ্ঠা : হাদীছ শরীফ নং ১৩৪৪৮; মুস্তাদরাক লিল হাকীম শরীফ : কিতাবুল ইলম : ১ম খ- : ১৯৯ পৃষ্ঠা : হাদীছ শরীফ নং ৩৯১)

হাদীস শরীফে আরো ইরশাদ হয়েছে- ‘‘হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ মুবারক করেন, তোমরা বড় দলের অনুসরন করো । কারন যে জামাত ( আহলে সুন্নাহ) হতে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে তাকে পৃথক ভাবে অগ্নীতে নিক্ষেপ করা হবে ।” (মিশকাত শরীফ- কিতাবুল ঈমান-বাবুল ই’তিসামবিলকিতাবওয়াসসুন্নাহ–হাদীস১৬৪)

উক্ত হাদীস শরীফ সমূহ থেকে আমরা দেখতে পাচ্ছি, আহলে সুন্নত ওয়াল জামাতের ঐক্যমত্যের উপর আমাদের থাকতে হবে । বড় দল বা সকল ইমাম মুস্তাহিদগন যেদিকে রায় দিয়েছেন সে পথ থেকে কেউ সরে গেলে সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার উপর থাকতে পারবে না, সে জাহান্নামী হবে ।
এবার আসুন আমরা দেখি আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াত উনার যে সমস্ত ইমাম,মুস্তাহিদ,মুফাসসির,মুহাদ্দিস,ফকীহ,মুফতী মীলাদ শরীফ এবং ঈদে মীলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন করেছেন এবং পালন করার তাগীদ করছেন উনাদের নাম মুবারকের তালীকা । এগুলা ছাড়াও আরো অসংখ্য নাম মুবারক রয়েছে ।

(১) ইমামুশ শরীয়াত ওয়াত ত্বরীকাত, ইমাম হাসান বসরী রহমাতুল্লাহি আলাইহি
(২) আল ইমামুল আকবার,শাফেয়ী মাযহাব উনার ইমাম, ইমাম শাফেয়ী রহমাতুল্লাহি আলাইহি
(৩) বিখ্যাত ফক্বীহ, বিশিষ্ট ওলী হযরত মারুফ কারখী রহমাতুল্লাহি আলাইহি
(৪) ওলীয়ে কামেল হযরত সাররী সাক্বতী রহমাতুল্লাহি আলাইহি
(৫) সাইয়্যিদুত ত্বয়িফা হযরত জুনায়েদ বাগদাদী রহমাতুল্লাহি আলাইহি
(৬) তাজুল মানতেকীন, হযরত ইমাম ফখরুদ্দীন রাজী রহমাতুল্লাহি আলাইহি
(৭) সুলত্বনুল আরেফীন, হাফিজে হাদীস, জালালুদ্দিন সূয়ুতী রহমাতুল্লাহি আলাইহি
(৮) হাফিজে হাদীস, ইবনে হাজার আসক্বালানী রহমাতুল্লাহি আলাইহি
(৯) ইমাম শামসুদ্দিন মুহম্মদ ছাখাবী রহমাতুল্লাহি আলাইহি
(১০) ইমামুল মুহাদ্দিসিন, মোল্লা আলী কারী রহমাতুল্লাহি আলাইহি
(১১) ইমামুল মুহাদ্দিসিন, শায়েখ আব্দুল হক মুহাদ্দিস দেহলবী রহমাতুল্লাহি আলাইহি
(১২) ইমামুল মুহাদ্দিসিন, শায়েখ ইবনে হাজর হায়ছামী রহমাতুল্লাহি আলাইহি
(১৩) হাফিজে হাদীস, ইমাম হযরত ইবনে জাওযী রহমাতুল্লাহি আলাইহি
(১৪) হাফিজে হাদীস,হযরত আল্লামা কুস্তালানী রহমাতুল্লাহি আলাইহি
(১৫) মুজাদ্দিদে জামান,সুলত্বনুল আওলীয়া, মুজাদ্দিদে আলফে সানী রহমাতুল্লাহি আলাইহি
(১৬) ইমাম, হযরত আলী ইবনে ইব্রাহীম রহমাতুল্লাহি আলাইহি ( সিরাতে হলবীয়া)
(১৭) মুহাদ্দিস, আল্লামা জাযরী রহমাতুল্লাহি আলাইহি
(১৮) হাফিজে হাদীস, বিখ্যাত মুহাদ্দিস আল্লামা মুহম্মদ ইবনে ইউসুফ আশশামী রহমতুল্লাহি আলাইহি
(১৯) হযরতুল আল্লামা,ইমাম, বারজানজী রহমাতুল্লাহি আলাইহি
(২০) হাফিজে হাদীস, আবু মুহম্মদ আব্দুর রহমান ইবনে ইসমাঈল রহমাতুল্লাহি আলাইহি [ ইমাম নববীর ওস্তাদ] (২১) ইমামমুল মুহাদ্দেসীন, মুজাদ্দিদে জামান শাহ ওয়ালীউল্লাহ মুহাদ্দিস দেহলবী রহমাতুল্লাহি আলাইহি

(২২) ইমামুল মুহাদ্দিসীন, শায়েখ আব্দুল আযীয মুহাদ্দিস দেহলবী রহমাতুল্লাহি আলাইহি
(২৩) শায়েখ আল্লামা তাহের জামাল রহমাতুল্লাহি আলাইহি
(২৪) বিখ্যাত মুহাদ্দিস, হযরত তকি উদ্দিন সুবকী রহমাতুল্লাহি আলাইহি
(২৫) মুহাদ্দিস, ইমামুল আল্লামা, নাসিরুদ্দিন মোবারক ইবনে বাতাহ রহমাতুল্লাহি আলাইহি
(২৬) শায়খুল ইমাম, জামাল উদ্দীন আব্দুর রহমান ইবনে আব্দুল মালেক রহমাতুল্লাহি আলাইহি
(২৭) ইমামুল আল্লামা, জহীর উদ্দিন ইবনে জাফর রহমাতুল্লাহি আলাইহি
(২৮) শায়েখ, হযরত নাসিরুদ্দিন তায়লাসী রহমাতুল্লাহি আলাইহি
(২৯) শায়খুল ইমাম, আল্লামা সদরুদ্দীন মাওহূব ইবনে উমর রহমাতুল্লাহি আলাইহি
(৩০) হযরত আল্লামা শায়েখ জামাল উদ্দীন ওরফে মির্জা হাসান মুহাদ্দিস লক্ষৌভী রহমাতুল্লাহি আলাইহি
(৩১) শায়েখ, মুফতী মুহম্মদ সাআদুল্লাহ রহমাতুল্লাহি আলাইহি
(৩২) শায়খুল ইসলাম, হাফিজে হাদীস, হযরত আব্দুল ফজল আহমদ ইবনে আলী ইবনে হাজর রহমাতুল্লাহি আলাইহি
(৩৩) উমদাতুল মুফাসসিরিন হযরত শাহ আব্দুল গনী রহমাতুল্লাহি আলাইহি
(৩৪) হাফিজে হাদীস, হযরত জুরকানী রহমাতুল্লাহি আলাইহি
(৩৫) পবিত্র মক্কা শরীফ এর হানাফী মুফতি শায়েখ জামাল রহমাতুল্লাহি আলাইহি
(৩৬) পবিত্র মক্কা শরীফ উনার হানাফী মুফতী শায়েখ আব্দুর রহমান সিরাজ রহমাতুল্লাহি আলাইহি
(৩৭) পবিত্র মক্কা শরীফ উনার মালেকী মাযহাবের মুফতী হযরত রহমাতুল্লাহ
(৩৮) পবিত্র মক্কা শরীফ উনার শাফেয়ী মাযহাবের মুফতি মুহম্মদ সাঈদ ইবনে মুহম্মদ আবসীল রহমাতুল্লাহি আলাইহি
(৩৯) পবিত্র মক্কা শরীফ উনার হাম্বলী মাযহাবের মুফতি খালফ ইবনে ইব্রাহিম রহমাতুল্লাহি আলাইহি
(৪০) পবিত্র মক্কা শরীফ উনার মালেকী মাযহাবের মুফতি আল্লামা আবু বকর হাজী বাসাউনী রহমাতুল্লাহি আলাইহি
(৪১) পবিত্র মক্কা শরীফ উনার হাম্বলী মাযহাবের মুফতী শায়েখ মুহম্মদ ইবনে হামীদ রহমাতুল্লাহি আলাইহি
(৪২) পবিত্র মক্কা শরীফ উনার হাম্বলী মাযহাবের মুফতী মুহম্মদ ইবনে ইয়াহইয়া রহমাতুল্লাহি আলাইহি
(৪৩) পবিত্র মক্কা শরীফ উনার মালেকী মাযহাবের মুফতী হযরত মাওলানা হুসাইন ইবনে ইব্রাহীম রহমাতুল্লাহি আলাইহি
(৪৪) পবিত্র মক্কা শরীফ উনার শাফেয়ী মাযহাবের ফতোয়া বোর্ডের সভাপতি শায়েখ মুহম্মদ উমর ইবনে আবু বকর রহমাতুল্লাহি আলাইহি
(৪৫) শায়েখ উছমান হাসান দিমইয়াতী শাফেয়ী রহমাতুল্লাহি আলাইহি
(৪৭) মদীনা শরীফ উনার হানাফী মুফতি মুহম্মদ আমীন রহমাতুল্লাহি আলাইহি
(৪৮) মদীনা শরীফ উনার শাফেয়ী মুফতি, শায়েখ জাফর হুসাইন রহমাতুল্লাহি আলাইহি
(৪৯) মদীনা শরীফ উনার হাম্বলী মুফতি আব্দুল জব্বার রহমাতুল্লাহি আলাইহি
(৫০) মদীনা শরীফ উনার মালেকী মাযহাবের মুফতি মুহম্মদ শরকী রহমাতুল্লাহি আলাইহি
(৫১) হাফিজে হাদীস, শামসুদ্দীন ইবনে নাসিরুদ্দিন দামেস্কী রহমাতুল্লাহি আলাইহি
(৫২) ইমামুল মুফাসসিরিন,শায়েখ ইসমাঈল হাক্কী রহমাতুল্লাহি আলাইহি
(৫৩) পীরে কামেল, মুজাদ্দিদে জামান, আবু বকর সিদ্দিক ফুরফুরাবী রহমাতুল্লাহি আলাইহি
(৫৪) মুফতীয়ে আযম,হাফিযে হাদীস রুহুল আমীন বশিরহাটি রহমাতুল্লাহি আলাইহি
(৫৫) হাদীয়ে বাঙ্গাল, কারামাত আলী জৌনপুরী রহমাতুল্লাহি আলাইহি

(৫৬) মুফতিয়ে আযম, আমীমুল ইহসান মুজাদ্দেদী বরকতী রহমাতুল্লাহি আলাইহি
(৫৭) শায়েখ হাজী ইমদাদুল্লাহ মুহাজির মক্কী রহমাতুল্লাহি আলাইহি
(৫৮) শায়েখ, হাফিয আবুল খাত্তাব ইবনে দাহিয়্যা রহমাতুল্লাহি আলাইহি
(৫৯) হাফিযে হাদীস, শায়েখ ইবনে হাজর মক্কী রহমাতুল্লাহি আলাইহি
(৬০) শায়েখ আল্লামা আবুল ক্বাসিম মুহম্মদ বিন উছমান রহমাতুল্লাহি আলাইহি
(৬১) শায়েখ মাওলানা সালামাতুল্লাহ ছিদ্দীক কানপুরী রহমাতুল্লাহি আলাইহি
(৬২) হযরত বেশরাতুল্লাহ মেদেনীপুরী রহমাতুল্লাহি আলাইহি
(৬৩) শায়েখ হাফিজ , আব্দুল হক এলাহাবাদী রহমাতুল্লাহি আলাইহি
দলীল–
√সবহুল হুদা ফি মাওলিদিল মুস্তফা !√আল হাবীলিল ফতোয়া !
√মাওয়াহেবুল লাদুন্নিয়া !
√ওয়াসিল ফি শরহে শামায়িল !
√মাসাবাতা বিস সুন্নাহ !
√কিতাবুত তানউয়ীর ফি মাওলুদুল বাশির ওয়ান নাজির !
√আন নি’মাতুলকুবরা
√মাওলুদুল কবীর
√ইশবাউল কালাম !
√খাসায়েছুল কুবরা
√মাকতুবাত শরীফ
√দুররুল মুনাজ্জাম
√হাক্বীকতে মুহম্মদি মীলাদে আহমদী !
√মজমুয়ায়ে ফতোয়া
√তাফসীরে রুহুল বয়ান
√জামিউল ফতোয়া
√ফতোয়ায়ে বরকতী
√সীরাতে শামী
√সীরাতে নববী
√যুরকানী আলাল মাওয়াহেব
√সুবহুল হুদা ওয়ার রাশাদ
√মিয়াতে মাসাঈল
√আশ শিফা
√আল মুলাখখ্যাছ
√জাওয়াহিরুল মুনাজ্জাম
√আল ইনসানুল উয়ুন !
√আস সুলুকুল মুনাজ্জাম
√নুজহাতুল মাজালিস
√আল ইনতেবাহে সালাসিল আওলিয়া !
√হাফতে মাসায়িল
√কিয়ামুল মিল্লাহ
√সীরাতে হালবীয়া
√মাজমায়ুল বিহার
√মাওয়ারেদে রাবী ফী মাওলিদিন নবী

√ফুয়ুযুল হারামাঈন
√আরফুত তারীফ ফী মাওলিদিশ শরীফ
√আল ইহতিফাল বিযিকরী মাওলুদুন নাবীয়িশ শরীফ
√সিরাজুম মুনীরা
√শামায়েলে এমদাদীয়া
এছাড়াও আরো হাজার হাজার ইমাম,মুস্তাহিদ,মুহাদ্দিস, মুফাসসির, ফকীহ আছেন যিনারা নিজেরাই ঈদে মীলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন করেছেন এবং পালন করতে উৎসাহিত করেছেন!
এবং পবিত্র ঈদে মীলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন করার হুকুম সম্পর্কে দলীল আদিল্লা দিয়ে কিতাব রচনা করেছেন !

অথচ এর বিপরীতে একজন আলেম,ওলামা উনাদের কোন বক্তব্য, লিখনী, ফতোয়া কেউ দেখাতে পারবে না !
শুধু তাই না, এই বিষয়ে ইজমা সম্পর্কে বর্নিত আছে –
ﻗﺪﺍﺟﻤﻌﺖﺍﻻﻣﺖﺍﻣﺤﻤﺪﻳﺔﻣﻦ
ﺍﻻﻫﻞﺍﻟﺴﻨﺔﻭﺍﻟﺠﻤﺎﻋﺔﻋﻠﻲﺍﺳﺘﺤﺴﺎﻥ
ﺍﻟﻘﻴﺎﻡﺍﻟﻤﺬﻛﻮﺭﻭﻗﺎﻝﻋﻠﻴﻪﺍﻟﺴﻼﻡﻻ
ﺗﺠﺘﻤﻊﺍﻣﺘﻲﻋﻠﻲﺍﻟﻀﻼﻟﺔ

অর্থ: উম্মতে মুহম্মদি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আহলে সুন্নাত ওয়াল জাময়াতের সকল আলেমগন মীলাদ শরীফ ও ক্বিয়াম শরীফ মুস্তহসান হওয়ার ব্যাপারে ইজমা বা ঐক্যমত পোষন করেন। আর হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন,আমার উম্মত (আলেম গন) কখনোই গোমরাহীর উপর একমত হবে না ।” (ইশবাউল কালাম:৫৪ পৃষ্ঠা)

সূতরাং এতজন ইমাম, মুস্তাহিদ, মুহাদ্দিস , মুফাসসির, ফকীহ উনাদের বিরোধীতা করে উনাদের ঐক্যমত্যের বিরুদ্ধে কথা বলবে,বা ঈদে মীলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিরোধিতা করবে তারা আর যাইহোক মুসলমান হতে পারে না ! তারা উপরে বর্নিত হাদীস শরীফের রায় অনুযায়ী জাহান্নামী হবে !
সেটা আল্লাহ পাক ইরশাদ মুবারক করেন —

وَمَن يُشَاقِقِ الرَّسُولَ مِن بَعْدِ مَا تَبَيَّنَ لَهُ الْهُدَىٰ وَيَتَّبِعْ غَيْرَ سَبِيلِ الْمُؤْمِنِينَ نُوَلِّهِ مَا تَوَلَّىٰ وَنُصْلِهِ جَهَنَّمَ

অর্থ: ‘‘যে কারো নিকট হিদায়েত বিকশিত হওয়ার পর রসূল পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিরুদ্ধাচরণ করবে, আর মু’মিনদের পথ ছেড়ে ভিন্ন পথে চলবে, আমি তাকে সে দিকেই ফিরাবো যেদিকে সে ফিরেছে, এবং তাকে জাহান্নামে প্রবেশ করাবো ” ( পবিত্র সূরা নিসা শরীফ: পবিত্র আলাত শরীফ ১১৫)

সুতরাং যারা নবীজী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিলাদত শরীফ উনার সম্মানার্থে খুশি মুবারক প্রকাশ করার বিরোধিতা করবে এবং এ ব্যাপারে মু’মিনগণ উনাদের ঐক্যমত অস্বীকার করে ভিন্ন পথ অনুসরণ করবে তার গন্তব্য নিশ্চিত জাহান্নাম!!

সুমহান ৯০ দিন ব্যাপী আযিমুশশান মাহফিল সম্মানিত প্রতিষ্ঠাতা পৃষ্ঠপোষক: 
======================
সাইয়্যিদুনা মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা
আলাইহিস সালাম যিনি সম্মানিত শায়িখ
রাজারবাগ দরবার শরীফ।

حدث رائع في التاريخ في بنغلاديش
 تسعين يوما طويلة المحفل

A wonderful event in history happening in Bangladesh: 90 days long mahfil


বিস্তারিত দেখুন: 
sm40.com
sunnat.info
#90daysMahfil

ঈদে মীলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মাহফিল এ রহমত মুবারক উনার নূর মুবারক নাযিল হয়

ঈদে মীলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মাহফিল এ রহমত মুবারক উনার নূর মুবারক নাযিল হয়
৯০ দিনব্যাপী মাহফিল মুবারক হো!

ঈদে মীলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মাহফিল এ রহমত মুবারক উনার নূর মুবারক নাযিল হয়
===================================
পবিত্র ঈদে মীলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এমন এক মাহফিল যা সমগ্র পৃথিবীতে পালন হয়েছে। এ প্রসঙ্গে হযরত মুল্লা আলী ক্বারী রহমতুল্লাহি আলাইহি বলেছেন-

اَمَّا اَہْلُ مَکَّۃَ یَزِیْدُ اِہْتِمَامَہُمْ بِہٖ عَلٰی یَوْمِ الْعِیْدِ

অর্থ: “মক্কাবাসীগণ মীলাদুন্নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর প্রতি গুরুত্ব ঈদ অপেক্ষাও বেশী দিতেন।” (আল মাওরেদুর রাবী ফি মাওলিদিন নবী)

আর এসব মাহফিলে যে কতবড় নিয়ামত, রহমত নাযিল সে বিষয়ে হযরত শাহ্ ওয়ালী উল্লাহ্ মুহাদ্দিছ দেহলভী রহমতুল্লাহি আলাইহি বলেছেন, –

ﻭﻛﻨﺖ ﻗﺒﻞ ﺫﻟﻚ ﺑﻤﻜﺔ ﺍﻟﻤﻌﻈﻤﺔ ﻓﻰ ﻣﻮﻟﺪ ﺍﻟﻨﺒﻰ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﻓﻰ
ﻳﻮﻡ ﻭﻻﺩﺗﻪ ﻭﺍﻟﻨﺎﺱ ﻳﺼﻠﻮﻥ ﻋﻠﻰ ﺍﻟﻨﺒﻰ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﻳﺬﻛﺮﻭﻥ
ﺍﺭﻫﺎﺻﺎﺗﻪ ﺍﻟﺘﻰ ﻇﻬﺮﺕ ﻓﻰ ﻭﻻﺩﺗﻪ ﻭﻣﺸﺎﻫﺪﻩ ﻗﺒﻞ ﺑﻌﺜﺘﻪ ﻓﺮﺃﻳﺖ ﺍﻧﻮﺍﺭﺍ
ﺳﻄﻌﺖ ﺩﻓﻌﺔ ﻭﺍﺣﺪﺓ ﻻ ﺍﻗﻮﻝ ﺍﻧﻯﺎﺩﺭﻛﺘﻬﺎ ﺑﺒﺼﺮﺍﻟﺠﺴﺪ ﻭﻻ ﺍﻗﻮﻝ ﺍﺩﺭﻛﺘﻬﺎ
ﺑﺒﺼﺮ ﺍﻟﺮﻭﺡ ﻓﻘﻂ ﻭﺍﻟﻠﻪ ﺍﻋﻠﻢ
ﻛﻴﻒ ﻛﺎﻥ ﺍﻻﻣﺮ ﺑﻴﻦ ﻫﺬﺍ ﻭ ﺫﻟﻚ ﻓﺘﺄﻣﻠﺖ ﺗﻠﻚ ﺍﻻﻧﻮﺍﺭ ﻓﻮﺟﺪﺗﻬﺎ ﻣﻦ ﻗﺒﻞ
ﺍﻟﻤﻼﺋﻜﺔ ﺍﻟﻤﺆﻛﻠﻴﻦ ﺑﺎﻣﺜﺎﻝ ﻫﺬﻩ ﺍﻟﻤﺸﺎﻫﺪ ﻭﺑﺎﻣﺜﺎﻝ ﻫﺬﻩ ﺍﻟﻤﺠﺎ ﻟﺲ ﻭﺭﺍﻳﺖ
ﻳﺨﺎﻟﻄﻪ ﺍﻧﻮﺍﺭ ﺍﻟﻤﻼﺋﻜﺔ ﺍﻧﻮﺍﺭ ﺍﻟﺮﺣﻤﺔ ০
(‏( ﻓﻴﺾ ﺍﻟﺤﺮﻣﻴﻦ
.

“আমি একবার মক্কা মুয়াযযাময় মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম শরীফ-এর দিনে নবী করীম ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র বিলাদত শরীফ-এর স্থানে উপস্থিত ছিলাম। তখন লোকেরা হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার ঐসব মু’জিযা শরীফ বর্ণনা করছিলেন, যেগুলো হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার শুভাগমনের পূর্বে এবং হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নবুওওয়াত মুবারক প্রকাশের পূর্বে প্রকাশ পেয়েছিলো। আমি হঠাৎ দেখতে পেলাম সেখানে জ্যোতিসমূহেরই ছড়াছড়ি। তখন আমি গভীরভাবে চিন্তা ভাবনা করলাম ও বুঝতে পারলাম যে, ঐ ‘নূর’ (জ্যোতি হচ্ছে ঐসব ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনাদের, যিনাদেরকে এমন মাহফিলসমূহের (মীলাদ শরীফ ইত্যাদি) জন্য নিয়োজত রাখা হয়েছে। অনুরূপভাবে আমি দেখেছি ‘রহমতের নূর’ ও ফেরেশ্তাদের নূর’ সেখানে একাকার হয়ে গিয়েছে।” (ফুয়ূযুল হেরামাইন)

সুমহান ৯০ দিন ব্যাপী আযিমুশশান মাহফিল সম্মানিত প্রতিষ্ঠাতা পৃষ্ঠপোষক: 
======================
সাইয়্যিদুনা মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা
আলাইহিস সালাম যিনি সম্মানিত শায়িখ
রাজারবাগ দরবার শরীফ।

حدث رائع في التاريخ في بنغلاديش
 تسعين يوما طويلة المحفل

A wonderful event in history happening in Bangladesh: 90 days long mahfil


বিস্তারিত দেখুন: 
sm40.com
sunnat.info
#90DaysMahfil

সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ তথা ঈদে মীলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উপলক্ষে খুশি মুবারক প্রকাশ করলে নিশ্চিত জান্নাতী হবে

সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ তথা ঈদে মীলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উপলক্ষে খুশি মুবারক প্রকাশ করলে নিশ্চিত জান্নাতী হবে
৯০ দিনব্যাপী মাহফিল মুবারক হো!

সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ তথা ঈদে মীলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উপলক্ষে খুশি মুবারক প্রকাশ করলে নিশ্চিত জান্নাতী হবে
===================================
সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ তথা ঈদে আযম,ঈদে আকবর, পবিত্র ঈদে মীলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এমন এক মহান আমল, এমন এক ঈদ, যদি কোন মানুষ এই ঈদ পালন করে তাহলে অবশ্যই সে প্রতিদান পাবেই পাবে !!

মানুষের সমগ্র জীবনের অনেক আমল থাকে, সে আমল আল্লাহ পাক উনার দরবারে কবুল হতেও আবার নাও হতে পারে ! কিন্তু কেউ যদি পবিত্র ঈদে মীলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন করে, খুশি প্রকাশ করে এটা নিশ্চিত তার এই আমল কবুল হবেই হবে !! এ আমল কখনোই বৃথা যাবে না !
আজকে আলোচনায় আমরা এ প্রসঙ্গে সুক্ষ কিছু আলোচনা করবো ! সবাই একটু মনোযোগ দিয়ে পড়ুন !!!!

আমরা সবাই আবু লাহাবের কথা জানি। আবু লাহাব হচ্ছে কাট্টা কাফির ! হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নবুওয়াত মুবারক প্রকাশ করার পর থেকে সে লাগাতার বিরোধিতায় লিপ্ত ছিলো ! শুধু তাই নয় এই কাফির আবু লাহাব স্ব পরিবারে হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার চরম বিরোধিতা করতো !!
আল্লাহ পাক এই আবু লাহাব এবং তার স্ত্রীর ধ্বংস ঘোষনা করে সূরা লাহাব নামে একটি সূরা নাজিল করে দিলেন ! এছাড়া সূরা বাকারা শরীফ উনার প্রথম দিককার কিছু আয়াত শরীফও আবু লাহাবের ব্যাপারে নাজিল হয় !

তো হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যখন বিলাদত শরীফ লাভ করেন তখন এই আবু লাহাব নিজের ভাই হযরত সাইয়্যিদুনা আবদুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনার মুবারক পুত্র উনার বিলাদত শরীফ উপলক্ষে খুশি প্রকাশ করে । এ খুশি প্রকাশ কিন্তু সে নবী হিসাবে করে নাই, এ খুশি করেছিলো সে নিজের ভাইয়ের পুত্র উনার আগমন উপলক্ষে !!
আর এই খুশি প্রকাশ করাটাই তার জন্য একটি বিশেষ সুসংবাদের বিষয় হিসাবে প্রমানিত হয়েছে !!

আসুন এবার আমরা সহীহ হাদীস শরীফ থেকে দেখি কি ঘটনা ঘটেছিলো —

قَالَ حَضَرَتْ عُرْوَةُ رَضِىَ الله تَعَالى عَنْهُ وَ حضرت ثُوَيْبَةُ عَلَيْهَا السَلاَمُ مَوْلاَة لاَبِى لَهَب كَانَ اَبُو لَهَب اَعْتَقَهَا فَاَرْضَعَتِ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فَلَمَّا مَاتَ اَبُو لَهَب اُرِيَهُ بَعْضُ اَهْلِه بِشَرّ حِيبَةٍ قَالَ لَه مَاذَا لَقِيتَ قَالَ اَبُو لَهَبٍ لَمْ اَلْقَ بَعْدَكُمْ غَيْرَ اَنّى سُقِيتُ فِى هَذِه بِعَتَاقَتِى حَضَرَتْ ثُوَيْبَةَ عَلَيْهَا السَلاَمُ

অর্থ : হযরত উরওয়া রদ্বিয়াল্লাহু আনহু তিনি বর্ননা করেন, হযরত সুয়াইবিয়া রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহা তিনি ছিলেন আবু লাহাবের বাঁদী এবং আবু লাহাব হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিলাদত শরীফ উপলক্ষে খুশি হয়ে উনার খিদমত মুবারক করার জন্য হযরত সুয়াইবিয়া রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহা কে আযাদ করে দিয়েছিলো ! এরপর আখেরী রসূল, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে তিনি দুধ পান করান। অতঃপর আবু লাহাব যখন মারা গেলো (কিছুদিন পর) তার পরিবারের একজন অর্থাৎ তার ভাই হযরত আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু আনহু তিনি স্বপ্নে দেখলেন যে, আবু লাহাব সে ভিষন কষ্টের মধ্যে নিপতিত আছে! তিনি তাকে জিজ্ঞাসা করলেন, তোমার সাথে কিরূপ ব্যবহার করা হয়েছে ? আবু লাহাব উত্তরে বললো, যখন থেকে আপনাদের থেকে দূরে রয়েছি তখন থেকেই ভীষন কষ্টে আছি ! তবে হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিলাদত শরীফ উপলক্ষে খুশি প্রকাশ করে বাঁদী সুয়াইবা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহা উনাকে দু’আঙ্গুলের ইশারায় আযাদ/মুক্তি দেয়ার কারনে সেই দু’আঙ্গুল হতে সুমিষ্ট ঠান্ডা ও সুশীতল পানি পান করতে পারছি !”
(সহীহ বুখারী শরীফ –কিতাবুননিকাহ- ২য় খন্ড ৭৬৪পৃষ্ঠা, উমদাতুল ক্বারী লি শরহে বুখারী ২০ খন্ড ৯৩ পৃষ্ঠা)

বিখ্যাত মুহাদ্দিস, বুখারী শরীফের বিখ্যাত ব্যাখ্যাকার, হাফিজে হাদীস, হযরত ইবনে হাজার আসকালানী রহমাতুল্লাহি আলাইহি এবং বিখ্যাত মুহাদ্দিস, হাফিজে হাদীস, হযরত বদরুদ্দীন আইনী রহমাতুল্লাহি আলাইহি উনারা উনাদের বুখারী শরীফের শরাহ ‘‘ফতহুল বারী শরহে বুখারী এর ৯ম খন্ড ১১৮ পৃষ্ঠা এবং উমদাতুল ক্বারী শরহে বুখারী এর ২০ তম খন্ডের ৯৫ পৃষ্ঠায়’’ উল্লেখ করেছেন-

وذكر السهيلى ان العباس قال لما مات ابو لهب رايته فى منامى بعد حول فى شر حال فقال ما لقيت بعد كم راحة الا ان العذاب يخفف عنى فى كل يوم اثنين وذلك ان النبى صلى الله عليه وسلم ولد يوم الاثنين وكانت ثويبة بشرت ابا لهب بمولده فاعتقها.

অর্থ: হযরত ইমাম সুহাইলী রহমাতুল্লাহি আলাইহি তিনি উল্লেখ করেন যে, হযরত আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু আনহু তিনি বলেন, আবু লাহাবের মৃত্যুর এক বছর পর তাকে স্বপ্নে দেখি যে, সে অত্যন্ত দুরবস্থায় রয়েছে ! সে বললো, (হে ভাই হযরত আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু আনহু) আপনাদের কাছ থেকে বিদায় নেয়ার পর আমি কোন শান্তির মুখ দেখি নাই।
তবে হ্যাঁ, প্রতি সোমবার শরীফ যখন আগমন করে তখন আমার থেকে সমস্ত আযাব লাঘব করা হয়, আমি শান্তিতে থাকি। হযরত আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু আনহু তিনি বলেন,আবু লাহাবের এ আযাব লাঘব হয়ে শান্তিতে থাকার কারন হচ্ছে, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিলাদত শরীফ এর দিন ছিলো সোমবার শরীফ ! সেই সোমবার শরীফ এ হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিলাদত শরীফের সুসংবাদ নিয়ে আবু লাহাবের বাঁদী সুয়াইবা রদ্বিয়াল্লাহু আনহা তিনি আবু লাহাবকে জানালেন তখন আবু লাহাব বিলাদত শরীফের খুশির সংবাদ শুনে খুশি হয়ে হযরত সুয়াইবা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহা উনাকে তাৎক্ষনাৎ আযাদ করে দেয় !”
(ফতহুল বারী শরহে বুখারী ৯ম খন্ড ১১৮ পৃষ্ঠা, উমদাতুল ক্বারী লি শরহে বুখারী ২০ খন্ড ৯৫ পৃষ্ঠা, মাওয়াহেবুল লাদুননিয়াহ ১ম খন্ড , শরহুয যারকানী ১ম খন্ড ২৬০ পৃষ্ঠা)

বিখ্যাত মুহাদ্দিস, হাফিজে হাদীস আল্লামা হযরত ইবনু কাছীর রহমাতুল্লাহি আলাইহি উনার কিতাবে লিখেন–

قال للعباس انه ليخفف على فى مثل يوم الاثنين قالوا لانه لما بشرته ثويبة بميلاد ابن اخيه محمد بن عبد الله اعتقها من ساعته فجوزى بذلك لذلك

অর্থ : আবু লাহাব হযরত আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু আনহু উনাকে বললো, ( হে ভাই) অবশ্যই এ কঠিন আযাব সোমবার শরীফ এর দিন লাঘব করা হয়, আল্লামা হযরত সুহাইলী রহমাতুল্লাহি আলাইহি ও অন্যান্যরা বলেন, হযরত সুয়াইবা রদ্বিয়াল্লাহু আনহা তিনি আবু লাহাবকে তার ভাতিজা হযরত আব্দুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনার নূরী আওলাদ,হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিলাদত শরীফ এর সুসংবাদ দেন তৎক্ষনাৎ সে খুশিতে উনাকে মুক্ত করে দেয় ! এই কারনেই আযাব লাঘব হয়ে থাকে !” ( আল বিদায়া ওয়ান নিহায়া ১ম খন্ড ৩৩২ পৃষ্ঠা ,মাছাবাতা বিস সুন্নাহ ১ম খন্ড ৮৩ পৃষ্ঠা)

এ প্রসঙ্গে বিখ্যাত ঐতিহাসিক আল্লামা ইয়াকুব রহমাতুল্লাহি আলাইহি উনার কিতাবে লিখেন-

قال النبى صلى الله عليه وسلم رأيت ابا لهب فى النار يصيح العطش العطش فيسقى من الماء فى نقر ابهامه فقلت بم هذا فقال بعتقى ثويبة لانها ارضعتك.

অর্থ : ‘‘হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বলেন, আমি আবু লাহাবকে দেখেছি জাহান্নামের আগুনে নিমজ্জিত অবস্থায় চিৎকার করে বলছে, পানি দাও ! পানি দাও !
অতঃপর তার বৃদ্ধাঙুলীর গিরা দিয়ে পানি পান করানো হচ্ছে। আমি বললাম, কি কারনে এ পানি পাচ্ছো ? আবু লাহাব বললো, আপনার বিলাদত শরীফ উপলক্ষে খুশি প্রকাশ করে হযরত সুয়াইবা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহা উনাকে মুক্ত করার কারনে এই ফায়দা পাচ্ছি ! কেননা তিনি আপনাকে দুধ মুবারক পান করিয়েছেন !”
(তারীখে ইয়াকুবী ১ম খন্ড ৩৬২ পৃষ্ঠা )

উপরোক্ত হাদীস শরীফ সমূহের ব্যাখ্যায় হাফিজে হাদীস হযরত আল্লামা কুস্তালানী রহমাতুল্লাহি আলাইহি , হাফিজে হাদীস আল্লামা যুরকানী রহমাতুল্লাহি আলাইহি , ইমামুল মুহাদ্দিসিন শায়েখ আব্দুল হক মুহাদ্দিস দেহলবী রহমাতুল্লাহি আলাইহি সহ শত শত ইমাম মুহাদ্দিস গন বলেন –

قال ابن الجزرى فاذا كان هذا الكافر الذى نزل القران بذمه جوزى فى النار بفرحه ليلة مولد النبى صلى الله عليه وسلم به فما حال المسلم الموحد من امته عليه السلام يسر بمولده ويبذل ما تصل اليه قدرته فى محبته صلى الله عليه وسلم لعمرى انما يكون جزاؤه من الله الكريم ان يدخل بفضله العميم جنات النعيم.

অর্থ : ‘‘হযরত ইবনুল জাযরী রহমাতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, আবু লাহাবের মত কাট্টা কাফির যার নিন্দায় কুরআন শরীফে আয়াত শরীফ ও সূরা শরীফ পর্যন্ত নাজিল হয়েছে, তাকে যদি হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিলাদত শরীফ এর রাত্রিতে আনন্দিত হয়ে খুশি প্রকাশ করার কারনে জাহান্নামেও তার পুরস্কার দেয়া হয়ে থাকে তবে হাবীবুল্লাহ হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার উম্মতের কোন মুসলমান যদি ঈদে মীলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উপলক্ষে খুশি মুবারক প্রকাশ করে, তার সাধ্যনুযায়ী টাকা-পয়সা ইত্যাদি খরচ করে তাহলে তাদের অবস্থা কিরুপ হবে ? নিশ্চয়ই আল্লাহ পাক উনার দয়া এবং অনুগ্রহে অবশ্যই অবশ্যই তাকে নিয়ামতপূর্ন জান্নাতে প্রবেশ করাবেন !”
(মাওয়াহেবুল লাদুননিয়া ১ম খন্ড ২৭ পৃষ্ঠা, শরহুয যারকানী ১ম খন্ড ২৬১ পৃষ্ঠা, মাছাবাতা বিস সুন্নাহ ১ম খন্ড ৮৩ পৃষ্ঠা)

আর এ প্রসঙ্গে ইমামুল মুহাদ্দিসিন, শায়েখ আব্দুল হক মুহাদ্দিস দেহলভী রহমাতুল্লাহি আলাইহি বলেন- ‘‘যে ব্যক্তি মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিলাদত শরীফ দিবসকে সম্মান করবে এবং খুশি প্রকাশ করবে সে চির শান্তিময় জান্নাতের অধিকারী হবে।” (মাছাবাতা বিস সুন্নাহ ১ম খন্ড, খুতবায়ে ইবনে নুবাতা)

মহান আল্লাহ পাক আমাদের সবাইকে উপরোক্ত আলোচনা থেকে থেকে শিক্ষা গ্রহন করার তৌফিক দান করুন । এবং পবিত্র বিলাদত শরীফ উপলক্ষে সর্বোচ্চ খুশি মুবারক প্রকাশ করার সৌভাগ্য দান করুন । আমীন ।

সুমহান ৯০ দিন ব্যাপী আযিমুশশান মাহফিল সম্মানিত প্রতিষ্ঠাতা পৃষ্ঠপোষক: 
======================
সাইয়্যিদুনা মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা
আলাইহিস সালাম যিনি সম্মানিত শায়িখ
রাজারবাগ দরবার শরীফ।

حدث رائع في التاريخ في بنغلاديش
 تسعين يوما طويلة المحفل

A wonderful event in history happening in Bangladesh: 90 days long mahfil

#90daysMahfil
বিস্তারিত দেখুন: 
sm40.com
sunnat.info

পবিত্র মীলাদ শরীফ ও ক্বিয়াম শরীফ এমন একটি আমল যা কখনোই বিনষ্ট হবে না যা অবশ্যই নিশ্চিত কবুলযোগ্য একটি আমল

পবিত্র মীলাদ শরীফ ও ক্বিয়াম শরীফ এমন একটি আমল যা কখনোই বিনষ্ট হবে না যা অবশ্যই নিশ্চিত কবুলযোগ্য একটি আমল
৯০ দিনব্যাপী মাহফিল মুবারক হো!

পবিত্র মীলাদ শরীফ ও ক্বিয়াম শরীফ এমন একটি আমল যা কখনোই বিনষ্ট হবে না যা অবশ্যই নিশ্চিত কবুলযোগ্য একটি আমল
====================================
পবিত্র মীলাদ শরীফ ও ক্বিয়াম শরীফ এমন একটি আমল যা কখনোই বিনষ্ট হবে না, অবশ্যই কবুল হবে এই বিষয়ে বিখ্যাত মুহাদ্দিছ ও মুহাক্কিক, হযরতুল আল্লামা শায়খ আব্দুল হক মুহাদ্দিছ দেহলভী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার কিতাবের দুয়া করে লিখেন,

اے اللہ! میرا کوئی عمل ایسا نہیں ہے جسے آپکے دربار میں پیش کرنے کے لائق سمجھوں، میرے تمام اعمال میں فساد نیت موجود رہتی ہے، البتہ مجھ حقیر فقیر کا ایک عمل صرف تیری ذات پاک کی عنایت کیوجہ سے بہت شاندار ہے اور وہ یہ ہے کہ مجلس میلاد کے موقع پر میں کھڑے ہو کر سلام پڑھتاہوں اور نہایت ہی عاجزی وانکسار ی محبت وخلوص کے ساتھ تیری حبیب پاک صلی اللہ علیہ وسلم پر درود سلام بھیجتا رہا ہوں. اے اللہ! وہ کون سا مقام ہے جہاں میلاد مبارک سے زیادہ تیری خیر وبرکت کانزول ہوتا ہے! اس لئے اے ارحم الراحمین مجھے پکا یقین ہے کہ میرا یہ عمل کبھی بیکار نہ جائیگا بلکہ یقینا تیری بارگاہ میں قبول ہوگا اور جوکوئی درود وسلام پڑھے اور اس کےذریعہ دعا کرے وہ کبھی مسترد نہیں ہو سکتی
অর্থ: আয় আল্লাহ পাক আমার এমন কোন আমল নেই, যা আপনার মুবারক দরবারে পেশ করার উপযুক্ত মনে করি। আমার সমস্ত আমলের নিয়তের মধ্যেই ত্রুটি রয়েছে। তবে আমি নগণ্যের শুধুমাত্র একটি আমল আপনার পবিত্র জাতের দয়ায় অনেক সম্মানিত বা মর্যাদাবান। আর সেটা হচ্ছে পবিত্র মীলাদ শরীফ-এর মজলিসে ক্বিয়ামের সময় দাড়িয়ে সালাম মুবারক পেশ করি। আর একান্ত আজীজী ইনকিসারী, মুহব্বত ইখলাছের সাথে আপনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি ছলাত-সালাম পাঠ করি।
হে আল্লাহ পাক এমন কোন স্থান আছে কি, যেখানে মীলাদ মুবারক-এর চেয়ে অধিক খায়ের বরকত নাযিল হয়? হে আরহামুর রহিমীন, আমর দৃঢ় বিশ্বাস যে আমার এ আমল কখনও বৃথা যাবে না। বরং অবশ্যই আপনার পবিত্র দরবারে কবুল হবে। এবং যে কেউ ছলাত-সালাম পাঠ করবে এবং উহাকে ওসীলা দিয়ে দুয়া করবে সে কখনও মাহরূম হতে পারে না। অর্থাৎ সে অবশ্যই কবুলযোগ্য। সুবহানাল্লাহ! (আখবারুল আখইয়াার ৬২৪ পৃষ্ঠা)

সুমহান ৯০ দিন ব্যাপী আযিমুশশান মাহফিল সম্মানিত প্রতিষ্ঠাতা পৃষ্ঠপোষক: 
======================
সাইয়্যিদুনা মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা
আলাইহিস সালাম যিনি সম্মানিত শায়িখ
রাজারবাগ দরবার শরীফ।

حدث رائع في التاريخ في بنغلاديش
 تسعين يوما طويلة المحفل

A wonderful event in history happening in Bangladesh: 90 days long mahfil

#90daysMahfil
বিস্তারিত দেখুন: 
sm40.com
sunnat.info

আল্লাহ পাক উনার সর্বশ্রেষ্ঠ নিয়ামত মুবারক হাবীবুল্লাহ হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে পাওয়ার কারনে ঈদ পালন করা ফরজ।

আল্লাহ পাক উনার সর্বশ্রেষ্ঠ নিয়ামত মুবারক হাবীবুল্লাহ হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে পাওয়ার কারনে ঈদ পালন করা ফরজ।

৯০ দিনব্যাপী মাহফিল মুবারক হো!

আল্লাহ পাক উনার সর্বশ্রেষ্ঠ নিয়ামত মুবারক হাবীবুল্লাহ হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে পাওয়ার কারনে ঈদ পালন করা ফরজ।
===================================
মহান আল্লাহ পাক উনার পক্ষ থেকে প্রাপ্ত সবচেয়ে বড় নিয়ামত হলেন হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি। এই নিয়ামত মুবারক এর জন্য অর্থাৎ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার জন্য খুশি মুবারক প্রকাশ করা তথা ফালইয়াফরাহু করা অর্থাৎ সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ তথা সর্বশ্রেষ্ট খুশি মুবারক প্রকাশ করা উম্মতের জন্য ফরজ। আর সেই খুশি মুবারক প্রকাশ করাই হচ্ছে ঈদে মীলাদে হাবীবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম

আর এই নিয়ামতের স্মরন বা ঈদে মীলাদে হাবীবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন করার কথা মহান আল্লাহ পাক কুরআন শরীফ উনার মধ্যে একাধিকবার বলেছেন। মহান আল্লাহ পাক ইরশাদ মুবারক করেন,

أَلَمْ تَرَ إِلَى الَّذِينَ بَدَّلُوا نِعْمَتَ اللَّهِ كُفْرًا وَأَحَلُّوا قَوْمَهُمْ دَارَ الْبَوَارِ

অর্থ: তুমি কি তাদের কে দেখনি, যারা আল্লাহর নেয়ামতকে কুফরে পরিণত করেছে এবং স্ব-জাতিকে সম্মুখীন করেছে ধ্বংসের আলয়ে। (পবিত্র সূরা ইব্রাহিম শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ২৮)

উক্ত আয়াত শরীফ উনার তাফসীরে বুখারী শরীফে বর্ণিত হয়েছে,
আয়াতে “যারা” বলতে মক্কার কুরাইশ কাফেরদেরকে বুঝানো হয়েছে আর نعمةالله দ্বারা হাবীবুল্লাহ হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কে বুঝানো হয়েছে (বুখারী – কিতাবুল মাগাযী: হাদীস ৩৯৭৭) এই তাফসীর করেন স্বয়ং হযরত উমর ইবনুল খত্তাব আলাইহিস সালাম তিনি। তাহলে আমরা জানতে পারলাম, আল্লাহ পাক উনার নিয়ামত বলতে হাবীবুল্লাহ হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকেই বুঝানো হয়।

মহান আল্লাহ পাক কুরআন শরীফে একাধিক স্থানে এই নিয়ামত সম্পর্কে বলেন,

وَمَن يُبَدِّلْ نِعْمَةَ اللَّهِ مِن بَعْدِ مَا جَاءَتْهُ فَإِنَّ اللَّهَ شَدِيدُ الْعِقَابِ
অর্থ: আর আল্লাহর নেয়ামত পৌছে যাওয়ার পর যদি কেউ সে নেয়ামতকে পরিবর্তিত করে দেয়, তবে আল্লাহর আযাব অতি কঠিন। (পবিত্র সূরা বাকারা শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ২১১)

وَاذْكُرُوا نِعْمَتَ اللَّهِ عَلَيْكُمْ وَمَا أَنزَلَ عَلَيْكُم

অর্থ: আল্লাহ পাক উনার সে নিয়ামতের কথা স্মরণ কর, যা তোমাদের উপর রয়েছে (পবিত্র সূরা বাকারা: পবিত্র আয়াত শরীফ ২৩১)

وَاذْكُرُوا نِعْمَتَ اللَّهِ عَلَيْكُمْ
অর্থ: তোমরা আল্লাহ পাক উনার নিয়ামতের কথা স্মরন করো ( পবিত্র আল ইমরান শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ১০৩)

وَاذْكُرُوا نِعْمَةَ اللَّهِ عَلَيْكُمْ وَمِيثَاقَهُ الَّذِي وَاثَقَكُم بِهِ إِذْ قُلْتُمْ سَمِعْنَا وَأَطَعْنَا ۖ وَاتَّقُوا اللَّهَ ۚ إِنَّ اللَّهَ عَلِيمٌ بِذَاتِ الصُّدُورِ

অর্থ: তোমরা আল্লাহর নেয়ামতের কথা স্মরণ কর, যা তোমাদের প্রতি অবতীর্ণ হয়েছে এবং ঐ অঙ্গীকারকেও যা তোমাদের কাছ থেকে নিয়েছেন, যখন তোমরা বলেছিলেঃ আমরা শুনলাম এবং মেনে নিলাম। আল্লাহকে ভয় কর। নিশ্চয়ই আল্লাহ অন্তরের বিষয় সম্পর্কে পুরোপুরি খবর রাখেন। (পবিত্র সূরা মায়িদা শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ৭)

وَإِن تَعُدُّوا نِعْمَةَ اللَّهِ لَا تُحْصُوهَا ۗ إِنَّ اللَّهَ لَغَفُورٌ رَّحِيمٌ

অর্থ: যদি আল্লাহর নেয়ামত গণনা কর, শেষ করতে পারবে না। নিশ্চয় আল্লাহ ক্ষমাশীল, দয়ালু। ( পবিত্র সূরা নহল শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ১৮)

وَآتَاكُم مِّن كُلِّ مَا سَأَلْتُمُوهُ ۚ وَإِن تَعُدُّوا نِعْمَتَ اللَّهِ لَا تُحْصُوهَا ۗ إِنَّ الْإِنسَانَ لَظَلُومٌ كَفَّارٌ

অর্থ: যে সকল বস্তু তোমরা চেয়েছ, তার প্রত্যেকটি থেকেই তিনি তোমাদেরকে দিয়েছেন। যদি আল্লাহর নেয়ামত গণনা কর, তবে গুণে শেষ করতে পারবে না। নিশ্চয় মানুষ অত্যন্ত অন্যায়কারী, অকৃতজ্ঞ। ( পবিত্র সূরা ইব্রাহিম শরীফ : পবিত্র আয়াত শরীফ ৩৪)

তাহলে বিষয়টা কি দাঁড়ালো হাবীবুল্লাহ হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি হচ্ছেন মহান আল্লাহ পাক উনার পক্ষ থেকে সর্বশ্রেষ্ঠ নিয়ামত। আর আল্লাহ পাক বারবার বলেছেন, সে নিয়ামত তথা হাবীবুল্লাহ হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার আলোচনা মুবারক করতে, এবং এ নিয়ামত এতবড় নিয়ামত যে, যা আলোচনা ছানা সিফত করে শেষ করা যাবে না।

মহান আল্লাহ পাক এই নিয়ামত (হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) উনার জন্য খুশি মুবারক প্রকাশ করার বিষয়ে ইরশাদ মুবারক করেন,

يَا اَيُّهَا النَّاسُ قَدْ جَاءَتْكُمْ مَّوْعِظَةٌ مّن رَّبّكُمْ وَشِفَاءٌ لّمَا فِي الصُّدُوْرِ وَهُدًى وَرَحْـمَةٌ لّلْمُؤْمِنِيْنَ ◌ قُلْ بِفَضْلِ اللهِ وَبِرَحْـمَتِهه فَبِذٰلِكَ فَلْيَفْرَحُوْا هُوَ خَيْرٌ مّـمَّا يَـجْمَعُوْنَ

অর্থ : “হে মানবজাতি! অবশ্যই মহান আল্লাহ পাক উনার পক্ষ থেকে তোমাদের মধ্যে তাশরীফ মুবারক এনেছেন মহান নছীহত মুবারক দানকারী, তোমাদের অন্তরের সকল ব্যাধিসমূহ শিফা মুবারক দানকারী, কুল-কায়িনাতের মহান হিদায়েত মুবারক দানকারী ও খাছভাবে ঈমানদারদের জন্য, আমভাবে সমস্ত কায়িনাতের জন্য মহান রহমত মুবারক দানকারী (নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)। হে আমার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আপনি উম্মাহকে বলে দিন, মহান আল্লাহ পাক তিনি সম্মানিত ফদ্বল বা অনুগ্রহ মুবারক ও সম্মানিত রহমত মুবারক(হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) উনার জন্য তারা যেনো সম্মানিত ঈদ উদযাপন তথা খুশি মুবারক প্রকাশ করে। এই খুশি মুবারক প্রকাশ বা ঈদ করাটা সেসব কিছু থেকে উত্তম, যা তারা দুনিয়া-আখিরাতের জন্য সঞ্চয় করে।” (পবিত্র সূরা ইঊনুস শরীফ : পবিত্র আয়াত শরীফ ৫৭-৫৮)

সুতরাং প্রমাণিত হল আল্লাহ পাক উনার সর্বশ্রেষ্ঠ নিয়ামত মুবারক হলেন হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি এবং এই নিয়ামত মুবারক তথা হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার জন্য খুশি তথা ঈদ পালন করতে হবে যা মহান আল্লাহ পাক উনার ই আদেশ মুবারক।

সুমহান ৯০ দিন ব্যাপী আযিমুশশান মাহফিল সম্মানিত প্রতিষ্ঠাতা পৃষ্ঠপোষক: 
======================
সাইয়্যিদুনা মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা
আলাইহিস সালাম যিনি সম্মানিত শায়িখ
রাজারবাগ দরবার শরীফ।

حدث رائع في التاريخ في بنغلاديش
 تسعين يوما طويلة المحفل

A wonderful event in history happening in Bangladesh: 90 days long mahfil

#90daysMahfil
বিস্তারিত দেখুন: 
sm40.com
sunnat.info

সুমহান ‘পবিত্র আখিরী চাহার শোম্বাহ শরীফ’ সম্পর্কে খুব কম সংখ্যক লোকই অবহিত

সুমহান ‘পবিত্র আখিরী চাহার শোম্বাহ শরীফ’ সম্পর্কে খুব কম সংখ্যক লোকই অবহিত
মুবারক হো ৯০ দিনব্যাপী মাহফিল!

সুমহান ‘পবিত্র আখিরী চাহার শোম্বাহ শরীফ’ সম্পর্কে খুব কম সংখ্যক লোকই অবহিত
=================================

ভূমিকা: আরবী মাস উনার দ্বিতীয় মাস পবিত্র ‘ছফর’ শরীফ। ফযীলত, বুযূর্গী, তাৎপর্য ও মাহাত্ম্যের দিক থেকে এ মাসটি এক বিশেষ স্থান দখল করে আছে। আর পবিত্র ছফর শরীফ মাস উনার মধ্যে মহাগুরুত্বপূর্ণ পবিত্র ‘আখিরী চাহার শোম্বাহ শরীফ’ নামক বিশেষ দিনটি অন্তর্ভুক্ত আছে।
আখিরী চাহার শোম্বাহ শরীফ উনার অর্থ: ‘আখিরী চাহার শোম্বাহ’ শব্দগুলো ফার্সী ভাষায় ব্যবহৃত হয়। ফার্সীতে ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার)কে বলা হয় ‘চাহার শোম্বাহ’। অতএব, ‘আখিরী চাহার শোম্বাহ’ অর্থ- শেষ ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার)। পারিভাষিক অর্থে পবিত্র ছফর শরীফ মাস উনার শেষ ইয়াওমুল আরবিয়া শরীফ বা বুধবারকে পবিত্র আখিরী চাহার শোম্বাহ বলা হয়। 
উল্লেখ্য, প্রত্যেক মাস উনার শেষ ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) আছে। কিন্তু উক্ত দিনকে পবিত্র আখিরী চাহার শোম্বাহ শরীফ বলা হয় না। বরং পবিত্র ছফর শরীফ মাস উনার শেষ ইয়াওমুল আরবিয়া বা বুধবারের স্বতন্ত্র মর্যাদা ও বৈশিষ্ট্যের কারণে একে ‘আখিরী চাহার শোম্বাহ’ শরীফ বলা হয়। 
মূলকথা: আখিরী রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ১১ হিজরী সনের পবিত্র মুহররমুল হারাম শরীফ মাস উনার তৃতীয় সপ্তাহে মারীদ্বি শান মুবারক প্রকাশ করেন। এরপরে ছিহহাতী শান মুবারক প্রকাশ করেন। অতঃপর পবিত্র ছফর শরীফ মাস উনার তৃতীয় সপ্তাহে আবার মারীদ্বি শান মুবারক প্রকাশ করেন।
এ সম্পর্কে বলা হয়, অধিকাংশ ও প্রসিদ্ধ বর্ণনার দ্বারা প্রমাণিত, পবিত্র ছফর শরীফ মাস উনার ইয়াওমুল আরবিয়া শরীফ বা বুধবার বাদ আছর পুনরায় মারীদ্বি শান মুবারক প্রকাশ করেন এবং তা ১২ দিন পর্যন্ত দীর্ঘায়িত হয়। (আদ-দীন ওয়া তারীখুল হারামাইনশি শারীফাঈন: পৃষ্ঠা ২৮১, ২৮৩)
মারীদ্বি শান মুবারক প্রকাশ করার কারণে হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনারা চিন্তিত হয়ে পড়েছিলেন যে, আখিরী রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি কি সত্যিই বিছালী শান মুবারক প্রকাশ করবেন?
আখিরী রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি দীর্ঘদিন মারীদ্বি শান মুবারক প্রকাশ করার পর পবিত্র আখিরী চাহার শোম্বাহ শরীফ সকালে ছিহহাতী শান মুবারক প্রকাশ করেন। অতঃপর গোসল মুবারক করতঃ হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম, হযরত আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের নিয়ে আহার মুবারক করেন। অতঃপর হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু আনহুম উনাদের খোঁজ-খবর নেন এবং খুশি মুবারক প্রকাশ করে মসজিদে নববী শরীফ উনার মধ্যে তাশরীফ মুবারক গ্রহণ করেন।
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ছিহহাতী শান মুবারক প্রকাশ করেছেন তা দেখতে পেয়ে হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু আনহুম উনারা অত্যন্ত আনন্দিত হন। (সীরাতে ইবনে হিশাম: দ্বিতীয় ভাগ, পৃষ্ঠা ৬৫৩, আদ দ্বীন ওয়াত তারীখুল হারামাইনিশ শারীফাঈন, পৃষ্ঠা ২৮১)
শুধু তাই নয়, উনারা মহান আল্লাহ পাক উনার দরবারে শুকরিয়া আদায় করেন এবং এ উপলক্ষে উনাদের সাধ্যমতো নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মুবারক খিদমতে হাদিয়া মুবারক পেশ করেন। এছাড়া গরিব-মিসকিনদেরকেও দান সদকা করেন। সেক্ষেত্রে আফযালুন নাস বা’দাল আম্বিয়া সাইয়্যিদুনা হযরত ছিদ্দীক্বে আকবর আলাইহিস সালাম তিনি সাত হাজার দিনার, সাইয়্যিদুনা হযরত ফারূক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম তিনি পাঁচ হাজার দিনার, খলীফাতুল মুসলিমীন সাইয়্যিদুনা হযরত যুন নূরাইন আলাইহিস সালাম তিনি দশ হাজার দিনার, আসাদুল্লাহিল গালিব সাইয়্যিদুনা হযরত কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহূ আলাইহিস সালাম তিনি তিন হাজার দিনার এবং মুবাশশারুল জান্নাহ হযরত আব্দুর রহমান ইবনে আউফ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি একশত উট ও একশত ঘোড়া হাদিয়া করতঃ মহান আল্লাহ পাক উনার ও উনার রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের মুহব্বত মুবারক লাভ করেন। তবে উক্ত দিনের শেষ প্রান্তে আখিরী রসূল, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি পুনরায় মারীদ্বি শান মুবারক প্রকাশ করেন এবং তা নিয়েই পবিত্র ১২ই রবীউল আউওয়াল শরীফ রফীকে আ’লা উনার পরম মুবারক দীদারে মিলিত হন। (আল বাইয়্যিনাত শরীফ: ৭১, ৮১তম সংখ্যা, পৃষ্ঠা ৭০, ১২)
গুরুত্ব ও তাৎপর্য: মুসলিম উম্মাহ উনাদের নিকট এ দিনটি মহাগুরুত্বপূর্ণ ও তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ এর সাথে আখিরী রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বরকতময় জীবনের বিশেষ স্মৃতিজড়িত এবং তা মা’রিফত-মুহব্বত লাভের মহা উসীলা মুবারক।

এজন্য পারস্য ও ভারতীয় উপমহাদেশের মুসলমানগণ যথাযোগ্য মর্যাদায় দিবসটি পালন করেন। দিল্লির মুঘল (বাংলা পিডিয়া মতে) বাদশাহগণও যথেষ্ট মর্যাদার সাথে দিবসটি পালন করতেন। বাংলাদেশে এ দিন ঐচ্ছিক ছুটি থাকে। (নাউযুবিল্লাহ)। কিন্তু সাধারণ সরকারি ছুটি হিসেবে এ দিন পালন করা উচিত ছিল। এ দিন মুসলমানগণ নফল নামায, দুরূদ শরীফ পড়েন, দোয়া-কালাম, যিকির-ফিকির করেন, কেউ কেউ দরিদ্রদের মধ্যে খাদ্য ও বস্ত্র বিতরণ করেন। (বাংলা পিডিয়া, প্রথম খ-, পৃষ্ঠা ১২৩)
ইসলামী বিশ্বকোষে উল্লেখ আছে, এই দিনে লোকেরা (মুসলমানগণ) গোসল করে, নতুন বস্ত্র পরিধান করে এবং খুশবু লাগায়। (ইসলামী বিশ্বকোষ: প্রথম খ-: পৃষ্ঠা ১১৩)
সুতরাং পবিত্র আখিরী চাহার শোম্বাহ শরীফ উনার গুরুত্ব ও তাৎপর্য যে অপরিসীম তা অতি সহজেই অনুমেয়। অথচ খুব কম সংখ্যক লোকই সে সম্পর্কে অবহিত। (এদের জন্য আফসোস!)
বাতিলপন্থীদের বক্তব্য: ওহাবী, সালাফী, লা-মাযহাবী বাতিলপন্থীরা পবিত্র আখিরী চাহার শোম্বাহ শরীফ পালন করাকে নাজায়িয ও বিদয়াত বলে। কারণ নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সেদিন পুনরায় মারীদ্বি শান মুবারক প্রকাশ করেন এবং সে মারীদ্বি শান মুবারকসহই পবিত্র বিছালী শান মুবারক প্রকাশ করেন। তাদের কেউ কেউ বলে, পবিত্র আখিরী চাহার শোম্বাহ শরীফ উদযাপনের কোনো নির্ভরযোগ্য দ্বীনী ভিত্তি পাওয়া যায় না। নাঊযুবিল্লাহ! ইসলামী বিশ্বকোষের প্রথম খ- ১১৩ পৃষ্ঠাতেও বাতিলপন্থীদের এ বিভ্রান্তিমূলক বক্তব্য উল্লেখ আছে।
পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার ছহীহ ফতওয়া ও বাতিলপন্থীদের বক্তব্যের জাওয়াব: পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার ছহীহ ফতওয়া মুবারক হলো, পবিত্র আখিরী চাহার শোম্বাহ শরীফ পালন করা, এতে খুশি প্রকাশ করা সুন্নত। প্রকৃতপক্ষে বাতিলপন্থীরা পবিত্র দ্বীন ইসলাম ও উনার সঠিক ইতিহাস না জানার কারণেই পবিত্র আখিরী চাহার শোম্বাহ শরীফ পালন করাকে নাজায়িয, বিদয়াত ও ভিত্তিহীন বলে থাকে। নাউযুবিল্লাহ! কূপম-ক কারো পক্ষে পবিত্র আখিরী চাহার শোম্বাহ শরীফ উনার নির্ভরযোগ্য দ্বীনী ভিত্তি খুঁজে না পাওয়ায় তা না থাকাকে প্রমাণ করে না। যেমন পেঁচার সূর্যকে না দেখা তার স্পষ্ট ও স্বতঃউদ্ভাসিত অস্তিত্ব না থাকাকে প্রমাণ করে না। আর যেখানে স্বয়ং আখিরী রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি, হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনারা, হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনারা, হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনারা এবং মু’মিনগণ আখিরী চাহার শোম্বাহ শরীফ পালন করেন এবং খুশি প্রকাশ করেন সেখানে আখিরী চাহার শোম্বাহ শরীফ পালন করাকে নাজায়িয, বিদয়াত ও ভিত্তিহীন বলা গুমরাহী ব্যতীত কিছুই নয়। যেমন- মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
 (১). “আখিরী রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি তোমাদেরকে যা দেন তা তোমরা গ্রহণ করো আর যা কিছু গ্রহণ করা হতে নিষেধ করেন, তা হতে বিরত থাকো এবং তোমরা মহান আল্লাহ তায়ালা উনাকে ভয় করো। নিঃসন্দেহে মহান আল্লাহ তায়ালা তিনি কঠোর শাস্তি প্রদানকারী।” (পবিত্র সূরা হাশর শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ৭)
(২). “আর তোমরা উনার আনুগত্য করলেই হিদায়েত পাবে।” (পবিত্র সূরা নূর শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ৫৪)
(৩). “আমার হাবীব, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আপনি সারা বিশ্বের মানুষ ও জিনদেরকে বলে দিন, তোমরা যদি মহান আল্লাহ পাক উনাকে ভালোবাসতে চাও তাহলে আমাকে অনুসরণ-অনুকরণ করো। তাহলে মহান আল্লাহ পাক তিনি তোমাদেরকে ভালোবাসবেন এবং তোমাদের গুনাহ-খতাগুলো ক্ষমা করে দিবেন। আর মহান আল্লাহ পাক তিনি অত্যন্ত ক্ষমাশীল, বড়ই দয়ালু ও করুণাময়। আপনি আরো বলে দিন, মহান আল্লাহ পাক উনাকে ও উনার রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে অনুসরণ করো, অনন্তর যদি তারা ফিরে যায়, মহান আল্লাহ পাক তিনি নিশ্চয়ই কাফিরদেরকে ভালোবাসেন না।” (পবিত্র সূরা আলে ইমরান শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ৩১, ৩২)
(৪). হযরত মুহাজির ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম এবং হযরত আনছার ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের মধ্যে (পবিত্র ঈমান গ্রহণের ব্যাপারে) যারা পূর্ববর্তীদের মধ্যে অগ্রগামী এবং উনাদেরকে যাঁরা উত্তম বা যথাযথভাবে অনুসরণকারী, উনাদের প্রতি মহান আল্লাহ পাক তিনি সন্তুষ্ট এবং উনারাও মহান আল্লাহ পাক উনার উপর সন্তুষ্ট। আর তিনি উনাদের জন্য প্রস্তুত করেছেন জান্নাত, যার নিম্নœদেশে নহরসমূহ প্রবাহিত, সেখানে উনারা চিরস্থায়ী থাকবেন। এটাই মহাসাফল্য। সুবহানাল্লাহ! (পবিত্র সূরা তাওবা শরীফ : পবিত্র আয়াত শরীফ ১০০)

(৫). “হিদায়েত প্রকাশিত হওয়ার পর যারা নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিরোধিতা করবে এবং মু’মিনদের প্রচলিত পথ রেখে অন্য পথের অনুসরণ করবে, আমি তাদেরকে সেদিকেই ফিরাবো যেদিকে তারা ফিরেছে এবং জাহান্নামে তাদেরকে প্রবেশ করাবো, আর তা কত মন্দ আবাস।” (পবিত্র সূরা নিসা শরীফ : পবিত্র আয়াত শরীফ ১১৫)
অপরদিকে পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত রয়েছে, আখিরী রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, 
(১). “অতি শীঘ্রই আমার উম্মত ৭৩ দলে বিভক্ত হবে, একটি দল ব্যতীত সমস্ত দল জাহান্নামে যাবে। জিজ্ঞাসা করা হলো- ইয়া রসূলাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! যে দলটি (নাজাত পাবে) সেটা কোন্ দল? তখন সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করলেন, যে (মুবারক মত ও মুবারক পথ উনার) উপর আমি রয়েছি এবং আমার অনুসরণে হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনারা রয়েছেন, সে মুবারক মত ও পথ উনার উপর যাঁরা দায়িম-ক্বায়িম অর্থাৎ ইস্তিকামত থাকবেন, উনারাই সেই নাজাতপ্রাপ্ত দল।” সুবহানাল্লাহ! (পবিত্র মিশকাত শরীফ, ৩০ পৃষ্ঠা)
(২). “আমার পবিত্র সুন্নত মুবারক এবং হিদায়েতপ্রাপ্ত হযরত খুলাফায়ে রাশিদীন আলাইহিমুস সালাম উনাদের (তথা হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু আনহুম উনাদের) সুন্নত মুবারক পালন করা তোমাদের প্রতি ওয়াজিব। তোমরা তা মজবুতভাবে মাঢ়ির দাঁত দিয়ে আঁকড়ে ধরো।” (মিশকাত শরীফ, ৩০ পৃষ্ঠা)
(৩). “আমার হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুমগণ উনারা আকাশের নক্ষত্রসম। তোমরা উনাদের যেকোনো একজনকে যেকোনো বিষয় অনুসরণ করবে সুপথপ্রাপ্ত হবে।” সুবাহানাল্লাহ! (মিশকাত শরীফ, পৃষ্ঠা ৫৫৪)
(৪). নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেছেন, “যে ব্যক্তি আমার পবিত্র সুন্নত উনাকে ভালোবাসে সে যেন আমাকেই ভালোবাসে। আর যে আমাকে ভালোবাসে, সে সম্মানিত জান্নাতে আমার সাথে থাকবে।” সুবহানাল্লাহ! (মিশকাত শরীফ, পৃষ্ঠা ৩০)
এ সমস্ত দলীল-আদিল্লাহ উনাদের আলোকে অকাট্যভাবে প্রমাণিত হয়, পবিত্র আখিরী চাহার শোম্বাহ শরীফ সম্পূর্ণ পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র সুন্নাহ শরীফসম্মত এবং তা পালন করা আখিরী রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার ও হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের এবং মু’মিনগণ উনাদের পথ।
উপসংহার: অতএব, যার যার সাধ্য-সামর্থ্য অনুযায়ী পবিত্র আখিরী চাহার শোম্বাহ শরীফ উপলক্ষে খুশি প্রকাশ করে তা পালন করার মতো পালন করতে হবে। আর যেটা না বললেই নয়, এ ব্যাপারে সম্পূর্ণ পরিষ্কার ধারণা দিয়েছেন যামানার মহান ইমাম ও মুজতাহিদ, আওলাদে রসূল, আহলে বাইতে রসূল, মুজাদ্দিদে আ’যম, সাইয়্যিদুনা মামদূহ হযরত ইমামুল উমাম আলাইহিস সালাম যিনি ঢাকা রাজারবাগ দরবার শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি। আর সেই ছহীহ, সঠিক, নির্ভরযোগ্য অর্থাৎ বিশুদ্ধ ধারণা বুকে পুরে আম জনতা পবিত্র আখিরী চাহার শোম্বাহ শরীফ উনার আমলে উদ্বুদ্ধ হচ্ছেন। তাই উনার কৃতজ্ঞতা বন্ধনে আমরা থাকতে চাই আজীবন।

অতএ  দুনিয়ার সমস্ত জীন-ইনসান সকলের দায়িত্ব এবং কর্তব্য হচ্ছে উক্ত মাহফিলে শারীরিক এবং আর্থিক খেদমতের আনজাম দেয়া ।
শরীক হতে বিকাশ, 01718740742

90-Days Azimushshan Mahfil Honorary Founding Patrons:
======================
Saiyiduna Mamduh Hazrat Murshid Qibla
Alaihis Salam who is the respected Shaykh
Rajarbag Dorbar Shareef.

بنگلہ دیش میں رونما ہونے والا تاریخ کا ایک شاندار واقعہ: ٩٠ دن طویل محفل
A wonderful event in history happening in Bangladesh: 90 days long mahfil

বিস্তারিত জানুন: SM40.com
সুন্নতী সামগ্রীর বিপুল সমাহার: Sunnat.info
#90DaysMahfil