আশুরা শরীফ উনার শিক্ষা সর্বক্ষেত্রে ইহুদী নাছারাদের খালাফ বা বিপরীত করা

হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত রয়েছে। “তিনি বলেন, যখন সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি পবিত্র আশূরা শরীফ উনার রোযা রাখেন এবং হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদেরকে রোযা রাখার হুকুম প্রদান করেন, তখন উনারা আরজ করলেন, ইয়া রসূলাল্লাহ ইয়া হাবীবাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! এ দিনটি ইহুদী ও খ্রিস্টান জাতির লোকেরাও সম্মান প্রদর্শন করে থাকে অর্থাৎ তারা এদিনে রোযা রেখে থাকে। (অথচ আমরা তাদের খিলাফ বা বিপরীত করার জন্য আদিষ্ট হয়েছি) এতদশ্রবণে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বললেন, আমি যদি আগামী বছর পর্যন্ত যমীনে অবস্থান মুবারক করি তাহলে পবিত্র মুহররম শরীফ উনার ৯ তারিখেও রোযা রাখবো।” (পবিত্র মুসলিম শরীফ)
(অর্থাৎ ৯ ও ১০ তারিখ মোট ২টি রোযা রেখে ইহুদিদের খেলাফ করার জন্য আদেশ মুবারক দান করলেন) 
পবিত্র তিরমিযী শরীফ উনার পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে এসেছে, “হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বর্ণনা মুবারক করেন, তোমরা ৯ ও ১০ই মুহররম শরীফ রোযা রেখে ইহুদীদের খেলাফ বা বিপরিত করো।”
উপরোক্ত পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার দ্বারা স্পষ্টভাবেই প্রমাণিত হলো যে, কোন ভাবেই ইহুদী-নাছারা, কাফির-মুশরিক, বেদ্বীন-বদদ্বীন এদেরকে অনুসরণ করা যাবেনা। সর্বক্ষেত্রে তাদের খেলাফ অর্থাৎ পবিত্র সুন্নত মুবারক অনুসরণ করে চলতে হবে। অথচ আমাদের দেশসহ সারা পৃথিবীতে মুসলমানরা ইহুদী, নাছারা, কাফির, মুশরিক, বেদ্বীন-বদদ্বীনদের আমল-আখলাক, সীরত-ছুরত, তর্জ-তরীক্বা গ্রহণ করছে। নাঊযুবিল্লাহ! অনেকে তা গ্রহণ করার মাধ্যমে ফখর করছে। নাঊযুবিল্লাহ! অথচ এটা করা মুসলমান উনাদের জন্য আদৌ ঠিক ছিলো না, বরং এটা করা জাহান্নামী হওয়ার কারণ। কেননা পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে, যিনি মহান আল্লাহ পাক উনার মহাসম্মানিত হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ করেন- “যে ব্যক্তি যে সম্প্রদায়ের সাথে মিল রাখে, সে তাদেরই দলভুক্ত হবে অর্থাৎ তার হাশর-নশর তাঁদের সাথেই হবে।” নাউযুবিল্লাহ (মুসনাদে আহমদ, সুনানে আবূ দাউদ) 

শেয়ার করুন
পূর্ববর্তী পোষ্ট
পরবর্তী পোষ্ট