নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
مَنْ رَأَى مِنْكُمْ مُنْكَرًا فَلْيُغَيِّرْهُ بِيَدِهِ فَإِنْ لَمْ يَسْتَطِعْ فَبِلِسَانِهِ فَإِنْ لَمْ يَسْتَطِعْ فَبِقَلْبِهِ وَذَلِكَ أَضْعَفُ الإِيمَانِ
অর্থ: “তোমরা অন্যায় কাজ হতে দেখলে হাত দ্বারা বাধা দাও। যদি তাতে সামর্থ্যবান না হও তাহলে যবান বা মুখ দ্বারা বাধা দাও। যদি তাতেও সামর্থ্যবান না হও তাহলে অন্তরে ঘৃণা করো (সেখান থেকে চলে যাও) আর ইহা দুর্বল ঈমানের পরিচায়ক।”
সম্মানিত মুসলমানগণকে প্রতিবাদ ও প্রতিরোধের তর্জ-তরীক্বা নিয়ম-কানুন শিক্ষা দেয়া হয়েছে। মুসলমান কখনো অন্যায় দেখতে পারে না। অন্যায় সহ্য করতে পারে না। উনারা অন্যায়ের প্রতিরোধে সকল ব্যবস্থা গ্রহন করবেন। অথচ আজ মুসলমানগণ প্রতিবাদ ও প্রতিরোধে ভাষা জ্ঞান হারিয়ে ফেলেছে। নাউযুবিল্লাহ! নীরবে অন্যায়, অত্যাচার সহ্য করে বোবা শয়তানের ভূমিকা পালন করছে। যার ফলে জুলুম, নির্যাতন, ষড়যন্ত্রের শিকার হচ্ছে।
এই জুলুম, নির্যতন, নিপিড়ণ ও ষড়যন্ত্র থেকে বাঁচার জন্য গইবী মদদ প্রয়োজন। মহান আল্লাহ পাক এবং উনার হাবীব নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের রহমত, দয়া, দান ইহসান প্রয়োজন। আর এখনই সেই রহমমত-বরকত, সাকীনা, দয়া, দান, ইহসান তথা গইবী মদদ পাওয়ার মোক্ষম সময়।
মু’মিন-মু’মিনাগণকে রহমত, বরকত, দয়া-দান ইহসানের জন্য খালিছভাবে প্রার্থনা করতে হবে। দোয়া করতে হবে দৃঢ়তার সাথে। আর পাশাপাশি কাফিরদের ধ্বংসের জন্য তাদেরকে বদদোয়া করতে হবে। এখন প্রত্যেক দোয়াই মহান আল্লাহ পাক তিনি কবুল করবেন।
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত রয়েছে- নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, মজলূম বা অত্যাচারিত ব্যক্তির দোয়া মহান আল্লাহ পাক তিনি বিফল করেন না। তিনি তার দোয়াকে সসম্মানে মেঘের উপর উঠিয়ে নেন। তার জন্য আসমানের সকল দরজা খুলে দেয়া হয়। আর মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “আমার ইজ্জত-সম্মানের কসম! আমি অবশ্যই অবশ্যই তোমাকে সাহায্য করবো। যদিও একটু বিলম্ব হয়। (তিরমিযী শরীফ)
আপনারা সবসময় কামিয়াব বা বিজয়ের জন্য দোয়া করুন। ই হু দী নাছারা মজু সী মুশ রি কদে র বিরুদ্ধে তাদের ধ্বংসের জন্য বদ দো *য়া করুন। যামানার মহান মুজাদ্দিদে আ’যম, যামানার ইমাম খলীফাতুল্লাহ, খলীফাতু রসূলিল্লাহ সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুল উমাম আলাইহিস সালাম উনার দোয়া-মুনাজাত মুবারকে শরীক থাকুন। জোরে জোরে আমীন, আমীন বলুন। মহান আল্লাহ পাক তিনি আপনাদেরকে বিজয়ী করবেন।