তাওশিয়াহ, তাকরীমাহ, তাক্বিয়্যাহ, তাযকীয়্যাহ, ত্বহিরাহ, ত্বয়্যিবাহ, ক্বায়িম-মক্বামে সাইয়্যিদাতুন নিসা ফিল জান্নাহ, নাক্বিবাতুল উমাম, সাইয়্যিদাতুনা হযরত শাহযাদী ঊলা হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম উনার শান, মান, ফাযায়িল, ফযীলত ও বুযুর্গী

প্রতি শতাব্দীতে, প্রতি যুগে, প্রতি বছরে প্রতি মাসে, প্রতি পাক্ষিকে প্রতি সপ্তাহে, প্রতি দিনে প্রতি ঘণ্টায় প্রতি মিনিটে, প্রতি সেকেন্ডে প্রতি পরতে, প্রতি স্পন্দনে যে সমস্ত মনোনীত কবুলকৃত মুরাদ শ্রেণীর খাছ ওলীআল্লাহদের ছানা ছিফত আরশে আযীমে, রওজাতুল মুয়াজ্জামায়, জান্নাতে, আসমানে, যমীনে, সাগরে, পাহাড়ে, পর্বতে, সজনে, নির্জনে, আলোতে, আঁধারে কুল কায়িনাতের আঠারো হাজার মাখলূক্বাত এমনকি মহান আল্লাহ পাক ও উনার হাবীব সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পাঠ করে থাকেন উনাদের মধ্যে সাইয়্যিদাহ, আবিদাহ, আরিফাহ, আফিফাহ, আমিয়াহ, আযিমাহ, হাবীবাতুল্লাহ নাক্বিবাতুল উমাম, সাইয়্যিদাতুনা হযরত শাহযাদী উলা হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম অন্যতমা। উনি হচ্ছেন আল্লাহ পাক উনার জলীলুল ক্বদর নবী ও রসূল হযরত নূহ আলাইহিস্ সালাম-উনার কিশতী। কাজেই, উনাকে যে বা যারা মুহব্বত করবে, তা’যীম-তাকরীম করবে তারাই ইহকাল ও পরকালে নাযাত পাবে। সুবহানাল্লাহ!
উনার ছানা ছিফত বর্ণনা করে শেষ করার চিন্তা ভাবনাও বেয়াদবী। কায়িনাতের সমস্ত পানিকে কালি বানিয়ে আর বৃক্ষগুলোকে কলম বানিয়ে আঠারো হাজার মাখলুক্বাত, লিখক, কবি, সাহিত্যিক, গবেষক হয়ে অনন্তকাল ধরে উনার ছানা ছিফত বর্ণনা করলে সমস্ত কালির বিলুপ্তি ঘটবে, সমস্ত কলমের ফানা হবে। লিখক, কবি, সাহিত্যিক, গবেষকগণ অক্ষমতার সুপ্ত অব্যক্ত কথাকে ব্যক্ত করবে তবুও সাগরের মাঝে সুচ ডুবালে, সুচের মাথার বিন্দু বারি পরিমাণ উনার ছানা ছিফত বর্ণনা করা হবে না। সুবহানাল্লাহ!
শুধুমাত্র মহান আল্লাহ পাক ও উনার হাবীব নূরে মুজাস্সাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এবং সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মুজাদ্দিদ, মুজাদ্দিদে আ’যম, হাবীবে আ’যম, মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম ও উনার সুসম্মানিত আহলে বাইতগণ আলাইহিমুস সালাম উনাদের রিযামন্দি সন্তুষ্টি পাওয়ার জন্যই এই লিখনির আঁচড়ের অবতারণা।
ক্বারীনাহ, ক্বারীবাহ, কাবীরাহ, কাছিত্বাহ, ছামীনাহ, ছা’ইমাহ, ছালিহাহ, ছুফিয়্যাহ, নাক্বিবাতুল উমাম, সাইয়্যিদাতুনা হযরত শাহযাদী উলা হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম হচ্ছেন মহামতি, মহতী, নূরের জ্যোতি, ধনবতী, বুদ্ধিমতি, ভাগ্যবতী, দয়াবর্তী, লজ্জাবতী, মহান আল্লাহ পাক উনার বিরল আশিকাহ ও মা’শুকা এবং মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, নবী আলাইহিমুস সালাম উনাদের নবী, রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের রসূল হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার হাবীবা ও মাহবুবাহ। সুবহানাল্লাহ! উনাদের মা’রিফাত ও মুহব্বত হাছিলে উনি কামিলাহ ও মুকাম্মিলাহ। মুহূর্তের মাঝে উনি একজন অধম সালিক সালিকাকে মহান আল্লাহ পাক উনার খালিছ ওলী আল্লাহগণ উনাদের অন্তর্ভুক্ত করে দিতে পারেন। সুবহানাল্লাহ! দিতে পারেন দিদারে খাতামুন নাবিইয়ীন নূরে মুজাসসাম, হাবীল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ঘটিয়ে। সুবহানাল্লাহ!
গফীরাহ, নাছিবাহ, রহীমাহ, রফীক্বাহ, হাবীবাহ, নূরিয়্যাহ, ফখরিয়্যাহ, ফারীদাহ নাক্বিবাতুল উমাম, সাইয়্যিদাতুনা হযরত শাহযাদী উলা হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম গুনাহগারদের তরে হলেন ক্ষমাকারিণী। ক্রন্দকারীদের শান্তনা দানকারিণী। ইহসান প্রত্যাশীদের ইহসান দানকারিণী। দুঃখীদের দুঃখ মোচনকারিণী। বিপদগ্রস্তদের তরে সাহায্যকারিণী। অন্ধকার অন্তরে আলো দানকারিণী। ফায়িজ প্রত্যাশীদের ফায়িজ দানকারিণী। সুবহানাল্লাহ!
উনি হচ্ছেন- মনোরমা, অনুপমা, অনন্যা, উপমাহীনা, অঞ্জনবর্ণা, ধর্মপরায়ণা, ন্যায়পরায়ণা, ই’তিকাফকারিণী, প্রতিফলনকারিণী, পারদর্শিণী, বিশ্বাসিণী, প্রশংসাকারিণী, ওয়াদা পূরণকারিণী, বিজয়িণী।
উনার মুবাকর ছিফত হচ্ছে- তাওশিয়াহ, তাকরীমাহ, তাক্বিয়্যাহ, তাযকিয়্যাহ। ত্বইয়্যিবাহ, ত্বহিরাহ, নাজিয়াহ ও নাছীবাহ। সুবহানাল্লাহ!
মহান আল্লাহ পাক ও উনার হাবীব নূরে মুজাস্সাম হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এবং সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ট মুজাদ্দিদ মামদূ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম ও উনার সম্মানিতা আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম কারীনাহ, ছলীহা, আবিদাহ, ছুফিয়্যাহ, কায়িম মক্বামে সাইয়্যিদাতুন নিসায়িল জান্নাহ, নাক্বিবাতুল উমাম, সাইয়্যিদাতুনা হযরত শাহযাদী উলা হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম উনার হাক্বীক্বী শান-মান, ফাযায়িল, ফযীলত, সম্মান, বুযুর্গী ও মহত্ত্বের হাক্বীক্বত উপলব্ধি করার তাওফীক্ব দান করুন। আমীন আমীন আমীন

শেয়ার করুন
পূর্ববর্তী পোষ্ট
পরবর্তী পোষ্ট