পুরুষদের মাথার চুল রাখার সুন্নতি তরতিব


খলিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি উনার সম্মানিত কিতাব পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেন-
لقد كان لكم فى رسول الله اسوة حسنة

অর্থ: “অবশ্যই তোমাদের জন্য মহান আল্লাহ পাক উনার শ্রেষ্ঠতম রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মধ্যেই রয়েছে সর্বোত্তম আদর্শ মুবারক।” সুবহানাল্লাহ! (পবিত্র সূরা আহযাব শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ২১)

কাজেই সর্ব ক্ষেত্রে সর্ব অবস্থায় নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে অনুসরণ করা উম্মতের জন্য ফরয।
মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি স্বীয় চুল মুবারক সর্বদা নিম্নলিখিত তরীক্বা অনুযায়ী রাখতেন। (১) জুম্মা অর্থাৎ কানের লতি বরাবর। (২) লিম্মা অর্থাৎ কাঁধ ও কানের লতির মাঝামাঝি বরাবর (৩) ওফড়া অর্থাৎ কাঁধের কাছাকাছি পর্যন্ত। অর্থাৎ উক্ত তিন তরীক্বা অনুযায়ী চুল রাখা হচ্ছে খাছ সুন্নতের অন্তর্ভুক্ত। এছাড়াও নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি মাঝে মধ্যে আরো এক তরীক্বায় চুল মুবারক রেখেছেন, তা হচ্ছে- নিছফু উয্নাইহে অর্থাৎ কানের মাঝামাঝি করে।  

উল্লেখ্য যে, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি উপরে বর্ণিত তরীক্বা ব্যতীত অন্য কোনো তরীক্বায় চুল মুবারক রাখেননি। অর্থাৎ তিনি চুল ছোট করেও রাখেননি এবং চুল চেছে চাছা অবস্থায়ও থাকেননি। তবে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ৬ষ্ঠ হিজরী, ৭ম হিজরী, ৮ম হিজরী, তিনবার উমরার নিয়তে চুল মুবারক মু-ন করেছেন। আর ১০ম হিজরী সনে বিদায় হজ্জের সাথে উমরাহ করেছেন তখনো চুল মুবারক মু-ন করেছেন। সর্বমোট এ চারবারই তিনি চুল মুবারক মু-ন করেছেন। অর্থাৎ শুধুমাত্র হজ্জ ও উমরা করার সময় চুল মু-ন করা সুন্নত। অন্য সময় চুল মুণ্ডন করা সুন্নত নয়।

উন্নতমানের সুন্নতী সামগ্রী পাওয়া যাচ্ছে Sunnati স্টোরে।
অর্ডার করতে কল করুন,
☎️+8801782 255 244
ফেসবুকে পেজে অর্ডার করতে ইনবক্সে টেক্সট করুন।
অথবা
🌐ভিজিট করুন: https://sunnat.info

শেয়ার করুন
পূর্ববর্তী পোষ্ট
পরবর্তী পোষ্ট