জাওয়াব: উপরোক্ত সুওয়ালের জাওয়াবে বলতে হয় যে, যদি নদী ভাঙ্গনের ফলে কোন মসজিদের স্থান নদীগর্ভে চলে যায়, এমতাবস্থায় এলাকাবাসী নদীর পার্শ্ববর্তী কোন চরে উক্ত মসজিদের বদলে বা পরিবর্তে নতুন কোন মসজিদ তৈরী করে, তাহলে প্রথম মসজিদের মালিকানা রহিত হবে না বরং নতুন মসজিদটি ভিন্ন আরেকটি মসজিদ হিসেবে সাব্যস্ত হবে।
তবে যদি কখনোও নদীর গতিপথ পরিবর্তন হয়ে প্রথম মসজিদের স্থান পুনরায় জেগে উঠে তাহলে সেই স্থানটি মসজিদের স্থান হিসেবে ধর্তব্য হবে এবং ক্বিয়ামত পর্যন্ত তা বহাল থাকবে। উক্ত জমি থেকে জনসাধারণ দুনিয়াবী কোন ফায়দা হাছিল করতে পারবে না।
এখন প্রশ্ন আসতে পারে যে, উক্ত মসজিদের জেগে উঠা জায়গাটির হুকুম কী হবে?
এর জবাবে বলতে হয় যে, মসজিদের জেগে উঠা জায়গাটি যেহেতু মসজিদেরই হুকুম রাখে সেহেতু তা সীমানা নির্ধারণ করে চিহ্নিত করে হেফাযত করতে হবে। অথবা বিভিন্ন ফল-ফলাদি বা দামী কাঠের গাছ লাগানো যেতে পারে, যাতে লাগানো গাছের ফল বা উপযুক্ত গাছ বিক্রি করে তার অর্থ স্বীয় এলাকার মসজিদের কাজে খরচ করা যায়। পরবর্তী সময়ে সে স্থানে আবার কখনো জনবসতি গড়ে উঠলে যেন তারা ওয়াকফকৃত মসজিদের স্থানকে পুনরায় মসজিদ হিসেবে ব্যবহার করতে পারে। কারণ ওয়াক্বফকৃত স্থানে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মসজিদ থাকুক বা না থাকুক সে স্থানটির মালিক হচ্ছেন স্বয়ং মহান আল্লাহ পাক তিনি নিজেই। আর মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মসজিদ উনার জায়গাটি ক্বিয়ামত পর্যন্ত মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মসজিদ মসজিদ হিসেবেই গণ্য হবে। এর ব্যতিক্রম করা কাট্টা হারাম ও কুফরী। যারা ব্যতিক্রম করবে তাদের জন্য জাহান্নাম ফরজ হবে।
{দলীলসমূহঃ (১) “ফতওয়ায়ে কাযীখান” (২) “আল মুখতারুল কুদূরী” (৩) “আল জাওহারতুন নাইয়্যারাহ” (৪) “আল লুবাব লিল মায়দানী” (৫) “আল হেদায়া মা’য়াদ দেরায়া” (৬) “আইনুল হিদায়া” (৭) “ফতহুল ক্বাদীর” (৮) “আল কিফায়া” (৯) “আল ঈনায়া” (১০) “হাশিয়ায়ে চলপী” (১১) “বাদায়েয়ুস সানায়া” (১২) “ফতওয়ায়ে আলমগীরী” (১৩) “আল বাহরুর রায়েক” (১৪) “আল মুযমিরাত” (১৫) “ফতওয়ায়ে কুরবা” (১৬) “আয্্ যাখীরাহ” (১৭) “খাযানাতুল মুফতীন” (১৮) “ফতওয়ায়ে হিন্দিয়া” (১৯) “আল কুনিয়া” (২০) “আল মুনিয়া” (২১) “মুহীতে সারাখসী” (২২) “সিরাজুল ওয়াহ্হাজ” (২৩) “ফতওয়ায়ে শামী” (২৪) “ই’লাউস সুনান” (২৫) “ফতওয়ায়ে দারুল উলূম দেওবন্দ” ইত্যাদি}