উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মহামূল্যবান নছীহত মুবারক-১৭


“হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনারা অন্য কারো মতো নন, উনারা বেমেছাল শান-মান, ফাযায়িল-ফযীলত মুবারক উনার অধিকারিণী।”
সাইয়্যিদাতুন নিসা, সাইয়্যিদাতুন নিসায়ি আহলিল জান্নাহ, মুতহ্হারাহ্, মুতহ্হিরাহ্, উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম তিনি বলেন, মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফ উনার সূরা মারইয়াম শরীফ উনার ৩৬নং আয়াত শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেন,
لَيْسَ الذَّكَرُ كَالْاُنْثىَ
অর্থ মুবারক: “তিনি এমন একজন সম্মানিতা মহিলা উনার সমকক্ষ কোন পুরুষও নেই।”
এই আয়াত শরীফ উনার মধ্যে মহান আল্লাহ পাক তিনি হযরত উম্মু রূহিল্লাহ আলাইহাস সালাম উনার সম্পর্কে বলেছেন, উনার যুগে কোন পুরুষও উনার সমকক্ষ ছিল না।
আর হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের সম্পর্কে সূরা আহযাব শরীফ উনার ৩২নং আয়াত শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে,
لَسْتُنَّ كَأَحَدٍ مِّنَ النِّسَاءِ .
অর্থ মুবারক: নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিতা নিসা আলাইহিন্নাস সালাম অর্থাৎ হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম আপনারা অন্য কোন মহিলাদের মত নন।”
এই আয়াত শরীফ উনার মাধ্যমে যে বিষয়টি স্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে, হযরত উম্মু রূহিল্লাহ আলাইহাস সালাম তিনিসহ কোন মহিলাই উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের সমকক্ষ নন। মূলত: নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি যেমন কারো মত নন, তদ্রুপ হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনারাও কারো মত নন। কারণ মহান আল্লাহ পাক তিনি কালামুল্লাহ শরীফ উনার সূরা নূর শরীফ উনার ২৬নং আয়াত শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেন,
وَالطَّيِّبَاتُ لِلطَّيِّبِيْنَ وَالطَّيِّبُوْنَ لِلطَّيِّبَاتِ .
অর্থ মুবারক: “পবিত্র পুরুষ উনাদের জন্য পবিত্র মহিলা এবং পবিত্র মহিলা উনাদের জন্য পবিত্র পুরুষ।”
এই আয়াত শরীফ উনার ব্যাখ্যায় সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম উনার নছীহত মুবারক থেকে আমরা যা বুঝতে পেরেছি- নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি যেমন মুত্বহ্হার, মুত্বহহির তদ্রুপ হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদেরকে মহান আল্লাহ পাক তিনি মুত্বহ্হারাহ, মুত্বহহিরাহ করে সৃষ্টি মুবারক করেছেন। এ প্রসঙ্গে মহান আল্লাহ পাক তিনি কালামুল্লাহ শরীফ উনার সূরা আহযাব শরীফ উনার ৩৩নং আয়াত শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেন,
اِنَّمَا يُرِيْدُ اللهُ لِيُذْهِبَ عَنْكُمُ الرِّجْسَ اَهْلَ الْبَيْتِ وَ يُطَهِّرَكُمْ تَطْهِيْرًا
অর্থ মুবারক: “মহাসম্মানিত হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম! মহান আল্লাহ পাক তিনি আপনাদের থেকে সমস্ত প্রকার অপবিত্রতা দূর করে পবিত্র করার মত পবিত্র করেই সৃষ্টি মুবারক করেছেন।”
 মূলত: হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের শান-মান, ফাযায়িল-ফযীলত, বুযুর্গী-সম্মান মুবারক বর্ণনা করা এবং ধারণ করা উম্মাহর আক্বল সমঝের উর্দ্ধে। হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনারা যে সর্বদিক দিয়ে, সর্ববিষয়ে বেমেছাল শান-মান মুবারক উনার অধিকারী তা অনুধাবনের জন্য সাইয়্যিদুনা হযরত ফারুকে আ’যম আলাইহিস সালাম উনার ফযীলত মুবারক এবং একটি ঘটনা মুবারক তুলে ধরা হলো Ñ হযরত ফারুকে আযম আলাইহিস সালাম উনার ফযীলত মুবারক , মর্যাদা মুবারক সম্পর্কে হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বলা হয়েছে- হযরত নূহ আলাইহিস সালাম তিনি সাড়ে ৯০০ বছর দুনিয়ার যমীনে অবস্থান মুবারক করেছিলেন। এই সাড়ে ৯০০ বছর যদি হযরত ফারুকে আযম আলাইহিস সালাম উনার ফযীলত মুবারক বর্ণনা করা হয় তবুও শেষ করা যাবে না। (সুবহানা উম্মিল উমাম আলাইহাস সালাম)
   
সেই হযরত ফারুকে আ’যম আলাইহিস সালাম তিনি একটি বিষয় চিন্তা করে প্রায়ই কান্না-কাটি করতেন যে, উনার সারা জিন্দেগীর আমলের চেয়ে যদি তিনি  সেই ছওর গুহায় তিন দিন ও তিন রাত অবস্থান মুবারক করতে পারতেন, তাহলে উনার জন্য কতইনা উত্তম হতো! যেই তিন দিন, তিন রাত হযরত ছিদ্দীক্বে আকবর আলাইহিস সালাম তিনি ছওর গুহায় অবস্থান মুবারক করেছেন এবং গোলামীর আঞ্জাম মুবারক দিয়েছেন।
যে সম্পর্কে মহাসম্মানিত ও মহপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে,
عَنْ حَضْرَتْ اُمِّ الْمُؤْمِنِيْنَ الثَّالِثَةِ سَيِّدَتِنَا اَلصِّدِّيْقَةِ عَلَيْهَا السَّلاَمُ (سَيِّدَتِنَا حَضْرَتْ عَائِشَةَ عَلَيْهَا السّلَامُ ) قَالَتْ بَيْنَا رَأْسُ رَسُوْلِ اللهِ صَلىَّ اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِىْ حَجْرِىْ فِىْ لَيْلَةٍ ضَاحِيَةٍ اِذْ قُلْتُ يَا رَسُوْلَ اللهِ صَلىَّ اللهُ عَلَيْهِ وَ سَلَّمَ هَلْ يَكُوْنُ لِاَحَدٍ مِّنَ الْحَسَنَاتِ عَدَدُ نُجُوْمِ السَّمَاءِ قَالَ نَعَمْ حَضْرَتْ عُمَرُ عَلَيْهِ السَّلَامُ قُلْتُ فَاَيْنَ حَسَنَاتِ حَضْرَتْ اَبِىْ بَكْرٍ عَلَيْهِ السَّلَامُ قَالَ اِنَّمَا جَمِيْعُ حَسَنَاتِ حَضْرَتْ عُمَرَ عَلَيْهِ السَّلَامُ كَحَسَنَةٍ وَّاحِدَةٍ مِّنْ حَسَنَاتِ حَضْرَتْ اَبِىْ بَكْرٍ عَلَيْهِ السَّلَامُ
 অর্থ মুবারক: “ হযরত উম্মুল মু’মিনীন আছ ছালিছাহ আলাইহাস সালাম উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, এক জো¯œার রাতে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি আমার  সম্মানিত  নুরুল আযহার মুবারকে (কোল মুবারক) মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নুরুল হুদা মুবারক (মাথা মুবারক) রেখে শুয়েছিলেন। আমি বললাম, ইয়া রসূলাল্লাহ, ইয়া হাবীবাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! কারো কি আকাশের তারকার সমপরিমাণ নেকী মুবারক রয়েছেন? তিনি ইরশাদ মুবারক করলেন, হ্যাঁ, সাইয়্যিদুনা হযরত ফারূক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম উনার আকাশের তারকার সমপরিমাণ নেকী মুবারক রয়েছেন। তখন আমি বললাম, তাহলে সাইয়্যিদুনা হযরত ছিদ্দীক্বে আকবর আলাইহিস সালাম উনার সম্মানিত নেকী মুবারক উনার পরিমাণ কত? জবাবে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করলেন, নিশ্চয়ই সাইয়্যিদুনা হযরত ফারুক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম উনার জিন্দেগীর সমস্ত নেকী মুবারক হচ্ছেন সাইয়্যিদুনা হযরত ছিদ্দীক্বে আকবর আলাইহিস সালাম উনার একখানা সম্মানিত নেকী মুবারক উনার সমান। (মিশকাত শরীফ, রযীন শরীফ)
আর সেই সম্মানিত নেকী মুবারক হচ্ছেন:- সাইয়্যিদুনা হযরত ছিদ্দীক্বে আকবর আলাইহিস সালাম তিনি সম্মানিত হিজরত মুবারক উনার সময় সম্মানিত ছওর গুহা মুবারক এ তিনদিন-তিনরাত্রি মুবারক নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত গোলামীতে আনজাম মুবারক দিয়ে যে নেকী মুবারক অর্জন করেছিলেন, তা সাইয়্যিদুনা হযরত ফারূক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম উনার জিন্দেগীর সমস্ত নেকী মুবারক উনার সমান। সুবহানাল্লাহ! আর বাকী জিন্দেগীর আমল তো রয়েই গেছে যা বলার অপেক্ষা রাখেনা।
সাইয়্যিদাতুন নিসা, সাইয়্যিদাতুন নিসায়ি আহলিল জান্নাহ, মুতহ্হারাহ্, মুতহ্হিরাহ্, উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম তিনি এই বিষয়টির যে ব্যাখ্যা মুবারক করেছেন তা থেকে আমরা যা বুঝতে পেরেছি , হযরত ছিদ্দীক্বে আকবর আলাইহিস সালাম তিনি যে ছওর গুহায় তিনদিন-তিনরাত গোলামী মুবারক উনার আঞ্জাম মুবারক দিয়েছেন সেটা যদি এত ফযীলতপূর্ণ হয়, তবে হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনারা উনাদের সমস্ত হায়াতি জিন্দেগী মুবারকে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার যে খিদমত মুবারক উনার আঞ্জাম মুবারক দিয়েছেন, উনাকে যে ইতমিনান বা রাহাত মুবারক দিয়েছেন, তাহলে হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের ফযীলত-সম্মান মুবারক কতখানি সেটা বলার অপেক্ষাই রাখে না। এমনকি জ্বিন-ইনসান কায়িনাতবাসীর এই বিষয়টি আক্বল সমঝেরও ঊর্ধ্বে। (সুবহানা উম্মিল উমাম আলাইহাস সালাম)।
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহিওয়া সাল্লাম তিনি সাইয়্যিদাতুনা উম্মুল মু’মিনীন আছ-ছালিছা আলাইহাস সালাম উনাকে উদ্দেশ্য করে বলতেন,
اَرِحْنِىْ اَرِحْنِىْ
“আমাকে (শান্তি দান) ইতমিনান করুন, আমাকে (শান্তি দান) ইতমিনান করুন।”
সাইয়্যিদাতুন নিসা, সাইয়্যিদাতুন নিসায়ি আহলিল জান্নাহ, মুতহ্হারাহ্, মুতহ্হিরাহ্, উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম তিনি এই মহাসম্মানিত اَرِحْنِىশব্দ মুবারক উনার যে ব্যাখ্যা মুবারক করেছেন তা থেকে আমরা যা বুঝতে পেরেছি, যদিও হযরত উম্মুল মু’মিনীন আছ ছালিছাহ ছিদ্দীক্বা আলাইহাস সালাম উনাকে উদ্দেশ্য করে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি এই হাদীছ মুবারক বলতেন কিন্তু খাছ করে তিনিসহ সকল উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের সকলের ক্ষেত্রেই এই হাদীছ মুবারক প্রযোজ্য।
মূলত: কুল কায়িনাতের সমস্ত কিছুই সৃষ্টি মুবারক করা হয়েছে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার গোলামীতে আঞ্জাম মুবারক দেয়ার জন্য। এছাড়া নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত হুজরা শরীফ উনার ভিতরে এবং বাহিরে খিদমত মুবারক সংক্রান্ত যত বিষয় ছিল সমস্ত প্রকার খিদমত মুবারক উনার আঞ্জাম দেয়ার জন্য একজনের পরিবর্তে হয়ত আরেকজন সেই খিদমত মুবারক উনার আঞ্জাম দিতে পারতেন। কিন্তু এই মহাসম্মানিত  اَرِحْنِىْ   মুবারক তথা “আমাকে ইতমিনান করুন” এই খিদমত মুবারক উনার যে বিষয় যা একমাত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনারা ব্যতীত অন্য কারো পক্ষে আঞ্জাম দেয়া সম্ভব ছিলনা।
     এই মহাসম্মানিত  اَرِحْنِىْ    খিদমত মুবারক উনার একক ফযীলত মুবারক উনার একমাত্র হক্বদার হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনারা। (সুবহানা উম্মিল উমাম আলাইহাস সালাম)।
     খুবই সুক্ষ¥ এবং ফিকিরের বিষয় হলোঃ- এই মহাসম্মানিত اَرِحْنِىْ   শব্দ মুবারক তথা “আমাকে ইতমিনান করুন” নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের উদ্দেশ্যে বলতেন এবং উনারা সেই রাহাত বা ইতমিনান মুবারক উনার আঞ্জাম মুবারক দিতেন। সুবহানাল্লাহ!
এখানে হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের এই বেমেছাল শান মুবারক উনার বিষয়টি আমরা কুল-কায়িনাত উনার মাঝে সর্বপ্রথম জানতে পারলাম যিনি সাইয়্যিদাতুন নিসা, মুত্বহ্হারাহ, মুত্বহহিরাহ, সমস্ত সৃষ্টি জগতের হিদায়েতের দিশারী, গোটা মহিলা জাতির শায়েখ বা মুর্শিদ সাইয়্যিদাতুন নিসা, সাইয়্যিদাতুন নিসায়ি আহলিল জান্নাহ, হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম উনার মহাপবিত্র ও মহাসম্মানিত জবান মুবারক থেকে। (সুব্হানা উম্মিল উমাম আলাইহাস সালাম)।
মূলত, প্রত্যেকেই তার মাক্বাম মুবারক থেকে কথা বলে থাকেন। আর সাইয়্যিদাতুন নিসা, সাইয়্যিদাতুন নিসায়ি আহলিল জান্নাহ, মুতহ্হারাহ্, মুতহ্হিরাহ্, উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম তিনি উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মাক্বাম মুবারক থেকেই মহাসম্মানিতা ও মহাপবিত্রা হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের সাথে গভীর তাওয়াল্লুক-নিছবত থাকার কারণে সেই মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র শান মুবারক উনার মাক্বাম উপলব্ধি করা সাইয়্যিদাতুন নিসা, সাইয়্যিদাতুন নিসায়ি আহলিল জান্নাহ, মুতহ্হারাহ্, মুতহ্হিরাহ্, উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম উনার জন্যই সহজ এবং স্বাভাবিক। (সুব্হানা উম্মিল উমাম আলাইহাস সালাম)।
বলার অপেক্ষা রাখে না যে, আমাদের যিনি মহাসম্মানিতা মহাপবিত্রা প্রাণপ্রিয়া শায়েখ,আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মুত্বহ্হারাহ, মুত্বহহিরাহ, সাইয়্যিদাতুন নিসা, সাইয়্যিদাতুন নিসায়ি আহলিল জান্নাহ, হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম উনার শান-মান মুবারক, বুযূর্গী-সম্মান মুবারক কত বেমেছাল তা কায়িনাতবাসীর আক্বল-সমঝের ঊর্ধ্বে।
মোদ্দাকথা, মুসলিম উম্মাহ সকলের জন্য ফরয-ওয়াজিব হচ্ছে হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের সম্পর্কে সঠিক আক্বীদা পোষণ করা। কেননা উনারা প্রত্যেকেই প্রত্যেকের মাক্বাম মুবারকে অনন্যা।
কাজেই, যে বা যারা বিশুদ্ধ আক্বীদা পোষণ করে উনাদের যত বেশি তা’যীম-তাকরীম, সম্মান করবে এবং উনাদের অনুসরণ -অনুকরণ করার কোশেশ করবে মহান আল্লাহ পাক তিনি তাকেও ততখানি মর্যাদা দান করবেন অর্থাৎ সেও মর্যাদাবান হয়ে যাবে। (সুবহানা উম্মিল উমাম আলাইহাস সালাম)

শেয়ার করুন
পূর্ববর্তী পোষ্ট
পরবর্তী পোষ্ট