বরকতময় সাইয়্যিদুল আইয়াদ শরীফ পালনের কারণেই ঘূর্ণিঝড়ের আঘাতের কবল থেকে রক্ষা পেল বাংলাদেশের মুসলমান; বিপরীতে নাযিল হলো অফুরন্ত রহমত বরকত ও নিয়ামত

গত ইয়াওমুস সাবত (শনিবার) দিবাগত রাতে বাংলাদেশের সুন্দরবন সংলগ্ন সাতক্ষীরা উপজেলায় আঘাত হানে ঘূর্ণিঝড় বুলবুল। এরপর এটি সুন্দরবনের খুলনা ও বাগেরহাট অংশের ওপর দিয়ে বয়ে যায়। তবে প্রবল শক্তির এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব সেভাবে পড়তে পারেনি বাধা পাবার কারণে। কিন্তু কি সেই বাধা?
যদিও ভূখন্ডে আঘাত হানার সময় এর গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ১৪০ কিলোমিটার, কিন্তু বিশেষ কারণে সেটির প্রভাব ঘণ্টায় ১০০ কিলোমিটারের মত অনুভূত হয়।
ঘূর্ণিঝড় বুলবুল হলো ২০১৯ খ্রিস্টাব্দে উত্তর আন্দামান সাগরে জন্ম নেয়া ঘূর্ণিঝড়। নিরক্ষীয় ঝড় মত্ত ঘূর্ণিঝড় বুলবুল নামে পুনর্জন্ম লাভ করে। ৫ই নভেম্বর সেখানে প্রথমে নিম্নচাপ সৃষ্টি হয়, ছয় তারিখে গভীর নিম্নচাপ এবং সাত তারিখে দুপুরের দিকে এটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নেয়। ওইদিন রাত থেকে এটি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নেয়।
প্রসঙ্গত, একটি বিশাল ঘূর্ণিঝড় যখন অনেক কিছু তছনছ করে দেবার কথা, কিন্তু উল্টা সেটা হলো রহমতের বৃষ্টির কারণ। রহস্যটা কি?
ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের ছোবল থেকে উপকূলীয় এলাকাসহ সমগ্র বাংলাদেশ রক্ষায় ঢাল হিসেবে কাজ করেছে বিশেষ এক আমল। এক কথায় সেই বাধা বা রহস্যপূর্ণ আমলটির নাম পবিত্র সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ। সুবহানাল্লাহ!
মনে করেন আপনার বাড়ির সামনে একটা দেয়াল আছে। সেটার কারণে বন্যার পানি, দমকা বাতাস আপনার ঘরে ঢুকতে পারবে না। কায়িনাতের জন্য খাছভাবে বাংলাদেশের জন্য সাইয়্যিদে মুজাদ্দিদে আ’যম আলাইহিস সালাম উনার কারামত মুবারক ঠিক সেই দেয়ালের কাজটাই করে। সবুহানাল্লাহ!
বর্তমান পনেরো শতকের মহান মুজাদ্দিদে আ’যম, যামানার লক্ষ্যস্থল আহলে বাইত ওলীআল্লাহ, যামানার ইমাম ও মুজতাহিদ, ইমামুল আইম্মাহ, মুহইউস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, ক্বইয়ূমুয যামান, জাব্বারিউল আউওয়াল, ক্বউইয়্যূল আউওয়াল, সুলত্বানুন নাছীর, হাবীবুল্লাহ, আওলাদে রসূল, মাওলানা সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুল উমাম আলাইহিস সালাম উনার কাছে যখন সুওয়াল করা হলো- ঘূর্ণিঝড় বুলবুল প্রবল আঘাত হানবে বাংলাদেশে এবং অনেক ক্ষয়ক্ষতি ও তছনছ করে দেবে। তখন তিনি একখানা পবিত্র ক্বওল শরীফ ইরশাদ মুবারক করলেন-
“তোমরা ভালোভাবে হাক্বীক্বীভাবে সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ পালন করো, বেশী বেশী মীলাদ শরীফ পাঠ করো; তাহলেই এসব ঘূর্ণিঝড় নিমিষেই নিরব হয়ে যাবে, কোনই ক্ষতি করতে পারবে না।”
ঠিক উনার সেই বরকতময় পবিত্র ক্বওল শরীফ উনারই প্রতিফলন ঘটলো। সুবহানাল্লাহ ওয়া সুবহানা মামদূহ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!
মূলতঃ ঘূর্ণিঝড়ের কোনই শক্তি বা ক্ষমতা নেই। বরং শক্তি ও ক্ষমতার একচ্ছত্র মালিক স্বয়ং মহান আল্লাহ পাক তিনি। আর তিনি উনার বান্দাদের মধ্যে বিশেষ কিছু খাছ বান্দাদেরকে সেই শক্তি দান করেন এমনকি ক্ষমতা ব্যবহারের অনুমতি দেন।
সঙ্গত কারণেই সাইয়্যিদে মুজাদ্দিদে আ’যম, ক্বইয়ূমুয যামান, জাব্বারিউল আউওয়াল, ক্বউইয়্যূল আউওয়াল,  সাইয়্যিদুনা মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনিই সেই ক্ষমতার মালিক। যার কারণে ঘূর্ণিঝড় সহ সমস্ত কিছু তিনিই নিয়ন্ত্রণ করে থাকেন মহান আল্লাহ পাক উনার নির্দেশক্রমে।
আর উছিলা হিসেবে তরতীব মুতাবিক মহাসম্মানিত সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ উনার আমল করতে নির্দেশ দেন। যাতে করে সমস্ত মানুষ জিন ইনসান কায়িনতবাসী সমস্ত বিপদ আপদ থেকে রক্ষা পায় এবং বিপরীতে রহমত বরকত নিয়ামত লাভে ধন্য হয়।
যার কারণেই এবছর ১৪৪১ হিজরী শরীফ মহাসম্মানিত সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ পালন হয়েছে অনেক বরকতময়ভাবে মহাসমারোহে। এ দিনে রহমতের বৃষ্টি নাযিল হয়েছিল অবারিত। এমনকি আবহাওয়া ছিল ঠান্ডা যা মানুষের হৃদয়কে করেছিল রহমতময় প্রশান্তিপূর্ণ। এমনকি উক্ত বুলবুল নাম ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড়কে নিমিষেই করে দেয় নিরব ও পরিণত হয় রহমতের কারণ। সুবহানাল্লাহ!

শেয়ার করুন
পূর্ববর্তী পোষ্ট
পরবর্তী পোষ্ট