এক পীর বোনের প্রচন্ড মাথা ব্যথা ছিল। ব্যথাটা উনার বছরে ২-৩ বার হত এবং ব্যথার তীব্রতা দুই থেকে চার ঘণ্টা পর্যন্ত থাকত। যখন মাথা ব্যথা হত তখন প্রচন্ড বমিও হত। এত বেশি বমি হত যেন যতক্ষণ পর্যন্ত শরীরে শক্তি আছে ততক্ষণ পর্যন্ত বমি হতেই থাকতো। বমি শেষে তিনি ক্লান্ত হয়ে পড়তেন এবং অসহনীয় ব্যথায় মাথার চুল ধরে টানতে থাকতেন। এই ব্যথাটা যখনই উঠত তখন উনার চোখের উপরে এবং নিচে এমনভাবে কাল হয়ে যেত; দেখলে মনে হত যেন তিনি চোখে মারাত্মক আঘাত পেয়েছেন। এই সমস্যার কারণে তিনি অনেক ডাক্তার দেখিয়েছেন, ঔষধ খেয়েছেন, ব্যবহার করেছেন, অনেক টাকা-পয়সা খরচ করেছেন, চক্ষু বিশেষজ্ঞ দেখিয়েছেন, চশমাও ব্যবহার করেছেন কিন্তু কোন কাজ হত না। ব্যথা যখন উঠতো তখন প্রতিবারই একই অবস্থা হত। একবার তিনি পবিত্র রমাদ্বান শরীফে দরবার শরীফে অবস্থান করছিলেন। এমতাবস্থায় উনার রাতে মাথা ব্যথা উঠল এবং পূর্বের ন্যায় একই অবস্থার সৃষ্টি হল। রাত ৩ টার দিকে উনার একটু ঘুম হয়। এরপর তিনি পরবর্তী দিন সাইয়্যিদাতুনা উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম উনাকে বিষয়টি জানালেন এবং খাছভাবে দোয়া মুবারক চাইলেন। পীর বোন আরজী করেন, “আম্মাজী! আমার প্রচন্ড মাথা ব্যথা। আমি এই কারণে খুব কষ্ট পাচ্ছি। দোয়া মুবারক চাই যেন আমার ব্যথা ভাল হয়ে যায়।” তখন সাইয়্যিদাতুনা উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম তিনি বলেন, “আচ্ছা ঠিক আছে।” আর সেই সাথে ফুঁ মুবারকও দিয়ে দেন। উক্ত পীর বোন বলেন, উনার ফুঁ মুবারকে আমি শীতলতা অনুভব করি। আমার মনে হল যে, তৎক্ষণাৎ আমার মাথা থেকে এই অসহ্য ব্যথা যেন চিরতরে নেমে গেল। সেই দিনের পর থেকে মাথা ব্যথা আর কখনোই উঠেনি। যেন আমি স্থায়ী প্রশান্তি লাভ করলাম।” সুবহানাল্লাহ!
মহান আল্লাহ পাক তিনি সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম উনার মুবারক উসিলায় সমস্ত অসুস্থতা থেকে পরিপূর্ণ সুস্থতা দান করেন, হিফাজত করেন এবং স্থায়ী প্রশান্তি দান করেন। আমরা যেন সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম উনার ছোহবত মুবারকে থেকে অনন্তকাল ধরে হাক্বীক্বী সন্তুষ্টি-রেযামন্দি মুবারক হাছিল করতে পারি। (আমীন)