রাজাকার ত্রিদিবের নামে সব স্থাপনার নাম মুছে ফেলার নিদের্শনা দিয়েছে উচ্চ আদালত।
মূলত, উপজাতি চাকমা ত্রিদিব ছিলো তৎকালীন চট্টগ্রাম জেলা ও পরবর্তীতে পার্বত্য চট্টগ্রাম জেলার রাঙ্গামাটি সার্কেলের চাকমা নেতা এবং আত্মস্বীকৃত কুখ্যাত রাজাকার। এই উপজাতি রাজাকার ৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময় বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের প্রবল বিরোধিতা করেছিলো। শুধু তাই নয়; দেশ স্বাধীন হওয়ায় সে রাগে, ক্ষোভে ও ভয়ে দেশ ছেড়ে পালিয়ে পাকিস্তান চলে যায়।
সে ছিলো রাঙ্গামাটি সার্কেলের চাকমা নেতা ও সার্কেল চীফ। তার বাবা নলিনাক্ষ ১৯৫২ সালের ৭ অক্টোবর মারা গেলে ত্রিদিব ১৯৫৩ সালের ২ মার্চ নেতৃত্ব গ্রহণ করে। ১৯৭১ সালে দেশ ত্যাগ করে এবং ২০১২ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর পাকিস্তানেই মারা যায়। বর্তমানে তার ছেলে ব্যারিস্টার দেবাশীষ রাঙ্গামাটি সার্কেলের চিফ ও চাকমা নেতা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছে।
রাজাকার ত্রিদিব সে ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর পাকিস্তানে চলে যায়। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত ৪২ বছর ধরে সে পাকিস্তানের ইসলামাবাদে বসবাস করে আসছিলো।
পাকিস্তানের মন্ত্রী ও বিশেষ দূত উপজাতি রাজাকার ত্রিদিব:
১৯৭০-এর দশকে ত্রিদিব সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলো।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় পাকিস্তান সরকারের বিশেষ দূত নিযুক্ত হয়ে বাংলাদেশেল স্বাধীনতা বিপক্ষে জনমত গঠনে পৃথিবীর বৌদ্ধপ্রধান রাষ্ট্রগুলো চষে বেড়ায়।