#.মীলাদ শরীফ
পাক-পবিত্র স্থানে পবিত্র মীলাদ শরীফ মাহফিলের আয়োজন করতে হবে এবং সে জায়গাটি সুগন্ধি তথা আগর বাতি, আতর ও গোলাপের পানি দ্বারা খোশবুযুক্ত করে নিতে হবে। উপস্থিত শ্রোতাম-লী চুপ করে আলিম ছাহেব অর্থাৎ পবিত্র মীলাদ শরীফ পরিচালনাকারী যা পাঠ করবেন তা গভীর মনোযোগের সাথে শ্রবণ করতে থাকবেন। আর যেখানে সকলেই সম্মিলিতভাবে পাঠ করা প্রয়োজন সেখানে সম্মিলিতভাবে পাঠ করবেন। পবিত্র ক্বিয়াম শরীফ করার সময় আদবের সঙ্গে দাঁড়িয়ে পবিত্র ক্বিয়াম শরীফ করবেন।
اَعُوْذُ بِاللهِ مِنَ الشَّيْطَانِ الرَّجِيْمِ.
উচ্চারণঃ আউযু বিল্লাহিমিনাশ শায়তানির রযীম।
অর্থ : মহান আল্লাহ পাক উনার নিকট আমি আশ্রয় প্রার্থনা করছি বিতাড়িত শয়তান থেকে।
بِسْمِ اللهِ الرَّحْـمَنِ الرَّحِيْمِ.
উচ্চারণঃ বিসমিল্লাহির রাহমানির রহীম।
অর্থ : মহান আল্লাহ পাক উনার নাম মুবারক স্মরণ করে শুরু করছি যিনি পরম দয়ালু, করুণাময়।
يَا أَيُّهَا النَّاسُ قَدْ جَاءَتْكُم مَّوْعِظَةٌ مِّن رَّبِّكُمْ وَشِفَاءٌ لِّمَا فِي الصُّدُورِ وَهُدًى وَرَحْمَةٌ لِّلْمُؤْمِنِينَ قُلْ بِفَضْلِ اللَّهِ وَبِرَحْمَتِهِ فَبِذَٰلِكَ فَلْيَفْرَحُوا هُوَ خَيْرٌ مِّمَّا يَجْمَعُونَ
উচ্চারণঃ ইয়া আইয়্যুহান্না-ছুকাদ জা-আতকুম মাও’ইজাতুম মির রাব্বিকুম ওয়া শিফাউল লিমাফিস সুদূরি ওয়া হুদাওঁ ওয়া রাহমাতুল্লিল মু’মিনিন। কূল বি ফাদলিল্লা-হি ওয়া বি রাহমাতিহী ফাবিযা-লিকা ফালইয়াফরাহূ হুওয়া খাইরূম মিম্মা ইয়াজমা’ঊন।
অর্থ: “হে মানবজাতি! অবশ্যই মহান আল্লাহ তায়ালার পক্ষ থেকে তোমাদের নিকট এসেছেন নসিহতকারী, অন্তরের পরিশুদ্ধতাদানকারী, হিদায়েত দানকারী ও ঈমানদারদের জন্য রহমত দানকারী।
হে রাসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আপনি বলে দিন, তারা যে মহান আল্লাহ তায়ালার পক্ষ হতে ‘ফযল ও রহমত’ পেয়েছে সে জন্য তারা যেনো খুশি প্রকাশ করে। নিশ্চয় তাদের এ খুশি প্রকাশ করাটা তাদের সমস্ত সঞ্চয়ের থেকে উত্তম।
(সূরা ইউনুস শরীফ : ৫৭-৫৮)
لَقَدْ جَاءَكُمْ رَسُولٌ مِّنْ أَنفُسِكُمْ عَزِيزٌ عَلَيْهِ مَا عَنِتُّمْ حَرِيصٌ عَلَيْكُم بِالْمُؤْمِنِينَ رَءُوفٌ رَّحِيمٌ
فَإِن تَوَلَّوْا فَقُلْ حَسْبِيَ اللَّهُ لَا إِلَٰهَ إِلَّا هُوَ ۖ عَلَيْهِ تَوَكَّلْتُ ۖ وَهُوَ رَبُّ الْعَرْشِ الْعَظِيمِ
উচ্চারণঃ লাকাদ জা'আকুম রসূলুম মিন আনফুসিকুম আযীযুন আলাইহি মা আনিত্তুম হারীছুন আলাইকুম বিল মু'মিনিনা রউফুর রহীম। ফাইন তাওয়াল্লাও ফাক্বুল হাসবি আল্লাহু লা' ইলাহা ইল্লাহু। আলাইহি তাওয়াককালতু , ওহুয়া রব্বুল আরশীল আযীম।
অর্থ : “তোমাদের কাছে তোমাদের জন্য একজন রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি তাশরীফ মুবারক এনেছেন, তোমাদের দুঃখ-কষ্ট উনার কাছে বেদনাদায়ক, উনি তোমাদের ভালাই চান, মু’মিনদের প্রতি স্নেহশীল, দয়াময়। এরপরেও যদি তারা বিমুখ হয়ে থাকে, তবে বলে দিন, মহান আল্লাহ পাক তিনিই আমার জন্য যথেষ্ট, তিনি ছাড়া কোন ইলাহ (উপাস্য) নেই। আমি উনার উপরই ভরসা করি এবং উনিই সুমহান আরশে পাক উনার অধিপতি।” (পবিত্র সূরা তওবা শরীফ : পবিত্র আয়াত শরীফ ১২৮-১২৯)
مَّا كَانَ مُحَمَّدٌ أَبَا أَحَدٍ مِّن رِّجَالِكُمْ وَلَٰكِن رَّسُولَ اللَّهِ وَخَاتَمَ النَّبِيِّينَ ۗ وَكَانَ اللَّهُ بِكُلِّ شَيْءٍ عَلِيمًا
উচ্চারণঃ মা কানা মুহম্মাদুন আবা আহাদীম মির রীজালিকুম ওলাকির রসূল্লাল্লাহি ওয়া খতামান নাব্যিয়িন। ওয়া কা'নাল্লাহু বিকুল্লি শাইয়্যিন আলীমা।
অর্থ : “সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি তোমাদের কোন পুরুষের (প্রাপ্ত বয়স্ক ব্যক্তির) পিতা নন; বরং তিনি মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল এবং সর্বশেষ নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। মহান আল্লাহ পাক তিনি প্রত্যেক বিষয়েই জানেন।” (পবিত্র সূরা আহযাব শরীফ : পবিত্র আয়াত শরীফ ৪০)
إِنَّ اللَّهَ وَمَلَائِكَتَهُ يُصَلُّونَ عَلَى النَّبِيِّ ۚ يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا صَلُّوا عَلَيْهِ وَسَلِّمُوا تَسْلِيمًا
বাংলা উচ্চারণঃ ইন্নাল্লাহা ওয়া মালা'ইকাতাহু ইয়ুছল্লুনা আলান নাবিয়্যি। ইয়া' আইয়্যুহাল্লাযীনা আমানু ছল্লু আলাইহি ওয়া সাল্লীমু তাসলীমা।
অর্থ : “নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ পাক তিনি এবং উনার হযরত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনারা নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি পবিত্র ছলাত শরীফ তথা পবিত্র দুরূদ শরীফ পাঠ করেন। হে মু’মিনগণ! তোমরাও নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি পবিত্র ছলাত শরীফ তথা পবিত্র দুরূদ শরীফ পাঠ করো এবং পবিত্র সালাম শরীফ পেশ করো পেশ করার মত।” (পবিত্র সূরা আহযাব শরীফ : পবিত্র আয়াত শরীফ ৫৬)
অর্থ : “নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ পাক তিনি এবং উনার হযরত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনারা নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি পবিত্র ছলাত শরীফ তথা পবিত্র দুরূদ শরীফ পাঠ করেন। হে মু’মিনগণ! তোমরাও নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি পবিত্র ছলাত শরীফ তথা পবিত্র দুরূদ শরীফ পাঠ করো এবং পবিত্র সালাম শরীফ পেশ করো পেশ করার মত।” (পবিত্র সূরা আহযাব শরীফ : পবিত্র আয়াত শরীফ ৫৬)
তারপর সবাই মিলে অত্যন্ত মুহব্বতের সাথে নিম্নোক্ত পবিত্র ছলাত শরীফ বা পবিত্র দুরূদ শরীফ পাঠ করবেন। আর যিনি পবিত্র মীলাদ শরীফ পাঠ করবেন তিনি পবিত্র দুরূদ শরীফ উনার ফাঁকে ফাঁকে নিম্নোক্ত পবিত্র ক্বাছীদা শরীফসমূহ থেকে প্রয়োজন অনুপাতে ২, ৩, ৫ বা ৭টি অর্থাৎ বেজোড় সংখ্যক পবিত্র ক্বাছীদা শরীফ পাঠ করবেন-
اَللّٰهُمَّ صَلّ عَلٰى سَيِّدِنَا مَوْلٰناَ رَسُوْل ِاللهِ
وَعَلى اٰلِ سَيِّدِنَا مَوْلٰناَ حَبِيْبِ اللهِ.
وَعَلى اٰلِ سَيِّدِنَا مَوْلٰناَ حَبِيْبِ اللهِ.
উচ্চারণঃ
আল্লাহুম্মা ছল্লীআলা' সাইয়্যিদিনা মাওলানা রাসুলিল্লাহ।
ওয়া আ'লা আলি সাইয়্যিদিনা মাওলানা হাবিবিল্লাহ।
#পবিত্র ক্বাছীদা শরীফ (ছলাত)
শত কোটি ছলাত জানাই, যিনি হলেন সৃষ্টির মূল,
উনার শানে পড়েন দুরূদ, মহান আল্লাহ পাক তিনি ও উনার ফেরেশতা কুল।
এমন নবীজি উনার উম্মত মোরা, উনার যে নাই তুলনা!
উনার শানে পড়েন দুরূদ, স্বয়ং মহান আল্লাহ রব্বুনা।
নবীজি নবীজি বলে কত, উম্মত কেঁদে জারে জার,
দীদার চাহি ইয়া নবীজি, জানাই ক্বদমে এই আবদার।
আল্লাহ পাক আপনি দয়া করে, দেখান সোনার মদীনা,
নবীজি উনাকে না দেখিয়ে, কবরেতে নিয়েন না।
দয়ার সাগর আপনি নবীজি! দয়া করেন মোদেরে,
দয়া করে দিবেন দীদার, ঘোর অন্ধকার কবরে।
আপনি নবীজি রোজ হাশরে, যার উপর করবেন দয়া,
সেতো নাজাত পেয়ে যাবে, ছল্লু আ’লা রসূলিল্লাহ!
নবীজি উনার শানে দুরূদ, আদবে পড়ুন বসিয়া,
নবীজি উনার শানে সালাম আদবে, পড়ুন দাঁড়াইয়া।
উম্মু রসূলিনা আলাইহাস সালাম, উনার জিসিম মুবারক হতে,
কুদরতের-ই কামিল তারতীবে, নবীজি তাশরীফ নেন ভবেতে!
লক্ষ কোটি ছলাত জানাই, ইয়া নবীজি আপনায়
দয়া করে রোজ হাশরে, পার করবেন আপন করুনায়।
কুল কায়িনাত সবাই বলে, আজ আমাদের খুশির দিন!
ধরার বুকে তাশরীফ মুবারক নিলেন, রহমাতুল্লিল আলামীন।
জগত মাঝে নবীজি উনার, সুন্নত যারা মানে না,
রোজ হাশরে নবীজি উনার, সুপারিশ তারা পাবে না।
আসমানেতে ফেরেশতা উনারা, কাতারে কাতারে খাড়া,
পড়ছেন উনারা ছল্লু আলা, মারহাবা ইয়া হাবীবাল্লাহ!
যে দেখেছে দু’নয়নে, রূপটি আপনার এ ভূবনে,
সাফল্য উনার এ জীবনে- ছল্লু ‘আলা রসূলিল্লাহ!
অতঃপর যিনি পবিত্র মীলাদ শরীফ পাঠ করবেন তিনি নিম্নোক্ত ‘তাওয়াল্লুদ শরীফ’ পাঠ করবেন-
# পবিত্র তাওয়াল্লুদ শরীফ
نَـحْمَدُه وَ نُصَلّىْ وَنُسَلّمُ عَلـٰى رَسُوْلِهِ الْكَرِيْـمِ وَ اٰلِه وَ اَصْـحَابِه اَجْـمَعِيْنَ.
بِسْمِ اللهِ الرَّحْـمَنِ الرَّحِيْمِ.
وَلَـمَّا تَـمَّ مِنْ حَـمْلِه صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ سِتَّةُ اَشْهُرٍ عَلٰى مَشْهُوْرِ الْاَقْوَالِ الْـمَرْوِيَّةِ، تُوُفّـىَ بِالْـمَدِيْنَةِ الْـمُنَوَّرَةِ الشَّرِيْفَةِ حَضْرَتْ ذَبِيْحُ اللهِ الْمُكَرَّمُ اَبُوْهُ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَكَانَ قَدِ اجْتَازَ بِاَخْوَالِه بَنِىْ عَدِىّ مّنَ الطَّائِفَةِ النَّجَّارِيَّةِ، وَمَكَثَ فِيْهِمْ شَهْرًا سَقِيْمًا يُّعَانُوْنَ سُقْمَه وَشَكْوَاهُ، وَلَـمَّا تَـمَّ مِنْ حَـمْلِه صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلَى الرَّاجِحِ تِسْعَةُ اَشْهُرٍ قَمَرِيَّةٍ، وَاٰنَ لِلزَّمَانِ اَنْ يَّنْجَلِىَ عَنْهُ صَدَاهُ، حَضَرَتْ سَيّدَةَ نِسَاءِ الْعَالَمِيْنَ اُمَّه صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَيْلَةَ مَوْلِدِه حَضْرَتْ اُمُّ الْبَشَرِ عَلَيْهَا السَّلَامُ وَ حَضْرَتْ اُمُّ ذَبِيْحِ اللهِ الْاُوْلٰى وَ الثَّانِيَةُ عَلَيْـهِمَا السَّلَامُ وَ حَضْرَتْ رَبَّةُ كَلِيْـمِ اللهِ عَلَيْـهَا السَّلَامُ وَ حَضْرَتْ اُمُّ رُوْحِ اللهِ عَلَيْـهَا السَّلَامُ فِىْ نِسْوَةٍ مّنَ الْـحَظِيْرَةِ الْقُدْسِيَّةِ، وَاَخَذَهَا الْمَخَاضُ فَوَلَـدَتْهُ سَيّدَ الْمُرْسَلِيْنَ اِمَامَ الْمُرْسَلِيْنَ خَاتَـمَ النَّبِيّنَ وَالنُّوْرَ الْمُجَسَّمَ حَبِيْبَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نُوْرًا يَّـتَلَاْ لَاُسِنَاهُ.
بِسْمِ اللهِ الرَّحْـمَنِ الرَّحِيْمِ.
وَلَـمَّا تَـمَّ مِنْ حَـمْلِه صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ سِتَّةُ اَشْهُرٍ عَلٰى مَشْهُوْرِ الْاَقْوَالِ الْـمَرْوِيَّةِ، تُوُفّـىَ بِالْـمَدِيْنَةِ الْـمُنَوَّرَةِ الشَّرِيْفَةِ حَضْرَتْ ذَبِيْحُ اللهِ الْمُكَرَّمُ اَبُوْهُ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَكَانَ قَدِ اجْتَازَ بِاَخْوَالِه بَنِىْ عَدِىّ مّنَ الطَّائِفَةِ النَّجَّارِيَّةِ، وَمَكَثَ فِيْهِمْ شَهْرًا سَقِيْمًا يُّعَانُوْنَ سُقْمَه وَشَكْوَاهُ، وَلَـمَّا تَـمَّ مِنْ حَـمْلِه صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلَى الرَّاجِحِ تِسْعَةُ اَشْهُرٍ قَمَرِيَّةٍ، وَاٰنَ لِلزَّمَانِ اَنْ يَّنْجَلِىَ عَنْهُ صَدَاهُ، حَضَرَتْ سَيّدَةَ نِسَاءِ الْعَالَمِيْنَ اُمَّه صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَيْلَةَ مَوْلِدِه حَضْرَتْ اُمُّ الْبَشَرِ عَلَيْهَا السَّلَامُ وَ حَضْرَتْ اُمُّ ذَبِيْحِ اللهِ الْاُوْلٰى وَ الثَّانِيَةُ عَلَيْـهِمَا السَّلَامُ وَ حَضْرَتْ رَبَّةُ كَلِيْـمِ اللهِ عَلَيْـهَا السَّلَامُ وَ حَضْرَتْ اُمُّ رُوْحِ اللهِ عَلَيْـهَا السَّلَامُ فِىْ نِسْوَةٍ مّنَ الْـحَظِيْرَةِ الْقُدْسِيَّةِ، وَاَخَذَهَا الْمَخَاضُ فَوَلَـدَتْهُ سَيّدَ الْمُرْسَلِيْنَ اِمَامَ الْمُرْسَلِيْنَ خَاتَـمَ النَّبِيّنَ وَالنُّوْرَ الْمُجَسَّمَ حَبِيْبَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نُوْرًا يَّـتَلَاْ لَاُسِنَاهُ.
পবিত্র তাওয়াল্লুদ শরীফ উনার বাংলা উচ্চারণঃ
নাহ্মাদুহূ ওয়া নুছাল্লী ওয়া নুসাল্লিমু আলা রসূলিহিল কারীম ওয়া ‘আলা আলিহী ওয়া আছ্হাবিহী আজমা‘য়ীন
বিসমিল্লাহির রহমানির রহীম।ওয়া লাম্মা তাম্মা মিন হামলিহী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামা সিত্তাতু আশহূরিন আলা মাশহুরিল আক্বওয়ালিল মারবিয়্যাহ। তুউফফিয়া বিল মাদীনাতিল মুনাওওয়ারাতিশ শারীফাতি হাদ্বারাত যাবিহুল্লাহিল মুকাররম আবুহু ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। ওয়া কানা কাদিজতাযা বি আখওয়ালিহী বানী আদিয়্যিম মিনাত ত্বায়িফাতিন নাজ্জারিয়্যাহ। ওয়া মাকাছা ফীহিম শাহরাং সাক্বীমাইঁ ইউয়াানূনা সুক্বমাহূ ওয়া শাকওয়াহ।
ওয়া লাম্মা তাম্মা মিন হামলিহী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আলার রাজিহি তিসয়াতু আশহূরিং ক্বমারিয়্যাহ। ওয়া আনা লিয যামানি আইঁ ইয়াংজালিয়া আনহু ছদাহ। হাদ্বারাত সাইয়্যিদাতা নিসায়িল আলামীনা উম্মাহূ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামা লাইলাতা মাওলিদিহী হাদ্বরাত উম্মুল বাশারি আলাইহাস সালাম ওয়া হাদ্বরাত উম্মু যাবীহিল্লাহিল ঊলা ওয়াছ ছানিয়াতু আলাইহিমাস সালাম ওয়া হাদ্বরাত রব্বাতু কালীমিল্লাহি আলাইহাস সালাম ওয়া হাদ্বরাত উম্মু রূহিল্লাহি আলাইহাস সালাম ফী নিসওয়াতিম মিনাল হাযীরাতিল কুদসিয়্যাহ। ওয়া আখাযাহাল মাখাদ্ব ফাওয়ালাদাতহু সাইয়্যিদাল মুরসালীন ইমামাল মুরসালীন খাতামান নাবিয়্যীন ওয়ান নূরাল মুজাসসাম হাবীবাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নূরাইঁ ইয়াতালা’লা উসিনাহ।
পবিত্র তাওয়াল্লুদ শরীফ উনার শব্দগতভাবে অনুবাদঃ
و আর, এবং لـما যখন تـم পূর্ণ হলো من হতে, থেকে حمل বহন করা, রেহেম শরীফ-এ ধারণ করা ـه উনাকে, উনার, উনি, তিনি, صلى পবিত্র ছলাত শরীফ পড়েন, পবিত্র দুরূদ শরীফ পড়েন الله মহান আল্লাহ পাক তিনি على উপরে, প্রতি ـه উনার و এবং سلم পবিত্র সালাম শরীফ পাঠ করেন ستة ছয় اشهر মাস على উপরে, শর্তে, প্রতি مشهور সুপ্রসিদ্ধ, অধিক প্রসিদ্ধ, প্রসিদ্ধ الاقوال মতসমূহ, কথাসমূহ, বক্তব্যসমূহ, বাণীসমূহ الـمروية বর্ণিত, বর্ণনা, যা বর্ণনা করা হয়েছে توفى ওফাত হয়েছে, বিছাল হয়েছে, ب দিয়ে, দ্বারা, মধ্যে الـمدينة সম্মানিত মদীনা শরীফ, الـمنورة যা আলোকিত, নূরান্বিত, আলোকময় الشريفة যা সম্মানিত, যা পবিত্রতম, শরীফ حَضْرَتْ সম্মানিত, মহান, জনাব, মাননীয় ذَبِيْحُ কবুলকৃত কুরবানী, কুরবানীকৃত, যবীহকৃত, যবীহ, জবাইকৃত, উৎসর্গকৃত, নিবেদিত প্রাণ اللهِ মহান আল্লাহ পাক (মহান আল্লাহ পাক উনার) الْـمُكَرَّمُ মহাসম্মানিত, মহান ইয্যত প্রাপ্ত, اَبُوْ আব্বা, আব্বাজান, পিতা, পিতাজান, বাবা, বাবাজান, ە উনাকে, উনার, উনি, তিনি, صَلَّى পবিত্র ছলাত শরীফ পড়েন, পবিত্র দুরূদ শরীফ পড়েন اللهُ মহান আল্লাহ পাক عَلى উপরে, প্রতি ـه উনার و এবং سلم পবিত্র সালাম শরীফ পাঠ করে (নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত আব্বাজান হচ্ছেন হযরত আব্দুল্লাহ আলাইহিস সালাম) و এবং كان ছিলেন, হলেন قد অতি সত্বর, অতি শীঘ্রই اجتاز পারাপার হয়েছিলেন, গিয়েছিলেন, চলে যান ب সাথে, মাঝে, মধ্যে, দ্বারা, দিয়ে اخوال মামাগণ ە উনার بنى বংশধরগণ, সন্তানগণ, জাতি عدى আদি (বংশের নাম) من হতে, থেকে الطائفة গোত্র, দল, সম্প্রদায় النـجارية নাজ্জারীয় (গোত্রের নাম) و এবং, আর مكث অবস্থান করেন في মধ্যে, মাঝে هم উনাদের (মামাগণ উনাদের) شهرا একমাস سقيما অসুস্থ অবস্থায় يعانون উনারা খিদমত করেন এবং (চিকিৎসার জন্য) سقم অসুখ ە উনার (হযরত আব্দুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনার) و এবং, আর شكوا অসুস্থতার ە উনার। و অতঃপর, এবং, আর لـما যখন تـم পূর্ণ হলো من হতে, থেকে حـمل বহন করা, রেহেম শরীফ-এ ধারণ করা ـه উনাকে, উনার, উনি, তিনি, صلى পবিত্র ছলাত শরীফ পড়েন, পবিত্র দুরূদ শরীফ পড়েন الله মহান আল্লাহ পাক على উপরে, প্রতি ـه উনার و এবং, আর سلم সালাম পাঠ করেন على উপরে الراجح তারজীহ তথা প্রাধান্য (মতে) تسعة নয়, اشهر মাসসমূহ, قمرية চন্দ্র, চাঁদের و অতঃপর, এবং, আর ان নিকটবর্তী হলো, প্রকাশ পেল ل জন্য الزمان সময়, কাল ان যে, যা ينجلى আলোকউজ্জ্বল হওয়া, যা উজ্জ্বল করা, যা ঝলমল করা, উনার উজ্জ্বলতা عن থেকে, হতে ـه উনার صدا জিসিম, শরীর, অবয়ব, দেহ ه উনার حضرت উপস্থিত হলেন سيدة সাইয়্যিদাহ, সর্বশ্রেষ্ঠা نساء মহিলাগণ, নারীগণ العالـمين সমস্ত আলমের, সমস্ত সৃষ্টিকুলের, সমস্ত পৃথিবীর, সমস্ত কায়িনাতের, সমস্ত দুনিয়ার ام আম্মাজান, মা, মাতা ـه উনার صلى পবিত্র ছলাত শরীফ পড়েন, পবিত্র দুরূদ শরীফ পড়েন الله মহান আল্লাহ পাক على উপরে, প্রতি ـه উনার و এবং سلم পবিত্র সালাম শরীফ পাঠ করেন ليلة রাত্রি, রাত, রজনী مولد বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশের সময়, ه উনার حضرت সম্মানিত, সম্মানিতা, মহান, জনাব, মাননীয়, মাননীয়া, হযরত ام মা, মাতা, আম্মাজান, জননী, আদি, আছল, মূল, উৎস البشر মানুষ, মনুষ্য, মানবজাতি, ত্বক, চামড়া, ছাল, দেহের উপরিভাগ, সমগ্র মানবজাতি البشر ام বলতে এক কথায় সমস্ত মানবজাতীর যিনি আদি মাতা আলাইহাস সালাম উনাকে বুঝানো হয়েছে على উপরে, প্রতি ـها উনার السلام সালাম, শান্তি, রহমত وَ এবং, আর حضرة সম্মানিত, সম্মানিতা, মহান, জনাব, মাননীয়, মাননীয়া, হযরত ام মা, মাতা, আম্মাজন, জননী, আদি, আছল, মূল ذبيح যবেহকৃত, কুরবানীকৃত, কুরবানী, কবুলকৃত, যবীহ, উৎসর্গকৃত প্রাণ, যবাইকৃত اللهِ মহান আল্লাহ পাক (উনার জন্য)الاولـى সর্বপ্রথমা, সর্বপ্রধান, শুরু, আদি, মূল, মৌল, মৌলিক وَএবং, আর الثَّانِيَةُ দ্বিতীয়া, পুনরায়, দ্বিতীয়বার, আবার على উপরে, প্রতি ـهما উনাদের উভয়ের السلام সালাম, শান্তি, রহমত وَ এবং حضرت সম্মানিত, সম্মানিতা, মহান, জনাব, মাননীয়, মাননীয়া, হযরত ربة অভিভাবিকা, লালন-পালনকারিনী, প্রতিপালিকা, প্রতিপালনকারিনী كليم যিনি কথা বলেন, আর الله كليم এই যৌগিক শব্দ মুবারক খানা উনার অর্থ হচ্ছে- যিনি মহান আল্লাহ পাক উনার সাথে কথা বলেন, যা হযরত মূসা কালীমুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনার খাছ লক্বব মুবারক على উপরে, প্রতি ـها উনার السلام সালাম, শান্তি, রহমত و এবং, আর حضرت সম্মানিত, সম্মানিতা, মহান, জনাব, মাননীয়, মাননীয়া, হযরত ام মা, মাতা, আম্মাজান, জননী, আদি, আছল, মূল حضرت সম্মানিত, মহান, জনাব, মাননীয় رُوْحِ ওহী, প্রত্যাদেশ, দয়া, ইহসান, অনুকম্পা, অনুগ্রহ, পবিত্র, পবিত্র আত্মা, মহান আত্মা, নির্যাস, সারাংশ, অন্তর, পবিত্র প্রাণ, যান, জীবনী শক্তি আর اللهِ رُوْحِ এই যৌগিক শব্দ মুবারক খানা উনার অর্থ হচ্ছে মহান আল্লাহ পাক উনার পক্ষ থেকে প্রেরিত মহান অনুগ্রহ বা পবিত্র আত্মা, যা হযরত ঈসা রূহুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনার খাছ লক্বব মুবারক; على উপরে, প্রতি ـها উনার السلام সালাম, শান্তি, রহমত فى মধ্যে, ভিতরে, মাঝে, অভ্যন্তরে نسوة মহিলাগণ, নারীগণ من হতে, থেকে الـحظيرة জান্নাতের একটি বিশেষ স্থান, বিশেষ কামরা, বিশেষ কক্ষ, সংরক্ষিত স্থান, খাঁচা القدسية পুণ্যশিলতা, পবিত্রতা, পবিত্রতম, নিষ্কুলষিত و অতঃপর, এবং, আর اخذ পেয়ে বসল, ধারণ করল, প্রকাশ পেল, ها উনার, উনাকে, الـمخاض প্রসব, লক্ষণ, পরিশ্রম, মেহনত, শ্রম ف অতঃপর সুতরাং, অতএব ولدت প্রসব করলেন, বিলাদত ঘটালেন, ه উনার, উনাকে سيد সাইয়্যিদ, সর্ব প্রধান, প্রধান, সর্বশ্রেষ্ঠ, মালিক, মহান মর্যাদাবান الـمرسلين প্রেরিত রসূলগণ (আলাইহিমুস সালাম উনাদের) امام ইমাম, সর্বশ্রেষ্ঠ, প্রধান, সর্বপ্রধান الـمرسلين প্রেরিত রসূলগণ (আলাইহিমুস সালাম উনাদের) خاتـم সর্বশেষ, শেষ النبيين নবীগণ, গাইবের সংবাদ পরিবেশনকারীগণ, (হযরত নবীগণ আলাইহিমুস সালাম) وَ এবং, আর النور আলোময়, আলো الـمجسم জিসিম, শরীর, দেহ حبيب হাবীব, প্রিয়, বন্ধু الله মহান আল্লাহ পাক উনার صلى পবিত্র ছলাত শরীফ পড়েন, পবিত্র দুরূদ শরীফ পড়েন الله মহান আল্লাহ পাক তিনি على উপরে, প্রতি ـه উনার و এবং سلم পবিত্র সালাম শরীফ পাঠ করেন نورا নূর হিসেবে, আলো হিসেবে, আলো, আলোক উজ্জ্বল يتلا আলোক উজ্জ্বল হওয়া, ঝলমল করা ل অবশ্যই, অতিসত্বর اسنا আলোকিত হলেন, দীপ্তমান হলেন, আলোক উজ্জ্বল হলেন ه তিনি, উনি, উনার।
পবিত্র তাওয়াল্লুদ শরীফ উনার বাংলা অনুবাদঃ
“মশহুর তথা অধিক প্রসিদ্ধ বর্ণনা মতে, যখন সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিতা আম্মাজান আলাইহাস সালাম উনার পবিত্রতম খিদমত মুবারক শরীফ উনার মধ্যে অবস্থানকাল মুবারক ছয় মাস পূর্ণ হলো, তখন উনার সম্মানিত পিতা হযরত যবীহুল্লাহ আলাইহিস সালাম তিনি মদীনা মুনাওওয়ারা শরীফ উনার মধ্যে পবিত্র বিছাল শরীফ গ্রহণ করেন। যখন তিনি নাজ্জারিয়া গোত্রের বনী আদী বংশে উনার মামাগণ উনাদের বাড়িতে অবস্থান করছিলেন, তখন তিনি উনার মামাগণ উনাদের বাড়িতে রোগ নিরাময়ের জন্য একমাস থাকাবস্থায় সে রোগেই পবিত্র বিছাল শরীফ গ্রহণ করেন।
তারজিহ তথা প্রাধান্যপ্রাপ্ত মতে, যখন নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার অবস্থানকাল মুবারক উনার মুহতারামা আম্মাজান আলাইহাস সালাম উনার পবিত্রতম খিদমত মুবারক শরীফ উনার মধ্যে চন্দ্র মাস হিসেবে এবং প্রাধান্যপ্রাপ্ত বর্ণনা অনুযায়ী প্রায় নয় মাস পূর্ণ হলো, তখনই উনার আনন্দের ফোয়ারা নিয়ে দুনিয়াতে পবিত্র তাশরীফ নেয়ার সময় নিকটবর্তী হলো আর উনার তাশরীফ মুবারক উনার রাত্রী মুবারকে উনার মুহতারামা আম্মাজান আলাইহাস সালাম উনার নিকট পবিত্র জান্নাত হতে সমস্ত মানব জাতির সম্মানিতা আদিমাতাজান আলাইহাস সালাম এবং যিনি মহান আল্লাহ পাক উনার জন্য কুরবানী হয়েছেন হযরত যবীহুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনার আপন সম্মানিতা আম্মাজান আলাইহাস সালাম এবং উনার সম্মানিতা দ্বিতীয়া আম্মাজান তথা সৎ মা আলাইহিমাস সালাম এবং যিনি হযরত মূসা কালীমুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনার সম্মানিত অভিভাবিকা, লালন-পালনকারিনী আলাইহাস সালাম এবং যিনি মহান আল্লাহ পাক উনার পক্ষ থেকে মহান অনুগ্রহ ও মনোনীত হযরত রূহুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনার সম্মানিতা আম্মাজান আলাইহাস সালাম উনারাসহ জান্নাতী হুরগণ (মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্রতম খিদমতেও উনাকে ইস্তিকবাল জানাতে) আগমন করেন। সুবহানাল্লাহ!
যখন নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার আগমনের সময় হলো, তখন দেখা গেলো, মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উজ্জ্বল আলোকিত নূর হিসেবে যমীনে মুবারক তাশরীফ আনলেন।” সুবহানাল্লাহ!
তারজিহ তথা প্রাধান্যপ্রাপ্ত মতে, যখন নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার অবস্থানকাল মুবারক উনার মুহতারামা আম্মাজান আলাইহাস সালাম উনার পবিত্রতম খিদমত মুবারক শরীফ উনার মধ্যে চন্দ্র মাস হিসেবে এবং প্রাধান্যপ্রাপ্ত বর্ণনা অনুযায়ী প্রায় নয় মাস পূর্ণ হলো, তখনই উনার আনন্দের ফোয়ারা নিয়ে দুনিয়াতে পবিত্র তাশরীফ নেয়ার সময় নিকটবর্তী হলো আর উনার তাশরীফ মুবারক উনার রাত্রী মুবারকে উনার মুহতারামা আম্মাজান আলাইহাস সালাম উনার নিকট পবিত্র জান্নাত হতে সমস্ত মানব জাতির সম্মানিতা আদিমাতাজান আলাইহাস সালাম এবং যিনি মহান আল্লাহ পাক উনার জন্য কুরবানী হয়েছেন হযরত যবীহুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনার আপন সম্মানিতা আম্মাজান আলাইহাস সালাম এবং উনার সম্মানিতা দ্বিতীয়া আম্মাজান তথা সৎ মা আলাইহিমাস সালাম এবং যিনি হযরত মূসা কালীমুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনার সম্মানিত অভিভাবিকা, লালন-পালনকারিনী আলাইহাস সালাম এবং যিনি মহান আল্লাহ পাক উনার পক্ষ থেকে মহান অনুগ্রহ ও মনোনীত হযরত রূহুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনার সম্মানিতা আম্মাজান আলাইহাস সালাম উনারাসহ জান্নাতী হুরগণ (মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্রতম খিদমতেও উনাকে ইস্তিকবাল জানাতে) আগমন করেন। সুবহানাল্লাহ!
যখন নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার আগমনের সময় হলো, তখন দেখা গেলো, মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উজ্জ্বল আলোকিত নূর হিসেবে যমীনে মুবারক তাশরীফ আনলেন।” সুবহানাল্লাহ!
(এই পবিত্রতম তাওয়াল্লুদ শরীফ পাঠ শেষ করে) তারপর সকলেই পবিত্র ক্বিয়াম শরীফ করবেন বা দাঁড়িয়ে মুহব্বতের সাথে নিম্নোক্তভাবে সালাম পেশ করবেন।
صَلَّى اللهُ عَلٰى رَسُوْلِ اللهِ
صَلَّى اللهُ عَلٰى رَسُوْلِ اللهِ
+ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ
صَلَّى اللهُ عَلٰى حَبِيْبِ اللهِ
صَلَّى اللهُ عَلٰى حَبِيْبِ اللهِ
+ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلمَ
اَلسَّلَامُ عَلَيْكُمْ يَا رَسُوْلَ اللهِ+
اَلسَّلَامُ عَلَيْكُمْ يَا رَسُوْلَ اللهِ+
اَلسَّلَامُ عَلَيْكُمْ يَا نَبِىَّ اللهِ
اَلسَّلَامُ عَلَيْكُمْ يَا حَبِيْبَ اللهِ
اَلسَّلَامُ عَلَيْكُمْ يَا حَبِيْبَ اللهِ
+ صَلَوٰ تُ اللهِ عَلَيْكُمْ
ছল্লাল্লাহু আলা রসূলিল্লাহ+ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম
ছল্লাল্লাহু আলা হাবীবিল্লাহ+ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম
আসসালামু আলাইকুম ইয়া রসূলাল্লাহ+আসসালামু আলাইকুম ইয়া নাবিইয়্যাল্লাহ
আসসালামু আলাইকুম ইয়া হাবীবাল্লাহ+ছলাওয়াতুল্লাহি আলাইকুম
আর যিনি পবিত্র মীলাদ শরীফ পাঠ করবেন তিনি পবিত্র সালাম শরীফ পেশ করার ফাঁকে ফাঁকে নিম্নোক্ত পবিত্র ক্বাছীদা শরীফসমূহ থেকে প্রয়োজন অনুপাতে ২, ৩, ৫ বা ৭ খানি অর্থাৎ বেজোড় সংখ্যক পবিত্র ক্বাছীদা শরীফ পাঠ করবেন-
মদিনার সবুজ মিনারে ডেকে নিন আপনার কিনারে
চুমিবো মুবারক ক্বদম এই আশা গোলামের অন্তরে
দিদার হো রওজেকি তামান্না দিলমে হো ইয়েহি তারানা
হো ক্যায়সে মদিনা যানা ব্যকুল হ্যায় দিলে দিওয়ানা
আরশো কা ক্বাবা মদিনা, ফরশো কা ক্বাবা মদিনা
ক্বাবাতুল ক্বাবা মদিনা জান্নাত কা নকশা মদিনা
গিরনে ওয়া-লোকো সামালো মরণে ওয়ালোকো বাঁচালো
ক্বায়েদ ছে হামকো ছুড়ালো আপনি দামান মে ছুপালো
সাইয়্যদি ইয়া রাসুলাল্লাহ ইয়া হাবীবাল্লাহ,
আপনি তো শাহে মাদিনা গোলাম যে আপনার দিওয়ানা
দিদারে রওজা পাকে আপনার নিয়ে যান সোনার মদিনা
#পবিত্র ক্বিয়াম শরীফ করার পর সবাই বসে পাঠ করবেন
يَارَبّ صَلّ وَسَلّمْ دَائِمًا اَبَدًا اَبَدًا
عَلٰ حَبِيْبِكَ خَيْرِ خَلْقِ كُلّهِمِ
بھیج ائے رب میرے درود اور سلام
بر گزیدہ نبی پر آپنے مدام.
উচ্চারণ : ইয়া রব্বি ছল্লি ওয়া সাল্লিম দায়িমান আবাদান আবাদা
‘আলা হাবীবিকা খায়রি খালক্বি কুল্লিহিম ॥
ভেজ আয় রব মেরে দুরূদ আওর সালাম
বর গুযীদা নবী পর আপনি মুদাম ॥
অর্থ : “আয় রব্বুল আলামীন! আপনি আপনার হাবীব, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি অনন্তকালব্যাপী পবিত্র ছলাত শরীফ ও পবিত্র সালাম শরীফ বর্ষন করুন। যিনি সমস্ত সৃষ্টির শ্রেষ্ঠতম।”
“আয় আমাদের রব মহান আল্লাহ পাক! আমাদের সমস্ত পবিত্র দুরূদ শরীফ ও পবিত্র সালাম শরীফ আপনার মনোনীত নবী ও রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার উপর অনন্তকালের জন্য পৌঁছিয়ে দিন।”
بَلَغ َالْعُلٰى بِكَمَالِهٖ + كَشَفَ الدُّجٰى بِـجَمَالِهٖ.
حَسُنَتْ جَمِيْعُ خِصَالِهٖ + صَلُّوْا عَلَيْهِ وَاٰلِهٖ.
سَلّمُوْا يَا قَوْمُ بَلْ صَلُّوْا عَلٰى صَدْرِ الْاَمِيْنِ.
مُصْطَفٰى مَا جَاءَ اِلا رَحْـمَةً لّلْعٰلَمِيْنَ.
عَطّرِ اللّهُمَّ قَبْرَه ُالْكَرِيْـمَ
بِعَرْفِ شَذِىّ مّنْ صَلٰوةٍ
وَّتَسْلِيْمٍ
اَللّٰهُمَّ صَلِّ وَسَلِّمْ وَبَارِكْ عَلَيْهِ.
বালাগাল উলা বিকামালিহি + কাশাফাদদুজা বিজামালিহি। হাসুনাত জামিইউ খিছলীহি + ছল্লু আলাইহি ওয়া আলিহি।
সাল্লিমু ইয়া ক্বাওমুবাল ছল্লু আ'লা ছদরীল আমীন। মুছত্বফা মা জা'য়িল্লা রহমাতাল্লিল আ'লামীন।
আত্বিরিল্লাহুম্মা ক্বাবরাহুল কারীম + বিআরফী শাযয্যিয়্যাম ছলাতিউ ওয়া তাসলীম। আল্লাহুমা ছল্লি ওয়া সাল্লীম ওয়া বারিক আলাইহি।
অর্থ : “সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরুম মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মুবারক কামালত সুউচ্চ আসনে সমাসীন।”
“উনার মুবারক সৌন্দর্য উনার প্রভাবে সমস্ত অন্ধকার দূরীভূত হয়েছে।”
“উনারই পবিত্র খুছুছিয়ত মুবারক উনার দ্বারা সমস্ত কিছু সৌন্দর্যম-িত হয়েছে।”
“অতএব, তোমরা সকলেই উনার প্রতি এবং উনার সম্মানিত হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের প্রতি পবিত্র ছলাত শরীফ পাঠ করো।”
“হে মানুষ ও জিন জাতি! সকল কিছুর আশ্রয়স্থল নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি তোমরা পবিত্র সালাম শরীফ পাঠ করো এবং পবিত্র ছলাত শরীফ পাঠ করো।” “যিনি মহান আল্লাহ পাক উনার খুবই মনোনীত। আর তিনি তো সমস্ত কায়িনাতের জন্য রহমত স্বরূপ তাশরীফ মুবারক নিয়েছেন।”
“আয় আল্লাহ পাক! আপনি আপনার হাবীব, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র রওযা শরীফ উনাকে পবিত্র ছলাত শরীফ ও পবিত্র সালাম শরীফ উনাদের সুরভির মাধ্যমে সুগন্ধিময় করে দিন।”
#পবিত্র ছওয়াব রেসানী করার নিয়ম
(১) ইস্তিগফার শরীফ তিনবার : اَسْتَغْفِرُ اللهَ رَبّ مِنْ كُلّ ذَنْبٍ وَّاَتُوْبُ اِلَيْهِ. ( আসতাগফিরুল্লাহা রব্বি মিন কুল্লি জাম্বিউঁ ওয়াতুবু ইলাইহি ......)
(২) আঊযুবিল্লাহ শরীফ ও বিসমিল্লাহ শরীফসহ পবিত্র সূরা ফাতিহা শরীফ (আলহামদু শরীফ) একবার।
(৩) বিসমিল্লাহ শরীফসহ পবিত্র সূরা ইখলাছ শরীফ (কুল হুয়াল্লাহ শরীফ) তিনবার।
(৪) ছলাত শরীফ তথা পবিত্র দুরূদ শরীফ পাঁচ বার।
পবিত্র দুরূদ শরীফ
اَللّٰهُمَّ صَلّ عَلٰى سَيّدِنَا نَبِيّنَا حَبِيْبِنَا شَفِيْعِنَا مَوْلٰنَا وَسِيْلَتِىْ اِلَيْكَ وَاٰلِه وَسَلّمْ
আল্লাহুম্মা ছল্লি আলা সাইয়্যিদিনা নাবিয়্যিনা হাবীবিনা শাফিয়্যিনা মাওলানা ওয়াসিলাতি ইলাইকা ওয়া আলিহি ওয়া সাল্লিম।
. اَللّٰهُمَّ صَلّ عَلٰى سَيّدِنَا نَبِيّنَا حَبِيْبِنَا شَفِيْعِنَا مَوْلٰنَا مَعْدَنِ الْـجُوْدِ وَالْكَرَمِ وَاٰلِه وَسَلّمْ.
আল্লাহুম্মা ছল্লি আলা সাইয়্যিদিনা নাবিয়্যিনা হাবীবিনা শাফিয়্যিনা মাওলানা মা’দানিল জুদি ওয়াল কারমি ওয়া আলিহি ওয়া সাল্লিম।
اَللّٰهُمَّ صَلّ عَلٰى سَيّدِنَا نَبِيّنَا حَبِيْبِنَا شَفِيْعِنَا مَوْلٰنَا النَّبِىّ الْاُمّىّ وَاٰلِه وَسَلّمْ.
আল্লাহুম্মা ছল্লি আলা সাইয়্যিদিনা নাবিয়্যিনা হাবীবিনা শাফিয়্যিনা মাওলানা আন নাবিয়্যিল উম্মিয়ি ওয়া আলিহি ওয়া সাল্লিম।
পবিত্র ছওয়াব রেসানী করার পর যিনি পবিত্র মীলাদ শরীফ মাহফিল পরিচালনাকারী কিংবা যিনি প্রধান অতিথি তিনি উপস্থিত সকলকে নিয়ে খালিক মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার এবং উনার হাবীব নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের রেযামন্দি ও সন্তুষ্টি মুবারক লাভ করার জন্য সম্মিলিতভাবে দুয়া-মুনাজাত শরীফ পরিচালনা করবেন।