পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে, “নিশ্চয়ই বান্দাদের মধ্য থেকে কেবল আলিমগণই মহান আল্লাহ পাক উনাকে ভয় করেন।”
পবিত্র আয়াত শরীফ উনার ব্যাখ্যায় উল্লেখ রয়েছে, যার ভিতরে যতোবেশি আল্লাহভীতি থাকবে তিনি ততবড় আলিম।” (পবিত্র সূরা ফাতির শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ২৮)
অন্যত্র ইরশাদ মুবারক হয়েছে, “সাবধান! জেনে রাখ, নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ পাক উনার যারা ওলী উনাদের কোনোরূপ ভয় ও চিন্তা নেই। উনাদের পরিচয় হচ্ছে, উনারা পরিপূর্ণ ঈমানদার এবং পরিপূর্ণ তাক্বওয়া অবলম্বনকারী।” (পবিত্র সূরা ইউনূস শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ৬২)
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে রয়েছে, “আলিম হচ্ছেন ওই ব্যক্তি যিনি ইলম অনুযায়ী আমল করেন।” (মিশকাত শরীফ)
প্রতিভাত হলো, যার ঈমান-আক্বীদা পরিশুদ্ধ, যার ভিতরে আল্লাহভীতি রয়েছে, যিনি তাক্বওয়া অবলম্বন করেন, যিনি পবিত্র সুন্নত উনার পরিপূর্ণ অনুসরণ করেন, পবিত্র ইলম অনুযায়ী আমল করেন অর্থাৎ যিনি পবিত্র শরীয়ত তথা পবিত্র কুরআন শরীফ এবং পবিত্র হাদীছ শরীফ উনাদেরকে মেনে পরিপূর্ণরূপে চলেন তিনি হচ্ছেন সত্যিকার আলিম বা ওলীআল্লাহ। উনারই আদেশ-নিষেধ মানতে হবে এবং উনারই আনুগত্য বা অনুসরণ করতে হবে। যেমন মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “মহান আল্লাহ পাক উনাকে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে এবং উলিল-আমর উনাদেরকে অনুসরণ করো।” (পবিত্র সূরা মায়িদাহ শরীফ)
আলোচ্য পবিত্র আয়াত শরীফ উনার মধ্যে উলিল-আমর বলতে সত্যিকার আলিম বা ওলীআল্লাহ উনাদেরকেই বুঝানো হয়েছে।
আর পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে, “উনার কথাই শ্রবণ করো, মানো এবং উনাকেই অনুসরণ করো, যদিও তিনি হাবশী কৃতদাস হোন না কেন।”
কাজেই উপরে আলিম বা ওলীআল্লাহ উনার পরিচয় সম্পর্কে যে বর্ণনা উল্লেখ করা হলো এমন আলিম বা ওলীআল্লাহ উনাকে চিনে উনাকে অনুসরণ করতে হবে। মনে রাখতে হবে, যিনি সত্যিকার আলিম বা ওলীআল্লাহ হবেন তিনি কখনোই হারাম, শরীয়ত ও সুন্নতবিরোধী কোনো কাজ করতে পারেন না।
কাজেই যদি দেখা যায়, আলিম বা ওলীআল্লাহ পরিচয়ধারী কোনো ব্যক্তি বেগানা মহিলার সাথে দেখা করছে, ছবি তুলছে, পেপার পত্রিকায় উনার চবি আসছে, টিভিতে প্রোগ্রাম করছে, সমর্থন দিচ্ছে তাহলে বুঝতে হবে সে প্রকৃত আলিম বা ওলীআল্লাহ নয়। কাজেই ফাছিককে অনুসরণ করা জায়িয নেই।