কারামতে মুত্বহহারাহ, মুত্বহহিরাহ সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম-৩৬


বাসা শিফট করার সময় এক পীর বোন ভারী জিনিসপত্র গুছাতে গিয়ে হাতে খুব আঘাত পেলেন। ব্যথা লাগল হাতের শোল্ডার জয়েন্টে। ব্যথা পাওয়ার সময় ভিতরে একটা মটমট শব্দ হল। তিনি ভয় পেয়ে গেলেন। সাথে সাথে শায়েখ আলাইহিস সালাম উনার ফুঁ মুবারক দেয়া পড়া তেল আঘাতপ্রাপ্ত স্থানে মালিশ করলেন। দুই দিন পর্যন্ত কিছুই হল না। এরপরেই অনুভূত হল প্রচন্ড ব্যথা। ব্যথার কারণে হাত ঠিকমত নাড়াচাড়া করাও সম্ভব হচ্ছে না। ব্যথার কথা উম্মুল উমাম আম্মাজী ক্বিবলা আলাইহাস সালাম উনাকে জানানো হলে তিনি বলেন, বেশি বেশি পড়া তেল মালিশ করার জন্য। তিনি পড়া তেল লাগাতে থাকলেন। যখন পড়া তেল লাগানো হত তখন ব্যথা ভাল হয়ে যেত। কিন্তু উক্ত পীর বোন কর্মব্যস্ততা, কিংবা গাফেলতীর কারণে পড়া তেল ঠিকমত লাগাতেন না। ফলে উনার ব্যথা দিন দিন বেড়েই চলল। দেড় মাস পেরিয়ে গেলেও ব্যথা ভাল হচ্ছিল না। তাই উনার বাবা উনাকে ডাক্তারের কাছে পাঠালেন। ডাক্তার কিছু ব্যথার ঔষধ দিল এবং বলল যে, “ব্যথা ভাল না হলে অবশ্যই এক্স-রে করতে হবে। ডাক্তার হাত নাড়িয়ে বলল, সম্ভবত জয়েন্ট ডিস্প্লেস হয়েছে।”  এদিকে ঔষধ সেবনও শেষ; কিন্তু ব্যথা ভাল হচ্ছে না। পীর বোন তিনি সরাসরি আম্মাজী ক্বিবলা আলাইহাস সালাম উনার কাছে যান এবং পড়া তেল লাগানোর ক্ষেত্রে উনার গাফেলতীর কথা জানান। সেই সাথে ব্যথা ভাল না হওয়ার বিষয়টিও জানান। তখন সাইয়্যিদাতুনা আম্মাজী ক্বিবলা আলাইহাস সালাম তিনি উক্ত পীর বোনকে আঘাতপ্রাপ্ত স্থানে পড়া তেল লাগিয়ে ব্যায়াম করার নির্দেশ দেন। তিনি দেখিয়ে দেন কিভাবে ব্যায়ামটা করতে হবে। ব্যায়ামটা নিজে করা সম্ভব নয়। আরেকজনকে করিয়ে দিতে হবে। সেই সময় তিনি উক্ত পীর বোনকে সন্তানের ন্যায় কাছে ডেকে অত্যন্ত আদর-মুহাব্বতের সাথে উনার মুবারক নুরুল মাগফিরাত (হাত মুবারক) দ্বারা ব্যায়াম করিয়ে দেন এবং পীর বোনকে দেখানো নিয়মে ব্যায়াম করতে বলেন। তখন উক্ত পীর বোন এত বেশি খুশি হলেন যে, তিনি বললেন, “ইয়া আম্মাজী ক্বিবলা আলাইহাস সালাম! আপনার হাত মুবারক উনাদের স্পর্শ পেয়ে আমার হাত আল্লাহ পাক আজকেই ইনশাআল্লাহ ভাল করে দিবেন। আমার যেন ব্যায়াম করারও প্রয়োজন না হয়।”
আশ্চর্যের বিষয় এই যে, উক্ত পীর বোনের মনে হল ব্যথা যেন গায়েব!! ১০-১৫ মিনিটের মধ্যে ব্যথা একেবারেই নেই বললেই চলে। যেহেতু, আম্মাজী ক্বিবলা আলাইহাস সালাম তিনি ব্যায়াম করতে বলেছেন; তাই উক্ত পীর বোন বাসায় ফিরে সেই রাতে মাত্র একবার ব্যায়ামটি করেন। যদিও ব্যথা বিকেল থেকেই নেই। পরবর্তী সকালে ঘুম থেকে ওঠার পরে তিনি বুঝতে পারলেন যে, হাতের ব্যথা আর নেই। সম্পূর্ন ভাল হয়ে গিয়েছে। আর ব্যায়ামেরও প্রয়োজন হয়নি। উনার নুরুল মাগফিরাত উনার পরশ পেয়ে হাতের ব্যথা থেকে সম্পূর্ণ সুস্থতা লাভ করেন। সুবহানাল্লাহ!

শেয়ার করুন
পূর্ববর্তী পোষ্ট
পরবর্তী পোষ্ট