ঐতিহাসিক সম্মানিত খন্দকের জিহাদ

জিহাদ চলাকালীন সময়ে সংঘটিত মহাসম্মানিত মহাপবিত্র মুজিযাহ শরীফ:
অসংখ্য হাদীছ শরীফ, তাফসীর শরীফ ও কিতাব মুবারক উনাদের মাঝে উল্লেখ রয়েছেন-
عَن حضرت جَابِرٍ رضي الله تعالى عنه، قَالَ: إنَّا كُنَّا يَوْمَ الْخَنْدَقِ نَحْفِرُ، فَعَرَضَتْ كُدْيَةٌ شَدِيدَةٌ، فَجَاؤُوا إِلَى النَّبِيِّ ﷺ، فَقَالَوا: هَذِهِ كُدْيَةٌ عَرَضَتْ في الخَنْدَقِ . فَقَالَ: ্রأنَا نَازِلٌ গ্ধ ثُمَّ قَامَ، وَبَطْنُهُ مَعْصُوبٌ بِحَجَرٍ، وَلَبِثْنَا ثَلاَثَة أيّامٍ لاَ نَذُوقُ ذَوَاقاً فَأخَذَ النَّبِيُّ ﷺ المِعْوَلَ، فَضَرَبَ فَعَادَ كَثِيباً أهْيَلَ أَو أهْيَمَ، فَقُلتُ: يَا رَسُولَ اللهِ، ائْذَنْ لِي إِلَى البَيْتِ، فَقُلتُ لامْرَأتِي: رَأيْتُ بالنَّبيِّ ﷺ شَيئاً مَا في ذَلِكَ صَبْرٌ فَعِنْدَكِ شَيْءٌ ؟ فَقَالَت: عِنْدي شَعِيرٌ وَعَنَاقٌ، فَذَبَحْتُ العَنَاقَ وَطَحَنْتُ الشَّعِيرَ حَتَّى جَعَلْنَا اللَّحْمَ في البُرْمَةِ، ثُمَّ جِئْتُ النَّبِيَّ ﷺ، وَالعَجِينُ قَدِ انْكَسَرَ، وَالبُرْمَةُ بَيْنَ الأثَافِيِّ قَدْ كَادَتْ تَنْضِجُ، فَقُلتُ: طُعَيْمٌ لِي، فَقُمْ أنْتَ يَا رَسُولَ اللهِ وَرَجُلٌ أَوْ رَجُلانِ، قَالَ: ্রكَمْ هُوَ গ্ধ ؟ فَذَكَرْتُ لَهُ، فَقَالَ:্রكَثِيرٌ طَيِّبٌ قُل لَهَا لاَ تَنْزَعِ البُرْمَةَ، وَلاَ الخُبْزَ مِنَ التَّنُّورِحَتَّى آتِي গ্ধ فَقَالَ: ্রقُومُوا গ্ধ، فَقَامَ المُهَاجِرُونَ وَالأنْصَارُ، فَدَخَلْتُ عَلَيْهَا فَقُلتُ: وَيْحَكِ قَدْ جَاءَ النبيُّ ﷺ وَالمُهَاجِرُونَ وَالأنْصَارُ وَمَن مَعَهُمْ ! قَالَت: هَلْ سَألَكَ ؟ قُلْتُ: نَعَمْ، قَالَ: ্রادْخُلُوا وَلاَ تَضَاغَطُوا গ্ধ فَجَعَلَ يَكْسرُ الخُبْزَ، وَيَجْعَلُ عَلَيْهِ اللَّحْمَ، وَيُخَمِّرُ البُرْمَةَ وَالتَّنُّورَ إِذَا أخَذَ مِنْهُ، وَيُقَرِّبُ إِلَى أصْحَابِهِ ثُمَّ يَنْزِعُ، فَلَمْ يَزَلْ يِكْسِرُ وَيَغْرِفُ حَتَّى شَبِعُوا، وَبَقِيَ مِنْهُ، فَقَالَ: كُلِي هَذَا وَأهِدي، فَإنَّ النَّاسَ أصَابَتْهُمْ مَجَاعَةٌ গ্ধ. متفقٌ عَلَيْهِ

হযরত জাবির রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, খন্দক জিহাদের সময় আমরা পরিখা খনন করছিলাম। সেই সময় এক খন্ড কঠিন পাথর বেরিয়ে এলে (যা ভাঙ্গা যাচ্ছিল না) সকলেই সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নিকট এসে বললেন, খন্দকের মধ্যে এক খন্ড পাথর বেরিয়েছে (আমরা তা ভাঙ্গতে পারছি না)।’ এ কথা শুনে সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বললেন, আমি নিজে খন্দকে অবতরণ করব।’’ অতঃপর তিনি দাঁড়ালেন। সে সময়ে উনার পেট মুবারক -এ একটি পাথর বাঁধা ছিল। আর আমরাও অনাহারে ছিলাম; তিনদিন কোন কিছুই খাইনি। সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি (এসে) একটি গাঁইতি/ কুঠার / কোদাল হাতে নিয়ে পাথরের উপর আঘাত করলেন, ফলে তৎক্ষণাৎ তা চূর্ণ-বিচূর্ণ হয়ে বালুকা রাশিতে পরিণত হল। সুবহানাল্লাহ! অতঃপর আমি বললাম, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আমাকে বাড়ী যাওয়ার জন্য অনুমতি দিন।’ (তিনি আমাকে অনুমতি দিলে বাড়ী পৌঁছে) আমার আহলিয়াকে বললাম, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উনার মধ্যে আমি এমন কিছু দেখেছি, যা আমি সহ্য করতে পারছি না। আপনার নিকট কোন খাবার আছে কি?’ তিনি বললেন, আমার নিকট কিছু যব ও একটি বকরীর বাচ্চা আছে।’ সুতরাং বকরীর বাচ্চাটি আমি যবেহ করলাম এবং তিনি যব পিষে দিলেন। অতঃপর গোশত ডেকচিতে দিয়ে আমি সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার খিদমত মুবারক-এ আসলাম। সে সময় আটা খামির হচ্ছিল এবং ডেকচি চুলার ঝিঁকের উপর ছিল ও গোশত প্রায় রান্না হয়ে এসেছিল। তখন আমি বললাম, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আমার (বাড়ীতে) সামান্য কিছু খাবার আছে। ফলে একজন বা দু’জন সাথে নিয়ে আপনি উঠে আসুন।’ তিনি বললেন, কী পরিমাণ খাবার আছে?” আমি উনার নিকট সব খুলে বললে তিনি বললেন, অনেক এবং উত্তম।’ অতঃপর তিনি আমাকে বললেন, আপনি আপনার আহলিয়া উনাকে গিয়ে বলেন, আমি না আসা পর্যন্ত তিনি যেন ডেকচি চুলা থেকে না নামান এবং রুটি তন্দুর থেকে না নামান।” তারপর (সকলের উদ্দেশ্যে) তিনি বললেন, আপনারা উঠুন! (হযরত জাবির রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি আপনাদেরকে খাবারের দাওয়াত দিয়েছেন।)” হযরত মুহাজির ও আনছার ছাহাবী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুমগণ উনারা উঠলেন (এবং চলতে লাগলেন)। অতঃপর আমি আমার আহলিয়া উনার নিকট গিয়ে বললাম, আপনি পরীক্ষার মধ্যে পড়েছেন! (এখন কী হবে?) সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনিতো হযরত মুহাজির, আনছার ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম এবং উনাদের অন্য সাথীদের নিয়ে চলে আসছেন।’ তিনি (হযরত জাবির রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার আহলিয়া) বললেন, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি কি আপনাকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন?’ আমি বললাম, হ্যাঁ।’ (আমার আহলিয়া বললেন, তাহলে মহান আল্লাহ পাক তিনি ও উনার রসূল, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনারা অধিক জানেন। আমাদের কাছে যা আছে তা তো আপনি সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে জানিয়ে দিয়েছেন।’ হযরত জাবির রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বলেন, তখন আমার কিংকর্তব্যবিমূঢ়তা দূর হল। আমি বললাম, আপনি ঠিকই বলেছেন।’) তারপর সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি উপস্থিত হয়ে বললেন, আপনারা সকলেই প্রবেশ করুন এবং ভিড় করবেন না।” এ বলে তিনি রুটি মুবারক টুকরো করে তার উপর গোশত মুবারক দিয়ে হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের মাঝে বিতরণ করতে শুরু করলেন। (এগুলো পরিবেশন করার সময়) তিনি ডেকচি মুবারক ও চুলা মুবারক ঢেকে রেখেছিলেন। এভাবে তিনি রুটি টুকরো করে হাত ভরে বিতরণ করতে লাগলেন। এতে সকলে তৃপ্তি সহকারে খেলেন এবং খাবার পরেও কিছু বাকী রয়ে গেল। সুবহানাল্লাহ। সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি হযরত জাবির রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার আহলিয়াকে বললেন, এগুলো আপনি খান এবং অন্যকে উপহার দিন। কেননা, লোকদেরকে ক্ষুদায় পেয়েছে।” (বুখারী শরীফ ও মুসলিম শরীফ) (চলবে)

#90DaysMahfil 
sunnat.info
sm40.com

শেয়ার করুন
পূর্ববর্তী পোষ্ট
পরবর্তী পোষ্ট