৫০ বছরের ইতিহাসে সর্বোচ্চ ঋণের বোঝা বইতে হবে ব্রিটেনকে

কোনো চুক্তি ছাড়াই ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) থেকে বিচ্ছেদে যাওয়া বা চুক্তিহীন ব্রেক্সিটে গেলে ব্রিটেন যে ভয়াবহ অর্থনৈতিক সংকটে পড়বে, এটা নতুন নয়; কিন্তু কতটুকু পড়বে? এমন চিন্তা এতদিন মাথায় ঘোরপাক খেলেও এবার অনেকটা স্পষ্ট হয়ে গেছে। কেননা, ইইউ থেকে বেরিয়ে গেলে ব্রিটেনের কাঁধে প্রায় অর্ধ শতাব্দীর ইতিহাসে সর্বোচ্চ ঋণ ভর করবে বলে নতুন গবেষণা বলছে।
সম্প্রতি ব্রিটেনের গবেষণাভিত্তিক প্রতিষ্ঠান দ্য ইনস্টিটিউট ফর ফিসক্যাল স্টাডিজ (আইএফএস) একটি প্রতিবেদনে বলেছে, পূর্ব নির্ধারিত আসছে ৩১ অক্টোবর চুক্তিহীন ব্রেক্সিট বাস্তবায়ন হলে যুক্তরাষ্ট্রের দেনা বা ঋণের পরিমাণ দাঁড়াবে তাদের ৫০ বছরের ইতিহাসের সর্বোচ্চ। অর্থাৎ ১৯৬০ সালের পর নজিরবিহীন অর্থনৈতিক সংকটে পড়বে ব্রিটেন।
প্রতিষ্ঠানটির বরাত দিয়ে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম বলছে, চুক্তিহীন ব্রেক্সিট হলে ব্রিটেনের দেনার পরিমাণ বেড়ে যাবে ১০০ বিলিয়ন পাউন্ডের মতো। সবমিলে মোট ঋণের পরিমাণ গিয়ে দাঁড়াবে দেশের জাতীয় আয়ের ৯০ শতাংশের কাছে। অর্থাৎ জাতীয় আয়ের প্রায় সমান হয়ে যাবে ঋণের পরিমাণ।
আইএফএসের পূর্বাভাস- সামনের অর্থবছরে দেশটির দেনার পরিমাণ বাড়বে ৫০ বিলিয়ন পাউন্ড। যা জাতীয় আয়ের দুই দশমিক তিন শতাংশ। যদিও এখনকার নিয়মানুযায়ী, জাতীয় আয়ের দুই শতাংশ পরিমাণ অর্থ ধার করতে পারে ব্রিটিশ সরকার।
আইএফএসের পরিচালক পল জনসন বলেছে, যথাযথ কোনো আর্থিক পরিকল্পনা ছাড়াই অকূল সাগরে নামতে যাচ্ছে দেশটির সরকার। ব্রেক্সিট ইস্যুতে বিশাল অনিশ্চয়তা ও ঝুঁকির মুখে দাঁড়িয়ে আছে দেশটির আর্থিক ও সরকারি ব্যয়। এছাড়া চুক্তিহীন ব্রেক্সিটের কথা বিবেচনায় না এনেই সরকারি ব্যয়ের নিজস্ব নিয়মনীতি ভাঙতে যাচ্ছে কনজারভেটিভ সরকার।
পরবর্তী বাজেটে করের পরিমাণ স্থায়ীভাবে কমানো ঠিক হবে না। তবে চুক্তিহীন ব্রেক্সিট হলে, নির্দিষ্ট কিছুখাতে করের পরিমাণ অস্থায়ীভাবে কমানো যেতে পারে এবং প্রবৃদ্ধি সহায়কখাতে সরকারি ব্যয় বাড়ানো যেতে পারে।

শেয়ার করুন
পূর্ববর্তী পোষ্ট
পরবর্তী পোষ্ট