কারামতে মুত্বহ্হারাহ, মুত্বহহিরাহ সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম-২৫


বসুন্ধরার এক পীর ভাই উনার আহলিয়া গত ৭ই রবীউল আউয়াল শরীফ উনার আগে নিয়ত করেন, যেহেতু ৭ই রবীউল আউয়াল শরীফ উপলক্ষে তিনি দরবার শরীফে আসবেন তাই সেই দিন বাসায় আনজুমান করা সম্ভব না তাই তিনি তার আগের দিন উক্ত সুমহান দিবস উপলক্ষে বাসায় আনজুমান করবেন এবং কিছু তাবারুকের ব্যবস্থা করবেন। কিন্তু তখন উনার হাতে তেমন কোন টাকা পয়সা ছিলনা। তাই তিনি দোয়া করলেন যেন, সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম উনার উছিলায় কুদরতীভাবে ফায়ছালা হয়ে যায়। দেখা গেল, যেদিন রাতে মাহফিল সেদিন দিনের বেলা হঠাৎ এক লোক উক্ত পীরবোন উনার আহালকে ফোন করে বলেন, “আপনি অমুক দোকানের সামনে আসেন।” উক্ত পীরভাই সেখানে যাওয়ার পর সেই লোক বলল, “আমি অনেকদিন ধরে আপনাদেরকে কিছু হাদিয়া করতে চাচ্ছি, তাই আজকে কিছু হাদিয়া করবো।” এ কথা বলে লোকটি ১২ কেজি গোশত, পোলাও এর চাল, ঘি, দুধ, চিনি, তেল, মসলা ইত্যাদি অনেক কিছু কিনে উক্ত পীরভাইকে হাদিয়া দিল এবং বলল, “এগুলো আপনারা খান এবং যাকে ইচ্ছা তাকে খাওয়ান।” এটা বলেই লোকটি সেখান থেকে চলে গেল। কিন্তু আশ্চর্যের বিষয় হল, লোকটি কে এবং কোথা থেকে এসেছে তা আজ পর্যন্ত জানা যায়নি। উক্ত পীরবোন শুধুমাত্র মাহফিলের নিয়ত করেছিলেন এবং সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম উনার উছিলায় কুদরতী ফায়ছালার জন্য দোয়া করেছিলেন। দেখা গেল, সত্যিই সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম উনার মুবারক উছিলায় কুদরতী ফায়ছালা হয়ে গেল। (সুবহানা উম্মিল উমাম আলাইহাস সালাম)। ওলী-আল্লাহগণ উনাদের মুবারক উছিলায় মহান আল্লাহ পাক তিনি হায়াত-মউত, রিযিক, মান-সম্মান, ইয্যত-আবরু হিফাযত করেন। তেমনি যামানার লক্ষ্যস্থল ও আখাছ্ছুল খাছ ওলী-আল্লাহ হলেন সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম তিনি, উনার সুমহান সম্মানার্থে মহান আল্লাহ পাক সালিকাদের সমস্ত নেক মকছুদ পুরা করেন এবং কুদরতী রিযিকের ফায়ছালা করে দেন।

শেয়ার করুন
পূর্ববর্তী পোষ্ট
পরবর্তী পোষ্ট