হুজ্জাতুল ইসলাম ইমাম গাযযালী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি উনার সুপ্রসিদ্ধ ‘কিমিয়ায়ে সাআদাত’ কিতাবে লিখেছেন ৭ প্রকার ব্যক্তির দোষত্রুটি বর্ণনা করলে সেটা গীবত হয় না-
এক নম্বরে বলা হয়েছে, কোনো লোক যদি কোনো কাজী সাহেবের কাছে যায় বিচারের জন্য, বিচারপ্রার্থী হয়ে ও বিচারের জন্য যদি সে সত্য কথা বলতে গিয়ে বিপরীতপক্ষের দোষত্রুটি বর্ণনা করে, তাহলে সেটা গীবত হবে না।
দুই নম্বরে বলা হয়েছে, সে যদি কোনো মুফতী সাহেবের কাছে যায় ফতোয়ার জন্য, তখন সে ফতোয়ার জন্য সত্য কথা বলবে, এতে তার সেটা গীবত হবে না।
তিন নম্বরে বলা হয়েছে, যারা রাজা-বাদশাহ, আমীর-ওমরাহ তাদের ইছলাহ বা সংশোধন করার জন্য তাদের দোষত্রুটিগুলি যদি ধরিয়ে দেয়া হয়, তাহলে সেটা গীবত হবে না।
চার নম্বরে বলা হয়েছে, ফাসিকদের দোষত্রুটি বর্ণনা করলে, সেটা গীবত হয় না। ফাসিক বলা হয় যে ফরয, ওয়াজিব, সুন্নতে মুয়াক্কাদা তরক করে তাদেরকে ।
পাঁচ নম্বরে বলা হয়েছে, যারা লুলা-ল্যাংড়া, বোবা-তোতলা নামে মশহূর তাদেরকে লুলা-ল্যাংড়া, বোবা-তোতলা বলে ডাকা হলে, গীবত হবে না।
ছয় নম্বরে বলা হয়েছে, যদি কোনো পিতা তার ছেলেকে বিয়ে করাতে চায় বা মেয়েকে বিয়ে দিতে চায়, বিপরীত পক্ষের কাছে গিয়ে সেই ছেলে বা মেয়ের প্রতিবেশীর কাছে যদি, ঐ ছেলে বা মেয়ে সম্বন্ধে সংবাদ নেয় আর প্রতিবেশীর লোকেরা যদি সত্য কথা বলে অর্থাৎ সেই ছেলে বা মেয়ের দোষত্রুটিগুলি বলে দেয়, তাহলে সেটা গীবত হবে না। কারণ এখানে একজনের জীবন নিয়ে প্রশ্ন।
আর সপ্তম যেটা বলা হয়েছে, যারা উলামায়ে ‘সূ’ বা দুনিয়াদার আলিম। যারা দ্বীনকে বিক্রি করে দুনিয়া অর্জন করে, তাদের দোষত্রুটি বর্ণনা করলে সেটা গীবত হবে না।
বিশেষ দ্রষ্টব্য: পোষ্ট টা পড়ে যদি আপনার ভাল লাগে তা হলে অব্যশয় কমেন্ট বক্স এ আপনার মতামত জানাবেন এবং শেয়ার করবেন।✤ আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু ✤ মহান আল্লাহ পাক আমাদের সবাইকে আহলে সুন্নত ওয়াল জামাত উনার আক্বিদা পোষন করা এবং পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার সঠিক বুজ দান করুন। আমিন।