বাংলাদেশের মুসলমানরা তাদের সম্মানিত মাযহাব মুতাবিক পবিত্র কুরবানী দেন ॥ ভিন্ন দেশের কারণে তারা পবিত্র কুরবানী বাদ দিতে পারেন না।

বাংলাদেশের মুসলমানরা তাদের সম্মানিত মাযহাব মুতাবিক পবিত্র কুরবানী দেন ॥ ভিন্ন দেশের কারণে তারা পবিত্র কুরবানী বাদ দিতে পারেন না।

কতিপয় নাস্তিক মুরতাদ খুব লিখালিখি করে থাকে যে, মালদ্বীপ, মালেশিয়া কিংবা ইন্দোনেশিয়াতে মুসলমানরা আমাদের বাংলা দেশের মতো এভাবে উৎসাহ উদ্দীপনার সাথে কুরবানী দেয় না। পবিত্র কুরবানী উনার দিন নাকি সে সমস্ত দেশে সচরাচর পশু কুরবানী করার দৃশ্য খুঁজে পাওয়াটাই দুষ্কর। এদের কথা হলো, তবে কেন আমাদের বাংলাদেশে পবিত্র কুরবানী দেয়ার জন্য এত বেশি আয়োজন! এই নাস্তিকগুলো অবশ্য সউদী আরব, পাকিস্তান বা বিশ্বের অন্যান্য মুসলিম দেশে কেন যে কুরবানী হয় সেটার কোনো ব্যাখ্যা দিতে পারেনি। 
 এদের জানা উচিত যে, আমাদের দেশসহ ভারত পাকিস্তান এবং বিশ্বের অধিকাংশ মুসলিম দেশের মানুষ ইসলামী আইন শাস্ত্রে হানাফী মাযহাব উনার অনুসারী। আর হানাফী মাযহাব মুতাবিক কুরবানী দেয়া প্রত্যেক সামর্থ্যবান মু’মিন-মুসলমানের জন্য ওয়াজিব; যা ফরযের কাছাকাছি। অপরদিকে মালদ্বীপ, মালেশিয়া বা ইন্দোনেশিয়ার মুসলমানগণ হানাফী মাযহাব উনার অনুসারীসহ হাম্বলী, মালিকী বিশেষ করে শাফিয়ী মাযহাব উনাদের অনুসারীও রয়েছে তাই। সেখানে পবিত্র কুরবানী দেয়াটা পবিত্র সুন্নত হিসেবে পালন করে। অবশ্য সুন্নতকে গুরুত্ব সহকারে পালন করা মুসলমানদের জন্য পবিত্র কুরআন শরীফ উনার নির্দেশ অনুযায়ীই ফরয ছিলো। 
 এখন কেউ যদি সেটাকে গুরুত্ব না দেয় তার জন্য জবাবদিহি তাদেরকেই করতে হবে। তাদের কারণে হানাফী মাযহাবভুক্ত মুসলমানগণ পবিত্র কুরবানী উনার ওয়াজিব তরক করবে কেন? আমাদের দেশে এই সমস্ত বিষয়গুলোকে হাইলাইট করার মাধ্যমে কুচক্রী মহল মুসলিম সমাজে বিভক্তি আনতে চায়। পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার শত্রুরা ও মুসলিমবিদ্বেষীরা উত্তেজনা ছড়িয়ে ফায়দা লুটতে চায়। জরুরীভিত্তিতে এদেরকে প্রতিরোধ করা প্রত্যেক দ্বীনদার মুসলমানদের জন্য বিশেষ দায়িত্ব-কর্তব্য বটে!

পবিত্র কুরবানী কার উপর ওয়াজিব?

পবিত্র কুরবানী কার উপর ওয়াজিব?

পবিত্র কুরবানী ওয়াজিব হওয়ার জন্য শর্ত হচ্ছে-
১. মুসলমান হওয়া, 
২. স্বাধীন হওয়া, 
৩. মুক্বীম হওয়া, 
৪. বালেগ হওয়া, 
৫. পাগল না হওয়া, 
৬. মালিকে নিসাব হওয়া।

পবিত্র যিলহজ্জ শরীফ মাস উনার ১০ তারিখের ছুবহে সাদিক হতে ১২ তারিখের সূর্যাস্তের পূর্ব পর্যন্ত সময়ের মধ্যে যদি কেউ মালিকে নিছাব হয় অর্থাৎ হাওয়ায়িজে আছলিয়াহ (নিত্যপ্রয়োজনীয় ধন-সম্পদ) বাদ দিয়ে সাড়ে ৭ ভরি স্বর্ণ বা সাড়ে ৫২ ভরি রূপা বা তার সমপরিমাণ মূল্যের মালিক হয়, তাহলে তার উপর পবিত্র কুরবানী ওয়াজিব।
 উল্লেখ্য যে, যদি কারো নিকট প্রয়োজনের অতিরিক্ত সম্পদ থাকে এবং তা যদি নিছাব পরিমাণ হয়, যেমন কারো পাঁচটি ঘর আছে, একটির মধ্যে সে থাকে আর তিনটির ভাড়া দিয়ে সে সংসার চালায় আর একটি অতিরিক্ত, যার মূল্য নিছাব পরিমাণ। এ ক্ষেত্রে তার উপর পবিত্র কুরবানী ওয়াজিব হবে। (আলমগীরী, শামী, আইনুল হিদায়া ইত্যাদি)

✅🔷খেজুর খাওয়া সুন্নত, খেজুরের রয়েছে বহুগুণ 🔷

✅🔷খেজুর খাওয়া সুন্নত, খেজুরের রয়েছে বহুগুণ 🔷


💢নূরে মুজাস্সাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি খেজুর খেয়েছেন ও পছন্দ করেছেন। তবে তিনি গাছপাকা ও তাজা খেজুর অধিক পছন্দ করতেন। হযরত ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নূরে মুজাস্সাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নিকট ‘আজওয়া’ নামক খেজুর ছিল অধিক প্রিয়। নূরে মুজাস্সাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, ‘আজওয়া’ জান্নাতের ফল এবং এটা বিষ থেকে আরোগ্য দান করে। 

(নাসায়ী, ইবনে মাজাহ, শামায়েলে তিরমিযী, যাদুল মা’আদ) 

 খেজুরে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন মিনারেলস, এনার্জি, সুগার, ফাইবার রয়েছে। শুধু তাই নয়, প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম, আয়রন, ফসফসরাস, পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, জিঙ্ক এবং আরো প্রচুর স্বাস্থ্যকর উপাদান রয়েছে। 

এবার জেনে নিন আমাদের শরীরের কোন্ কোন্ উপকারে আসে:
✅ খেজুরে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন মিনারেলস, এনার্জি, সুগার, ফাইবার রয়েছে। যা আমাদের হাড়কে মজবুত রাখতে সাহায্য করে। হাড়ের বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ করে। 
  ✅ভিটামিন-সি এবং ভিটামিন-ডি থাকার কারণে খেজুর আমাদের ত্বকের জন্যেও খুবই উপকারী। ভিটামিন-সি এবং ডি ত্বকের ইল্যাসিটি উন্নত করে, ত্বককে মোলায়েম রাখতে সাহায্য করে। প্রত্যেক দিনের ডায়েটে খেজুর রাখলে, তা আমাদের ত্বককে যে কোনো প্রকার রোগের হাত থেকে রক্ষা করে। ত্বকে বয়সের ছাপ পড়তে দেয় না। ত্বকে মেলানিন সঞ্চয় করে। 
✅  কয়েকটি খেজুর সারারাত পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। অতঃপর সেটা সকালে উঠে খান। খেজুরের দ্রবণীয় এবং অদ্রবণীয় ফাইবার আমাদের হজম শক্তি বাড়ায়। কোষ্ঠকাঠিন্য নিরাময় করে। 
✅  খেজুর আমাদের নার্ভ সিস্টেমকেও সচল ও সুস্থ রাখে। খেজুরে থাকা ভিটামিন আমাদের স্বাস্থ্য এবং নার্ভ সিস্টেমকে সঠিক রাখে। যেখানে পটাশিয়াম আমাদের মস্তিষ্কের সচলতা দ্রুত করে। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে। হৃদরোগ, স্ট্রোকের হাত থেকে আমাদের রক্ষা করে। 
✅ প্রচুর আয়রন থাকার কারণে সন্তানসম্ভাবা মহিলাদের জন্য খেজুর খুবই উপকারী। অ্যানিমিয়ার হাত থেকে সন্তানসম্ভাবা মহিলাদের রক্ষা করে। সন্তানের জন্ম দেয়ার পরেই রক্তস্রাব প্রতিরোধ করে খেজুর।  

এছাড়াও খেজুরের আরো অনেক উপকারিতা রয়েছে, যা বলে শেষ করা যাবে না। 

কেননা নূরে মুজাস্সাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি স্বয়ং নিজেই মুবারক খেজুর খেতেন, পছন্দ করতেন এবং খেজুরের বাগান লাগিয়ে ছিলেন। 

অথচ কিছু অজ্ঞ প্রকৃতির ডাক্তার, কলামিস্ট ও সাংবাদিক বলে ও লিখে যে, যেহেতু ১০০ গ্রাম খেজুরে ৬৬.৫ গ্রাম সুগার রয়েছে, সুতরাং এটা বিপদ ডেকে আনতে পারে। নাঊযুবিল্লাহ! তাই দিনে ৪ থেকে ৫টি খেজুর মুখে দিন, এর বেশি নয়। নাঊযুবিল্লাহ! যা বলা ও লিখা কাট্টা কুফরী। 

প্রসঙ্গত, খেজুর খাওয়া খাছ সুন্নত। এটাই মুসলমানদের আক্বীদা রাখতে হবে। সুন্নতী খেজুর ফলের প্রতি তুচ্ছ্য-তাচ্ছিল্য করা যাবে না।

🌎সুন্নতী খাবার দেখুন এখানেঃhttps://bit.ly/সুন্নতী_খাবার

⭕️আপনার সমস্যা সমাধানের জন্য আমাদের হোম ডেলিভারী সার্ভিস রয়েছে।

⭕️আর পেমেন্ট এখন আমাদের ওয়েব সাইটের https://sunnat.info এর মাধ্যমেই আপনি পরিশোধ করতে পারেন।


বেপর্দা, বেহায়া ও পাপিষ্ঠ মহিলাদের জাহান্নামে ভয়াবহ শাস্তির বর্ণনা।

বেপর্দা, বেহায়া ও পাপিষ্ঠ মহিলাদের জাহান্নামে ভয়াবহ শাস্তির বর্ণনা।


সম্মানিত হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে, “মেয়েরা হচ্ছে শয়তানের ফাঁদ।” (শিহাব)
হযরত কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহূ আলাইহিস সালাম তিনি বর্ণনা করেন, একদা আমি এবং খাতুনে জান্নাত হযরত আন নূরুর রবি’য়াহ যাহরা আলাইহাস সালাম তিনি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার দরবার শরীফে গেলাম। আমরা দেখলাম, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি কাঁদছেন। আমরা সবিনয়ে আরয করলাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আপনি এভাবে কেন কাঁদছেন? তিনি ইরশাদ মুবারক করলেন, আমি সম্মানিত মি’রাজ শরীফ উনার রাত্রিতে মহিলাদেরকে কঠিন আযাবে গ্রেফতার দেখেছিলাম। আজ হঠাৎ সেই ভয়াবহ আযাবের দৃশ্য মনে পড়ায় আমার সম্মানিত চোখ মুবারক থেকে নূরুল মুহব্বত (অশ্রু) মুবারক ঝরছে। হযরত কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহূ আলাইহিস সালাম তিনি সবিনয়ে আরজ করলেন, ইয়া রসূলাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! সম্মানিত মি’রাজ শরীফ উনার রজনীতে আপনি কি কি ভয়াবহ দৃশ্য দেখেছেন? নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করলেন, 
(১) আমি জনৈকা মহিলাকে তার চুলে বেঁধে লটকিয়ে রাখতে দেখেছি। এসময় তার মাথা থেকে মগজ বের হচ্ছিলো। নাউযুবিল্লাহ!
(২) অপর এক মহিলাকে দেখলাম, তার বক্ষের বিশেষ স্থান বেঁধে তাকে লটকিয়ে রাখা হয়েছে এবং তার হস্তদ্বয়কেও পিছনের দিকে নিয়ে বেঁধে রাখা হয়েছে। আর এ সময় বিষাক্ত ‘যাক্কম’ (এক প্রকার কাঁটাযুক্ত ফলদার ফলের রস নিংড়িয়ে তা ফোঁটা ফোঁটা করে তার গলায় দেয়া হচ্ছে। নাউযুবিল্লাহ!
(৩) অপর এক মহিলাকে দেখলাম, তার জিহবা বেঁধে তাকে লটকিয়ে রাখা হয়েছে এবং তার হাত দুটি পিছনের দিকে বেরিয়ে রয়েছে। নাউযুবিল্লাহ!
(৪) আরেকজন মহিলাকে দেখলাম, তার হাত, পা, ও কপাল বরাবর বেঁধে তাকে লটকিয়ে রাখা হয়েছে এবং তার প্রতি বিষাক্ত সাপ বিচ্ছুকে লেলিয়ে দেয়া হয়েছে। সেগুলো তাকে দংশন করছে। নাউযুবিল্লাহ!
(৫) অপর এক মহিলাকে দেখলাম, সে নিজেই নিজের দেহ ছিঁড়ে ফেঁড়ে ভক্ষণ করছে এবং তার নিচে আগুন প্রজ্জ্বলিত রয়েছে। নাউযুবিল্লাহ!
(৬) অপর এক মহিলাকে দেখলাম, তার দেহকে আগুনের কাঁচি দ্বারা কেটে টুকরো টুকরো করা হচ্ছে। নাউযুবিল্লাহ!
(৭) কালো চেহারাধারী আরেক মহিলাকে দেখলাম, সে তখন স্বীয় নাড়ি-ভূড়ি খাচ্ছিল। নাউযুবিল্লাহ!
(৮) আমি একজন বোবা অন্ধ ও বধির মহিলাকে দেখলাম, তাকে আগুনের সিন্দুকের মাঝে বন্দি করে রাখা হয়েছে। তার মাথা থেকে মগজ গলে গলে বের হচ্ছিল। আর তার দূর্গন্ধ শ্বেত এবং কুষ্ঠ রোগীর চেয়েও উৎকট ছিল। নাউযুবিল্লাহ!
(৯) অপর মহিলাকে দেখলাম, শূকরের ন্যায় মাথা বিশিষ্ট এবং গাধার ন্যায় দেহ বিশিষ্ট, তাকে হাজারো রকমের আযাব গযব প্রদান করা হচ্ছে। নাউযুবিল্লাহ!
(১০) কুকুরের মত দেহ বিশিষ্ট জনৈকা মহিলাকে দেখলাম, তার মুখ দিয়ে বিষাক্ত সাপ-বিচ্ছু প্রবেশ করে তা তার লজ্জাস্থান কিংবা পিছনের রাস্তা দিয়ে বের হচ্ছে। আর আযাবের ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনারা তখন আগুনের গুর্জ দ্বারা তাকে বেদমভাবে প্রহার করছে। নাউযুবিল্লাহ!
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত জবান মুবারকে মহিলাদের ভয়াবহ আযাবের ঘটনা শুনে হযরত আন নূরুর রবি’য়াহ যাহরা আলাইহাস সালাম তিনি দাঁড়িয়ে গেলেন এবং সবিনয়ে আরয করলেন, ইয়া রসূলাল্লাহ, ইয়া হাবীবাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! এই মহিলাদেরকে কোন বদ আমলের কারণে কঠিন শাস্তি দেয়া হচ্ছিল? নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন,
“প্রথম যে মহিলাকে আযাব দেয়া হচ্ছিল তার কারণ হচ্ছে, সেই মহিলা পরপুরুষদের সামনে নিজের মাথার চুলকে খুলে রাখতো। ফলে তা পরপুরুষদের দৃষ্টিগোচর হতো।
দ্বিতীয় মহিলা হচ্ছে: স্বামীর অনুমতি ছাড়া অন্যের শিশু বাচ্চাকে নিজের বুকের দুধ পান করাতো।
তৃতীয় মহিলা হচ্ছে: সেই মহিলা যে স্বীয় জিহবা বা বাকযন্ত্রের সাহায্যে নিজের স্বামীকে কষ্টদায়ক কথা বার্তা বলতো।
চতুর্থ মহিলা হচ্ছে: স্বামীর বিনা অনুমতিতে ঘরের বাইরে চলে যেত এবং স্বাভাবিক মাজুর ও সন্তান হওয়ার কারণে মাজুর অবস্থায় গোসল করতো না।
পঞ্চম মহিলা হচ্ছে: পরপুরুষকে দেখাবার জন্যে নিজেকে সুসজ্জিত করতো এবং মানুষের কাছে পরনিন্দা করে বেড়াতো।
ষষ্ঠ মহিলা হচ্ছে: পরপুরুষকে নিজের সৌন্দর্য ও অঙ্গ প্রত্যঙ্গ দেখিয়ে বেড়াতো।
সপ্তম মহিলা হচ্ছে: শক্তি সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও রীতিমত ওযূ ও গোসল করতো না এবং নামাযও পড়তো না। 
অষ্টম মহিলা হচ্ছে: মিথ্যা কথা বলতো এবং অন্যের দোষ বলে বেড়াতো।
নবম মহিলা হচ্ছে: স্বীয় স্বামীর প্রতি হিংসা বিদ্বেষ পোষণ করতো।
দশম যে মহিলার শাস্তি হচ্ছিল তা হচ্ছে: বিবাহিত হওয়া সত্ত্বেও পরপুরুষের সাথে ব্যভিচারে লিপ্ত হতো।
মহান আল্লাহ পাক ও উনার প্রিয়তম হাবীব নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনারা যেন আমাদেরকে হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম উনার সম্মানিত ছোহবত মুবারক ইখতিয়ার করে খালিছ আল্লাহওয়ালী হওয়ার তাওফীক দান করেন। আমীন!

নারী নির্যাতন রোধে বাল্যবিবাহ এক উত্তম অবলম্বন এবং পবিত্রতার কারণ ।

নারী নির্যাতন রোধে বাল্যবিবাহ এক উত্তম অবলম্বন এবং পবিত্রতার কারণ ।

সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি মুসলিম মিল্লাতের বহুবিধ সমস্যার সমাধানকল্পে বাল্যবিবাহের বিধান রেখেছেন। স্বয়ং সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি উনার সম্মানিতা যাওজাতুল মুকাররমাহ; যিনি মুসলিমগণের মাতা উম্মুল মু’মিনীন হযরত ছিদ্দীক্বা আলাইহাস সালাম উনাকে মাত্র ৬ বৎসর বয়স মুবারক-এ নিসবাতে আযীম মুবারক করেন অর্থাৎ আক্বদ মুবারক করেন আর ৯ বৎসর বয়স মুবারক-এ মুবারক হুজরা শরীফ-এ তুলে নেন। সুবহানাল্লাহ! আর এ কারণেই বাল্যবিবাহ খাছ সুন্নত মুবারক। সুবহানাল্লাহ! 
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি হচ্ছেন শা’রে বা শরীয়ত প্রণেতা। তিনি যা করেছেন, যা বলেছেন, যা অনুমোদন করেছেন তাই হচ্ছে সম্মানিত শরীয়ত উনার সম্মানিত বিধান। উনার যে কোনো বিধান বা শরীয়ত মুবারককে যে অস্বীকার করবে সে সাথে সাথেই ইসলাম থেকে বহিষ্কার হবে। সে মুসলমান থাকতে পারবে না। কাজেই বর্তমানে টিভি, সিনেমা, ইন্টারনেটের মাধ্যমে ব্যাপকহারে অশ্লীলতার ছড়াছড়ির যুগে মহিলারা অশ্লীলতা শিখে বেপর্দা হয়ে নারীটিজিংয়ের শিকার হচ্ছে, সতীত্ব হারাচ্ছে, পবিত্রতা হারাচ্ছে। এমতাবস্থায় নারীটিজিং রোধে বাল্যবিবাহ উত্তম অবলম্বন ও খাছ পবিত্রতার কারণ। সুবহানাল্লাহ!

মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র কুরবানীর যে কোন কাজে বাধা প্রদানকারীকে অবশ্যই লাঞ্ছিত করবেন

মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র কুরবানীর যে কোন কাজে বাধা প্রদানকারীকে অবশ্যই লাঞ্ছিত করবেন


যে আমলটি চির অটুট সেটি হচ্ছে পবিত্র কুরবানী। চির অটুট এজন্য যে,  আবুল বাশার হযরত আদম শফিউল্লাহ আলাইহিস সালাম উনার থেকে শুরু হয়ে আজ পর্যন্ত  পবিত্র কুরবানীর আমলটি বহাল রয়েছে।  এটা আল্লাহ পাক উনার একটা আদেশ আর হযরত খলীলুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনার সুন্নত। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, আদম সন্তান পবিত্র কুরবানী উনার দিন যেসব নেকীর কাজ করে থাকে তন্মধ্যে মহান আল্লাহ পাক উনার নিকট সবচেয়ে পছন্দনীয় আমল হলো পবিত্র কুরবানী করা। ক্বিয়ামত দিবসে পবিত্র কুরবানী উনার পশু তার শিং, পশম ও খুরসহ উপস্থিত হবে এবং পবিত্র কুরবানীদাতার নাজাতের ব্যাপারে সাক্ষ্য প্রদান করবে।” সুবহানাল্লাহ!

 পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত রয়েছে, পবিত্র ঈদুল আযহা উনার দিনে বান্দা ও বান্দির পবিত্র কুরবানী উনার পশুর রক্ত মাটিতে পড়ার পূর্বেই মহান আল্লাহ পাক তিনি তার সমস্ত গুনাহ মাফ করে দেন।” সুবহানাল্লাহ!

 পবিত্র কুরবানী রক্ত, গোশত ইত্যাদি কিছুই মহান আল্লাহ পাক উনার কাছে পৌঁছায় না। কুরবানীদাতাই ভোগ করেন। তারপরও  এতো ফযিলত, এতো নেকি একটা কুরবানীর বিনিময়ে।   কারন পবিত্র কুরবানী মহান আল্লাহ পাক উনার আদেশ। বান্দা টাকা পয়সা খরচ করে পশু কিনে এনে তার উপর মহান আল্লাহ পাক উনার নাম মুবারক উচ্চারণ করে প্রমাণ করেন যে, মহান আল্লাহ পাক উনার আদেশ মুবারক সমস্ত কিছুর উপরে মহিয়ান। মহান আল্লাহ পাক উনার আদেশ মুবারক বান্দা গুরুত্ব সহকারে  পালন করেন। তাই মহান আল্লাহ পাক ঐ বান্দার উপর সন্তুষ্ট হয়ে যান । সুবহানাল্লাহ। 

পক্ষান্তরে  কাফির মুশরিক, বেদ্বীন-বদদ্বীনদের প্ররোচনায় কেউ যদি পবিত্র কুরবানীর বিরোধিতা করে  কিংবা পবিত্র কুরবানীকে কষ্টসাধ্য করার ব্যবস্থা নেয়, তাহলে স্বয়ং খালিক মালিক রব মহান আল্লাহ পাক ঐ ব্যক্তির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিবেন, সে চির লাঞ্ছিত হবে,  চির মালঊন হবে।  অতীতে এর অনেক প্রমাণ রয়েছে। অতএব, শহরের মধ্যেই মহল্লায় মহল্লায় পবিত্র কুরবানীর হাট বসান। নির্দিষ্ট স্থানে জবাই করতে নিয়ে যাওয়ার ধারণা বাদ দেন। পবিত্র কুরবানীর পশুগুলো যাতে সুষ্ঠুভাবে ঢাকায় আসতে পারে তার ব্যবস্থা করুন।

Rajarbag Shareef Official

সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুল উমাম আলাইহিস সালাম উনার মুবারক নির্দেশনা:

সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুল উমাম আলাইহিস সালাম উনার মুবারক নির্দেশনা:


সকল প্রকার আযাব-গযব, বালা-মুছীবত থেকে বাঁচতে- বেশি বেশি পবিত্র মীলাদ শরীফ পাঠ করুন এবং সুন্নতী খাদ্য গ্রহণ করুন

করোনা ভাইরাস নিয়ে অনেকেই নানা ধরণের তথ্য প্রচার করছে। যা নিয়ে অনেকেই অহেতুক আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়ছেন। এমন পরিস্থিতিতে বাংলাদেশসহ বিশ্বের সকল মুসলমানদের কি করণীয়, সে সম্পর্কে বিশেষ নির্দেশনা মুবারক দান করেছেন রাজারবাগ শরীফ উনার সম্মানিত মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুল উমাম আলাইহিস সালাম তিনি।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের ৯৮ ভাগ জনগোষ্ঠীই মুসলমান। মহান আল্লাহপাক উনার খাছ রহমত মুবারক মূলত মুসলমানদের জন্যই। তাই মুসলমানদের উচিত- বেশি বেশি পবিত্র মীলাদ শরীফ পাঠ করা এবং নিয়মিত সুন্নতী খাদ্যসমূহ গ্রহণ করা।

তিনি বলেন, পবিত্র মীলাদ শরীফ পাঠকারীর প্রতি এবং যে স্থানে পবিত্র মীলাদ শরীফ পাঠ করা হয়, সেখানে মহান আল্লাহপাক উনার খাছ রহমত মুবারক নাযিল হয়ে থাকে। আর যেখানে মহান আল্লাহপাক উনার রহমত মুবারক নাযিল হয় সেখানে কোন ধরণের আযাব-গযব আসতে পারে না। তাই সকল মুসলমানদের উচিত, বেশি বেশি পবিত্র মীলাদ শরীফ পাঠ করা।

রাজারবাগ শরীফ উনার সম্মানিত মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুল উমাম আলাইহিস সালাম তিনি নিয়মিত সুন্নতী খাদ্যদ্রব্য গ্রহণ করারও নির্দেশনা মুবারক দিয়েছেন। কারণ সুন্নতী খাদ্যসমূহে আছে বেমেছাল রহমত ও বরকত, যা শক্তিশালী রোগপ্রতিরোধক হিসেবে কাজ করে। পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার থেকে জানা যায়, সিরকা, কালোজিরা, মধু, ত্বীন, যয়তুন ইত্যাদি সুন্নতী খাদ্যসমূহ বিভিন্ন ধরণের অসুখ-বিসুখ, রোগ-বালাইকে প্রতিরোধ করে, ধ্বংস করে দেয়।

তাই সকল মুসলমানদের উচিত- সুন্নতী খাদ্যসমূহ সংগ্রহ করতে ‘আন্তর্জাতিক পবিত্র সুন্নত মুবারক প্রচার কেন্দ্র’-এ যোগাযোগ করা।

🔷পবিত্র ও বরকতময় সুন্নত পালনের গুরুত্ব🔷========================

🔷পবিত্র ও বরকতময় সুন্নত পালনের গুরুত্ব🔷========================

💠খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি উনার কালাম পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেন-

لَقَدْ كَانَ لَكُمْ فِي رَسُولِ اللَّهِ أُسْوَةٌ حَسَنَةٌ
অর্থ: তোমাদের জন্য নূরে মুজাস্সাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূরপাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মধ্যে রয়েছে উত্তমতম আদর্শ।
(পবিত্র সূরা আহযাব শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ২১)

💠খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি উনার কালাম পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেন-
قُلْ إِن كُنتُمْ تُحِبُّونَ اللّهَ فَاتَّبِعُونِي يُحْبِبْكُمُ اللّهُ وَيَغْفِرْ لَكُمْ ذُنُوبَكُمْ وَاللّهُ غَفُورٌ رَّحِيمٌ
অর্থ: “হে আমার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আপনি বলে দিন যদি তোমরা মহান আল্লাহ পাক উনাকে মুহব্বত করো বা মহান আল্লাহ পাক উনার মুহব্বত হাছিল করতে চাও, তবে তোমরা আমার অনুসরণ করো। তাহলে মহান আল্লাহ পাক তিনি তোমাদের মুহব্বত করবেন এবং তোমাদের গুনাহখাতা ক্ষমা করে দিবেন। আর মহান আল্লাহ পাক তিনি অত্যধিক ক্ষমাশীল ও দয়ালু।” সুবহানাল্লাহ! (পবিত্র সূরা আল ইমরান শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ৩১)

💠খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
وَمَا آتَاكُمُ الرَّسُولُ فَخُذُوهُ وَمَا نَهَاكُمْ عَنْهُ فَانتَهُوا وَاتَّقُوا اللَّهَ إِنَّ اللَّهَ شَدِيدُ الْعِقَابِ
অর্থ: “নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি যা নিয়ে এসেছেন তা আঁকড়িয়ে ধরো এবং যা থেকে বিরত থাকতে বলেছেন তা থেকে বিরত থাকো।” সুবহানাল্লাহ! (পবিত্র সূরা হাশর শরীফ : পবিত্র আয়াত শরীফ ৭)

💠পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
مَنْ احب سُنَّتِي فَقَدْ أَحَبَّنِي وَمَنْ أَحَبَّنِي كَانَ مَعِي فِي الْجَنَّةِ
অর্থ: “যে ব্যক্তি আমার সুন্নত মুবারক উনাকে মুহব্বত করলো, সে যেন আমাকেই মুহব্বত করলো আর যে ব্যক্তি আমাকে মুহব্বত করলো, সে আমার সাথে জান্নাতে থাকবে।” সুবহানাল্লাহ! (তিরমিযী শরীফ, মিশকাত শরীফ)

এখন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার আদেশ-নিষেধ মুবারকগুলি সূক্ষ্মাতিসূক্ষ্ম পালন করতে হবে। আর উনার সুন্নত মুবারক যে আঁকড়িয়ে ধরবে তার জন্য বিশেষ মর্যাদা রয়ে গেছে।

💠এ প্রসঙ্গে একটি পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
من تمسك بسنتى عند فسد امتى فله اجر مَأَت شهيد
অর্থ: “আমার উম্মতের মধ্যে যে ব্যক্তি ফিতনা-ফাসাদের যামানায় একটিমাত্র সুন্নত মুবারক উনাকে আঁকড়ে ধরবে, সে একশত শহীদ উনার ছাওয়াব লাভ করবে।” সুবহানাল্লাহ!

💠পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে আরো ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
عن حضرت أبي هريرة رضي الله عنه قال قال رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كُلُّ أُمَّتِي يَدْخُلُونَ الْجَنَّةَ إِلَّا مَنْ أَبَى قيل يارسول الله ومن يأبى؟ قال: مَنْ أَطَاعَنِي دَخَلَ الْجَنَّةَ، وَمَنْ عَصَانِي فَقَدْ أَبَى.
অর্থ: হযরত আবূ হুরায়রা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত রয়েছে, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাস্সাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, আমার সমস্ত উম্মত জান্নাতে প্রবেশ করবে তবে যারা আমাকে অস্বীকার করেছে তারা ব্যতীত। জিজ্ঞাসা করা হলো, ইয়া রসূলাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আপনাকে অস্বীকার করেছে কারা? তিনি বললেন, আমাকে যারা অনুসরণ করবে তারা জান্নাতে প্রবেশ করবে, আর আমার যারা নাফরমানী করবে অর্থাৎ আমার আদেশ-নিষেধ বা আদর্শের খিলাফ চলবে, তারাই আমাকে অস্বীকারকারী, তারা জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে না।’ (পবিত্র বুখারী শরীফ)

💠উপরোক্ত পবিত্র আয়াত শরীফ ও পবিত্র হাদীছ শরীফ উনাদের দ্বারা সু-স্পষ্টভাবে প্রতিভাত হলো যে, সুন্নত মুবারক উনাদেরকে অনুসরণের ফলে-
১) রহমত মুবারক লাভ করা যায়।
(২) হিদায়েত মুবারক লাভ করা যায়।
(৩) সবকাজে সফলতা অর্জন করা যায়।
(৪) একশত শহীদ উনাদের ছাওয়াব লাভ করা যায়।
(৫) সুমহান পবিত্র জান্নাত নসীব হয়।
(৬) মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সন্তুষ্টি-রেযামন্দি হাছিল করা যায়। সুবহানাল্লাহ!

আর কেউ যদি পবিত্র সুন্নত মুবারক উনাকে ইহানত করে, অবজ্ঞা করে বা তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করে তাহলে সেটা কুফরী হবে, হারাম হবে।
এ প্রসঙ্গে পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে, لو تركتم سنة نبيكم لكفرتم. অর্থ: “যদি তোমরা তোমাদের নবী হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সুন্নত উনাকে তরক (অস্বীকার) কর তাহলে অবশ্যই তোমরা কাফির হবে।” (আবূ দাউদ শরীফ)
💠অন্যত্র আরো ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
لو تركتم سنة نبيكم لضللتم.
অর্থ: “যদি তোমরা তোমাদের নবী নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সুন্নতকে তরক (অস্বীকার) করো তাহলে অবশ্যই তোমরা পথভ্রষ্ট হয়ে যাবে।” (দারিমী শরীফ, আহমদ শরীফ)
আকাঈদের কিতাবে উল্লেখ আছে-
اهانة السنة كفر.
অর্থ: “পবিত্র সুন্নত উনাকে ইহানত বা অবজ্ঞা করা কুফরী। তথা কাট্টা হারাম। ”

💢খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি এবং উনার হাবীব, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনারা আমাদেরকে পবিত্র সুন্নত মুবারক উনার গুরুত্ব ও তাৎপর্য বুঝার তাওফীক্ব দান করুন। আমীন!

মাখলুকাতের হায়াত থেকে মউত সর্ববস্থায় রয়েছে পবিত্র সুন্নত মুবারক। অর্থাৎ দ্বীন ইসলাম উনার উপর চলতে হলে সুন্নত মুবারক থেকে বাহিরে যাওয়ার সুযোগ নেই।

✅সুন্নত মুবারক রয়েছে প্রত্যেক আমলে,
✅সুন্নত মুবারক রয়েছে পোষাকে,
✅সুন্নত মুবারক রয়েছে খাবারে,
✅সুন্নত মুবারক রয়েছে আসবাবপত্রে,

💠সুন্নতী খাবার দেখুন এখানেঃhttps://bit.ly/সুন্নতী_খাবার

🌐অনলাইনে অর্ডার করতে ভিজিট করুন: https://bit.ly/খেজুর

⭕️আপনার সমস্যা সমাধানের জন্য আমাদের হোম ডেলিভারী সার্ভিস রয়েছে।

⭕️আর পেমেন্ট এখন আমাদের ওয়েব সাইটের https://sunnat.info এর মাধ্যমেই আপনি পরিশোধ করতে পারেন।

অর্ডার করতে যোগাযোগ করুনঃ
📮 যোগাযোগের ঠিকানাঃ
আন্তর্জাতিক সুন্নত মুবারক প্রচার কেন্দ্র।
📞+8801711 27 27 73,
📞+8801717 36 94 94
📞+8801782 255 244
📞+8801302 94 58 20
📞+8801711 27 27 86
🌐 ভিজিট করুন: https://sunnat.info

৫টি কাজ মুসলমান উনাদের জন্য জরুরী ভিত্তিতে ফরয-

৫টি কাজ মুসলমান উনাদের জন্য জরুরী ভিত্তিতে ফরয-

১. একজন হক্কানী ওলী আল্লাহ উনার নিকট বাইয়াত হওয়া।
২. সবক নেয়া।
৩.ক্বলবী জিকির করা।
৪.ছোহবত ইখতিয়ার করা।
৫.ফয়েজ-তাওয়াজ্জুহ হাসিল করা।

এই ৫টি কাজ ব্যতীত কোন মুসলমান কশ্মিনকালেও কামিয়াবি হাসিল করতে পারবে না।

হক্কানী ওলী আল্লাহ চেনার ৪টি উপায় -
ক. তিনি হারাম ছবি তুলবেন না।
খ. তিনি হারাম ভোট-গণতন্ত্র-নির্বাচন করবেন না।
গ. তিনি বেপর্দা হবেন না। 
ঘ. তিনি  শাসক শ্রেণীর শরীয়তবিরোধী কাজে সমর্থন করবেন না।

জাওয়াব

জাওয়াব
হ্যাঁ, যারা কুরবানী দেয়ার নিয়ত রাখেন, তাদের পক্ষে যিলহজ্বের চাঁদ ওঠার পর থেকে এই চাঁদের দশ তারিখ কুরবানী করা পর্যন্ত মাথার চুল হাতের ও পায়ের নখ ইত্যাদি না কাটা মুস্তাহাব। যেমন হাদীছ শরীফ-এ ইরশাদ হয়েছে-

عن ام سلمة رضى الله تعالى عنها قالت قال رسول الله صلى الله عليه وسلم من راى هلال ذى الحجة واراد ان يضحى فلا ياخذ من شعره ولا من اظفاره.

অর্থ: “উম্মুল মু’মিনীন হযরত উম্মে সালমা আলাইহাস সালাম উনার থেকে বর্ণিত, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বলেন, “যে ব্যক্তি যিলহজ্জ মাসের চাঁদ দেখলো এবং কুরবানী করার নিয়ত করলো, সে যেন (কুরবানী না করা পর্যন্ত) তার শরীরের চুল, নখ ইত্যাদি না কাটে।” (মুসলিম শরীফ)

মূলত: ছহীহ ও গ্রহণযোগ্য মত হলো এই যে, যারা কুরবানী করবে এবং যারা কুরবানী করবে না, তাদের উভয়ের জন্যই উক্ত আমল মুস্তাহাব ও ফযীলতের কারণ। আর এ ব্যাপারে দলীল হলো এ হাদীছ শরীফ-

যেমন হাদীছ শরীফ-এ বর্ণিত আছে-

عن عبد الله بن عمرو رضى الله تعالى عنه قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم امرت بيوم الاضحى عيدا جعله الله لـهذه الامة قال له رجل يا رسول الله صلى الله عليه وسلم ارايت ان لم اجد الا منيحة انثى افاضحى بـها قال لا ولكن خذ من شعرك واظفارك وتقص شاربك وتحلق عانتك فذلك تمام اضحيتك عند الله.

অর্থ: হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আমর রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত, আল্লাহ্ পাক-উনার রসূল হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, “আমি কুরবানীর দিনকে ঈদের দিন হিসেবে নির্ধারণ করার জন্য আদিষ্ট হয়েছি। আল্লাহ পাক উক্ত দিনটিকে এই উম্মতের জন্য ঈদ হিসেবে নির্ধারণ করেছেন। এক ব্যক্তি হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে জিজ্ঞাসা করলো, হে আল্লাহ পাক-উনার রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আমি যদি একটি মাদী মানীহা (উটনী) ব্যতীত অন্য কোন পশু কুরবানীর জন্য না পাই, তাহলে আপনি কি (আমাকে) অনুমতি দিবেন যে, আমি উক্ত মাদী মানীহাকেই কুরবানী করবো। জবাবে হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, না। তুমি উক্ত পশুটিকে কুরবানী করবে না। বরং তুমি কুরবানীর দিনে তোমার (মাথার) চুল ও হাত-পায়ের নখ কাটবে। তোমার গোঁফ খাট করবে এবং তোমার নাভির নিচের চুল কাটবে, এটাই আল্লাহ পাক-উনার নিকট তোমার পূর্ণ কুরবানী অর্থাৎ এর দ্বারা তুমি আল্লাহ পাক-উনার নিকট কুরবানীর পূর্ণ ছওয়াব পাবে।” (আবু দাউদ শরীফ)

উক্ত হাদীছ শরীফ-এর ব্যাখ্যায় উল্লেখ আছে যে, যারা কুরবানী করবে না, তাদের জন্যও যিলহজ্জ মাসের চাঁদ দেখার পর থেকে কুরবানী করার আগ পর্যন্ত নিজ শরীরের চুল, নখ ইত্যাদি না কাটা মুস্তাহাব। আর যে ব্যক্তি তা কাটা থেকে বিরত থাকবে, সে একটি কুরবানীর ছওয়াব পাবে। {দলীলসমূহ: নাসায়ী, মিশকাত, শরহে নববী, বজলুল মাযহুদ, মিরকাত, লুময়াত, আশয়াতুল লুময়াত, শরহুত ত্বীবী, তা’লীকুছ ছবীহ, মুযাহেরে হক্ব ইত্যাদি।}

সম্মানিত শরীয়ত মুতাবিক বাল্য বিবাহ খাস সুন্নত উনার অন্তর্ভুক্ত, বাল্য বিবাহের বিরোধীতা করা হারাম ও কাট্টা কুফরীর অন্তর্ভুক্ত-(২)

সম্মানিত শরীয়ত মুতাবিক বাল্য বিবাহ খাস সুন্নত উনার অন্তর্ভুক্ত, বাল্য বিবাহের বিরোধীতা করা হারাম ও কাট্টা কুফরীর অন্তর্ভুক্ত-(২)


উম্মুল মু’মিনীন আছছালিছাহ সাইয়্যিদাতুনা হযরত ছিদ্দীক্বা আলাইহাস সালাম উনার পবিত্র আক্বদ বা নিসবাতুল আযীম মুবারক উনার ৬ বছর বয়স মুবারকে আক্বদ বা শাদী মুবারক হওয়ার বিষয়টি যারা অস্বীকার করে তারা অসংখ্য ছহীহ পবিত্র হাদীছ শরীফ অস্বীকার করার কারণে কাফির! 
উম্মুল মু’মিনীন আছছালিছাহ সাইয়্যিদাতুনা হযরত ছিদ্দীক্বা আলাইহাস সালাম উনার পবিত্র আক্বদ বা শাদী মুবারক উনার সময়কার বয়স মুবারক নিয়ে কোনো কোনো জাহিল ও গুমরাহ লোক চু-চেরা করে থাকে। নাউযুবিল্লাহ!
অথচ বিশুদ্ধ ও গ্রহণযোগ্য মত হচ্ছে, উনার বয়স মুবারক যখন ৬ বছর তখন উনার সাথে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র আক্বদ বা নিসবাতুল আযীম মুবারক সম্পন্ন হয় এবং ৯ বছর বয়স মুবারক-এ তিনি নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্রতম হুজরা শরীফ-এ তাশরীফ মুবারক গ্রহণ করেন। সুবহানাল্লাহ!
এ বিষয়টি একটি নয় দুটি নয় বরং অসংখ্য পবিত্র ছহীহ হাদীছ শরীফ দ্বারাই অকাট্যভাবে প্রমাণিত। যেমনঃ
إِبْرَاهِيمَ وَأَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِى شَيْبَةَ وَأَبُو كُرَيْبٍ قَالَ يَحْيَى وَإِسْحَاقُ أَخْبَرَنَا وَقَالَ الآخَرَانِ حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ عَنِ الأَعْمَشِ عَنْ إِبْرَاهِيمَ عَنِ الأَسْوَدِ عَنْ حضرت عَائِشَةَ صديقة عليها السلام قَالَتْ تَزَوَّجَهَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَهْىَ بِنْتُ سِتٍّ وَبَنَى بِهَا وَهْىَ بِنْتُ تِسْعٍ
অর্থ: উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত ছিদ্দীক্বা আলাইহাস সালাম উনার থেকে বর্ণিত। নিশ্চয়ই নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে (হযরত ছিদ্দীক্বা আলাইহাস সালাম) উনার আক্বদ বা নিসবাতুল আযীম মুবারক সম্পন্ন হয় যখন উনার বয়স মুবারক ছিল ৬ বছর। আর তিনি ৯ বছর বয়স মুবারকে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র হুজরা শরীফে তাশরীফ মুবারক গ্রহণ করেন।” সুবহানাল্লাহ! (ছহীহুল বুখারী কিতাবু বাদইল ওয়াহই বাবু ইনকাহির রজুলি ওয়ালাদাহুছ ছিগার) 
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার ছহীহ বা বিশুদ্ধ কিতাব ‘পবিত্র ইবনে মাজাহ শরীফ’ উনার বর্ণনা- 
حَدَّثَنَا سُوَيْدُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُسْهِرٍ، حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ عُرْوَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ حضرت عَائِشَةَ صديقة عليها السلام، قَالَتْ تَزَوَّجَنِي رَسُولُ اللهِ صَلَّى الله عَليْهِ وسَلَّمَ وَأَنَا بِنْتُ سِتِّ سِنِينَ، فَأَسْلَمَتْنِي إِلَيْهِ, وَأَنَا يَوْمَئِذٍ بِنْتُ تِسْعِ سِنِينَ. 
অর্থ: “উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত ছিদ্দীক্বা আলাইহাস সালাম উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নিশ্চয়ই নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে আমার আক্বদ বা নিসবাতুল আযীম মুবারক সম্পন্ন হয় যখন আমার বয়স মুবারক ছিল ৬ বছর। আর ৯ বছর বয়স মুবারকে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র হুজরা শরীফে আমি তাশরীফ মুবারক গ্রহণ করি।” সুবহানাল্লাহ! (সূনানু ইবনে মাজাহ কিতাবুন নিকাহ বাবু নিকাহিছ ছিগার ইউযাউয়্যিজু হুন্নাল আবাউ।) 
এছাড়াও আরো বহু দলীল প্রমাণ উল্লেখ রয়েছে যা দ্বারা প্রমাণিত যে, বাল্য বিবাহ করা খাস সুন্নত উনার অন্তর্ভুক্ত, বাল্য বিবাহের বিরোধীতা করা হারাম ও কাট্টা কুফরীর অন্তর্ভুক্ত ।
 
কাজেই, এ বিষয়টি অস্বীকার করার অর্থ হচ্ছে একাধিক পবিত্র ছহীহ হাদীছ শরীফ উনাদেরকে অস্বীকার করা এবং পবিত্র সুন্নত শরীফ উনাকে অস্বীকার করা । আর এ ব্যাপারে সকলেই একমত যে, পবিত্র হাদীছ শরীফ অস্বীকার করা এবং পবিত্র সুন্নত শরীফ উনাকে অস্বীকার করা কাট্টা কুফরী। পবিত্র সুন্নত মুবারক পালনের গুরুত্ব ও তাৎপর্য সম্পর্কে যিনি খলিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
قُلْ إِن كُنتُمْ تُحِبُّونَ اللّهَ فَاتَّبِعُونِي يُحْبِبْكُمُ اللّهُ وَيَغْفِرْ لَكُمْ ذُنُوبَكُمْ وَاللّهُ غَفُورٌ رَّحِيمٌ 
 অর্থ: “হে আমার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আপনি বলে দিন যদি তোমরা খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনাকে মুহব্বত করো বা খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার মুহব্বত হাছিল করতে চাও, তবে তোমরা আমার অনুসরণ করো। তাহলে খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি তোমাদেরকে মুহব্বত মুবারক করবেন এবং তোমাদের গুনাহখতা ক্ষমা করে দিবেন। আর খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি অত্যাধিক ক্ষমাশীল ও দয়ালু।” অর্থাৎ মহান আল্লাহ পাক তিনি তোমাদের প্রতি অত্যন্ত ক্ষমাশীল ও দয়ালু হবেন। সুবহানাল্লাহ! (পবিত্র সূরা আল ইমরান শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ৩১)
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে- 
مَنْ اَحَبَّ سُنَّتِي فَقَدْ أَحَبَّنِي وَمَنْ أَحَبَّنِي كَانَ مَعِي فِي الْجَنَّة
অর্থ: “যে ব্যক্তি আমার সুন্নত মুবারক উনাকে মুহব্বত করলো, সে যেন আমাকেই মুহব্বত করলো আর যে ব্যক্তি আমাকে মুহব্বত করলো, সে আমার সাথে জান্নাতে থাকবে।” সুবহানাল্লাহ! (তিরমিযী শরীফ, মিশকাত শরীফ)
এখন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার আদেশ-নিষেধ মুবারকগুলি সূ²াতিসূ² পালন করতে হবে। আর উনার সুন্নত মুবারক যে আঁকড়িয়ে ধরবে তার জন্য বিশেষ মর্যাদা রয়ে গেছে। এ প্রসঙ্গে একটি পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
مَنْ تـَمَسَّكَ بِسُنَّتِىْ عِنْدَ فَسَادِ اُمَّتِىْ فَلَه اَجْرُ مِأَتَ شَهِيْدُ
অর্থ: “আমার উম্মতের মধ্যে যে ব্যক্তি ফিতনা-ফাসাদের যামানায় একটিমাত্র সুন্নত মুবারক উনাকে আঁকড়ে ধরবে, সে একশত শহীদ উনার ছাওয়াব লাভ করবে।” সুবহানাল্লাহ! (বায়হাক্বী শরীফ)
এখন আমরা জানি, একজন শহীদ উনার ছাওয়াব অনেক। তাহলে একশত শহীদ উনাদের ছাওয়াব তো আরো অধিক। এখন আমরা যদি একশত শহীদ উনাদের ছাওয়াব পেতে চাই, তাহলে আমাদেরকে পবিত্র সুন্নত মুবারক উনাকে দৃঢ়ভাবে অনুসরণ করতে হবে। আর সুন্নত মুবারক উনাকে অনুসরণের দ্বারা নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে জান্নাতে অবস্থানের সৌভাগ্য লাভ করা যায়। সুবহানাল্লাহ! আর সুন্নত মুবারক উনার অনুসরণে আমল করলে সেই আমলের অনেক ফযীলত পাওয়া যায়। সুবহানাল্লাহ!
এখন সম্মানিত শরীয়ত মুতাবিক বাল্য বিবাহ খাছ সুন্নত উনার অন্তর্ভুক্ত কেউ যদি এই মুবারক আমল করতে পারে তার জন্য ফযীলতের কারন হবে , সে একশত শহীদ উনার ছওয়াব পাবে , আর যদি করতে না পারে তার কোন গুনাহ হবে না।  তবে যদি কেউ  বাল্য বিবাহ উনার বিরোধীতা করে তবে তা হারাম ও কাট্টা কুফরীর অন্তর্ভুক্ত  হবে, আর আক্বাইদের মাছয়ালা অনুযায়ী সে মুরতাদ হবে। উপরোক্ত আলোচনা দ্বারা ইহাই স্পষ্টভাবেই বুঝা যায় ।

সম্মানিত শরীয়ত মুতাবিক বাল্য বিবাহ খাস সুন্নত উনার অন্তর্ভুক্ত, বাল্য বিবাহের বিরোধীতা করা হারাম ও কাট্টা কুফরীর অন্তর্ভুক্ত। (১)

সম্মানিত শরীয়ত মুতাবিক বাল্য বিবাহ খাস সুন্নত উনার অন্তর্ভুক্ত, বাল্য বিবাহের বিরোধীতা করা হারাম ও কাট্টা কুফরীর অন্তর্ভুক্ত। (১)

উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত ছিদ্দীক্বা আলাইহাস সালাম উনার পবিত্র আক্বদ বা নিসবাতুল আযীম মুবারক উনার ৬ বছর বয়স মুবারকে আক্বদ বা শাদী মুবারক হওয়ার বিষয়টি যারা অস্বীকার করে তারা অসংখ্য ছহীহ পবিত্র হাদীছ শরীফ অস্বীকার করার কারণে কাফির!
 উম্মুল মু’মিনীন, সাইয়্যিদাতুনা হযরত ছিদ্দীক্বা আলাইহাস সালাম উনার পবিত্র আক্বদ বা শাদী মুবারক উনার সময়কার বয়স মুবারক নিয়ে কোনো কোনো জাহিল ও গুমরাহ লোক চু-চেরা করে থাকে। নাউযুবিল্লাহ!
অথচ বিশুদ্ধ ও গ্রহণযোগ্য মত হচ্ছে, উনার বয়স মুবারক যখন ৬ বছর তখন উনার সাথে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র আক্বদ বা নিসবাতুল আযীম মুবারক সম্পন্ন হয় এবং ৯ বছর বয়স মুবারক-এ তিনি নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্রতম হুজরা শরীফ-এ তাশরীফ মুবারক গ্রহণ করেন। সুবহানাল্লাহ!
এ বিষয়টি একটি নয় দুটি নয় বরং অসংখ্য পবিত্র ছহীহ হাদীছ শরীফ দ্বারাই অকাট্যভাবে প্রমাণিত।
কাজেই, এ বিষয়টি অস্বীকার করার অর্থ হচ্ছে একাধিক পবিত্র ছহীহ হাদীছ শরীফ উনাদেরকে অস্বীকার করা। আর এ ব্যাপারে সকলেই একমত যে, পবিত্র হাদীছ শরীফ অস্বীকার করা কাট্টা কুফরী। আর যে কুফরী করে সেই কাফির। আমরা নির্ভরযোগ্য পবিত্র ছহীহ হাদীছ শরীফ উনার কিতাব মুবারক থেকে এ সম্পর্কিত দলীল-আদিল্লাহসমূহ নিচে উল্লেখ করলাম।
حَدَّثَنَا مُعَلَّى بْنُ أَسَدٍ ، حَدَّثَنَا وُهَيْبٌ ، عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ ، عَنْ أَبِيهِ ، عَنْ ام المؤمنين حضرت عَائِشَة عليها السلامأَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم تَزَوَّجَهَا وَهْيَ بِنْتُ سِتِّ سِنِينَ وَبَنَى بِهَا وَهْيَ بِنْتُ تِسْعِ سِنِينَ. قَالَ هِشَامٌ وَأُنْبِئْتُ أَنَّهَا كَانَتْ عِنْدَهُ تِسْعَ سِنِينَ. 
অর্থ: উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত ছিদ্দীক্বা আলাইহাস সালাম উনার থেকে বর্ণিত। নিশ্চয়ই নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে (হযরত ছিদ্দীক্বা আলাইহাস সালাম) উনার পবিত্র আক্বদ বা নিসবাতুল আযীম মুবারক সম্পন্ন হয় যখন উনার বয়স মুবারক ছিল ৬ বছর। আর তিনি ৯ বছর বয়স মুবারকে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র হুজরা শরীফে তাশরীফ মুবারক গ্রহণ করেন এবং ৯ বছর বয়স মুবারকেই উনার সাথে অবস্থান মুবারক করেন।” সুবহানাল্লাহ! (ছহীহুল বুখারী কিতাবু বাদইল ওয়াহই বাবু তাজউইজিল আবি ইবনাতাহু মিনাল ইমাম)

মনে আছে কি পবিত্র ২১শে শাওয়াল শরীফ হচ্ছে - " আন্তর্জাতিক বাল্য বিবাহ দিবস। সুবহানাল্লাহ!

মনে আছে কি পবিত্র ২১শে শাওয়াল শরীফ হচ্ছে - " আন্তর্জাতিক বাল্য বিবাহ দিবস। সুবহানাল্লাহ!

              কেননা,বাল্য বিবাহ হচ্ছে খাস সুন্নত মুবারক।সুবহানাল্লাহ!
             যদি আপনি কুল মাখলুকাত উনার নবী,সমস্ত নবী উনাদের নবী,সমস্ত রসূল উনাদের রসূল হাবীবুল্লাহ হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে মেনে থাকেন,উনাকে মুহব্বত করে থাকেন,উনার আমল মুবারক মুহব্বত করে থাকেন। তাহলে আপনি বাল্য বিবাহ উনার বিপক্ষ যেতে পারেন না।
             যদি আপনি উম্মুল মু'মেনীন হযরত ছিদ্দীকা আলাইহাস সালাম উনাকে মুহব্বত করে থাকেন। তাহলে আপনি বাল্য বিবাহ উনার বিপক্ষে যেতে পারেন না।
            যদি আপনি সম্মানিত ইসলাম উনার প্রথম খলিফা হযরত ছিদ্দিকে আকবর আলাইহিস সালাম উনাকে মেনে থাকেন এবং মুহব্বত করে থাকেন।তাহলে আপনি বাল্য বিবাহ উনার বিপক্ষে যেতে পারেন না।
          আপনাকে মনে রাখতে হবে কোন কোন মহান ব্যক্তিত্ব উনারা বাল্য বিবাহ উনার সাথে জড়িত।
           এখন,যে বা যারা খাস সুন্নত মুবারক বাল্য বিবাহ উনার বিপক্ষে যাবে তারা সবাই কাট্টা মুরতাদ হয়ে যাবে।
            এখন সিদ্ধান্ত আপনার। আপনি কি মুসলমান থাকতে চান নাকি মুরতাদ হতে চান।
           যে সমস্ত জেলা ও থানাকে বাল্য বিবাহ মুক্ত ঘোষণা করা হয়েছে।নাউযুবিল্লাহ!
          ঐ সমস্ত জেলা ও থানার কাজে যারা বাল্য বিবাহ মুক্ত করার কাজে সংশ্লিষ্ট ছিল তারা সবাই মুরতাদ হয়ে গেছে।
         সুতরাং আগে ঈমান, পরে অন্য কিছু।

‘ঈমানী কুওওয়াত’ বৃদ্ধির জন্য দরকার নিয়মিত ক্বলবী জিকির করা ৷

‘ঈমানী কুওওয়াত’ বৃদ্ধির জন্য দরকার নিয়মিত ক্বলবী জিকির করা ৷
বর্তমান সময়ে মুসলমানদের চেপে ধরেছে কাফির-মুশরিকরা। কিন্তু মুসলমানরা কাফির-মুশরিকদের ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থান নিতে পারছে না, জবাব দিতে পারছে না। এর মূল কারণ হচ্ছে বর্তমানে মুসলমানদের ঈমানী শক্তি বা কুওওয়াত শূন্যের কোঠায় পৌঁছেছে। মুসলমানগণ চাইলেও কাফিরদের বিরুদ্ধে কিছু করতে পারছে না। 
আসলে একজন মুসলমান কখন গায়ের শক্তিতে চলতে পারে না, মুসলমানগণ হচ্ছে ঈমানী শক্তিতে বলীয়ান। অতিতে এ বিষয়টি দেখা গিয়েছে হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুমগণ উনাদের মধ্যে। উনারা ঈমানী কুওওয়াতে ছিলেন সুদৃঢ় । এ কারণেই উনারা অতি অল্প সংখ্যক হয়েও অধিক সংখ্যক কাফিরের উপর বিজয় লাভ করেছিলেন। সুবহানাল্লাহ!
কিন্তু বর্তমানে মুসলমানদের অবস্থা হয়েছে ঠিক উল্টো। মুসলমানরা সংখ্যায় অনেক বেশি, কিন্তু এত অধিক সংখ্যক হয়েও তারা এখন স্বল্প সংখ্যক কাফিরদের সাথে পারছে না, নাজেহাল হচ্ছে। নাউযুবিল্লাহ!
এর মূল কারণ বর্তমানে মুসলমানদের ঈমানী কুওওয়াত বা ঈমানী শক্তি নেই। আর সেই ঈমানী শক্তি বৃদ্ধির করার একমাত্র উপায় হচ্ছে কোনো হক্কানী ওলীআল্লাহ উনার নিকট বাইয়াত হয়ে ক্বলবী জিকির করা, এতেই ঈমানী কুওওয়াত অর্জন করা সম্ভব। আর ঈমানী কুওওয়াত অর্জন হলেই কেবল কাফিরদের বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থান নেয়া সম্ভব, অন্যথায় নয়।