জাওয়াব : মসজিদ মহান আল্লাহ পাক উনার পবিত্র ঘর। উক্ত পবিত্র ঘর উনার মালিক মহান আল্লাহ পাক তিনিই। এখন উনার মালিকানাভুক্ত ঘর উনার অনুমতি ব্যতিরেকে সরানো বা স্থানান্তর করা জায়িয হবে না। একজনের মালিকানাধীন ঘর-বাড়ী তার অনুমতি বা সম্মতি ব্যতীত অন্যদের জন্য সরানো বা স্থানান্তর করা যদি জায়িয না হয় তাহলে মহান আল্লাহ পাক উনার অনুমতি বা সম্মতি ব্যতীত কি করে উনার পবিত্র ঘর মসজিদ স্থানান্তর করা জায়িয হতে পারে? তা সম্পূর্ণ কুফরী এবং কাফির ও জাহান্নামী হওয়ার কারণ। নাউযুবিল্লাহ!
তাছাড়া পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
وَاللهُ وَرَسُوْلُهٗ أَحَقُّ أَنْ يُرْضُوْهُ إِنْ كَانُوْا مُؤْمِنِيْنَ
অর্থ: যদি তারা মু’মিন হয়ে থাকে তবে তারা যেন মহান আল্লাহ পাক উনাকে ও উনার মহাসম্মানিত রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে সন্তুষ্ট করে। সন্তুষ্ট করার ক্ষেত্রে মহান আল্লাহ পাক তিনি ও উনার মহাসম্মানিত রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনারাই সর্বাধিক হক্বদার। (পবিত্র সূরা তওবা শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ৬২)
এখন মহান আল্লাহ পাক উনাকে সন্তুষ্ট করতে হলে তো ঈমানদারের জন্য উনার পবিত্র ঘর মসজিদকে হিফাজত করতে হবে। উনাকে অসন্তুষ্ট করে উনার স্বার্থ, হক্ব বা অধিকার নষ্ট করে জনগণের স্বার্থে বা কল্যাণের জন্য মসজিদ স্থানান্তর করাতো কোন ঈমানদারের কাজ নয়।
অতএব, জনকল্যাণ বা বৃহত্তর কল্যাণের জন্য মসজিদ স্থানান্তরিত করা জায়িয নেই। বরং, কাট্টা হারাম ও কুফরী।
দলীলসমূহ: তাফসীরে আহকামুল কুরআন, তাফসীরে বায়দ্ববী, তাফসীরে তাবারী, তাফসীরে খাযিন, তাফসীরে মাযহারী, ফতওয়ায়ে আলমগীরী, জামউল ফতওয়া, ফতওয়ায়ে শামী, ফতওয়ায়ে বাহরুর রায়িক ইত্যাদি।