একজন পীরবোনের ব্রেস্ট টিউমার হয়েছিল। যদিও টিউমার অপারেশন হয়েছিল। কিন্তু উনি উনার বেবীদের ব্রেস্ট ফিডিং করাতে পারেননি। ৩ৎফ নধনু হওয়ার পরে উনার ব্রেস্টে একদিন প্রচুর ব্যথা হয়। কিছুতেই ব্যথা কমছিল না। পরে উনি একজন গাইনী ডাক্তার দেখালেন। কিন্তু ডাক্তারও উনার কি কারণে ব্যথা হচ্ছে সেটা ধরতে পারেনি। তবে সন্দেহ করল যে, সম্ভবত দুধ এসে জমে থাকার কারণে ব্যথা হচ্ছে। তাই দুধ আসা বন্ধ হওয়ার জন্য ঔষধ দিল, সাথে ব্যথা কমার জন্য ঔষধ দিল। কিন্তু ব্যথা কিছুতেই কমছিলনা। তারপর উনি সার্জন ডাক্তার দেখালেন, কিন্তু উনার কোন উন্নতি হল না। এর মধ্যে উনার একজন পরিচিত ডাক্তারের সাথে দেখা হল। উনি উক্ত পীরবোনকে ভয় দেখিয়ে বলল, “তুমি কেন দুধ বন্ধ হওয়ার ঔষধ খাচ্ছ? তোমার এটা অপারেশন করতে হবে।” এরকম আরো অনেককিছু বলে উক্ত পীরবোনকে ভয় দেখাল। উক্ত পীরবোন সবকিছু সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম উনার নিকট জানালেন। তিনি উক্ত পীরবোনকে বলেন, “ঐ স্থানটি গরম পানি দিয়ে ধুতে এবং বললেন, দেখবে ৫/৬দিনের মধ্যেই এটা ফেঁটে যাবে।” উক্ত পীরবোন সে অনুযায়ী গরম পানি দিতে থাকেন। গরম পানি দেয়ার পর দেখা গেল, ঐ স্থানটি নরম হয়ে গেল। পরে উক্ত পীরবোন বিষয়টি সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম উনার নিকট জানালেন। তিনি আবারও বলেন, “গরম পানি দাও।” উক্ত পীরবোন নিয়মিত দিলেন। দেখা গেল পাঁচ দিনের দিনই ফোঁড়াটি ফেঁটে গেল। ফেঁঁটে অনেক পুঁজ বের হচ্ছিল, কিছুতেই পুঁজ বের হওয়া বন্ধ হচ্ছিল না। যেহেতু পুঁজ বের হওয়া বন্ধ হচ্ছিল না, তাই উনি ঐ স্থানটি কাপড় দিয়ে বেঁধে রাখলেন। পরের দিন সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম উনার নিকট এসে জানালেন যে, ফোঁড়াটি ফেটে গিয়েছে, কিন্তু পুঁজ বের হওয়া বন্ধ হচ্ছেনা। তিনি ঐ স্থানটিতে আবার গরম পানি দিতে বললেন। উক্ত পীরবোন বাসায় গিয়ে আবার গরম পানি দিলেন। তারপর দেখা গেল, পুঁজ বের হওয়া বন্ধ হয়ে গেল এবং আস্তে আস্তে ব্যথাও কমে গেল। পরে উনি ঐ স্থানটি শুকানোর জন্য সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম উনার নিকট দোয়া মুবারক চাইলেন। সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম উনার মুবারক উছিলায় ঐ স্থানটি শক্ত হয়ে যাচ্ছিল। পরে উনি আবার বিষয়টি সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম উনার নিকট জানালেন। সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম তিনি বললেন, “এটা নিয়ে চিন্তা করোনা, ভালো হয়ে যাবে।” পরে দেখা গেল, সত্যিই ঐ স্থানটি শুকিয়ে গেল, শক্ত ভাবও চলে গেল। (সুবহানা উম্মিল উমাম আলাইহাস সালাম)।
মূলত, সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম তিনি সর্ব রোগের শিফা দানকারিনী। উনার মুবারক উছিলাতেই মানুষ সুস্থতা লাভ করছে এবং প্রশান্তি অনুভব করছে। মহান আল্লাহ পাক তিনি যেন আমাদের সকলকে উনার সেই নূরানী ছোহবত মুবারকে আসার তাওফিক দান করেন এবং নিজেকে ধন্য করার যোগ্যতা দান করেন। (আমীন)
