ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে দেশটির সবচেয়ে বড় বন্দিশিবির নির্মাণের কাজ চলছে। আসামের রাজধানী গুয়াহাটি থেকে ১২৯ কিলোমিটার দূরে গোয়ালপাড়ার মাতিয়ায় ২৫ বিঘা জমির ওপর এই ডিটেনশন ক্যাম্প নির্মাণে খরচ ধরা হয়েছে ৪৬ কোটি রুপি।
বন্দিশিবিরের চারদিকে তোলা হয়েছে ২০ থেকে ২২ ফুট উঁচু দেয়াল। এ মাসে সেটি উদ্বোধনের কথা থাকলেও নির্মাণকাজ পুরোপুরি সম্পন্ন হয়নি। তবে দু’দিকের দেয়াল নির্মাণ করে সেখানে লাল রং করা হয়েছে। দূর থেকে মনে হয় যেন দাঁড়িয়ে আছে এক বিশাল জেলখানা।
গত ২২ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী মোদি এক ঘোষণায় বলেছিলো, ভারতে কোনো বন্দিশিবির নেই। অথচ শুধু আসামেই রয়েছে ছয়টি বন্দিশিবির। জাতীয় নাগরিক নিবন্ধন (এনআরসি) ঘিরে আন্দোলনের সাথে সম্পৃক্ত অনেককেই বন্দী রাখা হয়েছে ওই সব বন্দিশিবিরে।
এ বছরের ৩১ আগস্ট এনআরসির চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হয়। সেই তালিকা থেকে বাদ যায় ১৯ লাখ নাগরিকের নাম। বাদ পড়াদের অনেককে আটক রাখা হয় রাজ্যের ছয়টি বন্দিশিবিরে। গত ২৭ নভেম্বর আসাম সরকারের দেওয়া তথ্য অনুসারে, বন্দিশিবিরগুলোতে ১ হাজার ৪৩ জন ‘বিদেশি বন্দী’ আটক রয়েছে।