কি মারাত্মক উক্তিটি করেছিলেন, সাইয়্যেদুশ শুহাদা, মাজলুমে কারবালা, শাহেনশাহে মদিনা হযরত ইমাম হোসাইন রাদিয়াল্লাহু তাআলা আনহু!



কারবালার মাঠে একে-একে যখন সবাই শাহাদাত বরন করছেন এবং হজরত ইমাম হোসাইন রদ্বিয়াল্লাহু তাআলা আনহু যখন কেবল একা দাড়িয়ে ছিলেন,,,,,, তখন ওনার শেষ কয়টি কথার কিছু অংশের অনুবাদ নিচে তুলে ধরা হোল:- 
"কেন আমাকে হত্যা করতে চাও? আমি কি কোন পাপ অথবা অপরাধ করেছি?" এজিদের সৈন্য বাহিনী বোবার মত দাড়িয়ে রইল!!!!!!!!
পুনরায় ইমাম হোসাইন রাদিয়াল্লাহু তাআলা আনহু বললেন, "আমাকে হত্যা করলে আল্লাহ্ উনার কাছে কি জবাব দেবে??????
কি জবাব দেবে,,,, বিচার দিবসে সরকারে দুআলম, রহমতাল্লীল আলামিন ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার কাছে?????"
এজিদের সৈন্য বাহিনী পাথরের মত দাঁড়িয়ে আছে!!!!
আবার ইমাম হোসাইন রাদিয়াল্লাহু তাআলা আনহু বললেন, ,,,,,, 'হাল্ মিন্ নাস্রিন ইয়ানসুরুনা?!!!
" 'আমাদের সাহায্য করার মত কি তোমাদের মাঝে একজনও নাই????
' তারপরের আহ্বানটি সাংঘাতিক মারাত্বক!! ঐতিহাসিকদের মতে এটাই ইমাম হোসাইন রাদিয়াল্লাহু তাআলা আনহু এর শেষ আহ্ববান।
"আলাম্ তাস্মাও? আলাইসা ফিকুম্ মুসলিমু?" 'আমার কথা কি শুনতে পাও না???
তোমাদের মাঝে কি একটি মাত্র মুসলমানও নাই?'????? 
ইমাম হোসাইন রদ্বিয়াল্লাহু তাআলা আনহু উনার শেষ ভাষনটি মাত্র একটি ছোট্র বাক্য। তবে এর ব্যাখ্যা যদি কাঁচ ভাঙ্গার মত টুকরো-টুকরো করে দেখাতে চাই তাহলে সেই বাক্যটি হবে খুবই বেদনা দায়ক। তাই বেশি কিছু না বলে শেষ বাক্যটির সামান্য ব্যাখ্যা দিয়ে শেষ করতে চাই। খাজা বাবা যেমন বলেছেন, হযরত ইমাম হোসাইন  রদ্বিয়াল্লাহু তাআলা আনহু  আসল এবং নকলের ভাগটা পরিস্কার করে দেখিয়ে গেলেন' সে রকমই অর্থ বহন করছে ইমাম হোসাইন  রদ্বিয়াল্লাহু তাআলা আনহু উনার শেষ কথাগুলতে!!!! 
কারন, এজিদের সৈন্য বাহিনীতে একজনও হিন্দু,বৌদ্ধ,খ্রিস্টান অথবা অন্য কোন ধর্মের কেউ ছিল না। সবাই ছিল মুসলমান। অথচ কি সাংঘাতিক এবং ভয়ংকর ভাষন-''তোমাদের মাঝে কি একটি মুসলমানও নাই?'' এজিদের সৈন্যবাহিনীর সবাই মুসলমান এটা আমি অধমের কথা নয় বরং যে কোন বিজ্ঞ আলেমকে প্রশ্ন করে দেখুন। অথচ ইমাম হোসাইন রদ্বিয়াল্লাহু তাআলা আনহু একি তাক লাগানো কথা বলছেন????
"তোমাদের মাঝে কি একটি মাত্রও মুসলমান ও নাই?" না, একটিও সত্যিকার আসল মুসলমান ছিল না বলেই ইমাম হোসাইন  রদ্বিয়াল্লাহু তাআলা আনহু
এই আহ্বান জানিয়ে পৃথিবীকে চোখে আঙ্গুল দিয়ে বুঝিয়ে দিয়ে গেলেন। তিনি বুঝিয়ে দিয়ে গেলেন যে, যারা দাঁড়িয়ে আছে তারা সবাই নকল মুসলমান।!!!!!!!
হাজার হাজার ইয়াজিদের সৈন্যদের মধ্যে তিনি একজনও মুসলিম পেলেননা,অথচ তারা সবাই ছিল ঘোরতর নামাজী, তাদের ছিল টুপি দাঁড়ি, পাগড়ী, আসকান জুব্বা !!
কিন্তু ছিলনা তাদের ঈমান! !!!! 
যেমন-
-৯৮% মুসলমানের দেশে স্কুল কলেজের পাঠ্য পুস্তকে কুফরি শেরেক এ ভর্তি। এইসব বই যে পরবে আর যে পরাবে কারই ইমান থাকবে না। কিন্তু কয়জন মুসলমান প্রতিবাদ করছে?
-৯৮% মুসলমানের দেশে সরকার মুসলমান দের টাকা দিয়ে হিন্দুদের পুজায় সাহায্য করে। কিন্তু মুসলমানের কোন অনুষ্ঠানে ২ টা টাকাও দেয় না। সেই ব্যাপারে কোন মুসলমান কোন প্রতিবাদ ও করে না। 
-৯৮ % মুসলমানের দেশে মহান আল্লাহ্ পাক আর রসুল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম  উনাদের কে  নিয়ে কুটুক্তি করলে কিছু হয় না কিন্তু একজন মন্ত্রী কে কিছু বললে জেল হয়। সেই বিধান আছে। 
-৯৮% মুসলমানের দেশে পবিত্র কাবা শরীফ কে অপমান করলে কিছু হয় না মসজিদ ভাঙলে কিছু হয় না । কিন্তু মূর্তি ভাঙলে তাদের বিরুদ্ধে কেস হয় এবং থানা/ হাজতে যেতে হয়।

এই দেশের মাত্র ২% হিন্দু এই দেশ থেকে ইসলাম ধর্ম নিশ্চিহ্ন করে দিতে কোর্টে মামলা করতে সাহস করে উগ্র হিন্দুত্ববাদীরা। আর ৯৮% মুসলমান সেই এজেদি বাহিনির মত নিশ্চুপ হয়ে থাকে । নাউযুবিল্লাহ! 

শেয়ার করুন
পূর্ববর্তী পোষ্ট
পরবর্তী পোষ্ট