পবিত্র আশূরা শরীফ ও হযরত আহলে বাইত আলাইহিমুস সালাম উনাদের আলোচনা



পবিত্র মুহররমুল হারাম তথা পবিত্র আশূরা শরীফ উনার সর্বশ্রেষ্ঠ আমল হচ্ছে- হযরত আহ্লে বাইত আলাইহিমুস সালাম বিশেষ করে সাইয়্যিদু শাবাবী আহলিল জান্নাহ, সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুছ ছালিছ মিন আহলে বাইতি রসূলিল্লাহি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পুত:পবিত্রতম জীবন মুবারক উনার বিভিন্ন দিক নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা-পর্যালোচনা করা। কেননা যার আলোচনা যত বেশী করা হয় তার মুহব্বত ততই বৃদ্ধি পায়। আর হযরত আহ্লে বাইত আলাইহিমুস সালাম উনাদের প্রতি গভীর মুহব্বত, ভালবাসা, পরকালীন মুক্তি এবং মহান আল্লাহ্ পাক উনার ও উনার রসূল সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের সন্তুষ্টির কারণ। রহমত, বরকত ও সাকীনা লাভের শ্রেষ্ঠ উপায়।

সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি এই মর্মে মুবারক দোয়া করেন যে-
اَللّٰهُمَّ اِنّـىْ اُحِبُّهُمَا فَاَحِبَّهُمَا وَاَحِبَّ مَنْ يُّـحِبُّهُمَا.
অর্থ : “হে মহান আল্লাহ্ পাক! আমি উনাদেরকে (হযরত ইমাম হাসান আলাইহিস সালাম এবং হযরত ইমাম হুসাইন আলাইহিস সালাম উনাদেরকে) মুহব্বত করি। আপনিও উনাদেরকে মুহব্বত করুন এবং যে ব্যক্তি উনাদেরকে মুহব্বত করবে তাকেও আপনি মুহব্বত করুন।” (তিরমিযী শরীফ, ৪১৩৮; মিশকাত শরীফ : ৫৭০)

সাথে সাথে সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুছ ছালিছ মিন আহলে বাইতি রসূলিল্লাহি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার শিক্ষাকে নিজেদের জীবনে বাস্তবায়িত করা। সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুছ ছালিছ মিন আহলে বাইতি রসূলিল্লাহি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি হযরত আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের দুশমন, কাফির, চিরজাহান্নামী, ইয়াযীদ লা’নতুল্লাহি আলাইহির কুখ্যাত বাহিনীর হাতে নির্মমভাবে শাহাদতবরণ করেন কিন্তু তবুও অসত্যকে মেনে নেননি। অন্যায়ের কাছে মাথা নত করেননি।

সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুছ ছালিছ মিন আহলে বাইতি রসূলিল্লাহি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্পর্কে আলোচনা করতে যেয়ে কোনভাবেই শীয়া সম্প্রদায়ের অনুসরণে তাজিয়া বের করা, বুকে চাপড় মেরে মাতম করে, কালো পোষাক পরিধান করে শোক প্রকাশ করা ইত্যাদি ইসলামী শরীয়ত বিবর্জিত আমল থেকে দূরে থাকতে হবে। কেননা ইসলামী শরীয়ত মুতাবিক যে কোন আত্মীয়-স্বজন ইন্তিকাল করলে তিন দিন শোক প্রকাশ করা জায়িয। আর স্বামী ইন্তিকাল করলের স্ত্রীর জন্যে চার মাস দশ দিন শোক প্রকাশ করার বিধান রয়েছে। এর বেশি শোক প্রকাশ করা ইসলামী শরীয়ত মুতাবিক বৈধ নয়। আবার আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়াত উনার ফতওয়া মুতাবিক শীয়া সম্প্রদায় বাতিল ৭২ ফিরক্বার অনুসারী। তাই শীয়া সম্প্রদায়ের অনুসরণ-অনুকরণে এ ধরনের শোক প্রকাশের অনুষ্ঠান না করে বরং পবিত্র আশূরা শরীফ উনার উপলক্ষ্যে হযরত আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম বিশেষ করে সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুছ ছালিছ মিন আহলে বাইতি রসূলিল্লাহি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পুত:পবিত্রতম জীবনী মুবারক আলোচনার মাহফিল করা যেতে পারে। 
অতএব, পবিত্র মুহররমুল হারাম শরীফ মাস এবং উনার মধ্যস্থিত পবিত্র আশূরা শরীফ উনার দিনের ফাযায়িল-ফযীলত ও আমল এবং আক্বীদা সম্পর্কে জেনে সে মুতাবিক আক্বীদা পোষণ ও আমল করে মহান আল্লাহ পাক উনার ও উনার হাবীব, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের সন্তুষ্টি হাছিল করা প্রত্যেক মুসলমান নর-নারীর দায়িত্ব-কর্তব্য।

#12shareef 
#Saiyidul_Aayaad_Shareef 
#সাইয়্যিদুল_আইয়াদ_শরীফ

শেয়ার করুন
পূর্ববর্তী পোষ্ট
পরবর্তী পোষ্ট