করোনা ভাইরাসকে মুসলিমদের জান মাল ও ঈমান নষ্ট করার একটি মোক্ষম হাতিয়ার হিসাবে ব্যবহার করছে বিধর্মীরা। মুসলিমদের উদাসীনতা ও অজ্ঞতার কারণে তারা তাদের ষড়যন্ত্রে যে পুরোপুরি সফল তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।
তাদের ষড়যন্ত্র সম্পর্কে একটি ওভারঅল আইডিয়া দেওয়ার চেষ্টা করছি :
১. কুফরী ছোঁয়াচে রোগে বিশ্বাস করাচ্ছে মুসলিমদের -
হাদীস শরীফ অনুযায়ী ছোঁয়াচে রোগ বলে কিছুই নেই। কিন্তু বিধর্মীরা তাদের ভুয়ো ছোঁয়াচে রোগের থিওরী বিশ্বাস করিয়ে কুফরী করাতে পেরেছে দুনিয়ার মুসলিমদের।
২. গরীব ও মধ্যবিত্তের স্বার্থ বিরোধী লকডাউন, কাল্পনিক ও ভুয়ো রেড-ইয়োলো-গ্রিন জোন -
তথাকথিত লকডাউন একটা ভাঁওতাবাজি ছাড়া যে কিছুই নয় সেটা বেশিরভাগ মানুষ এখন বুঝতে পেরেছে। লকডাউনের ফায়দা লুটছে কেবলমাত্র এক শ্রেণীর অসৎ ব্যবসায়ী ও নেতারা। কিন্তু এর ফলে কত মানুষ যে বেকার হয়ে গেল, তাদের ফ্যামিলি পথে বসে গেলো, কত মানুষ না খেয়ে মরলো, কত মানুষ যে বিনা চিকিৎসাতে মরলো - তার ক্ষতিপূরণ কে দেবে ?
এর ক্ষতিপূরণ কখনোই আর দেওয়া সম্ভব হবে না।
৩. সুন্নাতী মুসাফাহা ও মুয়ানাকা করতে চায় না মুসলিমরা -
বিধর্মীদের বিভ্রান্তিকর অপপ্রচারের ফলে মুসলিমরাও তথাকথিত ৩ ফুট বা ৬ ফুট দূরত্ব বজায় রাখার কাল্পনিক ও ভুয়ো থিওরীতে বিশ্বাস করছে। যার ফলে তারা সুন্নাতী মুসাফাহা ও মুয়ানাকা করার প্রতি অবজ্ঞা দেখাচ্ছে যা ক্ষেত্রবিশেষে কুফরী। বিধর্মীরা তাদের ধর্মীয় সমস্ত বিষয় আগের মতোই বজায় রেখেছে। তাদের পা ফাঁদে পা দিয়েছে কেবলমাত্র মুসলিমরা।
৪. নামাজে ৩ ফুট বা ৬ ফুট দূরত্বে দাড়ানো -
নামাজের কাতারে যে ফাঁক রাখা শরীয়তসম্মত নয় তা প্রত্যেক সচেতন মুসলিম মাত্রই জানেন। কিন্তু আমরা কি দেখতে পেলাম ? দেখলাম যে মুসলিমরা নামাজের কাতারে বিরাট বিরাট ফাঁক রেখে দাঁড়াচ্ছে।
মুসলিমদের ঈমান কোথায় গেলো ?
৫. মসজিদ ও ঈদগাহ বন্ধ করেছে মুসলিমরা -
গজবের সময় আরো বেশী বেশী মহান আল্লাহ পাকের স্মরণ করা উচিত ছিলো মুসলিমদের, বেশী বেশী মসজিদে সময় কাটানো উচিত ছিলো। কিন্তু বাস্তবে দেখা গেলো যে মুসলিমরা মসজিদই বন্ধ করে বসে আছে। এমনকি ঈদগাহ অবধি বন্ধ করে দিয়েছে।
এর ফল কি ভালো হবে ? কোন মুসলিম কি মসজিদ ও ঈদগাহ বন্ধ করে দিতে পারে ?
৬. টিভিতে খতম তারাবীহ পড়ানো যা শুনে ঘোড়াও হাসবে -
টিভিতে তারাবীহ খতম পড়ানো নামক একটা পাগলের প্রলাপ শোনা গেছে যা শুনে হয়ত জন্তুরাও হাসবে কিন্তু এই থিওরীও সমর্থন করতে দেখা গেছে প্রচুর মানুষকে যা দেখে নিজের চোখকেও বিশ্বাস করা মুশকিল।
৭. স্যানিটাইজার অর্থাৎ অ্যালকোহল দিয়ে হাত ধোয়া শিখিয়েছে মুসলিমদের -
মার্কেটে যেসমস্ত স্যানিটাইজার পাওয়া যায় তাতে আছে অ্যালকোহল, সেটি হাতে লাগালে ও জামা কাপড়ে লাগলে তা নাপাক হয়ে যাবে। মুসলিমরা কিভাবে তা ব্যবহার করতে পারে ?
৮. রোগীকে দেখার সুন্নত আদায়ে বাধা দিচ্ছে -
হাদীস শরীফে আছে যে রোগীকে দেখতে যাওয়া সুন্নাত, প্রত্যেক সচেতন মুসলিম মাত্রই জানেন। কিন্তু করোনা পরিস্থিতিতে দেখা গেলো কারো সামান্য জ্বর সর্দি কাশি হলে তাকে অস্পৃশ্য হিসাবে ট্রিট করছে মানুষ, একঘরে করে দিচ্ছে। নিজেদের মুসলিম দাবী করে এটা কিভাবে করতে পারে মানুষ?
৯. করোনাকে উপলক্ষ্য করে তৈরী করা হয়েছে অযথা আতঙ্ক -
আতঙ্ক একটি ব্যবসা যার দ্বারা লাভবান হয় বিশেষ বিশেষ ইন্ডাস্ট্রি। করোনাকে কেন্দ্র করে সৃষ্টি করা হয়েছে একটা অদ্ভুত আতঙ্ক, যার কোন ভিত্তি নেই। মানুষ একে অপরকে অচ্ছুৎ ভাবতে শুরু করেছে। বিষয়টি নিয়ে ফিকির করতে হবে মুসলিমদের।
১০. মাস্ক পরা স্বাস্থের জন্য ক্ষতিকর, কিন্তু তারপরও মাস্ক না পরলে জেল- জরিমানা আইন করা হয়েছে -
মাস্ক পরা নিয়ে নিউজে অনেক সংবাদ দেখেছি যে মানুষ শ্বাসকষ্ট সহ নানাবিধ সমস্যার সম্মুখীন হয়েছেন। এছাড়া WHO এর প্রেস রিলিজ ও অন্যান্য চিকিৎসকরা রায় দিয়েছেন যে যারা রোগে আক্রান্ত তারাই কেবলমাত্র মাস্ক পরবে, বাকিদের দরকার নেই। তা সত্বেও এমন আইন কিভাবে তৈরী করে ! ভয় ভেঙে আমাদের প্রতিবাদ করা উচিত ছিল না ?
১১. লকডাউনের কারণে অর্থনৈতিক ক্ষতি ও বেকারত্ব বৃদ্ধি হয়েছে -
লকডাউনের ফলে প্রচুর মানুষের চাকরী চলে গেছে, ব্যবসা নষ্ট হয়েছে। অনেক মানুষ অভুক্ত থাকছেন, ভিখারীদের ভিক্ষা দেওয়ার মতোও কেউ নেই এমন অবস্থা। এর জন্য পাবলিক নিজেরাই দায়ী। তারা যদি ছোঁয়াচে রোগের গল্প ও লকডাউনের ভুয়ো থিওরীতে বিশ্বাস না করতো তাহলে এটা হতো না।
১২. মানুষ স্বাভাবিক ভাবে মারা যাচ্ছে, কিন্তু প্রচার করা হচ্ছে করোনার নামে -
আগেই বলেছি যে আতঙ্ক একটি ব্যবসা এবং সেই আতঙ্ক ব্যবসায়ীরা আতঙ্ক জিইয়ে রেখে ব্যবসা করতে চায়। যার ফলে দেখা গেছে স্বাভাবিক মৃত্যু হলেও করোনাতে মরেছে বলে প্রচার করা হচ্ছে। গুজবপ্রিয় মানুষ সহজেই এইগুলি লুফে নেয়, তারাই ছড়িয়ে দেয় এই গুজব; চলতে থাকে আতঙ্ক ব্যবসা।
এছাড়া টাকার বিনিময়ে করোনা পজিটিভ - নেগেটিভ
ও হয়ে যাচ্ছে।
১৩. করোনা নিয়ে আতঙ্ক তৈরীর কারনে মানুষ চিকিৎসা পাচ্ছে না -
করোনার আতঙ্কে অনেক ডাক্তাররাই আন্ডারগ্রাউন্ড হয়ে গেছে, তাদের পাওয়া মুশকিল , তারা রোগী দেখে না। এছাড়া লক ডাউনের ফলে যানবাহনের অপ্রতুলতা তো আছেই।
কত মানুষের যে বিনা চিকিৎসায় মৃত্যু হয়েছে তার ইয়ত্তা নেই।
১৪. ছোঁয়াচে রোগে বিশ্বাসের কারণে মানুষের মনুষত্ব লোপ পেয়েছে -
করোনা পরিস্থিতিতে দেখা যায় মানুষ আরেকটা মানুষকে অচ্ছুৎ এর মতো ট্রিট করছে, বাড়িতে যেতে আসতে দিচ্ছে না, দেখা সাক্ষাৎ করছে না, কোন সহমর্মিতা নেই। মুসলিমদের তো এমন হওয়ার কথা ছিল না ! ভেবে দেখতে হবে মুসলিমদের অবশ্যই।
১৫. অর্থনৈতিক ক্ষতির কারণে মানুষ শহর ছেড়ে গ্রামে চলে যাচ্ছে।
লক ডাউনের ফলে অনেক মানুষের চাকরী চলে গেছে, ছোট ও মাঝারি ব্যবসায়ীদের ব্যবসা নষ্ট হয়ে গেছে। যার ফলে তাদের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত। শহর ছেড়ে তারা গ্রামে যেতে বাধ্য হচ্ছে রুজি রোজগারের কোন ব্যবস্থা না থাকায়।
এখনো কি ভেবে দেখার সময় আসে নি যে করোনা নয়, আতঙ্ক ব্যবসায়ীদের তৈরী আতঙ্ক দিয়ে মুসলিমদের জান মাল ও ঈমানের ক্ষতি হয়েছে ও হচ্ছে ?