সম্মানিত ছলাত বা নামায উনার গুরুত্ব


পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে- “হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আমর ইবনুল আছ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত রয়েছে যে, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি একদিন পবিত্র নামায উনার প্রসঙ্গ উল্লেখ করে ইরশাদ মুবারক করেন, যে ব্যক্তি পবিত্র নামায যথাযথভাবে আদায় করবে ক্বিয়ামতের দিন পবিত্র নামায তার জন্য নূর, দলীল ও নাযাতের কারণ হবে। সুবহানাল্লাহ! আর যে ব্যক্তি পবিত্র নামায আদায়ের ব্যাপারে যতœবান হবে না, তার জন্য পবিত্র নামায নূর, দলীল ও নাযাতের কারণ হবে না। বরং সে ব্যক্তি ক্বিয়ামতের দিন কারূন, ফিরআউন, হামান ও উবাই বিন খলফের (যারা ছিলো কাট্টা কাফির ও মুনাফিক্ব) সঙ্গী হবে। অর্থাৎ সে জাহান্নামী হবে।” নাউযুবিল্লাহ! (মুসনাদে আহমদ শরীফ, দারিমী শরীফ, বায়হাক্বী শরীফ, মিশকাত শরীফ)
উল্লেখ্য, হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনারা পবিত্র নামায না পড়াকে যতটা কুফরী মনে করতেন। এছাড়া অন্য কোনো আমল তরক করাকে ততটা কুফরী মনে করতেন না।
এ প্রসঙ্গে পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত আছে- “হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে শকীক রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বর্ণনা করেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তা’য়ালা আনহুম উনারা আমলসমূহের মধ্যে নামায ব্যতীত অন্য কোনো আমল ত্যাগ করাকে কুফরী বলে মনে করতেন না।” (তিরমিযী শরীফ, মিশকাত শরীফ- ৫৯ পৃষ্ঠা)

শেয়ার করুন
পূর্ববর্তী পোষ্ট
পরবর্তী পোষ্ট