মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন,
وَلِلّهِ الأَسْمَاء الْحُسْنَى فَادْعُوهُ بِهَا وَذَرُواْ الَّذِينَ يُلْحِدُونَ فِي أَسْمَآئِهِ سَيُجْزَوْنَ مَا كَانُواْ يَعْمَلُونَ
অর্থ: মহান আল্লাহ পাক উনার সম্মানিত বরকতময় অসংখ্য উত্তম নাম মুবারক রয়েছেন। কাজেই উক্ত নাম মুবারক ধরেই উনাকে ডাকুন। আর তাদেরকে বর্জন করুন, যারা উনার নাম মুবারক বিকৃত করে। তারা নিজেদের কৃতকর্মের ফল শীঘ্রই পাবে। (পবিত্র ও সম্মানতি সূরা আ’রাফ শরীফ; পবিত্র ও সম্মানিত আয়াত শরীফ ১৮০)
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেছেন, “আমি আপনার কাছে দুয়া করছি প্রত্যেক নাম মুবারক উনার উছিলায় যা কেবল আপনারই, যে নাম মুবারক আপনি নিজেই উল্লেখ করেছেন, অথবা আপনার কিতাবে নাযিল করেছেন, অথবা আপনার সৃষ্টিকুলের মধ্যে কাউকে শিখিয়েছেন, অথবা আপনার ইলমে গইব মুবারক উনার মধ্যে রেখে দিয়েছেন।” (মুসনাদ আহমদ শরীফ ও হাকিম শরীফ)
মহান আল্লাহ পাক উনার নাম মুবারক সমূহের প্রতি ঈমানের একটি দাবি হলো, উক্ত নাম মুবারকসমূহের মাধ্যমে মহান আল্লাহ পাক উনাকে ডাকা, মহান আল্লাহ পাক উনার কাছে দুয়া করা; মহান আল্লাহ পাক উনার ইবাদত করা। আর দুয়া মুবারক উনার অর্থ উক্ত নাম মুবারক সমূহের মাধ্যমে মহান আল্লাহ পাক উনার কাছে কোনো কিছু চাওয়া। আবার ডাকার সময় সর্বোত্তম আদব মুবারক বজায় রাখা।
ঠিক একইভাবে বর্ণিত হয়েছে,
ولرسول الله صلي الله عليه وسلم الأَسْمَاء الْحُسْنَى فَادْعُوهُ بِهَا
অর্থাৎ নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত অসংখ্য অগণিত বরকতময় নাম মুবারক রয়েছেন, আর উনার সেই বরকতময় সম্মানিত নাম মুবারক ধরেই আপনারা ডাকুন যা আপনাদের জন্য দুয়া ক্ববুল ও নাযাত লাভের উছীলা হবে। সুবাহানাল্লাহ! (পবিত্র ও সম্মানিত ক্বওল শরীফ)
ঠিক একইভাবে বর্ণিত হয়েছে,
ولاهل البيت العظيم عليهم السلام الأَسْمَاء الْحُسْنَى فَادْعُوهُ بِهَا
অর্থাৎ নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদেরও অসংখ্য অগণিত সম্মানিত বরকতময় নাম তথা লক্বব মুবারক রয়েছেন, আর উনাদের সেই বরকতময় সম্মানিত লক্বব মুবারক ধরেই আপনারা ডাকুন যা আপনাদের জন্য দুয়া ক্ববুল হওয়া ও নাযাত লাভের উছিলা ৷