যিনি প্রকৃত ওলীআল্লাহ হবেন উনাকে ইবলিস শয়তান ধোঁকা দিতে পারে না

বর্ণিত রয়েছে, গাউছুল আ’যম, সাইয়্যিদুল আউলিয়া হযরত বড়পীর ছাহিব রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি একবার রমাদ্বান শরীফ মাসে ইফতারের কিছুক্ষণ পূর্বে মনে মনে ভাবলেন, আজ যদি মহান আল্লাহ পাক তিনি দয়া করে আমার জন্য কোনো বেহেশতী খাবার পাঠাতেন, তাহলে আমি তা দিয়ে ইফতার করবো। সত্যিই ইফতারের সময় যখন নিকটবর্তী, এমন সময় এক ব্যক্তি নানা রকম ফল-ফলাদিতে পরিপূর্ণ একখানি স্বর্ণের রেকাবী বাতাসে উড়ে এসে হযরত গাউছুল আ’যম রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার সামনে পেশ করে বললো, আপনার ইফতারের জন্য বেহেশত থেকে এগুলো আনা হয়েছে। হযরত গাউছুল আ’যম রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি ভাবলেন, আমাদের পবিত্র দ্বীন ইসলাম অনুসারে দুনিয়াতে স্বর্ণের পাত্র ব্যবহার করা হারাম। এমতাবস্থায় মহান আল্লাহ পাক তিনি কিভাবে আমার জন্য স্বর্ণের পাত্রে করে ইফতার পাঠালেন। এ কথা ভাবতেই উনার বাতিনী দৃষ্টির সম্মুখে ভেসে উঠলো যে, এটা শয়তানেরই কারসাজি। তিনি তখন শয়তান বিতাড়নের জন্য দোয়া পড়তে শুরু করলেন আর অমনি শয়তান পালাতে আরম্ভ করলো। পালানোর সময় সে বললো, আপনার ইলমই আপনাকে শয়তানের ধোঁকা থেকে বাঁচালো। হযরত গাউছুল আ’যম রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি ভাবলেন, এটাও শয়তানের আরেক ধোঁকা। সে চাচ্ছে যে, উনার অন্তরে ইলমের অহঙ্কার সৃষ্টি হোক, তাই তিনি বললেন, আমার ইলম আমাকে রক্ষা করেনি; বরং মহান আল্লাহ পাক তিনিই স্বীয় অনুগ্রহে আমাকে রক্ষা করেছেন। সুবহানাল্লাহ!
বর্ণিত ঘটনা থেকে আমাদেরকে বুঝে নিতে হবে যে, যারা প্রকৃত ওলীআল্লাহ হবেন উনারা যাবতীয় শরীয়তবিরোধী কার্যকলাপ বা আমল থেকে সতর্ক থাকবেন। যদি দেখা যায়, কেউ নিজেকে ওলীআল্লাহ বলে পরিচয় দিচ্ছে আবার শরীয়তবিরোধী আমলও করছে- এরূপ ব্যক্তি কখনোই ওলীআল্লাহ নয়। বরং সে হচ্ছে ওলীউশ শয়তান।
মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদের সকলকে ওলীউশ শয়তান থেকে হিফাযত করুন। (আমীন)

শেয়ার করুন
পূর্ববর্তী পোষ্ট
পরবর্তী পোষ্ট