পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে- “হযরত আবু দ্বারদা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত আছে যে, একদা তিনি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে হযরত আমির আনছারী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার গৃহে উপস্থিত হয়ে দেখতে পেলেন যে, তিনি খুশি প্রকাশ করে উনার সন্তানাদি এবং আত্মীয়-স্বজন, জ্ঞাতি-গোষ্ঠী, পাড়া-প্রতিবেশীদেরকে নিয়ে আখিরী রসূল, নূরে মুজাস্সাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ উনার ঘটনাসমূহ শুনাচ্ছেন এবং বলছেন, এই দিবস; এই দিবস (অর্থাৎ এই দিবসে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি যমীনে মুবারক তাশরীফ এনেছেন এবং ইত্যাদি ইত্যাদি ঘটেছে)।
এতদশ্রবণে মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বললেন, “নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ পাক উনার সকল রহমতের দরজা আপনার জন্য উন্মুক্ত করেছেন এবং সমস্ত হযরত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনারা আপনার জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করছেন এবং যে কেউ আপনার মতো এরূপ কাজ করবে ক্বিয়ামত পর্যন্ত, সেও আপনার মতো নাজাত (ফযীলত) লাভ করবে।” সুবহানাল্লাহ! (আত তানবীর ফী মাওলিদিল বাশীর ওয়ান নাযীর)
অর্থাৎ যারা পবিত্র সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ পালন করে সাধ্য ও সামর্থ্য অনুযায়ী সর্বোচ্চ খুশি প্রকাশ করবে তাদের জন্যই- (১). মহান আল্লাহ পাক তিনি সমস্ত রহমতের দরজাসমূহ খুলে দিবেন। সুবহানাল্লাহ! (২). সমস্ত হযরত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনারা মাগফিরাত কামনা করতে থাকবেন। সুবহানাল্লাহ! এবং (৩). তাদেরকে নাজাত দেয়া হবে। এই হুকুম ক্বিয়ামত পর্যন্ত বলবৎ থাকবে। সুবহানাল্লাহ!!!