কতিপয় নাস্তিক মুরতাদ খুব লিখালিখি করে থাকে যে, মালদ্বীপ, মালেশিয়া কিংবা ইন্দোনেশিয়াতে মুসলমানরা আমাদের বাংলা দেশের মতো এভাবে উৎসাহ উদ্দীপনার সাথে কুরবানী দেয় না। পবিত্র কুরবানী উনার দিন নাকি সে সমস্ত দেশে সচরাচর পশু কুরবানী করার দৃশ্য খুঁজে পাওয়াটাই দুষ্কর। এদের কথা হলো, তবে কেন আমাদের বাংলাদেশে পবিত্র কুরবানী দেয়ার জন্য এত বেশি আয়োজন! এই নাস্তিকগুলো অবশ্য সউদী আরব, পাকিস্তান বা বিশ্বের অন্যান্য মুসলিম দেশে কেন যে কুরবানী হয় সেটার কোনো ব্যাখ্যা দিতে পারেনি।
এদের জানা উচিত যে, আমাদের দেশসহ ভারত পাকিস্তান এবং বিশ্বের অধিকাংশ মুসলিম দেশের মানুষ ইসলামী আইন শাস্ত্রে হানাফী মাযহাব উনার অনুসারী। আর হানাফী মাযহাব মুতাবিক কুরবানী দেয়া প্রত্যেক সামর্থ্যবান মু’মিন-মুসলমানের জন্য ওয়াজিব; যা ফরযের কাছাকাছি। অপরদিকে মালদ্বীপ, মালেশিয়া বা ইন্দোনেশিয়ার মুসলমানগণ হানাফী মাযহাব উনার অনুসারীসহ হাম্বলী, মালিকী বিশেষ করে শাফিয়ী মাযহাব উনাদের অনুসারীও রয়েছে তাই। সেখানে পবিত্র কুরবানী দেয়াটা পবিত্র সুন্নত হিসেবে পালন করে। অবশ্য সুন্নতকে গুরুত্ব সহকারে পালন করা মুসলমানদের জন্য পবিত্র কুরআন শরীফ উনার নির্দেশ অনুযায়ীই ফরয ছিলো।
এখন কেউ যদি সেটাকে গুরুত্ব না দেয় তার জন্য জবাবদিহি তাদেরকেই করতে হবে। তাদের কারণে হানাফী মাযহাবভুক্ত মুসলমানগণ পবিত্র কুরবানী উনার ওয়াজিব তরক করবে কেন? আমাদের দেশে এই সমস্ত বিষয়গুলোকে হাইলাইট করার মাধ্যমে কুচক্রী মহল মুসলিম সমাজে বিভক্তি আনতে চায়। পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার শত্রুরা ও মুসলিমবিদ্বেষীরা উত্তেজনা ছড়িয়ে ফায়দা লুটতে চায়। জরুরীভিত্তিতে এদেরকে প্রতিরোধ করা প্রত্যেক দ্বীনদার মুসলমানদের জন্য বিশেষ দায়িত্ব-কর্তব্য বটে!