৬ই রবীউল আউওয়াল শরীফ, বাদ আসর এক পীর ভাই সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুল উমাম আলাইহিস সালাম উনার মুবারক ছোহবতে বসা ছিলেন। তিনি চিন্তা করছিলেন, আসন্ন ৭ই রবীউল আউওয়ার শরীফে অর্থাৎ সাইয়্যিদাতুনা উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম উনার বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ দিবসে কী হাদিয়া করা যায়। সেই সময় পীর ভাইয়ের ব্যবসায়িক নানান সমস্যা চলছিল। আর যেহেতু আক্বল-সমঝের অভাব, ইছলাহ প্রাপ্ত না; তাই তিনি কী হাদিয়া করবেন এই নিয়ে খুব চিন্তিত ছিলেন। এমতাবস্থায় তিনি মনে করলেন, “উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম তিনি তো গোলামের হাদিয়ার মোহতাজ নন, তাই তিনি যাকে তাওফীক দিবেন, কবুল করবেন, যার উপর দয়া মুবারক করবেন সে ব্যক্তিই কেবল উনার নুরুদ দারাজাত মুবারকে (ক্বদম মুবারক) হাদীয়া পেশ করতে সক্ষম হবে।” এরপর তিনি মুবারক ছোহবত শেষে বের হয়ে আসলেন এবং ভাবতে লাগলেন, তিনি যতটুকু হাদীয়া দেয়ার কথা চিন্তা করেছিলেন, তাই দিবেন কিনা ...ইত্যাদি নানান চিন্তা। চিন্তার এক পর্যায়ে তিনি এক অভুতপূর্ব আওয়াজ মুবারক শুনতে পেলেন। সাইয়্যিদাতুনা উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম তিনি উক্ত পীর ভাইকে বলছেন, “তুমি যা চিন্তা করেছ, তাই হাদিয়া কর। তাহলে আমিও তোমাকে দান করব। অর্থাৎ আমি তোমাকে নিয়ামত দান করব। সুবহানাল্লাহ!
এই ঘটনার পরে উক্ত পীর ভাই উনার বোধগম্য হল যে, মহান আল্লাহ পাক উনার এবং উনার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনারা সবকিছু দেখেন, জানেন এবং শুনেন। উনাদেরই হাক্বীক্বী ক্বায়েম-মাক্বাম যামানার খাছ লক্ষ্যস্থল ওলীআল্লাহ সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম তিনি। সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম তিনি সমস্ত নিয়ামতরাজির মালিকা, সমস্ত নেয়ামত বন্টনকারী, তিনি সর্বদা সবকিছু দেখেন, জানেন এবং শুনেন। কখনো কখনো তিনি সেই শান মুবারক প্রকাশ করেন।
মহান আল্লাহ পাক তিনি হাক্বীক্বী ভাবে উনাকে জানার এবং হাক্বীক্বী শান-মান বুঝার তৌফিক আমাদেরকে দান করেন। (আমীন)