সংবিধান কী পবিত্র দ্বীন ইসলাম পালনের সুযোগ দেয়নি?

তাহলে কী করে ৯৮ ভাগ মুসলমান ও রাষ্ট্র দ্বীন ইসলাম উনার দেশে ইসলামী লিবাস ও বোরকা নিষিদ্ধ করার মতো দুঃসাহস দেখাতে পারে?
 ১৬ রবীউল আউওয়াল শরীফ, ১৪৪১

আমি যদি আখিরী রসূল, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার উম্মত দাবি করে সুন্নত পালন করি; অর্থাৎ ইসলামী লিবাস ও বোরকা পরিধান করি তবে তা কী রাষ্ট্রযন্ত্রের দৃষ্টিতে অপরাধ? আমি কী পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার আমল করতে পারবো না? পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার আমল করতে গেলে কী রাষ্ট্রযন্ত্র আমাকে বাধা দিবে?
রাষ্ট্রযন্ত্রের পরিচালনা নীতি হচ্ছে সংবিধান। আর সংবিধানের ৪১(১)(ক) ধারায় বর্ণিত হয়েছে, প্রত্যেক নাগরিকের যেকোনো ধর্ম অবলম্বন, পালন বা প্রচারের অধিকার রয়েছে। যদি তাই হয়ে থাকে, তবে মুসলমান হিসেবে আমার পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার মধ্যে পরিপূর্ণভাবে প্রবেশের এবং পালনেরও পূর্ণ অধিকার রয়েছে। 
এখন আমার প্রশ্ন হলো- আমি যদি বেপর্দা হই; ইসলামী লিবাস না পরি তাহলে কী আমার দ্বারা পবিত্র দ্বীন ইসলাম পালন হবে? আমি কী পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র হাদীছ শরীফ উনাকে পালন করেছি সে কথা বলা যাবে? আর আমি যদি পবিত্র কুরআন শরীফ, পবিত্র হাদীছ শরীফ উনাদেরকে পালন না করি, তাহলে আমাকে মুসলমান বলা যাবে কি? আর আমাকে যদি পবিত্র কুরআন শরীফ এবং পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার বিরোধী আমল করতে রাষ্ট্রযন্ত্র বাধ্য করে, তাহলে রাষ্ট্রযন্ত্র আমাকে মুসলমান থাকতে সহায়তা করেছে- একথা বলা যাবে কি? রাষ্ট্রযন্ত্র আমাকে পবিত্র দ্বীন ইসলাম পালনের অধিকার দিয়েছে- একথা বলা যাবে কি? রাষ্ট্রযন্ত্র আমাকে আমার ধর্ম পালনের সুযোগ দিয়েছে- একথা বলা যাবে কি? রাষ্ট্রযন্ত্র আমার ধর্মীয় অধিকার দিয়েছে- সে কথা বলা যাবে কি? রাষ্ট্রযন্ত্র সংবিধানের ৪১(১) ধারা পালন করেছে- সে কথা বলা যাবে কি? 
পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “হে ঈমানদারগণ! তোমরা পরিপূর্ণভাবে পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার মধ্যে প্রবেশ করো।”
তাহলে আমার উপায় কী? এ বিষয়ে রাষ্ট্রযন্ত্র ভেবে দেখবে কী? 
রাষ্ট্রযন্ত্র যদি মুসলমান হিসেবে আমার ধর্মীয় অধিকার দিতে চায়, তবে রাষ্ট্রযন্ত্র যেন অবিলম্বে যেসকল প্রতিষ্ঠানের কর্তৃপক্ষ প্রতিষ্ঠানে ইসলামী লিবাস, বোরকা নিষিদ্ধের পাঁয়তারা করছে। তাদেরকে গ্রেফতার করে সম্মানিত শরীয়ত অনুযায়ী শাস্তির ব্যবস্থা করে; নচেৎ সরকারও ইসলাম ও সংবিধান বিরোধী হিসেবে সাব্যস্ত হবে।

শেয়ার করুন
পূর্ববর্তী পোষ্ট
পরবর্তী পোষ্ট