গবেষণা কেন্দ্র মুহম্মদিয়া জামিয়া শরীফ: সম্মানিত ইসলামী শরীয়ত উনার দৃষ্টিতে- বিশ্বকাপ ফুটবলসহ সর্বপ্রকার খেলাধুলা করা, দেখা, সমর্থন করা, খেলার জন্য খুশি প্রকাশ করা হারাম ও নাজায়িজ হওয়া সম্পর্কে ফতওয়া

সুওয়াল:
বর্তমানে চলছে বিশ্বকাপ ফুটবল খেলা। এতে দেশের আবাল-বৃদ্ধ-বণিতা সবাই ব্যাপকভাবে মেতে উঠেছে। বাড়িতে বাড়িতে যার যার প্রিয় দলের বিশাল বিশাল পতাকা উড়িয়েছে। বিশ্বকাপ খেলা উপলক্ষে রাষ্ট্রীয়ভাবেও ব্যাপক পৃষ্ঠপোষকতা করা হচ্ছে। জায়গায় জায়গায় বড় স্ক্রীনে খেলা দেখার ব্যবস্থা করা হয়েছে। আবার রাজনৈতিক নেতা, পৌরসভার চেয়ারম্যান প্রমূখদের পক্ষ থেকেও খেলা দেখানোর ব্যাপারে ব্যাপক সহযোগিতা করা হচ্ছে। এমনকি অনেকে প্রিয় দলের বিজয়ে উল্লাস করে খাসি-গরু যবাই করেও খাইয়েছে।
অনেকে প্রিয়দল ও প্রিয় খেলোয়াড়ের জন্য নফল নামাজ পড়েছে, রোজা রেখেছে, দান-খয়রাত করেছে, মুনাজাত করেছে। আবার অনেকেই খেলায় জয়লাভের কারণে খুশীও প্রকাশ করেছে, হাতে তালি দিয়েছে, এমনকি খুশি হওয়ার কারণে রং পর্যন্ত ছিটিয়েছে, আতশবাজি করেছে। অনেক ইমাম, মুয়াজ্জিন রাত্রে খেলা দেখার কারণে ফজরে জামাত পিছিয়ে দিয়েছে।
বিশেষ করে কোন দুর্বল দেশ বা দল কোন কারণে হঠাৎ জয়লাভ করায় অনেকে বলেছে যে, স্বয়ং আল্লাহ্ পাক নিজ হাতে দুর্বল দেশ বা দলকে জিতিয়ে দিয়েছেন। আর কোন মুসলমান দেশ বা দলের খেলার দিন অনেকে বলেছে- ‘ছওয়াবের নিয়তে খেলা দেখতে যাব। আর খেলা দেখার সময় দোয়া করব যাতে মুসলমান দেশ বা দল জয়লাভ করে।’
এখন আমাদের সুওয়াল হচ্ছে- (১) খেলাধুলা সম্পর্কে শরীয়তের ফায়ছালা কি? অনেকে বলে, ‘কিছু কিছু খেলা জায়িয।’ প্রকতৃপক্ষে কোন খেলা জায়িয আছে কি? (২) মাঠে গিয়ে বা টিভিতে খেলা দেখা এবং খেলা দেখার জন্য টিভি কেনা কতটুকু জায়িয? (৩) কোন দলকে সমর্থন করা বা কোন দলের জয় কামনা করে দোয়া করা বা রোযা রাখা, নামাজ পড়া, হাতে তালি দেয়া, রং বা কাদাপানি ছিটানো, শুকরিয়া আদায় করা শরীয়ত সম্মত কিনা? (৪) বিশ্বকাপ ফুটবলের নামে ব্রাজিল, আর্জেন্টিনা, জার্মানি ইত্যাদি দেশের সমর্থন করা, প্রশংসা করা ও পতাকা উড়ানোর ব্যাপারে শরীয়তের ফায়ছালা কি? (৫) কোন দুর্বল দেশ বা দল কোন কারণে হঠাৎ জয়লাভ করায় অনেকে বলেছে যে, ‘স্বয়ং আল্লাহ্ পাক নিজ হাতে দুর্বল দেশ বা দলকে জিতিয়ে দিয়েছেন।’ এ কথাটি কতটুকু শরীয়ত সম্মত? (৬) ‘ছওয়াবের নিয়তে খেলা দেখতে যাব। আর খেলা দেখার সময় দোয়া করব যাতে মুসলমান দেশ বা দল জয়লাভ করে।’ এ কথাটি কতটুকু শরীয়ত সম্মত? (৭) নামধারী মাওলানাদের বিশ্বকাপ ফুটবল দেখা ও সমর্থন করার ব্যাপারে শরীয়তের ফায়ছালা কি? তারা হক্কানী আলিম কি? তাদের পিছনে নামায পড়া জায়িয কি? দয়া করে উল্লিখিত বিষয়গুলো দলীল-আদিল্লার মাধ্যমে বিস্তারিত জাওয়াব দানে দেশের আপামর জনগোষ্ঠীর ঈমান হিফাযতে সাহায্য করুন।

জাওয়াব:
পবিত্র কুরআন শরীফ, পবিত্র হাদীছ শরীফ পবিত্র ইজমা শরীফ ও পবিত্র ক্বিয়াস শরীফ উনাদের আলোকে সম্মানিত ইসলামী শরীয়ত উনার ফতওয়া অনুযায়ী বিশ্বকাপ ফুটবলসহ সমস্ত খেলাধুলাই হারাম। কোন প্রকার খেলাই জায়িয নেই। মাঠে গিয়ে হোক আর টিভিতে হোক সর্বাবস্থায়ই খেলা দেখা হারাম ও কবীরাহ গুনাহের অন্তর্ভুক্ত। টিভিতে খেলা দেখা বা অন্যান্য অনুষ্ঠান দেখা আরো কঠিন ও অধিক গুণাহর কারণ।
খেলা সম্পর্কিত কোন দলকে সমর্থন করা, প্রশংসা করা, পতাকা উড়ানো, দলের জয় কামনা করে দোয়া করা, নামাজ পড়া, রোযা রাখা, জামাত পিছানো, দলের জয়ে খুশি প্রকাশ করা, হাতে তালি দেয়া, রং ছিটানো ও শুকরিয়া আদায় করাও সম্পূর্ণ হারাম ও কুফরী। ‘দুর্বল দেশকে আল্লাহ পাক নিজ হাতে জিতিয়ে দেন’- একথা বলা এবং ‘ছওয়াবের নিয়তে খেলা দেখা বা খেলা দেখলে ছওয়াব হয়’ মনে করা সুস্পষ্ট কুফরী।
যে সকল মাওলানা, মুফতী, মুহাদ্দিছ, খতীব, আমীর, পীর নামধারী ব্যক্তিরা খেলা দেখে ও খেলাকে সমর্থন করে তাদের পিছনে নামায পড়া, তাদেরকে ইমাম নিয়োগ করা হারাম। কেননা, হারামকে হালাল ও হালালকে হারাম মনে করা উভয়টি কুফরী।
সম্মানিত ইসলামী শরীয়ত উনার দৃষ্টিতে যারা কুফরী করে তারা মুরতাদ। মুরতাদের হুকুম হলো কোন মুসলমান কুফরী করলে সে মুরতাদ হয়ে যায়। মুরতাদের শাস্তি হচ্ছে- তার যিন্দিগীর সমস্ত আমল বরবাদ হয়ে যাবে। বিয়ে করে থাকলে তার স্ত্রী তালাক হয়ে যাবে। হজ্জ করে থাকলে তা বাতিল হয়ে যাবে। তার ওয়ারিছ সত্ত্ব বাতিল হয়ে যাবে। তার তওবার জন্য সময়সীমা হচ্ছে তিনদিন। এর মধ্যে তওবা না করলে ইসলামী খিলাফতের তরফ থেকে তার একমাত্র শাস্তি হচ্ছে মৃত্যুদ-। সে মারা গেলে তার জানাযা, দাফন, কাফন কোনটিই জায়িয নেই। বরং তাকে কুকুর-শৃগালের মত গর্তে পুঁতে রাখতে হবে।
কেননা পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার বিখ্যাত কিতাব, মুস্তাদরিকে হাকিম শরীফে বর্ণিত আছে, হযরত আবু হুরায়রা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু হতে বর্ণিত আছে যে, আল্লাহ পাক উনার রসূল, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন,
كل لعب حرام إلا ثلاث: ملاعبة الرجل أهله ورميه عن قوسه وتأديبه فرسه.
“সর্ব প্রকার খেলা নিষিদ্ধ তিনটি বিষয় ব্যতীত- যা খেলার অন্তর্ভূক্ত নয়। (১) নিজ স্ত্রীর সাথে শরীয়তসম্মত হাসি-খুশী করা। (২) তীর ধনুক চালনা করা। (৩) অশ্বকে প্রশিক্ষণ দান করা।”
“আবু দাউদ শরীফ, তিরমিযী শরীফ, নাসাঈ শরীফ, ইবনে মাজাহ্ শরীফ” ইত্যাদি পবিত্র হাদীছ শরীফের কিতাবেও হযরত ওকবা ইবনে আমির রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু হতে অনুরূপ পবিত্র হাদীছ শরীফ বর্ণিত রয়েছে। তবে শব্দের কিছু তারতম্য রয়েছে।
কাজেই, খেলাধুলার ফিতনা থেকে ঈমান আমল হিফাজত করা প্রত্যেক মুসলমানের জন্য ফরজ-ওয়াজিব।

(পূর্বপ্রকাশিতের পর)
খেলাধুলা সম্পর্কে শরীয়তের ফায়ছালা কি?

এর জবাবে বলতে হয় যে, পবিত্র হাদীছ শরীফের বিখ্যাত কিতাব, “মুস্তাদরিকে হাকিম”-এর মধ্যে হযরত আবু হুরায়রা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু হতে বর্ণিত আছে যে, আল্লাহ পাক উনার রসূল, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বলেন, “সর্ব প্রকার খেলা নিষিদ্ধ তবে তিনটি বিষয় যায়েজ যা খেলার অন্তর্ভূক্ত নয়- (১) তীর ধনুক চালনা করা, (২) অশ্বকে প্রশিক্ষণ দান করা, (৩) নিজ স্ত্রীর সাথে শরীয়তসম্মত হাসি-খুশী করা।”
“আবু দাউদ শরীফ, তিরমিযী শরীফ, নাসাঈ শরীফ, ইবনে মাজাহ্ শরীফ” ইত্যাদি পবিত্র হাদীছ শরীফের কিতাবেও হযরত ওকবা ইবনে আমির রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু হতে অনুরূপ পবিত্র হাদীছ শরীফ বর্ণিত রয়েছে। তবে শব্দের কিছু তারতম্য রয়েছে। হযরত ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু হতে রেওয়ায়েত আছে, আল্লাহ পাক উনার হাবীব নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বলেন, “মু’মিনের শ্রেষ্ঠ আমল অর্থাৎ প্রশিক্ষণ হচ্ছে সাঁতার কাটা, আর নারীর শ্রেষ্ঠ আমল অর্থাৎ কাজ হচ্ছে সূতা কাটা।”
“সহীহ্ মুসলিম” ও “মুসনদে আহমদ শরীফে” হযরত সালমান ইবনে আকওয়া রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু হতে বর্ণিত আছে, “আল্লাহ পাক উনার হাবীব নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি দৌড় অনুশীলনে এজাযত দিয়েছেন।” (তবে অবশ্যই খেলা হিসেবে নয় বরং জিহাদের প্রশিক্ষণ হিসেবে।)
“আবূ দাউদ শরীফে” বর্ণিত আছে, “নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি রোকনা পাহ্লোয়ানকে কুস্তিতে ধরাশায়ী করেছিলেন।” (তবে তা অবশ্যই খেলা হিসেবে নয় বরং রিসালতের প্রমাণ ও মু’জিযা হিসেবে তিনি রোকনা পাহলোয়ানের সাথে কুস্তি করেছেন এবং তাকে পরাস্ত করেছেন।)
প্রকৃতপক্ষে পবিত্র হাদীছ শরীফে অর্থাৎ শরীয়তে যেসব বিষয়ের অনুমোদন রয়েছে, তা খেলা নয়। কাজেই যত প্রকার খেলা রয়েছে তার প্রত্যেকটির মধ্যেই, না-কোন দ্বীনী ফায়দা রয়েছে এবং না-কোন দুনিয়াবী ফায়দা রয়েছে। বরং প্রতিটি খেলা তিনটি অবস্থার কোন এক অবস্থা থেকে খালি নয়। ১. হয় তা কুফরী হবে, ২. অথবা হারাম হবে, ৩. আর না হয় তা মাকরূহ্ হবে।
(১) যে খেলা বিধর্মীদের সাথে তাশাব্বুহ্ বা সাদৃশ্য রাখে অথবা দ্বীন ইসলাম থেকে সরিয়ে দেয় বা কুফরীতে নিমজ্জিত করে তা সম্পূর্ণ কুফরী।
পবিত্র হাদীছ শরীফে বর্ণিত রয়েছে,
عن عمرو بن شعب عن ابيه عن جده ان رسول الله صلى الله عليه وسلم قال ليس منا من تشبه بغيرنا
অর্থ: হযরত আমর বিন শুয়াইব উনার পিতা থেকে এবং তিনি উনার দাদা থেকে বর্ণনা করেন যে, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, ঐ ব্যক্তি আমার উম্মতের অন্তর্ভুক্ত নয়, যে বিজাতীয়দের সাথে সাদৃশ্য রাখে।” (মিশকাত)
(২) যে খেলা ইসলামী আক্বীদা থেকে সরিয়ে নেয়না কিন্তু হারাম ও গুণাহ্র কাজে লিপ্ত করে দেয়, তা কুফরী নয়, তবে কবীরা গুণাহ কারণ। অর্থাৎ হারাম। আল্লাহ্ পাক ইরশাদ মুবারক করেন-
تعاونوا على البر والتقوى ولا تعاونوا على الاثم والعدوان
অর্থ: তোমরা পরস্পর পরস্পরকে নেক কাজ ও পরহিযগারীর মধ্যে সাহায্য কর, পাপ ও শত্রুতার মধ্যে সাহায্য করনা। (সূরা মায়িদা-২)
(৩) আর যে সমস্ত খেলা কুফরী ও হারাম কোনটিই নয় কিন্তু প্রকাশ্যে তা পাপ বলেও মনে হয়না, মানুষ সাধারণভাবে সে সমস্ত খেলাকে জায়িয মনে করে থাকে, প্রকৃতপক্ষে তাও পাপেরই অন্তর্ভুক্ত। অর্থাৎ মাকরূহ। এতে যেমন ইবাদত-বন্দিগীর ব্যাঘাত ঘটে এবং স্বাস্থ্য, সময় ও টাকা-পয়সার অপচয় হয়, তদ্রুপ পরস্পরের মধ্যে হিংসা-বিদ্বেষও পয়দা হয়। এ প্রসঙ্গে আল্লাহ পাক বলেন,
.ان المبذرين كانوا اخوان الشيطين
অর্থ: নিশ্চয়ই (সর্বপ্রকার) অপচয়কারীরা শয়তানের ভাই। (সূরা বণী ইসরাঈল-২৭)
আর পবিত্র হাদীছ শরীফে বর্ণিত হয়েছে-
عن على بن حسين عليه السلام قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم من حسن اسلام المرء تركه ما لايعنيه.
অর্থ: হযরত আলী ইবনে হুসাইন রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু বলেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, কোন ব্যক্তির জন্য দ্বীনের সৌন্দর্য হলো অহেতুক বা অপ্রয়োজনীয় কাজ-কর্ম থেকে বিরত থাকা। (তিরমিযী, মিশকাত)
উল্লেখ্য যে, শরীয়তের ফতওয়া হচ্ছে- যে কাজ হারাম ও কুফরী, তাকে হালাল মনে করা কুফরী। অর্থাৎ যে হালাল মনে করবে, সে কাফির বা মুরতাদ হয়ে যাবে। আর যে কাজ হারাম ও কুফরী নয় কিন্তু পাপের কারণ, আর সে পাপকে হালকা বা তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য মনে করা অর্থাৎ এ ধরণের পাপ করলে কিছু হয়না ইত্যাদি মনে করাটাও কুফরী।
উল্লেখ্য, পবিত্র হাদীছ শরীফ বা শরীয়তে যে সমস্ত বিষয়ের অনুমোদন দেয়া হয়েছে, সে সমস্ত বিষয়গুলি প্রকৃতপক্ষে খেলা বলতে যা বুঝায় তার অন্তর্ভুক্ত নয়। অর্থাৎ সেগুলো খেলার অন্তর্ভূক্ত নয়। পবিত্র হাদীছ শরীফে তীর ধনুক চালনা করা, অশ্বকে প্রশিক্ষণ দেয়া, স্ত্রীর সাথে শরীয়ত সম্মত হাসিখুশী করা, সাঁতার কাটা, সূতা কাটা, দৌড় অনুশীলন করা ইত্যাদি বিষয়গুলো খেলা নয়। কারণ, উল্লিখিত বিষয়ের মধ্যে যেমন দ্বীনী ফায়দা রয়েছে, তেমনি দুনিয়াবী ফায়দাও নিহিত রয়েছে। যেমন- তীর চালনা করা, অশ্বকে প্রশিক্ষণ দেয়া, সাঁতার কাঁটা, দৌড় অনুশীলন ইত্যাদি জিহাদের প্রস্তুতি গ্রহণের অন্তর্ভুক্ত এবং স্বাস্থ্যকে সুঠাম ও বলিষ্ঠ রাখার কারণ। (চলবে)

(গবেষণা কেন্দ্র মুহম্মদিয়া জামিয়া শরীফ কর্তৃক প্রকাশিত ফতওয়া হতে সংকলিত)

#islamic #islam #muslim #islamicpost #FIFAWorldCup2022 #qatar #argentina #worldcup #Argentina2022

শেয়ার করুন
পূর্ববর্তী পোষ্ট
পরবর্তী পোষ্ট