সুওয়াল-১২: নদী রক্ষার্থে মসজিদ ভাঙ্গা বা স্থানান্তর করা কতটুকু শরীয়ত সম্মত?


জাওয়াব: নদী রক্ষার্থে মসজিদ ভাঙ্গা বা স্থানান্তর করা জায়িয তো হবেই না বরং কাট্টা হারাম, নাজায়িয ও কুফরী হবে। কারণ মসজিদ ভাঙ্গার আগে আমাদেরকে জানতে হবে মসজিদ কিভাবে হলো এবং মসজিদের মালিক কে? উল্লেখ্য যে, কোন সম্পত্তি বা জায়গা মসজিদের জন্য ওয়াক্ফ করার পর মসজিদ কর্তৃপক্ষ সে জায়গাতে নামায আদায় করার জন্য মসজিদ নির্মাণ করে এবং আযান দিয়ে নামায আদায় করে ফেললেই উক্ত জায়গা হাক্বীক্বীভাবে ওয়াক্ফকৃত মসজিদ হিসেবে গণ্য হবে।
আর এই ওয়াক্ফকৃত মসজিদে আযান- ইক্বামত দিয়ে নামায আদায় করলেই মসজিদ হস্তান্তর সাব্যস্ত হয়ে যাবে।” অর্থাৎ খলিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ্্ পাক উনার মালিকানায় চলে যাবে অর্থাৎ উক্ত মসজিদের মালিক স্বয়ং মহান আল্লাহ্ পাক তিনি।
যেমন “ফতওয়ায়ে আলমগীরী” কিতাবের ১ম খ-ের ৩৫৪ পৃষ্ঠায় উল্লেখ আছে-
اَلتَّسْلِيْمُ فِـى الْـمَـسْجِدِ اَنْ تُصَلِّىْ فِيْهِ الْـجَمَاعَةِ بِاِذْنِهٖ
অর্থ: “দাতার অনুমতিক্রমে জামায়াতের সাথে নামায আদায় করার দ্বারা মসজিদ হস্তান্তর সাব্যস্ত হয়ে যাবে।”
অর্থাৎ মসজিদ খলিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ্্ পাক উনার মালিকানায় চলে যাবে অর্থাৎ উক্ত মসজিদের মালিক স্বয়ং মহান আল্লাহ্ পাক তিনি হয়ে যান।
শুধু তাই নয় যদি একজন ব্যক্তিকে ইমাম ও মুয়াজ্জিন নিযুক্ত করা হয় এবং তিনি যদি আযান- ইক্বামত দিয়ে একাকী নামায আদায় করেন, তাহলেও সকল ইমাম মুজতাহিদ ও উলামায়ে কিরাম রহমাতুল্লাহি আলাইহিম উনাদের ঐক্যমতে মসজিদ হয়ে যাবে। অর্থাৎ মসজিদের মালিকানা খলিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ্্ পাক উনার মালিকানায় চলে যাবে তথা উক্ত মসজিদের মালিক স্বয়ং মহান আল্লাহ্ পাক তিনি হয়ে যান।
যেমন, বিশ্বখ্যাত ফতওয়ার কিতাব “ফতওয়ায়ে আলমগীরী” কিতাবের ১ম খ-ের ৪৫৫ পৃষ্ঠায় উল্লেখ আছে-
لَوْ جُعِلَ رَجُلًا وَاحِدًا مُؤَذِّنًا وَاِمَامًا فَاَذَّنَ وَأَقَامَ وَصَلَّى وَحْدَه صَارَ مَسْجِدًا بِالْاِتِّفَاقِ كَذَا فِـى الْكِفَايَةِ وَفَتْحِ الْقَدِيْرِ.
অর্থ: “যদি একজন ব্যক্তিকে ইমাম ও মুয়াজ্জিন হিসাবে নিযুক্ত করা হয় এবং তিনি যদি আযান-ইক্বামত দিয়ে একাকী নামায আদায় করেন, তাহলেও সকল ইমাম মুজতাহিদ ও উলামায়ে কিরাম রহমাতুল্লাহি আলাইহিম উনাদের ঐক্যমতে ওয়াক্ফকৃত মসজিদ হয়ে যাবে।”
অর্থাৎ মসজিদের মালিকানা খলিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ্্ পাক উনার মালিকানায় চলে যাবে তথা উক্ত মসজিদের মালিক স্বয়ং মহান আল্লাহ্ পাক তিনি হয়ে যান। অনুরূপভাবে কিফায়া ও ফতহুল ক্বাদীর কিতাবেও উল্লেখ আছে।
“মুখতাছারুল কুদূরী” কিতাবের ১৪০ পৃষ্ঠায় উল্লেখ আছে-
وَاِذَا بُنِـىَ مَسْجِدًا ...بِطَرِيْقِهٖ وَيُاَذِّنُ لِلنَّاسِ بِالصَّلٰوةِ فِيْهِ فَاِذَا صَلَّى فِيْهِ وَاحِدًا زَالَ مِلْكُه عِنْدَ اَبِـىْ حَنِيْفَةَ رَحِمَهُ اللهُ تَعَالٰى .
অর্থ: “যখন যাতায়াতের রাস্তাসহ মসজিদ নির্মাণ করা হবে...এবং মানুষদেরকে সেই মসজিদে নামায পড়ার অনুমতি দেয়া হবে। তখন একজন ব্যক্তিও যদি উক্ত মসজিদে নামায আদায় করেন, তাহলে ইমামে আ’যম আবূ হানীফা রহমাতুল্লাহি আলাইহি উনার মতেও ওয়াক্ফকারীর মালিকানা দূরীভূত হবে। অর্থাৎ মসজিদ খলিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ্্ পাক উনার মালিকানায় চলে যাবে তথা উক্ত মসজিদের মালিক স্বয়ং মহান আল্লাহ্ পাক তিনি হয়ে যান।”
“ঈনায়া” কিতাবে উল্লেখ আছে-
فَاِنْ أَذَّنَ رَجُلٌ وَاحِدٌ وأَقَامَ وَصَلَّى وَحْدَه صَارَ مَسْجِدًا بِالْاِتِّفَاقِ لِاَنَّ صَلَاتَه عَلٰى هٰذَا الْوَصْفِ كَالْـجَمَاعَةِ
অর্থ: “যদি একই ব্যক্তি আযান ও ইক্বামত দিয়ে একাকী নামায আদায় করেন, তাহলে সকল ইমাম-মুজতাহিদ ও উলামায়ে কিরাম রহমাতুল্লাহি আলাইহিম উনাদের ঐক্যমতে তা ওয়াক্্ফকৃত মসজিদ হয়ে যাবে। কেননা এভাবে আযান-ইক্বামত দিয়ে নামায আদায় করলে তা জামায়াতের সাথে নামায আদায়েরই অনুরূপ।”
“হেদায়া মা’য়াদ দেরায়া” কিতাবের ২য় খ-ের ৬৪৪ পৃষ্ঠার ৩নং হাশিয়ায় উল্লেখ আছে-
عِنْدَهُمَا وَلَوْ جُعِلَ لَه مُوَذِّنًا وَاِمَامًا فَاَذَّنَ وَاَقَامَ وَصَلَّى وَحْدَه صَارَ مَسْجِدًا بِالْاِتِّفَاقِ لِاَنَّ اَدَاءَ الصَّلٰوةِ عَلٰى هٰذَا الْوَجْهِ كَالْـجَمَاعَةِ .
অর্থ: “হযরত ছাহেবাইন রহমতুল্লাহি আলাইহিমা উনাদের মতে যদি মসজিদের জন্য একজন ব্যক্তিকে ইমাম ও মুয়াজ্জিন হিসাবে নিযুক্ত করা হয় এবং তিনি যদি আযান-ইক্বামত দিয়ে একাকী নামায আদায় করেন, তাহলেও সকল ইমাম মুজতাহিদ ও উলামায়ে কিরাম রহমাতুল্লাহি আলাইহিম উনাদের ঐক্যমতে তা ওয়াক্্ফকৃত মসজিদ হয়ে যাবে। কেননা এভাবে আযান ইক্বামত দিয়ে নামায আদায় করলে তা জামায়াতের সাথে নামায আদায়েরই অনুরূপ।”
“ফতহুল ক্বাদীর” কিতাবের ৫ম খ-ের ৪৪৩ পৃষ্ঠার হাশিয়ায় উল্লেখ আছে-
فَاِنْ أَذَّنَ رَجُلٌ وَاحِدٌ وأَقَامَ وَصَلَّى وَحْدَه صَارَ مَسْجِدًا بِالْاِتِّفَاقِ لِاَنَّ صَلَاتَه عَلٰى هٰذَا الْوَصْفِ كَالْـجَمَاعَةِ
অর্থ: “যদি একই ব্যক্তি আযান ও ইক্বামত দিয়ে একাকী নামায আদায় করেন, তাহলে সকল ইমাম-মুজতাহিদ ও উলামায়ে কিরাম রহমাতুল্লাহি আলাইহিম উনাদের ঐক্যমতে তা ওয়াক্্ফকৃত মসজিদ হয়ে যাবে। কেননা এভাবে আযান-ইক্বামত দিয়ে নামায আদায় করলে তা জামায়াতের সাথে নামায আদায়েরই অনুরূপ।”
আরো উল্লেখ্য যে, শুধুমাত্র মৌখিকভাবে ওয়াক্ফকৃত মসজিদেরও মালিকানা ওয়াক্ফকারীর মালিকানা থেকে হস্তান্তর হয়ে মহান খলিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ্্ পাক উনার মালিকানায় চলে যাবে অর্থাৎ মহান আল্লাহ্ পাক তিনি মালিক হয়ে যান।”
যেমন, “মুখতাছারুল কুদূরী” কিতাবের ১৩৮ পৃষ্ঠায় উল্লেখ আছে-
وَقَالَ اَبُوْ يُوْسُفَ رَحِمَهُ اللهُ تَعَالٰى يَزُوْلُ الْـمِلْكُ بِمُجَرَّدِ الْقَوْلِ وَ عَلَيْهِ الْفَتْوٰى.
অর্থ: “হযরত ইমাম আবূ ইউসুফ রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, “ওয়াক্ফ-এর কথা মৌখিকভাবে বললেই ওয়াক্্ফকৃত বস্তু ওয়াক্ফকারীর মালিকানা থেকে দূরীভুত হয়ে যাবে। আর এটার উপরেই ফতওয়া দেয়া হয়েছে।”
“আল জাওহারাতুন নাইয়্যারাহ” কিতাবের ১ম খ-ের ৪৩০ পৃষ্ঠার হাশিয়ায় উল্লেখ আছে-
وَقَالَ اَبُوْ يُوْسُفَ رَحِمَهُ اللهُ تَعَالٰى يَزُوْلُ الْـمِلْكُ بِمُجَرَّدِ الْقَوْلِ
অর্থ: “হযরত ইমামআবূ ইউসুফ রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, “ওয়াক্ফ-এর কথা মৌখিকভাবে বললেই ওয়াক্্ফকৃত বস্তু ওয়াক্ফকারীর মালিকানা থেকে দূরীভূত হয়ে যাবে।”
“আল লুবাব লিল মায়দানী” কিতাবে উল্লেখ আছে-
وَقَالَ اَبُوْ يُوْسُفَ رَحِمَهُ اللهُ تَعَالٰى يَزُوْلُ الْـمِلْكُ بِمُجَرَّدِ الْقَوْلِ
অর্থ: “হযরত ইমাম আবূ ইউসুফ রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, “ওয়াক্ফ-এর কথা মৌখিকভাবে বললেই ওয়াক্্ফকৃত বস্তু ওয়াক্ফকারীর মালিকানা থেকে দূরীভূত হয়ে যাবে।”
“আল জাওহারাতুন নাইয়্যারাহ” কিতাবের ১ম খ-ের ৪৩০ পৃষ্ঠায় উল্লেখ আছে-
وَقَالَ اَبُوْ يُوْسُفَ رَحِمَهُ اللهُ تَعَالٰى يَزُوْلُ الْـمِلْكُ بِمُجَرَّدِ الْقَوْلِ ৃ وَ عَلَيْهِ الْفَتْوٰى.
অর্থ: “হযরত ইমামআবূ ইউসুফ রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, “ওয়াক্ফ-এর কথা মৌখিকভাবে বললেই ওয়াক্্ফকৃত বস্তু ওয়াক্ফকারীর মালিকানা থেকে দূরীভূত হয়ে যাবে। .... আর এটার উপরেই ফতওয়া দেয়া হয়েছে।”
“আল জাওহারাতুন নাইয়্যারাহ” কিতাবের ১ম খ-ের ৪৩৫ পৃষ্ঠায় উল্লেখ আছে-
وَقَالَ اَبُوْ يُوْسُفَ رَحِمَهُ اللهُ تَعَالٰى يَزُوْلُ مِلْكُه بِقَوْلِهٖ جَعَلْتُهَ مَسْجِدًا.
অর্থ: “হযরত ইমামআবূ ইউসুফ রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, “আমি জায়গাটিকে মসজিদ বানালাম” ওয়াক্ফকারীর এমন কথার দ্বারাই মসজিদ থেকে তার মালিকানা দূরীভূত হয়ে যাবে। ”
“আল জাওহারাতুন নাইয়্যারাহ” কিতাবের ১ম খ-ের ৪৩৫ পৃষ্ঠার হাশিয়ায় উল্লেখ আছে-
( وَقَالَ اَبُوْ يُوْسُفَ رَحِمَهُ اللهُ تَعَالٰى يَزُوْلُ مِلْكُه عَنْهُ) اَىِ الْـمَسْجِدِ (بِقَوْلِهٖ جَعَلْتُهَ مَسْجِدًا) لِاَنَّ التَّسْلِيْمَ عَنْدَه لَيْسَ بَشَرْطٍ لِاَنَّه اِسْقَاطُ لْـمِلْكِهٖ فَيَصِيْرُ خَالِصًا لِلّٰهِ تَعَالٰى بِسُقَوْطِ حَقِّهٖ.
অর্থ: “ইমাম আবূ ইউসুফ রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, “আমি জায়গাটিকে মসজিদ বানালাম” ওয়াক্ফকারীর এমন কথার দ্বারাই মসজিদ থেকে তার মালিকানা দূরীভূত হয়ে যাবে। কেননা ইমাম আবূ ইউসুফ রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার নিকট ওয়াক্্ফকারীর মালিকানা দূরীভূত হওয়ার জন্য সোপর্দ করা শর্ত নয়, মালিকানা সাকেত হওয়াই যথেষ্ট। অত:পর ওয়াক্্ফকারীর হক্ব সাকেত হওয়ার দ্বারাই উক্ত মসজিদ মহান আল্লাহ পাক উনার জন্য খালেছভাবে হয়ে যাবে।” অর্থাৎ মহান আল্লাহ্ পাক তিনি মালিক হয়ে যান।

“আল লুবাব লিল মায়দানী” কিতাবে উল্লেখ আছে-
( وَقَالَ اَبُوْ يُوْسُفَ رَحِمَهُ اللهُ تَعَالٰى يَزُوْلُ مِلْكُه عَنْهُ) اَىِ الْـمَسْجِدِ (بِقَوْلِهٖ جَعَلْتُهَ مَسْجِدًا) لِاَنَّ التَّسْلِيْمَ عَنْدَه لَيْسَ بَشَرْطٍ لِاَنَّه اِسْقَاطُ الْـمِلْكِهٖ فَيَصِيْرُ خَالِصًا لِلّٰهِ تَعَالٰى بِسُقَوْطِ حَقِّهٖ.
অর্থ: “ইমাম আবূ ইউসুফ রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, “আমি জায়গাটিকে মসজিদ বানালাম” ওয়াক্ফকারীর এমন কথার দ্বারাই মসজিদ থেকে তার মালিকানা দূরীভূত হয়ে যাবে। কেননা ইমাম আবূ ইউসুফ রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার নিকট ওয়াক্্ফকারীর মালিকানা দূরীভূত হওয়ার জন্য সোপর্দ করা শর্ত নয়, মালিকানা সাকেত হওয়াই যথেষ্ট। অত:পর ওয়াক্্ফকারীর হক্ব সাকেত হওয়ার দ্বারাই উক্ত মসজিদ মহান আল্লাহ পাক উনার জন্য খালেছভাবে হয়ে যাবে। অর্থাৎ মহান আল্লাহ্ পাক তিনি পরিপূর্ণ মালিক হয়ে যান।”
“হেদায়া মা’য়াদ দেরায়া” কিতাবের ২য় খ-ের ৬৩৭ পৃষ্ঠায় উল্লেখ আছে-
وَقَالَ اَبُوْ يُوْسُفَ رَحْمَةُ اللهُ تَعَالٰى يَزُوْلُ مِلْكُه بِمُجَرَّدِ الْقَوْلِ وَبِهٖ اَخَذَ مَشَايِخُ بـُخَارَا.
অর্থ: “হযরত ইমামআবূ ইউসুফ রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, “ওয়াক্ফ-এর কথা মৌখিকভাবে বললেই ওয়াক্্ফকৃত বস্তুর মালিকানা ওয়াক্ফকারীর নিকট থেকে দূরীভুত হয়ে যাবে।” আর এই মতটিকেই বুখারার মাশায়িখে কিরাম রহমাতুল্লাহি আলাইহিম উনারা গ্রহণ করেছেন।”
“ফতহুল ক্বাদীর” কিতাবের ৫ম খ-ের ৪১৮ পৃষ্ঠায় উল্লেখ আছে-
وَقَالَ اَبُوْ يُوْسُفَ رَحْمَةُ اللهُ تَعَالٰى يَزُوْلُ مِلْكُه بِمُجَرَّدِ الْقَوْلِ.
অর্থ: “হযরত ইমামআবূ ইউসুফ রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, “ওয়াক্ফ-এর কথা মৌখিকভাবে বললেই ওয়াক্্ফকৃত বস্তুর মালিকানা ওয়াক্ফকারীর নিকট থেকে দূরীভুত হয়ে যাবে।”
“ফতওয়ায়ে আলমগীরী” কিতাবের ২য় খ-ের ৩৫১ পৃষ্ঠায় উল্লেখ আছে-
وَاِذَا كَانَ الْـمِلْكُ يَزُوْلَ عِنْدَهُمَا يَزُوْلُ بِالْقَوْلِ عِنْدَ اَبِـىْ يُوْسُفَ رَحِمَهُ اللهُ تَعَالٰى وَهُوَ قَوْلِ الْاَئِمَّةِ الثَّلَاثَةِ وَهُوَ قَوْلُ أَكْثَرَ أَهْلِ الْعِلْمِ وَعَلٰى هٰذَا مَشَائِخُ بَلَخ وَفِـىْ الْـمُنِيَةِ وَعَلَيْهِ الْفَتْوٰى كَذَا فِـى فَتْحِ الْقَدِيْرِ وَعَلَيْهِ الْفَتْوٰى كَذَا فِـى السِّرَاجِ الْوَهَّاجِ.

অর্থ : “হযরত তরফাইন রহমতুল্লাহি আলাইহিমা উনাদের মতে ওয়াক্ফকৃত মালের মালিকানা ওয়াক্ফকারীর নিকট থেকে দূর হয়ে যাবে। আর ইমাম আবূ ইউসুফ রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, “ওয়াক্ফ-এর কথা মৌখিকভাবে বললেই ওয়াক্্ফকৃত বস্তুর মালিকানা ওয়াক্ফকারীর নিকট থেকে দূরীভুত হয়ে যাবে।” আর এটাই তিনজন ইমাম অর্থাৎ হযরত ইমাম শাফিয়ী রহমতুল্লাহি আলাইহি, হযরত ইমাম মালিক রহমতুল্লাহি আলাইহি এবং হযরত ইমাম আহমদ বিন হাম্বল রহমতুল্লাহি আলাইহি উনাদের মত। আর এটাই অধিকাংশ উলামায়ে কিরাম রহমাতুল্লাহি আলাইহিম উনাদেরও অভিমত। আর এই মতের উপরেই বলখের মাশায়িখে কিরাম রহমাতুল্লাহি আলাইহিম উনারাও একমত পোষণ করেছেন। “মুনিয়া” কিতাবেও অনুরূপ বর্ণনা রয়েছে। আর এই মতের উপরেই ফতওয়া দেয়া হয়েছে। যেমন, “সিরাজুল ওয়াহ্হাজ” কিতাবেও উল্লেখ আছে।”
“কিফায়া” কিতাবে উল্লেখ আছে-
وَعِنْدَهُمَا زَوَالُ الْعَيْنِ اِلَى اللهِ تَعَالٰى فَيَصِيْرُ مَـحْبُوْسًا فِـىْ مِلْكِ اللهِ تَعَالٰى.
অর্থ: “হযরত ছাহেবাইন রহমতুল্লাহি আলাইহিমা উনাদের মতে ওয়াক্ফকৃত মাল মহান আল্লাহ্ পাক উনার মালিকানায় চলে যাবে। অত:পর উক্ত ওয়াক্ফকৃত মাল মহান আল্লাহ্ পাক উনার মালিকানায় আবদ্ধ থাকবে। অর্থাৎ এই মালিকানা আর হস্তান্তরের কোন সুযোগ নেই।”
“ফতহুল ক্বাদীর” কিতাবের ৫ম খ-ের ৪২৪ পৃষ্ঠায় উল্লেখ আছে-
وَاِذَا كَانَ الْـمِلْكُ يَزُوْلَ عِنْدَهُمَا يَزُوْلُ بِالْقَوْلِ عِنْدَ اَبِـىْ يُوْسُفَ رَحِمَهُ اللهُ تَعَالٰى وَهُوَ قَوْلِ الْاَئِمَّةِ الثَّلَاثَةِ وَقَوْلُ أَكْثَرَ أَهْلِ الْعِلْمِ لِاَنَّه اِسْقَاطُ الْـمِلْكِهٖ... وَفِـىْ الْـمُنِيَةِ الْفَتْوٰى عَلٰى قَوْلِ أَبِـىْ يُوْسُفَ وَهٰذَا قَوْلُ مَشَايِخِ بَلَخ.
অর্থ: “হযরত তরফাইন রহমতুল্লাহি আলাইহিমা উনাদের মতে ওয়াক্ফকৃত মালের মালিকানা ওয়াক্ফকারীর নিকট থেকে দূর হয়ে যাবে। আর ইমাম আবূ ইউসুফ রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, “ওয়াক্ফ-এর কথা মৌখিকভাবে বললেই ওয়াক্্ফকৃত বস্তুর মালিকানা ওয়াক্ফকারীর নিকট থেকে দূরীভুত হয়ে যাবে। আর এটাই তিনজন ইমাম অর্থাৎ হযরত ইমাম শাফিয়ী রহমতুল্লাহি আলাইহি, হযরত ইমাম মালিক রহমতুল্লাহি আলাইহি এবং হযরত ইমাম আহমদ বিন হাম্বল রহমতুল্লাহি আলাইহি উনাদের মত। আর এটাই অধিকাংশ উলামায়ে কিরাম রহমাতুল্লাহি আলাইহিম উনাদেরও অভিমত। কেননা ওয়াক্্ফ করলে মালিকানা ছাকেত হয়ে যায়। ... আর “মুনিয়া” কিতাবে ইমাম আবূ ইউসুফ রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার মতের উপরেই ফতওয়া দেয়া হয়েছে। আর এই মতের উপরেই বলখের মাশায়িখে কিরাম রহমাতুল্লাহি আলাইহিম উনারাও একমত পোষণ করেছেন।
এখন প্রশ্ন হচ্ছে, ওয়াক্ফ কাকে বলে? এর জবাবে বলতে হয় যে, সম্মানিত হানাফী মাযহাব উনার ইমাম, হযরত আবূ ইউসুফ রহমাতুল্লাহি আলাইহি এবং ইমাম মুহম্মদ রহমাতুল্লাহি আলাইহি উনাদের মতে কোন মাল-সম্পদ বা জায়গাকে খলিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ্্ পাক উনার মালিকানায় দিয়ে দেয়ার নামই ওয়াক্ফ।”
যেমন এ প্রসঙ্গে “হেদায়া মা’য়াদ দেরায়া” কিতাবের ২য় খ-ের ৬৩৮ পৃষ্ঠার ৭নং হাশিয়ায় উল্লেখ আছে-
اَلْوَقْفُ تَـمْلِيْكٌ لِلّٰهِ تَعَالٰى وَهُوَ مَالِكَ الْاَشْيَاءِ
অর্থঃ “ওয়াক্ফ হচ্ছে খলিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ্্ পাক উনার জন্য মালিকানা নির্দিষ্ট করে দেয়া। যদিও তিনি সমস্ত কিছুর মালিক। অর্থাৎ উক্ত ওয়াক্ফকৃত সম্পদের মালিক স্বয়ং খলিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ্ পাক তিনি।
“বাহরুর রায়েক” কিতাবের ৫ম খ-ের ১৭৮ পৃষ্ঠায় উল্লেখ আছে-
(قَوْلُهٗ حَبْسُ الْعَيْنِ عَلٰى مِلْكِ الوَاقِفِ وَالتَّصَدَّقَ بِالْـمَـنْفَعَةِ) يَعْنِي عِنْدَ أَبِي حَنِيْفَةَ رَضَيَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ وَعِنْدَهُمَا هُوَ حَبْسُ الْعَيْنِ عَلٰى حُكْمِ مِلْكِ اللهِ تَعَالٰى.
অর্থ: “কোনো মাল-সম্পদ বা জায়গাকে ওয়াক্ফকারীর মালিকানায় আবদ্ধ রেখে মুনাফা ছদ্ক্বা করে দেয়াকেই ওয়াক্ফ বলে। এটাই ইমাম আ’যম হযরত আবূ হানিফা রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার মত। আর ছহেবাইন রহমতুল্লাহি আলাইহিমা তথা ইমাম হযরত আবূ ইউসুফ রহমাতুল্লাহি আলাইহি এবং ইমাম মুহম্মদ রহমাতুল্লাহি আলাইহি উনাদের মতে কোন মাল-সম্পদ বা জায়গাকে খলিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ্্ পাক উনার মালিকানার বিধানের ভিত্তিতে আবদ্ধ করার নামই ওয়াক্ফ।” আর ছহেবাইন রহমতুল্লাহি আলাইহিমা উনাদের উপরই ফতওয়া।
“কিফায়া” কিতাবে উল্লেখ আছে-
وَ مَا قَالَاهُ وَ هُوَ حَبْسُ الْعَيْنِ عَلٰى حُكْمِ مِلْكِ اللهِ تَعَالٰى.
অর্থ: “ওয়াক্ফ সম্পর্কে হযরত ছহেবাইন রহমাতুল্লাহি আলাইহিমা তথা হযরত ইমাম আবূ ইউসুফ রহমাতুল্লাহি আলাইহি এবং ইমাম মুহম্মদ রহমাতুল্লাহি আলাইহি উনারা যা বলেছেন তাহলো, কোন মাল-সম্পদ, বস্তু বা জায়গাকে খলিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ্্ পাক উনার মালিকানার বিধানের ভিত্তিতে আবদ্ধ করার নামই ওয়াক্ফ।” অর্থাৎ উক্ত সম্পদের মালিক স্বয়ং মহান আল্লাহ্ পাক তিনি। “ঈনায়া” কিতাবেও অনুরূপ উল্লেখ আছে।

আরো উল্লেখ্য যে, ওয়াক্ফকৃত স¤পদের মালিকানা ওয়াক্ফকারীর নিকট থেকে রহিত হয়ে মহান আল্লাহ্ পাক উনার মালিকানায় এমনভাবে চলে য়ায় যে, তা বিক্রি করা যাবে না, হিবা করা যাবে না, বন্ধক রাখা যাবে না এবং মীরাছ রূপে বণ্টন করাও যাবে না। এমনকি রাস্তা বর্ধনের নামে, নদী রক্ষার নামে, শহর পরিকল্পনার নামে ইত্যাদি অজুহাত দিয়ে মসজিদ স্থানান্তর করা বা মসজিদ ভাঙ্গা যাবে না। যা মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র শরীয়ত উনার মধ্যে সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ।
এ ব্যাপারে বিশ্ববিখ্যাত ফতওয়ার কিতাব “হেদায়া মা’য়াদ দেরায়া” কিতাবের ২য় খ-ের ৬৩৭ পৃষ্ঠায় উল্লেখ আছে-
وَعِنْدَهُمَا حَبْسُ الْعَيْنِ عَلٰى حُكْمِ مِلْكِ اللهِ تَعَالٰى فَيَزُوْلُ مِلْكُ الْوَاقِفِ عَنْهٗ إِلٰى اللهِ تَعَالٰى عَلَى وَجْهِ تَعُوْدُ مَـْنفَعَتُهٗ إِلَى الْعِبَادِ فَيَلْزَمُ وَلَايُبَاعُ وَلَايُوْهَبُ وَلَايُوْرَثُ ... لَـهُمَا قَوْلُ النَّبِىِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِـحَضْرَتْ عُمَرَ عَلَيْهِ السَّلَامُ حِيْنَ اَرَادَ اَنْ يَّتَصَدَّقَ بِاَرْضٍ لَهُ تُدْعَى ثَـمغ تَصَدَّقْ بِاَصْلِهَا لَايُبَاعُ وَلَايُوْرَثُ وَلَايُوْهَبُ وَلَاِنَّ الْـحَاجَةَ مَاسَّةٌ اِلَى أَنْ يَلْزَمَ الْوَقْفُ مِنْهُ لِيَصِلَ ثَوَابُهٗ اِلَيْهِ عَلَى الَّدوَامِ وَقَدْ أَمْكَنَ دَفْعَ حَاجَتُهٗ بِاِسْقَاطِ الْـمِلْكِ وَجَعَلَهُ لِلّٰهِ تَعَالٰى اِذْ لَهٗ نَظِيْرٌ فِى الشَّرْعِ وَهُوَ الْـمَسْجِدُ فَيُجْعَلُ كَذَلِكَ.
অর্থ: “আমাদের সম্মানিত হানাফী মাযহাব উনার ইমাম, হযরত আবূ ইউসুফ রহমাতুল্লাহি আলাইহি এবং ইমাম মুহম্মদ রহমাতুল্লাহি আলাইহি উনাদের মতে কোন মাল-সম্পদ বা জায়গাকে খলিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ্্ পাক উনার মালিকানার বিধানের ভিত্তিতে আবদ্ধ করার নামই ওয়াক্ফ। আর ওয়াক্্ফ হওয়া মাত্রই ওয়াক্ফকৃত স¤পদ থেকে ওয়াক্ফকারীর মালিকানা রহিত হয়ে মহান আল্লাহ্ পাক উনার মালিকানায় এমনভাবে চলে য়ায় যে, উক্ত ওয়াক্ফকৃত সম্পদের মুনাফা বান্দাদের দিকে প্রত্যাবর্তিত হয়। সুতরাং তার মালিকানা মহান আল্লাহ্্ পাক উনার হয়ে যায়। অতএব তা বিক্রি করা যাবে না, হিবা করা যাবে না এবং মীরাছ রূপে বণ্টন করাও যাবে না। ... হযরত ছহেবাইন রহমাতুল্লাহি আলাইহিমা উনাদের দলীল হলো এই যে, একদা ফারূক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম তিনি যখন উনার মালিকানাধীন খায়বরের ‘ছামাগ’ নামক জমিটি ছদকা করতে ইচ্ছা পোষণ করলেন, তখন নূরে মুজাস্্সাম হাবীবুল্লাহ্্ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি উনাকে বলেছিলেন যে, “আপনি মূল জমিটিকে এমনভাবে ছদক্বা করুন, যা কখনোই বিক্রি করা যাবে না, মীরাছ রূপে বণ্টন করা যাবে না এবং হিবাও করা যাবে না। কেননা ওয়াক্্ফকারীর দিক থেকে ওয়াক্্ফ বাধ্যতামূলক হওয়ার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে, যাতে ওয়াক্ফ-এর ছওয়াব দায়েমীভাবে তার দিকে পৌঁছতে থাকে।
আর ওয়াক্্ফকারীর মালিকানা রহিত করে মহান আল্লাহ্্ পাক উনার জন্য মালিকানা নির্দিষ্ট করে দেয়ার মাধ্যমে তার প্রয়োজনকে পূর্ণ করা সম্ভব। কেননা সম্মানিত শরীয়তে এর নজীর রয়েছে। যেমন মসজিদ । সুতরাং এটাকেও সেরূপ করা হবে। অর্থাৎ খলিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ্্ পাক উনার জন্য মসজিদ উনার মালিকানা নির্দিষ্ট করে দিতে হবে। যদিও তিনি সমস্ত কিছুর মালিক। সুতরাং মসজিদ উনার মালিক স্বয়ং মহান আল্লাহ্ পাক তিনি নিজেই।”
আর মহান আল্লাহ্্ পাক উনার সম্পদ বিক্রি করা বা অপর কাউকে উক্ত সম্পদের মালিক বানানো কোনোটিই বৈধ হবে না।
যেমন “হেদায়া মা’য়াদ দেরায়া” কিতাবের ২য় খ-ের ৬৩৭ পৃষ্ঠার ৪নং হাশিয়ায় উল্লেখ আছে-
নূরে মুজাস্সাম হাবীবুল্লাহ্ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ করেন,
تَصَدَّقَ بِاَصْلِهِ لَايُبَاعُ وَلَايُوْهَبُ وَلَايُوْرَثُ
অর্থাৎ “মূল ভূমিকে ছদকা করো, যা কখনো বিক্রি করা যাবে না, হিবা (দান) করা যাবে না এবং মীরাছরূপে বণ্টন করা যাবে না।”
“ঈনায়া” কিতাবে উল্লেখ আছে-
وَعِنْدَهُمَا هُوَ حَبْسُ الْعَيْنِ عَلٰى حُكْمِ مِلْكِ اللهِ تَعَالٰى فَيَزُوْلُ مِلْكُ الَوَاقِفِ عَنْهُ اِلَى اللهِ تَعَالٰى عَلٰى وَجْهٍ تَعُوْدُ الْـمَـنْفَعَةُ اِلَى الْعِبَادِ فَيَلْزَمُ وَلَايُبَاعُ وَلَايُوْرَثُ.
অর্থ: “সম্মানিত হানাফী মাযহাব উনার ইমাম, হযরত আবূ ইউসুফ রহমাতুল্লাহি আলাইহি এবং ইমাম মুহম্মদ রহমাতুল্লাহি আলাইহি উনাদের মতে কোন মাল-সম্পদ বা জায়গাকে খলিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ্্ পাক উনার মালিকানার বিধানের ভিত্তিতে আবদ্ধ করার নামই ওয়াক্ফ। আর ওয়াক্্ফ হওয়া মাত্রই ওয়াক্ফকৃত স¤পদ থেকে ওয়াক্ফকারীর মালিকানা রহিত হয়ে মহান আল্লাহ্ পাক উনার মালিকানায় এমনভাবে চলে যায় যে, উক্ত ওয়াক্ফকৃত সম্পদের মুনাফা বান্দাদের দিকে প্রত্যাবর্তিত হয়। সুতরাং তার মালিকানা মহান আল্লাহ্্ পাক উনার হয়ে যায়। অতএব তা বিক্রি করা যাবে না এবং মীরাছ রূপে বণ্টন করাও যাবে না।”
কেননা উক্ত সম্পদের মালিক স্বয়ং মহান আল্লাহ্ পাক তিনি নিজেই।
“ফতহুল ক্বাদীর” কিতাবের ৫ম খ-ের ৪১৯ পৃষ্ঠায় উল্লেখ আছে-
قَالَ الْـمُـصَنِّفُ وَعِنْدَهُمَا هُوَ حَبْسُ الْعَيْنِ عَلَى حُكْمِ مِلْكِ اللهِ تَعَالٰى فَيَزُوْلُ مِلْكُ الوَاقِفِ عَنْهُ اِلَى اللهِ تَعَالٰى عَلَى وَجْهِ تَعُوْدُ مَـنْفَعَتُهٗ اِلَى الْعِبَادِ ... لَكِنْ لَايُبَاعُ وَلَايُوْرَثُ وَلَايُوْهَبُ.
অর্থ: “ফতহুল ক্বাদীর কিতাবের মুছান্নিফ রহমাতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, ছাহেবাইন রহমাতুল্লাহি আলাইহিমা তথা হযরত ইমাম আবূ ইউসুফ রহমাতুল্লাহি আলাইহি এবং হযরত ইমাম মুহম্মদ রহমাতুল্লাহি আলাইহি উনাদের মতে কোন মাল-সম্পদ বা জায়গাকে খলিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ্্ পাক উনার মালিকানার বিধানের ভিত্তিতে আবদ্ধ করার নামই ওয়াক্ফ। আর ওয়াক্্ফ হওয়া মাত্রই ওয়াক্ফকৃত স¤পদ থেকে ওয়াক্ফকারীর মালিকানা রহিত হয়ে মহান আল্লাহ্ পাক উনার মালিকানায় এমনভাবে চলে য়ায় যে, উক্ত ওয়াক্ফকৃত সম্পদের মুনাফা বান্দাদের দিকে প্রত্যাবর্তিত হয়। .... সুতরাং তা বিক্রি করা যাবে না, মীরাছ রূপে বণ্টন করা যাবে না এবং হিবা বা দান করাও যাবে না।” কেননা উক্ত সম্পদের মালিক স্বয়ং মহান আল্লাহ্ পাক তিনি নিজে। (“ফতহুল ক্বাদীর” ৫ম খ- ৪১৯ পৃষ্ঠার “হাশিয়া” )
“মুখতাছারুল কুদূরী” কিতাবের ১৩৮ পৃষ্ঠার ৭নং হাশিয়ায় উল্লেখ আছে-
وَقَالَ أَبُوْ يُوْسُفَ رَحْمَةُ اللهِ عَلَيْهِ وَمُـحَمَّدٌ رَحْمَةُ اللهِ عَلَيْهِ هُوَ عِبَارَةٌ عَنْ حَبْسِ الْعَيْنِ عَلٰى حُكْمِ مِلْكِ اللهِ تَعَالٰى عَلَى وَجْهٍ تَصِلُ الْـمَـنْفَعَةُ إِلَى اْلعِبَادِ‘ فَيَزُوْلُ مِلْكُ الْوَقْفِ عَنْهُ إِلَى اللهِ تَعَالٰى فَيَلْزَمُ وَلَايُبَاعُ وَلَايَرْهَنُ وَلَايُوْارَثُ.
অর্থ: “হযরত আবূ ইউসুফ রহমাতুল্লাহি আলাইহি এবং ইমাম হযরত মুহম্মদ রহমাতুল্লাহি আলাইহি উনাদের মতে কোন মাল-সম্পদ বা জায়গাকে খলিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ্্ পাক উনার মালিকানার বিধানের ভিত্তিতে আবদ্ধ করার নামই ওয়াক্ফ। ওয়াক্্ফকৃত সম্পদের মুনাফা বান্দাদের দিকে প্রত্যাবর্তিত হয়। আর ওয়াক্্ফ হওয়া মাত্রই ওয়াক্ফকৃত স¤পদের মালিকানা ওয়াক্ফকারীর নিকট থেকে রহিত হয়ে মহান আল্লাহ্ পাক উনার মালিকানায় এমনভাবে চলে য়ায় যে, তার মালিকানা মহান আল্লাহ্্ পাক উনার হয়ে যায়। অতএব তা বিক্রি করা যাবে না, বন্ধক রাখা যাবে না এবং মীরাছ রূপে বণ্টন করাও যাবে না।” অর্থাৎ উক্ত সম্পদের মালিক স্বয়ং মহান আল্লাহ্ পাক তিনি নিজে।” (“আল লুবাব লিল মায়দানী” কিতাবে এবং “আল জাওহারাতুন নাইয়্যারাহ” কিতাবের ১ম খ-ের ৪৩০ পৃষ্ঠায়ও আছে)
“ফতওয়ায়ে আলমগীরী” কিতাবের ২য় খ-ের ৩৫০ পৃষ্ঠায় উল্লেখ আছে-
وَعِنْدَهُمَا حَبْسُ الْعَيْنِ عَلٰى حُكْمِ مِلْكِ اللهِ تَعَالٰى عَلَى وَجْهٍ تَعُوْدُ مَنْفَعَتُهٗ اِلَى العِبَادِ فَيَلْزَمُ وَلَا يُبَاعُ وَلَا يُوْهَبُ وَلَايُوْرَثُ.كَذَا فِى الـهِدَايَةِ وَفِى الْعُيُوْنِ وَالْيَتِيْمَةِ اَنَّ الْفَتْوٰى عَلَى قَوْلِـهِمَا.
অর্থ: “সম্মানিত হানাফী মাযহাব উনার ইমাম, হযরত আবূ ইউসুফ রহমাতুল্লাহি আলাইহি এবং ইমাম মুহম্মদ রহমাতুল্লাহি আলাইহি উনাদের মতে কোন মাল-সম্পদ বা জায়গাকে খলিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ্্ পাক উনার মালিকানার বিধানের ভিত্তিতে আবদ্ধ করার নামই ওয়াক্ফ। ওয়াক্্ফকৃত সম্পদের মুনাফা বান্দাদের দিকে প্রত্যাবর্তিত হয়। আর ওয়াক্্ফ হওয়া মাত্রই ওয়াক্ফকৃত স¤পদের মালিকানা ওয়াক্ফকারীর নিকট থেকে রহিত হয়ে মহান আল্লাহ্ পাক উনার মালিকানায় এমনভাবে চলে য়ায় যে, তার মালিকানা মহান আল্লাহ্্ পাক উনার হয়ে যায়। অতএব তা বিক্রি করা যাবে না, বন্ধক রাখা যাবে না এবং মীরাছ রূপে বণ্টন করাও যাবে না।” অর্থাৎ উক্ত সম্পদের মালিক স্বয়ং মহান আল্লাহ্ পাক তিনি।
অনুরূপ হেদায়া কিতাবে বর্ণিত আছে। আর উয়ূন ও ইয়াতিমা কিতাবে উল্লেখ আছে নিশ্চয়ই ফতওয়া হলো ছহেবাইন রহমাতুল্লাহি আলাইহিমা উনাদের ক্বওল শরীফের উপর।
“ফতহুল ক্বাদীর” কিতাবের ৫ম খ-ের ৪২৪ পৃষ্ঠার হাশিয়ায় উল্লেখ আছে-
اِذَا صَحَّ الْوَقْفُ..... خَرَجَ عَنْ مِلْكِ الوَاقِفِ
অর্থ: “ওয়াক্ফ যখন ছহীহ হয়ে যাবে, তখন ওয়াক্ফকৃত সম্পদ থেকে ওয়াক্ফকারীর মালিকানা থেকে বের হয়ে যাবে। অর্থাৎ মহান আল্লাহ্ পাক উনার মালিকানায় চলে য়াবে তথা উক্ত সম্পদের মালিক স্বয়ং মহান আল্লাহ্ পাক তিনি নিজে হয়ে যান।” (অনুরূপ “ঈনায়া” কিতাবে উল্লেখ আছে।)
“ফতহুল ক্বাদীর” কিতাবের ৫ম খ-ের ৪২১ পৃষ্ঠায় উল্লেখ আছে-
وَالْـخُرُوْجُ عَنْ مِلْكِهٖ وَقَوْلُهُ كَالْـمَسْجِدِ نَظِيْرٌ مَا خَرَجَ عَنِ الـمِلْكِ بِالْاِجْمَاعِ.
অর্থ: “ওয়াক্ফকৃত সম্পদ থেকে ওয়াক্ফকারীর মালিকানা থেকে বের হয়ে যাবে। যেমন মসজিদ ওয়াক্ফ করলে ওয়াক্ফকারীর মালিকানা বের হয়ে যাওয়ার নজীর রয়েছে। যা ইজমা দ্বারা সাব্যস্ত হয়েছে।” অর্থাৎ মহান আল্লাহ্ পাক উনার মালিকানায় মসজিদ চলে য়াবে তথা উক্ত মসজিদ-এর মালিক স্বয়ং মহান আল্লাহ্ পাক তিনি নিজেই হয়ে যান।”
“ঈনায়া” কিতাবে উল্লেখ আছে-
بِـخُرُوْجِ الْوَقْفِ عَنْ مِلْكِ الوَاقِفِ اِذَا صَحَّ الْوَقْفُ قَوْلُـهُمَا.
অর্থ: “হযরত ছহেবাইন রহমাতুল্লাহি আলাইহিমা তথা ইমাম আবূ ইউসুফ রহমাতুল্লাহি আলাইহি এবং ইমাম হযরত মুহম্মদ রহমাতুল্লাহি আলাইহি উনাদের মতে ওয়াক্ফ যখন ছহীহ হয়ে যাবে, তখন ওয়াক্ফকৃত সম্পদ থেকে ওয়াক্ফকারীর মালিকানা থেকে বের হয়ে যাবে। অর্থাৎ মহান আল্লাহ্ পাক উনার মালিকানায় চলে য়াবে তথা উক্ত সম্পদের মালিক স্বয়ং মহান আল্লাহ্ পাক তিনি নিজেই হয়ে যান।”
(অনুরূপ “ফতহুল ক্বাদীর” কিতাবের ৫ম খ-ের ৪২৫ পৃষ্ঠার হাশিয়ায় উল্লেখ আছে।)
“ফতহুল ক্বাদীর” কিতাবের ৫ম খ-ের ৪২০ পৃষ্ঠায় উল্লেখ আছে-
فَقَالَ عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ تَصَدَّق بِاَصْلِهِ لَايُبَاعُ وَلَايُوْهَبُ وَلَايُوْرَثُ.
অর্থ: “নূরে মুজাস্্সাম হাবীবুল্লাহ্্ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেছেন, “মূল জমিটিকে এমনভাবে ছদক্বা করুন, যা কখনোই বিক্রি করা যাবে না, হিবা করা যাবে না এবং মীরাছ রূপে বণ্টন করাও যাবে না।” (কেননা উক্ত সম্পদের মালিক স্বয়ং মহান আল্লাহ্ পাক তিনি নিজেই হয়ে যান। (অনুরূপ “কিফায়া” কিতাবে উল্লেখ আছে।)
“ফতহুল ক্বাদীর” কিতাবের ৫ম খ-ের ৪২০ পৃষ্ঠার হাশিয়ায় উল্লেখ আছে-
لَـهُمَا قَوْلُ النَّبِىِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِعُمَرَ عَلَيْهِ السَّلَامُ ....... قَالَ تَصَدَّق بِاَصْلِهِ لَايُبَاعُ وَلَايُوْهَبُ وَلَايُوْرَثُ.
অর্থ: “হযরত ছহেবাইন রহমাতুল্লাহি আলাইহিমা উনাদের দলীল হলো এই যে, একদা নূরে মুজাস্্সাম হাবীবুল্লাহ্্ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি হযরত ফারূকে আযম আলাইহিস সালাম উনাকে বলেছিলেন যে, “আপনি মূল জমিটিকে এমনভাবে ছদক্বা করুন, যা কখনোই বিক্রি করা যাবে না, হিবা করা যাবে না এবং মীরাছ রূপে বণ্টন করা যাবে না।” কেননা উক্ত সম্পদের মালিক স্বয়ং মহান আল্লাহ্ পাক তিনি নিজে। (অনুরূপ “ঈনায়া” কিতাবে উল্লেখ আছে।)
“মুখতাছারুল কুদূরী” কিতাবের ১৩৯ পৃষ্ঠায় উল্লেখ আছে-
وَاِذَا صَحَّ الْوَقْفُ لَـمْ يَـجُزْ بَيْعُهٗ وَلَاتَـمْلِيْكُهٗ.
অর্থ: “আর ওয়াক্ফ যখন ছহীহ হয়ে যাবে, তখন ওয়াক্ফকৃত সম্পদ বিক্রয় করা জায়িয হবে না এবং কাউকে মালিক বানানোও জায়িয হবে না।” কেননা উক্ত সম্পদের মালিক স্বয়ং মহান আল্লাহ্ পাক তিনি নিজেই।
“ফতহুল ক্বাদীর” কিতাবের ৫ম খ-ের ৪৩২ পৃষ্ঠায় উল্লেখ আছে-
وَاِذَا صَحَّ الْوَقْفُ خَرُجَ عَنْ مِلْكِ الْوَاقِفِ ثُـمَّ قَوْلُهٗ (لَـمْ يَـجُزْ بَيْعُهٗ وَلَاتَـمْلِيْكُهٗ) هُوَ بِاِجْمَاعِ الْفُقَهَاءِ.
অর্থ: “ওয়াক্ফ যখন ছহীহ হয়ে যাবে, তখন ওয়াক্ফকৃত সম্পদ থেকে ওয়াক্ফকারীর মালিকানা থেকে বের হয়ে যাবে। অর্থাৎ মহান আল্লাহ্ পাক উনার মালিকানায় চলে য়াবে তথা উক্ত সম্পদের মালিক স্বয়ং মহান আল্লাহ্ পাক তিনি। অত:পর ইমাম কুদূরী রহমাতুল্লাহি আলাইহি উনার ভাষায় উক্ত ওয়াক্্ফকৃত সম্পদ বিক্রি করা জায়িয হবে না এবং কাউকে মালিক বানানোও জায়িয হবে না। এটা সমস্ত ফুক্বাহায়ে কিরাম রহমাতুল্লাহি আলাইহিম উনাদের ইজমা দ্বারা সাব্যস্ত হয়েছে।” কেননা উক্ত সম্পদের মালিক স্বয়ং মহান আল্লাহ্ পাক তিনি নিজেই।
“ফতওয়ায়ে আলমগীরী” কিতাবের ২য় খন্ডের ৪৫৭ পৃষ্ঠায় উল্লেখ আছে-
فِي الْكُبْرَى مَسْجِدٌ مَبْنِيٌّ اَرَادَ رَجُلٌ اَنْ يَنْقُضَهُ وَيَبْنِيَهُ ثَانِيًا اَحْكَمَ مِنْ الْبِنَاءِ الْاَوَّلِ لَيْسَ لَهُ ذَلِكَ؛ لِاَنَّهُ لَا وِلَايَة لَهُ.
অর্থ: “ফতওয়ায়ে কুরবা” কিতাবে উল্লেখ আছে যে, যদি কোন ব্যক্তি প্রতিষ্ঠিত কোন মসজিদ ভেঙ্গে তদস্থলে প্রথম মসজিদটির চেয়ে আরো মজবুত করে দ্বিতীয়বার মসজিদ তৈরী করতে চায়। এমতাবস্থায় প্রতিষ্ঠিত মসজিদটি ভেঙ্গে ফেলার অধিকার তার নেই। কেননা এ ব্যাপারে তার কোন মালিকানা বা কর্তৃত্ব নেই।”
“মুযমিরাত” কিতাবে উল্লেখ আছে-
مَسْجِدٌ مَبْنِيُّ أَرَادَ رَجُلٌ أَنْ يَنْقُضَهُ وَيَبْنِيَهُ ثَانِيًا أَحْكَمَ مِنَ الْبِنَاءِ الأَوَّلِ لَيْسَ لَهٗ ذَلِكَ؛ لِأَنَّهُ لَا وِلَايَةَ لَهُ.
অর্থ: “ফতওয়ায়ে কুরবা” কিতাবে উল্লেখ আছে যে, যদি কোন ব্যক্তি প্রতিষ্ঠিত কোন মসজিদ ভেঙ্গে তদস্থলে প্রথম মসজিদটির চেয়ে আরো মজবুত করে দ্বিতীয়বার মসজিদ তৈরী করতে চায়। এমতাবস্থায় প্রতিষ্ঠিত মসজিদটি ভেঙ্গে ফেলার অধিকার তার নেই। কেননা এ ব্যাপারে তার কোন মালিকানা বা কর্তৃত্ব নেই।”
“ফতওয়ায়ে হিন্দিয়া” কিতাবের ৪র্থ খন্ডের ১৭১ পৃষ্ঠায় উল্লেখ আছে-
کبرے مین ہی کہ ایک مسجد بنی ہوئی ہی پس ایک شخص نےچاہا کہ اسکو توڑ کردوبارہ اسکو اس عمارت سے مضبوط عمارت کے ساتھ بناوے تو اسکو اختیار نہیں ہی کیونکہ اسکو کوئی ولایت حاصل نہیں ہی
অর্থ: “ফতওয়ায়ে কুরবা” কিতাবে উল্লেখ আছে, একটি মসজিদ বানানো হয়েছে, কোন এক ব্যক্তি চাচ্ছে যে, মসজিদকে ভেঙ্গে পুনরায় মজবুত করে বানাতে। কিন্তু এই ইখতিয়ার তার নেই। কেননা মসজিদের উপর তার কোন কর্তৃত্ব নেই।” এটা “মুযমারাত” কিতাবে উল্লেখ আছে।
উপরোক্ত দলীল-আদিল্লাহর ভিত্তিতে সুস্পষ্টভাবে এটাই প্রমাণিত হলো যে, যেখানে মজবুত করে মসজিদ তৈরী করার উদ্দেশ্যে প্রতিষ্ঠিত মসজিদ ভাঙ্গাই জায়িয নাই। সেক্ষেত্রে নদী রক্ষার নামে, মেট্রোরেল, রাস্তা বর্ধণের নামে সৌন্দর্য বর্ধণের নামে মসজিদ ভাঙ্গা, স্থানান্তর করা জায়িয তো নয়ই বরং কাট্টা হারাম ও কুফরির অন্তর্ভুক্ত এবং জাহান্নামী হওয়ার কারণ।

শেয়ার করুন
পূর্ববর্তী পোষ্ট
পরবর্তী পোষ্ট